#মনের_অন্দরমহলে
#আনিশা_সাবিহা
পর্ব ৩৮
ফুল স্পিডে একটা কালো রঙের চকচকে গাড়ি যাচ্ছে জঙ্গলের ফাঁকা রাস্তা দিয়ে। তার পিছু পিছু আসছে আরেকটি গাড়ি। সামনের গাড়িটাকে ক্রমাগত পেছনে ফেলার চেষ্টা করে যাচ্ছে পেছনের গাড়িটা। সামনের গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসে থাকা বসে থাকা ব্যক্তিটি মৃদু হেঁসে দেখছে পেছনের গাড়ির কর্মকান্ড! তার কানে থাকা ব্লুটুথ দিয়ে কথা শুনছে আর মুচকি মুচকি হেঁসে গাড়ির স্পীড বাড়িয়ে দিল সে। জানালা খোলা থাকায় উড়তে লাগল সেই সুপুরুষটির জেল দিয়ে আঁটকে থাকা চুল! ঠোঁটে ঠোঁট টিপে ব্লুটুথে কথা শুনে বলল,
–“আমার বেস্টফ্রেন্ড যদি একবার এটা শোনে যে, দেশে ফিরে ওর সঙ্গে রেসিং না করে তোমার সঙ্গে কার রেসিং করছি। আর ওকে জানাইও নি দেশে আসার কথা তাহলে সে মেরেই আহত করে ফেলবে আমাকে।”
ব্লুটুথের ওপরপাশ থেকে একটা মেয়েলি কন্ঠ ভেসে এলো।
–“দেশে ফিরতে না ফিরতেই তো হসপিটালে জয়েন্ট করেছো। রেস করতেই যতো প্রবলেম?”
–“আসলে না। এতো তাড়াতাড়ি হসপিটালে জয়েন করার ইটেনশন ছিল না আমার। মা-বাবা জেদ ধরেছে যে আমায় এবার বিয়ে করতে হবে। তাই তাড়াতাড়ি যেন নিজের প্র্যাক্টিস শুরু করি। তাই তো বেস্টফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখাও হলো না। কি ভাগ্য আমার!”
বলেই নিজের হাসি প্রসারিত করে স্পীড একটু কমিয়ে দিল রুদ্র। পেছনের গাড়িটা তার পাশাপাশি এলো। তৎক্ষনাৎ নিজের হাসিটা বজায় রেখে ডান হাতে থাকা মোটা কালো বেল্টের ঘড়ি জানালা দিয়ে দেখালো পাশের গাড়িতে থাকা ড্রাইভিং সিটের মেয়েটিকে। তারপর আবারও গাড়ির স্পীড বাড়িয়ে সামনের লাইট জ্বালিয়ে চলে গেল। মেয়েটি শত চেষ্টা করেও রুদ্রকে অতিক্রম করতে পারল না।
রুদ্র কিছুক্ষণ ড্রাইভ করতে করতে আচমকা হেডলাইট দিয়ে সামনে বেশ কয়েকটা ছেলের দল দেখে হাসিটা মিইয়ে গেল। কপালে পড়ল বেশ কয়েকটা ভাঁজ। বিড়বিড়িয়ে বলল,
–“কি হচ্ছে ওখানে?”
রুদ্র জোরে জোরে গাড়ির হর্ন দেওয়াতে ছেলেগুলো কেমন জানি তাড়াহুড়ো করে পালিয়ে গেল জঙ্গলের ভেতর। সেটা রুদ্রের সুবিধার লাগল না। ভ্রু কুঁচকে তাকালো সামনে। আবছা কিছু দেখা যাচ্ছে। হলুদ আলোতে আস্তে আস্তে স্পষ্ট হয়ে উঠছে পড়ে থাকা একটা মানুষের দেহ। চোখ বড় বড় করে গাড়ির ব্রেক চাপে রুদ্র। বেশ কিছুদূর গাড়ি গিয়েই থেমে যায়। রুদ্রের মনে প্রশ্ন জাগে, ‘আঁধার রাতে কি ওই মেয়েটার সর্বনাশ করতে এসেছিল ছেলেগুলো?’
ভাবতেই লোম শিউরে ওঠে তার। সিটবেল্ট খুলে গাড়ি থেকে দ্রুত নামতে নামতে ঘৃণা নিয়ে বলল,
–“দেশটা কি কখনোই পাল্টাবে না?”
