#ভালোবাসি_হয়নি_বলা
#লেখকঃmahin_al_islam
#পর্বঃ১৮
উনি হঠাৎ করে উনার একটা হাত আমার পেটে নিয়ে গেল এবং পেটে অনেক জোরে চেপে ধরল
আমি ভয় কাঁদতে লাগলাম আর চোখ দুটো অনেক জোরে বন্ধ করে রেখেছি অনেক চেপে ধরে,,,
তারপর উনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে যেটা করলো
সেটা আমি ভাবতে পারিনি কারণ এত সহজে উনি এই কাজগুলো করবে
হঠাৎ করে উনি আমাকে কোলে তুলে নিলেন
আমি অনেক শক্ত করে উনার গলা জড়িয়ে ধরলাম না জানি কখন কি করে বসে,,
আমিঃ প্লিজ এখন এরকম কিছু করবেন না হসপিটালে যেতে হবে,, আমাকে নামিয়ে দিন (ছোট বাচ্চাদের মতো লাফালাফি করতে লাগলাম)
মাহিনঃ যদি আরেকবার লাফালাফি করা তো সোজা কোল থেকে ফেলে দিয়ে কমর ভেঙে ফেলব তখন আর লাফালাফি করা তো দূরের কথা হাঁটতে পারবে না,,
আমিঃ এই না না এসব কিছু করবেন না প্লিজ এরকম কিছুই করবেন না এখন হসপিটালে যেতে হবে বোঝার চেষ্টা করুন নিজেকে একটু শান্ত রাখুন
মাহিনঃ তুমি তো আমাকে শান্ত থাকতে দিচ্ছ না এত কিউট কেন তুমি এত কিউট কেন তোমাকে দেখলে তোমার উপরে আলাদা একটা অনুভূতি জাগে কেন তুমি এত সুন্দর কেন বলতো আমাকে
আমিঃ উফফফ সেটা আমি কিভাবে বলব আমি এত সুন্দর কেন যদি আপনার আমার সুন্দর উপর হিংসা হয় তাহলে আমার মুখে কালি মেখে দেন
মাহিনঃ এখন চুপচাপ থাকব আমাদের রোমান্স হবে গোসল করে চলে যাব হসপিটালে
আমিঃ আমার এখন গোসল করার কোন ইচ্ছা নেই,,,
মাহিনঃ তাহলে আর কি করার আমার কাজ আমাকে করতে হবে তুমি চুপচাপ শুয়ে থাকো( চোখ মেরে কথাটা বললেন উনি আমার একদম অসহ্য লাগছে কিন্তু অনেক ভালো লাগতেছে উনার এরকম ভালবাসা দেখে )
আমিঃ এই না না একদম না এসব কিছুই করবেন না এখন গোসল করতে ভালো লাগতেছে না এখন পরে গোসল করব
আমার কথা মনে হয় উনার কানে পৌঁছাচ্ছে না
উনি আমাকে কোলে করে নিয়ে গিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিলেন এবং আমার উপর উনি শুয়ে পড়লেন
আমিঃ উফফফ আপনাকে আমি সহ্য করতে পারি আপনার ওজন পুরাটাই আলুর বস্তা আর সেই আলুর বস্তা আমার উপর শুয়ে থাকলে আমি ভর্তা হয়ে যাব প্লিজ উঠুন
কে শুনে কার কথা উনার ঠোঁট দুটো আমার ঠোঁটে ঢুকিয়ে দিলেন এবং অনেক গভীরভাবে চুম্বন করতে লাগলেন আমার ঠোঁটে এবং চুষতে লাগলেন
আমি ছটফট করতে লাগলাম কিন্তু বেশিক্ষণ ছটফট করতে পারলাম না যখন ওনার গভীর চুম্বন গুলো আমাকে নাড়া দিয়ে যাচ্ছে তখন আমি এমনিতেই থেমে গেলাম আর ইচ্ছা করতেছে না ছটফট করার,,
