#ভালোবাসার_অনুভূতি
#লেখিকাঃতানিশা_তিশা_মনি
#পর্বঃ23
আহান ব্যাথ্যায় হাটু ভেঙে মেঘকে জড়িয়ে ধরে রেখেই ফ্লোরে বসে পড়লো।আহানের এমন অবস্থা দৈখে মেঘ জোড়ে একটা চিৎকার দিলো।ড্রইং রুম ভর্তি সব মানুষ হতবম্ভ হয়ে গেলো।ঠিক তখনই কেউ জেড়িনের গালে সজোড়ে একটা চড় মাড়লো। চড়ের শব্দে সবাই জেড়িনদের দিকে তাকালো দেখলো অভি অগ্নি মূর্তি রূপ ধারন করে জেড়িনের দিকে তাকিয়ে আছে। জেড়িন গালে হাত দিয়ে চিল্লিয়ে বললো
“এই ছেলে তোর এতো বড় সাহস তুই আমার বাড়িতে দাড়িয়ে আমাকেই থাপ্পর মেরেছিস।”
জেড়িন কথাটা শেষ করার সাথে সাথে অভি পরপর জেড়িনকে আরো চারটা থাপ্পর মারলো। শেষের থাপ্পর টা এতো জোড়ে মেরেছে যে জেড়িন ছিটকে টি-টেবিলের উপর পড়ে কপাল কেটে গেলো। ঘটনা গুলো এতো তাড়াতাড়ি হয়ৈছে যে, বাকিরা সবাই শুধু হতবম্ভ হয়ে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছে। অভি চেচিয়ে জেড়িনকে উদ্দ্যেশ্য করে বললো
“আমার সাহস সম্পর্কে তোর বিন্দুমাএও ধারনা নেই স্কাউনডেল। তোকে তো শুধু মাএ কয়েকটা থাপ্পর মেরেছি,, ইচ্ছে তো করছে তোকে মেরে এখানে পুতে দেই। ইউ নো হোয়াট?কুকুরের লেজ যেমন কোনোদিন সোজা হয় না,, তেমনি তুইও কোনোদিন ভালো হবি না। আমার তো মনে হয় তোর বেচে থাকার ইচ্ছেটাই চলে গেছে,, নাহলে তুই আজ অবদি কতো অন্যায় করেছিস তার পরেও তোকে এতোবার মাফ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তোকে মাফ করে দেওয়াটাই মনে হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে,, তোর মতো মেয়েকে তো অনেক আগেই মেরে দেওয়া উচিৎ ছিলৌ তাহলে আর আজকে এই অঘটন টা ঘটতো না।”
অভির কথায় জেড়িনের হিংস্র চেহারাটা আরো হিংস্র হয়ে গেলো । ও রাগে সাপের মতো ফোসফোস করছে।অভি সেদিকে পাএা না দিয়ে আহান আর মেঘের কাছে এসে হাটু ভেঙে বসে চিন্তিত ভঙ্গিতে জিঙ্গেস করলো
“তোরা ঠিক আছিস ?”