গাড়ি থেকে নেমে একপ্রকার ছুটে পড়ে থাকা মেয়েটির কাছে আসে রুদ্র। আশেপাশে রক্তের যেন নদী তৈরি হয়ে গেছে। মেয়েটা কাঁত হয়ে পড়ে আছে। চাঁদের আলোতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে মেয়েটার সাজ। সোনালী বর্ণের পোশাকে ঝকঝক করছে মেয়েটির রুপ! কালো চুলের ওপর কাপড় দেওয়া। বেশ কিছু চুল এসে পড়েছে তার মুখে। রুদ্রের চোখ যায় মেয়েটির ডান হাতের দিকে। যেখান থেকে গড়গড়িয়ে রক্ত পড়ে যাচ্ছে। সে এসব দেখে ভয়ার্ত স্বরে বলে,
–“ওহ নো! মনে তো হচ্ছে শিরা কেটে ফেলেছে।”
হাঁটু গেঁড়ে বসে পড়ে রুদ্র। ঠোঁটজোড়া ইতিমধ্যে শুঁকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে মেয়েটির ভয়ানক অবস্থা দেখে। কাঁপা কাঁপা হাতে মেয়েটিকে সোজা করতেই চুলগুলো সরে গেল তার মুখশ্রী থেকে। ছিটেফোঁটা রক্ত লেগে থাকা মুখ। ফ্যাকাশে মুখ খানাতেই ভয়ঙ্কর মায়া! চাঁদের আলোর ঝলকানিতে ফ্যাকাশে মুখেও অদ্ভুত সৌন্দর্য প্রত্যাখান করতে পারে না রুদ্র। তবুও নিজেকে সামলে অল্পবয়সী মেয়েটার হাতের দিকে তাকায়। রক্ত ঝরছে এখনো। দ্রুত নিজের পকেট থেকে সাদা বর্ণের রুমাল বের করে চেপে ধরে হাতে।
সাদা রুমাল মূহুর্তেই লাল বর্ণ ধারণ করে। রুদ্র ভেবে পাচ্ছে না সে কি করবে। দ্রুত মেয়েটার বাম হাতে ধরতেই আবারও আঁতকে ওঠে। এখনো তার হাতে চেপে ধরে রাখা ছুরি। ছুরিতে রক্ত লেগে আছে। কোনোমতে ছুরিটা ফেলে দেয় রুদ্র। তার বাম হাতের তালুও ক্ষত-বিক্ষত হয়ে রয়েছে। তবুও যে রক্তাক্ত হাতটা ধরে মেয়েটির পার্লস চেক করল। তখনই তার মনে প্রশান্তির ঢেউ বয়ে গেল। ঢক গিলে বলল,
–“ও বেঁচে আছে। পার্লস চলছে। কিন্তু খুব ধীরে। এভাবে ব্লিডিং হলে ও বাঁচবে না।”
–“ও মাই গড! হু ইজ দ্যা গার্ল?”
পেছন ফিরে তাকায় রুদ্র। তার গভীর চোখে অচেনা মেয়েটির জন্য আকুলতা! সিয়া ভয়ার্ত চোখে মেয়েটিকে দেখছে। সিয়া ও রুদ্র একই হসপিটালের প্র্যাক্টিসিং ডক্টর। রুদ্র নতুন এলেও কয়েকদিনেই বেশ ভাব হয়েছে তাদের। সিয়া মনে মনে রুদ্রকে পছন্দ করলেও প্রকাশ করতে পারে না। রুদ্র সেটা বুঝতে পারলে তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। তবুও মেয়েটা নাছোড়বান্দা!
–“আই ডোন্ট নো। কিন্তু ও বেঁচে আছে। আর শিরা একটুখানি কেটেছে মনে হচ্ছে। এভাবে ব্লিডিং হতে থাকলে বাঁচানো যাবে না। এজ সুন এজ আমাদের হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে তাকে।”
সিয়াকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই মেয়েটিকে দুহাত দিয়ে দ্রুত কোলে তুলে নেয় রুদ্র। ছুটে যায় নিজের গাড়ির দিকে। সিয়া কিছুটা অবাক হয়েই রুদ্রের কান্ড দেখে সেও এগিয়ে যায়।
আয়াশের আহত হওয়ার খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ল। তার অপারেশনের প্রস্তুতি দেরি হওয়াই সকলে সন্দেহ করল। আবার হঠাৎ করেই অপারেশন শুরু হলো তার। অপারেশনের সব টাকা জমা দিয়ে ও ফর্মালিটি পূরণ করে রিসেপশন থেকে ফিরে আসে অর্ক। তার মুখে চিন্তার ছাপ। কপালে কয়েকটা দৃঢ় ভাঁজ পড়েছে। অপারেশন থিয়েটারের দিকে আসতেই খেয়াল করে অর্ক তার বাবাকে। সিটে চোখ বন্ধ করে বসে আছেন আজীম সাহেব অর্থাৎ অর্কের বাবা।
অর্ককে আসতে দেখে আজীম সাহেব চিন্তিত হয়ে প্রশ্ন করেন,
–“আয়াশের অপারেশন তো শুরু হলো অর্ক। কিন্তু আমার আনিশা মা কোথায়? ওকে কেন পাচ্ছি না?”
