বোনু
সিজন_০২
Part_11
#Writer_NOVA
কয়েকদিন পর…….
কলেজের প্রিন্সিপালের রুমে আজ খুব ভীড়। রুমের ভেতরে একপাশে দাঁড়িয়ে আছে মিহু।আরেক পাশে নিবরাজ ও আইজান।চেয়ারে গম্ভীর হয়ে বসে আছে প্রিন্সিপাল সুমন রহমান। তার অপজিট চেয়ারে বসে আছে দেশের নামকরা বিজনেস ম্যান আবির চৌধুরী। পাশের চেয়ারে বসা তার একমাত্র ছেলে রিকি চৌধুরী। নাকে বিশাল বড় ব্যান্ডেজ করা,কপালের মাঝ বরাবর লাল টুকটুকে হয়ে আছে।মনে হচ্ছে কেউ মেরে নাক ফাটিয়ে ও কপালে দাগ করে দিয়েছে। মিহু চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। দেখে মনে হচ্ছে না এখানকার কাউকে সে ভয় পাচ্ছে।
আবিরঃ কি ব্যাপার সবাই চুপ করে আছো কেন?
রিকিঃ ড্যাড,ঐ যে ঐ মেয়েটা আমার নাক ফাটিয়েছে।
আবিরঃ এই মেয়ে তোমার সাহস কী করে হয়,আমার ছেলের গায়ে হাত তোলার।আমার ছেলেকে আমি কখনো ফুলের টোকা পর্যন্ত দেয়নি।আর তুমি ওর নাক ফাটিয়ে এই হাল করেছো।
মিহুঃ ছেলের গায়ে ফুলের টোকা দেননি বলেই তো আজ এতো বেশরম,বেহায়া ও নির্লজ্জ্ব হয়েছে। এমন ছেলের জন্য আবার গর্ব করে কথা বলছেন। লজ্জা করে না আপনার।
নির্ভয়ে একদমে কথাগুলো বলে থামলো মিহু।
আবিরঃ হাউ ডেয়ার ইউ।জলদী তোমার বাবা কিংবা ভাই থাকলে তাদের কল করো।ইমিডিয়েটলি এখানে আসতে বলবে।
মিহুঃ এসব ছোট-খাটো ব্যাপার আমি একাই হ্যান্ডেল করতে পারে।আমার বাপি কিংবা ভাইয়ুর প্রয়োজন হয় না।
আবিরঃ তোমার সাহস কি করে হয় আমার ও আমার ছেলের ব্যাপারে কথা বলতে।নিজে আমার ছেলের নাক,ফাটিয়ে আবার বড় বড় ডায়লগ দিচ্ছো।
মিহুঃ ডায়লগ আমি নই আপনি দিচ্ছেন।ঐ রকম একটা নিচু মন-মানসিকতার ছেলের জন্য কথা বলতে লজ্জা করে না। ওহ্ লজ্জা করবে কি করে, আপনি নিজেও বোধহয় ঐরকমি।
আবির চৌধুরী রাগে সামনের টেবিলে ঘুষি মেরে দাঁড়ালেন।প্রিন্সিপাল সহ সকলের কলিজার পানি শুকিয়ে গেছে। শুধু নিবরাজ ও মিহু নির্ভয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে।
আবিরঃ তুমি আমার ওপর দিয়ে কথা বলছো? তুমি জানো আমি তোমার কি হাল করতে পারি? এমন অবস্থা করবো তুমি মানুষকে নিজের মুখ দেখাতেও লজ্জা পাবে।তোমাকে কেটে টুকরো টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দিতে আমার যাস্ট কয়েক সেকেন্ড লাগবে।
আবির চৌধুরীর কথা শুনে নিবরাজের মাথায় রাগে আগুন ধরে গেছে। রাজ হাত মুঠো করে রেগে সামনে এগিয়ে যেতে নিলে জান বাঁধা দেয়।যদি আজ এখানে কিছু হয় তাহলে কলেজের অনেক বড় বদনাম হয়ে যাবে।
রিকিঃ ড্যাড,ওকে তুমি ছারবে না। ওর কতবড় সাহস ও আমার গায়ে হাত তুলেছে।
মিহুঃ আপনাদের মতো বড় টাকাওয়ালা মানুষরা ঐ সবই পারেন।শুধু পারেন না নিজের ছেলেকে মানুষ করতে।একটা মেয়েকে কি করে সম্মান করতে হয় তা আপনারা জানেন না।
আবিরঃ সম্মান করবে তোমাকে?(তাচ্ছিল্যের সুরে)
মিহুঃ ইয়েস মিস্টার আবির চৌধুরী।
আবিরঃ দাড়াও তুমি। দেখো আমি তোমার কি করি?
