#বেসামাল_প্রেম
#জান্নাতুল_নাঈমা
#পর্ব_৬০
যার জীবনে আত্মিক শান্তি নেই। তার জীবনের কি কোনো মূল্য আছে? শেখ বাড়িতে অবস্থানরত ঐ বৃদ্ধাটি ভুগছে তীব্র মানসিক অশান্তিতে। কোনটা ঠিক হবে? আর কোনটা বেঠিক? এই নিয়ে অশান্তিতে ভুগছে মানুষটা। সকলেই যার যার জীবনে ব্যস্ত৷ এরই মধ্যে ঢাকা চলে যাওয়ার প্রস্তুতি শেষ রুদ্রর। বউ, বাচ্চা নিয়ে আগামীকালই চলে যাবে সে। হৈমী ছেলে, মেয়ে দুটোকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে। রুদ্র ডিভানে বসে ল্যাপটপ ঘাটাঘাটি করছে। স্বামীর দিকে একবার তাকিয়ে সে বলল,
-” শুনছেন? ”
গম্ভীর স্বর রুদ্রর,
-” বলো। ”
-” শুধু কাজই করবেন না। এদিকটায় নজর রাখুন একটু। আমি নিচে যাচ্ছি। ”
-” কী দরকার? ”
-” দাদিনের সঙ্গে গল্প করতে। বাবুদের নিয়ে তো সময়ই হয়না তেমন৷ কাল চলে যাব তাই দাদিনের সঙ্গে কিছুক্ষণ বসি গিয়ে৷ উনার বোধহয় শরীরটা ভালো নেই। চোখ, মুখ কেমন ফুলে গেছে। ”
এক মুহুর্ত মুখ শক্ত করে রইল রুদ্র। পরোক্ষণেই রাশভারী স্বরে বলল,
-” দরকার নেই। অন্য কাজ থাকলে করো। ”
কিঞ্চিৎ রাগান্বিত হলো হৈমী। বলল,
-” দেখুন এত জেদ ভালো নয়। বড়োরা ভুল করলেও সেটা ক্ষমার চোখে দেখতে হয়। তাছাড়া আপনাদের ভুল বুঝাবুঝির মাঝে আমাকে টানবেন না। ”
-” তুমি আমার বউ। আমার সঙ্গে জড়িয়ে সবকিছু এখন তোমারও। ”
-” এই ব্যাপারে না। আমি আপনার মতো বুক-পিঠ ছাড়া মানুষ না। ”
রুদ্রর চোখ যেন কপালে উঠে গেল। স্থিরভাবে তাকাল হৈমীর বুকের দিকে। হকচকিয়ে গেল হৈমী। লজ্জা পেয়ে আমতা আমতা করে বলল,
-” কী আশ্চর্য ব’দ আপনি! এভাবে তাকাচ্ছেন কেন? বুড়ো বয়সে ভীমরতি হচ্ছে? ”
বুড়ো কথাটি শুনেই চোয়াল শক্ত হলো রুদ্রর। ইগোতে লাগল খুব। চিবিয়ে চিবিয়ে বলল,
-” বুড়ো মানে? ”
-” বুড়োই তো। মাঝরাতে এত খুঁচানোর পরও যার আমার প্রতি ফিলিংস আসে না। সে নিঃসন্দেহে বুড়ো! কপাল মন্দ বুড়ো জামাই কপালে জুটেছে। বাচ্চা গুলোও বুড়ো একটা বাবা পেল। এ জীবনে আর বোধহয় ভাই, বোন দেখার কপাল হবে না ওদের। ইস খুব আফসোস হয়। ”
বুকের ভেতর যেন বিস্ফোরণ ঘটল রুদ্রর। আজ সত্যিই সে বলতে বাধ্য নারী মন বোঝা মুশকিল। জিলেপির প্যাঁচের চেয়েও শতগুণ প্যাঁচ রয়েছে এদের মনে৷ এই যে সম্মুখে দাঁড়ানো বিশ ছুঁই ছুঁই মেয়েটা। এই মেয়েটাই এক দিন তাকে কত কী উপাধি দিয়েছে। ধ’র্ষক বলেছে। সে শুধু তার শরীরের প্রতি আসক্ত। তার প্রতি শুধুই শরীরের টান মনের টান বলে কিছু নেই। আরো কত কীই তো বলেছে। এতসব অপমান বুকে নিয়ে যখন সে সত্যিই প্রমাণ করতে ব্যস্ত আসলে সে আগের সেই রুদ্র নেই৷ সময়, পরিস্থিতি তাকে অনেক পরিবর্তন করেছে। কোনটা ভুল, কোনটা ঠিক আর কোনটা ভালোবাসা সে বুঝতে শিখেছে। ঠিক তখনি আবার তার পুরুষত্বে প্রশ্ন তুলে বসল! অফিসে কত মেয়ে স্টাফ তাকে চোখ দিয়ে গিলে খায় অথচ নিজের বউ কিনা বলছে সে বুড়ো!
