বৃষ্টি_ভেজা_গোলাপ #পর্ব_৩০

0
1032

#বৃষ্টি_ভেজা_গোলাপ
#পর্ব_৩০
#নবনী_নীলা

আহান রুহির মুখ তুলে চোখের জল মুছে দিয়ে বললো,” তুমি তো বললে যে ভুলের জন্য শাস্তি নিতে প্রস্তুত। তাহলে একটা পানিশমেন্ট দেই তোমাকে। তোমার পানিশমেন্ট হলো তুমি এক্ষুনি আমাকে কিস করবে।”, ঠোঁট এলিয়ে বললো আহান।
রুহি চোখ বড় বড় করে আহানের দিকে তাকিয়ে আবার চোখ সরিয়ে নিলো। লজ্জায় লাল হয়ে গেছে সে আহানের কথায়। আহান রুহির গাল আলতো করে ধরে নিজের কাছে এনে রুহির গাল স্পর্শ করতেই রুহি ওড়নার প্রান্তভাগ খামচে ধরলো। আহান রুহির চোখের দিকে তাকিয়ে বললো,” যাও গিয়ে ঘুমাও। আমি কাজটা শেষ করেই আসছি।”
রুহির কথাটা পছন্দ হলো না। সে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললো,” আপনার রাগ কমেনি?”

” দেখো, তোমাকে আমি যেটা করতে বলেছি সেটা তো তোমার দ্বারা হবে না। তাই রাগটা তো একটু থেকেই গেলো। কোনো ব্যাপার না, তুমি একটু সাহসী হলে ঠিক পারতে। কিন্তু কি বলতো সাহসটাই নেই তোমার।”, খুব স্বাভাবিক ভাবেই বললো আহান।

কথাটা রুহির গায়ে বিধলো। সে সাহসী নয়তো কি ভীতুর ডিম? কি সুন্দর বলছে সাহস থাকলে পারতে। রুহি মুখ কালো করে বললো,” সাহস নেই মানে?”

” থাকলে এতোক্ষণে নিজের বরকে একটা কিস করতে পারছো না! সাহস থাকলে এতক্ষণ ওয়েট করা লাগতো না।”, নিচের ঠোঁট কামড়ে বলল আহান।

রুহি বেশ রেগে গেলো। রুহি আড় চোখে তাকিয়ে রইলো, তারপর বললো,” আপনি চোখটা বন্ধ করুন তো।”

” কেনো? আবার চোখ বন্ধ করতে হবে কেনো?”, আহান কথাটা বলতেই রুহি নিজের হাত দিয়ে আহানের চোখ বন্ধ করে দিয়ে বললো,” এতো কথা বলেন কেনো? চোখ বন্ধ করতে বলেছি চুপ চাপ বন্ধ করে রাখুন।”

“ওকে”, বলে চোখ বন্ধ রাখলো আহান। রুহি এক দৃষ্টিতে আহানের দিকে তাকিয়ে কিছুটা এগিয়ে যেতেই বুকের ভিতরটা ধুক ধুক করছে রুহির। নিজেকে শান্ত করতে চোখ বন্ধ করে একটা শ্বাস নিলো রুহি। আহানের গালের কাছে এগিয়ে আসতেই শরীর শিউরে উঠলো রুহির। আহান নির্বিকার ভঙ্গিতে চোখ বন্ধ করে বসে আছে। রুহির মাথায় যে কি চলছে! হটাৎ গালে আলতো স্পর্শ পেয়ে আহান চমকে চোখ খুললো। আহানের চোখের দিকে চোখ পড়তেই রুহি সরে এসে আহানের কোল থেকে উঠে যেতে নিলো। আহান রুহিকে টেনে নিজের কাছে নিয়ে এলো। রুহি চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে ফেললো। গাল দুটো একদম লাল হয়ে গেছে তার। আহান ঠোঁট এলিয়ে বললো,” যাক কিছু তো উন্নতি হলো? তবে কি এইভাবে চোখ বন্ধ করতে হবে সবসময়?”

