#মুক্তির_স্বাদ
লেখনীতে ঃ #সুমাইয়া_আফরিন_ঐশী
#পর্বঃ৮ (অন্তিম পর্ব)
সময় এগোচ্ছে সেই সাথে মৃ*ত মানুষটাকে তার নিজস্ব ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে মৃ*ত বাড়িতে। চারপাশে মানুষের ভিড়।ভিড়ের মাঝে সাদা কাপড়ে মোড়ানো মৃ*ত মায়ের চারপাশ ঘিরে কাঁদছে ছেলে-মেয়েরা। সে কি আ’হা’জা’রি! প্রিয় হারানোর শো’ক! মা যেমনই হোক তাদেরই তো মা। মা হিসেবে রেহেনা বেগম কখনো সন্তানের কোনো ইচ্ছের খামতি রাখেনি। আজ তাদের সন্তানদের একেবারে এতিম করে এ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলো সেই মানুষটি।
জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় হয়ে আসছে,নি*থ*র হওয়ার লা*শে*র জন্য অপেক্ষা করছে সবাই। কেউ কেউ অধৈর্য হয়ে তা*ড়া দিচ্ছে, সবাই সবার নিজস্ব কাজে ব্যস্ত কিনা!
একেক করে সবাই শেষ দেখা দেখো বিদায় জানালো রেহেনা বেগম’কে। দূরের ওই মাটির ঘর খানিতে একা একা পড়ে রইলো রেহেনা বেগম, কেউ আর তার কাছে দাঁড়ালো না দু’দন্ড।
জীবিত থাকতেই যত বাহাদুরি আমাদের, নিশ্বাস বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে সব আয়োজন শেষ।
মা’কে ক’ব’রে রেখে এসে একেবারেই ভে’ঙে পড়লো আযান। মায়ের রুমে এসে খালি বিছানাটার উপর শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো ছেলেটা। তারই পাশে চার বোন হাত-পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে আছে মেঝেতে।
আজ থেকে এই রুমটায় আর কেউ থাকবে না, সবকিছুই পড়ে রইলো শুধু হারিয়ে গেলো মা। সে কথা ভাবতেই ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো আযান। মা’কে একটু বেশিই ভালোবাসতো ছেলেটা।
বাবা’কে কাঁদতে দেখে ছোট্ট আলো গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে আসলো বাবার নিকটে। রুম থেকে খানিকটা দূরে দাঁড়ানো মায়ের দিকে একবার তাকিয়ে, বাবার কাঁধে হাত রেখে কোমল কণ্ঠে শুধালো,
“বাবা! কেঁদো না বাবা! কষ্ট হচ্ছে খুউব! আমার মা একবার বলেছিলো, মানুষ ম’র’ণ’শী’ল! এরা তো আর চিরকাল বেঁচে থাকবে না,তাই না বাবা? মা হারিয়ে গিয়েছে তো কি হয়েছে বাবা! আজ থেকে আমি তোমাদের আরেকটা মা। কেঁদো না বাবা!”
তার ছোট্ট মেয়েটা হুট করেই যেন বড় হয়ে গেলো। কি সুন্দর করে বিজ্ঞদের মতো কথা বলছে। আলোর ফুপিরা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো মেয়েটার দিকে। পরক্ষণে আযান ছোট্ট মেয়েটাকে বুকে জড়িয়ে ধরে ভেজা কণ্ঠে বার কয়েক ডাকলো,
“মা! মা! মা! তুমি আমার ছোট মা।”
এমন করে এতো স্নেহ মাখা কণ্ঠে হয়তো আর কখনো মেয়ে’কে ডাকেনি আযান। টুপ করে মেয়েটার কপালে চুমু খেলো সে। বাবা’র এতো আদর পেয়ে ফোকলা দাঁত বের করে খিলখিল করে হেসে উঠলো অবুঝ আলো। ছোট ছোট হাত দিয়ে বাবা’র চোখের কার্ণিশের লোনা-জলটুকু মুছে দিলো। আযান মলিন হেসে মেয়েকে কোলে তুলে নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলো। ধীরপায়ে এগিয়ে আসলো শিখার মুখোমুখি, হঠাৎ করেই স্ত্রী’র একটি হাত নিজের মুঠোয় নিয়ে ভেজা কণ্ঠে শুধালো,
“আমার মা’কে তুমি ক্ষমা করে দিও শিখা। জানি আমার মা, আমি তোমার সাথে খুব অন্যায় করেছি। মায়ের দোষত্রুটি গুলো দেখেও আমি নিরব ছিলাম, মা’কে কিচ্ছুটি বলতে পারিনি, যদি মা কষ্ট পায়! কিন্তু তবুও পারলে আমার মৃ*ত মাটাকে ক্ষমা করো শিখা।”
শিখা গম্ভীর নির্বাক চিএে দাঁড়িয়ে রইলো কেবল! দৃষ্টি তার ফ্লোরের দিকে নিবন্ধিত। এই মানুষটাকে ক্ষমা করতেও মন সায় দিচ্ছে না তার। কি করে ভুলে যাবে কিশোরী মনে শ্বাশুড়ির দেওয়া এতো আঘাত।
আযান আবারও ডাকলো,
“শিখা?”
