#ভেতরে_বাহিরে
পর্বঃ১১
লেখিকাঃ #রুবাইদা_হৃদি
মাধুর্য নিরলস ভঙ্গিতে সোফায় বসে আছে৷ চোখেমুখে ঘুমের রেশ৷ সে অপেক্ষায় আছে আবেশের ৷ মনে মনে বেশ চঞ্চলতা অনুভব হচ্ছে মাধুর্যের৷ প্রায় অনেক বছর পর৷ আবেশের অপেক্ষায় অধৈর্য হয়ে উঠছে সে৷ কখন আবেশ ওয়াশরুমের দরজা খুলে চেঞ্জ করার জন্য কাপড় চাইবে৷ মাধুর্য আবারো সোফায় মাথা এলিয়ে দিয়ে তাকিয়ে রইলো দরজার দিকে৷
ওয়াশরুমে ঢুকে মস্ত বড় একটা ভুল করেছে এখন হারে হারে টের পাচ্ছে আবেশ৷ শাওয়ারের পানি গড়িয়ে পড়ছে শরীর বেয়ে৷ নিজেকে নিজে কয়েকটা কথা শুনিয়ে দেয়ালে হাত ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো পানির নীচে৷ বিন্দু বিন্দু পানি জমছে তার শরীরে ৷ চোখের পলক ফেলতেই টুপ করে গড়িয়ে পড়লো পানি ৷ হাজারো পানির সাথে মিলে মিশিয়ে গেলো কিছু বেদনার অশ্রু৷ আরেক হাত কঁপালে ঠেকিয়ে শাওয়ার অফ করে ভেজা শরীরে দাঁড়িয়ে রইলো অনেকক্ষণ৷ কোনোকিছু না ভেবেই ভিজে যাওয়া শার্ট পরলো৷
দরজার আওয়াজে মাধুর্য নড়েচড়ে বসে৷ মুঠোর মধ্যে শক্ত করে ধরে তোয়ালে ৷ কেমন অস্থির লাগছে তার৷ আবেশ যখন ডাক দিয়ে বলবে,
‘ মাধুর্য,আমার চেঞ্জ করার জন্য কাপড় দাও৷’ তখন সে কী জবাব দিবে ভেবে নিলো মনে মনে৷ কিন্তু আবেশ তার সমস্ত ভাবনা ভুল করে দিয়ে ভেজা শার্ট-প্যান্ট পরেই বাইরে বেরিয়ে এলো৷ মাধুর্যের চোখ মুহূর্তেই বড় হয়ে উঠলো ৷
আবেশ একবার মাধুর্যের দিকে তাকিয়ে ভেজা হাতের কাবার্ড খুলে প্রয়োজনীয় জিনিস নিলো৷ মাধুর্য আগ বাড়িয়ে বলল,
‘ আমাকে বললেই পারতেন৷’
‘ আমার কাজ আমি করে নিতে পারি৷ হেল্পিং হ্যান্ডের প্রয়োজন আবেশের নেই৷’ আবেশের কন্ঠ স্বাভাবিক তবে তীক্ষ্ণ ৷ মাধুর্য ফ্যালফ্যালে চোখে তাকিয়ে বলল,
‘ আপনি কী আমার উপর রেগে আছেন?’
মাধুর্যের সোজাসুজি প্রশ্নে থমকালো আবেশ ৷ সে কেন রেগে আছে নিজেও জানে না৷ সকালে মাধুর্য তার কথা শোনে নি বলেই হয়তো ৷ তবে এই রাগ তো অহেতুক ৷ নিজের মনকে বুঝালেও প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক সে৷ তাই গম্ভীর গলায় বলল,
‘ না৷ মেডিসিন নিয়েছো?’
‘ আপনার কথার ধরণে রাগ প্রকাশ কেন,আবেশ?’ মাধুর্য আবেশের প্রশ্ন উপেক্ষা করে পাল্টা প্রশ্ন করলো ৷ আবেশ রেগে কিছু বলার জন্য মাধুর্যের দিকে তাকাতেই থমকে যায়৷ নিজেকে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা চালায়৷ বারবার মনে করে মাধুর্যের কান্না ভেজা মুখ৷ সাথে সাথেই শাহেদ আর রাব্বীর প্রতি রাগ বাড়ে৷ নিজের কন্ঠে শীতলতা এনে বলল,
‘ টায়ার্ড লাগছে ৷ তুমি ঘুমিয়ে পড়ো৷’
‘ আবেশ৷’ আবেশ পাঁ বাড়াতেই মাধুর্য ডেকে উঠে ৷ আবেশ পেছন ফিরে ভ্রুকুটি করে তাকিয়ে বলল,
‘ কিছু বলবে?’