রুহি চোখ খুলে আহানের দিকে তাকিয়ে আবার চোখ সরিয়ে নিলো। তারপর আহানকে সরিয়ে দিতে বললো,” ছাড়ুন আমার ঘুম পাচ্ছে।”

” তোমার রোমান্সের সময় ঘুম পায় কেনো? এখন থেকে দিনের বেলায় রোমান্স করবো তখন দেখি কি অজুহাত দেও।”, বলেই রুহিকে কোলে করে রুমে নিয়ে এলো।

____________________

আজ লামিয়ার গায়ে হলুদ তাই বিকেলেই রুহিকে সেখানে আসতে হলো। লামিয়া গাড়ী পাঠিয়ে আগে ভাগেই রুহিকে নিয়ে এলো। গাড়ীটা থামলো লামিয়াদের বাড়ির সামনে। লোকজন বাড়িটা সাজাতে ব্যাস্ত কেউ এদিকে ছুটছে তো কেউ অন্যদিকে। চারিদিকে হৈ হৈ ব্যাপার। রুহির ভিতরে ঢুকতেই প্রথমে লামিয়ার মায়ের সাথে দেখা। রুহিকে দেখে তিনি হেসে উঠে বললো,” কেমন আছো রুহি?”

” এইতো আণ্টি ভালো, আপনি ভালো আছেন?”, বলেই এগিয়ে গেলো।

” আর ভালো সকাল থেকে লামিয়া যা শুরু করেছে। মাথা খারাপ করে দিচ্ছে।”, কপাল চাপড়ে বললেন তিনি।

” আয় হায় কেনো?”,

” তুমি গিয়েই দেখো না! ওর রূমে আছে, যাও।”, বলেই রূমের দিকে ইশারা করলেন।

রুহি লামিয়ার রুমে ঢুকে অবাক। জামা কাপড় চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কি অবস্থা করেছে লামিয়া। রুহি সামনে তাকাতেই দেখলো মুখে ফেস প্যাক লাগিয়ে চেয়ারে মাথা হেলিয়ে আছে লামিয়া। এইতো ম্যাডামের রুপচর্চা শুরু হয়ে গেছে কখন যে শেষ হবে কে জানে!

” একি অবস্থা করেছিস তুই রুমটার? “, রুহির আওয়াজে লামিয়া চোখের উপর থেকে শশার টুকরো গুলো হাত দিয়ে নামিয়ে রুহিকে দেখেই এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরলো।

“আরে আমার তো তোকেই দরকার।”, রুহিকে দুটো ড্রেস দেখিয়ে বললো,” শোন আমার আর জয়ের গায়ে হলুদ একসাথে হবে যেহেতু আমরা একই বিল্ডিংয়ে থাকি। তাই আমি চাই ওই নিরামিষটা কোনো ভাবেই যেনো আমার থেকে চোখ সরাতে না পারে। এবার তুই আমাকে বল আমি কোনটা পড়লে এই উদ্দেশ্যে সফল হওয়া যাবে।”

রুহি মনোযোগ দিয়ে ড্রেসগুলো দেখলো তারপর একটা চুজ করে দিয়ে বললো,” ওনাকে জিজ্ঞেস করলেই পারিস, ভালো হয় না ব্যাপারটা?”

লামিয়া মুখ বাঁকিয়ে বললো,” ইস এতো জিজ্ঞেস করা লাগবে না ওনাকে। আচ্ছা তুই একা এসেছিস তোর বর কখন আসবে?”

