#বিরহ_শ্রাবণ
#পর্ব_১৭
#লেখিকা:সারা মেহেক
অভ্র ভাইয়ের কথাগুলো কর্ণপাত হতেই আমি বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে এলাম। উনার মুখ নিঃসৃত প্রতিটি শব্দ আমার কানে ঝংকার তুললো। হতবাক হয়ে এলাম আমি। কিয়ৎক্ষণ উনার পানে নিষ্পলক চেয়ে রইলাম। সত্যি কি আমিই অভ্র ভাইয়ের সেই পছন্দ করা মেয়ে যাকে তিনি ভালোবেসে ‘স্বপ্নচারিণী’ নাম দিয়েছেন! বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। এ কি করে হতে পারে! অভ্র ভাই আমাকে পছন্দ করেন!
বিস্ময়ে হতবাক আমি মিনিট দুয়েক পর মুখ খুললাম। আধো আধো স্বরে অভ্র ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম,
” আ-আপনি কি জানেন, কি বলছেন আপনি? ”
অভ্র ভাইয়ের মাঝে বিচলিত ভাবটা এখনও বিরাজ করছে। উনি নিঃসংকোচে গলায় বললেন,
” অবশ্যই জানি আমি কি বলেছি। ”
” অভ্র ভাই? আপনি কি জেগে জেগে স্বপ্ন দেখছেন? নাকি কোনোপ্রকার ভ্রমে আছেন যে, আমাকে ভুলে নিজের ভালোবাসার মানুষ ভাবছেন?”
অভ্র ভাইয়ের কণ্ঠে এ পর্যায়ে কিঞ্চিৎ উৎকণ্ঠার দেখা মিললো। উনি বৃথা হাসার চেষ্টা করে বললেন,
” ভ্রমে নেই আমি চন্দ্রিমা। আমি পুরোপুরিভাবে সজাগ আছি। আর আমি জানি আমি কাকে কি বলছি। কেনো? তোমার কি বিশ্বাস হচ্ছে না?”
আমি চাপা গলায় দৃষ্টি হটিয়ে বললাম,
” না। এটা বিশ্বাসযোগ্য কোনো কথা ছিলো না। ”
” কেনো বিশ্বাসযোগ্য হবে না? আমি কি তোমাকে পছন্দ করতে পারি না? ভালোবাসতে পারি না?”
এই বলে অকস্মাৎ অভ্র ভাই বেঞ্চি হতে উঠে হাঁটু গেঁড়ে আমার সামনে বসে পড়লেন। আমার হাত হতে কফির মগ বেঞ্চিতে রেখে আমার হাতজোড়া নিজের হাতের মুঠোয় নিলেন। আমার দৃষ্টি বরাবর গভীর দৃষ্টিপাত করলেন। অতঃপর প্রগাঢ় গলায় বললেন,
” তোমাকে ছোট থেকে চিনি চন্দ্রিমা। এ বাড়িতে আসার পর থেকে আমি সবসময় তোমার আশেপাশে থেকেছি। তোমার প্রয়োজন বুঝার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কখনো তোমাকে ওভাবে দেখিনি। তখন তোমার প্রতি কোনো অনুভূতিও ছিলো না আমার। আমার বন্ধুরা কলেজ লাইফ থেকে অনেকে আবার স্কুল লাইফ থেকেই প্রেম করতো। কিন্তু আমি কখনো এসব ঝামেলায় পড়তে চাইনি বলে সবসময় এই টপিকটা এভোয়েড করে যেতাম৷ তবে আমি যখন কলেজ পেরিয়ে মেডিকেলে ভর্তি হলাম, তখন মনে হল একটা প্রেম করা দরকার। কিন্তু পছন্দের কোনো মেয়েই পাচ্ছিলাম না। তাই আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম৷ ভেবেছিলাম, আমার দ্বারা এসব হবে না৷ কিন্তু ভাগ্যে আমার তা ছিলো না। ”
এই বলে উনি কয়েক সেকেন্ড বিরতি নিয়ে পুনরাশ বলতে আরম্ভ করলেন,
” তোমার বয়স তখন তেরো কি চৌদ্দ। সেদিন তোমাদের স্কুলে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ছিলো। আমার স্পষ্ট মনে আছে তুমি লাল সাদা পাড়ের একটা শাড়ি পরেছিলে। চোখে হালকা কাজল আর ঠোঁটে লাল কালারের লিপস্টিক। এই ছিলো তোমার সেদিনকার সাজ। সত্যি বলতে সেদিনই তোমার প্রতি আমার প্রথম ভালোলাগা কাজ করে। আই নো, এটা খুবই বিতিকিচ্ছিরি একটা ব্যাপার। কারণ তুমি তখন মাত্র ক্লাস এইটে পড়ো। এমন ছোট্ট মেয়ের প্রতি আমার ভালোলাগাটা বেশ দৃষ্টিকটু একটা বিষয়। এ নিয়ে আমি নিজেকে বুঝিয়েও ছিলাম। নিজেকে বলেছিলাম, ছোট থেকে তোমাকে দেখে আসছি। তোমার খেয়াল রাখছি। এখন তোমার প্রতি এমন অনুভূতি