মাধুর্য এগিয়ে গেলো আবেশের দিকে৷ তোয়ালে বাড়িয়ে দিয়ে মৃদু কন্ঠে বলল,
‘ আমার উপর আপনার রাগ কী জন্য আমি ধরতে পারছি না৷কেন বলুন,তো?’
‘ আমার রাগের কারণ মাধবীলতা৷ তুমি তো মাধুর্য৷ তাই রাগের কারণ উপলব্ধি সেই করতে পারবে৷’
আবেশের প্যাচানো কথায় মাধুর্য অবাক চোখে তাকালো৷ আবেশ তোয়ালে নিয়ে কখন চলে গেছে সে টের পায় নি ৷ মাধবীলতা ডাকটা তার ভেতর শুষে নেয়৷ অন্তর কাঁপিয়ে দেয়৷ সে ছুঁতে পারে না আবেশের রাগ৷ নিজের দোষ হাতড়ে বেরিয়ে আবারো ব্যর্থ হয় মাধুর্য ৷
___________
শাঁ শাঁ বাতাসের তীব্রতা প্রকৃতির মাঝে বিচরণ করছে৷ চাঁদ নেই আকাশের কোলে৷ ঝিমিয়ে থাকা অন্ধকারে জ্বলছে ল্যাপটপের আলো৷ ব্যস্ত আঙুল একের পর এক অক্ষরে হাত বুলিয়ে বাক্য তৈরি করছে৷ কেঁপে উঠা গাছের ডগা থেকে ঝড়ে পড়লো একটু আগে বিদায় নেওয়া বৃষ্টির অংশ৷ আবেশের চোখেমুখে কোনো ভাবান্তর নেই৷ ফ্রেশ হয়েই বসেছে বারান্দায় ৷ সে যখন বারান্দায় আসছিলো মাধুর্য তখনো সোফায় বসে ছিলো ৷ আসার আগে বলে এসেছিলো,
‘ ঘুমিয়ে পড়ো আমার কাজ আছে৷’
মাধুর্য নিস্তব্ধ ভাবে তাকিয়ে ছিলো অনেকটা সময়৷ চোখের নীচে কালী পড়েছে তার ৷ সুন্দর টানা টানা চোখ গুলো কল্পনা করলো আবেশ৷ সাথে সাথে বুকের মাঝে ধক করে উঠলো তার৷ ল্যাপটপ রেখে উঠে দাঁড়ালো৷ সে মাধুর্যের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে চেয়েও ব্যর্থ হচ্ছে বারেবারে। নিজের ভুল বুঝতে পেরে পাঁ বাড়ালো রুমের দিকে৷
মাধুর্য সোফায় পা গুটিয়ে বসে আছে৷ আবেশ কিছুটা এগিয়ে যেতেই বুঝতে পারলো মাধুর্য কাঁদছে ৷ কান্নার কোনো শব্দ নেই ৷ আবেশ মাধুর্যের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো ৷ হাত বাড়িয়ে কাঁধ ছুঁয়ে দিতেই মাধুর্য কেঁপে উঠে বলল,
‘ মেরো না,প্লীজ মেরো না ৷ আমি সত্যি জানি না আম্মু কোথায়৷’
‘ মাধু..মাধু.. ‘ আবেশ নরম সুরে ডাকলো৷ মাধুর্য প্যানিক হয়ে গেছে ৷ এটা মূলত একা থাকার জন্যই হচ্ছে সেটা খুব বুঝতে পারছে আবেশ ৷ একা থাকলে ওইসব তিক্ত অতীত তার পিছু ঘুরে যার দরুণ গুমরে ওঠে মাধুর্য ৷
আবেশের মৃদু কন্ঠের আওয়াজ মাধুর্যের কানে যেতেই আরো কুঁকড়ে গিয়ে বলল,
‘ কাছে আসবেন না৷ রাব্বী ভাই ওনাকে ঘর থেকে যেতে বলো৷ রাব্বী ভাই…এবারের মতো আমায় ছেড়ে দাও৷’
আবেশের রাগ লাগছে নিজের প্রতি৷ ইরা বারবার বলেছিলো মাধুর্যকে একা না রাখতে তবুও সে সেটাই করছে ৷ আবেশ মাধুর্যের বা কাঁধে হাত রেখে আরেক হাত থুতনিতে রেখে বলল,
‘ তাকিয়ে দেখো মাধু তোমার আবেশ ভাইয়া তোমার সামনে ৷’
মাধুর্য তাকালো ৷ আবেশের দিকে তাকিয়ে পুরো ঘরে চোখ বুলিয়ে কাঁপা কন্ঠে বলল,
‘ ও..র..রা নেই?’
