ভালোবাসা এমনও হয় পর্ব-৩০ শেষ পর্ব

0
1507

#ভালোবাসা_এমনও_হয়
#Writer_Nusrat_jahan
#part_30

নীড়ঃ মানে???

নেশাঃমানে আমার একটা বেবি চাই।।

নীড়ঃ ?।।

নেশাঃ আপনি তো আমাকে ভালোবাসেন।। তাহলে আমাকে একটা বেবি দিন ?

নীড়ঃ ?।তুমি যানো তুমি কি বলছো?? তোমার মাথা ঠিক আছে??

নেশাঃ আপনি আমাকে ইনডিরেকলি পাগল বলছেন

নীড়ঃ পাগল কেন বলতে চাইবো।।বাট তুমি যা বলছো তা….

নেশাঃ উফফ আমি এতো কথা বুঝি নাহ।।আমার বেবি চাই মানে চাই?

নীড়ঃ ওকে ওকে।।তুমি পাবে বেবি।।এখন ঘুমায়

নেশাঃ ঘুমালে বেবি পাবো কোথা থেকে

নীড়ঃ উফফ নেশা কি শুরু করলে তুমি।।তুমি জানো তুমি কি বলছো?

নেশাঃ আমি জানি আমি কি বলছি।।আমি বলেছি আমার বেবি চাই।।আচ্ছা কবে দিবেন বলুন

নীড়ঃ আল্লাহ যেদিন দিবেন।।এখন ঘুমাও

নেশাঃ আরে আল্লাহ কি কি শুধু শুধু দিবে নাকি।।?

নীড়ঃ আমার মাথা ঘুরছে নেশা।।তুমি কি ঠিক আছো?

নেশাঃ আমার কি হবে ব*-*

নীড়ঃ ছি এইসব কি ভাষা

নেশাঃ কিছু নাহ গুড নাইট

নেশা ধপ করে শুয়ে পড়লো।।নীড় ব্যাপারটা ঠিকই বুঝতে পেরেছে।।বাট তবুও না বোঝার নাটক করলো।।

নীড় ও লাইট অফ করে শুয়ে পড়লো।

৫ মিনিট পর

নীড়ঃ করুনা করছো আমাকে নেশা

নেশা চোখ খুললো।।এতোক্ষণ চোখ বন্ধ করে ছিলো

নেশাঃ বুঝলাম নাহ

নীড়ঃ মামনি তোমায় কিছু বলেছে তাই নাহ বেবি নিয়ে

নেশাঃ??????

নীড়ঃ আমি তোমাকে কোন কিছুতে বাধ্য তো করিনি নেশা।।তাহলে কেন তুমি ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজটা করতে চাইছো।।আমি তো বলেছি তোমাকে আমি নিজের জীবনে পেয়েছি এটাই আমার কাছে অনেক কিছু।।বাট তুমি আজ কেন তাহলে মামনির কথায় এতো বড় একটা কথা বললে নেশা।।মামনি জানে নাহ তাই হয়তো এইসব বলে ফেলেছে।।বাট তুমি….

নেশাঃ যাস্ট স্টপ ?।।আপনার কি মনে হচ্ছে আমি মামনির কথায় আপনাকে এইসব বলেছি

নীড়ঃ আমি শুনেছি বাইরে থেকে।মামনি তোমায় কি বলেছে।।নেশা প্লিজ নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এমন কোন কাজ করো নাহ তাহলে আমি নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারবো নাহ।

নেশার কেন জানি মাথায় রক্ত উঠে গেল।। লোকটাকে এতো কিছু করেও কিছুই বুঝানো গেল নাহ।।সে কিনা ভাবছে আমি নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এইসব বলছি।।
কথা গুলো ভেবেই ফুফাচ্ছে নেশা।।প্রচন্ড পরিমানে রাগ উঠছে তার।।তার কারন নেশা নিজেও জানে নাহ।

নীড়ঃ দেখ মামনির কথায় হার্ট হয়ে থাকলে আমি মামনির পক্ষ থেকে সরি।

নেশাঃ আপনি চুপ করুন।।আমি আপনার সাথে কোন কথা বলতে চাচ্ছি নাহ??

নীড়ঃ আচ্ছা সরি বললাম তো আমি মামনিকে বুঝিয়ে বলবো

নেশাঃ আপনি আসলেই একটা অদ্ভুত মানুষ।।যাকে এতো ভালোবাসেন তার মনটাই বুঝতে পারলেন নাহ আপনি।।আপনার আমার কথা গুলো শুনে মনে হলো যে আমি আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কথা গুলো বলেছি। লাইক সিরিয়াসলি।। এই আপনি আমায় চিনলেন(জোরে শ্বাস নিয়ে)। যাস্ট অসহ্য লাগছে আপনাকে।।ধুর থাকবোই নাহ আমি এখানে।

নীড়কে কিছু বলার সুযোগ নাহ দিয়ে নেশা রুম থেকে বারান্দায় চলে গেল।।গিয়ে বারান্দার দরজা লাগিয়ে দিলো।।রুম থেকে বের হলে যদি কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করে তাই বের হয়নি।।

নীড়ের মাথাটা দুই মুহুর্তের জন্য কাজ করা বন্ধ করা দিয়েছে।।কি বলে গেল নেশা।।সে নেশার মন পড়তে পারে নাহ।।

নীড়ঃ ধুর এইসব পরে ভাববো।।আগে রাগ ভাঙাই।

নীড় গিয়ে দরজায় বাড়ি দিয়ে নেশাকে ডাকতে লাগলো

নীড়ঃ নেশা প্লিজ দরজা খুলো।।আচ্ছা আই এম সরি৷ আমি ভুল বলে ফেলেছি।।প্লিজ মাফ করে দাও।।বাট প্লিজ দরজা বন্ধ করে থেকো নাহ।।নেশা প্লিজ দরজা খোল

নেশাঃ আপনি এখান থেকে যান।।আমার আপনাকে দেখতে ইচ্ছা করছে নাহ??