জন্মানোটা ভালো দেখায় না। কিন্তু আমি কেমন যেনো হয়ে পড়েছিলাম চন্দ্রিমা। নিজেকে সামলাতে পারিনি। খুব চেষ্টা করেছি, তোমাকে ভালো না বাসার। কিন্তু কিভাবে কিভাবে যেনো আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলি। আমার মনে সর্বপ্রথম যখন তোমাকে নিয়ে ভালোলাগা তৈরী হয়, তখন আমি নিজেকে বুঝিয়েছিলাম। আটকে রেখেছিলাম। কিন্তু তা ছিলো মাত্র এক বছরের জন্য। এরপরের বছরই যখন চঞ্চল মা’রা যায় তখন তোমাকে দেখে ভীষণ মায়া লাগতো, খারাপ লাগতো। দেখতাম তুমি অনামিকার সাথে খেলার বাহানায় এসে আমাদের বাড়ি বসে কাঁদতে। একা একা বসে থাকতে। কারোর সাথে তেমন কথা বলতে না। খুব কষ্ট হতো তোমার প্রতি। বলা যায়, তখন থেকে তোমার মায়ায় পড়েই আমি তোমাকে ভালোবাসতে শুরু করেছি। তখন থেকে আজ অব্দি আমার এ ভালোবাসা বেড়েছে বৈকি কমেনি। আমি রোজ রোজ তোমাকে দেখতাম আর মনে হতো, তোমার প্রতি আমার অনুভূতি সকল বেড়েই চলছে। এরপর থেকে আমি নিজেকে আটকে রাখিনি। তোমাকে ভালোবেসেছি। মনের গভীর থেকে তোমার জন্য অনুভব করেছি। যখন তুমি কষ্টে থাকতে তখন আমি কেমন যেনো অস্থির হয়ে পড়তাম। কিন্তু এ ব্যাপারটাকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতাম।
সেদিন নাহিদের সাথে যখন রেস্টুরেন্টে এসে পথ হারিয়ে ফেলেছিলে, বিশ্বাস করো চন্দ্রিমা, সেদিন মনে হয়েছিলো, আমি বোধহয় তোমাকে হারিয়ে ফেলবো। পাগলপ্রায় হয়ে গিয়েছিলাম আমি। তোমার ফোন পেয়ে রোগী অন্যজনের কাছে দিয়ে দৌড়ে চলে এসেছিলাম। এরপর যখন তোমাকে সহিসালামত দেখলাম, আমিই জানি, আমি কিভাবে নিজের ইমোশন কন্ট্রোল করেছিলাম। মনে হচ্ছিলো, সেখানেই তোমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদি। কারণ তোমাকে হারানোর ভয় আমাকে ভেতর থেকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলো চন্দ্রিমা। আমি তোমাকে হারাতে চাই না। সারাজীবনের মতো নিজের করে পেতে চাই।”
এই বলে অভ্র ভাই আমার পানে চেয়ে রইলেন। উনার চাহনিতে অসহায়ত্ব, দ্বিধাগ্রস্ততা, উৎকণ্ঠতা, সকল একসাথে প্রকাশ পাচ্ছে। আর আমি…..আমি হতভম্ব হয়ে উনার পানে চেয়ে আছি। মুখের বুলি যেনো হারিয়ে বসেছি এ মুহূর্তে। এখনও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে, অভ্র ভাই আমাকে ভালোবাসেন! আর এ ভালোবাসা এক মাস বা এক বছরের নয় দীর্ঘ চার বছরের!
অভ্র ভাই আমার হাতজোড়া এখনও পূর্বের ন্যায় ধরে আছেন। বহুক্ষণ বাদে উনি নত মস্তকে প্রলম্বিত নিঃশ্বাস ছাড়লেন। অতঃপর যথাসম্ভব শান্ত কণ্ঠে বললেন,
” আমি জানি, চন্দ্রিমা, হুট করে এসব কথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমার কিছুই করার ছিলো না। ভেবেছিলাম সঠিক সময়ে তোমাকে আমার মনের কথা বলবো। কিন্তু আম্মার কাছে শুনলাম, তোমার জন্য ছেলে ঠিক করছে। একটা ছেলে তো তোমাকে দেখতেও চাইছে। এসব শুনে আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনি। মনে হয়েছিলো, আজ না বললে আর কখনো বলতে পারবো না। ভয় হচ্ছিলো, যদি দেরি হয়ে যায়! যদি তুমি অন্য কারোর হয়ে যাও! এজন্য বেশ সাহস নিয়েই তোমাকে আমার মনের কথা বললাম চন্দ্রিমা। এসব জানার পর আমার প্রতি তোমার আচার-আচরণ, অনুভূতি কেমন হবে তা জানা নেই। তবে আমি এটা জানি, আমি কোনো ভুল করিনি। তোমার কি মনে হয় চন্দ্রিমা?”