আমি আমার এক হাত দিয়ে উনার চুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ করে নিলাম এবং অন্য হাত দিয়ে উনার পিঠে খামচি দিয়ে ধরে রাখলাম,,
উনার ঠোঁট দুটো আমার ঠোট থেকে সরিয়ে আমার গলায় ওনার ঠোঁটদুটো বসিয়ে দিলেন আমার অন্যরকম একটা শিহরণ বয়ে যাচ্ছে মনের ভিতর,,,
আমি শুধু চুপচাপ ওনার স্পর্শ গুলোকে কে অনুভব করতে লাগলাম
আসলে ভালবাসার অনুভূতি গুলো যে কি রকম হয় সেটা আমি আজ পর্যন্ত জানিনা কোনদিন এরকম ভাবে কারো সংস্পর্শে আসি নি আজকে প্রথম
আস্তে আস্তে আমরা দুজন হারিয়ে গেলাম ভালোবাসার সুখের সাগরে যে সাগরের কোন তলদেশ নেই
কিছুক্ষণ পর উনি আমার শরীরের উপর উনার শরীরটা এলিয়ে দিয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলেন আর আমিও জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলাম ,,,
এই অনুভূতি তার ব্যাখ্যা আমি দিতে পারবো না এটা যে অন্য রকম একটা অনুভূতি
বেশ কিছুক্ষণ পর আমার মনে পরলো আমাদের তো হসপিটালে যেতে হবে এখন তো তিনটা বাজে আম্মু মনে হয় আমার জন্য টেনশন করতেছে
আমিঃ এই যে মিস্টার এখন কিন্তু তিনটা বাজে হসপিটালে যেতে হবে আম্মুকে বলে এসেছি আমি দুপুরের আগে ওখানে ফিরে যাব এখন তিনটা বাজে আমাকে নিয়ে হয়তো আম্মু এখন টেনশন করতেছে
মাহিনঃ এই তো গোসল করে আমার চলে যাব অই যে ওই দিকে ওয়াশরুমে যাও ফেরেস হয়ে আসো তারপর আমি ফিরে আসবো
আমি আর কিছু না বলে চুপচাপ ওয়াশরুমে চলে গেলাম
গিয়ে খুব তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে নিলাম কারণ আমাকে এখন হসপিটালে যেতে হবে আমার এখন খুব টেনশন হচ্ছে আম্মু কিনা কি জানি ভাবতেছে আমাকে নিয়ে হয়তো আমাকে নিয়ে অনেক টেনশন করতেছে এখন
আমি ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে দেখি উনি সবকিছু পড়ে রেডি আছে বুঝলাম না উনি মনে হয় অন্য রুমে ফিরে ফ্রেশ হয়ে এসেছে যাই হোক অনেক ভালো হয়েছে আর দেরি করতে হবে না
আমাকে দেখে ওমনি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে বুঝলাম না এই রকম অদ্ভুত আচরণ করার কি আছে মাঝে মাঝে এমন অদ্ভুত আচরণ করে যেটা আমার বোঝার ক্ষমতার বাইরে
আমিঃ কি হয়েছে এখন আর কি হলো এরকম তাকিয়ে আছেন কেন নিন তাড়াতাড়ি নিন আমাকে যেতে হবে খুব টেনশনে আছি
মাহিনঃ আচ্ছা চলো এখন আর কিছু হচ্ছেনা যদি তুমি অনেক টেনশন আছো তোমার টেনশন মুক্ত করতে হবে চলো
তারপর মাকে আর ছুটকি কে বলে বেরিয়ে পড়লাম বাসা থেকে কারণ এখন খুব তাড়াতাড়ি হসপিটালে যেতে হবে ডক্টর সাথে কথা বলতে হবে তারপর রিলিজের ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করতে হবে ডক্টর সাথে