গরম তেলে পেঁয়াজ দিলে যেমন ফুঁস করে ওঠে৷ সেভাবেই ফুঁস করে ওঠল রুদ্র। অদ্ভুত করে তাকাল মুখে খই ফুটা হৈমীর পানে। এরপর বাঁকা হাসি ঠোঁটে লেপ্টে ওঠে এসে সামনে দাঁড়াল। মুখ নিচু করে হৈমীর চোখে প্রগাঢ় দৃষ্টি ছুঁড়ে হুঁশিয়ারি দিল,
-” আমার দুই বাচ্চার কচি মা, এতগুলো মাস জমিয়ে রাখা ফিলিংসের ধকল সামলাতে প্রস্তুত থাকো। তোমার দুই বাচ্চার বুড়ো বাবার ইন্টেনসিটি অফ ফিলিং কতখানি আগামীকাল থেকে হাড়ে হাড়ে টের পাবে। ”
এক নিমিষে হাসিহাসি মুখখানি হারিয়ে গেল হৈমীর৷ বুকের ভেতরটায় বেসামালভাবে দ্রিমদ্রিম শব্দে মুখরিত হলো। ফোলা ফোলা গালদুটো রঙিন হয়ে পাকা টমেটোর মতো দেখালো। বেসামাল নিঃশ্বাস ফেলা, সীমাহীন ভয়, লজ্জায় গুটিয়ে যাওয়া হৈমীকে আপাদমস্তক দেখে দুর্বোধ্য হাসল রুদ্র। চোখের ইশারায়া কত শাসানি যে শাসালো। হৈমীর নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলো সেই ইশারা দেখে। অবস্থা টের পেয়ে মাথা দুলিয়ে আরেকটু হেসে সামনে থেকে সরে গেল রুদ্র। তবে তার গুনগুন করে ছন্দ আওড়ানো শুনতে পেল হৈমী,
-” যাচ্ছে দিন, আসছে রাত। বোঝাবো কাল অনুভূতির জোয়ার। ”
ছন্দ শুনে মাথা ভনভন করে ওঠল হৈমীর। বারকয়েক ঢোক গিলে বাচ্চাদের দিকে অসহায় চোখে তাকাল। বিরবির করে বলল,
-” কাল রাতে তোরা জেগে থাকবি। জেগে তোদের থাকতেই হবে। ”
_________________
হৈমীর সঙ্গে গল্পের ফাঁকে দাদিন বলেছে, আগামীকাল হৈমী যেন গোপনে তার থেকে একটা চিঠি নিয়ে যায়। নিয়ে তার শশুরকে দিয়ে বলে, ফোনে এসব বলতে পারবে না বলেই চিঠি লিখেছে সে। হৈমী দাদিনকে কথা দেয় সে নিয়ে যাবে। দাদিনও রাতের বেলা বদ্ধ ঘরে বসে ছেলেকে একটি চিঠি লিখতে বসে।
আমার রিদু,
আজ তুই অনেক বড়ো। আমার তিন সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে সফল তুই৷ আমার তিন নাড়িছেঁড়া ধনের একজন তুইও বাবা। যার মধ্যে কখনো কোনো অন্যায় দেখিনাই। অত্যন্ত ন্যায় নীতি সম্পন্ন মানুষ হয়েও তুই জীবনে অনেক আঘাত পাইছিস। শেষ আঘাতটাও বোধহয় আমিই তোকে দিব। কী করব বাবা। তোর কু”লাঙ্গার ভাই যে আর কোনো পথ রাখে নাই। সুরভি পরের বাড়ির মেয়ে। তার ভালো, মন্দ চিন্তা আমি করি না৷ কিন্তু রিমন সেও তো এই বাড়ির অংশীদার। আমার বংশধরেরা