মায়াবতী পর্ব ৪৫+৪৬

0
847

#মায়াবতী
#পর্ব: ৪৫
#তানিশা সুলতানা

সাগরের সুস্থ হতে সময় লাগে এক মাস। অথৈদের বাড়িতে ছিলো পাঁচ দিন। তারপরই বাড়ি চলে গেছে। অথৈকে সাথে আনে নি। সাগরের পড়ালেখা শেষ হলে ধুমধাম করে অনুষ্ঠান করে নিয়ে যাবে বাড়িতে। ততদিন তাদের আলাদা থাকতে হবে। অথৈয়ের মানতে কষ্ট হচ্ছিলো। কিন্তু সাগর কিছুই বলে নি।

দুই মাস হয়ে গেছে তারা আলাদা। সাগর কখনো নিজে থেকে অথৈকে কলও করে নি। অথৈ মাঝেমধ্যে কল করে তখন সাগর কল কেটে ব্যাক করে। এভাবেই এগোচ্ছে জীবন। মাঝেমধ্যে অথৈয়ের ভীষণ খারাপ লাগে। একটু তো খোঁজ নিতে পারে। একটু তো কথা বলতে পারে অথৈয়ের সাথে।

কাল অথৈয়ের জন্মদিন। অথৈয়ের খুব ইচ্ছে সাগর তাকে সবার আগে Wish করুক। কিন্তু অথৈ জানে সাগর করবে না। যে ঠিকমতো খবরটাই নেয় না সে আবার বার্থডে উইস করবে। জীবনে সব থেকে বড় ভুলটা মনে হয় অথৈ করেছে। সম্পর্কে ভালোবাসা না থাকলে সেই সম্পর্ক কেমন একটা স্বাদহীন লাগে। আগে মনে হতো সাগরের থেকে ভালোবাসা না পেলো সারাক্ষণ সাথে থাকতে পারলেই হলো। কিন্তু এখন মনে হয় জীবনে ভালোবাসাটাই ইমপটেন্ট। সাথে না থাকলেও চলে।

এই ভুল এক জীবনে আর শুধরানো যাবে না। অথৈ কখনোই ভালো থাকতে পারবে না। জীবনের সুখটা হারিয়ে গেছে। এখন অথৈ হাসতেও ভুলে গেছে। ডিপ্রেশন, মন খারাপ এসব চারদিক থেকে আকড়ে ধরেছে।
আর কতোটা ছোট হলে একটা মানুষের মন পাওয়া যায়?
কতোটা অপমানিত হলে একটা মানুষের হৃদয় স্পর্শ করা যায়?
কতোটা বেহায়াপনা করলে একটা মানুষের একটুখানি ভালোবাসা পাওয়া যায়?

অথৈ ইদানীং আল্লাহ কাছে প্রার্থনা করে যাতে সাগরের মনে তার জন্য একটুখানি ভালোবাসা জন্ম নেয়।

অথৈ জানালার গ্রিল ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে গোধুলি দেখছিলো। আর ভাবছিলো সাগরের কথা। গতকাল আর্থি বললো অথৈকে।

“সবটা তন্নির জন্য। কি আছে তন্নির মধ্যে? তন্নি মেলামেশা করেছে তাই এখনো ভুলতে পারছে না। তুই তন্নিকে সাফ সাফ বলে দিবি সাগরের আশেপাশে যেনো না আসে।

আরও অনেক কিছুই বলেছে। অথৈ আর্থিকে তার পাল্টা জবাব দিয়েছিলো
” আমার তন্নিকে কিছু বলিস না। আমার তন্নি খুব সহজ শরল। তার কোনো দোষ নেই। সে প্রতিবাদ করতে জানে না।

আর্থি অবাক হয়েছিলো। সে নিজেও তন্নিকে খুব ভালোবাসে। কথাগুলো বলেছিলো শুধুমাত্র অথৈয়ের মন দেখতে। কি বলে সে। কিন্তু অথৈ খাঁটি সোনা। অথৈয়ের ভালোবাসায় কোনো খাঁদ নাই। সে মন প্রাণ উড়ার করে ভালোবাসে তন্নিকে। তন্নি ভীষণ লাকী। তিনটা মানুষ তাকে এতোটা ভালোবাসে।