শিখা চোখ তুলে তাকালো। কয়েক সেকেন্ড মৌনতা পালন করে গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলো,
“তাকে হয়তো আমি ক্ষমা করে দিলাম তবে আমার রু’হু তাকে ক্ষমা করতে নারাজ।
যদি কখনো অতীত ভুলে তার দেওয়া আঘাত ভুলতে পারি, তবে সেদিনই আর কোনো অভিযোগ থাকবে না। ”
আযান মিনিট খানিক সময় নিয়ে শিখার হাত ছেড়ে দিলো। এহেন কথায় এখান কি বলা উচিৎ জানা নেই তার। তবে পণ করলো মনের সাথে, ধীরে ধীরে নিজেকে পাল্টে ফেলবে আযান। স্ত্রীকে ভালো না বাসলেও অবহেলা করবে না। অতঃপর মেয়েকে সাথে করেই চোখ মুছতে মুছতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়লো উঠোনে।
.
.
মা নেই আজ সপ্তাহ দু-এক হলো। সবাই ধীরে ধীরে শোক ভুলে আবারও নিজ জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। আত্মীয় স্বজনেরা চলে গিয়েছে আগেই, মেয়েরাও চলে গেলো নিজ নিজ সংসারে। বড় ঘরটা এখন ফাঁকা, নিরিবিলি নিস্তব্ধ। বাড়ির একমাত্র ছেলে আযান দু’দিন ধরে অসুস্থ,তাকে আজ সন্ধ্যায় হসপিটালে ভর্তি করিয়েছে শিখা। ডায়রিয়া জনিত সমস্যা সাথে জ্বর, জ্বরে দিশেহারা ছেলেটা। ডক্টর দেখে ঔষধ, স্যালাই দিয়েছে সাথে বারবার শরীর মুছে দিতে বলছে।
অসুস্থ স্বামীর পাশে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে শিখা। অন্য বেডে আলো নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে, আযান এখনো শরীরের উওাপে ছটফট করছে।
রাত তিনটায় আবারো “ডক্টর সুমা” আসলো চেক-আপ করতে। উনি শিখার পূর্ব পরিচিত। শিখাকে রাতের শেষ প্রহরের স্বামীর মাথায় জ’ল’প’ট্টি দিতে দেখে উনি কিঞ্চিৎ হেসে শুধালো,
“আপনি এখনো জেগে আছেন?”
শিখা মৃদু কণ্ঠে বললো, “কি যে বলেন, উনি অসুস্থ তাকে রেখে ঘুমোই কি করে।”
“বাহ! স্বামীকে খুব ভালোবাসেন বুঝি।”
“তা জানি না। তবে, বিয়ের পর একটা মেয়ের সবটা জুড়েই থাকে তার স্বামী।”
শিখার উওর শুনে সুমা একটু রসিকতা করেই বললো,
“বাহ! বাহ! সুখী কাপল! আপনি ভীষণ ভাগ্যবতী নারী! আপনার হাসবেন্ডও বোধহয় আপনাকে খুব ভালোবাসে।”
“হাহা! ভালোবাসা অতি দামী শব্দ ! এটা সবার জন্য নয়। নারীর সবটা জুড়ে তার স্বামী থাকলেও একজন স্ত্রী তার স্বামীর কখনো প্রিয়জন হতে পারে না ম্যাডাম। স্বামীর প্রিয়জন তো তার মা-বোন আর আপন জনেরা!