মিহুঃ কি করবেন করুন? আমি কাউকে ভয় পাই না।আমি কোন অন্যায় করিনি।আপনার ছেলে আমার সাথে বদমাশি করতে চেয়েছিলো, আমি তার প্রতিবাদ করেছি।টাকার পাওয়ার আমাকে দেখাবেন না।আপনার মতো হাজারটা আবির চৌধুরীকে কেনার টাকা রাখে আমার বাপি ও ভাইরা।
সুমনঃ মিহু মা-মণি চুপ করো।
মিহুঃ কেন চুপ করতে বলছেন প্রিন্সিপাল স্যার? আপনারা উনাকে ভয় পেতে পারেন কিন্তু আমি নই।তার টাকা আছে বলে তার ছেলে আমার সাথে বদমাশি করবে আর আমি চুপচাপ মেনে নিবো, কিছুতেই না।আমি অন্য দশটা সাধারণ মেয়ে নই।
আবির চৌধুরী রেগে পকেট থেকে মোবাইল বের করে কাকে জানি কল করলো।
নিবরাজঃ প্রিন্সিপাল স্যার,আমাদের মিহুর কথা শোনা উচিত।
সুমনঃ মিহু মা-মণি,সেদিন কি হয়েছিলো খুলে বলো তো?আমরা পুরো ঘটনাটা তোমার থেকে জানতে চাই।
মিহুঃ বলছি।দুদিন আগে—-
☘️☘️☘️
ফ্লাসব্যাক………
কলেজ থেকে ফেরার পথে খুব বৃষ্টি হচ্ছিলো।মিহুর বৃষ্টির পানিতে জ্বর চলে আসে।তাই ওর বাইকটাকে এক দোকানের নিচে দাঁড়া করিয়ে নিজেও তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু বৃষ্টি কমার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। হালকা-ভারী বর্ষণ চলছে।দোকানটা বন্ধ। আশেপাশে কোন মানুষ নেই। মিহু একা একটা মেয়ে রাস্তার পাশের দোকানে দাড়িয়ে আছে। ঠান্ডা বাতাসে বেশ শীত শীত করছে।হঠাৎ রাস্তা দিয়ে চারটা বাইক গেলো।চারটা বাইকে ৬ জন ছেলে ছিলো।কিছু দূর গিয়ে আবার ইউটার্ন নিয়ে আবার মিহুর সামনে বাইক থামালো।বাইক থেকে ছেলেগুলো নেমে মিহুর সামনে গোল করে ঘিরে দাঁড়ালো। এতক্ষণ মিহু আনমনে বৃষ্টি দেখছিলো আর না চাইতেও নিবরাজের কথা ভাবছিলো।একটা ছেলে কানের সামনে শিস বাজালে ওর ধ্যান ভাঙ্গে। পাশে তাকিয়ে ছেলে ৬ টাকে দেখে মনে মনে অনেকটা ভয় পেয়ে যায় মিহু।কিন্তু মুখে কোন ভয়ের চিহ্ন রাখে না।তাদের প্রধান হলো রিকি চৌধুরী।পুরো প্লে বয়।সারাক্ষণ মেয়ে নিয়ে পরে থাকে। কয়েকদিন আগে বিদেশ থেকে ফিরেছে।
রিকিঃ কি সুন্দরী, একা একা কার কথা ভাবছো? নিশ্চয়ই আমার কথা।আর ভাবতে হবে না, দেখোনা আমি এসে পরেছি।(বাঁকা হেসে)
রিকির কথা শুনে মিহুর মাথায় রক্ত উঠে যায়।কিন্তু কোন কথা বলে না।পা থেকে মাথা পর্যন্ত রিকিকে স্ক্যান করতে থাকে।মিহুকে দেখে মনে হচ্ছে সে তার কাঙ্ক্ষিত মানুষটাকে পেয়ে গেছে।
রিকিঃ এভাবে কি দেখছো ডার্লিং?একা মেয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকলে বাজে লোকেরা নজর দিবে।চলো তোমায় পৌঁছে দেই।
কথাটা বলে সবাই মিলে একটা বিদঘুটে হাসি দিলো।যেটা দেখে মিহুর পিত্তি জ্বলে গেলো।মনে মনে নিজের ইজ্জতের খুব ভয় করছে মিহু।কিন্তু মুখে সেই ভয়টা দেখাচ্ছে না।খুব শান্তভাবে চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে রিকিকে দেখছে।
