#ভালোবাসার_অনূভুতি
#লেখিকাঃতানিশা_তিশা_মনি
#পর্ব__2
“”” আজ কিছু চাইব প্রথম এবং শেষ বারের মতো আর কখনো কিছু চাইব না প্রমিস।আমাকে প্রমিস কর যা চাইব তাই দেবে।”””
মেঘ হাত বাড়িয়ে দিল তার চাচ্চুর দিকে,,,শফিক রহমান কাপাকাপা হাতে মেঘের হাতের উপর হাত রাখল তারপর বলল
“কথা দিলাম,,যা চাইবে তাই দেব।তারপর হাতটা মেঘের মাথায় রেখে বলল,,,জেরিন প্রেগনেন্ট,,,তাই যা চাইবে ভেবে চিন্তে চাইবে এমন কিছু চেও না। যা দিতে গিয়ে আমাকে সারাজীবন সবার কাছে অপরাধী হয়ে থাকতে হয়।”
মেঘ ছলছল চোখে তার চাচ্চু দিকে তাকালো। সে বুঝলো তার চাচ্চু তাকে কি বলতে চাইছে। তার চাচ্চু হয়তো ভেবেছে সে আবিরকে বিয়ে করতে চাইবে ।মেঘের এবার ভীষন কান্না পাচ্ছে । ওর চাচ্চুও ওকে ভুল বুঝলো ।মেঘ ধরা গলায় বলল
” চাচ্চু তোমার কি আমাকে এতটাই স্বার্থপর মনে হয়।আমি এতটাও খারাপ না চাচ্চু।অবশ্য তোমাদের কোনো দোষ নেই সব দোষ আমার,,,,,আমি হয়ত তোমারদের বিশ্বাস অর্জন করতে পারিনি।যাই হোক তোমাকে অসম্মানিত হতে হয় এমন কিছু চাইব না। আমি চাই আবির ভাইয়া আর জেরিন এর বিয়েতে তুমি রাজি হও। ওদেরকে বিয়ে দাও।ওরা একটা ভুল করেছে,,তার শাস্তি তো আর বেবি কে দিতে পারি না। এখানে বেবিটার তো কোনো দোষ নেই।শুধু শুধু সে কেন তার বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হবে। তাই তুমি বিয়েতে আর অমত করো না প্লিজ।”
সবাই এতক্ষণ মনেযোগ দিয়ে মেঘের শুনছিল,,,সবটা শুনে সবাই ভীষন অবাক হল,,,অবাক চোখে মেঘের দিকে তাকিয়ে রইল সবাই। কেউ ভাবতেও পারেনি,,, মেঘ শফিক রহমান কে বিয়েতে রাজি হওয়ার কথা বলবে। শফিক রহমান এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল মেঘের মুখের দিকে।
মনে মনে বলল,,,
এই মেয়েটার মনটা যে ফুলের মত পবিত্র । এই জন্য তিনি আবির এর সাথে বিয়ে দিয়ে ঘরের লক্ষী করে আনতে চেয়েছিলেন মেঘকে।কিন্তু তার ছেলে হিরে ফেলে কাচের পিছনে ছুটছে।ভাবতেই একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলল শফিক রহমান।তারপর মেঘের দিকে তাকিয়ে বলল,,,
“ঠিক আছে আমি এই বিয়ের অনুমতি দিলাম।তারপর মেঘের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন আমাকে ক্ষমা করে দিস মা,,,আমি তোর সাথে অন্যায় করেছি। আমার ছেলে তোর যোগ্য না মেঘ। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তোর জীবনে এমন কাউকে পাঠাক যে তোকে খুব ভালোবাসবে।তোর যত্ম নেবে । কখনো তোকে কষ্ট পেতে দেবে না ।”
তারপর চেয়ার থেকে দাড়িয়ে,,,আবিদা রহমান এর দিকে তাকিয়ে শক্ত গলায় বললেন
“তো বিয়েটা দিয়ে দাও নিজের ছেলের।আর আমাকে এই বিষয়ে একদম জরাবে না। তোমরা মা ছেলে যা খুশি তাই করো।”
“আবিদা রহমান… শিহাব রহমানের ( মেঘের মেজ চাচা)এর দিকে তাকিয়ে বলল শিহাব কাজি কে আবার ফোন কর।এখনি আসতে বল। ”
তাদের কথার মাঝে জেরিন বলল
“এখন কাজি কেন আসবে?বিয়ে কী এখনি হবে?”
আবিদা রহমান আল্লাদি গলায় জিঙ্গেস করলো
“হ্যা। কেন মামনি কোন সমস্যা?”
