ভালোবাসার রোজ,পর্ব:৪

0
296

#ভালোবাসার_রোজ[পর্ব -০৪]
#আফরোজা_আনজুম

কোচিং ছেড়েছি প্রায় দুই মাস হচ্ছে। তার কারণও আছে। দুই মাস আগে কোচিং-এর টেস্ট পরীক্ষায় পাওয়া সর্বনিম্ন নাম্বার ছিল আমার। কোচিং-এর ভাইয়া নিঠুল ভাইকে ফোন করে তা জানিয়ে দেয়। নিঠুল ভাই সেখানে গিয়ে নিজ দায়িত্বে আম্মুর নাম্বার দিয়ে ফোন করে আমার লেখাপড়া বিষয়ক সকল আপডেট জানাতে বলে। আমার সামনেই আমার নামে যা নয় তা বলে নিঠুল ভাইসহ। সেই দিন আম্মু আমার সব বইপত্র নিয়ে ফেলে ঘোষণা দেয় আমার আর লেখাপড়া লাগবে না। সেদিনই মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছি সব অপমানের জবাব দেবো আমি রেজাল্টের মাধ্যমে। কোচিং ছেড়ে ঘরেই কোমর বেঁধে নেমে পড়ি লেখাপড়া নামক যুদ্ধে। নাওয়া খাওয়া ছেড়ে পড়তে লাগলাম। যেগুলোতে বুঝতে সমস্যা সেগুলো পিউয়ের কাছ থেকে বুঝে নিই। ভর্তি পরীক্ষার বাকি আর দুইদিন মাত্র। শরীর খারাপ লাগছে বেশ কয়েকদিন ধরে। চোখ মুখ অন্ধকার হয়ে আসছে। শরীর ক্রমশ খারাপ হওয়ায় সন্ধ্যায় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় আব্বু। রাত জাগার ফলে দূর্বল হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছি।

ঘড়ির কাঁটা এখন দুইটার ঘরে। এ সময় আমি বসে আছি টোফেল নিয়ে। ইংরেজিতে বরাবরই দূর্বল আমি। তবে মনে হচ্ছে এই দুই মাসের পরিশ্রমের ফল পাবোই। বাকিটা ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছি। ফোনের আওয়াজে বই থেকে মুখ উঠায়। আননোন নাম্বার থেকে কল তাও এই রাত দুইটায়! নিঠুল ভাই নয়তো! না সে নিজ থেকে ফোন করবে না। তার সামনাসামনি হয়নি এই দুই মাস। সে আসলেই দরজা বন্ধ করে ঘরে বসে থেকেছি। খুঁজতে আসলে লেখাপড়ার বাহানা দিয়ে এড়িয়ে চলেছি। এক দিন ফোন করে বলে, ” সারাদিন রাত রুমের দরজা বন্ধ করে কী করিস? আবার লেখাপড়ার বাহানা দিস। তাও নিঠুলকে! এক মিনিটের জন্য আমাকে দেখা দিতে গেলে তোর মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে যাবে? এরপরের বার গিয়ে যদি দেখা না পায় তো দেখিস!”

বিপরীতে কিছু না বলে চুপচাপ কল কেটে দিলাম। কল কেটে দেওয়ায় উপাধি পেলাম বেয়াদব। এরপরও দেখা দিই নি। সেও হয়তো রেগে ফুলে আছে তাই আর খবরও নেই। এতোবার কল আসায় বিরক্ত হয়ে রিসিভ করলাম। সঙ্গে সঙ্গে ওপাশ থেকে কথা আসলো,” এত রাতে কী করিস না ঘুমিয়ে? কার সাথে কথা বলছিলি মোবাইলে যে বিজি আছিস বলছে!”

