#ভালোবাসা_এমনও_হয়
#Writer_Nusrat_jahan
#part_18
ইশানঃ আয়ান তুই???
আয়ানঃ সরি আমি দেখি নি।
আয়ান চলে যেতে নিলো ইশান পথ আটকালো
ইশানঃ এখনো রাগ করে থাকবি আয়ান তুই?
আয়ানঃ কি বলছেন আপনি। রাগ কেন করবো আর কে আপনি
ইশানঃ আয়ান তু….
আয়ানঃ দেখুন আমি আপনাকে চিনি নাহ।।আমার পথ ছাড়ুন।
(আয়ান ইশানকে পাস করে চলে গেল।)
ইশানঃ এখনো এতো রাগ করে আছিস কেন আয়ান?
।
এইদিকে
আয়ানঃ তোর এই অপরাধের ক্ষমা কখনোই করবো নাহ ইশান।।কখনো নাহ।
নীড়ঃ আরে আয়ান ভাইয়া তুমি এসেছো
আয়ানঃ উফ নীড় তোকে কতো বার বলেছি আমায় ভাই বলবি নাহ।।তোর থেকে আমি মাত্র ২ সপ্তাহের বড়।।এমন ভাবে ভাই বললে মানুষ ভাববে যে আমি তোর থেকে ১০ বছরের বড়।
নীড়ঃ আমি তো ভাইয়াই বলবো।। যতোই হোক একমাত্র ফুফাতো ভাই বলে কথা?তাই নাহ ভাইয়া?
আয়ানঃ তুই আসলেই একটা পাজি
নীড়ঃ যেমনই হই তোমাদেরই তো?
আয়ানঃ ?
নীড়ঃ তুমি এতোক্ষণে এলে।।চলো তোমাকে কারো সাথে দেখা করাবো
আয়ানঃ কার সাথে
নীড়ঃ আরে চলোই নাহ
নীড় টেনে আয়ানকে নেশার সামনে নিয়ে গেল।
নীড়ঃ হেই নেশা ও হলো আয়ান আমার ভাইয়া
নেশা আয়ানের দিকে তাকালো আর আয়ান ও।।দুইজনেই শক।
নীড়ঃ কি হলো কিছু বলেন।আয়ান ভাইয়া উনি হলেন আমার বস?।।
নেশাঃ হহ্যালো ভাইয়া
আয়ানঃ হাই।।নীড় ও তোর বস কিভাবে ?।তুই তো…..
নীড়ঃ এইরে ভাইয়া সব বলে দেয় নাকি?
নীড়ঃ আরে ভাইয়া রাখো ওইসব কথা।। চলো চলো তোমাকে আরো কিছু দেখানোর আছে।।(টেনে নিয়ে গেল।নেশার সন্দেহ হলেও মাথা ঘামালো নাহ।)
নেশাঃ ইশান কি আয়ান ভাইয়া কে দেখেছে এখনো?
এইদিকে
নীড়ঃ উফফ ভাইয়া তুমি তো সব বলেই দিচ্ছিলে।।একটু হলেই ধরা পরে যেতাম।।?
আয়ানঃ ধরা পরে যেতি মানে?
নীড় আয়ানকে সব বুঝিয়ে বললো।
আয়ানঃ এতো কিছু হয়ে গেল ?
নীড়ঃ হুহ?
আয়ানঃ তা এতো অভিনয় কেন শুনি
নীড়ঃ আই এম ইন লাভ ভাইয়া?
আয়ানঃ হোয়াট? তুই নেশাকে কিভাবে??
নীড়ঃ কেন কি হয়েছে তাতে।।ও তো বিয়ে করেনি।।আর ওর তো কোন বয়ফ্রেন্ড ও নেই।।তাহলে ও আমার হতে দোষ কি
আয়ানঃ তুই জানিস ও কাউকে ভালোবাসে নাহ
নীড়ঃ আমি তো তেমন কোন খোজ পায়নি।।শুনেছি ওর কোন ভালোবাসার মানুষ নেই।
আয়ানঃ আছে নীড় আছে। একজন আছে।।যাকে নেশা পাগলের মতো ভালো বাসে।।তোকে আমি কষ্ট পেতে দিবো নাহ।।নেশা কখনোই তোমে ভালোবাসবে নাহ।।ও যে ইশানকে ভালোবাসে।।তোকে যেই করেই হোক বুঝাতে হবে(মনে মনে)
আয়ানঃ যখন নেশা সত্যি টা জানতে পারবে
নীড়ঃ তার আগেই আমি আমার মনের কথা ওকে বলে দেব
আয়ানঃ যদি সে রাজি না হয়
নীড়ঃ রাজি নাহ হওয়া পর্যন্ত পিছন ছাড়বো নাহ
আয়ানঃ এমনও তো হতে পারে ও অন্য কাউকে ভালোবাসে
নীড়ঃ তাহলে তো জানতামই ও কাউকে ভালোবাসে।। আর তুমি এতো কথা কেন বলছো ভাইয়া।।তুমি কি ওকে চিনো
আয়ানঃ নাহ আমরা কিভাবে চিনবো
নীড়ঃ তাহলে।। আচ্ছা বাদ দাও।। কেমন দেখলে বলো।।সুন্দর নাহ।।একদম পরি?আমার পরি?
আয়ানঃ নীর তুই ওকে ভালোবাসতে পারিস নাহ
নীড়ঃ কিন্তু কেন?