–“জানি না বাবা। আনিশা হসপিটালেই নেই। থাকলে আয়াশের কাছেই থাকত। ওর ফোনেও কল করেছি। বার বার বন্ধ বলছে। কি হচ্ছে কিছুই মাথায় আসছে না।”
–“ওর আবার কিছু হয়ে গেলো না তো? আয়াশের অবস্থাও ঠিক নয়। শুনলাম টাকার জন্য ওর অপারেশনই আঁটকে ছিল। আমি তো ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে জমা দিতে হলো। আমার কাছেও তো বেশি টাকা পয়সা নেই। কিন্তু আমার আনিশাকে না দেখে আমার চোখ শান্তি পাচ্ছে না। মাহমুদ আর হেমাকে তো আসতে বলে দিলাম। কিন্তু ওরা যদি মেয়েটাকে না দেখতে পারে কি হতে পারে ভাবছিস?”
অর্ক দীর্ঘ নিশ্বাস নিয়ে অপারেশন থিয়েটারের দিকে তাকালো। মাথা নাড়িয়ে বলল,
–“আনিশার কথা বলতে পারছি না বাবা। হঠাৎ করেই এসব হলো আর আনিশা কিছু কেন জানালো না?”
–“সেটাই তো! আমার খুব চিন্তা হচ্ছে। ওকে খোঁজার তো চেষ্টা কর।”
কাতর হয়ে বললেন আজীম সাহেব। অর্ক প্রতিত্তোরে কিছুই বলল না। কি বলবে সে? আনিশা কোথায়?
আধঘন্টা যাবার পরেই করিডোর দিয়ে মিসেস. মালিহাকে আসতে দেখতে পায় অর্ক। আস্তে আস্তে যখন উনার চেহারা স্পষ্ট হয় তখন রাগে অর্কের মুখ জড়িয়ে আসে। মালিহা অপারেশন থিয়েটারে আসতেই অর্ক উঠে দাঁড়ায়।
–“আপনারা কি আয়াশের অপারেশনের টাকা দিয়েছেন?”
চোখেমুখে বিরক্তির ছাপ এনে কথাটি জিজ্ঞেস করেন মিসেস. মালিহা। অর্ক কিছু বলতে উদ্যত হতেই আজীম সাহেব তাকে ইশারাই থামিয়ে দেন। কেননা, ছেলেটা রাগের বশে কি বলতে কি বলে ফেলবে তার ঠিক নেই। গতবার এই মহিলাটি আনিশার সঙ্গে যা হয়েছিল তারপর থেকে এই মহিলার প্রতি বেজায় রেগে রয়েছে অর্ক।
আজীম সাহেব উঠে দাঁড়ান। এগিয়ে আসেন মিসেস. মালিহার দিকে। শান্ত কন্ঠে মাথা দুলিয়ে বলেন,
–“জি। আমরাই টাকা দিয়েছি। সঠিক সময় অপারেশন শুরু না হলে জামাইকে বাঁচানো যেত না।”
–“আমার ছেলের জন্য আমি তো আছি। সাহাদ বর্তমানে এখানে নেই। কাজে বাহিরে। আসতে একটু দেরি হয়ে গেছে কিন্তু এসেছি। আমার মনে হয় আপনাদের আর দরকার নেই। টাকা যখন দিয়েছেন নিজেদের টাকা ফিরিয়ে নিন ধরুন। এখানে অনেক টাকা আছে। যা দিয়েছেন তার চেয়ে বেশিই হবে।”
চোখমুখ জড়িয়ে হাতে থাকা কালো সুটকেস আজীম সাহেবের দিকে এগিয়ে দেন মিসেস. মালিহা। চোখমুখ জড়িয়ে থাকার কারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকের প্রতি ঘৃণা। উনি সহ্য করতে পারেন না মধ্যবিত্ত লোকেদের। নিজের বাবাকে অপমান হতে দেখে এবার আর নিজের রাগ দমাতে পারে না অর্ক। শক্ত গলায় বলে,
–“আসতে দেরি হয়েছে নাকি ইচ্ছে করে দেরিতে এসেছেন সেটা কি বলতে পারে? আমাদের বাড়ি এতদূর হওয়া সত্ত্বেও আমরা এতো তাড়াতাড়ি উপস্থিত হলাম। আর আপনার ছেলের এতো বড় দুর্ঘটনা হওয়ার পর আসতে এতো দেরি করে ফেললেন? ব্যাপারটা হাস্যকর না?”
