#ভালোবাসা_এমনও_হয়
#Writer_Nusrat_Jahan
#Part_20
নেশাঃ আপনি এইসব কি বলছেন স্যা…নাহ মানে মি.নীড়
নীড়ঃ কি বললাম?
নেশাঃ ধুর নাহ কিছু নাহ।।আপনি খান
নীড়ঃ তাতো খাবোই এতো মিষ্টি কফি কে না খাবে।যার ছোঁয়া তে কফি এতো মিষ্টি হয়ে যায় না জানি আমি সেই ছোঁয়া পেলে আমার ডায়াবেটিস হয়ে যায়।।নাহ আগে থেকে কন্ট্রোল করে খেতে হবে??
নেশাঃ বুঝলাম নাহ ?
নীড়ঃ তোমার বুঝা লাগবে ও নাহ।।
নেশাঃ হোয়াট এভার।। আমি কি এখন যেতে পারি
নীড়ঃ তোমার ফাইল দেখা শেষ হয়েছে।
নেশাঃ প্রায় শেষ
নীড়ঃ পুরাটা শেষ করো।।তাও আমার সামনে বসে
নেশাঃ ?
নেশা কাজ করে বেরিয়ে গেল।
নীড়ঃ উফফ জান তোমাকে কি করে যে নিজের কাছে রাখি?।।আইডিয়া তোমালে বরং আমার পিএ বানিয়ে দেই?।।আর তোমার টেবিল টা ও আমার রুমের সাইডেই রাখতে বলবো। তাহলে সারাদিন দেখতে পারবো?
।
।
।
।
এইদিকে ঈশা আজ ইশানে অফিসে এসেছে।।কারন তারা যেহেতু প্রোজেক্ট টা একসাথেই করবে তাই একসাথেই কাজ করতে হবে।।এসেই ইশানের কোলে ধপ করে বসে পড়লো
ইশানঃ হোয়াট দা ?
ঈশাঃ কি হলো এতো রিয়েক্ট করার কি আছে
ইশানঃ নামো আমার কোল থেকে
ঈশাঃ ইশ বললেই হলো।আমি নাহ তোমার একমাত্র হবু বউ।আমাকে নিজের কোলে না নিলে কাকে নিবে হুম।(হাত দিয়ে ইশানের চুল গুলো ঠিক করে দিয়ে)
ইশান ঝারি মেরে হাত টা সরিয়ে দিলো।।তারপর ঈশাকে কোল থেকে নামিয়ে উঠে দাড়ালো।
ইশানঃ দেখো ঈশা
ঈশাঃ কি দেখাবে বেবি।।দেখাও নাহ?
ইশানঃ ?।।লিসেন ঈশা তোমাকে কিছু বলছি না বলে ভেবো নাহ আমি কিছু করবো নাহ।।যদি আরেকটু বেশি করার চেষ্টা করো তাহলে আমি তোমার বাবা কে বলতে বাধ্য হবো।
ঈশাঃ আচ্ছা
ইশানঃ সো পরেরবার থেকে এইসব করার ট্রাই করবে নাহ
ঈশাঃ আচ্ছা
ইশানঃ না হলে আমি ডিলটা ক্যান্সেল করতে ও বাধ্য হবো
ঈশাঃ আচ্ছা
ইশানঃ ?কিছু বলছি আমি তোমায়
ঈশাঃ আচ্ছা
ইশানঃ আরে আজব কিছু বলছি আমি আর তুমি আচ্ছা আচ্ছা বলছো।।কথাগুলো কি কানে গেছে
ঈশাঃ আচ্ছা আগে এইটা বলো তোমার ঠোঁট কাটলো কি করে? দেখে তো মনে হচ্ছে কেউ কামড় দিয়েছে।।কে সেই পাষাণ মানুষটা গো।।এই রকম ঠোঁট তো আদর করার জন্য তা কামড় টা কে দিলো?(দুষ্টু হেসে ইশানের ঠোঁটে আঙুল বুলাতে বুলাতে)
ইশানঃ ডোন্ট টাচ মি.
ঈশাঃ উফফ ইশান।।তোমার এই ক্যারেক্টর টা মানাচ্ছে নাহ।।ডোন্ট টাচ মি, এইটা তো মেয়েদের বলার কথা।
ইশানঃ মানে!
ঈশাঃ উফফ দেখো বেশিরভাগ মুভিতেই দেখো নাহ নায়ক রা নায়িকাদের পিছনে ঘুরে আর নায়িকারা ভাব নেয়।।আর আমার লাভ স্টোরি তে কোথায় আমি একটু ভাব নিবো তা নাহ উল্টো তোমার পিছনে আমাকে ঘুরতে হচ্ছে।এইটা কি ভালো হচ্ছে।।পাঠকরা এইসব দেখলে আমাকে তো ছেচড়া ভাববে
ইশানঃ ছেচড়া কে ছেচড়া ভাববে না তো কি ভাববে
ঈশাঃ হুহ।।ছেচড়া হই আর যাই হই তোমারই তো?