” জানি না। মনে হয় সন্ধার দিকে আসবে। আচ্ছা চল রেডি হয়ে নে। তোর তো আবার ৪,৫ ঘন্টা লাগবে আজকে।”,

” হ্যা ঠিক বলেছিস। দাড়া মুখটা ধুয়ে আসি।”, বোলেই লামিয়া ফ্রেশ হতে গেলো।

লামিয়াকে রেডি করতে করতে প্রায় সাতটা বেজে গেছে। রুহি আর প্রমা লামিয়াকে হেল্প করেছে। লামিয়ার সাজুগুজু শেষ হতেই রুহির ফোন ভেজে উঠলো। রুহির ফোন হাতে নিয়ে আহানের নাম দেখে কলটা রিসিভ করলো। আহান বাড়িটা চিনতে পারছে না কারোর একই গলিতে দুটো বিয়ে। রুহি বেড়িয়ে যেতেই লামিয়া রুহিকে থামিয়ে বললো,” রুহি রেডি হয়ে নে। আমি যাচ্ছি , প্রমা আয় তো আমার সাথে।”

লামিয়া আর প্রমা রুম থেকে বেরিয়ে যায়। রুহি ড্রেস চেঞ্জ করে ফেললো। ড্রেসটা আহান পছন্দ করে কিনেছে। কমলা রঙের একটা লং স্কার্ট আর উপরে কোমড় পর্যন্তও টপ আর ওড়না। রুহি টপের চেইনটা আটকাতে গিয়ে চুলের সাথে আটকে গেছে চেইনটা। রুহি মহা মুশকিলে পরে গেলো। উফফ এবার সে কি করবে? রুহি দরজাটা খুলে লামিয়াকে কয়েকবার ডাকলো। কোনো সাড়া পেলো না। যে জোড়ে গান বাজানো হয়েছে শুনবেই বা কি করে। রুহি বিরক্ত হয়ে দরজা চাপিয়ে চেষ্টা করতে লাগলো, এমন সময় দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে রুহি লামিয়াকে বললো,” কোথায় ছিলি এতক্ষণ? আমার চুলটা চেইনের সাথে আটকে গেছে। হেল্প কর না একটু।” উল্টো দিকে মুখ করে থাকায় ঘরে যে আহান এসেছে সেটা রুহি বুঝতে পারিনি।

রুহির কথার উত্তরে আহান কিছু না বলে এগিয়ে এলো। কিছু বললেই এই মেয়েটা এখন চিৎকার করে উঠবে। আহান খুব সাবধানে এগিয়ে এসে রুহির চুলগুলো পিঠ থেকে সরিয়ে দিয়ে খুব সাবধানে চুলটা ছাড়িয়ে পুরো চেইনটা খুলে ফেললো। আহানের নিশ্বাস রুহির পিঠে আছড়ে পড়তেই রুহি চমকে উঠলো। আহানের নিঃশ্বাসটা পর্যন্ত তার চেনা। তাই আহানকে চিনতে বাকি রইলো না। রুহি জামার পিঠের অংশটা শক্ত করে ধরে ঘাড় ঘুরিয়ে আহানকে দেখে দু পা পিছিয়ে এলো।

” আপনি? আপনি নক ছাড়া ভিতরে এসেছেন কেনো? আর আমার জামার…..”, এতোটুকু বোলেই অন্যদিকে তাকালো রুহি।

” লামিয়া বললো এ রুমে আসতে। আর একটু আগে তুমিই তো বললে যেনো আমি তোমার হেল্প করি। কি? বলোনি তুমি?”, বলতে বলতে রুহির দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো আহান। রুহি পিছাতে পিছাতে বললো,” আম.. আমি তো ভেবেছিলাম লামিয়া এসেছে।”

” সে তুমি যাই ভাবো না কেনো। এখন পিছনে ঘুরো।”

রুহি চোখ বড় বড় করে বললো,” কেনো? পিছনে ফিরবো কেনো?”পিছাতে গিয়ে ওড়নায় পা পেচিয়ে পরে যেতেই আহান রুহির কোমড় জড়িয়ে ধরলো। পড়ে যাওয়া থেকে বাচতে রুহি জামার পিঠের অংশ ছেড়ে আহানের কলার চেপে ধরলো। আহান রুহির চোখের দিকে তাকিয়ে বললো,” আমি কোনো কাজ অর্ধেক করি না করলে পুরোটাই করি।”
রুহির বুকের দ্রিম দ্রিম শব্দটা যেনো আরো জোড়ে জোড়ে বাজতে লাগলো। যা স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে রুহি। লোকটা লজ্জা সরমের মাথা খেয়েছে। এটা কি নিজের বাসা পেয়েছে যে যা ইচ্ছা তাই করবে। ইস কেউ এসে পড়লে কি হবে?

