#ভালোবাসা_এমনও_হয়
#Writer_Nusrat_Jahan
#Part_16
(একটু ছোট হলেও রাগ কইরো নাহ আপুরা?।।আসলে এইখানে তো আর স্টার জলসার মতো সিন বানাতে পারি না নায়ক নায়িকা একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়েই ১০ মিনিট শেষ করে দেয়?পাশাপাশি ব্যাকগ্রাউন্ড গান তো আছেই।।তাই আরকি ছোট হয়ে যায়?)
।
খান বাড়িতে
কবিরঃ কথা এইবার মনে হয় তোমার মেয়ের বিয়ে দিতে হবে
কথাঃ মানে
কবিরঃ আজ অফিসের একজন ছেলেকে ঈশার মনে ধরেছে
কথাঃ মানে?
কবির কথাকে সব কাহিনি বললো
কথাঃ কিন্তু তুমি বুঝলে কিভাবে যে ঈশা ওকে লাইক করে।
কবিরঃ আচ্ছা দাড়াও তোমার সামনেই জিজ্ঞাসা করছি।ঈশা তোর কি ইশানকে ভালো লেগেছে
ঈশাঃ এইভাবে কেউ জিজ্ঞাসা করে।।আমার বুঝি লজ্জা লাগে নাহ??
কথাঃ বাবাহ কবির।।তোমার মেয়ে আবার লজ্জাও পায়??
ঈশাঃ উফফ মামনি এখন তো আমার পিছন লাগা অফ করো।।বিয়ের কথা শুনলে কোন মেয়ে লজ্জা পায় নাহ হুহ?
কথাঃ ওরে আমার লজ্জাবতীরে।।বাবা তো শুধু পছন্দর কথা বলেছে নিজে তো দেখি বিয়ে পর্যন্ত চলে গেছেন।।এখন বুঝি লজ্জা লাগে নাহ?
ঈশাঃ আরে বিয়ে করবো এটা বলার মধ্যে লজ্জার কি আছে।আর কতোদিন তোমাদের ঘাড়ে বসে খাবো।২২ বছর তো হয়ে গেল।বিয়েসাদীর তো দরকার আছে তাই নাহ?
কবিরঃ ??
কথাঃ এই মেয়ে?♀?♀।।একটু আগে নাহ বললি লজ্জা পাচ্ছিস।।এখন কই গেল লজ্জা। আর কবির তুমি হাসছো কেন হুহ?।।এই মেয়েটা তোমার কারনেই এমন বেহায়া হয়ে যাচ্ছে।।
কবিরঃ আমি আবার কি করলাম?
কথাঃ তুমিই তো সব ক….
ঈশাঃ উফফ বাবাই মামনি।।তোমরা আবার তোমাদের কথায় চলে যাচ্ছো কেন।।কথা তো হচ্ছে আমার বিয়ে নিয়ে।।ওইটা নিয়ে বলো নাহ?।ইশ আমার বিয়ে ভাবতেই কি ভালো লাগছে???
কথাঃ এই মেয়ে একটু তো লজ্জা পেতে শিখ।।নিজের বিয়ে নিয়ে মানুষ এইভাবে কথা বলে নাকি
ঈশাঃ উফফ মামনি লজ্জা পেয়ে কি লাভ হ্যা।বিয়ে যখন করবোই তাহলে বলতে কি।আর আমি কি কারো সাথে পালিয়ে গেছি নাকি প্রেম করে ধরা পরেছি যে লজ্জা পাবো।
কথাঃ ??
কবিরঃ ??
