“আজ তুমি মা’রা গিয়ে আমায় যেন মুক্তি দিলে মা! মনে পড়ে মা, সতেরো বছরী কিশোরী মেয়েটা তোমার কাছে এসেছিলো উড়ন্ত দু’টো ডানা নিয়ে, তুমি নিমিষেই কেঁড়ে নিলে তার সমস্ত চঞ্চলতা। ভালোবাসার বদলে বিষিয়ে দিয়েছো তার ছোট্ট মস্তিষ্ক’কে। হাহ্! তুমি চলে গেলে, আজ তবেই আমার ভাগ্য বদলের দিন এসেছে মা, তোমায় ছাড়াই আমি ভীষণ ভালো থাকবো। ভীষণ!”
সবাই যখন শোক পালনে ব্যস্ত সেখানে শ্বাশুড়ি”র মৃত্যু দেহের সামনে বসে একমাত্র পুএবধূ “শিখা” তাকে নিয়ে আক্ষেপ করে বসলেন। এসময়ে পুএবধূ’র এহেন কথা বড়োই অদ্ভুত শোনালো। লোকজন চমকে উঠলো, অবাক হয়ে দেখছেন মেয়েটাকে। তান্মধ্যে শিখার ছোট বোন শখা দৌড়ে আসলো বোনের কাছে। দু’হাতে শিখার মুখ চেপে ধরে সাবধানী কণ্ঠে শুধালো,
“চুপ কর আপা, তুই পা’গ’ল হয়ে গেছিস আপা? মানুষটা আর বেঁচে নেই। দুলাভাই যদি শুনতে পায় একথা, তোকে আর আ’স্ত রাখবে না আপা।”
সেদিকে কোনো হেলদোল নেই নারীটির। বারবার চোখের সামনে ভেসে উঠছে পুরনো বিষাদময় স্মৃতি।
অতীতের স্মৃতিচারণ ঃ
গরীব বাবার ১৭ বছরী রূপবতী কিশোরী মেয়েটার বিয়ে হয়েছে আজ ৩৫ বছরের এক লোকের সাথে। লোকটার একটু বয়স বেশি হলেও সমাজে তাদের নাম-ডাক বেশ। শহরে পাকা দালান,গুটিকয়েক বড় বড় দোকান, ছেলের নিজেস্ব বিজনেস ও রয়েছে।
সেখানে শিখার বাবা একজন রিক্সা চালক। মা ছিলেন পরিচালিকা। বছর দু’য়েক আগে রোড এ’ক্সি’ডে’ন্টে পা হারিয়ে এখন মা’টা প’ঙ্গু। শিখা ও শখা দুই বোন শুধু। আয়-রোজগারের জন্য বাবার দু’টো হাতই ভরসা। দুই মেয়ে, ঘরে অসুস্থ বউ, বাবা অভাবের তাড়নায় দিশেহারা!
এরিমধ্যে শিখার শ্বশুর তার বড় মেয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব রাখে। বড় মেয়েটার বয়স অল্প হলেও রুপে গুণে অনন্যা!
বাবা বড় ঘরের ছেলে পেয়ে পাএের বয়স দেখেনি আর। তার উপর দেনাপাওনার কোনো পার্ট নেই। এমন ঝুট-ঝামেলাহীন প্রস্তাব আর আসবে না বৈকি, বাবা এতো বাছ-বিচার না করে বড় মেয়েটার বিয়ে দিয়ে দিলো বড়ঘরে। বড় মেয়েটা তার বড়ই আদরের! অভাবের তাড়নায় মেয়েদের শখ আহ্লাদ পূরণ করতে পারেনি সে।
মেয়ে বিয়ে দিয়ে বাবা স্বঃস্তি পায়, বড় ঘরটায় এবার তার আদরের মেয়েটা সুখেই থাকবে।
.
.
উড়ন্ত দু’টো ডানা নিয়ে কিশোরী মেয়েটা পা-রাখলো শ্বশুরের পাকা ঘরে। শিখা মেয়েটার বয়স কম। সে বুঝতো না সংসার কি, সংসারের দায়িত্ব বা কি? শুধু বুঝতে শিখলো, এটা তার স্বামীর ঘর।
ফুলসজ্জিত ঘরটায় গুটিসুটি হয়ে বসে আছে শিখা। অপেক্ষা করছে তার স্বামীর জন্য। কিছু সময় বাদে ঘরে প্রবেশ করলো “আযান”।
নববধূর হাতটি মুঠোয় আগলে নিয়ে বললো, আমার মাকে ভালোবেসো শিখা, কখনো কষ্ট দিও না যেন। মনে করো, উনি তোমার মায়ের মতন।”
এটাই ছিলো তার স্বামীর প্রথম কথা। চঞ্চল শিখা পরক্ষণে বোকার মতো প্রশ্ন করলো, “শুধু কি আমি একাই তাকে ভালোবাসবো? উনি আমায় ভালোবাসবে না?”
