#মনের_অন্দরমহলে
#আনিশা_সাবিহা
পর্ব ২২
–“সত্যিকারের আইনজীবী হয়ে উঠবেন আমার জন্য?”
কথাটা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশে পিনপতন নীরবতা বিরাজ করল। আমার কথার উত্তর দিচ্ছেন না আয়াশ। আর আমি চাতক পাখির মতো উত্তরের আশা করছি। বেশ কিছুক্ষণ পরেও যখন উনার কোনো উত্তর পেলাম না তখন উনার হাতটা ধরে একটু ঝাঁকুনি দিয়ে বললাম….
–“কি হলো বলুন? হ্যাঁ বা না কিছু তো একটা উত্তর দিতেই পারেন।”
আয়াশ আমার হাতটা ছাড়িয়ে নিলেন। উনার ভাবভঙ্গি বলে দিচ্ছে উনি কোনো নেগেটিভ এন্সার দিতে চান। আর আমার ধারণাই ঠিক প্রমাণিত হলো।
–“এতোদিনে অভ্যেস কি করে ছাড়ব? আমি কেমন প্রকৃতির মানুষ সেটা তুমি জানো নিশাপাখি! খারাপটাকেই আপন করে নিয়েছি। এই খারাপটাকে পর করতে আমার মন সায় দিচ্ছে না!”
–“যদি আপনি আমার এই ইচ্ছে পূরণ করেন আমার জীবনের সবথেকে বড় পাওয়া এটাই হবে। কিন্তু আপনি হয়ত আমার চেয়ে বেশি নিজের টাকা আর খারাপটাকেই বেশি ভালোবাসেন। তবুও মনের মাঝে সূক্ষ্ম একটা আশা ছিল বলে চেয়ে বসলাম আপনার কাছে! আপনি আমায় ভুল প্রমাণিত করলেন।”
আশাহত হয়ে কথাগুলো বলাতে অস্থির হয়ে পড়লেন আয়াশ। হয়ত মানুষটা নিজেও দোটানায় পড়েছেন। কিন্তু আমিও ঠিক করে নিয়েছি যে যদি এই উম্মাদ লোকটার সঙ্গে সংসার করতেই হয় তবে স্বাভাবিক মানুষ করেই উনার সঙ্গে সংসার করব। এর আগে নয়।
–“লিসেন টু মি! আমি কোনোভাবেই…..”
–“থাক না। কোনো বাহানা দেওয়ার দরকার নেই। আমি বুঝেছি। আপনার ভালোবাসা আপনার টাকা, লাক্সারি এসবের কাছে ফিকে পড়ে গেছে।”
কথাটুকু সম্পূর্ন করতে না করতই ধমকে উঠলেন আয়াশ।
–“আনিশা??”
–“এই একটা কাজ আপনি ভালোই করতে পারেন। ধমকে চুপ করিয়ে রাখা। অনেক রাত হয়েছে বাড়ি চলুন। মা-বাবা চিন্তা করছে হয়ত।”
হাঁটা দিলাম আমি আয়াশের পাশ কাটিয়ে। কয়েকধাপ পা ফেলতেই কোলে তুলে নিলেন আয়াশ। বিস্ময়ের চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়ে অপ্রস্তুত হয়ে উনার শার্টের কলার চেপে ধরলাম। নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম…..
–“কি করছেন এটা? নামান!”
–“ওকে দেন! আমি তোমায় একটা ডিল দিচ্ছি।”
–“কি ডিল?”
আয়াশ আমায় নিজের সঙ্গে আরো মিশিয়ে নিয়ে আমার গালে উনার নাক দিয়ে স্লাইড করে বলেন…..
–“তখন তোমায় আই লাভ ইউ বলেছিলাম না? এখন তার এন্সার চাই। আই লাভ ইউ টু বলতে পারো বা আই হেট ইউ! আমি মাইন্ড করব না। জাস্ট যেকোনো একটা বলো কোল থেকে নামিয়ে দেব।”
রাগে-দুঃখে আয়াশের কাঁধে খামচি দিলাম আমি। যদিও আমার এতো বড় বড় নখ নেই যে খামচে মাংস তুলে ফেলব! টেনশনে দাঁত দিয়ে কেটে কেটে নখ গায়েব করে ফেলেছি।
–“এই রাক্ষসী মেয়ে! খামচে মেরে ফেলতে চাও?”
–“আপনি খুব বাজে ডিল দিয়েছেন। সব জেনেশুনে দিয়েছেন। নিচে নামিয়ে দিন। আপনি জানেন আমি এটার উত্তর আপনাকে দিতে পারব না কারণ…..”
আমি থেমে গেলাম। পুরো বাক্য বলার মতো সাহসও পাচ্ছি না। আয়াশ সেধে প্রশ্ন করলেন…..