অথৈয়ের ফোন বেজে ওঠে। জানে তন্নি কল করেছে। অথৈ ফোনে স্কিনে তাকিয়ে মুচকি হাসে। তারপর কল রিসিভ করে
“হ্যাঁ জান বল
” সাগর ভাই ঠিক রাত বারোটায় তোকে কল করে উইস করবে।
অথৈ মুচকি হাসে। এই মেয়েটা তার নিঃশ্বাসের শব্দ শুনলেও বলে দিতে পারবে কি হয়েছে৷
“তুই মিলিয়ে নিস অথৈ। সাগর ভাই তোকে সারপ্রাইজ দিবেই দিবে।
” আমার মন ঠিক আছে।
“তোর থেকেও বেশি আমি তোকে চিনি৷ মন খারাপ করিস না। অথৈ ধৈর্যের ফল মিষ্টি হয়।
” হুমম
“হুমম কি?
” উনি কল করবে।
“হ্যাঁ
” তুই আসবি তো আমাদের বাড়িতে?

তন্নির হাসি মুখটা চুপসে যায়। দীর্ঘ শ্বাস ফেলে সে
“না
” কেক কাটবো না আমি।
“কেনো অথৈ?
” তোকে ছাড়া আমি কখনোই কেক কাটতে পারবো না।

বলেই অথৈ কল কেটে দেয়। তন্নির খারাপ লাগে। কিন্তু সে কি করবে?
সে যে নিরুপায়।
তখনই আবার অথৈয়ের ফোন বেজে ওঠে। ফোনের স্কিনে তাকিয়ে অবাক হয়ে যায় অথৈ। হাত পা কাঁপতে থাকে। সাগর কল করেছে৷ অথৈ কতো ভেবেছে সাগর বুঝি এখন কল করবে কিন্তু করে নাই৷ বিয়ের পর এই প্রথমবার কল করলো। অথৈয়ের গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। সে জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে কাঁপা-কাঁপি হাতে কল রিসিভ করে।
“কেমন আছো অথৈ?

অথৈয়ের হার্টবিট বাড়ানোর জন্য এইটুকুই ছিলো যথেষ্ট। তার সাগর তার খোঁজ নিচ্ছে?
শুকনো ঢোক গিলে অথৈ বলে
” ভালো আছি
আপনি
“এখন আর কল করো না যে?
” আপনি বিরক্ত হন কি না এটা ভেবে।
সাগর হাসে। সেই হাসির শব্দ অথৈয়ের কান পর্যন্ত পৌছায়।
মানুষ সৌন্দর্যের কথা বলে অথৈয়ের তো সাগরের ভয়েস শুনলেই কলিজা ঠান্ডা হয়ে যায়”

সাগর আবার বলে ওঠে
“আমি তোমার কলের অপেক্ষায় থাকি।
খুশিতে অথৈয়ের চোখ দুটো চিকচিক করে ওঠে। সে একটু জোরেই বলে ওঠে
” সত্যি?
সাগর জবাব দেয় না। অথৈ বলে ওঠে
“কাল আমার বার্থডে। আপনি আমাকে সবার আগে উইস করবেন প্লিজ?
” কাল তোমার বার্থডে?
“হ্যাঁ করবেন তো?
” তাই না কি?
“তাই না কি আবার কি? করবেন বলেন।
” দেখা যাক।
পড়তে বসো।

