বিষাদময়_প্রহর পর্ব ১৮

0
752

#বিষাদময়_প্রহর
#লাবিবা_ওয়াহিদ
|| পর্ব ১৮ ||

নিবিড় ভাইয়া আর অর্ণা আপু পাশাপাশি মাথা নিচু করে বসে আছে।
তাদের দুইজনের দিকে ক্রোধের দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আছে অর্ণা আপুর বাবা।
আর তার পাশে খুবই শান্তভাবে বসে আছে অর্ণা আপুর মা।
অপরপাশের সোফায় মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে হিদের বাবা আর হিদের মা মানে আন্টি কিছুটা দূরে নীরব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি সিঁড়ির কাছে হিদের পাশে দাঁড়িয়ে আছি।
হিদের থেকেই ওদের কাহিনী জানলাম।
অর্ণা আপুর সাথেই নিবিড় ভাইয়ার সম্পর্ক ছিলো, হুট করে গতকাল রাতে অর্ণা আপু তার বাবার কাছে ধরা খেয়ে যায় তারপর নিবিড় ভাইয়াকে অপমান করতেই মূলত সকাল সকাল এই বাড়িতে এসে হাজির।
অর্ণা আপুর মাও রেগে ছিলেন কিন্তু যেই মুহূর্তে জানলেন ইয়াং পলিটিশিয়ান নিহান আফ্রানের ভাইয়ের সাথে তার মেয়ে সম্পর্কে জড়িত তখনই সে গলে গেলেন।
কিন্তু অর্ণা আপুর ক্ষুব্ধ বাবাকে কেউ সামলাতে পারছে না।
অর্ণা আপুর মায়ের দৃষ্টিতেই বোঝা যাচ্ছে সে নিবিড় ভাইয়াকে পছন্দ করেছে।
কিন্তু নিহান ভাইয়া বাড়িতে নেই।
নিহান ভাইয়ার জন্যই এখন সবাই অপেক্ষা করছে।
লিভিংরুমে এমন নিরবতা যে মনে হবে না এখানে অনেকেই বসে আছে।
শুনশান নিরবতা।
কিছুক্ষণের মধ্যেই হুড়মুড় করে নিহান ভাইয়া বাড়িতে আসলো।
কিছু জরুরি কাজে উনি ভোরবেলাতেই বেরিয়ে গেছে আর আসলো সবে।
আমি পিটপিট করে সবাইকে পর্যবেক্ষণ করে চলেছি এমনকি নিহান ভাইয়াকেও।
নিহান ভাইয়ার দৃষ্টি খুবই সূক্ষ্ম।

নিহান ভাইয়াকে দেখতেই অর্ণা আপুর বাবা খেঁকিয়ে উঠলেন এবং নানান আজেবাজে কথা বললেন।
আমি নিহান ভাইয়ার দিকে তাকালাম এই ভেবে যে এখনই উনি বোমা ফাটাবেন।
কিন্তু সে গুঁড়ে বালি।
ওনার চেহারার ভাবভঙ্গিতে এমন কিছুই মনে হলো না।
উনি একবার ওই আঙ্কেলটার দিকে তো আরেকবার নিবিড় ভাইয়া এবং অর্ণা আপুর দিকে তাকাচ্ছেন।
শেষে আবার ওই আঙ্কেলটি থামতেই হিদের বাবা বলে উঠে,

—“এখন কি করবি ওদের?”

—“কি করবো মানে? অবশ্যই ওদের বিয়ে দিতে হবে তাইনা?” নিহান ভাইয়ার শান্ত জবাব।

নিহান ভাইয়ার কথায় উপস্থিত সবাই বিস্ময়ের সাথে নিহান ভাইয়ার দিকে তাকালো।
অন্যদের কথা কি বলবো আমার নিজেরই তো বিস্ময়ের সীমা নেই।
চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছি ওনার দিকে।

—“তুমি কি পাগল! আমার মেয়েকে আমি এই ছেলের সাথে কখনো বিয়ে…” আঙ্কেলটি খেঁকিয়ে উঠলেও নিহান ভাইয়া তাকে থামিয়ে অতি ভদ্রভাবে বলে,

—“আপনার মেয়ে এবং আমার ভাই একে অপরকে ভালোবাসে। আর আমার ভাই কোনদিক দিয়ে খারাপ? দেখতে ভালো, কিছুদিন পর অফিস জয়েন করবে, বলা যায় সবই ঠিক আছে আলহামদুলিল্লাহ। আর যদি আমার বাবা-মাকে নিয়ে প্রশ্ন করেন তাহলে আমারও একটা প্রশ্ন, আপনি যখন এই বাড়িতে এসে উঁচু গলায় চেঁচামেচি করেছেন আমার বাবা-মা কি একবারের জন্যেও আপনার সাথে উঁচু গলায় কথা বলেছেন? বলুন?”