মেজাজ গরম হয়ে গেলো আমার। এই রাত দুইটায় ফোন করে জিজ্ঞেস করছে কার সাথে কথা বলছি,নাম্বার বিজি কেন। মোবাইল ‘ই তো হাতে নিই নি ;সে বলছে নাম্বার বিজি আছে । কেমন মিথ্যা কথা! আর বললেও তোর কী? আমি যে আজকে অসুস্থ হয়ে পড়েছি সেটা নিশ্চয়ই আব্বু তার কানে পৌঁছে দিয়েছে এতক্ষণে। কই একবারও তো খবর নেয় নি। সবসময় আমার পেছনে লাগতে পারে। তার সামান্য জ্বর হলেই তো যন্ত্রণায় ভোগী আমিও। সে অসুস্থ শুনলেই অস্থির অস্থির লাগে, ছুটে গিয়ে সেবা করতে ইচ্ছে করে আমার।

” পড়ছিলাম আমি। কারো সাথে কথা বলি নি। ”

” মিথ্যে বলার জায়গা পাস না আর! ভিডিও কলে আয় দেখি কেমন পড়ছিলি তুই।”

বলার সাথে সাথে কল কেটে ভিডিও কল দেয় সে। রিসিভ করতেই তার মুখটা ভেসে ওঠে। এতো রাত পর্যন্ত সে জেগে কেন? গার্লফ্রেন্ডের সাথে রাত জেগে প্রেমালাপ করছে কী!

” পড়তে পড়তে নাকি শহীদ হয়ে যাচ্ছিস তুই? তোকে নিয়ে তো নিউজ করা উচিত যে, পড়তে পড়তে শহীদ হয়ে গেলো এক ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার্থী।
রাত জেগে পড়তে কে বলেছে তোকে?
এমন রাত দিন পড়েও যদি অসুস্থ হয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারিস তাহলে এতো পড়ে কী লাভ। খাওয়া দাওয়া,ঘুম সব ঠিকঠাক রেখে তারপর বাকি সব। ”

তার কথায় মনে হচ্ছে যেন আমার উপর তার অনেক অধিকার। মাঝে মাঝে মনে উঁকি দেয় আমি তার ‘বিশেষ কেউ’ নয় তো! এরচেয়ে বেশি আর ভাবতে পারি না। বুঝতে পারি না যে তাকে।

” তুমি জেগে আছো কেন তাহলে? ”

” আমার সাথে তুলনা করিস? তুই আর আমি এক? চুপচাপ ঘুমা এখন। আগামী দুইদিন রেস্ট নিবি। যা,পড়েছিস তা-ই যথেষ্ট। ”

” আচ্ছা। কী করছিলে তুমি? ” একটু ঘুরিয়ে জিজ্ঞেস করলাম। দেখি উত্তর পায় কি না।

” দিশার কথা ভাবছিলাম। ভীষণ মনে পড়ছে ওকে।” ঠোঁট বাঁকিয়ে বললো সে।

জানতাম ঠিকঠাক বলবে না। তাই আমিও বললাম,” দিশা আপুকে তোমার নাম্বারটা দিয়ে দিচ্ছি তাহলে। ভাবাভাবি রেখে কথা বলো। দেখবে ভালো লাগবে।”

” এই খবরদার। নাম্বারটা যেন ওর কাছে না যায়। ঘুমা এখন, যা।”

কেটে দিলো কল। এতো ভালো লাগছে কেন তার কণ্ঠ শুনতে পেয়ে! তার কথা মতো ঘুমাতে গেলাম। সত্যিই তো, সুস্থ না থাকলে সব পরিশ্রমই তো বৃথা।
.
.
পরীক্ষা শেষে গেইটের কাছে পিউকে দেখলাম। আমাকে দেখেই সে দৌঁড়ে এসে জড়িয়ে ধরে।

” কেমন দিলি পরীক্ষা? ” হাসিমুখে জিজ্ঞেস করলো পিউ।

” বুঝতে পারছি না রে। রেজাল্টের অপেক্ষায়। তোর কেমন হলো?”