‘ না কেউ নেই৷ তুমি আর আমি আছি,দেখো৷’
নিজের অবস্থান বুঝতে পেরে মাধু স্বাভাবিক হলো খানিকটা ৷ বারবার মনে হয় এই বুঝি আবার মারবে তাকে ৷ আবেশের দিকে তাকিয়ে ভেজা কন্ঠে বলল,
‘ আপনি ঘুমিয়ে পড়ুন আমি ঠিক আছি৷’
‘ কিচ্ছু ঠিক নেই মাধু ৷ তুমি ঠিক নেই৷’
মাধুর্য আবেশের দিকে তাকালো৷আবেশের চোখেমুখে চিন্তার ছাপ ৷ ক্লান্ত মুখ৷ আধভেজা চুল গুলো ল্যাপ্টে আছে কঁপালে ৷ হালকা শ্যামবর্ণ মুখে সুদর্শনতার হাজারো ছাপ ৷ মাধুর্যকে একভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে আবেশ কেশে উঠলো ৷ মাধুর্য দৃষ্টি সরিয়ে বলল,
‘ আপনি কাজ করছিলেন৷ সর্যি,ডিস্টার্ব করার জন্য৷’
‘ কাজ শেষ৷ গল্প করবে মাধুর্য? সারারাত? সেই ছোটবেলার মতো৷’ আবশের সহজ ভঙ্গির কথা ঠিক হজম হচ্ছে না মাধুর্যের ৷ আবেশ আবারো বলল,
‘ উত্তর দাও৷’
‘ হ..হ্যাঁ,তবে আপনি ঘুমাবেন না?’
‘ একটা রাত নির্ঘুম যাক,ক্ষতি তো নেই৷’
মাধুর্য বেশ অবাক হচ্ছে ৷ আবেশ স্বাভাবিক৷ সারাদিনের রেগে থাকা আবেশের এমন আমূল পরিবর্তন কী করে সম্ভব ভেবে পায় না মাধুর্য ৷ এই রাগ আবার এই শান্ত,কোমল আবেশ৷ তার কোন সত্তা সত্যিকারের আবেশের রুপ ?
_____________
ল্যাম্পপোস্টের মিটমিটি আলোতে কাঁটছে অন্ধকার৷ থেকে থেকে জ্বলে উঠছে নিভে থাকা ল্যাম্প গুলো ৷ বৃষ্টিস্নাত রাস্তা অল্প আলোতে চিকচিক করছে ৷ ভিজে ওঠা সাদা বেলীফুল থেকে সুবাসে বিমোহিত হচ্ছে চারিপাশ ৷ বিশাল আকাশের কোথাও কোথাও আলোর ঝলকানি ঝলমল করে নিভে যাচ্ছে অজানা কোথাও ৷ আবেশ দাঁড়িয়ে আছে তার সামনেই মাধুর্য বাইরের দিকে দৃষ্টি মেলে আলো-আঁধারির খেলা দেখছে ৷ নীরবতা ভেঙ্গে আবেশ বলল,
‘ রূপগঞ্জ থেকে সিলেট কবে এসেছিলে?’
আবেশের প্রশ্নে মাধুর্যের হেলদোল দেখা গেলো না৷ বাইরের দিকে দৃষ্টি রেখেই বলল,
‘ আপনারা চলে আসার ঠিক আট বছর পর ৷ যখন আমি ক্লাস টেনে উঠেছি৷’
আবেশ অবাক হলো না ৷ স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন করলো,
‘ মেহরুন আন্টি হারিয়ে যাওয়ার আগে কিছু বলেছিলো তোমায়?’
মাধুর্য চোখে বোজে ফেললো৷ মনে করার চেষ্টা করলো৷ উঁহু,কিছু বলে নি ৷ সেদিন আর পাঁচটা দিনের মতোই স্বাভাবিক ছিলো৷শাহেদ অফিস থেকে ফেরার সময় হাত ভর্তি চকলেট নিয়ে এসেছিলেন ৷ তবে শাহেদ আর মেহরুনের মাঝে কথাবার্তা একদম হতো না৷ কেন হতো না সেটা মাধুর্য জানে না৷ শুধু তার মা মেহরুন গভীর রাতে কাঁদতেন ৷একবার দুইবার দেখেছিলো মাধুর্য ৷ আর সব স্বাভাবিক ছিলো৷
‘ বললে না,যে!’
‘ না বলে নি৷’
‘ সিলেট আসার পর আমাদের খোজ করেছিলে,মাধুর্য?’
আবেশের কথা শুনে মাধুর্য হাসলো ৷ বিষাদময় কন্ঠে বলল,
‘ করেছিলাম অনেক করেছিলাম৷ তবে পাই নি ৷ একবার বাসা থেকে পালিয়ে গিয়েছিলাম রাব্বীর চোখ ফাঁকি দিয়ে জানেন তারপর কী হয়েছিলো?’