আমি গাড়িতে গিয়ে বসলাম আর উনি গাড়ি চালাতে লাগলেন
মাহিনঃ আচ্ছা আমাকে একটা কথা বলতো
আমিঃ কি কথা বলুন
মাহিনঃ আম্মু তোমাকে তখন কি কি বলছে আমাকে বলো প্লিজ
আমিঃ অহ এই কথা তেমন কিছু বলেনাই নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন
মাহিনঃ আরে আমি ওসব শুনতে চাইনি কি বলেছে সেটাই শুনতে চেয়েছি বলা যাবে কিনা
আমিঃ না এখন বলতে পারব না পরে
মাহিনঃ এখন বললে কি হবে আমি এখন শুনতে চাচ্ছি আমি এখন শুনবো
আমিঃ না আমি এখন বলতে পারব না আর এখন আমার ইচ্ছা হচ্ছে না আপনার সাথে সব কথা শেয়ার করার বুঝছেন তাই খুব তাড়াতাড়ি গাড়ি চালান হসপিটালে যেতে হবে
মাহিনঃ এই মেয়ে এত ঝগড়া করো কেন বললে কি হয় সামান্য একটু কথা বলবো তাই না
আমিঃ কি বললেন আমি ঝগড়া করি আমি ঝগড়াটে মেয়ে তাইনা
মাহিনঃ উফফফ আমি কখন বললাম যে তুমি ঝগড়াটে মেয়ে
আমিঃ তুই আবার মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে আপনি আমাকে ঝগড়াটে মেয়ে বলেননি
মাহিনঃ আরে আমি কখন বললাম কি শুরু করলেন গাড়িতে ঝগরা করা লোকে শুনলে কি বলবে
আমিঃ আমি লোকের ধার ধারিনা আপনি আমাকে ঝগড়াটে মেয়ে বললেন জন্য সেটা বলেন না
মাহিনঃ আরে বাবা আমি তোমাকে কখন ঝগড়াটে মেয়ে বললাম আর যদি বলে থাকি ভুল করে বলছি আমি প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও এখন আমি গাড়ি চালাচ্ছি রাস্তাগুলোকে শুনলে বলবে এরা ঝগড়াটে কাপল
আমিঃ আপনি আমার সাথে কথা বলবেন না আপনার সাথে আড়ি ( মুখটা গোমড়া করে ওনার দিক থেকে অন্য দিকে তাকিয়ে রইলাম)
মাহিনঃ বললাম তো ভুলে বেরিয়ে গেছে হয়তো আমার তো স্মরণ হচ্ছেনা আমি কখন বলেছি যদিও বলে থাকি তাহলে সরি প্লিজ এরকম গোমরা মুখ করে থাকো না তোমাকে দেখতে একদম বাজে লাগে
আমিঃ আমাকে দেখতে তো ভালো লাগবেই এখন এখন তো আর ভালো লাগবে না আমাকে আমি তো জানি
মাহিনঃ মানে
আমিঃ আমিতো এখন পুরনো হয়ে গেছে নতুন কাউকে লাগবে তাই না
মাহিনঃ এই মেয়ে থাপ্পর শানু থাপ্পর একটা থাপ্পর দিয়ে সবগুলো দাঁত ফেলে দেবো
আমিঃ হ্যাঁ তাইতো করতে পারবেন তাছাড়া তো আর কিছুই করতে পারবেন না
মাহিনঃ আর এরকম কোন ঝগড়া করার কি আছে
আমিঃ আপনি আমাকে ঝগড়াটে মেয়ে বললেন কী জন্য আমি কি আপনার সাথে সবসময় ঝগড়া করি তাই না
এরকম করে ঝগড়া করতে করতে, দুজনের মধ্যে খুনসুটি চলতে থাকলো আমি ইচ্ছে করে উনার সাথে ঝগড়া করলাম ??
