#ভালোবাসা_এমনও_হয়
#Writer_Nusrat_Jahan
#part_23
(কয়েকজন পাঠক এখনো ভাবতাছে নেশা আর ইশানের মিল হবে।।তাদের বলছি প্লিজ তাহলে আপনারা পড়া বাদ দিন।।কেন নাহ এই মুহুর্তে আমি আপনাদের কথা অনুযায়ী গল্প টা সাজাতে পারবো নাহ।।গল্পের প্রায় শেষ অংশে চলে এসেছি এখন কাহিনি পাল্টাতে চাই নাহ।।পরেরবার না হয় আপনাদের কথা রাখবো??)
নেশাঃ ইশান ভাইয়া তো তোমার সাথে ছিলো তাই নাহ
ঈশাঃ ততুম কিভাবে জানলে
নেশাঃ মানে আমি কিভাবে জানি সেটা কথা নাহ।।কথা হচ্ছে আজ তো ইশান ভাইয়ার তো তোমার সাথে থাকার কথা তাই নাহ
ঈশাঃ আসসলে
নেশাঃ??????!
নীড়ঃ ওয়েট ওয়েট।। নেশা তুমি ভুল বুঝছো।।ইশান ঈশার সাথে ছিলো নাহ।।
নেশাঃ আপনি কিছুই জানেন নাহ নীড়।।ঈশা ভাইয়ার সাথেই ছিল।।ইনফেক্ট আজ তো ভাইয়া ওকে প্রোপজ করবে বলে ঈশার সাথে দেখা করতে গেছিলো
নীড়ঃ তুমি কি করে জানলে!!!!!!!!!
নেশাঃ আমি তো সবই জানি।।বাট আপনি কিভাবে জানেন
( জি নেশা সবই জানে এখন।।ইশান ওইদিন রাতেই বলেছিলো ও শুধু ঈশাকে চায়।ঈশার আগমনে ইশান পাল্টে গেছে ভেবেই নেশা খুব খুশি হয়েছিলো।।যদিও সে ইশানকে ভালোবাসে।।সেইদিনের পর থেকে সত্যি ইশান আর নেশার সাথে খারাপ ব্যাবহার করেনি।।বরং অনেক বেশিই ভালো ব্যবহার করতো।নেশাই ইশান কে আইডিয়া টা দিয়েছিলো আজ ঈশাকে প্রোপজ করার।।বাট তারপর কি হয়েছে তা সে জানে নাহ)
নীড়ঃ নাহ মানে আসলে
ঈশাঃ সে যাই হোক।।নীড় ভাইয়া কিভাবে জেনেছে সেটা বাদ দাও।।আগে বলো ইশান এখন কেমন আছে।
নেশাঃ অপারেশন চলছে।।বাট তুমি এটা বলো এক্সিডেন্ট টা হলো কিভাবে
ঈশাঃ আমি কিভাবে জানবো।।
নেশাঃ আমার জানা মতে ভাইয়া আজ তোমার সাথেই ছিলো রাইট
ঈশাঃ হ্যা ছিলো বাট……
নীড়ঃ নেশাকে সব সত্যি বলে দে ঈশা।ওর থেকে লুকিয়ে লাভ নেই
ঈশাঃ কিন্তু ভাইয়া
নেশাঃ কি লুকানোর কথা হচ্ছে।।ক্লিয়ারলি বলো আমাকে।।
নীড়ঃ আসলে আজ ইশান ঈশার সাথেই ছিলো।।আর ও ঈশাকে প্রোপজ ও করেছে।।বাট ঈশা এক্সেপ্ট করেনি
নেশাঃ এক্সেপ্ট করেনি মানে।?কেন এক্সেপ্ট করেনি!!! ঈশা তো ভাইয়া কে ভালোবাসতো তাহলে
ঈশাঃ আমি উনাকে ভালোবাসি নাহ
নেশাঃ মানেহ!!!!!!