রিকিঃ আরে বেবি এভাবে কি দেখছো?বোবা নাকি তুমি? কথা বলছো না কেন? চাইলে তুমি আমার সাথে রুমডেট করতে পারো।তার জন্য আমি তোমায় বেশ বড় অঙ্কের টাকাও দিবো।বেশী না যাস্ট ওয়ান নাইট।কি বেবী রাজি আছো তো?তুমি কিন্তু দেখতে হেব্বি হট। ইচ্ছে করছে এখুনি —-
তার আগেই রিকির নাকে পরপর দুইটা ঘুষি পরলো।তারপর চুলের মুঠি ধরে গালে বেধরম চড় দিতে লাগলো ও বললো।
মিহুঃ হারমজাদা, আমাকে দেখে কি তোর পতিতা মনে হয়? রুমডেট করবো তোর সাথে? বড় অঙ্কের টাকা দিবি আমাকে।একটা রাত কাটাবি আমার সাথে। আমি দেখতে অনেক হট তাই না।তোর সাহস কি করে হয় আমাকে এসব কথা বলার?একটা মেয়েকে একা দেখেই মনে খারাপ ধারণা চলে এসেছে। তোর কি মনে হয় আমি রাস্তার মেয়ে? অন্য দশটা মেয়ের তোর কথা শুনে যাবো।অনেকক্ষণ ধরে সহ্য করছি।কিছু বলছিলাম না বলে বেড়ে গেছিস? দেখ তোর কি হাল করি?
রিকির সাথে থাকা বাকি ৫ টা ছেলে হা করে তাকিয়ে আছে। ওরা পুরো বোকা হয়ে গেছে। কি হচ্ছে তা ওরা যেনো কিছু বুঝতে পারছে না। একটা মেয়ে তাদের বন্ধুকে মারছে, ওরা তা দেখে সামনে এগুতেও ভয় পাচ্ছে। মিহুর চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে। রিকির চুলের মুঠি ধরে মিহু দোকানের সামনে থাকা সিমেন্টের পিলার মধ্যে জোরে ঢুঁসা মারলো।মাথা না ফাটলেও খুব জোরে ব্যাথা পেলো রিকি।ততক্ষণে বৃষ্টি অনেকটা থেমে গেছে।রিকিকে ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দিয়ে সোজা দৌড়ে বাইকে উঠলো মিহু।এক মুহুর্তও দেরী না করে বাইক স্টার্ট দিলো।
রিকিঃ দাঁড়িয়ে দেখছিস কি তোরা?ধর, ঐ মেয়েটাকে।ওকে আমার চাই,চাই। ওর সাহস কি করে হয় আমাকে মারে।আমিও আবির চৌধুরীর একমাত্র ছেলে রিকি চৌধুরী। আমি ওকে ছারবো না। (রেগে+চিৎকার করে)
বাকি পাঁচ ছেলে ধরতে যাওয়ার আগেই মিহু বাইক নিয়ে গায়েব হয়ে গেলো। রিকি এক হাতে নাক ও অপর হাতে কপাল ডলছে।নাক দিয়ে রক্ত পরছে।
রিকিঃ আমি তোকে ছারবো না। একটা রাত তো তোকে আমার সাথে কাটাতেই হবে।তোকে আমি ঠিক খুঁজে নিবো।
পুরো ঘটনাটা দোকানের আড়াল থেকে দেখলো মিহুর ছোট ভাই।কিন্তু মিহু তাকে দেখেনি।মিহুর ছোট ভাইয়ের মুখে বিশ্ব জয় করা হাসি।তার বোনু নিজেকে রক্ষা করতে শিখে গেছে। সবসময় নিজের বোনকে ফলো করে সে।যখনি সে তার বোনুকে রক্ষা করতে এগিয়ে যাবে ঠিক তখনি মিহু Action সিন শুরু করে দিয়ে ছিলো।সেও খুশি মনে সিনটা উপভোগ করলো।
এই দুইদিনের মধ্যে মিহুর সব খবর নিয়ে ফেলে রিকি।তারপর ওর বাবাকে নিয়ে খান কলেজে এসেছে। যেমন ছেলে তেমন বাবা।
ফ্লাসব্যাক এন্ড……..