বলেই সাগর কল কেটে দেয়। অথৈ ফোনটা বুকে জড়িয়ে মুচকি হাসে।

_
অফিস থেকে ক্লান্ত শরীরে বাড়িতে ফেরে অর্ণব। ঘেমে নেয়ে একাকার। গাড়িতে এসি আছে। কিন্তু গাড়িটা মাঝরাস্তায় নষ্ট হওয়াতে বাসে করে বাসায় ফিরতে হয়েছে তাকে। অথৈয়ের জন্য দুই হাত ভর্তি গিফট এনেছে।
দুই মাস হবে তার অফিসে জয়েনের। নিজে পরিশ্রম করার পর থেকে তার চঞ্চলতা কমে গেছে। এতো খাটনি? সারাজীবন বাবা এতো কষ্ট করেছে?
তন্নির সাথে শেষ দেখা হয়েছিলো অথৈয়ের বিয়ের দিন। তারপর থেকে আর দেখা করা হয় নি। কথাও হয় না তেমন। সারাদিনের এতো খাটনির পর আর এনার্জি থাকে না কথা বলার। তবুও দিনে কয়েকবার কল করে কেমন আছো কি করছো খবর নিতে ভুলে না।

আশা ছেলের জন্য লেবুর শরবত নিয়ে আসে। অর্ণব ফ্রেশ না হয়েই বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছিলো মা কে দেখে উঠে বসে।
আশা চুপচাপ শরবত হাতে দিয়ে চলে যায়। ইদানীং আশা অর্ণবের সাথে ভালো করে কথা বলে না। অর্ণবও বেশি বিরক্ত করে না।

আশা চলে যেতেই তন্নি কল করে। অর্ণব মুচকি হেসে কল রিসিভ করে।
তন্নি বলে ওঠে
“আমি কলেজের রাস্তায় অপেক্ষা করছি। চলে আসুন।

বলেই কল কেটে দেয়।
অর্ণবের ভীষণ খিধে পেয়েছে। লান্স করা হয় নি। ভেবেছিলো বাসায় ফিরে খাবে। মহারানীর জরুরি তলব যেতেই হবে। এক চুমুকে শরবত শেষ করে যেমন ছিলো তেমন ভাবেই আবার ছুটে তন্নির কাছে। গাড়ি নষ্ট থাকায় রিকশা নিয়েই চলে যায়। আজকের গরমটা অনেকটা বেশি। গাছের একটা পাতা পর্যন্ত নরছে না।
তন্নি দাঁড়িয়ে ছিলো। আজকে মেয়েটা শাড়ি পড়েছে। সেই শাড়িটা যেটা অর্ণব তাকে কিনে দিয়েছিলো। এবং সেই শাড়িতে দেখে প্রেমে পড়েছিলো। কিন্তু তন্নির মুখটা ফ্যাকাশে। কি হয়েছে তার? কেউ কিছু বলেছে?

এসব ভাবতে ভাবতে রিকশা থেকে নামতে যায় অর্ণব। আর তখনই

চলবে

#মায়াবতী
#পর্ব:৪৬
#তানিশা সুলতানা

রিকশা থেকে নামতে গিয়ে হোঁচট খায় অর্ণব। একদম বুক কেঁপে ওঠে তার। পড়তে গিয়ে বেঁচে যায়।
রিকশা মামা পেছন তাকিয়ে বলে
“দেইখা নামেন।

অর্ণব ওনার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে। তারপর টাকা দিয়ে তন্নির দিকে এগিয়ে যায়।
তন্নি বসে ছিলো অর্ণবকে দেখে দাঁড়িয়ে যায়।
অর্ণবের সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। মনটা শান্ত হয়ে যায়। এই মেয়েটার তার ভালো থাকার মেডিসিন।
তন্নি এগিয়ে এসে অর্ণবের মুখোমুখি দাঁড়ায়। গোড়ালি উঁচু করে আঁচল দিয়ে অর্ণবের মুখের ঘাম মুছিয়ে দেয়।
” কেমন আছেন?
অর্ণব তন্নির দুই গালে হাত দিয়ে মুখটা ভালো করে দেখে উওর দেয়
“আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তুমি?
” আমিও ভালো
আসুন বসি