নিহান ভাইয়ের কথায় যেন আঙ্কেল কিছুটা থামলো।
নিহান ভাইয়ার প্রশ্নে মৃদ্যু সুরে বললো,

—“না।”

—“তাহলে? আমার ভাই বা আমার পরিবারকে নিয়ে তো কোনো ঝামেলা দেখছি না। শুধু শুধু সকাল সকাল বাড়িতে এসে পরিবেশ নষ্ট করার কোনো মানে ছিলো? বিষয়টা কিন্তু চুপচাপ শান্তিতে বসে আলাপ-বিবেচনা করা যেতো কিন্তু আপনি তার উল্টোটা করেছেন। দেখুন আমাদের পরিবারের অনেক মান-সম্মান আছে, অতি নগন্য বিষয়ে চেঁচামেচি করার অধিকার আপনার নেই। ওরা দুজন-দুজনকে ভালোবাসে এটাই যদি আপনার চেঁচামেচির কারণ হয়ে থাকে তাহলে বলবো ভালোবাসা নিজের অজান্তেই হয় এখানে আমার বা আপনার কারো হাত নেই। আমি চাইছি না আপনার জন্য দুটো জীবন নষ্ট হোক তাই আমি নিজে নিহান আফ্রান, আমার ভাইয়ের তরফ থেকে আপনাকে বিবাহের প্রস্তাব দিলাম। বাকিটা আপনার ইচ্ছা।”

বলেই নিহান ভাইয়া থামলো।
আবারও পরিবেশ নিরব হয়ে গেলো।
এরমাঝেই অর্ণা আপুর মা আন্টির কাছে গিয়ে বলে উঠলো,

—“আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী ভাবী। আমার স্বামী না বুঝে না শুনেই এখানে এমন বিশৃঙ্খলা বাধিয়েছে। আমার স্বামীর হয়ে আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি। দয়া করে বিষয়টা ভুলে যান। বুঝেনই তো একমাত্র মেয়ে, তাই কি করতে গিয়ে কি করে ফেলেছে নিজেরও বোধগম্য হয়নি। আমি আবারও ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।”

আন্টি একবার নিহান ভাইয়ার দিকে, আরেকবার আঙ্কেলের দিকে তাকালো।
তারপর ঠোঁটে কৃত্রিম হাসি ঝুলিয়ে বলে,

—“আরে না না ভাবী তেমন কিছু না। আমরা কিছু মনে করিনি। আপনাদের জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা বিষয়টি ভেবেছি। ভাইজানের জায়গায় নিহানের বাবা হলেও হয়তো এমন রিয়েক্ট করতো।”

নিহানের মায়ের ব্যবহারে অর্ণার বাবা মুগ্ধ গেলেন।
শেষে অর্ণার বাবা নিজের ব্যবহারে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাইলেন সবার কাছে।
শেষে সবাই মিশে গেলো এবং বললো সামনের বছরেই ওদের বিয়ের আয়োজন হবে।
ততদিনে নিবিড় ভাইয়া নিজের অফিসে ফুল ফোকাস করুক এবং অর্ণা আপুও যেন পড়াশোনা কন্টিনিউ করতে থাকে।
সব ঠিক হতে দেখে খুশিতে মন নেচে উঠলো আমার।
অবশেষে তাদের দুই পরিবারই মেনে নিলো।
যাক আলহামদুলিল্লাহ, এতক্ষণ তো চিন্তায় চিন্তায় আমার কপালের ঘাম ছুটে গিয়েছিলো।
আর অর্ণা আপুও খুব মিষ্টি আর কিউট একটা মেয়ে।
উনি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই মিশেছে হিদ এবং আমার সাথে।
সত্যিই নিবিড় ভাইয়ার চয়েসের তারিফ করতে হয়।
সুযোগ বুঝে অর্ণা আপুর নাম্বারটাও নিয়ে নিলাম।
অর্ণা আপুদেরও দাওয়াত দেয়া হয়েছে হিদের বিয়েতে।
এবং আজকেও যেন মেহেন্দি অনুষ্ঠানে এটেন্ড করে সেটাও বলে দিলো।
আঙ্কেল মুচকি এসে জানিয়েছে যে চেষ্টা করবে আসতে।
তারা টুকটাক নাস্তা করেই চলে গেলো।
নিবিড় ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলাম তার ঠোঁটে বিশ্বজয়ের হাসি।
হুট করে কি যেনো একটা মনে হতেই নিহান ভাইয়ার দিকে আড়চোখে তাকালাম।
উনি তার শার্টের হাতা ফোল্ড করতে করতে আমার দিকেই আসছে।
আমি চোখ বড় বড় করে নিহান ভাইয়ার দিকে ফিরলাম।
হ্যাঁ সত্যি তো।
নিহান ভাইয়া আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে পরলো।
হিদ কোথায় গেলো কে জানে।
আমি একটা শুকনো ঢেঁকর তুললাম।
ওনার এমন অদ্ভুত চাহনি দেখে আমার কালকের কথা মনেই ছিলো না।
উনি ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো,

—“নাস্তা করেছিস?”