–“কারণ? আমি তো তোমাকে শুধু আই লাভ ইউ বলতে বলিনি। আই হেট ইউ বলতে পারো।”
–“নিচে নামিয়ে দিন।”
–“আচ্ছা শোনো, কারণটা আমি বলি! কারণ হলো তুমি নিজেও বুঝছো না তুমি ঠিক কি চাও। তোমার মনে আমার জন্য অনুভূতি টা ঠিক কি? ভালোবাসা নাকি ঘৃণা! সব মিলিয়ে তুমি প্রচন্ড কনফিউজড। সেকারণে দুটোর একটাও উত্তর দিতে পারছো না।”
আমি উত্তেজনার উনার কথায় সম্মতি জানাতে গিয়েও চুপটি করে রইলাম। লোকটা মনের কথা বুঝতে এক্সপার্ট! আয়াশ আমাকে ঝাঁকিয়ে বললেন….
–“এম আই রাইট?”
আমি উল্টে নাবোধক মাথা ঝাঁকালাম। আয়াশ হেঁসে দিলেন। উনার এই হাসিটা গা জ্বালানো হাসি। হাসতে হাসতেই বলে উঠলেন…..
–“আমি বুঝি না তোমরা মেয়েরা কি কখনোই নিজের হার স্বীকার করতে জানো না? নাকি শুধু তুমিই নিজের হার স্বীকার করতে জানো না?”
আমি ভেংচি কেটে বললাম….
–“এটা কোনো খেলা নয় যে হারজিত টেনে আনছেন।”
–“এনিওয়ে হাতের আইসক্রিম গলে গেল। তবুও তোমার মন গলল না। টেক ইট।”
আমি মুখ ফুলিয়ে বসে থাকলাম। আস্তে আস্তে আমায় নিয়ে হেঁটে চলেছেন আয়াশ। আমার নিরবতা দেখে বাজখাঁই কন্ঠে বললেন…..
–“কি হলো? নিবে নাকি ফেলে দিয়ে কোমড় ভাঙব?”
–“আপনি আমায় ফেলে দেবেন? হাহ! এটা আপনার দ্বারা হবে না।”
কথাটা ভাব নিয়েই বললাম আমি। আমার কতা শোনামাত্র আয়াশ দুইহাত দিয়ে আমায় আলগা করে ফেলে দিতে চাইতেই আমি নিজ থেকে আয়াশকে জড়িয়ে ধরলাম।
–“এতোটা খারাপ মানুষকে ভরসা কি করে করো নিশাপাখি?”
মজার ছলে বলে উঠলেন আয়াশ। উনার কথায় তেতিয়ে উঠলাম আমি। আসলেই উনাকে ভরসা করা বিরাট মাপের বোকামি! আর কথা না বাড়িয়ে আমি উনার হাত থেকে আইসক্রিম ছিনিয়ে নিলাম। তা দেখে উনি নিজের গাম্ভীর্য বজায় রেখে বললেন….
–“এখন খাও।”
–“এভাবে কিভাবে?”
–“এভাবে এভাবেই।”
নাক ফুলিয়ে আমি আইসক্রিম প্যাকেট থেকে বের করে মুখে দিলাম। বেশ খানিকটা গলে গিয়েছে আইসক্রিম। তাই মুখ দিতেই তড়তড় করে গলে যাওয়া আইসক্রিম আমার মুখ বেয়ে গলা পর্যন্ত নেমে গেল। আয়াশের উদ্দেশ্যে বিরক্ত হয়ে বললাম….
–“দেখেছেন? এজন্যই খেতে চাইনি। আপনি ইচ্ছে করে আমায় খেতে বললেন না?”
আমার কথার কোনোরকম প্রতিত্তোর না দিয়ে মুখ নিচু করে আমার থুঁতনিতে ঠোঁট রাখলেন আয়াশ। সঙ্গে সঙ্গে তড়িৎ প্রবাহ যেন বয়ে গেল আমার মাঝে। শিথিল হয়ে এলো আমার শরীর। চোখজোড়া যেন পলক ফেলতে ভুলে গেছে। কি পাগলামি করছেন এসব? কাঁপতে কাঁপতে উনার চুলে হাত দিলাম আমি। চুল টেনে উঠানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলাম। গলা পর্যন্ত লেগে থাকা আইসক্রিম নিজের ঠোঁট দিয়ে বুলিয়ে মুছে ক্ষ্যান্ত হলেন আয়াশ। আমি তখন রোবটের ন্যায় স্থির হয়ে রয়েছি।
–“ইয়েস। আমি ইচ্ছে করেই তোমায় খেতে বললাম। এটা তোমার পানিশমেন্ট ছিল ডার্লিং।”
আমি ছটফটিয়ে উঠলাম আয়াশের কন্ঠ শুনে। ছোটাছুটি করতেই আমার গালে কামড় দিলেন আয়াশ। অটোমেটিক আমার হাত চলে গেল বাম গালে। আয়াশ ক্রুদ্ধ হয়ে বলে উঠলেন….