নীড়ঃ আসলে নেশা
নেশাঃ আমি আসল নকল কিছু জানতে চাই নাহ।।যা হয়েছে তা সত্যি সত্যি বলুন।
নীড়ঃ আসলে ঈশা ইশানের সাথে এতোদিন অভিনয় করেছিলো তাকে তার পাপের শাস্তি দেয়ার জন্য
নেশাঃ শাস্তি কিসের শাস্তি??? কি বলছেন প্লিজ একটু ক্লিয়ার করে বলুন
নীড়ঃ আসলে ওইদিন পার্টিতে আয়ান ভাইয়া আমাকে সব খুলে বলে ইশান তোমার সাথে কি কি করেছে সেগুলো।।।।ভুলে ঈশাও সেগুলো শুনে ফেলে।।তখন আমরা দুইজন মিলে এই প্লেন গুলা করি?।।ঈশা ইশানের সাথে অভিনয় করা শুরু করে যাতে ওকে ঠিক ওইভাবেই কষ্ট দেয়া যায় যেইভাবে তোমাকে কষ্ট দিয়েছে ইশান।।আর আজ তা সফল হয়।।ঈশা ইশানমে ফিরিয়ে দেয়।।কিন্তু ইশান যে সুইসাইড করতে যাবে সেটা আমাদের প্লেনে ছিলো নাহ বিশ্বাস করো।।আমরা তো যাস্ট ওকে একটু কষ্ট দিয়ে চেয়েছিলাম।
নেশাঃ কে বলেছিলো আপনাকে কষ্ট দিতে।।কে বলেছিলো।।আমি বলেছে আপনাদের এতো কিছু করতে হ্যাঁ আমি কি বলেছি??এখন যদি ভাইয়ার কিছু হগে যায়
নীড় রাগটা কিছুতেই আর দমাতে পারলো নাহ
নীড়ঃ আচ্ছা নেশা তোমার এতো রিয়েক্ট করার কি আছে বুঝতে পারছি নাহ।।আচ্ছা বুঝেছি রি অবস্থার জন্য তোমার একটু কষ্ট হচ্ছে বাট এটা ওর পাপের শাস্তি বুঝলে।।আচ্ছা তুমি নাহয় ওকে তোমার সাথে করা অপরাধের জন্য মাফ করে দিয়েছো।। ওকে আমরা বুঝতে পারলাম।। কিন্তু ও যে একজন খুনি ওইটা।।ওইটার কি হবে
নেশাঃ আপনারা এইসব কিভাবে জানলেন?
ঈশাঃ আসলে ওইদিন নিহার সাথে ইশান যখন কথা বলছিলো তখন আমি লুকিয়ে সব শুনতে পাই
নেশাঃ কিন্তু তাই ব………
নীড়ঃ নেশা যাস্ট স্টপ।।এতো টা ভালোগিরিও দেখাতে হবে নাহ তোমাকে।।একটা অনাগত সন্তানের খুনি ও।। বুঝলে ও যদি মরে…….
কথাটা পুরাটা বলার আগেই নেশা নীড়ের গালে থাপ্পড় লাগিয়ে দিলো।।নীড় গালে হাত দিয়ে নেশার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।।কারন নেশা যে এই কাজটা করবে তা নীড় ভাবেনি।।
নেশাঃ সব কিছু নাহ জেনে এতো কিছু ভেবে ফেললেন আপনারা বাহ।।খুব ভালো।।
নেশাঃ ঈশা তোমাকে একটা কথা বলি ভাইয়া কে তুমি শাস্তি দিয়েছো কারন ও আমার সাথে প্রেমের অভিনয় করেছে তাই তো?
ঈশাঃ হুম
নেশাঃ তাহলে আজ তো তুমিও ওই কাজটা করলে।।তাহলে তোমার শাস্তি কে দিবে।
ঈশাঃ???
নেশাঃ ইশান ভাইয়ার জায়গায় তুমি থাকলে হয়তো তুমিও এই কাজটাই করতে।।আর তাছাড়াও আমি তার জন্য ভাইয়া কে ক্ষমা করে দিয়েছি সেই কবেই।।বাকি রইলো নিহার বেবির কথা।।সেটা ও প্রমান হবে।।বাট আগে ভাইয়ার সুস্থ হোক তারপর।।তার আগে আমি তোমায় কিছুই বলবো নাহ।।কিছুই নাহ।
(নেশা নীড়ের দিকে একবার তাকিয়ে তার মায়ের কাছে চলে গেল।।নীড় এখন ঠায় দাড়িয়ে আছে।।আপাদত তার মাথায় অন্য কিছু কাজ কারছে নাহ।।শুধু একটা জিনিস ছাড়া নেশা তার গায়ে হাত তুলেছে।।নীড় জানে সে নির্দোষ তবুও নেশা তার গায়ে হাত দিয়েছে।।
নীড়ঃ এতোটা রিয়েক্ট কেন করলে নেশা।।আমার প্রতি কি তাহলে তোমার একটু ও ভালোবাসা জন্মায়নি।।এতো কিছুর পরও তুমি সেই ইশানকেই সাপোর্ট করছো।।তাহলে কি আমি তোমার ভালোবাসা কখনোই পাবো নাহ?????