আহান ব্যাথ্যায় চোখ মুখ কুচকে বললো
“হুমম আমি ঠিক আছি। মেঘকে একটু দেখ ওর কোথাও লেগেছে কিনা।”
অভি ম্লানো হেসে বললো
“ওকে দেখার কোনো দরকার নেই। আমি জানি তুই যতোদিন আছিস,, কেউ ওর গায়ে একটা ফুলের টোকাও দিতে পারবে না।”
বলেই অভি আহানকে আর মেঘকে ধরে দাড় করালো। আহান একহাত দিয়ে মেঘের হাত ধরে রেখেছে আরেক হাত দিয়ে নিজের ঘাড় চেপে ধরে আছে। মেঘের হাতটা এমন ভাবে চেপৈ রেখেছে যেনো ছেড়ে দিলেই ও হাড়িয়ে যাবে । মেঘ এখনো ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদছে । বড়রা সবাই দৌড়ে এসে এসে আহানকে আর মেঘকে ধরে সোফায় বসালো। জেড়িনকে ওর মা ফ্লোর থেকে তুলে দাড় করালো। ও অগ্নি দৃষ্টিতে মেঘ, অভি, আহানের দিকে তাকিয়ে আছে। ফ্লোয়ার ভাসটা পড়ার কারনে আহানের পিঠ অনেকটা কেটে গেছে ।রক্তে ওর পিঠের অংশের পাঞ্জাবি ভিজে চুপচুপে হয়ে গেছে।
আজম রহমান,মিরা রহমান, মোনা খান, আহাদ খান, রেগে বোম হয়ে আছে । পারছে না জেড়িনকে গিলে খেতে । কিন্তু ওনারা এখানে কোনো সিন ক্রিয়েট করতে চান না,,তাই চুপচাপ দাতে দাত চেপে সব সহ্য করে যাচ্ছেন।
আবির রাগি চোখে আহান মেঘের যে হাতটা ধরেছে সেইটার দিকে চেয়ে আছে। আশে পাশে কি হচ্ছে সেই দিকে ওর বিন্দু মাএ খেয়াল নেই। মোনা খান আহানের পাশে বসে তড়িঘড়ি করে বললো
“কেউ একটু প্লিজ ফাষ্ট এইড বক্সটা নিয়ে আসো। আহানের পিঠ কেটে গেছে,,ব্লিডিংও হচ্ছে । এখনি ব্যান্ডেজ করতে হবে ,নাহলে ইনফেকশন হয়ে যাবে ।”
দিশা তড়িঘড়ি করে বললো
“দাড়ান আন্টি আমি দেখছি। ফাষ্ট এইড বক্সটা কোথায় আছে ।”
বলে দিশা যেতে নিলেই আহান দিশাকে উদ্দ্যেশ্য করে বললো
“দাড়াও দিশা ! তোমাকে কোথাও যেতে হবে না।”
আহানের ডাকে দিশা দাড়িয়ে গেলো। আহান বসা থেকে উঠে মেঘের হাত ধরে দাড় করালো। তারপর মোনা খান আর মিরা রহমানকে উদ্দেশ্য করে বললো
“ব্যান্ডেজ করানো তো দূরের কথা ,,আমি আর এক মূহুর্তও এখানে থাকবো না। তোমাদের দুজনকে বারবার বারন করে ছিলাম তোমরা যাতে মেঘকে এখানে নিয়ে না আসো,, কিন্তু তোমরা কেউ আমার একটা কথাও শুনলে না । দেখলে তো আজকে কি হতে যাচ্ছিলো? আজকে যদি ওই ফ্লোয়ার ভাস টা মেঘের গায়ে পড়তো ওর কি অবস্থা হবে একবার ভেবে দেখেছৌ?”
