#মনের_অন্দরমহলে
#আনিশা_সাবিহা
পর্ব ৩০
–“আই ওয়ান্ট দিস ইনজেকশন আকাশ। ইউ নো না? যে ওসব ইনজেকশন না পেলে আমি ঠিক থাকতে পারব না? আমার ওটা চাই ইমিডিয়েটলি। নয়ত জানি না আমি কার কার সঙ্গে রুড বিহেব করে ফেলব নিজেও জানি না। আর যদি কোনোভাবে আমার ওয়াইফের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করে ফেলি তাহলে? না, না, না! তুমি এক্ষুনি আসবে আর ইনজেকশনের সিরিজসহ মেডিসিন গুলো দেবে।”
আয়াশের কথাবার্তা শুনে ভ্রু কুঁচকে এলো আমার। বুঝতে পারছি না এখন ভেতরে যাওয়া ঠিক হবে কিনা! কফির চাপের দিকে তাকিয়ে আবারও দরজার হালকা ফাঁক দিয়ে আয়াশের দিকে তাকালাম। উনি অন্যদিকে ঘুরে চোখমুখ জড়িয়ে কথা বলছেন। হঠাৎ মনে হলো এবার এই ইনজেকশনের রহস্য খুঁজে বের করা দরকার! তাই বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকলাম আমি। ভেতরে গেলে হয়তবা উনি ফোন কেটে দেবেন।
–“নো। আমার কাছে আর কোনো স্টক নেই। আমার ইনজেকশনের সিরিজ চাই সেই সঙ্গে যেটা দিয়ে আমার মন শান্ত থাকে সেটাও চাই। চাই মানে চাই আর সেটা এই মূহুর্তে।”
ওপাশ থেকে কে কথা বলল বা কি কথা বলল সেটা শুনতে পেলাম না। আয়াশ ফোনটা কেটে দিলেন। দরজার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকানোর আগেই তৎকালীন হম্বিতম্বি করে সরে এলাম। শ্বাস নেওয়াও বন্ধ করে দিলাম! যদি ধরে ফেলেন? কয়েক সেকেন্ড পরেও যখন কিছু হলো না আমি আবারও দরজার ফাঁক দিয়ে দেখি আয়াশ বিছানায় বসে আছেন। বিছানা আসলেই হার্ট শেপের! বেডরুমের পরিবেশটা আরো মন মাতানো। ঢক গিলে ঘরে প্রবেশ করলাম আমি। তখনই মাথা তুলে তাকালেন আয়াশ। চোখজোড়া ব্যাপক লাল হয়ে রয়েছে। এবার দৃষ্টি সরিয়ে একবার এদিক আরেকবার ওদিক দৃষ্টিপাত করতে থাকলেন। যেন উনি ভেতর থেকে বড়ই অস্থির!
আমি সাহস করে এগিয়ে গিয়ে কফির কাপ এগিয়ে দিয়ে বললাম,
–“আপনার কফি।”
আয়াশ আবার আমার দিকে তাকালেন। চোখেমুখে গাম্ভীর্যের ছাপ। একটা হাসি দিলেন। কিন্তু হাসিটা যেন মন থেকে ছিল না।
–“তুমি বানিয়েছো?”
–“হ্যাঁ।”
হাত বাড়িয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে কফির কাপ নিলেন আয়াশ। উনার হাতটাও কাঁপছে। কিন্তু কেন? আমি এবার প্রশ্ন করে বসলাম উনাকে।
–“আপনার হাত এভাবে কাঁপছে কেন?”
