#বেসামাল_প্রেম
#লেখা_জান্নাতুল_নাঈমা
#পর্ব_৩৫
রুদ্রর চোখ রাঙানো, ভয় দেখানোর ফলে ইচ্ছের বিরুদ্ধে মোড়া থেকে নিচে নেমে দাঁড়াল হৈমী। স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে প্রচণ্ড গম্ভীরতার সঙ্গে সটান সটান পা ফেলে গিয়ে কাউচে বসল রুদ্র। পায়ের ওপর পা তুলে বেশ রাজকীয় ভণিতায় বসে, রাশভারি মুখে
কাছে আসতে ইশারা করল হৈমীকে। ইশারা পেয়ে গুটিগুটি পায়ে সামনে এসে দাঁড়াল সে। রুদ্র তৎক্ষনাৎ বাম হাতে টি টেবিল টেনে সামনে এনে হৈমীকে সেটার ওপর বসতে বলল। বাধ্য মেয়ের মতো হৈমীও চুপচাপ বসে খাবার মাখাতে শুরু করল। সাধারণত রুদ্র এমন মাখো মাখো ভাত খায় না। হৈমী বিষয়টি সেভাবে খেয়াল করেনি বলেই নিজে যেভাবে খায়, সেভাবেই রুদ্রকে ভাত মেখে খাওয়াচ্ছে। এরওপর তার হাতের একেকটা লোকমা এত ছোটো যে রুদ্রর চিবানোরও প্রয়োজন পড়ছে না। সে শুধু গিলে যাচ্ছে। একবার অবশ্য বলতে চাইল বড়ো করে লোকমা করে দিতে। কিন্তু হৈমীর ছোটো হাতটার দিকে তাকিয়ে আর বলল না৷ কী আর করার? বউ তার যেমন বয়সের দিকে আট, নয় বছর ছোটো, তেমন হাতে, পায়ে আরো বেশিই ছোটো। হাঁটু সমান বউ, হাঁটু সমান বুদ্ধি। কিন্তু এতে বিন্দু আফসোসও নেই। কারণ এই অবলা, সরলা বউটার বুকে তার জন্য বিশাল আকাশের ন্যায় ভালোবাসা, যত্ন, মায়া রয়েছে। আজ এ মুহুর্তে সেটা বৃষ্টির ঝকঝকে, চকচকে পানির ন্যায় পরিষ্কার। কিন্তু এসব কতদিন টিকে থাকবে? শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত এই ভালোবাসা থাকবে তো?
খাওয়া শেষে হৈমী তার ওড়না দিয়ে রুদ্রর মুখ মুছে দিতে নিলে রুদ্র ওঠতে উদ্যত হলো। বিরক্ত স্বরে বলল,
-” আহ, গায়ের কাপড় দিয়ে মুখ মুছতে হবে কেন? ”
নিমিষেই ঠোঁট ফুলিয়ে, নাক বোঁচা করে ফেলল হৈমী। বলল,
-” কেন আমার ওড়নায় কি নোংরা লেগে আছে? দেখুন একদম পরিষ্কার। আপনি সব সময় এমন পিতপিতে ভাব দেখাবেন না তো! মনে হয় আপনি একাই পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন মানুষ, আর আমি একটা ডাস্টবিন। এতই যখন ঘেন্না এই ডাস্টবিনকে কে বিয়ে করতে বলেছিল হ্যাঁ? আপনি যদি এখন এই ওড়না দিয়ে মুখ না মুছতে দেন খুব খারাপ হয়ে যাবে৷ এতো আদর করে খাওয়ালাম, আমার হাতে এক থালা ভাত খাওয়ার সময় ঘেন্না কোথায় ছিল? এখন ওড়না দিয়ে মুখ মুছতে খুব মানে লাগছে তাই না? ”
ঠাশ শব্দ করে টি টেবিলের ওপর প্লেট রাখল হৈমী। রাগে ফুঁসছে সে। রুদ্র কপাল কুঁচকে, হাত ঘড়িতে টাইম দেখে পুনরায় হৈমীর দিকে তাকাল। তার দৃষ্টিজোড়া হতভম্ব! কী এমন বলল? এভাবে রিয়াক্ট করছে কেন? সব মাথার ওপর দিয়ে গেল। কখনো মনে হয় মেয়েটা বেশ বুঝদার, বুদ্ধি শুদ্ধি আছে। আবার কখনো মনে হয় একেবারে অপরিপক্ক মস্তিষ্কের। হাঁপ নিঃশ্বাস ছেড়ে চট করে ওঠে দাঁড়াল সে। ফুঁসতে থাকা হৈমীর মুখশ্রীতে নিক্ষেপ করল তীক্ষ্ণ দৃষ্টি। বলল,