জেরিন তারাতাড়ি করে জবাব দিলো
“না না মামি কোন সমস্যা নেই।আমি রেডি হয়ে আসি।”
“আচ্ছা যাও। খুব সুন্দর করে সাজবে কিন্তু।আমার একমাএ ছেলের বউ বলে কথা।কোনো কিছুতে যেনো কোনো কমতি না থাকে।”
জেরিন ঘুরে যেতে নিলে,, পিছন থেকে মেঘ বলে দাড়া জেরিন।জেরিন ঘুরে দাড়ায়,,,তারপর মেঘ জেরিনের সামনে গিয়ে দাড়ায়,, জেরিন এর চোখে চোখ রেখে বলে
“আমি তোকে এটা জিঙ্গেস করব না,,,তুই আমার সাথে এগুলো কেন করলি।শুধু বলব thank you so much. তুই আজকে বন্ধুত্বের মানে বদলে দিলি রে। আজকে আমার বোন আমার লাইফের বেষ্ট উপহার টা দিলো। সবার সামনে এটা প্রমান করলো আমি একটা ক্যারেকটারলেস মেয়ে।এটা আমার লাইফের সবচেয়ে বেষ্ট গিফট।আজকের পর থেকে হয়তো আমি আর কাউকে কখনো বিশ্বাস করতে পারবো না। এন্ড তার জন্য thanks to you.
আল্লাহ্ যেন কাউকে হাজারটা শএু দিয়ে দিক। কিন্তু তোর মতো বন্ধু যেন কাউকে কক্ষনো না দেয়।”
একটু থেমে শুকনো গলায় আবার বললো
“আরে একবার বলতি যে তুই আবির ভাইয়াকে ভালোবাসিস ।আমি নিজে সবাইকে তোদের বিয়ের জন্য রাজি করাতাম। এত অপমান না করলেও পারতি।পরি শেষে একটা কথাই বলব খুব ভালো থাকিস আসি।”
শেষের কথা গুলো বলার সময়,, মেঘের খুব কান্না পাচ্ছিল ,,,সে জেরিন কে আরও কিছু বলতে চেয়েছিল কিন্তু পারে নি,,,আরও কিছু বললেই সে কেদে দিত ,,, কিন্তু মেঘ এখন কারো সামনে কাদতে চায় না। সে সবাইকে দেখাতে চায় যে সে কতটা strong,,,,তাই সে কথাগুলো বলেই দৌড়ে চলে গেল ।তার পিছনে মিহিরও দৌড়ে গেল।
জেরিন কে দেখে মনে হচ্ছে না ,,,,,যে সে যা করেছে তাতে তার কোন অনুশোচনা আছে।সে একটা ভেংচি কেটে ,,, সাজতে চলে গেল।আজম আর মিড়া রহমান চলে গেলেন ছেলে মেয়ের পিছনে।শফিক রহমান তার রুমে গিয়ে ঠাস করে দরজাটা বন্ধ করে দিলেন।
????????????????
মেঘ দৌড়ে এসে তাদের ফ্লাটে ডুকল। তার পিছনে পিছনে মিহিরও আসল,,,মিড়া রহমান ও আজম রহমানও আসল। তাদের ফ্লাটটা দুইটা তলা নিয়ে করা,,,আসলে এই ব্লিল্ডিনটা 11 তলা।
এক তলা আর দুই তলা মেঘের বড় ফুফুর।
তিন তলা আর চার তলা মেঘের ছোট ফুপির।
তাদের দুই বোনের ফ্লাট ভাড়া দিয়ে দিয়েছেন।কারন তারা এখানে থাকে না। শ্বশুর বাড়ি থাকেন। যখন বেড়াতে আসেন তখন ভাইদের বাসায় থাকেন।
পাচ তলা ও ছয় তলা শফিক রহমান এর।সাত তলা আট তলা শিহাব রহমানের (মেঘের মেজ চাচ্চু)।আর নয় তলা দশ তলা আজম রহমানের।11 তলায় ছাদ,, ছাদের এক পাশে একটা সুইমিংপুল,,,আরেক পাশ খালি।
মেঘের বড় ফুপির দুই মেয়ে। বড় মেয়ে জিয়া।আর ছোট মেয়ে জেরিন।জিয়ার বিয়ে হয়ে গেছে এক বছরের একটা ছেলে আছে।
ছোট ফুপির এক ছেলে কলেজের টিচার,,, তার নাম রিফাত,,, সে কিছু দিন আগেই বিয়ে করেছে। তার wife নিজেও কলেজের টিচার।ছোট ছেলে রিয়াদ ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পরে।
বোনদের পর হলেন শফিক রহমান,,, তিনি তার বাবা মায়ের ত্বীতিয় সন্ত্রান,,,তার এক ছেলে এক মেয়ে। বড় ছেলে আবির আর ছোট মেয়ে আনহা। আনহা ক্লাস eight এ পরে।
