#মন_ময়ূরী
#Tahmina_Akther
৯.
ঘড়িতে তখন সময় বেলা বারোটা। তপ্ত দুপুরের গরম আভাসে কিঞ্চিৎ ঘামছে খেয়া।ঢাকার কোনো এক রাস্তার পাশে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী ছাউনির নিচে বসে আছে।
মাথায় বড় করে ঘোমটা দেয়া, মুখে মাস্ক লাগানো।নয়তো, যে কারোই খেয়াকে চিনতে অসুবিধা হতো না যে ও নায়ক ফায়েজ চৌধুরীর বাগদত্তা।
খেয়া একমনে তাকিয়ে আছে সামনের রাস্তার দিকে। যে কেউ দেখলে ভাববে, মেয়েটা বোধহয় চলন্ত গাড়িগুলোর দিকে তাকিয়ে আছে।
তবে, আসল কথা হলো, খেয়া ভাবছে অন্যকথা।ওর বন্ধুদের কথা, রওশানের কথা৷ কেন রওশান এমন করছে!যদি তাকে ভালোবাসতো তবে এতদিন কেন বলেনি! আজ যখন সবাই জেনে গেছে খেয়া অন্যকারো বাগদত্তা, তখন কেন আকুতি, জলভরা টলমলে চোখ নিয়ে ভালোবাসার আহ্বান নিয়ে তার দাঁড় গড়ায় এসে দাঁড়ালো রওশান।
এইসব প্রশ্নের উত্তর না খেয়া জানে আর না জানে রওশান। শুধুমাত্র জানে এই পুরো দুনিয়া,মানুষ,সাত-আসমানের অধিপতি।
হুট করে মোবাইল বেজে উঠলো। খেয়া মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলো তার বাবা কল করেছে। নিজেকে যথাসম্ভব স্বাভাবিক রেখে কল রিসিভ করলো।
-হ্যালো, বাবা?
-তুই কোথায়, খেয়া?
-তুমি বাবার মোবাইল দিয়ে কল করেছো কেন, মা?
-তুই কি আমার কল রিসিভ করতি?এখন শোন জলদি বাড়িতে ফিরে আয়। আর যার জন্য আসতে চাইছিস না সে আজ আসবে না।শুধুমাত্র মাহমুদ ভাই আর রেহনুমা ভাবি আসবে।
-আচ্ছা, আসছি আমি।
খেয়া কল কেটে দিলো। এরপর ধীরপায়ে হেঁটে রাস্তার ধারে গিয়ে একটি রিকশায় চড়ে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হলো।
-স্যার?
ফায়েজ তখন স্ক্রীপ্ট মুখস্থ করছিল শুটিং সেটে বসে। জব্বারের কন্ঠ পেয়ে ফায়েজ মাথা উচু করে বললো,
-দেখো, জব্বার। তোমার আজাইরা আলাপ এখন শুনতে পারবো না আমি। পরে এসো একটু পর আমাকে খুবই গুরত্বপূর্ণ একটি শট দিতে হবে৷
কে শুনে কার কথা! জব্বার এসে ফায়েজের চেয়ারের পাশে দাঁড়িয়ে খুবই নিচুকন্ঠে বলে,
-স্যার, ভাবির খবর নিয়ে এসেছি। গতকাল রাতে পার্টিতে একটা ছেলে যে ভাবির চুলে হাত দিয়েছিল। সে হচ্ছে ভাবির ক্লাসমেট এবং খুব ভালো বন্ধু।
জব্বারের কথা শুনে ফায়েজ স্ক্রীপ্ট পড়া বন্ধ করে স্থীর হয়ে কাগজের দিকে তাকিয়ে রইলো।কাগজের দিকে নিজের দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে ফায়েজ জিজ্ঞেস করে,
-আর কিছু?
-স্যার, আমি গোপন সূত্রে খবর পেয়েছি। ভাবির বন্ধু রওশান, ভাবিকে ভালোবাসে তাও অনেক আগে থেকে। উনাদের ফ্রেন্ড সার্কেলের সবাই জানলেও ভাবি জানে না।
জব্বারের কথা শেষ হতেই ফায়েজ উঠে দাঁড়ায়। জব্বারের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ফায়েজ বলে,
-এই খবর আমি আজ সকালে পেয়েছি তাও তোমার জানার আগে এবং এটাও জেনেছি আজ সকালে তোমার ভাবিকে রওশান ছেলেটা নিজের ভালোবাসার কথা জানিয়েছে।
এতটুকু অংশ বলে ফায়েজ চলে গেলো তার সহকর্মী নওশিনের কাছে। আর জব্বার সে হা করে তাকিয়ে আছে ফায়েজের গমনের পথে। আর ভাবছে এই কথা,
-এখন কি ভাবি রওশানের ভালোবাসা গ্রহণ করবে না-কি স্যারের?