নীড়ঃ নেশা তুমি কাঁদছো কেন।।যদি আমার কোন কথায় তুমি কষ্ট পেয়ে থাকো তাহলে প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও।।নেশা

নেশাঃআপনি প্লিজ যান

নীড়ঃ নাহ যাবো নাহ।।তুমি প্লিজ দরজা খোল।।আচ্ছা ঠিকাচ্ছে ।। তুমি যা চাচ্ছো তাই হবে।।বাট প্লিজ দরজা খোল

নেশাঃ আমি আপনাকে বাধ্য করছি নাহ নীড়।।আপনি যখন বুঝতেই পারছেন কেন আমি এইসব করছি তাহলে থাক বাদ দিন।।?

নীড়ঃ?????

নেশাঃ প্লিজ নীড় চলে যান

নীড়ঃ আমি কিন্তু এখন দরজা ভেঙে ফেলবো নেশা।।প্লিজ দরজা খোল

নেশাঃ আপনি এমন কিছু করবেন নাহ।।আর কেন জোর করছেন।।আমাকে একটু একা থাকতে দিন।। প্লিজ

নীড় আর কিছু বললো নাহ।।স্ক্রু এনে দরজার লকটা খুলে ফেললো চুপচাপ।। (স্ক্রু দিয়ে লক খোলে কিনা আমি জানি নাহ।।আন্তাজে ঢিল মারছি।।কেউ ভুল ধইরেন নাহ?)

নেশা নীড়কে দেখে উঠে চলে যেতে নিলো।।নীড় পথ আটকালো

নেশাঃ আপনি এখানে কিভাবে এলেন

নীড়ঃ যেই ভাবেই হোক।।এখন বলো কি হয়েছে।।কেন তুমি কাঁদছো।।প্লিজ আমাকে বলো

নেশা কিছু নাহ বলে নীড়ের দিকে তাকিয়ে চোখ ঘুরিয়ে নিলো

নীড়ঃ কথা বলবে নাহ আমার সাথে এতো রাগ কেন হুম

নেশাঃ রাগ তাদের সাথে করতে হয় যারা আপন।।তাদের সাথে নাহ যারা আমাদের বুঝে নাহ

নীড়ঃ তো আমি কি আপন নাহ

নেশাঃ নাহ আপনি আমায় ভালোবাসেন নাহ।।তাহলে আপন হলেন কিভাবে?

নীড়ঃ কে বলেছে ভালোবাসি নাহ

নেশাঃ তাহলে ভালোবাসুন?

নীড়ঃ ??ভালোবাসিই তো

নেশাঃ ওই ভালোবাসা নাহ।।অন্যভাবে ভালোনাসুন?

নীড়ঃ আচ্ছা তোমার কি হয়েছে বলবে।।আজ এতো অদ্ভুত কথা কেন বলছো

নেশাঃ ??

নীড়ঃ আচ্ছা গুড নাইট।।ঘুমায়।।আমার কিন্তু সত্যি খুব ঘুম পেয়েছে।।

নেশা কে কিছু বলতে নাহ দিয়ে লাইট অফ করে চোখ বন্ধ করে শুয়ে পরলো।।ঘুমায়নি।। নেশার নলা কথা গুলোই ভাবছে।।

নেশা কটমট করে তাকিয়ে ধাপ করে নীড়ের বুকে শুয়ে পরলো।

নীড়ঃ ????.?..

নেশাঃ আমি ঘুমানোর পর তো টেনে বুকেই নিয়ে আসেন।। তো আমি নিজে থেকেই চলে আসলাম।

নীড়ঃ তোমাকে কে বলেছে আমি নিয়ে আসি???

নেশাঃ আমি জানি সব।।

নীড়ঃ ভুল জানো।।আমি কেন তোমাকে নিজের কাছে আনতে চাইবো।।তোমাকে জড়িয়ে ধরা থেকে একটা ক্যাকটাস কে জড়িয়ে দেয়া অনেক ভালো??