-” তুমি একটা ডাস্টবিন এটা আমি আগেই জানতাম। এভাবে স্মরণ করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন ছিল না। আর পিতপিতে সেটা আবার কী? ভাষাগুলোর যত্ন নিও। এসব ভাষা অন্যদের সামনে ইউজ করলে ভাষাগত দিক দিয়েও ডাস্টবিন হয়ে যাবে। আর রইল ওড়না…
বলতে বলতেই দু’কদম এগিয়ে হৈমীর ওড়নার কোণা ধরে এক টান দিয়ে পুরোটাই নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে নিল। ফুঁসতে থাকা হৈমীর হৃৎস্পন্দন হঠাৎ থমকে গেল। বক্ষঃস্থলে শুরু হলো অস্বাভাবিক দুরুদুরু ভাব। লজ্জায় আড়ষ্ট সে পিছমুখী হয়ে দাঁড়াল। আমতা আমতা করে বলল,
-” আপনি আমাকে ডাস্টবিন বললেন! শুধু মাত্র আজ আপনার দুটো স্পেশাল দিন বলে আমি খুব একটা রাগ করলাম না৷ নয়তো ভয়াবহ রেগে যেতাম। ”
কন্ঠে কম্পন ভাব স্পষ্ট বুঝতে পেরে অধর কোণে বাঁকা হাসি টেনে আনল রুদ্র। নিভৃতে ধীরপায়ে তার পেছনে এসে দাঁড়িয়ে পিছন দিক থেকেই মাথার ওপর দিয়ে আড়াআড়ি ভাবে ওড়নাটা পরিয়ে দিল৷ মাথা ঝুঁকিয়ে কানের কাছে ঠোঁট ছুঁই ছুঁই করে বলল,
-” ভয়াবহ রেগে গেলে কণ্ঠ কেঁপে যায় নাকি ভয়াবহ ভয় পেলে হু? ”
উত্তর দিল না সে। রুদ্রর উত্তপ্ত নিশ্বাস ঘাড়, কান ছুঁয়ে দিতেই চট করে সরে রুমের বাইরে চলে গেল। রুদ্র ভাবুক দৃষ্টিতে দরজার পানে কয়েক পল তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। হৈমী আর রুমেই এলো না। রুদ্রও নিজের মতো তৈরি হয়ে প্রয়োজনীয় কিছু ফাইল নিয়ে চলে গেল৷ কাজের মেয়েটা সকালের রান্না করে দিয়ে চলে গেছে, আজ আর আসবে না। তাই বাইরে থেকেই দরজা লক করে গেল সে।
…
প্রেম, ভালোবাসা আলাদা দুটো বিষয় হলেও এরা একে অপরের পরিপূরক। কে জানত সেই বৃষ্টিস্নাত ছাদে, খোলা আকাশের নিচে, শাড়ি পরিহিত সতেরো বছরের কিশোরী কন্যাকে দেখে রুদ্রর হৃদয়ে তীক্ষ্ণ হয়ে কোনটি নাড়া দিয়েছিল। প্রেম নাকি ভালোবাসা? রুদ্র তা নিজেও ঠাওর করতে পারেনি, আজো পারে না, হয়তো কোনোদিন পারবেও না।
শুধু জানে তার নিঃশ্বাস আটকে গিয়েছিল। যখন নিঃশ্বাস ফিরে এলো বুঝতে পেরেছিল, তার শ্বাস-প্রশ্বাস গুলো বড্ড অস্বাভাবিক। সেই অস্বাভাবিকতাই তো উন্মাদ করে দিয়েছিল। প্রতি ক্ষণে ক্ষণে তারা মস্তিষ্ক বিগড়ে দিত, অন্তঃকোণে উঁকি দিত অন্যরকম মাদকতা, আশা, আকাঙ্ক্ষা, কত-শত চাওয়া। সে সবের পরিণতি হিসেবেই তো আজ হৈমী তার বউ। যাকে দেখে বিশেষ কিছু অনুভব করেছিল সে৷ সেই বিশেষত্বের সান্নিধ্য বুঝি আজি প্রথম পেল।
ভাবুক দৃষ্টিতে ঝিনুকের দিকে তাকিয়ে আছে রুদ্র। ঝিনুক বলল,