আয়ানঃ বলে দেবো নীরকে সব৷ কিন্তু ও যে কষ্ট পাবে।।কিন্তু পরে,যদি জানতে পারে তখন আরো বেশি কষ্ট পাবে(মনে মনে)
নীড়ঃ কি হলো বলো
আয়ানঃ আসলে নীড় আমি নেশাকে চিনি।।ও আমার এক ফ্রেন্ড এর বোন ছিলো।
নীড়ঃ তাহলে তুমি আমায় মিথ্যা বললে কেন
আয়ানঃ আসলে যাতে তুই মানে আসলে
নীড়ঃ কি হয়েছে প্লিজ ডিটেইলস এ বলবে
আয়ান নীড়কে সব খুলে বললো।।কিভাবে নেশার সাথে পরিচয় আর ইশানের সাথে নেশার বিহেভ গুলোও।
আয়ানঃ আমি জানি ইশান তাকে ভালোনাসেনি।।কিন্তু নেশা যে তাকে ভালোবেসেছিলো তা বুঝাই যায়।।ইশানের বিয়ের দিনই নেশা দেশ ছেড়ে চলে যায়।।আর তার পর কি হয়েছিলো তা জানি নাহ।।আজ আবার ওর সাথে দেখা হলো।হয়তো নেশা এখনো ইশানকেই ভালোবাসে।।তাই বলছিলাম কি নীড় তুই বরং ওকে ভুলে যা।
বলেই নীড়ের দিকে তাকালো।।আর নীড়ের চোখ দেখেই ভয় পেয়ে গেল।।নীড় যে এতোটা রেগে যাবে আয়ান ভাবেনি।
নীড়ঃ ওই ছেলেটা নেশার সাথে এতো কিছু করেছে?
আয়ানঃ আরে তেমন কিছু নাহ।।তুই আগে শান্ত হ
নীড়ঃ শান্ত কিসের শান্ত।।এইসব যদি একটা অন্য মেয়েকেও বলতো তাহলে নাহ হয় ছেড়ে দিতাম।।কিন্তু আমার নেশাকে এতো অপমান করেছে আর তুমি শান্ত হতে বলছো।
আয়ানঃ আরে বাদ দে নীড়।নেশা যখন ক্ষমা করে দিয়েছে তুই আর কি করবি।।এইসব বাদ দিয়ে এখন কি করবি তা ভাব
নীড়ঃ কি করবো এখন
আয়ানঃ আগে নেশাকে সব সত্যি জানা।।তারপর তোর ভালোবাসার কথা ও বলে দে।।দেখ কি হয়
নীড়ঃ ও যদি রাজি নাহ হয়।।আচ্ছা ৬ বছর তো হয়ে গেছে।।নিশ্চয়ই নেশা এখন আর ইশানকে ভালোবাসে নাহ।।তাহলে আমাকে না ভালোবাসার তো কোন কারন নেই তাই নাহ।।ও নিশ্চয়ই আমাকে ভালোবাসবে।।(জোর পূর্বক হাসি দিয়ে)
আয়ানঃ আশা করি যা ভাবছিস তাই যেন হয়।।
নীড়ঃ হতেই হবে না হলে তো হবে নাহ।। আচ্ছা তুমিই বলো এতো কিছুর পর নেশা কেন ওকে ভালোবাসবে।।ইশান তো নেশার ভালোবাসার যোগ্যই নাহ।।ইনফেক্ট ইশান কারো ভালোবাসাই ডিসার্ভ করে নাহ(নীড় কি আর জানে তার বোন ও ইশানকে মন দিয়ে বসে আছে)
।
।
।
এইদিকে
ঈশাঃ তুমি আমায় কোন গিফট দিলে নাহ কেন
ইশানঃ কই দিলাম তো
ঈশাঃ আরে ওইটা তো ঠিকাছে বাট পার্সোনালি কিছু দিবা নাহ??
ইশানঃ পার্সোনালি কেন দিবো।।আর শুনো বাচ্চা মেয়ে বাচ্চা মেয়ের মতো থাকো পাকনামো করো নাহ ওকে
ঈশাঃ হুহ বাচ্চা হবে তুমি। আমি এডাল্ট।। বিয়ে যদি ঠিক মতো হতো এতদিনে ১২ টা সন্তানের মা হয়ে যেতাম
ইশানঃ হোয়াট ??।।যাই হোক বাই
ঈশাঃ আরে যাচ্ছো কোথায়।।আমার গিফট তো দিয়ে যাও?
ইশানঃ আমি কিছু আনি নি।।পরে দিয়ে দিবো ওকে
ঈশাঃ নাহ আনোনি যখন শাস্তি পেতে হবে??
ইশানঃ দেখ ঈশা তুমি যা চাইছো তা কিছুতেই হবে নাহ।।আর নাহ এটা সম্ভব। সো এইসব ভুলে যাও।আর তুমি আমার সম্পর্কে কিছুই জানো নাহ।।জানলে হয়তো এমন করবে নাহ।।তাই মাথা থেকে এইসব বের করে দেও।।আর আমাকে ভু…….
ঈশা কিছু নাহ বলে ইশানের শার্টের কলার টেনে নিজের মুখের….
।
?
।
?
।
?
।
চলবে???
(একদম পার্ফেক্ট টাইমে থামায় দিছি ?।।খুব মজা এই নাহ হলে জিলাপি ?)