ঈশাঃ সে যাই হোক। তাড়াতাড়ি আমার বিয়ে ঠিক করো আমি আর বুড়ো বুড়ি তোমাদের সাথে থাকতে চাই নাহ।।আমি এবার আমার জামাই বাড়ি গিয়ে থাকবো।।
কথাঃ আরে কয়েকটা দিন তো ওয়েট কর।।নিজের যে একটা বড় ভাই আছে তা কি ভুলে গেছিস তার আগে তোকে বিয়ে দিলে মানুষ কি বলবে।
ঈশাঃ আরে বিয়ে করবো আমি আর আমার জামাই।।মানুষ কেন কিছু বলবে।।আর ভাইয়ার আশায় আমি কি বসে থাকবো নাকি।।এতো বছর প্রেম করিনি জামাইকে সব ভালোবাসা দিবো বলে।।তোমরা যদি আমাকে বিয়েই নাহ দাও তাহলে আমি ভালোবাসাটা দেখাবো কিভাবে হ্যাঁ।। আর শুনো ভাইয়ার কথা আমি জানি নাহ।।আমার বিয়ে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব ঠিক করো।।না হলে দেখবে আমি সত্যিই পালিয়ে যাবো।
বলেই ঈশা রুমে চলে গেল।। কথা ঈশার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে
কথাঃ এটা কি সত্যি আমার মেয়ে কবির। নাকি হসপিটালে পাল্টে গেছিলো।
কবিরঃ ???
কথাঃ তুমি হাসছো
কবিরঃ কি করবো বলো।।শেষ পর্যন্ত তোমার শান্তশিষ্ট মেয়েটাও বিয়ে পাগলা হয়ে গেল কি বলো??
কথাঃ তাই তো ভাবছি।।একমাত্র আমার ছেলেটাই এখনো শান্ত আছে।।এই মেয়ে তো দেখি লজ্জা সব পানির সাথে মিলিয়ে খেয়ে ফেলেছে।
কবিরঃ আহা যা ছেলে তোমার।।সে যে কি করছে তা কি জানো?
কথাঃ এই শুনো আমার ওমন ভদ্র ছেলেটার নামে কিছু বলবে নাহ তুমি।।আর বাদ দাও ওইসব।।নীড় তো বলেছে এখন বিয়ে করবে নাহ।।তাহলে আর কি করার।।তুমি বরং ওই ছেলের বাড়ির লোকের সাথে কথা বলো।।না হয় তোমার মেয়ে সত্যি পালিয়ে যাবে
কবিরঃ ??
।
।
।
এইদিকে
নেশাঃ ককি সব বলছেন হ্যা?
নীড়ঃ কই কিছু বলিনি তো ভুলে ??ভুলে বলে ফেলেছি??
নেশাঃ গেট আউট
নীড়ঃ হ্যাঁ????
নেশাঃ আই সেইড গেট আউট ??
নীড়ঃ ওমা যাবো কেন??ফাইলটা বুঝাবেন নাহ
নেশাঃ ??
নীড়ঃ ওকে ওকে যাচ্ছি।।এতো বাঘীনি লুক দেয়ার কি আছে।।হেহে??
নেশাঃ আপনি কি যাবেন?
নীড়ঃ হ্যা হ্যা এইতো যাচ্ছি।
নেশাঃ যাওয়ার সময় ম্যানেজার কে বলে যাবেন আমার রুমে আসতে
নীড়ঃ কেন কিছু লাগবে।।আমাকে বলুন আমি করে দিচ্ছি ?
নেশাঃ ?
নীড়ঃ হুহ।।যাচ্ছি যাচ্ছি?
।
একটু পর ম্যানেজার আসলো
রবিঃ মে আই কাম ইন
নেশাঃ ইয়েস কাম
রবিঃ বলুন ম্যাডাম
নেশাঃ আসলে কিছু কথা ছিলো।।নোড় আহমেদ খানকে নিয়ে।উনি আমার আন্ডারে কেন কাজ করে
রবিঃ এই রে ম্যাম কি সব বুঝে গেল(মনে মনে)
রবিঃ কেন ম্যাডাম এনি প্রবলেম
নেশাঃ উনার এডুকেশন কোয়ালিফিকেশন,উনার ব্যাকগ্রাউন্ড টা দেখতে চাই
রবিঃ কেন ম্যাম কিছু কি হয়েছে।।এইসব দেখার দরকার কি?