স্ত্রী সে-তো পরের মেয়ে, সে তো শুধুমাত্র শ্বশুর বাড়ির চাকরানী আর সকলের প্রয়োজন মেটানোর মেশিন।”
কথা শেষ করে ঠোঁট এলিয়ে নিঃশব্দে হাসলো শিখা। সবটা শুনে ডক্টর সুমা ততক্ষণাৎ আমতা আমতা করে বললো,
“স্যরি ম্যাম! আপনাকে পার্সোনাল ভাবে অ্যাটাক করে ফেললাম। এটা একদম অনুচিত কাজ। আমি আবারও সরি,কিছু মনে করবেন না।
শিখা মুচকি হেসে বললো, “আরে ব্যাপার না ম্যাডাম। এভরিথিং ইট’স ওকে! ”
ডক্টর কথা না বাড়িয়ে নিজের কাজে মনযোগী হলো। আযান চোখ বন্ধ করে থাকলেও শিখার কথা কান এড়ালো না তার। খুব গোপনে তপ্ত দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো পুরুষটি। তারই বা কি দোষ! ছোট বেলা থেকে মা তাকে এভাবেই গড়ে তুলেছে তাকে। মা যতটুকু শিখায় সন্তানতো তাই’ই শিখে।
__________________
পাঁচ বছর পর…….
সবকিছুই আগের নিয়মে চলছে, সবাই যে যার সংসার নিয়ে ব্যস্ত। এরিমধ্যে শিখার একটা ছেলে হয়েছে। আযানও এখন একজন দায়িত্বশীল পিতা হয়ে গিয়েছে। ধীরে ধীরে নিজেকে কিছুটা হলেও পাল্টে নিয়েছে সে।
আজ ফজরের নামাজ পড়ে কবর স্থানে আসলো শিখা। শ্বশুরের করব যিয়ারত করে, শ্বাশুড়ির কবরের নিকট দাঁড়িয়ে মিহি কণ্ঠে শুধালো,
“কেমন আছো মা? আমি চাই ওপাড়ে তুমি খুব ভালো থাকো। তুমি নেই আজ পাঁচ বছর হয়ে গেলো। লোকে বলে মৃ’ত মানুষের নামে কোনো অভিযোগ করতে নেই, বা মনে আনতে নেই। কিন্তু, তোমার প্রতি যে আমার এক আকাশ অভিযোগ জমা! সেগুলো কোথাও প্রকাশ না পেয়ে মনের ভিতরই গুমরে গুমরে ম’র’ছে! আজ কিছুটা প্রকাশ করে মনের সেই ভার হালকা করে নিচ্ছি মা। আর সেই অপরাধের জন্য আমায় ক্ষমা করো।
জানো মা?
তুমি বিনা-দোষে সতেরো বছরী এক কিশোরীর মন ভে’ঙে দিয়েছো। তার সব স্বপ্ন তুমি গুড়িয়ে দিয়েছিলে অবেলায়। সংসার জীবন বানিয়ে দিয়েছো তিক্তময়! জীবিত থাকা কালীন সংসারে এতটুকু শান্তি দেওনি আমায়। সবসময় গরীবের মেয়ে বলেই অবহেলা অ’ব’জ্ঞা করেছো। অথচ এই আমাকেই দেখে শুনেই তোমার ছেলের বউ করে ছিলে। তোমার সব প্রয়োজনে তবুও এই অকর্মা আমাকেই লাগতো। তাও তুমি বিন্দুমাএ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করোনি কখনো।
তুমি এতোটা নিষ্ঠুরতম মা ছিলে যে, গর্ভকালীন সময়টাও একটা মেয়েকে ছাড় দেওনি।
আমার গর্ভকালীন সময়টায় তুমি দিয়েছো আমায় বড় এক পাপের সাজা। তুমি তোমার মনের সকল রাগ উগড়ে নিয়েছিলে আর তোমার ছেলে ছিলো নির্বাক। যা মনে করলে এখনো আমার রুহু কেঁপে উঠে। হয়তো, সেই কালো অতীতের কথা আমি ইহজন্মে ভুলতে পারবো না।
জানো মা?
আমি সব সময় তোমার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য ব্যকুল হয়ে থাকতাম। কারণ, তোমার ভালোবাসা পেলেই বুঝি তোমার ছেলের ভালোবাসা পাবো, এটাই মাথায় ঘুরতো শুধু। কিন্তু, হায়! তোমার ভালোবাসা পাওয়া আমার কাছে শিয়ালের আঙুর-ফল হয়েই রয়ে গেলো! তুমি খুব ভাগ্য করে ছেলে পেয়েছিলে মা, অল্প বয়সী মেয়েও তার মনে জায়গা করতে পারেনি পাছে তোমার ভালোবাসা যদি কম পড়ে! তাইতো, আমিও তাকে “আমার স্বামী” না বলে তোমার ছেলে বলেই সম্মোধন করলাম। আমি মনে করি, সে একটা মেরুদণ্ডহীন কাপুরুষ! যে কারো স্বামী হওয়ার যগ্যতা রাখে না,এরা শুধুমাত্র মাতৃভক্ত ছেলে হয়েই থাকে।
চিন্তা করো না, মা। তোমার অনুপস্থিতে সে আমাদের ভালোবেসে তোমায় ভুলে যায়নি, বরং এখনো তোমার কথা মনে করে খুউব কাঁদে। প্রতি কথায় তোমায় মিস করে! তুমি খুশী তো মা?