উনাকে এরকম করে জব্দ করতে বেশ মজাই লাগতাছে আমার কিরকম বাচ্চা ছেলেদের মত আমাকে ভয় করতেছে এখন
দুজনের ঝগড়া করতে করতে হসপিটালে পৌঁছে গেলাম
আমি গাড়ি থেকে আগে আগে নেমেই হসপিটালের ভিতরে ঢুকে গেলাম উনি আমার পিছনে পিছনে আমাকে ডাকতে ডাকতে চলে আসতেছে
আমি হসপিটালের এক কোনায় গিয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম উনি দেখে আমাকে খুজতে লাগল এদিক থেকে ওদিক এদিক থেকে আমি এখানে দাড়িয়ে মজা নিতে লাগলাম
হঠাৎ করে দেখলাম উনি আর আমাকে খুজতেছে না বুঝলাম না অনেকেই তাহলে চলে গেল
আমি আড়াল থেকে বেরিয়ে একটু উঁকি দিয়ে দেখি না গাড়িতে ওখানেই আছে তাহলে উনি কই গেল
এসব ভাবতে ভাবতে আমি আমার ভাইয়েরা জমিনে পোস্ট করলাম ক্যামেরা পুরুষ করে দেখি
মা আর ভাই দুজনে কথা বলতেছে আমাকে নিয়ে
আমিঃ আরে ভাইয়া এইতো আমি এসে গেছি আর টেনশন করতে হবে না আর কালকে তোমাকে বাসায় নিয়ে যাব
আম্মুঃ তুই না বললি দুপুরের আগে চলে আসবি আর এখন বাসে বিকাল চারটা এতক্ষণ তো আসার সময় হলো বাসায় এতক্ষণ কি কি কাজ করলি তুই
আমিঃ আরে আম্মু আর বলো না রাস্তায় যখন বাসায় যাচ্ছি তখন আমার এক বান্ধবীর সাথে দেখা ও জোর করে ওর বাসায় নিয়ে গেল ওর বাসা থেকেই বাসায় গেছিলাম দুপুরে দুপুরে বাসা থেকে এখন চলে আসলাম
( আম্মুকে এখন সত্যিটা বলা যাবেনা আলাপ এর মাধ্যমে সব কিছু আমাকে বুঝিয়ে বলতে হবে)
আম্মুঃ যা তো মা ডক্টরের সাথে কথা বলে আয় কালকে কি কি করতে হবে আমাদের
আমিঃ আচ্ছা আম্মু
তারপর আমি কেবিন থেকে বেরিয়ে ডক্টর কেবিনে যেতে লাগলাম
ডক্টর কেবিনেট যেই প্রবেশ করব তখন একটা কথা আমার কানে চলে আসলো
আমি আর কেবিনের ভেতর প্রবেশ করলাম না চুপচাপ ওখানে দাঁড়িয়ে শুনতে লাগলাম কথাগুলো,,,
এইগুলো আমি কি শুনতেছি আমার নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারতেছিনা
কেন হলো আমার সাথে এরকম টা কেনো কেনো?
চলবে……..
#ভালোবাসি_হয়নি_বলা
#লেখকঃmahin_al_islam
#পর্বঃ১৯ ( অন্য রকম পর্ব)
আমিঃ আপনি কি আমাকে দয়া দেখাচ্ছেন কেনও বলুন তো আপনি আমার সাথে এরকম করতেছেন আমি কি একটুও ভুল করছি আপনার সাথে যার কারণে আপনি সবসময় আমার এইরকম উপহার করেন বা ক্ষতি করেন কেন
আমাকে দেখে অনেক হকচকিয়ে উঠলেন মনে হয় ভাবতে পারেনি আমাকে এসময় এখানে দেখবে
আমিঃ প্লিজ বলুন না কি এমন করেছি যার জন্য আপনি আমার সাথে এরকম করতেছেন আমাকে এত দয়া জানার কি আছে
মাহিনঃ প্লিজ না করো না করো আমি তোমাকে পরে সব বুঝিয়ে বলব এখন এটা হসপিটাল এখানে প্লিজ সিনক্রেট করো না
আমিঃ আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর দেন আপনি কেন আমাকে এভাবে দয়া দেখাচ্ছেন কেন আমাকে এভাবে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন আপনি
মাহিনঃ দীপা বোঝার চেষ্টা করো এটা হসপিটাল অন্য কিছু নয় এখানে অনেক পেশেন্ট এর সমস্যা হবে তোমার এত জোরে জোরে কথা বলার কারণে আর তুমি এভাবে কান্না করতেছ কেন