–“ও কিছু না। এমনিই।”
কথাটুকু বলে এড়িয়ে গেলেন আয়াশ। আমি চুপচাপ উনার কান্ড দেখে চলেছি। কাপটা ঠোঁটের কাছে ধরলেন উনি। হাতজোড়া তখনো কাঁপছে। কাপে ঠোঁটজোড়া ঠেকানোর আগেই হুট করেই কাঁপা হাতের কারণে কফি বেশ খানিকটা পড়ে গেল আয়াশের গায়ে। ‘উফফ’ শব্দ করে উঠে দাঁড়ালেন উনি। রাগে গজগজ করতে করতে হাতে থাকা কাপটা দেখে একেবারে নিচে ছুঁড়ে ফেলে দিতেই আমি ভয়ে কেঁপে উঠলাম। খানিকটা মন খারাপও হলো! এই প্রথম আয়াশের জন্য কিছু বানিয়েছিলাম আমি।
–“ওই কাপটার এতো বড় সাহস হলো কি করে আমাকে আঘাত করার? ওই কাপটা আমাকে আঘাত করল কেন? আমি ওটাকে আজ ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো করে ফেলব।”
রাগে উন্মাদ হয়ে কথাগুলো বলে ভাঙা কাঁচের টুকরোর দিকে এগিয়ে গেলেন আয়াশ। উনি যে সেসব কাঁচ নিজের পায়ে পিষে ফেলতে চান সেটা বেশ ভালো বুঝতে পারছি। রাগের চোটে উনি এটাও ভুলে গিয়েছেন এটা কাঁচ! ভীত হয়ে ঝটপট করে এগিয়ে গেলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বদমেজাজি লোকটা পা দিয়ে দিলেন কাঁচে। চোখমুখ লাল হয়ে এলো উনার। চোখ খিঁচে বন্ধ করে ফেললেন। তবুও কাঁচের টুকরো গুলো পায়ে পিষতে লাগলেন। এমন দৃশ্য দেখে প্রচন্ড ভয় লাগা শুরু হলো আমার। চলার শক্তি হারিয়ে ফেললাম সেখানেই। তবুও অনেকটা শক্তি সঞ্চয় করে দ্রুত পায়ে এগিয়ে গিয়ে আয়াশকে সর্বশক্তি দিয়ে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিলাম আমি। উনি ছিটকে গিয়ে বেডে পড়ে গেলেন।
আমি বিস্ময় আর রাগ দুটো একসঙ্গে মিলিয়ে উনাকে জোরে জোরে বলে উঠলাম,
–“পাগল নাকি আপনি? মাথা ঠিক আছে আপনার? কাঁচের টুকরো কেউ এভাবে পা দিয়ে পিষে দেয়? কি হয়েছে আপনার? ওসব কাঁচ আয়াশ ভালোভাবে চেয়ে দেখুন। আর এসব উদ্ভট কর্মকান্ড করবেন না দয়া করে।”
আয়াশ যেন ভ্যাবাচেকা খেয়ে আমার দিকে স্থির হয়ে চেয়ে রইলেন। অতঃপর উনি যা বললেন আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
-“কাঁচ! ওহ হ্যাঁ তাই তো। আমার মাথাতে ছিল না নিশাপাখি সরি। আমার মাথা যন্ত্রণা করছে!”
উঠে দাঁড়াতেই পায়ের ব্যাথা কুকিয়ে উঠে বসে পড়লেন উনি। আমি দ্রুত ছুটে এসে বেডের সামনে বসে উনার পা ধরে তুলে দেখলাম বেশ কয়েকটা ছোট ছোট কাঁচের টুকরো পায়ে লেগে রয়েছে। রক্তও রয়েছে ছাপ ছাপ! কি বিশ্রী অবস্থা। চোখ বন্ধ করে নিলাম আমি। রক্ত দেখতে পারি না আমি। এতে আমার ফোবিয়া রয়েছে। যাকে বলে হেমোফোবিয়া। ছোটবেলায় দুইবার রক্ত দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম।
অনেক কষ্টে চোখ খুললাম আমি। আয়াশের দিকে তাকিয়ে বললাম,
–“কি করেছেন নিজের অবস্থা? একটা পাগলেও তো বুঝতে পারে নিজের ভালো। আপনি কেন বোঝেন না বলুন তো? এখানে ফার্স্ট এইড বক্স কোথায় রাখা আছে বলুন তো?”
–“কাবার্ডের নিচের ড্রয়ারে!”
শান্তভাবে উত্তর দিয়ে আমার দিকে একভাবে চেয়ে রইলেন আয়াশ। উনার চাহনি বড্ড গভীর। যেই গভীরতা আমি দেখতে পাচ্ছি। অন্যকেউ কি দেখতে পায়? মনে হয় না। মানুষটার চোখের গভীরতা শুধু এবং শুধুই আমি দেখতে পাই।
কথা না বাড়িয়ে আমি সামনে কাবার্ডের দিকে এগিয়ে গেলাম। নিচের ড্রয়ার খুলতেই আয়াশ থমথমে কন্ঠ ভেসে আসতেই পিছু ফিরে তাকালাম।
–“কেন করছো এসব?”
–“কেন করছি মানে কি? আপনার কি অবস্থা হয়েছে আপনি দেখেছেন? বুকেও হয়ত গরম কফি পড়ে পুড়ে গিয়েছে। তাড়াতাড়ি এন্টিসেপ্টিক লাগাতে হবে।”
আমার নির্বিকার উত্তর শুনে আয়াশ মৃদু হাসলেন। তারপর বললেন,
–“মানুষ কখন অন্যের জন্য এতো উদ্বিগ্ন হয় জানো? যখন সে অপর মানুষটার জন্য বেশি চিন্তা করে। কেয়ার করে। আপন ভাবে। তুমি কি আমাকে আপন ভাবতে শুরু করেছো নিশাপাখি?”