আযান মুচকি হেসে কিশোরী বউকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে মৃদু কণ্ঠে শুধালো, “বাসবে…! তুমি একটু মানিয়ে নিও নিজেকে।”
তাদের প্রথম রাতেই স্বামী তার মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে দিয়েছে, মা’কে ভালোবাসতে হবে, উনি শিখারই আরেকটা মা। এই সত্যটুকু মেনে নিয়েছে মেয়েটা।
বিয়ের পরেরদিন সকালে নিজের রুমে বসে পা দোলাচ্ছে শিখা। এমন সময় রুমে তার শ্বাশুড়ি আসলো। শিখা শ্বাশুড়িকে দেখে এগিয়ে গেলো তার কাছে। উচ্ছাসিত কণ্ঠে শুধালো, “মা। তুমি আমার আরেকটা মা তাই না? উনি বলেছে, তোমাকে ভালোবাসতে। আচ্ছা আমি তোমাকে ভালোবাসলে, তুমি আমায় ভালোবাসবে মা?”
শ্বাশুড়ি তার এমন মায়া মাখা আবদার খানি মুহুর্তেই গুঁড়িয়ে দিয়ে গমগমে গলায় বললেন, “বাড়ি বউ হয়ে এসেছো তবুও কোনো কান্ড জ্ঞান নেই তোমার? মা কিছু শিখায় নাই তোমাকে? সকাল যে হয়েছে, এখনো স্বামীর সোহাগী বউ হয়ে রুমে ঘাপটি মে’রে আছো। রান্নাটা কে করবে শুনি?”
শ্বাশুড়ি মা শক্ত হাতে তার নরম হাতটা ধরে টেনে নিয়ে গেলেন রান্না ঘরে। শিখা চমকে উঠলো, ফর্সা মুখ-খানায় আঁধার নেমে আসলো তার। যাবার সময় একটুখানি আশা নিয়ে, ছলছল চোখে স্বামীর পানে একবার তাকালো সে। ভাবছে লোকটা তার হয়ে কিছু বলবে মাকে। কিন্তু, লোকটা সাথে সাথে মাথা নিচু করে নিলেন। মা’কে কিছু বলার সাহস হয়ে উঠেনি তার।
স্বামীর ঘরে প্রথম সকালেই কাঁদল সে। শিখা আঁচলে চোখ মুছতে মুছতে ছোট ছোট হাতে সব একাই রান্না করে নিলো। পরক্ষণেই খুব সহজে মে’নে নিলো এই বাক্য, “বাড়ির একমাত্র বউ সে, রান্না ঘরের দায়িত্বও তার।”
সব খাবার টেবিলে গুছিয়ে নিজের রুমে চলে গেলো শিখা। এবার একটু ফ্রেশ হওয়া দরকার। কিয়াৎক্ষণ বাদে আসতেই দেখতে পেলো, বাড়ির সবাই তাকে রেখেই খেতে বসেছে। এমনকি তার স্বামীও। অভিমানে বুক ফুলে উঠলো তার, নিঃশব্দে ওখান থেকে চলে যেতে নিলো। তান্মধ্যে, শ্বশুর মশাই স্নেহময়ী কণ্ঠে ডাক দিয়ে বললো,
“বউ মা,কই যাচ্ছো? খেতে এসো, আজ একসাথে খাই।”
দাঁড়িয়ে গেলো শিখা। বড়দের অবাধ্য হতে বাবা-মা কখনোই শেখায়নি তাকে। সকল অভিমান চা’পা রেখে হাসিমুখে গিয়ে বসলো শ্বাশুড়ির কাছ ঘেঁসে। কিন্তু, শিখার শ্বাশুড়ি রেহেনা বেগম চার মেয়ে-একমাএ ছেলেকে নিয়েই ব্যস্ত, তাদের পাতে এটা সেটা দিচ্ছে। ছোট্ট মেয়েকে খাইয়ে দিচ্ছে। শিখারও একবার বলতে ইচ্ছে করছে, “আমাকেও খাইয়ে দেও মা।”
পরক্ষণে, ভয়ে নিজের ইচ্ছে মনের মাঝে চাপা রাখলো মেয়েটা। চারপাশে তাকিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখছে অচেনা মানুষগুলোকে। তারা দিব্যি খাচ্ছে, পাশে যে নতুন বউটা খালি প্লেটে বসে আছে তা কেউ দেখছে না।
এই পরিবেশের সাথে অচেনা সে, পরে ভাবলো বড়োলোক বাড়ীর মানুষ গুলো বোধহয় এমনই হয়!