খেয়া বাড়িতে এসে দেখে ফায়েজের পরিবার এখনও আসেনি। খেয়া তার ব্যাগ সোফায় রেখে এগিয়ে যায় রান্নাঘরের দিকে যেখানে তার দাদি, মা আর তাদের গৃহকর্মীরা রান্না করছে।
-মা, কিছু আছে?
রেহনুমা তখন ফ্রুট সালাদের জন্য ফ্রুটস কাটছিল এমনসময় খেয়ার কন্ঠ পেয়ে হাত থেকে ছুড়ি রেখে হাসিমুখে এগিয়ে গেলেন খেয়ার দিকে।
নিজের মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে রেহনুমা খেয়াল করলো, খেয়ার মুখ শুকিয়ে আছে, মনে হচ্ছে মেয়েটা কোনোকিছু বেশ চিন্তায় আছে।
খেয়ার গালে হাত দিয়ে খেয়ার মা বলে,
-কিছু হয়েছে, খেয়া?
খেয়া অবাক হয়ে তার মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। সত্যিই,কি কিছু হয়েছে! তার চেহারায় কি প্রকাশ পাচ্ছে, হয়তো!না-কি, তার মা তার মনের অবস্থা বুঝতে পারছে! মা বুঝি এমনই হয়, সন্তানের মুখের দিকে তাকালে সন্তানের অন্তরের খবর এইভাবে বুঝে যায় মায়েরা।
-কিছুই হয়নি মা। সকালে না খেয়ে ছিলাম তো তাই হয়তো।
-তুই যেয়ে গোসল সেড়ে আয়। একেবারে ভাত খাইয়ে দিব তোকে। সকালে তো চোরের মতো পালিয়ে গিয়েছিস বাড়ি থেকে।
খেয়া তার মা’কে জরিয়ে ধরলো। খেয়ার মা মেয়ের এহেন আচরণ দেখে ভীষণ অবাক হলেন।মেয়ের পিঠে হাত বুলিয়ে বলেন,
-কিছু বল আমাকে? কিছু হয়েছে? দেখ এখন কিন্তু আমার চিন্তা হচ্ছে।
-কিছুই হয়নি। এমনিতেই তোমায় জরিয়ে ধরতে ইচ্ছে হলো। আমি আবার আমার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেই,বুঝলে।
-হ্যা বুঝলাম। এখন যা।
খেয়ার মা মেয়ের কথায় হেসে ফেললেন আর কথাটি বলেন।
খেয়া তার মা’কে ছেড়ে দিয়ে সোফায় থেকে ব্যাগ নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উঠে তার রুমের দিকে চলে গেলো। আর খেয়ার মা চলে গেলেন রান্নাঘরে।
খেয়া গোসল সেড়ে আজ গোলাপি রঙের থ্রী-পিস পরে নিলো।জামা গোলাপি বর্নের আর পাজামা-ওড়না সাদা বর্নের।
লম্বা চুলগুলো হেয়ার ডায়ার দিয়ে শুকিয়ে নিয়েছে নয়তো এতবড় চুল শুকাতে বেশ সময়ের প্রয়োজন। চুলগুলো খোপা করে ক্লিপ দিয়ে আঁটকে রাখলো।
এরপর,নিচে এসে ডাইনিং টেবিলে বসতেই ওর মা এসে ভাত মাখিয়ে খাইয়ে দিলেন৷খাওয়া শেষ হতেই আবারও চলে গেলো ওর ঘরে। তবে যাওয়ার আগে বলে গিয়েছে, ও এখন ঘুমাবে কেউ যেন ওকে ডাক না দেয়।
খেয়া ঘরে এসে দরজা লক করে শুয়ে পড়লো। এত চাপের মধ্যেও আজ কেন যে এত ঘুম পাচ্ছে খেয়া জানে না। তবে আজ যে তার ঘুম খুব প্রয়োজন এটা সে বুঝতে পেরেছে।
দুপুর দু’টো বাজতেই ফায়েজের পরিবার চলে এলো খাঁন বাড়িতে।সবাই একে অপরের জড়িয়ে ধরলো।একে একে সবাই ড্রইংরুমে সোফায় বসে পড়লো।
গৃহকর্মীরা এসে বিভিন্ন রকমের ফ্রুটস,জুস, মিষ্টি এনে টেবিল ভর্তি করে ফেললো।ফায়েজের মা-বাবা দু’জনেই না করছে কোনো কিছু খাবে না কিন্তু খেয়ার মায়ের অনুরোধ আর না করতে পারলো না।
ততক্ষণে, খেয়ার দাদি চলে এসেছেন। ফায়েজের বাবা নিজের ফুফুকে এগিয়ে আসতে দেখে উঠে গিয়ে হাত ধরে সোফায় এনে বসিয়ে দিলো।
-কেমন আছেন ফুফু?