” আমারও তোর মতো অবস্থা।”

” আব্বু, নিঠুল ভাইয়ের সাথে দেখা হয় নি? ”

” নিঠুল ভাইয়ের সাথে হয়েছে। দোকানে গেলো একটু আগে। আর মামাকে নাকি নিঠুল ভাইদের বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে। ওইতো আসছে নিঠুল ভাই। ”

নিঠুল ভাইয়ের সাথে একটা ছেলে আর মেয়েকেও দেখতে পেলাম। পিউ ফিসফিস করে বললো,” রোজা, ওরা নিঠুল ভাইয়ের ফ্রেন্ড। মেয়েটা একটু চিপকু টাইপের। দেখলেই রাগ লাগে। তখন দেখলাম নানা বাহানায় নিঠুল ভাইয়ের গায়ের উপর পড়ছে। এখন দেখবি কেমন করে। ”

” তোর আব্বু মিসড কল দিতে দিতে বিরক্ত বানিয়ে ফেলেছে আমায়। কেন যে বাসায় যেতে বললাম! ” বিরক্ত হয়ে কথাটা বলে তার ফোনটা ধরিয়ে দিল আমায়। আব্বু শুধু শুধুই টেনশন করে। আব্বুর সাথে কথা বলার পর দেখলাম তারা পিউর প্রশ্ন দেখছে আর আলোচনা করছে। মেয়েটা নিঠুল ভাইয়ের সাথে ক্লোজ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কথায় কথায় হাতও ধরছে। আশ্চর্য ফ্রেন্ড হলেই এভাবে করতে হয় নাকি! শহুরে মেয়ে বলে এত ঢলাঢলি করবে! বেয়াদব মেয়ে। নিঠুল ভাইয়েরও সেদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই। থাকবে কীভাবে ; এসবে তো সে অভ্যস্ত। অসহ্য লাগছে আমার। পিউর সাথেও কত ভালোভাবে কথা বলে। আর আমার সাথেই যতসব উল্টাপাল্টা কথা।

” আমার খারাপ লাগছে। বাসায় যাবো আমি। ” একটু উঁচু গলায় বললাম। কে আছে না আছে তা দেখার সময় নেই। সত্যিই খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে এক্ষুনি মাথা ঘুরে পড়ে এখানেই অক্কা পাবো।

” তুমিই রোজ! ” কেমন করে তাকিয়ে নামটা জিজ্ঞেস করলো মেয়েটা। যেন আমাকে একটুও পছন্দ হয় নি তার।

” জ্বি না। আমি রোজা। আফরোজা আনজুম রোজা।”

মেয়েটি তা শুনে স্টাইল করে বললো,” ও আচ্ছা। নিঠুল রোজ বলে ডাকে তাই না? ও কারো নামই ঠিকঠাক ভাবে ডাকে না। আমার নাম মিষ্টি ; কিন্তু ও ডাকে সুইটি।”

ওহ্ আচ্ছা। এ-ই তাহলে সুইটি। নামটা জানার পর ভালোভাবে লক্ষ্য করলাম মেয়েটিকে। ধবধবে ফর্সা শরীর, কাঁধ অবধি ছোট চুল, লেডিস জিন্স আর শার্ট পরেছে, গলায় ছোটখাটো একটা দড়িও ঝুলছে। দড়িই বলা চলে ওড়না টাকে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে বড়লোক বাপের মেয়ে। অজান্তেই সুইটি ওরফে মিষ্টির সাথে নিজের তুলনা করলাম। নামের মতোই মিষ্টি সে। আর আমি! বেশভূষায় যথেষ্ট মার্জিত হলেও অতটা স্মার্ট নয়। গায়ের রঙটাও অতটা ফর্সা নয়। যাক সেসব। সবাই যে যার মতো সুন্দর। পাশ থেকে পিউ চিমটি কেটে বললো,” এভাবে দেখছিস কেন? কেমন ভাব দেখাচ্ছে দেখ। আমার সাথেও তখন কেমন করে কথা বললো। পাত্তা না দিয়ে ডোন্ট কেয়ার ভাব দেখা।”