কারো ভরসা না করে নিজের প্লেটে নিজেই ভাত নিলো শিখা। মাংসের বাটিটা ধরার আগেই শ্বাশুড়ি সেটা নিয়ে নিলো। নিজের ও ছেলের প্লেটে ভর্তি করে সবটুকু মাংস রাখলো। তারা মা-ছেলে খাচ্ছে, শিখার জন্য এক টুকরোও মাংস অবশিষ্ট রাখলো না। শ্বাশুড়ি একবার জিজ্ঞেস অবধি করলো না, “তুমি মাংস খাও?”
এদের আচরণে শিখার ছোট্ট মনটা পি’ড়া দিচ্ছে, চোখ দু’টো টলমল করছে।
আসলে কিন্তু এমনটা নয় যে, শিখা মাংস ভীষণ পছন্দ করে। শাক অথবা একটা তরকারি দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস তার আছে।
তবুও প্রথম দিনে এই এবাড়িতে তার মূল্য কতটুকু? কিশোরী কন্যা, খুব সহজেই অনুমান করে ফেললো। প্রথম সকালে এটাই প্রথম শ্বাশুড়ি ও স্বামীর প্রতি তার অভিযোগ হয়ে রইলো, খুব গোপনে অভিমান পুষে নিলো তার বক্ষে।
.
.
ধরণীর বুকে বিকেল নেমেছে। ছোট্ট মেয়েটাকে নিয়ে শিখার বাবা “মনিরুল” এসেছে মেয়েটাকে একটুখানি দেখার জন্য। তার শক্ত হাতে রয়েছে একটা মিষ্টির ব্যাগ। বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতেই, বাড়িটা নিরব মনে হলো। বড় মেয়েটার মুখটা দেখার জন্য বাবার তড় সইছে না যেন। উচ্চ স্বরে ডাকলো,” শিখা আম্মা? কই তুই মা? দেখ তোর আব্বা তোরে দেখবার লাইগা আইছে ।”
ততক্ষণাৎ রুম থেকে বেরিয়ে আসলো শিখার শ্বাশুড়ি। আধ পুরোনো ধূসর পোশাকে মনিরুল’কে দেখে মুখখানা অন্ধকার হয়ে গেছে তার। বিরক্ত কণ্ঠে শুধালো, “কি হচ্ছেটা কি এই বাড়িতে? এমন চেচাচ্ছেন কেন?”
থমথম খেয়ে যায় বাবা। উনি ভুলেই গেছে, মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বাবাদের উচ্চ স্বরে কথা বলতে নেই। উনি তবুও মুখে হাসি টেনে বললেন, “দুঃখিত আপা! আসলে, মেয়েটাকে কতক্ষণ দেখি না। তা আপনি, কেমন আছেন আপা?”
রেহনা বেগম ভেংচি কাটলো, এদের সাথে কথা বলতেও রুচিতে বাঁধে তার। বড়সড় পা ফেলে চলে যেতে নিলো গেলো শিখার ঘরটার দিকে। মনিরুলের হাতে ব্যাগ দেখে দাঁড়িয়ে গেলে, এগিয়ে তাকে একবার আগাগোড়া পরখ করে বললেন, ভালোই আছি। তা ব্যাগে করে কি এনেছেন।”
মনিরুল নিজের হাতের ব্যাগটা এগিয়ে দিলো উনার হাতে। রেহেনা বেগম তড়িঘড়ি করে ব্যাগটায় উঁকি দিখলো, দুই কেজির সচতা মিষ্টি। চোখ মুখ কুঁচকে ব্যাগটা ফেলে দিয়ে বললেন, “এসব কম দামী মিষ্টি আমাদের খাওয়া হয় না। যাওয়ার সময় সাথে করে নিয়ে যাবেন এগুলো।”
লজ্জায় অপমানে গা- গুলিয়ে আসছে তার। শখা মেয়েটা কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বাবা’কে বললেন, “আব্বা চলো আমরা চলে যাই।”
তবুও বাবা নড়লো না, পাথরের মতো দাঁড়িয়ে রইলো মেয়েটাকে এক নজর দেখার জন্য।
শিখা মেয়েটা সারাদিন পর বিছনা পেয়ে ক্লান্তিতে চোখ লেগে গিয়েছে তার। সে আরামসে ঘুমাচ্ছে। আযান বাসায় নেই। সকালে খেয়ে যে নিজের কাজে বেড়িয়েছি আর খোঁজ নেই তার।
রেহনা বেগম দরজায় দাঁড়িয়ে ঠকঠক আওয়াজ করে বললেন, “বউমা? তোমার বাবা-বোন এসেছে।”
বাবা এসেছে,শুনে ঘুম ছুটে যায় তার। আনন্দে লাফিয়ে উঠলো শিখা। পরক্ষণে পিছন থেকে শ্বাশুড়ি বলে উঠলো, “কিছু খাইয়ে তাড়াতাড়ি বিদায় করো এদের। গোষ্ঠী সুদ্ধ সব হাজির।”
মুখটা চু’প’সে যায় মেয়েটার। শ্বাশুড়ির দিকে তাকিয়ে মৃদু কণ্ঠে বললেন, ” আমার বাবা আজই প্রথম আসছে মা। তাও আপনার সহ্য হলো না।”
শিখা শ্বাশুড়ির উওরের অপেক্ষা করলো না। ছুটে গেলো বাবা-বোনের কাছে।মেয়ের পড়নে দামী শাড়ী, গহনা দেখে পরাণ জুড়ালো বাবা’র। মেয়ে তার সুখেই আছে স্বামীর সংসারে। কত সুন্দর লাগছে তার মেয়েটাকে। দু’হাতে মেয়ে’কে বুকে আগলে নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কেমন আছিস আম্মা?”