-ভালো আছি,মাহমুদ। তুই এবং বৌমা কেমন আছিস?
-আমরা দুজনে ভালো আছি। তা খেয়াকে দেখছি না যে, ও কি ভার্সিটিতে?
-না, ভাইজান খেয়া বাড়িতে আছে। আসলে খুব সকালে ভার্সিটিতে গিয়েছিল তাই এখন ঘুমাচ্ছে। গতকাল রাতেও নাকি দেরি করে ঘুমিয়েছে।
খেয়ার মা কথাগুলো বললেন। সব শুনে ফায়েজের মা বলে,
-আসলে, গতকাল পার্টিতে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে যা হয়েছে আমরা কেউই তা কাম্য করিনি। আমাদের খেয়া খুব সাহসী বলে এমন একটা পরিস্থিতি খুব সুন্দরভাবে হ্যান্ডেল করতে পেরেছে।
-জী, ভাবি। আসলে আমার ভুল হয়েছে। তবুও, আমার ভুল হোক বা অন্যকিছু কিন্তু ফায়েজ আমার খেয়ার জন্য পার্ফেক্ট। বাকি কথা পরে বলি এখন দুপুরের খাবার খেয়ে নিন। কম সময় তা আর হলো না।
খেয়ার বাবার কথায় সকলে সম্মতি জানিয়ে ডাইনিং টেবিলের দিকে এগিয়ে গেলো।
খাওয়া-দাওয়ার পর্ব শেষ হতেই৷ সবাই কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে বিয়ের দিন তারিখ নির্ধারণ করতে বসলো।
-ফায়েজের আগামী একবছর পর্যন্ত সব শিডিউল ফিক্সড করা। তাই বিয়েটা এই মাসের মধ্যে করাতে পারলে সবচেয়ে উত্তম। আর খেয়ারও নাকি তিনিমাস পর পরিক্ষা আছে?
ফায়েজের বাবার কথায় সম্মতি দিয়ে খেয়ার বাবা বলে,
-তাহলে আর দেরি কিসের, এই মাসের ১৬তারিখে তবে বিয়ের দিন ধার্য করা হোক৷
-আলহামদুলিল্লাহ।
সকলে একসাথে বলে উঠলো। খেয়ার মা উঠে এসে ফায়েজের মা’কে মিষ্টিমুখ করালো। একে একে খেয়ার দাদি সবাইকে মিষ্টিমুখ করালো।
-তাহলে,আজ চলি ফুফু। বুঝতেই পারছেন হাতে আর একসপ্তাহ আছে তাছাড়া আমার ফায়েজের বিয়ে বলে কথা। দোয়া করবেন আজ চলি।
সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাবার আগমুহূর্তে ফায়েজের মা দেখেন, খেয়া সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসছে। তাই তিনি হাসিমুখে সবাইকে পাশ কাটিয়ে খেয়ার কাছে গিয়ে বলেন,
-কেমন আছো,খেয়া?
-এই তো ভালো আছি,চাচি। আসলে আমি খুবই দুঃখিত আন্টি। হুট করে এত ঘুম আসবে?
-আমি বা তোমার চাচা কেউই কিছু মনে করিনি। আর মাত্র একসপ্তাহ এরপর থেকে তুমি আমার কাছে চলে আসবে। এরপর,তুমি আর আমি মিলে খুব আনন্দ করতে চাই, খেয়া।
ফায়েজের মায়ের কাছ থেকে একসপ্তাহের কথা শুনে কিছুটা দমে গেলো। তারমানে, আর একসপ্তাহ পর ও নায়ক ফায়েজের স্ত্রী হবে! যাকে কি না সে কোনো কারন ছাড়াই অপছন্দ করে ।
খেয়া সৌজন্যতা বজায় রাখতে হাসি বিনিময় করলো ফায়েজের মায়ের সাথে।খেয়া ফায়েজের বাবার সাথে দেখা করলো এরপর ফায়েজের বাবা-মা চলে গেলো।
উনারা চলে যেতেই খেয়ার মা খেয়াকে সবকিছু বলে। সবকিছু জানার পর খেয়া প্রতিউত্তরে কিছুই বলেনি।
রাত তখন সোয়া দুইটা,খেয়া গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। এমন সময় খেয়ার মোবাইল বেজে উঠলো। প্রথমবার কল বেজে কেটে গেছে। দ্বিতীয়বারের সময় খেয়ার ঘুম কিছুটা হালকা হলেই বুঝতে পারে ওর মোবাইলে কল আসছে। বালিশের নিচ থেকে মোবাইল নিয়ে কোনোমতে কল রিসিভ করে কানে লাগিয়ে বলে,
-হ্যালো,কে বলছেন?