নিঠুল ভাই আমার হাতে পানির বোতল ধরিয়ে দিয়ে বললো,” পানিটুকু খেয়ে নে আর হিজাবটা খুলে আলগা করে দে।”

ভীষণ রাগ হলো তার উপর। মিষ্টি পিষ্টির সাথে তার এতো হাসাহাসি,ঢলাঢলি কেন! আবার ডাকে সুইটি। হুহ্ ঢঙ! নিঠুল ভাইয়ের কথা না শুনেই হাঁটা ধরলাম। মিষ্টি নামের মেয়েটা কোথাও যাওয়ার কথা বলছে। গাড়িতে উঠলে নিঠুল ভাই আবারো বললো হিজাব খুলে নিতে। খুলছি না দেখে আমার হিজাবটা মাথার দিক থেকে টেনে নামিয়ে দিলো। এলোমেলো হয়ে যাওয়ায় আমারও খুলতে হলো। ফুফির বাসার সামনে পিউকে নামিয়ে দিয়েছে। পিউ বললেও যায় নি সেখানে। আগামীকাল আরেকটা আছে পরীক্ষা। দুজন একসাথে থাকলে পড়া হবে না। এটা নিঠুল ভাইয়ের-ই কথা। যেন আমরা ছোট;না পড়ে খেলতে বসবো। সিটের পেছনের সিটে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে রেখেছিলাম। নিঠুল ভাই আমার মাথাটা তার কাঁধে নিয়ে জড়িয়ে ধরার মতো করে রাখে হাতটা।মাথাটা হেলে পড়ছে বলেই হয়তো। কেমন অনুভূতি হলো আমার জানি না। তবে ভীষণ.. ভীষণ ভালো লাগলো তার এতো কাছাকাছি যেতে পেরে। ইচ্ছে করলো যেন সারাজীবন এভাবেই থাকি। বাসার কাছাকাছি চলে আসলে ঘুম থেকে ডেকে তুললো নিঠুল ভাই। যদিও আমি ঘুমায় নি; ঘুমের অভিনয় করেছিলাম। আব্বুর সাথে কথা বলে, খেয়েদেয়ে সোজা গিয়ে সোফায় শুয়ে পড়লাম। রিনি আপু রুমে গিয়ে শুতে বলছে। এদিকে আমি ঘুমের কারণে চোখ দুটো খুলতে পারছি না।
যখন ঘুম থেকে উঠলাম তখন দেখলাম আমি রিনি আপুর রুমে। ঘড়িতে নয়টা বাজছে তখন। হুড়মুড়িয়ে উঠে বসলাম। কালকে পরীক্ষা আছে আর আমি এতোক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম! আমাকে ডাকলো না কেউ। রিনি আপু জানালো নিঠুল ভাই -ই নাকি ডাকতে না করেছে৷ তাড়াতাড়ি বই নিয়ে বসলাম। আপুর রুমে কীভাবে আসলাম জানতে চাইলে আপু বলে নিঠুল ভাইয়ের বন্ধু এসেছিল নাকি। আমাকে অনেক ডেকেছে। না উঠাই নিঠুল ভাই কোলে করে আপুর রুমে নিয়ে যায়। শুনেই কেমন লজ্জা লাগলো আমার। পরের দিন পরীক্ষা দিয়েই বাড়ি চলে আসলাম। সে রাতও টেনশনে নির্ঘুম কাটলো আমার। চান্স না পেলে মুখ দেখাবো না কাউকে এও সিদ্ধান্ত নিলাম। পরের দিন দুরুদুরু বুক নিয়ে মোবাইল হাতে অপেক্ষা করছিলাম। নিঠুল ভাইয়ের মেসেজ দেখে চিল্লিয়ে উঠলাম। উত্তেজনায় হাত পা কাঁপছে আমার। আম্মু দৌড়ে আসলে আম্মুকে জড়িয়ে ধরে খুশিতে কেঁদে উঠলাম।