মোনা খান শান্ত স্বরে বললো
” আহান আমরা অনেক বড় ভুল করেছি মেঘকে এখানে এনে। সেটা আমরা মেনে নিচ্ছি ।কিন্তু আহান তোমার পিঠে ব্লিডিং হচ্ছে,, এই ভাবে এখান থেকে গেলে ইনফেকশন হবে । প্লিজ শুধু ব্যান্ডেজটা করে দেই তারপর নাহয় এখান থেকে যেও। ”
“নো ওয়ে,, আমি মেঘকে নিয়ে আর রিক্স নিতে চাই না। ”
মিরা রহমান বললো
“আহান আব্বুটা এরকম করে না। প্লিজ সোনা বাবাটা ব্যান্ডেজটা করে নাও । অনেক ব্লিডিং হচ্ছে।”
“সরি মামনি আমি তোমাদের কারো কথাই এখন শূনতে পারবো না । আমি মেঘকে নিয়ে এখন যাচ্ছি তোমরা অনুষ্ঠান শেষ হলে চলে এসো।”
বলেই আহান মেঘের হাত ধরে হাটা শুরু করলো। আবিরের বাবা,,মেঘের মেজ চাচা এসে আহানকে আটকানোর অনেক চেষ্টা করলো,, জেড়িনের তরফ থেকেও ওনারা মাফ চাইলো,, কিন্তু আহান ওনাদের কারো কথা কানে তুললো না।মেঘকে নিয়ে সোজা বাইরে চলে এলো। আবিরের বাবা গিয়ে জেড়িনের গালে একটা চড় মেরে বললো
“তোর জন্য সবার সামনে আর কতো ছোট হতে হবে একটু বলবি? বেয়াদপ মেয়ে একটা। কোনো আদব কায়দা শিখতে পারিশনি আজ পযর্ন্ত।তোর জন্য আজকে আবার আমার মেয়েটা আমার থেকে দূরে চলে গেলো। এর জন্য আমি তোকে কখনো মাফ করবো না।”
আবিরের বাবা নিজের চোখ মুছতে মুছতে উপড়ে চলে গেলেন। জেড়িন রেগে টি টেবিলের উপরে একটা লাওি মারলো।
________________________
বর্তমান
মেঘ ওয়াশ রুমে ঢুকে লেহেঙ্গাটা চেইঞ্জ করে একটা থ্রি পিজ পড়লো। তারপর ফ্রেস হয়ে রুমে এসে খাটের সাথে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখলো। কান্নাকাটির জন্য চোখের মধ্যে ভীষন জ্বালা হচ্ছে। মাথাটাও ধরেছে । দরজায় টোকা পড়তেই মেঘ চোখ খুলে দরজার দিকে তাকালো দেখলো আহান গালি গায়ে শুধু মাএ একটা থ্রি কর্টার প্যান্ট পড়ে দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে।ওর হাতে একটা ফাষ্ট এইড বক্স। মেঘ আহানকে এমন অবস্থায় দেখে থতমত খেয়ে গেলো। চোখ বড় বড় করে আহানের দিকে তাকিয়ে থেকে আয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া বলে জোড়ে একটা চিৎকার দিলো । আহান দ্রুত রুমে ঢুকে হাতে থাকা ফাষ্ট এইড বক্সটা বিছানায় ছুরে মেরে মেঘের মুখটা চেপে ধরে ওকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো। তারপর ধমক দিয়ে বললো
“এই মেয়ে কথায় কথায় এতো চিল্লাচিল্লি করো কেনো?এবাবে চেচালে সার্ভেন্টরা কি ভাববে? ভাববে আমি তোমার সাথে উল্টাপাল্টা কিছু করছি। আর একটাও যদি চিৎকার দেও তো ব্যালকনি থেকে একদম নিচে ফেলে দিবো।”
মেঘ ছটফছ করে আহানের থেকে ছোটার চেষ্টা করছে আর মুখ থেকে উমম উমম শব্দ বের করছে। আহান মেঘকে ছটফট করতে দেখে ওর মুখ থেকে হাতটা সরিয়ে ফেললো। কিন্তু ছাড়লো না ওভাবেই ওকে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে রাখলো। আহানের হাতটা সরাতেই মেঘ জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস নিতে লাগলো।তারপর অবাক কন্ঠে বললো
“আপনি এইভাবে আমার রুমে কেনো এসেছেন?”
আহান মেঘের গালে এক হাত দিয়ে স্নাইড করতে করতে বললো
“কোনভাবে?”