এবার চরমভাবে থমকালাম আমি। কেননা আয়াশের কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। আগে কখনো তো এতো অস্থিরতা জাগত না আয়াশের জন্য! আগে তো কখনো এতোটা উদ্বিগ্ন হতাম না লোকটার কিছু হলে! হঠাৎ কি হলো আমার?
–“নিজেকে সামলে নেওয়ার কথা ভাবছো নিশ্চয়? ভাবছো যে, না না! এই বাজে লোকটার প্রেমে তো পড়া যাবে না। উনাকে ভালোবাসা যাবে না। কারণ উনি বাজে। বিশাল মাপের অসভ্য। উনার প্রেমে পড়া মানে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনা। এসবই ভাবছো নিশ্চয়?”
আয়াশের কথায় ভাবনায় মগ্ন হয়ে থাকা আমি ভাবনার জগত থেকে বেরিয়ে এলাম। উনাকে কিছু বলতে নিতেই উনি ইশারাই থামিয়ে দিয়ে বললেন,
–“উঁহু না। কিছু বলার দরকার নেই। আমি বাইরে যাচ্ছি একটা কাজে। মাথাটা ভীষণ ব্যাথা করছে।”
–“কিন্তু আমার পায়ে যে লেগেছে আর বাইরে গেলে মাথাব্যাথা কমবে কে বলল?”
–“আমি বলছি। কমলে কমতেও পারে। আর আগের ঘটনা তুমি বলেছিলে। আমার ব্যাথা সারিয়ে দিতে এসে নিজে আঘাত পেয়েছো। আবারও যদি তাই করে বসি তাহলে আমিই সবচেয়ে বেশি আঘাত পাব। আর তোমার আঘাত লাগলে তোমার চেয়েও বেশি আমি আঘাতপ্রাপ্ত হই সেটা হয়ত তুমি জানো না।”
কিছুক্ষণ আয়াশের পানে চেয়ে থাকলাম। কিছু একটা আছে আমার মনে। যদি দিয়ে উনার কথা আমি মারাত্মকভাবে অনুভব করতে পারি। উনি সত্যি আমাকে এতোটা ভালোবাসেন যে অবিশ্বাস্য লাগে আমার! দরজার কাছে দাঁড়িয়ে উনি বলে গেলেন,
–“একবার যদি নিজের বুক চিরে তোমায় দেখাতে পারতাম তাহলে হয়ত বিশ্বাস করতে এই হৃদয়ে যত আঘাত লেগেছে সবটাই তোমার আঘাত লাগার কারণে।”
আর একটা মূহুর্তও দাঁড়িয়ে থাকলেন না উনি। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ঘর থেকে ঝড়ের বেগে বেরিয়ে গেলেন। আমাকে রেখে গেলেন এক বিস্ময়ের মাঝখানে। এখানে চারিদিকে বিস্ময়। শুধু ঘুরপাক খাচ্ছে! চারিদিকে আয়াশের ভালোবাসা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।
বেশ কিছুক্ষণ থ মেরে দাঁড়িয়ে থাকার পরেই মস্তিষ্ক জানান দিল এতোক্ষণ এভাবে দাঁড়িয়ে থাকা মোটেও ঠিক হচ্ছে না আমার। কেননা আয়াশ কোথায় যাচ্ছেন সেটা একটু হলেও আন্দাজ করতে পারছি আমি। উনি নিশ্চয় ওইসব ইনজেকশন আর ভেতরে থাকা তরল মেডিসিনগুলো নিতে বেরিয়েছেন। কারণ মাথাব্যাথা হলে তো তাই করেন। আজ ওই ইনজেকশন নিয়ে আমি হেস্তনেস্ত করে ছাড়ব। এই ভেবে আমিও হাঁটা দিলাম বেশ কিছু টাকা হাতে নিয়ে। একপ্রকার ছুট লাগালাম। যেন আয়াশ চোখের আড়ালে না হয়ে যান।
হন্তদন্ত হয়ে বাইরে বের হতেই আমার দিকে অবাক হয়ে তাকালো ফুলকি। হতভম্ব হয়ে জিজ্ঞেস করল,
–“ম্যাম? কোথায় যাচ্ছেন? একা বের হবেন না। স্যার মানা করে গেছে।”
–“তোমার স্যারের সাথেই যাচ্ছি। চিন্তা করো না। আমি আসছি।”
ফুলকির আর কোনোরকম উত্তর না শুনে মেইন দরজা খুলে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে এলাম। এদিক-ওদিক তাকাতেই নজরে এলেন আয়াশ। উনি লিফটের কাছেই দাঁড়িয়ে আছেন। এখন যদি উনি লিফটে উঠে পড়েন আমাকে নিচে নামতে অনেক সময় লাগবে সিঁড়ি দিয়ে। তাই আগপাছ না ভেবে এখনি পা টিপে টিপে সিঁড়ির কাছে গিয়ে নামতে লাগলাম। নিচের ফ্লোরে নামতেই নিজের হাঁটার বেগ বাড়িয়ে দিলাম আমি। নিচে নামতে নামতো বেশ খানিকক্ষণ সময় লাগল আমার।
লাস্ট সিঁড়িতে পা পড়তেই আচমকা পা পিছলে গেল তাড়াহুড়োতে। সেই সময় সাইডে পড়তে নিলেই কারো দেহের সঙ্গে লেগে নিজেকে সামলে নিলাম। মানুষটাকে দেখার জন্য ওপরে তাকাতেই চমকে উঠলাম আমি। থতমত খেয়ে ভীত চেহারা নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো,
–“আয়াশ, আপনি?”