আমি কিয়ৎক্ষণের জন্য বোধহয় অভ্র ভাইয়ের চোখের গভীরতায় হারিয়ে গিয়েছিলাম। উনার বলা প্রতিটা কথা মন দিয়ে অনুভব করার চেষ্টা করছিলাম। হঠাৎ আমার হুঁশ এলো, এ আমি কি করছি!
আমি তৎক্ষনাৎ উনার হাত ছেড়ে উঠে দাঁড়ালাম। বড় বড় কয়েকটি শ্বাস টেনে অবিন্যস্তভাবে দৃষ্টি এদিক ওদিক ঘোরালাম। আমার উচিত, এ মুহূর্তেই দৌড়ে এখান থেকে পালানো। কিন্তু কেনো যেনো, আমার পা জোড়া এ সিদ্ধান্তে আমাকে সহযোগীতা করলো না।
অভ্র ভাই এখন আমার একদম সোজাসুজি দাঁড়িয়ে আছেন। আমাকে এভাবে দেখে হয়তো তিনি জিজ্ঞেস করলেন,
” তোমার কি মনে হয় চন্দ্রিমা? আমি কি কোনো ভুল করেছি? ”
অভ্র ভাইয়ের এ প্রশ্নে আমি কিয়ৎক্ষণের জন্য পুরোপুরি শূন্য হয়ে পড়লাম। কয়েক সেকেন্ড সময় নিয়ে নিজেকে সামলে বললাম,
” আমি জানি না অভ্র ভাই। আপনার ভুল সঠিক বিবেচনা করার মতো সাহস আমার নেই। তবে এটা বলবো, আমি কখনো আপনাকে ঐ নজরে দেখিনি। এমনটা হলে, আমি এখন আপনার সাথে এতো স্বাভাবিকভাবে মিশতে পারতাম না। ”
অভ্র ভাই তৎক্ষনাৎ কিছু বললেন না। বরং কিয়ৎ সময় নিয়ে বললেন,
” আমার দিকে তাকাও চন্দ্রিমা। তোমাকে একটা কথা বলবো। ”
কিছুক্ষণ পূর্বেই অভ্র ভাইয়ের সমস্ত কথাগুলো শোনার পর এ মুহূর্তে আমার সাহস হলো না উনার দিকে তাকানোর। এজন্য আমি নত দৃষ্টিতেই দাঁড়িয়ে রইলাম। উনি পুনরায় একই কথা বললেন আমাকে। এবার আমি সাহস নিয়ে দু হাতের মুঠো শক্ত করে উনার দিকে চাইলাম। আমাদের দুজনের মধ্যে মাঝামাঝি দূরত্ব। উনার গলা বরাবর আমার উচ্চতা। এ যাবতকালে প্রথম অভ্র ভাইয়ের দিকে তাকাতে ভীষণ দ্বিধাবোধ করছিলাম। বলার অপেক্ষা রাখে না, আমার সমস্ত শরীর আড়ষ্ট হয়ে এসেছে। কারণ, এতোদিন আমি উনার মনের অবস্থা জানতাম না। কিন্তু আজ আমি জানি, উনি আমায় নিয়ে কি অনুভব করেন। স্বভাবতই একটা মেয়ের পক্ষে এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক থাকা দুষ্কর।
অভ্র ভাই আমার দৃষ্টি বরাবর দৃষ্টি রেখে মৃদু হেসে বললেন,
” জানো তো, যে তোমাকে ভালোবাসে তাকেই বিয়ে করা উচিত?”
অকস্মাৎ অভ্র ভাইয়ের এরূপ কথা শুনে শুকনো মুখেও বিষম খেলাম আমি। ফলস্বরূপ চোখজোড়া বিস্ময়ে বৃহদাকার ধারণ করলো। আমি আশ্চর্যান্বিত কণ্ঠে বললাম,
” বিয়ে! ”
অভ্র ভাইয়ের ঠোঁটের কোনে পূর্বের ন্যায় হাসি বিরাজ করছিলো। তবে আমার এ আশ্চর্যান্বিত ভাব দেখে উনার সে হাসি মুহূর্তেই পরিবর্তন হয়ে যায়। উনি পূর্বের চেয়ে জোড়ালোভাবে হেসে বললেন,
” কেনো? বিয়েতে চাও না? প্রেম করতে চাও?”