শিখা সব চেপে একগাল হেসে বললেন, “ভীষণ ভালো আছি আব্বা।”
স্বঃস্তি শ্বাস ছাড়লো বাবা। শিখা খেয়াল করলো, বাবা-বোনের মুখ শুকনো। নিশ্চয়ই তারা কিছু খায়নি। শিখা টেবিলে খাবার দিলো। কিন্তু খেলো না বাবা।এক গাল হেসে বললেন, ” আমরা খেয়ে আসছি মা।”
বাবা আর দাঁড়ালো না। ছোট্ট মেয়েটার হাত চেপে বেরিয়ে গেলো। শিখা বাবার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বললো,
“বাবা তুমি তোমার মেয়েকে বড় ঘর দেখে বিয়ে দিলে। কিন্তু, এ ঘরে যে তোমার মেয়ের সম্মান নেই,তোমার কোনো দাম নেই। এই বড়ঘরে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে বাবা। এর চেয়ে আমি তোমার ভা’ঙা কুটিরেই সুখে ছিলাম। এই ঘর কি আমায় আদৌও সুখি করতে পারবে বাবা?”
.
.
বিয়ের পনেরো দিন যেতে না যেতেই সব কাজের দায়িত্ব চাপলো তার উপর। বয়স কম, এতো বড় সংসার সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মেয়েটা। শ্বশুর বাড়ি পা রাখতেই যেন বড় হয়ে গেলো সে। সবার আগে হারিয়ে ফেলছে তার চঞ্চল তা! এখন অবুঝ কন্যা বুঝতে শিখেছে কতকিছু! এতো বড় ঘরও তাকে সুখী করতে পারলো না। সুখের এতো দাম! স্বামী নামক লোকটা দিয়েও তার ভাগ্যে সুখ দেয়নি বিধাতা। মানুষটা যে পুরোপুরিই মা ভক্ত। কোনটা অন্যায়, কোনটা সঠিক, এ যেন চোখেই পড়ে না তার। তবে রাত হলেই শরীর ছোঁয়ার নাম করে, মেয়েটাকে একটু হলেও ছুঁয়ে দেয় আযান। ইতিহাস সাক্ষী, স্ত্রীর প্রতি দায়িত্বহীন পুরুষ দিয়ে কোনো মেয়ে আজ অবধি সংসারে সুখী হয়নি।
তবুও মেয়েটা হন্যে হয়ে একটু খানি সুখ খুঁজছে, খুঁজে যাচ্ছে তাদের ভালোবাসা। মস্তিষ্কের মাঝে গেঁথে নিলো, “শ্বাশুড়ির মন জয় করতে পারলেই তার স্বামী তাকেও ভালোবাসবে।”
এই বাক্যটা মেনে নিয়ে, যথারীতি চেষ্টা করছে সবকিছু সামলাতে। রাত দিন এক করে নিজের হাতে তুলে নিয়েছে এই সংসারকে। তবুও কেন জানি এই সংসারে অবহেলিত মেয়েটাই শিখা। এ বাড়িতে তাকে কেউ বউ করে আনেনি যেন, এনেছে কাজের মেয়ে। যার কোনো ক্লান্তি নেই, নেই কোন অবসর।
চলবে……
#সূচনা_পর্ব
#মুক্তির_স্বাদ
লেখনীতে ঃ #সুমাইয়া_আফরিন_ঐশী
(বিঃদ্রঃ ছোট্ট একটি গল্প হবে এটা, সবাই রেসপন্স করবেন। ইনবক্সে চিঠি আকারে গল্পটি পাঠিয়েছে এক বোন। আমি শুধু নিজের মতো সাজিয়ে নিচ্ছি। আর উনি নিজের সংসারের কথা বিবেচনা করে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।)