অর্ণবের হাত ধরে গাছের জড়ের উপর বসে।
“আর্জেন্ট আসতে বললা যে?
” অনেক দিন দেখা হয় না। আজকে খুব করে দেখতে ইচ্ছে হলো।

অর্ণব তন্নির মাথাটা নিজের কাঁধে রাখে। এটা সে সব সময়ই করে। তন্নিরও অর্ণবের কাঁধে মাথা রাখতে খুব ভালো লাগে। এখানেই সুখ খুঁজে পায়।
“আমার অনির মাম্মা তো শুধুমাত্র দেখার জন্য কখনোই আমাকে ডাকবে না।

তন্নি মুচকি হাসে। একটু বেশিই বুঝে মানুষটা তাকে।
” বাবা আসছে ৪ তারিখ।

অর্ণব চমকে ওঠে। বড়বড় চোখ করে তাকায় তন্নির দিকে
“সিরিয়াসলি?

তন্নি মুচকি হেসে বলে
” হুমম
“এতো দ্রুত চলে আসবে ভাবতেই পারি নি। যাক ফাইনালি পার্মানেন্টলি পেতে যাচ্ছি তোমায়।
দুজনের চোখে মুখে খুশির ঝলক। প্রিয় মানুষটাকে চিরতরে পাওয়ার আনন্দে দুজনই আত্মহারা। অপেক্ষার প্রহর যে ভয়ংকর খারাপ।
ভালোবাসার পূর্ণতা পাওয়ার আনন্দ অন্য রকম। প্রিয় মানুষ সারাজীবন পাশে থাকবে এর থেকে সুখের আর কিছু হতেই পারে না।

__

রাত এগারোটা বাজে। অথৈ ঘুমিয়ে পড়বে কি না ভাবছে। বেশ খানিকক্ষণ ফেসবুক ঘাটাঘাটি করেছে। সাগর অনলাইনে। তার নামের পাশে সবুজ বাতি জ্বলছে। কিন্তু অথৈকে একটা মেসেজ দিচ্ছে না। দশটার দিকে একটা পিক আপলোড করেছে। সেখানে কতোজন কতো রকম কমেন্ট করছে। তাদের কমেন্টের রিপ্লাই দিচ্ছে।
অথচ অথৈকে একটা মেসেজ দেওয়ার সময় নাই তার।
তাচ্ছিল্য হাসে অথৈ। ফোন বালিশের পাশে রেখে চোখ বন্ধ করে ফেলে।
বাবা মা ভাই বোন সবাইকে পইপই করে বলে দিয়েছে তাকে উইস না করতে।
দরজাটাও লক করে রেখেছে।
সাগরকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে চোখ লেগে যায় অথৈ। ঘুমায় পাশে ফোনের শব্দে। খানিকটা বিরক্ত হয় অথৈ। এতো রাতে আবার কে?
কিন্তু ফোনের স্কিনে তাকাতেই ঘুম আর বিরক্তও ছুটে যায়। সাগর কল করেছে?
তারাহুরো করে কল রিসিভ করে অথৈ।
সাগর বলে ওঠে
” হ্যাপি বার্থডে অথৈ
খুশিতে অথৈয়ের চোখে পানি চলে আসে। তার সাগর তাকে উইস করেছে? ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে ঠিক ঠিক বারোটা বাজে। সবার আগে সাগর উইস করলো।