তারপর শিহাব রহমান ওনার এক ছেলে ।তার নাম ইফাদ,,, সে কানাডাতে থাকে,, এখনো বিয়ে করনি।লেখা পড়া প্রায় শেষের দিকে।
ছোট হলেন আজম রহমান তার এক ছেলে এক মেয়ে,,,মিহির আর মেঘ।
________________________________________________________________________________________________
মেঘ বাসায় এসে,, দৌড়ে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে তার রুমে যায় আর গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।আজম রহমান ড্রইনরুমের সোফায় ধপ করে বসে পরে,,,পাশেই মিড়া রহমান বসে পড়েন ,,, মিহির নিচে এক মূহুর্ত না দাঁড়িয়ে মেঘের রুমের সামনে এসে দাড়ায়।তারপর আস্তে করে দরজায় ধাক্কা দেয়,,আর বলে
“মেঘ দরজাটা খোল প্লিজ। তোর সাথে আমার কথা আছে। ”
মেঘঃ•••••••••••••••••••••
গলাটা আরেকটু নরম করে,,, আদুরে গলায় বলল
মেঘ বুড়ি দরজাটা খোল। সোনা বনু আমার ,,, ভাইয়ার কথা শুনবি না।প্লিজ দরজাটা খোল।
মেঘঃ ••••••••••••••••••••••••••
“সোনা মনি আমার বাইরে বের হয়ে আয়।ভাইয়া প্রমিশ করছে ভাইয়া সব ঠিক করে দেবে।ওই আবিরের বাচ্চাকে মেরে ওর লাশ আমি কুকুরকে দিয়ে খাওয়াবো।প্লিজ সোনা বনু আমার একবার দরজাটা খুলে দে।”
মেঘ আর চুপ থাকতে পারল না,,, দরজা খুলে বেরিয়ে এল,,, তারপর মিহির কে জরিয়ে ধরে হাউমাউ করে কেদে দিল।মিহিরও শক্ত করে জরিয়ে ধরল তার বোনকে।মেঘ চিৎকার করে কাদছে,,,, মেঘের খুব কষ্ট হচ্ছে।কিছুতেই কান্না থামাতে পারছে না।মেঘকে এভাবে কাদতে দেখে মিহির এর চোখ থেকেও পানি পরছে। তার বুকটা ফেটে যাচ্ছে,,, তার কলিজার টুকরা বোনটা আজকে খুব কষ্ট পেয়েছে।মেঘকে বুকে সাথে জরিয়ে রেখে রুমের ভিতরে ডুকল মিহির ,,,,,,,তারপর সোফায় গিয়ে বসে। মেঘকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে বসে রইল।
নিচে ড্রইনরুমের সোফায় বসে মেয়ের কান্না শুনছেন, মিরা রহমান আর আজম রহমান। তাদের বুকটাও ফেটে যাচ্ছে,,, তাদের একটা ভুলের জন্য তাদের মেয়েটা আজকে এতটা কষ্ট পাচ্ছে।সবসময় হাসি খুশি থাকা মেয়েটা,,, এভাবে পাগলের মতো চিৎকার করে কাদছে। আজম রহমান মিরা রহমানের দিকে তাকিয়ে আহত গলায় বলল
“আমি একজন ভালো বাবা হতে পারিনি মিরা। আমার মেয়ের জীবনের সবচেয়ে বড় কষ্টের কারন আমি হয়ে গেলাম। আমি নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারব না। এই সবকিছুর জন্য আমি দায়ী,,, সবার বলা কথাগুলো আমার মেয়ের ছোট্ট মনটাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে। সবার এতো অপমান চুপচাপ সয্য করেছে ,,, আসার সময় কি সুন্দর বড় ভাইজান কে রাজি করালো বিয়ের জন্য।আমার মেয়েটা যে শএুরও কখনো খারাপ চায় না। তাহলে আল্লাহ্ কেন আমার ভালো মেয়েটাকে এতটা কষ্ট দিচ্ছে।”
এই কথা গুলো বলে কিছু ক্ষন চুপ করে রইল আজম রহমান। তারপর সোফার সামনের টি টেবিল থেকে একগ্লাস পানি নিয়ে ডকডক করে খেয়ে নিল,,, তারপর আবার বলতে শুরু করলেন