আয়াশ আমার দিকে সন্দেহের নজরে তাকিয়ে রয়েছেন। আমি এদিক ওদিক চোরের ন্যায় তাকিয়ে একটা বাহানা খুঁজে চলেছি।
–“তুমি এখানে কি করছো? আর এতো তাড়াহুড়ো করে কোথায় যাচ্ছিলে?”
–“আ…আমি আসলে ওই…”
আমতা আমতা করতে গিয়ে ধমক খেয়ে বোকা বনে গেলাম আমি।
–“বাই এনি চান্স তুমি কি পালাতে চাইছো?”
–“না। আমি পালাতে চাইব কেন? আমি পালাতে চাইনি। আমি তো আপনার কাছেই আসছিলাম।”
মুখে যা এলো ফট করে সেটাই বলে দিলাম। আয়াশের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ হলো। উনার এই তীক্ষ্ণ নজরেই আমাট ভেতরটা কেঁপে ওঠে। ক্ষীণ সুরে বলেন,
–“আমার কাছে? কেন?”
–“আপনি তাড়াহুড়ো করে চলে এলেন এই অবস্থায় তাই চিন্তা হচ্ছিল।”
–“সিরিয়াসলি? নাকি আবার লিফটে রোমান্স করার শখ হয়েছিল?”
–“কিহ?”
আয়াশের আবার সেই বেশরম কথাবার্তা শুনে চোখ বড় বড় করে চেয়ে রইলাম আমি। তৎক্ষনাৎ উনার হাত আমার বাহুতে থাকায় আমার বাহু জোরে চেপে ধরতেই আরো বেশি চোখ বড় বড় হলো আমার।
–“আমার মাথা খুব ব্যাথা করছে। যন্ত্রণা ভেতরের রগ ছিঁড়ে যাচ্ছে। আই হ্যাভ টু গো নিশাপাখি। পরে তোমার সঙ্গে কথা বলছি। ওপরে উঠে ঘরে যাও প্লিজ।”
আমার বাহু ছেড়ে দিয়ে পার্কিং প্লেসের দিকে দ্রুত গতিতে হাঁটতে লাগলেন উনি। আমি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে মেইন গেট দিয়ে বেরিয়ে এলাম। আয়াশ এতোটাই অস্থির যে আমায় খেয়াল না করেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলেন। এতে অবশ্য আমারই সুবিধে হয়েছে। আমিও একটা অটো নিয়ে উনার পিছু নিলাম। বুকটা দুরুদুরু করছে। একবার যদি আয়াশ জানতে পারেন আমি উনার পিছু নিয়েছি তাহলে কি ঝড় বয়ে যেতে পারে সেই চিন্তায় করছি আমি। গাড়িটা এসে থামল একটা নির্জন জায়গায় এসে থামল। আয়াশ তাড়াহুড়ো করে নেমে একটা ভূতুড়ে ভূতুড়ে ফ্যাক্টরির মধ্যে ঢুকে পড়লেন। আমিও সাথে সাথে নেমে ভাড়া মিটিয়ে পা টিপে টিপে ঢুকে পড়লাম সেখানে।
আশেপাশে বেশ অন্ধকার। চারিদিকে ধুলো-ময়লা দেখে চোখমুখ কুঁচকে এলো। এখানে কে মেডিসিন নিতে আসে? সামনে এগোতেই চোখে পড়ল আয়াশ। সেই সঙ্গে উনার সমবয়সী একজন পুরুষ। একটা ড্রামের আড়ালে লুকিয়ে রইলাম। ওদের কর্মকান্ড ও কথোপকথন দেখা ও শোনার আশায়।
চলবে….
[বি.দ্র. ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।]