অথৈয়ের কোনো প্রতিক্রিয়া না পেয়ে সাগর আবারও বলে ওঠে
“অথৈ শুনছো?
অথৈ চোখের পানি মুছে নেয়। ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটিয়ে অথৈ বলে
” থ্যাংক ইউ
“খুশি হও নি?
অথৈ নাক টেনে বলে।
” আপনি আমার সাথে একটু কথা বললেই আমি খুশি হয়ে যাই। আর তো আমার জন্মদিনে সবার আগে শুভেচ্ছা জানালেন। খুব খুশি আমি।
“সর্দি হয়েছে?
” না না
“তাহলে নাক টানছো।
অথৈ কি জবাব দিবে বুঝতে পারছে না। চোখে পানি চলে এসেছিলো এটা বলবে? কি ভাববে সাগর?
না বলাই যাবে না।
” হ্যাঁ ঠান্ডা লেগেছে।
সাগর শব্দ করে হেসে ওঠে। অথৈ সেই হাসির শব্দ কান পেতে শুনতে থাকে। এতো বেশি কেনো ভালো লাগে?
“কাল কলেজে আসবা?
” হ্যাঁ যাবো
“কয়টায়?
” বারোটায়।
“আমায় ট্রিট দিবা না কাল?
” ঠিক আছে দিবো।
“ওকে
সময় পেলে কালকে তোমার থেকে ট্রিট নিবো।
এখন ঘুমিয়ে পড়ো। গুড নাইট

সাগর কল কেটে দেয়। অথৈ ফোনটা বুকে জড়িয়ে হেসে ফেলে। এতো সুখ কপালে লিখা ছিলো? এতো খুশি জীবনে কখনো হয় নি অথৈ।

ঘুম কি আর হবে অথৈয়ের? সে তো তার সাগরের কথাই ভাবতে থাকবে। কল্পনা করতে থাকবে কাল কি কি হবে। ভাবতে থাকবে কোন জামাটা পড়ে যাবে? সাগরের সাথে কিভাবে কথা বলবে? একটা কাপল পিক তোলার আবদার করবে কি? সাগর কি কিছু গিফট দিবে অথৈকে?
ভালো করে দুটো কথা বলবে?

তখন আবারও ফোন বেজে ওঠে অথৈয়ের। তন্নি কল করেছে। অথৈ মুচকি হেসে তন্নির কল রিসিভ করে। বেশ খানিকক্ষণ কথা বলে দুজন।
তারপর ঘুমতে যাবে তখনই দরজায় কড়া নরে। অথৈ জানে তার ভাই বোন এসেছে। তাকে কেক কাটাবে।
অথৈ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে লাইট জ্বালিয়ে দরজা খুলে দেয়। আর্থি অর্ণব আশা আর আনোয়ার চারজন এক সাথে হ্যাপি বার্থডে বলে ওঠে। জড়িয়ে ধরে অথৈকে। আনোয়ারের হাতে চকলেট কেক। অথৈয়ের প্রিয়।
অথৈ বলেই দিছে সে কেক কাটবে না। তাই অর্ণব কেক খানিকটা তুলে অথৈয়ের মুখের সামনে ধরে বলে
” কেক কাটবি না ইটস ওকে
খেতে তো পবলেম নাই।

অথৈ মুচকি হেসে খেয়ে নেয়।

__

আশা বেগমের আচরণ ইদানীং কেমন অদ্ভুত লাগে। সে ছেলেমেয়েদের সাথে ভালো করে কথা বলে না। আনোয়ারের সাথেও তেমন কথা বলে না। ঠিকঠাক ভাবে কোনো কাজ করে না। সারাক্ষণ কিছু একটা ভাবতে থাকে। কারো সাথে সেই ভাবনাটা শেয়ারও করে না।
রান্না করছিলো আশা বেগম। তখন তার ফোন বেজে ওঠে। চমকে ওঠেন তিনি। অর্ণব ডাইনিং টেবিলে বসে মায়ের হাবভাব বুঝতেছিলো। এমন কেনো করছে?
ফোনটা হাতে নিতেই কেমন মুখটা চুপসে যায় আশা বেগমের।
অর্ণব কিছু একটা আন্দাজ করে বাঁকা হাসে।

অথৈ গোলাপি একটা থ্রি পিছ পড়ে নেয়। খুব বেশি সাজুগুজু করে না। কারণ সকাল বেলায় তার মনটা ভেঙে যায়। কারণ সাগর অনলাইনে নেই। সে কি আসবে না?
আজকে অথৈয়ের ক্লাস নাই। শুধুমাত্র সাগরের জন্যই যাবে। নেই বললে কখনোই সাগর আসতে চাইতো না।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here