☘️☘️☘️
এখন……
মিহুর মুখে এসব কথা শোনার পর নিবরাজের চোখ লাল হয়ে গেছে। ইচ্ছে করছে এখুনি গিয়ে রিকিকে গলা চেপে মেরে ফেলতে।কিন্তু কলেজের কথা হাত মুঠি করে রাগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। ওর বাবা ও চাচা অনেক কষ্ট করে এই কলেজকে আজ ঢাকার নামকরা কলেজ করেছে। এখন যদি সিনক্রিয়েট করে তাহলে পুরো কষ্ট বিফলে যাবে।এতক্ষণ ধরে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে মিহুর সব কথা শুনছিলো ওদের থানার নতুন সিনিয়র অফিসার। সব কথা শুনে ওর মাথায়ও রক্ত চড়ে গেছে। গায়ে পুলিশের পোশাক।বয়স ২৮। গায়ের রং হলদে ফর্সা।উচ্চতা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি।চেহারাটা রাগী রাগী।মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি।জিম করা বডি।
অফিসারঃ আসতে পারি।
সবার নজর পেছনের দরজায় গেলো।মিহু অন্য দিকে তাকিয়ে আছে। তাই অফিসারকে দেখতে পারলো না।
আবিরঃ আরে আসুন, আসুন অফিসার।আমি তো আপনার জন্যই অপেক্ষা করছি।
অফিসার রুমের ভেতর চলে এলো।সে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। এক দৃষ্টিতে রেগে রিকির দিকে তাকিয়ে আছে।মুখ দেখা মনে হচ্ছে আজ রিকিকে কাঁচা চিবিয়ে খাবে।
আবিরঃ বসুন,আমি অনেকক্ষণ ধরে আপনার জন্য বসে রয়েছি।আপনাকে কল করে আমি আসতে বলেছি।আপনি কি দেখছেন মিস্টার ঐশীক মির্জা।
অফিসারের নাম ঐশীক মির্জা।নামটা শুনতেই মিহুর বুকটা ধক করে উঠলো।এতক্ষণ পর সে ছেলেটার দিকে তাকালো। তারপর অবাক ও মুচকি হেসে সবার সামনে দৌড়ে গিয়ে অফিসারকে জরিয়ে ধরলো। সবাই অবাক হয়ে গেলো মিহুর কান্ডে।রাজের মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পরেছে। এই দৃশ্য কোনদিন দেখতে হবে তা নিবরাজ জীবনেও ভাবতে পারেনি।মুহুর্তের মধ্যে চোখ দুটো টকটকে লাল হয়ে গেলো।মাথা ঝিম ঝিম করছে তার। সামনে থাকা চেয়ারটাকে সজোরে লাথি মেরে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো রাজ।পেছন পেছন আইজানও চলে গেল। আইজান তো ভয়ে শেষ। কে জানে নিবরাজ আজ বাড়ি গিয়ে কি করবে? সেটা একমাত্র আল্লাহ জানে। বিষয়টা মিহুর চোখ এড়ালো না। মিহু, ঐশীক-কে ছেড়ে দিলো।
মিহুঃ বড় ভাইয়ু,তুমি কবে এলে বান্দরবান থেকে? ঐ খানে গিয়ে তো আমাদের কথা ভুলেই গিয়েছো?তুমি আমাকে একটুও ভালোবাসোনি।তাইতো কোন খবর নেও নি।এখানে এসেছো তাও দেখা করতে আসোনি।তোমার সাথে আমি একটুও কথা বলবো না। তুমি পঁচা হয়ে গেছো।তোমার এই ছোট্ট বোনুটাকে মনেই রাখোনি।এর আগে কতদিন আগে নাকি এসেছিলে তাও আমার সাথে দেখা করতে আসোনি।কি একটা কাজ ছিলো।তা করার জন্য কয়েক ঘন্টা সময় নিয়ে এসেছিলে। সেটা সম্পূর্ণ করে রাতেই চলে গিয়েছো।আমার সাথে দেখা করোনি।আমাকে ভাইয়ু সব বলেছে।