নেশাঃ ওহহ তাই।।তাহলে ক্যাকটাস গাছই জড়িয়ে ধরুন।।(উঠতে চেয়ে)

নীড় আবার টেনে নিজের বুকের সাথে চেপে ধরলো।

নেশাঃ কি হলো ছাড়ুন।গিয়ে ক্যাকটাস গাছ জড়িয়ে ধরুন?
(যদিও নাহ নেশার ছুটার ইচ্ছা আছে আর নাহ নীড়ের ছাড়ার ইচ্ছা আছে।)

নীড়ঃ উহু ছাড়বো নাহ।নিজে থেকে না আসলে জোর করবো নাহ।।বাট নিজে থেকে একবার আসলে আর যেতে দিবো নাহ।

নেশাঃ তাহলে নিজে থেকে ভালোবাসতে চাইলে ফিরিয়ে দিচ্ছেন কেন

নীড় ছলছল চোখে নেশার দিকে তাকালো।

নীড়ঃ তুমি কি আদোও জানো নেশা তুমি কি বলছো

নেশাঃ না জেনে কেন বলবো

নীড়ঃ পরে আবার যদি মনে করো ভুল ডিসিশন নিয়েছো।।যদি আমায় ভুল বুঝো

নেশাঃ তাহলে আপনি আবার ভালোবাসা দিয়ে সেই ভুল টা ভেঙে দিবেন?

নীড় অবাক হয়ে নেশার দিকে তাকালো।। নেশা কি বলছে তাকে।।তাহলে কি নীড়ের ভালোবাসা সার্থক হলো।।এইবার কি তাহলে তার ভালোবাসার প্রাপ্তি হবে।।তার ভালোবাসা পূর্ণতা পাবে।।কথা গুলো ভাবতেই নীড়ের চোখ চিকচিক করে উঠলো

নেশাঃ কি হলো কি ভাবছেন

নীড়ঃ কিছু নাহ

নেশাঃ তাহলে আমাকে ভালোবাসুন নাহ।।আমি তো বলছি।।

নীড়ঃ………..

নেশাঃ দিন নাহ নীড়।।একটা বেবি আমাকে দিন নাহ(আদুরে গলায়)

নীড় আবার নেশার দিকে তাকালো।।নীড়ের সাধ্য কি নেশার এই ডাককে ফিরিয়ে দেয়ার।।সে তো সেই কবে থেকে নেশাকে ভালোবাসে।।শুধু নেশার অনুমতির অভাব ছিলো।।আজ তো সেটাও পেয়ে গেল।।তাহলে আর নীড়কে আজ কে আটকায় নেশাতে হারাতে।।
হোক নাহ আজকের রাত টা নেশাময়।।এতোদিনের ভালোবাসা পুর্ণতা পেলে খুব কি ক্ষতি হবে।।ভালোবাসার প্রাপ্তির জন্য তো মনের মিলন যথেষ্ট নাহ।।তাই হারিয়ে গেল নীড় নেশার মাঝে।।ভালোবাসায় রাঙিয়ে দিলো তাকে।।আজ থেকে নেশার সমস্তটা জুড়ে শুধু নীড়ের বিচরন হবে।।সেখানে শুধু প্রেমের মেলা হবে।।নীড় তো সেই কবে থেকেই নেশাকে আপন করে নিয়েছে।।তবুও কোথাও যেন সেই ঘাটতি টা রয়েই গেছিলো।।আজ সেই ঘাটতি গুলোই পুর্ণতা লাভ করলো দুজনে

(প্লিজ রিডার্সরা।। আমি আর কিছু লিখতে পারবো নাহ?।।আমার সেই লেভের ??? লাগতাছে।।আপনারা নিজেদের মতো ভেবে নিয়েন? )

পরেরদিন সকালে-

সকালের স্নিগ্ধ হলদে সূর্যের কিরন পর্দার ফাক দিয়ে নেশার মুখে পরতেই ঘুম ভেঙে গেল নেশার।।কাল রাতের কথা মনে করতেই মুচকি হাসলো নেশা।।এতো সুন্দর সকাল আগে কেন অনুভব হয়নি তার।।তাহলে এইসবের কারন কি নীড়।।ঘুমন্ত অবস্থায় নীড়কে দেখবে বলে পাশ ফিরে তাকাতেই চমকে উঠলো নেশা।।নাহ নোড় ঘুমায়নি।।বরং এক হাতের উপর মাথা ভর করে নেশার দিকেই তাকিয়ে আছে মুচকি হেসে।তারমানে কি সারারাত ঘুমায়নি মানুষটি।।

নেশাঃ আপনি ঘুমাননি

নীড়ঃ উহু

নেশাঃ কেন

নীড়ঃ তোমাকে দেখতে দেখতেই রাত কখন কেটে গেল বুঝতেই পারলাম নাহ(নেশার গলায় স্লাইড করে)

নেশাঃ তাই

নীড় নেশার গলায় মুখ ডুবিয়েই জবাব দিলো
-হুম

নেশা চুপ করে গেল।।নীড়ের ভালোবাসা গুলো অনুভব করতে লাগলো আপন মনে।।বাট এটা কি আদোও সম্ভব।। এটা তো নীড়?

নীড়ঃ তা তোমার এখন কেমন লাগছে নেশা।।ভালো আছো তো

নেশাঃ মানে

নীড়ঃ রাতে তো যা ভয়………..

নেশাঃ ছি?।।আপনার একটুও লজ্জা নেই কেন???কিসব বলছেন আপনি।

নীড়ঃ লজ্জা নারীর ভুষন।।আর তাছাড়াও আমি যদি আমার বউয়ের মতো লজ্জা পেতে থাকি তাহলে আমার আর বাবা হওয়া হয়ে উঠবে নাহ।তাই একটু নির্লজ্জ হলে দোষ কি

নেশাঃ ??