রাস্তায় ভিখারির মতো জীবন পার করবে আমি বেঁচে থাকতে তা তো হয় না বাবা। তোর কাছে আমি স্বার্থপর মা হবো জানি। কিন্তু মায়েরা তো এই স্বভাবরেই। আমরা সবার চিন্তাই করি, আসলে করতে হয়। সব চাইতে খারাপ অবস্থায় যে থাকে তার চিন্তা না চাইলেও এসে যায়। নিরুপায় আমি। দিলুকে আমি এই বাড়িতে কোনোদিন জায়গা দিব না। এতদিন মা হিসেবে যতটুকু করলাম সেটুকু যে অন্যায় তা চোখে আঙুল দিয়ে উপরওয়ালা দেখিয়ে দিছে। তার কুকীর্তি তোরও অজানা নাই নিশ্চয়ই। তোর বাবার এই বাড়ির যে অংশ রাদিফ, সাদমান পাবে তার চারভাগের এক ভাগ রিমনকে দিতে ইচ্ছুক আমি। কিন্তু তোর অসন্তুষ্টির জন্য সব ব্যবস্থা স্থগিত রাখছি। এইদিকে আমার সিদ্ধান্তে সুরভি রাজি হয়নি। সে পথে ভিক্ষা করবে তবুও এই বাড়িতে আসবে না জানিয়েছে। আমি বলে দিছি, শেষকালে রিমন যেন নিজ শেকড়ে একটু জায়গা পায় সেই বন্দোবস্ত করে দিব। আজ থেকে বিশ বছর পর হলেও যেন সে তার অধিকার পায়। সেই ব্যবস্থা। সুরভি এ জীবনে তোর মুখোমুখি হবে না। পাপে ধরেছে ওকে। সেজন্যই নির্লজ্জ হয়ে অনুমতি সত্ত্বেও এ বাড়ি আসবে না। ওদের দিনকাল ভালো যায় না। ছেলেটা কলেজ পাশ করে ভালো কোথাও ভর্তিও হতে পারেনি। দিলু আর সুরভির করা অন্যায়ের শাস্তি সবাই পেলরে রিদু৷ রাদিফ, সাদমান, রুদ্র, সূচনার জন্য আমরা সবাই ছিলাম। কিন্তু ঐ ছোটো ছেলেটার জন্য পাপী মা ছাড়া আর কেউ নাই। শুনেছি ছেলেটা নাকি নিজের জীবন আর মাকে নিয়ে দিনকে দিন যুদ্ধ করতেছে। অতীতে নিজের বাবা, মায়ের করা কাণ্ড নিয়েও আজকাল মাথা ঘামায়। গত সপ্তাহে, খবর পেলাম মায়ের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিছে। আমার বিশ্বাস, সুরভি তার আসল শাস্তি এই ছেলের দ্বারাই পাবে। শেষ সম্বলটুকুর চোখে নিজের জন্য অসহ্য ঘৃণা দেখা কি শাস্তি না? যাক গে সেইসব কথা। আমি তোদের কারো মনেই দুঃখ দিতে চাই না। সার্বিক দিক বিবেচনা করে যদি ঐ বিপদগ্রস্থ ঊনিশ বছর বয়সের বাচ্চা ছেলেটার প্রতি তোদের কৃপা হয় আমাকে জানাবি। তাহলে নির্ভারে সব কাজ সম্পন্ন করে দিব। কতকাল আর বাঁচব বল বাপ? যাওয়ার আগে সবার দিকেই এক নজর তাকানো আমার দায়িত্ব। ওপারে তোর বাবা যদি আমাকে প্রশ্ন করে সবার জীবন আমি গুছিয়ে দিছি কিনা কী জবাব দিব?