মাধুর্যের প্রশ্নে নড়েচড়ে উঠলো আবেশ৷ মেয়েটার যে অনেক সহ্য ক্ষমতা সেটা আবেশ খুব জানে৷ ছোট মাধুর্য রক্ত দেখলে ভয় পেতো আর আজ তার শরীরের হাজার রক্তের ছিটে থাকলেও নির্বিকার ভাবে তার বর্ণনা দিচ্ছে ৷ আবেশের জবাব না পেয়ে মাধুর্য বলল,
‘ এইযে আপনি যেটাকে মেঘমালা বলতেন না? সেটা পুড়িয়ে দিয়েছিলো ৷ সেদিন অর্ধের চুল পুড়ে যাওয়ার পর আমার দিকে পানি ছুড়ে মেরেছিলেন লতা বেগম৷ মরতে মরতে বেঁচে আছে মাধুর্য ৷’
আবেশ মাধুর্যের চুলের দিকে তাকালো ৷ হুট করে নিজে হাত দিয়ে খুলে দিলো মাধুর্যের চুল ৷ মাধুর্য বলল,
‘ চিহ্ন পাবেন না,আবেশ৷ লতা বেগম আমার চুল ভালোবাসতেন৷ সে কেটে দিয়েছিলো পুড়ে যাওয়া চুল৷’
‘ ওনি ও তোমাকে মারতো?’
‘ না৷ সে কখনো আমাকে ছুঁয়ে দেখে নি৷’
‘ আবার পড়াশোনা করবে,মাধুর্য?’ প্রসঙ্গ পাল্টানোর জন্য আবেশ বলল৷ মাধুর্য তাকালো আবেশের দিকে ৷ সে করতে চায় পড়ালেখা৷ অবশ্যই করতে চায়৷ আবেশ মাধুর্যকে বলার সুযোগ না দিয়ে নিজে বলল,
‘ সব কিছু আগের মতো হয়ে যাবে মাধুর্য৷ ঠিক তোমার ছোটবেলার মতো৷ মেহরুন আন্টিও ফিরবেন৷’
আবেশের কথা শুনে মাধুর্য অবাক হয়ে বলল,
‘ সত্যি বলছেন আপনি? সত্যি’ই আমি আমার মা’কে দেখতে পাবো আবার?’
মাধুর্যের প্রশ্নে থতমত খেয়ে গেলো আবেশ৷ নিজেকে স্বাভাবিক করে বলল,
‘ দুনিয়া রহস্যে মোড়া৷ হতেও তো পারে হুট করে একদিন মেহরুন আন্টি তোমার ঘুম ভাঙ্গার আগে চলে এলেন৷’
আবেশের কথায় মাধুর্যের চোখে পানি চিকচিক করছে ৷ হঠাৎ করে সব নিস্তব্ধ হলে কান্নার সুর ভেসে আসে৷ মাধুর্য চমকে উঠলো সাথে আবেশ৷ মাধুর্য ভয়ার্ত কন্ঠে বলল,
‘ কে কাঁদছে? আম্মু’মা ঠিক আছে তো? আবেশ..শ..’
আবেশ মনোযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করলো৷ যখন বুঝতে পারলো কান্নার আওয়াজ কার তখন মাধুর্যকে উদ্দেশ্য করে বলল,
‘ রুমে চলো৷ ঘুমিয়ে পড়ো৷’
মাধুর্য আবার প্রশ্ন করতেই আবেশ ধমকের সুরে বলল,
‘ এতো জানার আগ্রহ কেন তোমার? ঘুমুতে বলেছি মাধুর্য৷ এখন আর রাত জাগতে হবে না৷’
আবেশের কথায় থেমে গেলো মাধুর্য৷ কান্নার আওয়াজটা সরু৷ কেউ করুন স্বরে কাঁদছে৷ তার গলায় উঁপচে পড়ছে হাজারো বেদনার রেশ৷ মাধুর্যের ভেতর কাঁপছে ৷ কে কাঁদছে এমন করুন স্বরে?
চলবে….
[ ভেতরে বাহিরে নামটাই সাসপেন্স৷ এইটা বুঝতে হবে৷ যাদের পড়ার আগ্রহ আছে তারা সাথে থাকবেন৷ নর্মাল রোম্যান্সধর্মী স্টোরি না এইটা৷ এক পর্বে সুখ আরেক পর্বে দুঃখ থাকবেই৷ যাদের মনে হচ্ছে আমি বেশি পর্ব বাড়ানোর জন্য এমন করছি তাহলে আমার কিছু করার নেই৷ আমি যে ভাবে ভেবেছি সেইভাবেই লেখবো৷ শেষটা ভাবা আর কত পর্বে সমাপ্তি হবে সেটা ভেবে রেখেই তো শুরু করেছি৷ভুল ক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ আজ প্রচন্ড ঝামেলার মাঝে লেখেছি আশা করি বুঝবেন]