-” গাড়ি স্ট্রার্ট দিব? ”
রুদ্র হুঁশ ফিরেছে এমন ভাবে চমকে ওঠল। ঝিনুক বলল,
-” কোনো সমস্যা? অনেক লেট হয়ে গেছে স্টার্ট দেই? ”
সহসা ধাতস্থ হয়ে রুদ্র বলল,
-” রাদিফ ভাইকে কার্যক্রম শুরু করে দিতে বল। আমার পৌঁছাতে আরো ত্রিশ মিনিট লাগবে। ”
রুদ্রর অফিস পনেরো মিনিটের পথ। অথচ সে বলছে ত্রিশ মিনির লাগবে? ঝিনুক বুঝতে না পেরে জিজ্ঞেস করল,
-” কিন্তু ভাই পনেরো মিনিটেই তো পৌছাব। ”
প্রতিত্তোরে কিছু বলল না রুদ্র। ফাইল, ফোন সব গাড়িতে রেখে তড়াক করে নেমে ছুটল নিজের ফ্ল্যাটের উদ্দেশ্যে হৈমীর কাছে। মেয়েটা এত যত্ন নিয়ে, ভালোবেসে খাওয়াল তাকে। অথচ সে খেয়েছে কিনা জানাই হলো না। সারাদিন একা একা বাসায় কী করবে? সেটাও বলে দেওয়া হলো না। যদি ভয় পায় কীভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করবে? একটা ফোনও রেখে যায়নি। এমন অজস্র চিন্তা মাথায় করেই ফ্ল্যাটের সামনে গিয়ে হাজির হলো সে। তরিৎ লক খুলে ভিতরে ঢুকে প্রথমে শোবার ঘর পরে রান্নাঘরে গেল। না পেয়ে উত্তেজিত হয়ে হাঁক ছাড়ল হৈমী বলে। সঙ্গে সঙ্গে এঁটো হাতে ডাইনিং রুম থেকে বেরিয়ে এলো হৈমী। ঢোক গিলে জিজ্ঞেস করল,
-” কী হয়েছে? ”
কপট রাগ দেখিয়ে রুদ্র বলল,
-” খাচ্ছ? ড্রয়িং রুমে বসে খেলেই পারতে। ”
-” ওমা আপনিই তো বলেছেন খাওয়ার সময় টিভি না দেখতে। কী মুশকিল বলুন তো! আপনি কিন্তু কথার হেরফের করছেন। এই বলছেন খাওয়ার সময় টিভি দেখবে না, ড্রয়িংরুমে আসবেই না। এই বলছেন ড্রয়িংরুমে বসে খেলেই পারতে। ”
রুদ্র থতমত খেয়ে গিয়ে বলল,
-” খাওয়া শেষ করে এসো। ”
হৈমী খাওয়া শেষ করে রুমে আসতেই দুই পকেটে হাত গুঁজে সটান দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল রুদ্রকে। তার উপস্থিতি টের পেয়ে রুদ্র বলল,
-” বেলকনিতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। দরজাটা লক করে দিয়েছি। ”
হৈমী কিছু বলল না। শুধু ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে রইল। রুদ্র থম মেরে থেকে পুনরায় বলল,
-” এই ফোনটা রেখে যাচ্ছি। খাওয়া, গোসল বাদে বাকি সময় গুলো পড়বে। সবগুলো সাবজেক্টে একঘন্টা করে সময় দেবে। প্রতি সাবজেক্টে একঘন্টা সময় দেবার পর আমাকে কল করে জানাবে। আমি ছাড়া সেকেণ্ড কোনো পার্সনকে কল দিতে পারবে না। যদি সূচনাকে দাও তাহলে ব্যাপারটা হজম করে নিব। কথা ক্লিয়ার? ”
মাথা কাৎ করে হৈমী বলল,
-” আপনার কথায় ভেজাল থাকলেও আমার কানে ভেজাল নেই। ”
তেড়ে এসে দাঁতে দাঁত চেপে রুদ্র বলল,
-” কী? ”
আঁতকে ওঠে দু পা পিছিয়ে হৈমী বলল,
-” না না আপনার কথা আমার কান কোনোটাতে ভেজাল নেই। রাতের অন্ধকারের মতো পরিষ্কার!”