আহান জানে মেঘ ওর খালি গায়ে আসার কথা বলেছে।তাও মেঘকে লজ্জা দেওয়ার জন্য ইচ্ছে করেই আবার জিঙ্গেস করেছে। মেঘ কিছু না বলে মাথাটা নিচু করে রাখলো । লজ্জায় ও মাথাই তুলতে পারছে না । আহান মেঘের এই লজ্জা মাখা ফেইজটা বেশ উপভোগ করছে। আহান মেঘকে ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে নিয়ে গিয়ে দাড় করিয়ে ,ওর পিঠটা নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে ওর কাধে নিজের থুতনি রাখলো । তারপর দুইহাত দিয়ে মেঘের পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে লো ভয়েজে বললো
“কাদতে কাদতে নিজের চোখ মুখের কি অবস্থা করেছো একবার দেখোছে? চোখ, ঠোট, গাল সব একদম পাকা টমেটোর মতো লাল হয়ে গেছে। ইচ্ছে করছে টুপ করে খেয়ে ফেলি। ”
আহানের গরম নিশ্বাষ মেঘের ঘাড়ে এসে লাগছে। কথা বলার সময় ঠোট দুটো বারবার মেঘের ঘাড়কে স্পর্স করছে । ওর মনের মাঝে অদ্ভুত এক অনূভুতির সৃষ্টি হচ্ছে। মেঘ এখনো মাথা নিচু করে নিচের দিকেই তাকিয়ে আছে। আহান মেঘের ঘাড়ে আলতো করে একটা চুমু খেয়ে বললো
“জানো আমার না মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে তোমার গালে ঠাস ঠাস করে দুটো চড় মেরে তোমাকে কাদিয়ে মনে ভরে তোমার সেই কান্নারতো মুখটা দেখবো । কিন্তু সেই থাপ্পর টা যে মারবো সেই ক্ষমতাই আমার নেই । দূরে বসে তোমার উপর যতোই রেগে যাই না কেনো, যখনই কাছে এসে তোমার এই নিষ্পাম চেহারাটা দেখি সব রাগ ভ্যানিস হয়ে যায়।”
কথাটা বলেই আহান মেঘকে নিজের দিকে ঘোড়ালো।একহাত মেঘের কোমরে রেখে আরেক হাত দিয়ে মেঘের ঠোটের উপরে শ্লাইড করতে করতে একটা দুষ্টু হাসি দিয়ে বললো
“মেঘ পড়ি আমার না তোমাকে একটা লিভ কিস করতে ইচ্ছে করছে। করবো প্লিজ? ”
আহানের কথা শুনে মেঘ চোখ বড় বড় করে ওর দিকে তাকালো। তারপর অসফুট স্বরে বললো
“কি?”
“শুনতে পাওনি? আমি এখন তোমাকে একটা লিভ কিস করবো সেটার জন্য পারমিশন চেয়েছি। অবশ্য তোমার থেকে পারমিশন নেওয়ার কি আছে? তুমি তো পুরোটাই আমার। তোমার সাথে আমি যখন তখন যা খুশি তাই করতে পারি । ”
বলেই আহান নিজের মাথাটা মেঘের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে লাগলো। মেঘ ওর ফেইজটা কাদো কাদো বানিয়ে চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে নিলো। ওর হাত পা থরথর করে কাপছে। মেঘ অনেক ক্ষন চোখ খিচে বন্ধ করে রাখার পরও কিছু ফিল করতে পারলো না তাই টুপ করে নিজের চোখ দুটো খুলে ফেললো। সামনে তাকাতেই দেখলো আহান ওর দিকে তাকিয়ে ঠোট চেপে হাসি আটকানোর চেষ্টা করছে। মেঘ চোখ খুলতেই আহান মেঘকে ছেড়ে দিয়ে হা হা করে হেসে দিলো। হাসতে হাসতে বেচারা রীতিমতো গড়াগড়ি খাচ্ছে। মেঘ রাগি চোখে আহানের দিকে তাকিয়ে রইলো। আহান কোনো মতে নিজের হাসি থামিয়ে বললো
“শুধু মাএ একটা কিস করতে চেয়েছি তাতেই তোমার এই অবস্থা হয়েছে। না যানি ফুলসজ্জার রাতে তোমার কি অবস্থা হবে! মেঘ পরি আমি কোনো বাঘ বা ভাল্লুক নই যে তুমি আমার সামনে আসলেই আশি বছরের বুড়িদের মতো কাপাকাপি শুরু করে দিবে। আরে এমন ভাবে কাপছিলে দেখে মনে হয়েছিলো আমি তোমার থেকে তোমার কলিজাটা চেয়ে নিয়েছি।এতো বড় হয়ে গেলে অথচ সামান্য কিস করতে শিখলে না। ”
বলেই আহান আবার হেসে দিলো । মেঘ রাগে, দুঃখে, অপমানে মুখটা হুতুম প্যাচ্যার মতো করে দাড়িয়ে রইলো। তারপর কিছু একটা ভেবে মনে মনে শয়তানি একটা হাসি দিয়ে মুখে সিরিয়াস ভাব ফুটিয়ে বললো
“আপনি এইভাবে গোপাল ভাড়ের মতো সেজে আছেন কেনো?”