নীড়ঃ আচ্ছা তো আমাকে নিজের মনের কথা কবে বলবে হুম

নেশাঃ কিসের মনের কথা

নীড়ঃ এই যে আমায় ভালোবাসো

নেশাঃ আমি আপনাকে ভালোবাসি কে বললো

নীড়ঃ ওহহ তো বাসো নাহ বুঝি

নেশাঃ নাহ?

নীড়ঃ বলো নাহ কবে বলবে

নেশাঃ আরে ভালোবাসলে তো বলবো

নীড় কিছু নাহ বলে নেশার গলায় একটা কামড় দিলো

নেশাঃ উফফ কামড়াচ্ছেন কেন।।ব্যাথা পাচ্ছি তো

নীড়ঃ এগুলাকে কামড় বলে নাহ বেবি।।ইটস ক্লড লাভ বাইট

নেশাঃ আমার ডেঞ্জারাস লাভ বাইট লাগবে নাহ।।ছাড়ুন আমাকে আমি উঠবো

নীড়ঃ মাত্র ৬ টা বাজে।।এখনই কিসেএ উঠাউঠি।।আরেকটু আদর করেনেই।।তারপর উঠো

নেশাঃ নাহ এখন আর আদর লাগবে নাহ।।ছাড়ুন(নীড়কে ধাক্কা দিয়ে)

নেশাঃ কি হলো ছা……..

আর বলতে পারলো নাহ।।কারন নীড় নেশার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিয়েছে।আবার হারিয়ে গেল গেল ভালোবাসার রঙিন খেলায়।

সকাল ১০ টায়

নীড় ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে নেশাকে দেখে ভ্রু নাচিয়ে দুষ্টু হাসি দিলো।।নেশা সেদিকে নজর না দিয়ে চুল আচড়াতে শুরু করলো।।নীড় গিয়ে নেশাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো।।

নেশাঃ আরে কি করছেন ছাড়ুন

নীড়ঃ হুম ছাড়বো তো আগে একটা কথা শুনো

নেশাঃ কি কথা

নীড়ঃ যেটা পরেছো এটা পাল্টে ফুল হাতা আর ফুল নেক এর জামা পড়ো

নেশাঃ কেন

নীড়ঃ আমার ভালোবাসার ছোয়াগুলো যে দেখা যাচ্ছে মেডাম।তা ঢেকে বাইরে বের হোন নাহলে আপনাকেই লজ্জায় পরতে হবে

নেশাঃ ????

নীড়ঃ আহা কি লজ্জা।।এতো লজ্জা পাও কিভাবে নেশা।।আমাকে ও একটু লজ্জা দাও নাহ তোমার থেকে(নেশার মুখের সামনে মুখ নিয়ে)

নেশাঃ ছাড়ুন বলছি ছাড়ুন???

নীড়ঃ আহ আমার কান?

নেশাঃ বেশ হয়েছে।।সরুন এখন

নীড়ঃ ভালো হচ্ছে নাহ কিন্তু নেশা।।জামাইয়ের ভালোবাসা গ্রহণ নাহ করলে তোমার গুনাহ হবে

নেশাঃ রাতে যতোটুকু গ্রহণ করেছি তাতেই হবে।।আর গ্রহণ করা লাগবে নাহ।

নীড় তেডি স্মাইল দিয়ে মাথা চুলকাতে চুলকাতে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।।

বেরিয়েই সামনে পরলো কবির।

নীড়ঃ গুড মর্নিং বাবাই

কবিরঃ গুড মর্নিং।। নীড় শোন তুমি কি আজ ফ্রি আছো একটু

নীড়ঃ কেন বাবা

কবিরঃ আসলে মি.সেন আসবে আজ অফিসে।।বাট আমি তোমার মামনি কে বলছি যে আজ বাড়িতেই থাকবো।।তো তুমি কি যেতে পারবে একটু

নীড়ঃ ওকে বাবাই।। আমি চলে যাবো টাইম মতো

কবিরঃ এখনই যেতে হবে

নীড়ঃ আচ্ছা আমি রেডি হয়ে যাচ্ছি

কবিরঃ ওকে।

আসলে ডাহা একটা মিথ্যা কথা।।কোন সেন টেন আসবে নাহ?।।এটা আসলে বাড়ির সবার প্লেন।।আজ নীড়ের বার্থডে তা নীড় ভুলে গেছে।।সবাই ভেবেছে নীড়কে মিলে সারপ্রাইজ দিবে।

সন্ধ্যা বেলা

নীড় বাড়ি ঢুকলো।। আসার ট্রাই করেছে অনেক আগেই।।বাট অফিসের কাজে আটকে গেছে।।ভেবেছিলো নেশাকে নিয়ে আজ ঘুরতে বের হবে।।কোন প্লেনই সাকসেসফুল হলো নাহ।।ভাবতেই রাগ উঠছে নীড়ের।
বাড়িতে ঢুকেই দেখলো সব লাইট অফ।।

নীড়ঃ ব্যাপারটা কি হলো এখন লাইট অফ কেন।।বাড়িতে কি কেউ নেই।।নীড় আরেক পা সামনে বারাতেই লাইট জ্বলে উঠলো।।
আর সবাই একসাথে উইশ করলো নীড়কে।।নীড় তো অবাক।সবার তাহলে মনে ছিলো তার বার্থডের কথা।।বাট নীড়েরই তো খেয়াল ছিলো নাহ।।
কেক কেটে সবাইকে খাইয়ে দিলো।।বাট তার চোখ তো একজনকেই খুজছে।।বাট সে কোথায়

ঈশাঃ কি হলো ভাইয়া কিছু খুজছিস?