-আপনার খুব অপছন্দের মানুষ বলছি।
খেয়া তড়াক করে শোয়া থেকে লাফিয়ে উঠলো। তারমানে ফায়েজ কল করেছে!
-আপনি এতরাতে কল করেছেন,কেন?
-শুনলাম, আপনার আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে এই মাসের ১৬ তারিখে। এই খবর শোনার পর আপনার কি রিয়েকশন, তা জানার জন্য কল করেছি।
-কেন গতকাল আংটি পড়ানোর সময় আমার রিয়াকশন দেখেননি। যদি দেখে থাকেন তাহলে বোঝার কথা যে এই বিয়ের ব্যাপারে আমার তেমন কোনো ফিলিং আসে না।
ফায়েজ ওপাশ থেকে ফোস করে নিঃশ্বাস ফেলে বলে,
-আমার একটা অনুরোধ আছে আপনার কাছে, রাখবেন খেয়া?
ফায়েজের অনুরোধের কথা শুনে খেয়া বলে,
-বলুন?
-একটিবার ভিডিও কল দিবেন।
ফায়েজের এই অনুরোধের স্বরে কিছু তো ছিল নয়তো খেয়ার হৃদয়ে কেমন যেন মূহুর্তের মাঝে ফাঁকা হয়ে গেলো।
-আপনাকে আমি ভিডিও কল দিতে যাবো কেন?
-যদি না দেন সমস্যা নেই। তাহলে এইভাবে সারারাত আমার সাথে মোবাইলে ঝগড়া করুন।
খেয়া পরলো মুসিবতে এখন কি করা যায় ভেবেই খেয়া ফায়েজকে বলে,
-আমি ভিডিও কল দিব তবে শর্ত হলো আপনি কোনো কথা বলতে পারবেন না কল চলাকালীন। আর সময়সীমা ৬০ সেকেন্ড।
-আচ্ছা, মানছি তোমার শর্ত। এবার তুমি কল করো।
খেয়া কল কেটে দিয়ে খাট থেকে নেমে আয়নার কাছে যেতে গিয়েও ফিরে এলো। এ কি করতে যাচ্ছিলো সে! ফায়েজের চৌধুরীর জন্য খেয়া এতরাতে আয়নার সামনে যাবে নো ওয়ে। আমি তো তাকে বলিনি আমাকে ভিডিও কল দিয়ে দেখেন। সেই তো বললো। আমি যেভাবে আছি ঠিক এইভাবে কল দিব।
খেয়া রুমের লাইট জ্বালিয়ে সর্বপ্রথম ওড়না দিয়ে নিজেকে খুব পরিপূর্ণ ভাবে ঢেকে নিলো। এরপর, কাঁপা হাতে ভিডিও কল দিলো।
রিং হতে না হতেই ওপাশ থেকে কল রিসিভ করলো ফায়েজ।ফায়েজ কল রিসিভ করেতেই তার মোবাইল স্ক্রীণে ভেসে উঠলো, খেয়ার ঘুমমাখা আদলখানি।উসকোখুসকো চুল, ফোলা ফোলা চোখ, ভালোই দেখাচ্ছে খেয়াকে।
ফায়েজ কল রিসিভ করার পর একটিবারের জন্য ফায়েজের দিকে তাকায়নি খেয়া,কিভাবে দেখবে হিটলার মশাই উনার ক্যামেরা অফ করে রেখেছে।
যদি ফায়েজ ক্যামেরা অন রাখতো তবে খেয়া বুঝতে পারতো কেউ তার এলোমেলো সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে গিয়েছে।
ফায়েজ যখন খেয়াকে দেখতে ব্যস্ত এমন সময় কল কেটে গেলো। ফায়েজ খেয়াকে আবারও কল করতেই খেয়া কল রিসিভ করে বলে,
-সময় একমিনিট শেষ নায়ক সাহেব।এখন আমি ঘুমাবো। আর একবারও কল করবেন না আপনি। যদি করেছেন তবে আমি আপনার সাথে আগামীকাল শপিংয়ে যাবো না।
খেয়া কল কেটে দিলো আর ফায়েজ আপনমনে হেঁসে উঠলো।
-খেয়া,এত রাগ কেন আপনার?
#চলবে