আমি ডানে বামে মাথা নাড়ালাম যার অর্থ না।
উনি চোখমুখ গরম করে বললো,

—“ক’টা বাজে?”

—“বাবাবাবারোটা!” আমতা আমতা করে বললাম।

—“তো খাসনি কেন হ্যাঁ?” ধমকের সুরে।

—“ঘুম থেকে উঠেই চেঁচামেঁচি শুনেছি তাই ফ্রেশ না হয়েই নিচে চলে আসি। আচ্ছা আমি ফ্রেশ হয়ে এসে তারপর খাচ্ছি।”

বলেই একমুহূর্ত না দাঁড়িয়ে সিঁড়ির দিকে দিলাম দৌড়।
রুমে এসে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম।
এতক্ষণ মনে হচ্ছিলো কোনো এক বাঘের খাঁচায় আটকে ছিলাম আর জলজ্যান্ত বাঘ এসেছিলো আমাকে তার লাঞ্চের খাবার বানাতে।

মেহেন্দি দুই হাতে দিয়ে একসাইডে বসে আছি।
মেহেন্দি অনুষ্ঠানটা রুফটপে হচ্ছে।
গান বাজছে আর হিদ গানের সাথে ঠোঁট মিলিয়ে হালকা দুলে দুলে মেহেদী আর্টিস্টের থেকে মেহেদাই পড়াচ্ছে।
নিহান ভাইয়া আর নিবিড় ভাইয়া এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ির উপর আছে।
আমি নিহান ভাইয়ার দৌড়াদৌড়ি দেখছি আর হাসছি।
আহারে বেচারার কাজের শেষ নেই।
আজ নিহান ভাইয়াকে অসম্ভব সুদর্শন লাগছে পার্পল রংএর পাঞ্জাবিতে।
আশেপাশের মেয়েগুলো যেন চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে তাকে।
বুঝি না এই মেয়েগুলো নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক রাখতে পারে না?
যেই সুদর্শন ছেলে দেখবে ওমনি তার পিছে লাগবে, অসহ্য!
এইজন্য নিহান ভাইয়ার এমন খাটনি থেকে বেশ আনন্দ পাচ্ছি।
বেশ হয়েছে একেবারে, কে বলেছিলো ওনাকে এতো সুদর্শন হতে হুহ!
আমিও অবশ্য পার্পল গাউন পরেছি তবে একটু সিম্পল।
মেহেদী শুকিয়ে যেতেই আমি হিদকে বলে নিচে চলে আসলাম হাত দুটো ধুঁতে।
হাত ধুঁয়ে টিস্যু দিয়ে মুছতে মুছতে রুম থেকে বেরিয়ে ক্যারিডোর দিয়ে যাচ্ছিলাম এমন সময়ই ইনুর দিকে খেয়াল গেলো।
ইনু আবার সর্বনাশ করতে কোনো এক রুমে যাচ্ছে, সেটা আর কারো না স্বয়ং নিহান ভাইয়ার রুম!
আমি টিস্যু ফেলেই নিহান ভাইয়ার রুমে দৌড় লাগালাম।
রুমে ঢুকে দেখি ইনু এক লাফ দিয়ে সোফায় উঠলো আর সোফায় উঠে লাফ দিয়ে একেবারে নিহান ভাইয়ার টেবিলে গিয়ে উঠলো।
সর্বনাশ!

আমি ইনুর দিকে ছুটলাম।
ইনুকে ধরার আগেই অলরেডি নিহান ভাইয়ার একটা ডায়েরী ফেলে দিলো ইনু।
ডায়েরী নিচে পরে তার ভেতরের অনেক কাগজপত্র বেরিয়ে গেলো।
আর কোনো অঘটন ঘটানোর আগেই আমি ইনুকে সরিয়ে আনলাম তারপর ইচ্ছামতো বকতে লাগলাম।
ইনুর কোনো হেলদোল নেই, উনি চুপচাপ আমার দিকেই তাকিয়ে আছে।
আমি ইনুকে বকতে বকতে হাটু গেড়ে বসে সব কাগজপত্র উঠিয়ে ডায়েরীতে রাখছিলাম তখনই ডায়রীর কিছু লেখা দেখে আমি থমকে গেলাম।
কাগজ গোছানো বাদ দিয়ে ডায়েরীর পাতাগুলো একে একে উল্টোতে লাগলাম এবং কিছু হিসাব মেলানোর চেষ্টা করলাম।
পাতাগুলো উল্টোতে উল্টোতে নিজের অজান্তেই চোখ বেয়ে কয়েকফোটা জল গড়িয়ে ডায়েরীর পাতায় গিয়ে পরলো।
একসময় কিছু একটা ভেবেই ডায়েরীর এক পাতা ছিঁড়ে আমি দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম।