নীড়ঃ হ্যা মানে নাহ।।মানে হ্যা

ঈশাঃ আমার ভাই টা তোতলা হয়ে গেল কবে হুম

নীড়ঃ ধুর চুপ কর।এখন বল নেশা কোথায়

ঈশাঃ ওতো বাড়িতে গেছে

নীড়ঃ মানে!!!!!!!!!

ঈশাঃ মানে ও চৌধুরী বাড়িতে।।

নীড়ঃ বাট সবাই তো এখানে তাহলে ও একা ওইখানে কেন গেছে

ঈশাঃ আমি কি জানি কেন গেছে

নীড়ঃ ওয়েট আমি দেখছি।।

ঈশাঃ আরে দাড়া তো

নীড়ঃ মামনি নেশা কোথায়

কথাঃ ওতো রুমে কেন?

নীড়ঃ আমরা এখানে ও রুমে কেন

কথাঃ ও বললো ওর নাকি খারাপ লাগছে।।তাই ও উপরে চলে গেছে

নীড়ঃ কি ও অসুস্থ আর তুমি এখন বলছো।

নীড় তাড়াহুড়ো করে রুমে চলে গেল।যাওয়ার সময় শুনতে পেল

ঈশাঃ যাও যাও।।বউ দেখ আজ কি করে।।

নীড় কথায় মাথা ঘামালো নাহ

নীড় দরজা খুলে রুমে ঢুকে দেখলো রুম ও অন্ধকার।।

নীড়ঃ নেশা লাইট অফ করে রেখেছে কেন।।আর তুমি কো…….

নেশা পিছন থেকে নীড়ের চোখ বেঁধে দিলো।।নীড় বুঝলো এটা নেশা।।তাই বাঁধা দিলো নাহ।

নীড়ঃ তুমি নাকি অসুস্থ নেশা??আর কি করছো হুম

নেশাঃ চুপ থাকুন কথা বলবেন নাহ

নীড়ঃ???

নেশাঃ চুপ।

নীড়ঃ ওকে।

নেশা নীড়কে টেনে চেয়ারে বসালো।

নীড়ঃ কি করছেন মেডাম।।চোখ বেঁধে কি খুন টুন করবেন নাকি আমাকে

নেশাঃ হুম।।

নীড়ঃ তো মেরে ফেললে নিজে থাকতে পারবে তো

নেশাঃ মারবো নাহ তো।।খুন করবো।।বাট তারপর আবার সুস্থ করে তুলবো।

নীড়ঃ বাবাহ।।নেশা আজ এতো রোমান্টিক।। ব্যাপার কি হুম
নেশার কোন জবাব পেল নাহ।।

নীড়ঃ কি হলো কোথায় গেলে।। নেশা

কোন সাউন্ড না পেয়ে চোখ থেকে কাপড় সরাতে যাবে তখন গিটারের আওয়াজ পেল।সাথে নেশার গানের গলা।নীড় চোখের বান্ধন আর খুললো নাহ।।চুপ করে নেশার গান শুনতে লাগলো

??কতবার বোঝাবো বল
কতবার জানাবো বল
নিঃস্ব এ জীবনে শুধু তুই আমার সম্বল(২)

গিটার বাজানো ছেড়ে নীড়ের সামনে গিয়ে দাড়ালো।।নীড় বুঝতে পারলো নেশা তার সামনে।।নেশা নীড়ের চোখের বান্ধন খুলে দিলো।অবাক হয়ে নেশার দিকে তাকালো।।।কারন নেশা আজ মারাত্মক পরিমাণে সেজেছে।।অসম্ভব সুন্দর লাগছে তাকে।।
নীড়ের চোখে চোখ রেখে নেশা আবার গান গাওয়া ধরলো।

??এক পা দু’ পা করে তুই এলি এই মনে
শেখালি আমাকে ভালবাসার মানে
এক পা দু’ পা করে তুই এলি এই মনে
শেখালি আমাকে ভালবাসার মানে
স্বপ্নে দেখেছি তোকে দু’চোখ ভরে
তোর ছোঁয়া না পেলে হয় মন বড়ই চঞ্চল
কতবার বোঝাবো বল
কতবার জানাবো বল
নিঃস্ব এ জীবনে শুধু তুই আমার সম্বল(২)

মেঘে ঢাকা মনে এলি রোদ ওঠাতে
মুছে গেছে ব্যথা শুধু তোর কথাতে

(বাকিটুকু শুনে নিবেন)

পুরো রুমটা নেশা খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে ফুল দিয়ে।।বাট নীড়ের তা দেখার টাইম কোথায়।।নীড় এখনো নেশার দিকে তাকিয়ে আছে।।নেশার গানই আজ অনেক কিছু বলে দিচ্ছে নীড়কে।