–“ব্যাঙের মতো ছটফট করবে না। নয়ত কামড় দিতে দিতে বাড়ি নিয়ে যাব। দরকার পড়লে তোমার বাড়ির লোকের সামনেও কামড় দেব। ইউ নো না? আমার লজ্জাশরম একটু কম!”
আমি বিড়বিড়িয়ে বলে উঠলাম…..
–“একটু না আপনার লজ্জাশরম বলতে কোনো কিছুই নেই আসলে।”
–“কিছু বললে?”
–“ক….কই না তো!”
আয়াশ আমায় আরো নিজের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়ে হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিয়ে বলেন…..
–“ওকে লেটস গো।”
হঠাৎ করেই কেন জানি মনটা বলে উঠল….”তোর সঙ্গে প্রেম নামক জিনিটা ভয়ানক খেলা খেলছে আনিশা। সাবধান! এই নির্লজ্জ আর বেহায়া লোকটার প্রেমে পড়ার আশঙ্কা পাচ্ছি।’
মনের কথায় খানিকটা চমকালাম। তবুও তাকে ধমক দিয়ে বলতে ইচ্ছে করল….”এই বাজে, নির্লজ্জ আর বেহায়া লোকটার প্রেমে পড়ার তো মোটেও ইচ্ছে নেই। তবে উম্মাদ লোকটার প্রেমে পড়লে আমার কি করার?’
মাথাটা নুইয়ে গেল আমার। আস্তে ধীরে মাথা উনার বুকে মাথা ঠেকালাম আমি। সমুদ্রের পাড়ে, রাতের আকাশ এবং মাতাল হাওয়া জানান দিচ্ছে, ‘ওহে শুনছো? উম্মাদ প্রেমিকের প্রেমিকা তুমি….!’
একদিন পর……
–“অফিসার? এটা একটা ইভটিজিং এর কেস! আর যে করেই হোক সেই ফাইলটা আমার চাই। এট এনি কস্ট!”
–“কিন্তু এতোদিন আগের ফাইল খোঁজা তো মহা মুশকিল মি. রায়হান। তার মাঝে ইভটিজিং এর অতি সামান্য ব্যাপার কোথায় ধামাচাপা পড়ে গেছে সেটা কেউ জানে না।”
টেবিলে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে বাড়ি দিয়ে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালো আয়াশ। চেঁচিয়ে বলে উঠল…..
–“ইভটিজিং সামান্য ব্যাপার? এতোটা ইরেসপন্সিবল কি করে আপনি? আপনার মেয়েকে যদি কেউ ইভটিজিং করে সেটাও কি আপনি সামান্য ব্যাপার ধরে নেবেন?”
পুলিশ অফিসার থতমত খেয়ে গেলেন। কিছু বলার আগে আয়াশ কাঠ কাঠ গলায় বলে উঠল…..
–“লিসেন অফিসার! ভিকটিমকে মার্ডার করারও চেষ্টা করা হয়েছে। আর ইভটিজিং কোনো সামান্য কেস নয়। একজন মেয়ের গায়ে পরপুরুষ যখন মেয়েটির অনুমতি না নিয়ে হাত দেয় তখন তার হাত কেটে ফেলা উচিত! কিন্তু আপনারা তো ওদের ঠিকঠাক টাইট দিতেই পারেন না। এখন কি ফাইলটা খোঁজা শুরু করবেন নাকি অন্য ব্যবস্থা…..”
কথাটা শেষ হবার আগেই অফিসার তড়িঘড়ি করে বলে ওঠে…..
–“আমরা এক্ষুনি খোঁজা-খুঁজি শুরু করছি। টেনশন নেবেন না। ওই ছেলেগুলোর সব ডিটেইলসও আপনি পাবেন।”
আয়াশ এবার চেয়ারে বসে পড়ে। পায়ে পা তুলে সামনে থাকা পানির গ্লাস হাতে নিয়ে বলে….
–“ওদের ডিটেইলস না নিয়ে আমি এখান থেকে কোথাও যাচ্ছিও না। আপনাদের কাজ শুরু করুন। হ্যারি আপ!”
–“কত বছরের আগের কেস যেন?”