মিহু কথাগুলো বলে মুখটা ছোট বাচ্চাদের মতো করে গোমড়া করে রাখলো।সাথে ঠোঁট উল্টে রাখেছে।ঐশীক মুচকি হাসলো। তারপর পকেট থেকে বিশাল বড় বড় ৫টা চকলেট বের করলো।
ঐশীকঃ নে ধর, এগুলো তোর।
মিহুঃ ধরবোও না,খাবোও না তোমার চকলেট। তুমি আমাকে একটুও ভালোবাসো না।তুমি অনেক পঁচা। (মুখ ভার করে)
ঐশীক মিহুর সামনে এক হাঁটু গেড়ে বসলো।তারপর এক হাতে চকলেট ও অন্য হাতে নিজের এক কান ধরলো।আশেপাশের মানুষ যে ওদের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। সেটাতে ভাই-বোনের কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই।
ঐশীকঃ I am very very sorry.My little angle. আমার হির বোনু কি আমার সাথে রাগ করেছে? I am really sorry sister.হির বোনু দেখ আমি কানে ধরছি তো।আমি তোকে সব খুলে বলবো।প্লিজ তুই রাগ করিস না।আমার লক্ষ্মী বোনু।
মিহুঃ তোমার সাথে একটাও কথা বলবো না। কাট্টি তোমার সাথ(মুখ ঘুরিয়ে)
ঐশীকঃ সরি বললামতো,আর কখনো এরকম ভুল হবে না।সত্যি বলছি।তোর প্রমিস।তুই জানিস না আমি তোর প্রমিস নিয়ে কখনো মিথ্যে কথা বলি না।
মিহুঃ মনে থাকবে তো।
ঐশীকঃ একশ বার থাকবে।
মিহুঃ দেও,আমার চকলেট দাও।
ঐশীকঃ সরি, আজকে আসার সময় একটা দোকানে এই ৫ টা ছাড়া আর পাইনি।প্লিজ এই ৫ টা নে।পরে পুরো ৫ বক্স কিনে দেবো।
মিহুঃ ঠিক আছে। নো প্রবলেম।
আবিরঃ হচ্ছেটা কি?আমরা কি এখানে দাঁড়িয়ে ওদের নাটক দেখবো নাকি।পুলিশ অফিসার এই মেয়েটার ভাই।
আবির চৌধুরীর কথা কানে না দিয়ে ঐশীকের থেকে চকলেট গুলো নিলো।ঐশীক সবার সামনে এক হাত দিয়ে মিহুকে জরিয়ে ধরলো। তারপর কপালে ঠোঁট ছোঁয়ালো।মিহু ছোট বাচ্চাদের মতো খিল খিল করে হেসে উঠলো। জানালা দিয়ে পুরো ঘটনাটা মনযোগ সহকারে দেখলো নিবরাজ।তবে রুমের ভেতরের কোন কথা সে শুনতে পাইনি।ও যে কি রেগে আছে তা ওর মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে। রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে গাড়ি নিয়ে চলে গেল।আইজানও পেছন পেছন আরিফের গাড়ি নিয়ে রাজকে ফলো করতে লাগলো।রাজ যা রেগে আছে তাতে নিজের যেকোন সময় নিজের ক্ষতি করে ফেলতে পারে।
#চলবে
আগামীকাল বাকি দুই ভাইয়ের পরিচয় পেয়ে যাবেন।
#Part_10
https://www.facebook.com/groups/2401232686772136/permalink/3016483718580360/