নেশা হাটু গেড়ে নীড়ের সামনে বসলো।।নীড় অবাক

নেশাঃ জানি নাহ কিভাবে আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি।।বাট এটা সত্যি আপনার ভালোবাসা আমাকে নতুয়করে বাঁচতে শিখিয়েছে।।ভেবেছিলাম ভাইয়া কে ভালোবাসার পর আমি কাউকে জীবনে হয়তো আর ভালোবাসতে পারবো নাহ।।বাট আমি ভুল ছিলাম।।আপনি আমাকে ভুল প্রমাণিত করে দিয়েছেন।।জীবনে ভালোবাসা একবার আসে তা ভুল।।আমার জীবনে আপনি আবার নতুন ভালোবাসা জাগিয়ে তুলেছেন।।বাট এটা সত্যি আমি আজও ভাইয়াকে ভুলতে পারিনি।।প্লিজ আমাকে ভুলতে ও বলবেন নাহ।।উনি আমার প্রথম ভালোবাসা ছিলো।।আর সারাজীবন থাকবে।।কিন্তু আপনি এখন আমার অভ্যাস হয়ে গেছেন।।আমার জীবন হয়ে গেছেন।প্লিজ আমাকে জিজ্ঞাসা করবেন নাহ আমি কাকে বেশি ভালোবাসি।।।তা আমি নিজেও কখনো ভেবে দেখিনি আমি কাকে বেশি ভালোবাসি।।বাট যদি ইশান আমার লাইফে আসার চান্স থাকতো আমি তাহলে আপনাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতাম নাহ।।হ্যা আমি তাকে ভালোবাসি।।বাট আমি তাকে নিজের করে চাই নাহ।।কারন তাহলে আমি নিজের কাছেই হেরে যাবো।।বাট তার মানে এটা নাহ যে আমি উনাকে পায়নি বলে আপনাকে আপন করে নিয়েছি।।আপনি জানেন আমি এই বিয়ে টা নিজের ইচ্ছায় করিনি।।বরং ঈশার কথা ভেবে করেছি।।ভেবেছিলাম ওদের বিয়েটা হয়ে গেলে আমরা আলাদা হয়ে যাবো।।বাট আপনার ভালোবাসা আমার সিন্ধান্ত কে পাল্টাতে বাধ্য করেছে।।। (একটু থেমে)
আপনার মতো ভালোবাসতে কেউ পারবে নাহ আমাকে নীড়।। আপনার ভালোবাসা আমাকে বাধ্য করেছে আপনাকে ভালোবাসতে।।আই রিয়েলি লাভ ইউ নীড়।।আমি জানি নাহ আপনি আমায় ঠিক ভাবে বুঝতে পারছেন কিনা।।বাট ট্রাস্ট মি আমি মিথ্যা বলছি নাহ।।আমি সত্যি আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি।।খুব বেশি।। আই নিড ইউ নীড়।আমার আপনাকে প্রয়োজন।। আমি আপনাকে আমার জীবনের প্রতিটা মুহুর্তে চাই।।খুব বেশি চাই।।আপনি কি আমাকে এক্সেপ্ট করবেন?

নীড় যাস্ট শক।।নেশার থেকে সে এতোটা ও আশা করেনি। নেশা যা বলেছে তা সত্যি।। নীড় কে হয় নেশাকে বলার যে ইশানকে সে ভুলে যাক।।থাক নাহ ভালোবাসা তার কাছে।।ভালোবাসলেই যে আরেকজনকে ভালোবাসা যাবে নাহ তাতো নাহ।।আর নেশা যদি ইশানকে ভুলে যেত হয়তো নীড়ের মনেই কোথাও নাহ কোথায় একটা সন্দেহ থেকে যেতো যে ইশানকে ভুলে তাকে ভালোবাসতে শুরু করলো হয়তো একটা সময় তাকে ভুলেও আরেকজনে ভালোবাসতো।।
নীড় নেশার ভালোবাসার প্রতি যথেষ্ট সম্মান আছে।।বাট আজ কি বললো নেশা তাকে।।সে নীড়কে ভালোবাসে।।নীড় তো এটাই চেয়েছিলো।।বাট এতো তাড়াতাড়ি।।
নীড় কথাগুলো ভেবেই নেশার দিকে ছলছল চোখে তাকালো।।নেশা এখনো তার জবাবের জন্য ওয়েট করছে।।কি জবাব দেবে সে এখন

নেশাঃ কি হলো কিছু তো বলুন

নীড় নেশার হাত ধরে ওকে দাড় করালো।

নীড়ঃ যা বলার তো তুমিই বলে দিলে।।আমি কি বলবো

নেশাঃ কি বলবেন মানে?? থাকবেন নাহ আমার পাশে

নীড়ঃ আই এম সরি।।বাট আমি থাকতে পারবো নাহ।।?

নেশাঃ মানে??

নীড়ঃ মানে হলো এই যে আমি তোমার সাথে থাকবো নাহ।।তুমি থাকবে আমার কোলে(নেশাকে কোলে তুলে)

নেশাঃ কককককি করচছেননন ???নামান বলছি নামান??(চেচিয়ে)

নীড়ঃ উফ নেশা চেচাচ্ছো কেন।সবাই কি ভাববে বলো তো।।আর কোলে কয়েকদিন উঠে নাও।।কারন আমার প্রিন্সেস আসার পর তুমি আর কোলে উঠতে চাইলেও উঠতে পারবে নাহ?।

নেশাঃ সেটা পপপরে দদদদেখা যযাবববে এখন ননামমান???