–“আড়াই বছর আগের। যে রিপোর্ট লিখিয়েছে তার নাম আনিশা সাবিহা।”
–“আমরা সম্পূর্ণ ভাবে চেষ্টা করছি ফাইল খুঁজে বের করার।”
আয়াশ মাথা ঝাঁকাতেই ফাইল খোঁজা খুঁজি শুরু হয়। আয়াশের কপালে ভাঁজ পড়েছে। তীক্ষ্ণ নজর তার। সে আজ বের করেই ছাড়বে সেই চারজন আসলে কে….! এমনকি তাদের উপযুক্ত শাস্তিও ঠিক করে ফেলেছে আয়াশ।
বাড়িতে……
দুপুরের খাবার খেয়ে পিহুর কাছে চলে এসেছি আমি। আজ ফুলকিও নেই। তার অসুখ করেছে। তাই বিগত ২ দিন ধরে ছুটিতে। পিহু গত একদিন ধরে আমার ওপর বেশ রাগান্বিত। আমি ডাকলে সাড়া দেয় না সে। তার রাগের কারণও আন্দাজ করতে পেরেছি আমি। কারণটা হলো আমি তো এখানে প্রায় দুইদিন ছিলাম না। যার কারণে রাগে রাগান্বিত সে!
–“পিহু? কথা বল!”
পিহু নিরব। শুধু পাখা ঝাপটানোর আওয়াজ কানে আসছে। আমি খাঁচা ধরে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বললাম….
–“এই বেয়াদপ! ভালো লাগছে না কথা বল।”
খাঁচা ঝাঁকাতেই নিজের নাম ধরে ডেকে উঠল পিহু। আমি কিছু বলতে উদ্যত হতেই একটা কন্ঠে চুপ হয়ে গেলাম। ভ্রু কুঁচকে বোঝার চেষ্টা করলাম কার গলা এটা?
–“ম্যাডাম? আপনাকে একটু বাইরে যেতে হবে।”
–“বাইরে কেন? আর কে আপনি?”
–“আমি এই বাড়ির গাড়ির ড্রাইভার। আয়াশ স্যার বলেছেন আপনাকে এক জায়গায় নিয়ে যেতে।”
আয়াশ বলেছে আমায় নিয়ে যেতে? কিন্তু কোথায়? আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন করলাম…..
–“কোথায়?”
–“সেটা বলতে মানা করে দিয়েছে ম্যাডাম। শুধু বলেছে আপনার জন্য সারপ্রাইজ।”
এই লোকটা পারেও বটে! এতো সারপ্রাইজের কথা মাথায় কি করে ঘুরতে পারে উনার? আমি উঠে দাঁড়ালাম। ড্রাইভারের উদ্দেশ্যে বললাম….
–“ঠিক আছে যান। আমি রেডি হয়ে আসছি।”
–“আচ্ছা। তাড়াতাড়ি করবেন দয়া করে। স্যার তাড়াতাড়ি যেতে বলেছে।”
আমি মাথা দুলিয়ে ভেতরে এলাম। কোনোমতে তাড়াহুড়ো করে রেডি হয়ে নিলাম। তারপর বাইরে এসে গাড়িতে উঠলাম। কোথায় যেতে চলেছি কে জানে! আয়াশের নামে বেশ কিছুক্ষণ বিড়বিড় করলাম। ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দিল।
প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে আমি গাড়িতে বসে আছি। বার বার ড্রাইভারকে প্রশ্ন করেও সঠিক উত্তর পেলাম না যেন!
–“এতোক্ষণ হয়ে গেল। এমন কোথায় যাচ্ছি যে এতোটা দেরি লাগছে?”
–“এইতো প্রায় চলেই এসেছি ম্যাডাম।”
–“এই একই কথা আপনি অনেকক্ষণ ধরে বলে আসছেন। কোথায় যাচ্ছি বলবেন?”
বিরক্ত হয়ে চিল্লিয়ে বললাম আমি। ড্রাইভার ধীর গলায় বললেন….
–“আর পাঁচ মিনিট প্লিজ!”
উফফ…! বিরক্ত লাগছে এবার। আয়াশ আমায় ফোনও দিয়ে রাখেননি যে কল করব। পাঁচ মিনিট করে করে প্রায় আধঘন্টা পর এসে গাড়ি থামল। ড্রাইভার বললেন……
–“ম্যাডাম এসে গেছি নেমে পড়ুন।”
আমি নামলাম। তারপর প্রশ্ন ছুঁড়লাম…..
–“কিন্তু এটা কোথায়? কোথায় যাব এখান থেকে? আয়াশ কোথায়?”
কথাটুকু বলার পর উত্তর আর পেলাম না। গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার আওয়াজ হলো। ঘাবড়ে গেলাম। পেছন ফিরে চিল্লিয়ে বললাম….
–“ড্রাইভার ভাইয়া? কোথায় যাচ্ছেন? আয়াশ কোথায়?”
উত্তর দেওয়ার মতো আর কেউ রইলোই না। আঁতকে উঠলাম। বাকহারা সহ দিশেহারা হয়ে পড়লাম।
চলবে…….
[বি.দ্র. ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজ গল্প দিতে চাইছিলাম না তবুও দিলাম।]