এবার আমি কেমন আছি, শুনবে না মা? শুনো তবে।
আমি ভালো আছি মা, তুমিহীন আমি ভীষণ ভালো আছি। আমি এ-ও জানি, এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমি সমাজের সব থেকে ঘৃণ্যিত পুরবধূ হবো! তবুও বলবো, তোমার মৃ’ত্যু’র পর থেকে আমি ভীষণ ভালো আছি। তোমার মৃত্যুর কয়দিন পরই আমি জবটা ছেড়ে দিয়েছি।
জানো, মা? তোমার মৃত্যুর বছর খানিক পরই আমার একটা ছেলে হয়েছে। সব থেকে অবাক বিষয় কি জানো, আমার ছেলেটা দেখতে অনেকটা তোমার মতো হয়েছে। অনেক প্রার্থনার ফল আমার এই ছেলে। আমি প্রতিদিন সৃষ্টিকর্তার নিকট এই ছেলের জন্য মাথা ঠুকেছি। কারণ কি জানো মা?
আমিও ছেলে মানুষ করবো, তাকে অন্ধভক্ত না বানিয়ে ঠিককে ঠিক, ভুলেকে ভুল বলা শিখাবো। তাকে শুধু ভালো সন্তান নয়, কি করে ভালো স্বামী ও ভালো বন্ধু হতে হয় তাও শিখাবো।
যাতে আমার মৃ’ত্যু’র পর, কারো কাছে আমার নামে কোনো অভিযোগ না থাকে। আমি আমার সন্তানদের আদর্শ মানুষ বানাবো। আমার জন্য আর্শীবাদ করো মা, আমি যেন আমার উদেশ্যে সফল হতে পারি।
সবশেষে এটাই বলবো মা, তুমি খুব ভালো থেকো।
আমার কথা ভেবো না মা, তুমিহীনা আমিও ভালো থাকবো!
এখন আর দ’ম বন্ধ হয়ে শ্বাসকষ্ট হয় না আমার, এখন চাইলেই যখন তখন প্রাণ ভরে শ্বাস নেওয়া যায়, মুক্ত আকাশে পাখির মতো উড়ে বেড়ানো যায়,তিনবেলা বঞ্চনা আর খেতে হয়না আমাকে।তুমিহীণা কা’রা’গা’রে’র এক ক’য়ে’দি পেয়েছি #মুক্তির_স্বাদ!”
(সমাপ্ত)
[বার্তা-১ঃ শ্বশুর বাড়িতে একটা মেয়ের সব থেকে বড় আশ্রয় হচ্ছে তার স্বামী। একজন স্বামীর আচার-আচরণের উপর ভিওি করেই পরিবারের বাকি সদস্য তাকে সম্মান করে। তাই বিবাহিত সব পুরুষদের উচিত, নিজ স্ত্রীকে তার যথার্থ সম্মান দেও।
বার্তা -২ঃ আপনার সন্তানকে ভালো সন্তান বানানোর পাশাপাশি একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন।
যাতে আপনি মা*রা গেলেও আপনার নামে কেউ অভিযোগ তুলতে না পারে।
মনে রাখবেন, পারিবারিক শিক্ষাই হচ্ছে একটা ছোট্ট শিশুর শিক্ষার প্রথম ধাপ।
বার্তা-৩ঃ প্রিয় অভিভাবক!
আপনার কন্যাকে বিয়ে দিবার সময় পয়সাওয়ালা ছেলে না খুঁজে, আগে মানুষ খুঁজুন। বড় ঘর দেখার আগে, আগে দেখুন ঘরের পরিবেশ কেমন, মানুষ গুলো কেমন।
ভুলকে ভুল, অন্যায়কে অন্যায় বলার সৎ সাহস যার আছে তার হাতেই আপনার প্রিয় কন্যাকে তুলে দিন। ]
(শুভ সমাপ্তি! সব মিলিয়ে গল্পটা কেমন লাগছে আপনাদের? আজ ভুলত্রুটি উল্লেখ করেই একটা মন্তব্য করুন। সাইলেন্ট পাঠকরাও আজ রেসপন্স করবেন, দেখি কতজন পড়লো গল্পটা।
আগামীকালই আবারও নতুন গল্প আসবে ইনশাআল্লাহ! আপাতত, আল্লাহ হাফেজ!)