রাগে কটমট করে তাকান মিসেস. মালিহা। নিজের রাগকে চুপচাপ হয়ে শান্ত করতে লাগলেন। অর্ক আবারও বলল,
–“আর টাকা আমাদের দেখাতে আসবেন না। যেই টাকা নিজের ছেলের বিপদের কোনো কাজে লাগে না সেই টাকার কোনো মূল্য নেই। আপনি আসতে পারেন।”
–“আমার ছেলেকে আমি দেখতে এসেছি। আর তুমি তাড়িয়ে দেওয়ার কে? সাহসটা একটু বেশিই দেখিয়ে ফেলছো না?”
অর্ক আবারও কিছু বলতে নিলে আজীম সাহেব থামতে বলেন। তবুও অর্কের থামার নাম নেই।
–“সাহসের কিছুই দেখলেন না এখনো। আনিশাকে কি গায়েব আপনিই করিয়েছেন?”
–“কি যা-তা কথা বলছো তুমি? মুখ সামলাও। এসব আজেবাজে এলিগেশন দিচ্ছো কেন?”
–“এর আগে আপনি যা করেছেন আমার বোনের সাথে সেটা তো সবাই জানি। তাই এবারেও সন্দেহের কাটা আপনার ওপরই যাচ্ছে।”
নির্লিপ্ত ভাবে কথাটা বলে দিল অর্ক। মিসেস. মালিহা কেমন জানি মিইয়ে গেলেন। তড়তড় করে ঘামতে শুরু করলেন।
সকলে স্তব্ধ হয়ে পড়ল। তখনই ঘটল একটা মেয়ের আগমন। কাঁধে ব্যাগ নিয়ে একপ্রকার ছুটে এসেই দাঁড়ালো সে। দাঁড়িয়ে হাঁপাতে লাগল। তার আচমকা আগমনে সকলেই হকচকিয়ে উঠল। অর্ক চোখ বড় বড় করে চেয়ে রইল মেয়েটির সে। ভালো করে লক্ষ্য করতেই অর্কের চোখজোড়া সেখানেই থেমে রইল। আঁটকে রইল মেয়েটিতে। পুরো ১ বছর পর সেই মুগ্ধময়ী মুখ। বুকের হার্টবিট জোরেসোরে চলতে লাগল তার। এতো ঝামেলার মধ্যে মনে শীতলতা খেলে গেল।
মৃধা মাথা উঠিয়ে তাকায়। হাঁপাতে হাঁপাতেই বলে,
–“আয়াশ স্যার এখানে আছেন?”
–“তুমি কে?”
ভ্রু কুঁচকে বিরক্তি নিয়ে বলল মিসেস. মালিহা। মৃধা তাড়াহুড়ো করে উত্তর দিল,
–“আমি মৃধা! স্যারের নিউ এসিস্ট্যান্ট। শুনলাম স্যারকে কেউ মারার চেষ্টা করেছে। তাই মনে হলো আমার এখানে আসা উচিত। স্যার কেমন আছেন এখন?”
–“অপারেশন চলছে।”
মৃধা অপারেশন থিয়েটারের দিকে তাকায়। তার মনটা অস্থির অস্থির করছে এই লোকটার জন্য। যাকে এক পলক সামনাসামনি দেখতে কত ছটফট করেছে সে। যার সঙ্গে কাজ করবে বলে নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে লইয়ার হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেই মানুষটার কত বড় বিপদ আজ। অনেক কষ্ট করে মনি মাকে মানিয়ে এতো রাতে ছুটে এসেছে হসপিটালে।
আশপাশে চোখ বুলাতেই দেখতে পায় অর্ককে। তাকে চেনা চেনা লাগায় মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে মৃধা। অস্ফুটস্বরে বলে,
–“আপনাকে মনে হচ্ছে আগেও কোথাও দেখেছি। আমাদের কি আগে দেখা হয়েছিল?”
মৃধার প্রশ্নে ধ্যান ভেঙে যায় অর্কের। মেয়েটার মধ্যে এমন কিছু রয়েছে যা তাকে ঘোরের মাঝে নিয়ে গিয়েছিল। থতমত খেয়ে উত্তর দেয়,
–“আ…আমি অর্ক। ১ বছর আগে দেখা হয়েছিল আমাদের। মনে আছে আপনার? আমার বোনকে বাঁচিয়েছিলেন।”
মাথায় চাপ দিতেই সবটা মনে পড়ে মৃধার। চোখ বড় বড় করে বলে,
–“আপনি? কিন্তু এখানে? আপনি আয়াশ স্যারের সম্পর্কে কেউ হন? যাকগে বাদ দিন। এসব পরেও শোনা যাবে। আয়াশ স্যার কেমন আছেন সেটা জানা গুরুত্বপূর্ণ আগে।”
বলেই পায়চারি করতে থাকে মৃধা। সকলে রয়েছে চিন্তিত ভঙ্গিতে। অর্কও বেরিয়ে যায় বোনকে খুঁজতে।
চলবে….
[বি.দ্র. গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক। বাস্তবতা খুঁজবেন না।ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।]