সোডিয়াম আলোর পথ ধরে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে যাচ্ছি আমার বাসার দিকে।
আমাকে ক্রস করে শোঁ শোঁ করে গাড়িগুলো চলে যাচ্ছে কিন্তু আমার সেদিকে নজর নেই।
দৌড়াতে দৌড়াতে এক নির্জন রাস্তায় চলে আসি।
জায়গাটা জনমানবহীন।
এমন জায়গাতেই এসেই হাঁপিয়ে উঠেছি তাই থেমে দাঁড়ালাম।
হাঁপাতে হাঁপাতে আবারও ডুকরে কেঁদে উঠলাম।
সামনে ফিরে হাঁটতে যেতেই পেছন থেকে কেউ মাথায় ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করলো।
মুহূর্তেই যন্ত্রণায় চারপাশ কেমন ঝাপসা লাগলো।
শরীরটাও একসময় নিস্তেজ হয়ে যায়।
তাল সামলাতে না পেরে সেখানেই মুখ থুবলে পরে গেলাম।
এরপর আর কিছু মনে নেই আমার।
ডায়েরীর পাতাটি আমার হাতেই রইলো।

অনেকক্ষণ হয়েছে নিহান তার আশেপাশে নাফিহাকে দেখছে না।
বিষয়টা নিহানকে ভাবিয়ে তুললে সে হিদকে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

—“হ্যাঁ রে নাহিদা, আশেপাশে তো নাফিহাকে দেখছি না?”

—“নাফু তো মেহেদী উঠাতে নিচে গেল অনেকক্ষণ হলো।”

—“অনেকক্ষণ হলো মানে? এখনো কি ফিরেনি?”

—“না ভাইয়া।”

নিহান কেন জানি না আরও চিন্তায় পরলো।
হিদের কথার বিপরীতে কিছু না বলেই সে একপ্রকার ছুটে নিচে আসলো।
সারাবাড়ী খুঁজেও নাফিহাকে পেলো না।
নিজের ঘরে যেতেই দেখলো ইনু লেজ নাড়িয়ে তার ঘরের একুরিয়ামে থাকা ছোট ছোট গোল্ডেন ফিসগুলো দেখছে।
টেবিলের দিকে নজর যেতেই দেখলো মেঝেতে কিছু কাগজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে আর তার মাঝে নিহানের ডায়েরীটাও পরে আছে।
নিহান সেদিকে এগিয়ে নিজের ডায়েরীটা হাতে নিয়ে দেখলো তার ডায়েরীর এক পেজ ছেঁড়া।
হুট করে নিহানেরও যেন কি হলো।
সেও ডায়েরী ফেলেই দৌড় লাগালো।
ইনু এবারও নিহানের ছুটে যাওয়ার দিকে হ্যাবলার মতো তাকিয়ে রইলো।
সে কিছুতেই বুঝতে পারছে না এই ডায়েরী ফেলে দৌড়ে যাওয়ার কেসটা!

বাড়ির মূল গেটের দারোয়ানের থেকে নিহান জানতে পারলো প্রায় ১ ঘন্টা আগে নাফিহা হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে গিয়েছে।
দারোয়ান নাকি পেছন থেকে অনেকবার ডেকেছে কিন্তু নাফিহার কান অবধি তার কন্ঠ পৌঁছায়নি।
এবার যেন নিহানের দুশ্চিন্তার সীমানা রইলো না।
একপ্রকার দ্রুত ছুটে সে গাড়ির গ্যারেজে গেলো।
তার গাড়ির কাছে এসে গাড়িতে উঠে ড্রাইভিং সিটে বসে, সিটবেল্ট বেঁধে পকেট থেকে চাবি বের করে গাড়ি স্টার্ট দিলো।
রুম থেকে বের হওয়ার আগে চাবিটাও সাথে করে নিয়েছিলো নিহান।

চলবে!!!

বিঃদ্রঃ ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গঠনমূলক মন্তব্যের প্রত্যাশায় রইলাম আসসালামু আলাইকুম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here