নেশাঃ আমার স্টাফ দের সম্পর্কে আমি জানতে পারবো নাহ?
রবিঃ হ্যা ম্যাডাম অবশ্যই পারেন।।আমি দিয়ে যাচ্ছি।।
নেশাঃ ওকে
।
।
রবি দৌড়ে নীড়ের কাছে আসলো।
রবিঃ স্যার সমস্যা হয়ে গেছে
নীড়ঃ কি হয়েছে
রবিঃ স্যার ম্যাম আপনার সব ইনফরমেশন চেয়েছে
নীড়ঃ হোয়াট
রবিঃ হ্যা স্যার।।এখন কি করবো
নীড়ঃ শিট।।এখন যদি নেশা আসল ইনফরমেশন গুলো দিলে ও তো সব বুঝে যাবে।
রবিঃ তাহলে কি করবো স্যার এখন
নীড়ঃ তুমি বরং আজ চলে যাও।।নেশার সামনে আর যাওয়ার দরকার নেই।।কাল না হয় দেখা যাবে।
রবিঃ ওকে স্যার।
।
।
।
নীড় যেন তেন করে নেশাকে বুঝালো।।অফিস টাইম শেষ করে নেশা বাড়িতে ফিরে এলো।।নিজের রুমে ঢুকে রুম দেখেই মুখে অজান্তেই হাসি ফুটে উঠলো।।কারন সে যা ভেবেছে ইশান সেই অনুযায়ী কাজ করছে।
ইশানঃ হেই নেশা কেমন হয়েছে বলো তো
নেশাঃ অনেক সুন্দর
আসলে ইশান নেশাকে প্রপোজ করার জন্য তার রুমটা খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে।
নেশাঃ আবার কেক ও?
ইশানঃ ইয়েস মাই লাভ
নেশাঃ তা এতো কিছু কিসের জন্য শুনি
ইশানঃ তোমাকে নিজের করতে
নেশাঃ করতে পারবেন নাহ।
ইশানঃ আমাকে ফিরিয়ে দিতে পারবে নাহ তুমি নেশা।
নেশাঃ যদি ফিরে আসার হতো তাহলে অনেক আগেই ফিরতাম
ইশানঃ আগের কথা বাদ।।আজ থেকে তুমি আমার
নেশাঃ আর কতো অভিনয় করবেন ইশান
ইশানঃ এগুলো অভিনয় নাহ নেশা।।এগুলো ভালোবাসা।।আর তুমিও আমায় ভালোবাসো।
নেশাঃ বাসতাম।।আর যা ছিল আমার জীবনের সব চেয়ে বড় ভুল।
ইশানঃ ভুল নাহ।।এখন যা করছো তা ভুল।আর তাই তুমি আমার জীবনে ফিরে আসবে। তোমাকে তো আসতেই হবে
নেশাঃ তা যে হবে নাহ ইশান।।
ইশানঃ হতে হবে
নেশাঃ হবে নাহ
ইশান রেগে নেশাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে কেকের পাশে রাখা ছুড়িটা নেশার গলায় চেপে ধরলো।
ইশানঃ তোমাকে তো আমার হতেই হবে বেবি।।নিজে থেকে যখন ধরা দিয়েছো তখন তো তোমার আমার হয়েই থাকতে হবে।
নেশাঃ কেন হবো আমি আপনার
ইশানঃ ভালোবাসি যে তাই
নেশাঃ ?ভালোবাসা।।কি ভেবেছেন এই ৬ বছর কি হয়েছে তা আমি জানি নাহ
ইশানঃ ককি জজাননো তুমি
নেশাঃ আরে তোতলাচ্ছেন কেন?
।
চলবে
(গল্পে কি যেন মিসিং। মনে হয় একটা ভিলেন এর দরকার কি বলেন সবাই?)