” দেখুন একদম উল্টা পাল্টা কিছু করবে না। এইটা আপনার বাসা না। যে কেউ এসে পড়বে। ছাড়ুন আমায়।”, বলেই সোজা হয়ে দাড়ালো রুহি। কিন্তু আহান এখনও রুহির কোমড় জড়িয়ে আছে।

” কেউ আসবে না। দরজা লাগানো।”, ঘোর লাগানো কন্ঠে বললো আহান।

” কি করতে চাইছেন আপনি?”, একটা ঢোক গিলে প্রশ্ন করে কোমর থেকে আহানের হাত সরিয়ে নিলো। সঙ্গে সঙ্গে দরজায় টোকা পড়লো। রুহি আতকে উঠে পিঠে হাত দিলো। উফ অসভ্য লোকটা পুরো চেইনটা খুলে দিয়েছে। রুহি চট জলদি পিঠের চেইনটা লাগিয়ে ফেললো।

দরজায় টোকা পড়ায় ঘোর থেকে বের হতে আহান চোখ বন্ধ করে মাথা ঝাঁকালো তারপর চোয়াল শক্ত করে বললো,” আমাকে যে ভোগাচ্ছো, উ হ্যাভ টু পে ফর দিস।”

রুহি একটা ঢোক গিলে আহানকে পাশ কাটিয়ে দরজা খুলে দিয়ে দেওয়ালের সাথে ঠেস দিয়ে দাড়ালো। প্রমা আড় চোখে তাকিয়ে বললো,” দরজা খুলতে এতো সময় লাগে?” এর পর ভিতরে আহানের দিকে চোখ পড়তেই প্রমা মিটমিটিয়ে হেসে বললো,” সরি রে বুঝতে পারিনি কেনো এত সময় লেগেছে।”
রুহি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে প্রমার দিকে তাকালো। যেনো ঐ দৃষ্টি দিয়ে আজ ভম্ম করে দিবে প্রমাকে। প্রমা পা টিপে টিপে কেটে পড়লো।

রুহি গাল ফুলিয়ে আহানের দিকে তাকিয়ে বললো,” আপনি যাবেন নাকি আপনাকে বিদায় পত্র পাঠাতে হবে।”

আহান রুহির দিকে এগিয়ে আসতেই রুহি জড়োসরো হয়ে গেলো। আবার এদিকে আসছে কেনো? রুহি মুখ ঘুরিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে অস্থিরতা দুর করার চেস্টা করছে। আহান রুহির খুব কাছে আসতেই রুহি চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে ফেলে। আহান নিরবে হেসে রুহিকে পাশ কাটিয়ে চলে যায়।কিছুক্ষণ পর আলতো করে এক চোখ খুলে তাকাতেই রুহি রাগে ফুলে উঠে। আচ্ছা বজ্জাত লোকতো। কথাটা বলেই রুহি সজোরে দরজা লাগলো।

রুহি তৈরি হয়ে অনুষ্ঠানে এলো। স্টেজে লামিয়া বসে আছে।লামিয়ার এক পাশে প্রমা বসা, রুহি আরেক পাশে গিয়ে বসলো। রুহি গিয়ে বসতেই লামিয়া অনেক এক্সাইটেড হয়ে বললো,” জানিস নিরামিষটা তিনবার তাকিয়েছে।”

” বাহ্, সত্যি!”, বলে রুহি একবার জয়ের দিকে তাকাতেই বুঝলো জয়ের চোখ সরছে না লামিয়া থেকে। রুহি হেসে উঠে বললো,” কিসের তিনবার উনি তো দেখি চোখই সরাচ্ছে না তোর থেকে।”
এর মাঝে প্রমা বলে বসলো,” নিজেরটা বল আগে, যে রোমান্স করে আসলা?”