রুদ্র শক্ত চাহনি আরো শক্ত হলো। হৈমী ঢোক চিপে বলল,
-” সরি মিস্টেক দিনের আলোর মতো পরিষ্কার বলতে চেয়েছি। ”
ফোঁস করে নিশ্বাস ছাড়ল রুদ্র। দু পা এগিয়ে এলো হৈমীর দিকে। তার আগানো দেখে হৈমী দু পা পিছিয়ে গেল। আমতা আমতা করে বলল,
-” এমন করেন কেন? আপনার সব কথা শুনব তো.. ”
উত্তর না দিয়ে রুদ্র আরো এগিয়ে এলো। হৈমী পেছাতে নিলেই হেঁচকা টান দিয়ে নিজের সম্মুখে দাঁড় করাল। হৈমী ঠোঁট উল্টে বলল,
-” আমি কিন্তু আপনার বউ। ”
কুটিল হেসে রুদ্র বলল,
-” আই নো দ্যাট মাই জান। ”
হৈমীর চোখ দুটো বিস্মিত, গোল গোল হয়ে গেল। তার বাহু চেপে রাখা হাতটি ধীরেধীরে হৈমীর হাতের তলানিতে স্পর্শ করল। অপরহাত দৃঢ় হয়ে স্পর্শ করল চুল সমেত ঘাড়ে। সে স্পর্শ, রুদ্রর নির্নিমেষ চাহনি, মাদকীয় স্বরে মাথা ভনভন করতে লাগল হৈমীর৷ তার সে ভনভনকে থমকে দিয়ে সহসা রুদ্র তার ডান হাতের উল্টো পিঠে গাঢ় করে চুমু দিল। মুহুর্তেই কেঁপে ওঠল হাত, পা, বুক, ওষ্ঠাধর। নিশ্বাস হলো বেসামাল। একি মোহময় স্পর্শ! একি চাহনি! একি কণ্ঠস্বর! সন্তর্পণে এক ঢোক গিলল হৈমী৷ রুদ্র তার মনের অবস্থা বুঝে নিয়ে মৃদু কেশে কাঠকাঠ গলায় বলল,
-” স্বর্গে ভাসার দরকার নেই। ”
অবুঝ স্বরে সে বলল,
-” আমি ভাসবোই। ”
হৈমীর এহেন কথা শুনে রুদ্রর কী যেন একটা হয়ে গেল। এই কী টা ভীষণ মারাত্মক! তীব্র অসংলগ্ন!