নীড়ঃ চুপ?।।দেখো ঈশা আর ইশানের কিন্তু বেবি হয়ে গেছে।।সো এমনিতেই আমরা দেরি করে ফেলেছি।।আরো দেরি করলে পাবলিক আমাকে ছাড়বে নাহ।।বড় ভাই হয়ে এখনো বউ নিয়ে আছি আর ছোট বোনের কিনা বাচ্চাকাচ্চা হয়ে গেল।।এটা কি হয় বলো।।তুমি কিন্তু আমাকে হারিয়ে দিচ্ছো ঈশার কাছে??

নেশা আর লজ্জায় কিছু বলতে পারলো নাহ।।নীড়ের বুকে মুখ লুকালো।আর নীড় তাকে কোলে নিয়ে খাটের দিকে এগোতে লাগলো

আর কি আরো কইতে হইবো?।খাটে গিয়া ওরা যা করার করুক।।আমাদের ঢুকার দরকার নাই??।
ওদের মাঝে তো এখন আর কোন বাধা নেই।।দুইজন দুইজনকে ভালোবেসে সুখে থাকুক?।।আমরা যাই





৩ বছর পর।

মেঘঃ নানুমনি প্লিজ বলো নাহ মামনি কোথায় গেছে?

কথাঃ মামনি হসপিটালে গেছে নানুভাই।।তোমার নেশা ফুফির একটা ছোট বাবু হবে।।সেটা আনতে গেছে তারা

মেঘঃ হুহ আর কয়েকদিন পরে হতে পারলো নাহ।।আমার সব প্লেন ফ্লপ হয়ে গেলো?তারউপর এই বৃষ্টি।।

কথা হেসে দিলো।।

আসলে হয়েছে কি আজ মেঘের বার্থডে ৩ বছর হলো আজ।।কথা অনুযায়ী আজ সে সবার সাথে বাড়ির বাইরে ঘুরতে বের হয় আরো অনেক মজাই করে বাট আজ সে কোথাও যেতে পারছে নাহ।কারন সবাই হসপিটাল চলে গেছে।।জি জি আপনাদের নেশার বেবি হবে।। আর কতো ওয়েট করবে নীড় ?অবশেষে সেও ছক্কা মেরে দিয়েছে।।যদিও একটু লেট হয়ে গেছে?




একটু পর সবাই বাড়ি ফিরে এলো।।ঈশা নেশাকে ধরে ঘরে ঢুকালো।।কারন নেশা এখনো অতোটা সুস্থ নয়।।নীড় ও সাথেই ছিলো বাট তার কোলে বেবি।।আর সবার গেস সঠিক।।নীড়ের মেয়ে বেবি হয়েছে??।।

নীড়ের কোলে বাবু কে দেখে মেঘ দৌড়ে তার কাছে গেল।

নীড় মেঘ কে দেখে মুচকি হাসি দিলো।।কারন সবাই মেঘকে খুব বেশি ভালোবাসে।

নীড়ঃ কিছু বলবে মামা

মেঘঃ মামা তোমরা কি একে আনতেই হসপিটালে গিয়েছিলে(নীড়ের কোলের দিকে ইশারা করে)

নীড়ঃ হ্যা মামা।।কেন কি হয়েছে।।

মেঘঃ তুমি আগে ওকে নিচে নামাও আমি দেখবো ওকে।

নীড় গিয়ে সোফায় বসে মেঘের সামনে তরী কে রাখলো।।

নীড় আর নেশা তাদের নেয়ের নাম রেখেছে তরী।

মেঘ রাগি চোখে তরীর দিকে তাকিয়ে আছে।।আর তরী টুকুরটুকুর চোখে।।ছোট ছোট চোখে মেঘকে দেখছে।।আর সবাই তাদের দুইজনের কাহিনি দেখছে।।কারন মেঘ বরাবরই চুপচাপ আর রাগি।।একদম তার মা বাবার উল্টো।।সব কিছু তার পার্ফেক্ট হওয়া চাই এই বয়সেই।।

মেঘঃ এই যে ওয়েট।।মামা ও তো মেয়ে তাই নাহ

নীড়ঃ হুম।(মুচকি হেসে)

মেঘঃ এই মেয়ে এই।।তুমি কি হ্যা।।আসতে নাহ আসতেই আমার সব প্লেন ফ্লপ করে দিলে।।জানো আমি আজ কতো জায়গায় ঘুরতে যেতাম সবার সাথে। তুমি এসে সব ক্যানসেল করে দিলে।।আরেকদিন পরে আসতে পারলে নাহ।।জানো নাহ আজ আমার বার্থডে।। আরেককথা তুমি কি বৃষ্টি হুম?।।দেখছো সেই কখন থেকে বৃষ্টি হচ্ছে।এইদিনে আগে কখনো এতো বৃষ্টি হতো নাহ।।তাহলে এখন কেন হচ্ছে।।সব তোমার প্লেন তাই নাহ।।বড় হয়ে নাও তারপর আমি তোমার মজা দেখাবো দেখো।

মেঘের এই বাচ্চা বাচ্চা কথা শুনে সবাই হেসে দিলো।।ছোট তরী কি বুঝলো কে জানে।।সেও ফোকলা দাঁতে হেসে দিলো।।যা দেখে মেঘ গাল ফুলিয়ে ফেললো।

মেঘঃদেখেছো সবাই দেখেছো।।কি পাজি।।আমার মজা নিচ্ছে।।এতোটুকু একটা মেয়ে।।জানো আমি কতো বড় তোমার থেকে

নীড়ঃ মেঘ ও তো এখন তোমার কোন কথাই বুঝছে নাহ মামা।।ও বড় হোক তারপর তুমি ইচ্ছা মতো বকে দিও কেমন

মেঘঃ গুড আইডিয়া মামা

নীড়ঃ ??