আমি অনেক জোরে জোরে কান্না করতে লাগলাম এটা মেনে নিতে পারছি না কেন সেটা আমি নিজেও জানিনা আমার বুক ফেটে কান্না বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে,, কেন আমার সাথে এরকম হয়
আমি কান্না করতে করতে দেয়ালের সাথে পিঠ লাগিয়ে আস্তে আস্তে বসে পরলাম ফ্লোরে
আমার এই রকম অবস্থা দেখে উন এগিয়ে আসলেন আমাকে তুলতে
ওনি যেই আমার দুই বাহু ধরেছে আমি ওনাকে এক ঝটকা দিয়ে একটা থাপ্পর বসিয়ে দিলাম উনার গালে
আমিঃ আপনি আর কখনো আমার সামনে আসবেন না আমি চাই না আপনি আমার সাথে আর থাকুন আমি চাই না আপনি আমার সামনে আসুন আমি চাইনা আপনি আমাকে দয়া দেখান আমি চাইনা আমি কিছু চাইনা আমি শুধু এটা চাচ্ছি এখন আপনি আমার চোখের সামনে থেকে চলে যান নয়তো আমি কি করে বসবো সেটা আমি নিজেও জানিনা
আমি অনেক জোরে জোরে কান্না করতে লাগলাম আর কান্না করতে উনাকে অনেক কথা শুনিয়ে দিলাম আমার মাথার ছিট খারাপ হয়ে গেছে কি কি বলতেছি আমি নিজেও জানিনা আমার নিজের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছি
মাহিনঃ দেখো হয়তো তুমি এটা মেনে নিতে পারতেছো না এখন তোমাকে ঠান্ডা মাথায় বুঝতে হবে কোথাও বসে আর এই নাও পানি পান করে নাও তাহলে তোমার রাগটা চলে যাবে
আমি গ্লাসটা হাতে নিয়ে ওনার মুখের উপর ছুড়ে মারলাম উনার কপালটা ফেটে রক্ত বের হতে লাগলো এটা দেখে ডক্টর ওনাকে ধরতে আসলেন উনি ডক্টর কে বাধা করলেন যাতে যেন ডক্টর উনার গায়ে হাত না দেয়
আমি এখনো ওখানেই বসে অনেক জোরে জোরে কান্না করেই যাচ্ছি
উনি ওখান থেকে অনেক রেগে আমার কাছে এসে আমাকে দাড় করিয়ে কয়েকটা থাপ্পর মারলো আমি থাপ্পর টাল সামলাতে না পেরে আবার ফ্লোরে পড়ে গেলাম,,
আমাকে থাপ্পড় মেরে ফেলে দিয়ে উনি হনহন করে কেবিন থেকে বাহিরে বেরিয়ে গেলেন আর আমি ওনার মুখটা দেখতে পেলাম না
আমি ওখানে বসেই কান্না করতেছি ডক্টর অবাক হয়তো ডক্টর এটা আমাদের কাছ থেকে আশা করেনি কখনো
ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক
??,,,???
এতো কাছে ছিলে তবুও,
করি নি খেয়াল
তোমার আমার মাঝে,
অদৃশ্য দেয়াল
তোমাকেই বুঝি খুঁজেছি,
আমি এতোকাল
এক ঝলকেই বদলে গেলো,
আমার দিনকাল
যাকে চেয়েছি, তাকে পেয়েছি,
সুন্দর হলো সকাল
আমি জেনেছি, আমি মেনেছি,
তুমি আমার চিরকাল…
আমার শুধু একটা তুমি চাই
তা কি বোঝনা ?
তুমিও আমাকে ছাড়া, কিছু খোঁজনা (x2)
খোঁজনা ..
হাসলে তুমি, হাসে সবুজ,
সুখে ভরে থাকে, চারপাশ
তুমি তাকালে, রোদে ভাসে,
মন খারাপের আকাশ
যাকে চেয়েছি, তাকে পেয়েছি,
সুন্দর হলো সকাল
আমি জেনেছি, আমি মেনেছি,
তুমি আমার চিরকাল…
আমার শুধু একটা তুমি চাই
তা কি বোঝনা ?
তুমিও আমাকে ছাড়া, কিছু খোঁজনা (x2)
খোঁজনা ..
রাখি তোমায়, চোখের নীলে
ছায়ায় তোমার, বারো মাস
থাকি আমি, তোমার খোঁজে
ছড়িয়ে সুবাস
যাকে চেয়েছি, তাকে পেয়েছি,
সুন্দর হলো সকাল
আমি জেনেছি, আমি মেনেছি,
তুমি আমার চিরকাল…
আমার শুধু একটা তুমি চাই
তা কি বোঝনা ?
তুমিও আমাকে ছাড়া, কিছু খোঁজনা (x4)
খোঁজনা
???????