মূলত বাক্যটি নয় কণ্ঠস্বরটিই তাকে বেসামাল করে তুলল। আচম্বিতে গোলগাল ছোট্ট মুখের কোমল ঠোঁটজোড়া নিজের পৌরুষ ঠোঁট দ্বারা সিক্ত করে তুলল সে। তার উত্তপ্ত ছোঁয়ায় নাজেহাল হৈমী। রুদ্র ছাড় দিল না, যেন সে জেদ খাঁটিয়ে বোঝাচ্ছে, ভাসতে চাও তো, তো ভাসো আমায় সঙ্গে নিয়ে। রুদ্রর শক্তিশালী অবাধ্য হাতের লজ্জাহীন ছোঁয়ায় হৈমীর শরীর থেকে ওড়না পড়ে গেল। রুদ্র তখন হৈমীকে সম্পূর্ণ শূন্যে তুলে গ্রীবাদেশে ঠোঁট ছোঁয়ায় মত্ত। হৈমীর বলহীন হাতের আঁচড়ে সে না থামলেও বলহীন কণ্ঠে থামল।
– ” আপনার অফিস, আমার ওড়না। ”
দু’হাতে হৈমীকে সামলে ধরে হালকা লাল চোখে তাকিয়ে রইল রুদ্র। হৈমীর চোখের কোণা বেয়ে দুফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। ঢোক গিলে নিচু স্বরে বলল,
-” ছাড়ুন। ”
রুদ্র তাকে না ছেড়ে ওভাবেই ধীরপায়ে গিয়ে বিছানায় বসল। অনুভব করল হৈমীর শরীরটা কাঁপছে। ফলশ্রুতিতে সে আরো বেশি দিকবিদিকশুন্য হলো। একহাতে শক্ত করে হৈমীর পৃষ্ঠদেশ চেপে ধরে অপরহাতে কান এবং গাল চেপে ধরল। হৈমীর ভেজা চোখে প্রগাঢ় চাহনি নিক্ষেপ করে উন্মত্ত স্বরে, মানানো ভঙ্গিতে বলল,
-” এক মিনিট সময় দাও। ”
হৈমী বুঝতে পারল না। শুধু দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়ল। রুদ্র তাকে আরো গভীর করে জড়িয়ে নিয়ে ধীরেধীরে পুনরায় তার ঠোঁট স্পর্শ করতে উদ্যত হলো। হৈমী মুখ ফিরিয়ে নিলে দৃঢ় ভাবে ঘাড়ে চুম্বন এঁটে গেল। সহসা হৈমীর দু-হাত তার কোট খামচে ধরলে, সমঝোতার স্বরে সে বলল,
-” অনেক লেট হয়ে গেছে হৈমী। কথা না শুনলে আজ অফিস ক্যানসেল। আর অফিস ক্যানসেল মানে তুমি ফিনিশড! ”
কিঞ্চিৎ শান্ত হলো হৈমী। রুদ্র টের পেয়ে তার কপালের সঙ্গে কপাল মিলিয়ে, নাকে নাকে আলিঙ্গন করল। ঠোঁটে ঠোঁট সংযোগের পূর্বে ফিসফিসে স্বরে বলল,
-” এই একমিনিট শান্ত থাকলে আজ অফিসে যত সুন্দরীরাই থাকুক কারো দিকে নজর যাবে না। ”
রুদ্রর বলা এহেন বাক্যই শান্ত থাকার জন্য যথেষ্ট ছিল। একরাশ অসহ্য সুখ সুখ অনুভূতিতে তাকে লুটোপুটি করে দেয়ার। ভূমিতে গড়াগড়ি খেলে যেমন শরীরে মৃত্তিকায় মাখামাখি হয় তেমনি রুদ্রর করা মাতাল করা স্পর্শে হৈমীর শরীর, মন জুড়ে আজ রুদ্রের মাখামাখি হয়ে রইল। চলে যাওয়ার পূর্বে হৈমীকে দুটো কথা সে বলে গেল এক,
– ” সিম্পল এটাচমেন্টে এত হাইপার হলে এটা আমার জন্য বিপদ হৈমী। ”
দুই,
-” এই একমিনিটের জন্য ডাস্টবিন থেকে তোমায় গুড গার্ল, গুড ওয়াইফ বলতেই পারি, সো গুড গার্লের মতো পড়তে বসো, আসছি, সময় পেলে ফোন করব। ”
চলবে…