হে রে রিদু, তুই কি আর বিয়েসাদী করবি না? ছেলেমেয়েরা তো গোছগাছ করে নিল। তোর শেষ বয়সের দেখভালের জন্যও তো মানুষ দরকার। বাড়ি আসবি কবে? একটু সময় করে আসিস বাবা। মায়ের ওপর খুব রাগ হইছে না? একবারটি দেখা করিস। দূরে থাকলে রাগের বস্তা আরো ভর্তি হয় বুঝলি। কাছে আয়, অভিমান ভেঙে যাব। আসিস কিন্তু আমি পথ চেয়ে এই বসে রইলাম। রুদ্র তো কাল চলে যাব। তোর বউমার কাছে চিঠি পাঠাই দিব। শিগগিরই আসবি কিন্তু… মা যতই খারাপ হোক, মায়ের ডাকে মুখ ফেরাতে নেই। রুদ্র না হয় আমার নাতি। সে মুখ ফিরিয়ে থাকে বলে তুইও থাকবি? আমি না তোর মা।
। তোর আম্মা।
চিঠি লেখা শেষ করে চোখের পানি মুছল দাদিন৷ বালিশের নিচে চিঠিটা রেখে শুয়ে পড়ল নিঃশব্দে। শরীরটা খারাপ লাগছে। তাই জোর করে ঘুমানোর চেষ্টা করল। সময় গড়ালে এক সময় ঘুমিয়েও পড়ল৷ আজো বোধহয় তার স্বপ্নে হাতছানি দেবে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু মুহুর্ত। প্রতি রাতের মতো আজো ঘুম ভাঙলে হয়তো হাসফাস করবে। শেষ বয়সের একাকীত্বের ভার বহন করা কতটা কঠিন আমরা জানি না। হয়তো সেদিন যেদিন আমাদেরও শেষ সময় আসবে। জীবন তো এটাই। এটাই তো জীবন। মানব জীবন।
______________
হামিদা দু’দিনের জন্য বোনের মেয়ের বাসায় গেছে। টিশার বাবুটা নাকি খুব অসুস্থ। এমন অবস্থায় না গিয়ে থাকতে পারলেন না হামিদা। এদিকে চার মাসের মেয়ে নিয়ে সূচনারও বড্ড মুশকিল হচ্ছে। হঠাৎ করেই ঠাণ্ডা লেগেছে তার৷ ছোটো বাচ্চা নিয়ে সকাল সকাল রান্নাবান্না করা কষ্টই বটে। বউ, বাচ্চার অবস্থা বুঝে ফেলল বোঝদার মাহের৷ সূচনা বাসন মাজতে যাচ্ছিল। এমন সময় মেয়ে মিশকাতকে কোলে নিয়ে রান্না ঘরে এলো মাহের। সূচনা বলল,
-” ওকে নিয়ে এখানে এসেছ কেন? যাও ঘরে যাও। সর্দি লেগেছে তো ওর। ”
-” তুমি ওকে নিয়ে ঘরে যাও এদিকটা আমি সামলাচ্ছি। ”
আশ্চর্যান্বিত হয়ে সূচনা বলল,
-” মজা করো না তো। ঘরে যাও। আমার অনেক কাজ। মা বলল, টিশার বাসা থেকেই ও বাড়ি যাবে সে। ভাইয়া তিনটার দিকেই বের হবে। আমাদের অন্তত বারোটা মধ্যে ওখানে উপস্থিত থাকা উচিৎ। ”
-” তুমি ওকে নাও আমি দ্রুত সব করে দিচ্ছি। ”