।
।
।
এইভাবেই কয়েকদিন কেটে গেল।ইশান বেচে আছে?।।আপনারা আমারে মাইরেন নাহ।।
নীড়ের সাথে তার পর নেশা যোগাযোগ করেনি।।অফিস থেকে কয়েকদিনের ছুটি নিয়েছে।। নীড় কথা বলতে চেয়েছে বাট নেশা এড়িয়ে গেছে।।নীড় নেশার ব্যাবহারের আগা মাথা কিছুই বুঝতে পারছে নাহ।।
হঠাৎ একদিন নেশা নীড়কে ফোন করে।
নেশাঃ আপনি কি আজ আমাদের বাড়ি আসতে পারবেন
নীড়ঃ ওকে
নেশাঃ ঈশাকে সাথে নিয়ে আসবেন প্লিজ
নীড়ঃ আচ্ছা। ত….
আর কিছু বলার আগেই নেশা ফোন কেটে দেয়।।
ঠিক সময়ে নীড় আর ঈশা চলে আসে।।ঈশা ইশানের দিকে কোনা চোখে তাকালেও তার সাথে কথা বলে নাহ।।ইশান এখন প্রায় অনেকটাই সুস্থ আগে থেকে।।বাট ঠিক মতো হাটতে পারে নাহ।।পায়ে আর মাথায় প্রচন্ড পরিমানে ব্যাথা পেয়েছে ইশান।।হাতে ও পেয়েছে বাট পায়ের থেকে কম।।ঈশাকে দেখে ইশান কথা বলতে চাইছে বাট উঠে যেতেও পারছে নাহ।।আর ঈশাও ইশানের সামনে আসছে নাহ যে ইশান কিছু বলবে।।
হঠাৎ সেখানে এন্ট্রি মারে নেশা।।সবাই হা করে তাকিয়ে আছে নেশার দিকে।।কারন নেশাকে এইরুপে কখনোই দেখেনি।।একদম গুন্ডী গুন্ডী লাগছে।।যদিও নায়িকা ?।।
আর সব থেকে বেশি অবাক হলো নেশার সাথে নিহাকে দেখে।
রিনাঃ এই মেয়ে এখানে কেন নেশা??(খানিকটা রেগে)
নেশাঃ ওয়েট আম্মু।।সব বলছি
মিনাঃ এই মেয়েটাকে কেন এনেছিস নেশা।।এটাকে বাড়ি থেকে বের কর।।আর তুই কোথায় ছিলি সকাল থেকে
নেশাঃ করবো খালামনি।।সব করবো।।আর আমি কোথায় গিয়েছিলাম।।ফাঁদ পাততে।।আর তাতে এটা পেলান(বাঁকা হেসে)
মিনাঃ মানে
নেশাঃ বলবো বলবো সব বলবো।।একটু ওয়েট করো
নিহাঃ এইসব কি নেশা তুমি আমায় কি বললে আর এখানে কেন নিয়ে আসলে
নেশাঃ তোর মুখ থেকে সত্যি বের করতে
নিহাঃ মানে?
নেশাঃ ওইদিন কি হয়েছিলো সব খুলে বল
নিহাঃ কককোন দদিনের ককথা ববলছো
নেশাঃ কেন সেইদিন যেদিন তোর বাচ্চা নষ্ট করেছিলি।।ও সরি সরি তুই তো নষ্ট করিসনি।।করেছো তো ইশান তাই নাহ
নিহাঃ হহহ্যা?
নেশা গিয়ে নিহার চুলের মুঠি টেনে মুখ উপরে তুলে ধরলো
নেশাঃ ভালোয় ভালোয় সত্যি বল তোর নাটক শুনার টাইম নেই
।
।
।
চলবে
।
।
আরে থামো থামো আজই সব রহস্য পড়বেন নাকি।।বাকিটুকু আবার কাল।।নাও টাটা গুড নাইট।