মাহিন হসপিটাল থেকে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে অনেক স্পিডে গাড়ি চালাতে লাগল রাস্তায় কোন ট্রাফিক আইন না মেনে অনেক হাই স্পিডে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে
আর এই দিকে দীপা ওখানে বসে কান্না করতেছে আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক টা বাজতাছে দুজনের চোখেই পানি
মাহিন গাড়ি চালাচ্ছে আর হাত দিয়ে চোখের পানিগুলো বারবার মুছে ফেলতেছে
আর দিপা দুই হাঁটুর মাঝখানে মাথাটা রেখে কান্না করেই যাচ্ছে
হঠাৎ করে মাহিন লুকিং গ্লাসে দেখল তাতে একটা গাড়ি অনেকক্ষণ থেকে ফলো করতেছে সে বিষয়টা বুঝতে পারল না আসলে ঘটনাটা কী হতে যাচ্ছে তার সাথে আজকে
গাড়িটা তাকে অনেকক্ষণ তোকে ফলো করতেছে
এবং গাড়িটা অনেক স্পিড আসতাছে এবং একসময় মাহিনের গাড়ি কে কোর্স করে মাহিনের গাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়ালো
যার ফলে মাহিন অনেক দ্রুত হার্ট ব্রেক করতে গেলে মাহিনের মাথায় বাড়ি লাগে
আর গাড়িটা উল্টো হয়ে যায়
মাহিন দেখতে পেল ওই গাড়িটা থেকে
সেদিন যে মেয়ে দুটো কে থাপ্পড় মেরেছিল সেই মেয়ে দুটো বেরিয়ে আসলো এবং তার সাথে কয়েকটা ছেলে
ছেলেগুলোর হাতে হকিস্টিক কারো হাতে চুড়ি কারো হতে গান
১ম মেয়েঃ কিরে কুত্তার বাচ্চা সেদিন তো অনেক বকবক বকবক করলি সেদিনে তোকে পুঁতে ফেলতে পারতাম কিন্তু তখন মজা পাইতাম না এখন তোকে ইচ্ছামত মারবো অনেক মজা করব তোকে মেরে
২য় মেয়েঃ তুই জানিস কাদের কাছে দুই হাত তুলে ছিলি তোর ভাগ্যটা ভালো সেদিন আমাদের কোন মুড ছিল না তোকে মারার কিন্তু আজকে কেন জানি তোকে দেখে মুডটা জেগে উঠলো, , অনেক আফসোস হচ্ছে জানিস কারন আমি এই প্রথম আমার কোনো ক্রাশকে মেরে ফেলতে যাচ্ছি হাহাহাহা
মাহিন মনে মনে ভাবতে লাগল আজকে তোর শেষ দিন সে হয়তো আর কোনদিন দীপার ঐ মুখটা দেখতে পাবে না তার ভাগ্যে এটাই ছিল
মাহিন ভাবতাছে তার জীবনটা বড়ই অদ্ভুত
যাকে এত ভালবাসলাম সে আমার মনটা বুঝতে পারল না
আর তার কপালটা অনেক খারাপ আজকে তাকে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে
ছেলেগুলো মাহিনকে গাড়ি থেকে টেনে বাহিরে নিয়ে গেল
এবং হকি স্টিক দিয়ে ইচ্ছামত পেটাতে লাগলো
আর মেয়ে দুটো ভিডিও করতেছে আর মজা নিতেছে
মাহিন অনেক জোরে জোরে চিৎকার করে কান্না করতেছে আর তার মাকে ডাকতেছে
অনেক জোরে জোরে কান্না করতেছে চিৎকার করতেছে তার মাকে ডাকতেছে কিন্তু ছেলেগুলোর পাষান মন
তারা ইচ্ছামত মাহিনকে পিটাতে লাগলো
এইদিকে,,,
দীপা কান্না করতে করতে ওখানেই সেন্সলেস হয়ে পড়ে আছে
হঠাৎ করে একটা নার্স এসে দীপাকে ওই অবস্থা দেখে জোরে একটা চিত্কার করে উঠলো
নার্সের চিৎকার শুনে আরও কয়েকজন ডাক্তার শহ নার্স কেবিনে প্রবেশ করলো
সবাইকে কেবিনে প্রবেশ করে দীপাকে ওই অবস্থায় দেখে তাড়াহুড়ো করে সবাই দীপাকে একটা কেবিনে শিফট করালো
এবং দীপার দ্রুত চিকিৎসা শুরু করলো
বেশ কিছুক্ষণ হয়ে গেলো তাও দিপার জ্ঞান ফিরতে চায় না
ডাক্তার এবং নার্স অবাক এটা কিভাবে সম্ভব
চলবে………