রাতে

কথা আর রিনা দুইজনেই চেয়েছিলো নেশার সাথে থাকতে।। কিন্তু নীড় সোজাসোজি বলে দিয়েছে সে তার বউ বাচ্চাকে কারো সাথে একা ছাড়বে নাহ।।

নীড় ঘরে ঢুকে দেখলো তরী খাটের মাঝখানে চুপিটি করে ঘুমিয়ে আছে।।তরীর সামনে গিয়ে তরীর সামনে উপুড় হয়ে সারা মুখে কিস করলো।।
মেয়েটা একদম মায়ের মতো কিউট হয়েছে।।যদিও সবা বলছে দেখতে নীড়ের মতো হয়েছে।।বাট হাসলে নেশার মতো গালে টোল পরে যা নীড়ের খুব পছন্দ।।
হঠাৎ নীড়ের খেয়াল হলো যে নেশা ঘরে নেই।।বাট মামনি তো বললো নেশা ঘরেই।।তরীকে ছেড়ে খুজে দেখলো নেশা বারান্দায়।। নীড় সেখানে গেল।

নীড়ঃ এখানে কি করছো

নেশাঃ এদিকে আসুন।।

নীড় নেশার সামনে গিয়ে তার পাশে বসলো।

নীড় বসতেই নেশা নীড়ের একহাত ধরে তার কাধে মাথা রাখলো।

নীড়ঃ খারাও লাগছে তোমার

নেশাঃ উহু

নীড়ঃ তাহলে

নেশাঃ কিছু নাহ।।চুপ থাকুন কিছুক্ষণ

নীড়ঃ ?

নেশাঃ ৩,২,এন্ড ফাইনালি ১।।হেপি বার্থডে নীড়

নীড়ঃ ??।।বাহ তোমার মনে ছিলো

নেশাঃ ভুলে যাবো কেন হু।।বাট কোন গিফট দিতে পারলাম নাহ সরি

নীড়ঃ গিফট তো দিলে।।সব থেকে বেস্ট গিফট

নেশা নীড়ের কাধ থেকে মাথা তুলে তার দিকে তার দিকে তাকালো।

নেশাঃ বাট আমি তো গিফট দেই নি

নীড়ঃ তাহলে রুমে তো দেখে এলাম

নেশাঃ মানে

নীড়ঃ চলো দেখাই

নীড় নেশাকে নিয়ে রুমে এলো।।ঘুমন্ত তরীর দিকে ইশারা করে বললো

নীড়ঃ আমার বার্থডের বেস্ট গিফট

নেশা ও বুঝতে পেরে মুচকি হেসে নীড়কে জড়িয়ে ধরলো।

নেশাঃ আই লাভ ইউ নীড়।।ধন্যবাদ আমার লাইফে আসার জন্য

(নীড়ও নেশাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো)

নীড়ঃ আই লাভ ইউ টু মাই বেবিস মাদার



সমাপ্ত।

(ইয়ে গল্প শেষ।।ছোট একটা গল্পকে প্যাচ লাগাতে লাগাতে কয়েক লক্ষ শব্দের উপন্যাস করে ফেলেছি।।আর এই উপন্যাস যারা পড়েছেন আর আমার পাশে থেকেছেন তাদের সবাই কে অনেক অনেক ধনিয়াপাতা।।ধনিয়াপাতা মানে হলো ধন্যবাদের আপডেট ভার্সন ?।।আর হ্যা অনেকের হয়তো গল্পটা এইভাবে চাননি।।তাদের মনের মতো হয়তো লিখতে পারিনি।।বাট আমি গল্পটা দিয়ে একটা ছোট জিনিস বুঝাতে চেয়েছি।।লাইফে আমাদের ভালোবাসা অব্যশই আসবে।কিন্তু তা যদি তোমার কাছে ধরা নাহ দেয় তাহলে অবশ্যই মুভ অন করা উচিত যেমনটা নেশা করেছে।।নিজের ভালোবাসা অবশ্যই দামী।।বাট নিজের স্লেফ রেসপেক্ট থেকে বড় নাহ।।আশা করি সবাই একটু হলেও আমার কথা গুলো বুঝতে পেরেছেন।।

আর কি বলবো।।এতোটুকুই থাক আজ।।সবাই খুব ভালো থাকবেন।।আর খুব তাড়াতাড়ি সিজন টু নিয়ে আসবো আপনাদের মাঝে।।জি অবশ্যই সেখানে কাহিনি হবে মেঘের তরী।।সাথে নীড় আর নেশা তো রইলোই☺)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here