মেঘের কথায় আহানের হাসি থেমে গেলো। ও চোখ বড় বড় করে অবাক কন্ঠে বললো
“হোয়াট? গোপাল ভাড়?আমাকে কোন অ্যাঙ্গেল থেকে তোমার গোপাল ভাড় মনে হচ্ছে শুনি?”
“এইযে গোপাল দাদুর মতো পেট বের করে ঘুরছেন সেদিক থেকে। আমাদের গোপাল দাদুও যখন পুকুরে সাওয়ার নিতে যান তখন শুধু একটা ধুতি পরে আপনার মতো পেট বের করে তারপর সাওয়ার নেন।”
আহান ক্ষেপে গিয়ে বললো
“কিহ? তুমি আমাকে ওই টাকলু পেট মোটা গোপালের সাথে তুলনা করছো। আর ওই গোপালের ওইটাকে না পেট বলে না, ভুড়ি বলে ।আমার এ্যাবস দেখে তোমার কোন দিক থৈকে ভুড়ি মনে হচ্ছে?”
আহানকে এভাবে ক্ষেপে যেতে দেখে মেঘ মিটমিট করে হাসছে। ইচ্ছে করছে লুঙ্গি ডান্স দিতে । কিন্তু আহান সামনে তাই দিতে পারছে না ।
এদিকে আহানের ইচ্ছে করছে নিজের চুলগুলো টেনে ছিড়ে ফেলতে। যেখানে মেয়েরা ওকে একপলক দেখলে চোখ ফিরাতে পারে না,,হা করে শুধু ওর দিকেই তাকিয়ে থাকে। সেখানে মেঘ নাকি বলছে ওকে গোপাল ভাড়ের মতো দেখতে? লাইক সিরিয়াসলি? এসব ভাবতে ভাবতেই আহানের চোখ গেলো মেঘের উপর ।দেখলো মেঘ মুখ টিপে টিপে হাসছে। আহান এবার বুঝতে পারলো মেঘ এতোক্ষন এসব ওকে ক্ষেপানোর জন্য বলেছে। আহান একটা বাকা হাসি দিয়ে মেঘের দিকে একপা একপা করে এগোতে এগোতে বললো
“মেঘ পড়ি তুমি আমাকে এতো ভালো একটা কমপ্লিমেন্ট দিলে। এইবার আমি তোমাকে একটা উপহার না দিয়ে পাড়ি বলোতো? কি উপহার দেওয়া যায় বলোতো? আচ্ছা পেইনডিং কিসটা কমপ্লিট করলে কেমন হয়?”
আহানের কথা শুনে ভয়ে মেঘের কলিজার পানি শুকিয়ে গেলো। ও একপা একপা করে পিছিয়ে যেতে লাগলো। আহান মেঘের অনেকটা কাছে দেখে মেঘ আরও পিছিয়ে যেতে লাগলো।যেতে যেতে মেঘ বেডের উপরে ধপাস করে পড়ে গেলো ।আহান ও মেঘের উপর ঝুকে নিজের শরীরের ভর সব মেঘের উপর ছেড়ে দিয়ে ওর ঠোটের সাথে নিজের ঠোট মিলিয়ে দিলো।
চলবে,,,,,,,,,,,,,