-” পাগল হয়ে গেছ তুমি। হাজব্যন্ড দিয়ে বাসন মাজানোর মেয়ে আমি নই মাহের প্লিজ। ”
দৃষ্টি দৃঢ় করল মাহের। দৃঢ় স্বরেই বলল,
-” বাসন মাজাটা জরুরি। স্বামী মাজলো না বউ মাজলো সেটা জরুরি নয়। আমাদের সংসারের সব কাজই আমাদের দুজনার। আর এই মুহুর্ত বাবুকে সুস্থ রাখতে হলে তোমার সুস্থতা জরুরি। সাতসকালে বাসন মেজে, ঠান্ডা পানি ধরে ধরে জ্বর, ঠান্ডা বাঁধাবে। এরপর মা, মেয়ে দু’জন মিলে ভুগবে। এরচেয়ে ভালো আমি এটা করে ফেলি। তোমরা দু’জন সেফ মানে আমিও সেফ কেন বুঝোনা? ”
সূচনা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল। পরোক্ষণেই ধাতস্থ হলো৷ নাহ আর অবাক হবে না সে। অবাক কেন হবে? সে কতটা সৌভাগ্যবতী সে বিষয়ে এখন আর সন্দেহ নেই। নিঃসন্দেহে মাহের নামক পুরুষটা যে ওভারল গুড পার্সন। উহুম উহুম বেস্ট হাজব্যন্ড, বেস্ট বাবা।
মিশকাতকে নিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মাহেরের কাজ দেখল সূচনা। বাসন মেজে ফ্রিজ থেকে তরকারি গরম করল সে। ভাত আগেই বসিয়ে দিয়েছিল। ভাতটা হলেই দু’জনে খেতে বসল। মিশকাত তখন জেগে। মেয়েটা জেগে থাকা অবস্থায় বিছানায় শুয়ে থাকতে চায় না। কোলে নিয়ে হাঁটতে হয়। নয়তো কাঁদতে থাকে খুব। মাহের মেয়ের কান্না একেবারেই সহ্য করতে পারে না। একসঙ্গে দু’জন খাবে কিন্তু মিশকাতকে রাখতে গিয়ে সেটা সম্ভব হচ্ছিল না। সূচনা বলল,
-” তুমি খেয়ে ওকে রাখো। তারপর আমি খাব। ”
এক মুহুর্ত ভেবে মাহের বলল,
-” আমি খাইয়ে দিচ্ছি। আমাদের হাতে সময় কম। ঝটপট খেয়ে ও বাড়ি যেতে হবে। ”
সূচনা না করতে গিয়েও থেমে গেল। তার ঘরের দরজায় সুখেদের ভীড়। এত সুখ ফিরিয়ে না দিয়ে দরজা উন্মুক্ত করে রাখা ভালো। যত পারে আসুক না বুকে জমুক না এক সমুদ্র সুখ।
মিশকাতকে নিয়ে পুরো বাড়ি ঘুরে বেড়াতে লাগল সূচনা। আর মাহের নিজে খাওয়ার পাশাপাশি সূচনাকেও খাইয়ে দিতে লাগল। খাবারের প্লেট হাতে কখনো বউ বাচ্চার পিছু হাঁটল, কখনো বা পাশাপাশি। এভাবে পেট ভরে এক সঙ্গে খেয়ে নিল দু’জনই। এই দম্পতির কানায় কানায় মিষ্টি সুখে পরিপূর্ণ। হৃদয়ে হৃদয়ে তীব্র ভালোবাসার গন্ধ ছড়িয়ে, ছিটিয়ে। একেবারে মেইড ফর ইচ আদার কাপল।
চলবে…