” থাক কাঁদিস না মা। ভাগ্যে থাকতে হয় এসব। কলেজে ভর্তি হবি।ওখানেও সেইম পড়া। কাঁদিস না আর। ”

” আম্মু..আমি চান্স পেয়েছি। এই দেখো, দেখো মেরিট লিস্টে নাম আসছে আমার। ১২৫০ তম হয়েছি।”

” কী বলিস! ভুল এসেছে কি না দেখ।”

” ভুল কেন হবে আম্মু!এই দেখো নিঠুল ভাই দিয়েছে। ”

নাম দেখে আম্মুও চিল্লিয়ে উঠে আমাকে জড়িয়ে ধরে দুই গালে চুমু খায়। আব্বুকে সালাম করে জড়িয়ে ধরি। মুহূর্তেই বাড়িতে খুশির আমেজ বয়ে যায়। আব্বু-আম্মু কী পরিমাণ খুশি হয়েছে তা বলার বাইরে। এতো খুশি হতে আর কখনো দেখি নি বোধহয়। পিউ ফোন করে বলেছে সে ওয়েটিং লিস্টে আছে। তাকে ডাকার সম্ভাবনা ফিফটি পারসেন্ট। আমার রেজাল্ট শুনে নিঠুল ভাইয়ের কী অনুভূতি তা জানতে ইচ্ছে হলো। তার আগে রেবা আন্টিকে ফোন করলাম। নিঠুল ভাইয়ের কাছ থেকে জানবে; তাও খুশি মুখে নিজের প্রাপ্তি জানানোর আনন্দই আলাদা।
পরের দিন আসলে বললো,” এমন করছিস যেন বিসিএস ক্যাডার হয়েছিস। চান্স পেয়েছিস ভালো কথা। এবার ভালো করে পড়।”

কেমন মানুষরে বাবা! যেখানে এইচএসসিতে পাশ করবো কি না তা নিয়ে সন্দিগ্ধ ছিলাম সেখানে এ প্লাস পেয়ে আবার ভার্সিটিতেও চান্স পেয়ে গেলাম। তাও একটা কংগ্রাচুলেশনস পর্যন্ত জানালো না আবার উল্টো কথা! রাগ করে সারাদিন তার সামনে গেলাম না। সন্ধ্যায় রুমে গিয়ে একটা বক্স দেখতে পেলাম। বক্স খুলে একটা ঘড়ি আর ছোট্ট কাগজ পেলাম। কাগজে লেখা, ‘ তোর মতো গাধী এই রেজাল্ট করেছে তা অবিশ্বাস্য। তাও করেছিস। এর জন্য তোর কিছু তো পাওনা রয়েছে। তোর বাপের মতো আমি কন্জুস না। তোর বাপ আমাকে দিয়ে যে মিষ্টি আনিয়েছে তার টাকাটাও দেয় নি এখনো। যাক, ঘড়ির টাইম তো চিনিস না। কেউ জিজ্ঞেস করলে অ্যাকুরেট বলতে পারিস না ; সেই ভয়ে ঘড়িও পরিস না হাতে। এজন্য ঘড়ি দিয়েছি। ভার্সিটিতে গেলে এটা প্রতিদিনই পরবি।এটার দিকে তাকিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করবি। আমি টাইম জিজ্ঞেস করবো।’

যতই ত্যাড়া কথা বলুক বা লিখুক না কেন তাকেই ভালো লাগে আমার। এইতো এখনো খুশিতে নাচতে ইচ্ছে করছে। বলতে ইচ্ছে করছে, “আপনি যা-ই বলেন তাতে আমি ভালোবাসা খুঁজে পাই।”

#চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here