” তোর মুখ কি লামিয়ার মতন লাগাম ছাড়া হয়ে গেছে?”, আর চোখে বললো রুহি। প্রমা রুহির কথা হেসে উড়িয়ে দিলো।

লামিয়া আর জয়ের গায়ে হলুদ হচ্ছে দুজনে পাশাপাশি বসে আছে। কি সুন্দর মানিয়েছে ওদের একসাথে। এমন সময় আহান রুহির পাশের চেয়ারে বসতেই রুহি বোলে বসলো,” আমাদের বিয়ের সময় এসব হয়নি কেনো?” প্রশ্ন করেই আহানের দিকে তাকালো রুহি।

” চলো তাহলে আরেকবার বিয়ে করে ফেলি।”,, আলতো হেসে বললো আহান।

রুহি আড় চোখে আহানের দিকে তাকালো। তখনই রুহির অন্যপাশের চেয়ারে একটা ছেলে এসে বসলো। আহান ব্যাপারটা খেয়াল করলো।ছেলেটা রুহির দিকে তাকিয়ে হাত বাড়িয়ে বললো,” হায় আমি সামির।”
রুহি ছেলেটার বাড়িয়ে দেয়া হাতের দিকে একবার তাকিয়ে আবার ছেলেটার দিকে তাকালো। এইদিকে সামিরা শাকচুন্নি আবার এখানে সমির মামতো ভূত।

সৌজন্যবোধ দেখাতে রুহি হাত বাড়ানোর আগে আহান ছেলেটার হাত ধরে বললো,” হেলো অ্যাম হার হাজব্যান্ড।”তারপর হাতটা ছেড়ে দিলো। আহান পারে না হাতটা মচকে দেয় ছেলেটার।
হাজব্যান্ড কথাটা শুনে ছেলেটার মুখ শুকনো হয়ে গেলো।কিছুক্ষণ পর ছেলেটা উঠে চলে যেতেই রুহি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আহানের দিকে তাকিয়ে বললো,” আপনি এটা কি করলে?”
আহান গম্ভীর গলায় বললো,” হ্যান্ডশেক।”

” আচ্ছা। ওটাকে হ্যান্ডশেক বলে আমি তো জানতামই না।”, বেঙ্গো করে বললো রুহি।

” আমি ছাড়া কেউ তোমার দিকে তাকালে আমার সহ্য হয় না, বুঝেছো?”, রুহির চোখের দিকে তাকিয়ে বললো আহান।

[ #চলবে ]

? কিছু কথা ?

গল্পটা আমি প্রতি সোমবার দিবো না সেটা আগেই জানিয়েছিলাম। আমার পড়াশুনা আছে তাই একটা দিন আমার নিজের জন্যে প্রয়োজন। একটা গল্প টানা লিখতে বসলে ৪ থেকে ৫ঘন্টা লাগে, যেটা পড়তে আপনাদের মাত্র ৫ থেকে ৬ মিনিট সময় ব্যয় হয়। তাই যখন বলি গল্প দিতে পারছি না তার মানে দিনের কাজের ফাকে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা সময় বের করে আমি গল্পটা লিখতে পারিনি কিংবা লিখলেও শেষ করে উঠতে পারিনি।

যেহেতু মানুষ তাই ব্যাস্ততা থাকেই। অনেকে ব্যাপারটা বোঝে আবার অনেকেই বোঝে না। তাই এতোগুলো কথা বলা।
অনেকেই দেখলাম রেগে গেছেন গল্প না পেয়ে, আশা করি তারা একটু বোঝার চেষ্টা করবেন।

?আর হ্যাঁ কমেন্টে জানাবেন গল্পটা কেমন হচ্ছে।?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here