ইশানঃ ঈশা আমি কিন্তু সত্যি তোমার বাবাকে বলতে বাধ্য হবো
ঈশাঃ ওকে বলে ফেল।।আমিও বলবো তুমি প্রথমে আমার সাথে প্রেম করেছো আর এখন বলছো যে আমাকে বিয়ে করবে নাহ।।তখন আমারই লাভ হবে। বাবাই ধরে বেঁধে তোমাকে বিয়ের আসরে নিয়ে বসিয়ে দিবে
ইশানঃ বললেই হলো।।তুমি বলবে আর সবাই বিশ্বাস করবে নাকি।।প্রমাণ কি আমি তোমার সাথে প্রেম করেছি।।দুই সেকেন্ড এ তোমার সব মিথ্যা ধরা পরে যাবে।
ঈশাঃ আরে তাই তো একটা প্রুভ লাগবে।।কি প্রুভ দেয়া যায় বলুন তো ?।।ইয়েস পেয়েছি
ইশানঃ কি
ঈশাঃ ওয়েট।
ঈশা গিয়ে টেবিলে নিজের মোবাইল টা সেট করে ভিডিও অন করলো
ইশান বুঝলো নাহ ঈশার মাথায় কি চলছে
।
।
।
এইদিকে নেশা কাজ করছে হঠাৎ তার কাছে রবি একটা লেটার নিয়ে আসলো।
নেশাঃ কিসের কাগজ এটা?
রবিঃ আপনিই দেখুন
নেশাঃ প্রোমোশন লেটার?তাও আবার আমার জন্য।।
রবিঃ ?
নেশাঃ আমার প্রোমোশন হয়েছে!তাও আবার নীড় স্যারের পিএ।ব্যাপারটা কেমন যেন হয়ে গেল নাহ।।এইরকম কেন।মাত্র ৪ দিনও হলো নাহ অফিসে জয়েন করলাম আর প্রোমোশন ও হয়ে গেল।।আর প্রোমোশন যে এমন হয় তাও তো জীবনে শুনি নি।।কে হলো ব্যাপার টা(মনে মনে)
রবিঃ ম্যাম কিছু ভাবছেন
নেশাঃ নাহ কিছু নাহ।।আচ্ছা আপনি কি জানেন লেন আমার প্রোমোশন হয়েছে
রবিঃ নো ম্যাম।এইটা নীড় স্যার ভালো বলতে পারবে।।আপনি বরং তার কাছেই জিজ্ঞাসা করুন
নেশাঃ হুম
রবিঃ ম্যাম সাইনটা
নেশাঃ হ্যা করছি।।
নেশা পুরোটা নাহ পড়েই সাইন করে দিলো।
।
তারপর নীড়ের রুমের ভিতরে ঢুকলো।
নেশাঃ মে আই কাম ইন স্যার
নীড়ের কোন জবাব পেল নাহ।।নেশা আনার নক করলো।জবাব আসলো নাহ। বাধ্য হয়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে গেল।
আর সাথে সাথেই কেউ একজন ভিতর থেকে নেশাকে হাতে ধরে টান দিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো।
ঘটনা টা এতো তাড়াতাড়ি ঘটলো যে নেশা ভয় পেয়ে গেল।।চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে দেখলো নীড়
নীড়ঃ কতো বার বলেছি নক করে আসবে নাহ হুম।।
নেশাঃ সরি ভুল হয়ে গেছে ?
নীড়ঃ শাস্তি দিতে হবে যাতে এইরকম ভুল আর না হয়
নেশাঃ কি শাস্তি
নীড়ঃ সেইটা পরে বলবো আগে বলো কেন এসেছো কিছু বলবে
নেশাঃ হু
নীড়ঃ কি
নেশাঃ আপনি একটু দুরে দাড়াবেন।।আমি বলছি।
নেশার আরো কাছে দাড়িয়ে
নীড়ঃ এখন বলো
নেশাঃ আমি দুরে বলেছি
নীড়ঃ বাট আমি তো শুনলাম কাছে আসতে বললে
নেশাঃ আপনি কি উল্টো শুনেন নাকি?বললাম দুরে আপনি শুনলেন কাছে
নীড়ঃ হুম আমি উল্টাটাই শুনেছি।।
নেশাঃ তাহলে কাছে এসে দাড়ান(নেশা ভাবলো এটা বললে নীড় দুরে গিয়ে দাড়াবে।কিন্তু নীড় উল্টো নেশার কোমড়ে দুই হাত চেপে ধরে একদম নিজের সাথে মিলিয়ে নিলো।)
নেশা শক?