“জানো মিরা,,, আমি ভেবেছিলাম আমরা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করছি বলে,,, ভাবি আমাদের উপর রাগ করে আছে। আমরা তার কাছে থাকলে রাগটা আস্তে আস্তে ঠিক কমে যাবে,,,, তোমাকে আপন করে নেবে,,, ভেবেছিলাম তুমি আমার জন্য তোমার পরিবার ছেরেছো,,,, কতো কষ্ট পেয়েছ ।সবাই যদি তোমাকে একটু করে হলেও ভালোবাসা দেয়,,, তাহলে তোমার কিছুটা কষ্ট অন্ততপক্ষে কমাতে পারবে। তুমি যেভাবে সবার মন জয় করেছিলে,,, ঠিক সেই ভাবে ভাবির মনটা জয় করে নিতে পারবে। তোমার ভালোবাসা দিয়ে তার সব রাগ অভিমান ভুলিয়ে দেবে।ভেবেছিলাম অপমান করতে করতে হয়ত একদিন সেও খুব ক্লান্ত হয়ে যাবে,,, তারপর তোমাকে ঠিক আপন করে নেবে। কিন্তু আমি ভুল ভেবেছিলাম,,, ভাবি তোমার উপর রাগ বা অভিমান করে নেই,,, সে তোমাকে ঘৃনা করে।”
মিরা রহমান হতম্বভ হয়ে তাকিয়ে রইলেন তার স্বামীর মুখের দিকে,,,তরপর কাপা কাপা গলায় বলল
” ঘৃণা করে,,কিন্ত কেন? আমার তো তার সাথে কোনো শএুতা নেই।তাছাড়া আমি তার সাথে কখনো উচু গলায়ও কথা বলিনি। তাহলে কেন সে আমাকে পছন্দ করে না। শুধুমাত্র তার বোনের সাথে তোমার বিয়ে হয়নি তার জন্য।”
আজম রহমান একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো
” হ্যা। আমি তার বোন কে বিয়ে না করে তোমাকে বিয়ে করেছি তার জন্য ভাবি তোমাকে এতটা ঘৃণা করে।আর সেই ঘৃণার আগুন এতটাই তীব্র যে,,, আমাদের সব কিছু জ্বালিয়ে শেষ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।ভাবির সেই ঘৃণার আগুনে আজকে আমার মেয়েটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই আর ও বেশি দেরি হওয়ার আগে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
মিড়া রহমান প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে আজম রহমান এর দিকে তাকালেন। আজম রহমান তার দৃষ্টি বুঝতে পেরে আজম রহমান বলল
“আমরা এখানে আর থাকবো না,, ঢাকায় শিফট করবো কিছু দিনের মধ্যে। ”
মিরাঃ কিন্তু •••••••••••
মিরা রহমান কে আর কিছু বলতে না দিয়ে,,, আজম রহমান বলল
“কোনো কিন্তু না। আমরা এখান থেকে যাব
মানে যাব,,,এটাই আমার শেষ কথা। ”
তারপর বসা থেকে দারিয়ে বলল
“আমাদের এখান চলে যাওয়াটাই সবার জন্য ভালো হবে।আমি আমার ছেলে মেয়েদের একটা শান্তির জিবন দিতে দিতে চাই।”
কথাটা বলেই তিনি সিড়ি বেয়ে উপরে চলে গেলেন,,, তার পিছনে পিছনে মিরা রহমানও গেলেন।
অনেকক্ষণ মেঘের কোনো সারাশব্দ না পেয়ে,,,, মেঘের মুখের দিক তাকাল মিহির।দেখল তার ছোট্ট বুড়িটা কাদতে কাদতে ঘুমিয়ে গেছে।ঘুমের মধ্যে এখনো বারবার মেঘ হিচকি দিচ্ছে। মেঘের চোখের পানিতে, মিহিরের শার্টের বুকের অংশ টা একদম ভিজে গেছে।মিহির লম্বা একটা শ্বাস নিল,,,,তারপর মেঘকে কোলে করে নিয়ে গিয়ে বিছানায় শুয়িয়ে দিয়ে।গায়ে একটা পাতলা চাদর দিয়ে দিল ।তারপর বোনের মাথায় কিছুক্ষণ হাত বুলিয়ে দিলো।আসার সময় Ac টা বন্ধ করে দিয়ে । ফ্যান ছেড়ে ফ্যানের পাওয়ার একবারে কমিয়ে দেয়। বোনের কাছে গিয়ে কপালে একটা চুমু খায়।তারপর আস্তে করে দরজাটা টেনে রুম থেকে বের হয়ে নিচে আসে। নিচে এসে যা দেখে তাতে ধপ করে মাথায় আগুন জ্বলে উঠে।
চলবে…..