নীড়ঃ এখন ঠিক আছে
নেশাঃ সস্যার এটা ককিন্তু ঠঠিক হহচ্ছে নাহ
নীড়ঃ আরে তুমিই তো বললা কাছে আসতে।তোমার কথা আমি অমান্য করতে পারি
নেশাঃ সস্যার প্লিজ
নীড়ঃ (হেসে দুরে সরে দাড়ালো)এখন ঠিক আছে
নেশাঃ হুম(নিচু হয়ে)
নীড়ঃ বলো কি বলবে
নেশাঃ আসলে আমার প্রোমোশনের কারন টা জানতে চাইছি
নীড়ঃ প্রোমোশন কেন হয়েছে তা জানতে চাইছো! কেন খুশি হওনি বুঝি
নেশাঃ আমি এমন কোন কাজ করিনি যার জন্য আমার প্রোমোশন হবে।
নীড়ঃ কে বলেছো করোনি।।তুমি খুব ভালো কাজ করো আর তাই তোমাকে প্রোমোশন দেয়া হয়েছে।
নেশাঃ তাই বলে পিএ।।আর আমি তো যাস্ট মাত্র ৪ দিন হলো অফিসে আসলাম
নীড়ঃ উফফ তুমি খুব প্রশ্ন করো নেশা।।যেটা হয়েছে তাতে কি তুমি খুশি হওনি?
নেশাঃ কিন্তু
নীড়ঃ কোন কিন্তু নাহ।।আচ্ছা তুমি সাইন করে দিয়েছো তো
নেশাঃ হ্যা কেন?
নীড়ঃ ?
।
।
।
এইদিকে
ইশানঃ কি করতে চাইছো তুমি
ঈশাঃ ওহহ গড ইশান ওইদিকে দেখুন
ইশানঃ কি ওইদিকে (তাকিয়ে)
ঈশাঃ ওইদিকে নাহ এইদিকে
ইশান তাকাতে দেরি হলো বাট ঈশার দেরি হলো নাহ??
।
?
।
?
।
?
।
?
।
?
।
?
আসলে ঘটনা টা কি হয়েছে ইশান যখন ঈশার দিকে ঘুরেছে ঈশা ইশানের শার্টের কলার ধরে আবার ঠোঁটের সাথে ঠোঁট মিলিয়ে দিয়েছে।।নাহ আগের বারের মতো কামড় দেয়নি কিস করছে?।
ইশানের সব কিছু বুঝতে সময় লাগলো।।কিন্তু যখন বুঝতে পারলো তখন কিছু করার ছিলো নাহ।।নিজের অজান্তেই ঈশার কোমরে হাত দিয়ে নিজের আরো কাছে টেনে নিলো।
৫ মিনিট পর ইশানের ছাড়ার কোন নাম গন্ধ নেই।।ঈশা তো অবাক।ভেবেছিলো ইশান ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিবে।।কিন্তু এখানে তো উল্টো হচ্ছে।।আসলে ইশানের তো হুস নেই সে কি করছে।।এইদিকে ঈশার দম বন্ধ হওয়ার অবস্থা।। ধাক্কা দিয়ে ইশানকে দুরে সরিয়ে দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলো।ধাক্কা খেয়ে ইশানের ও হুস আসলো।।একটু আগের ঘটনা টা মনে করে বোকার মতো ঈশার দিকে তাকালো।।এই মুহুর্তে কি করা উচিত তার।।রাগ ও করতে পারবে নাহ।।কারন সে যদি চাইতো তাহলে ঈশাকে সরিয়ে দিতে পারতো।।কিন্তু সে তো উল্টো ??
ঈশা জোরে কয়েকটা শ্বাস নিয়ে মোবাইল টা হাতে নিলো।
ইশানঃ???
ঈশাঃ ভিডিও টা রেখে দিলাম।।প্রমাণের কথা বলছিলেন নাহ এইটা হলো প্রমান।কিছু বললেই এইটা সবাইকে দেখিয়ে দিবো।আর বলবো আমাদের মাঝে সব হয়ে গেছে।।তারপর আর বিয়ে কে আটকায়।।
ইশানকে চোখ টিপ দিয়ে হাসতে হাসতে বেরিয়ে গেল।।যদি ও একটু আগের কাজটাতে ঈশার খুব লজ্জা লাগছে বাট সে তা ইশানের সামনে প্রকাশ করলো নাহ।
।
এইদিকে ইশান এখনো হা হয়ে তাকিয়ে আছে।।সারাজীবন দেখেছি ছেলেরা জোর করে আর এইখানে মেয়ে।।কি মেয়েরে বাবা এইটা
।
।
চলবে
(নীড় আর নেশা কবে রোমান্স শুরু করবে তাতো জানা নেই।।নেশা যা আনরোমান্টিক এর ডিব্বা।তাই ইশান আর ঈশার রোমান্স শুরু করে দিলাম?হেপি রোমান্স)