আমি থতমত খেয়ে গেলাম। তৎক্ষণাৎ আমতাআমতা করে বললাম,
” মানে, না মানে, আমি কখনো প্রেম করতে চাইনি। আসলে…..”
” তাহলে ডিরেক্ট বিয়ে করতে চেয়েছো, তাই তো?”
আমার কোনো জবাব দেওয়ার পূর্বেই আচমকা পিছন হতে প্রোজ্জ্বল ভাইয়ের কণ্ঠস্বর কর্ণকুহরে প্রবেশ করলো।
” তোরা দুজন কি করছিস ওখানে?”
উনার এ প্রশ্নে চমকে উঠলাম আমি। ফলস্বরূপ দু কদম পিছিয়ে এলাম। কিন্তু পিছনে বেঞ্চি থাকায় ভারসাম্য না রাখতে পেরে পরে যেতে নিলাম। তৎক্ষনাৎ অভ্র ভাই সামলে নিলেন আমাকে। প্রোজ্জ্বল ভাইও ততক্ষণে দৌড়ে এখানে চলে এসেছেন। এসেই কিঞ্চিৎ উদ্বিগ্ন কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন,
” ঠিক আছিস চন্দ্রিমা?”
আমি ততক্ষণে অভ্র ভাইয়ের থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে পরেছি। প্রোজ্জ্বল ভাইয়ের এ প্রশ্নে আমি ছোট্ট করে জবাব দিলাম,
” হুম। ”
উনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন,
” বেশ কিছুক্ষণ ধরে বারান্দায় দাঁড়িয়ে তোদের দুইজনকে দেখলাম। ব্যাপার কি? কি কথা বলছিলি তোরা?”
উনার এ প্রশ্নে আমি ও অভ্র ভাই একে অপরের দিকে চাইলাম। অতঃপর প্রোজ্জ্বল ভাইয়ের দিকে চেয়ে তৎক্ষনাৎ মাথা নিচু করে ফেললাম। অভ্র ভাই কিছুটা আমতাআমতা করে বললেন,
” কি-কিছু জরুরি কথা বলছিলাম। ”
” হ্যাঁ তা তো বলছিলিই। কিন্তু কি এতো জরুরি কথা বলছিলি এভাবে দাঁড়িয়ে থেকে?”
অভ্র ভাই এবার সশব্দে নিঃশ্বাস ছেড়ে বললেন,
” দোস্ত? তোকে একটা মেয়ের কথা বলেছিলাম না?”
” হ্যাঁ বলেছিলি। কি হয়েছে তার?”
” সেই মেয়েটা আর কেউ নয় বরং চন্দ্রিমা।”
” কিহ!” প্রোজ্জ্বল ভাইয়ের কণ্ঠ শুনে মনে হলো, বেশ জোরেসোরে একটা ধাক্কা খেয়েছেন উনি। আমি দৃষ্টি তুলে উনার দিকে চাইলাম। সত্যিই, উনি বেশ বড় ধাক্কা খেয়েছেন। উনি হতভম্ব চাহনিতে একবার আমার দিকে অতঃপর অভ্র ভাইয়ের দিকে চাইলেন। মুহূর্তেই রসিকতাময় কোনো কথা শুনেছেন এমন ভঙ্গিতে হেসে বললেন,
” মজা করিস না অভ্র। তুই বললেই আমি মেনে নিবো এমনটা না। ”
” মজা না প্রোজ্জ্বল। আ’ম সিরিয়াস। সত্যিই সেই মেয়েটা চন্দ্রিমা। চন্দ্রিমাই সেই মেয়ে যাকে আমি চার বছর ধরে ভালোবাসি। ”
প্রোজ্জ্বল ভাই বোধহয় এখনও এ ধাক্কা হতে বেরিয়ে আসতে পারেননি৷ তাই তো আমার দিকে কিয়ৎক্ষণ ফ্যালফ্যাল চাহনিতে চেয়ে রইলেন। অতঃপর অভ্র ভাইকে জিজ্ঞেস করলেন,
” চন্দ্রিমা জানে? ”
” হ্যাঁ, আজই ওকে সবটা বলেছি। ”
অভ্র ভাইয়ের এ কথা শোনার পর প্রোজ্জ্বল ভাই নিমিষের জন্য আমার দিকে চেয়ে বললেন,
” চন্দ্রিমা, তুই বাড়িতে যা। মা তোকে ডাকছিলো। আমি অভ্রর সাথে একটু কথা বলবো।”
প্রোজ্জ্বল ভাইয়ের এ কথা বলতে দেরি হলো, তবে আমার সেখান থেকে কেটে পড়তে দেরি হলো না। আমি কয়েক কদম এগিয়ে যেতেই প্রোজ্জ্বল ভাই ও অভ্র ভাই নিজেদের মধ্যে কথোপকথনে ব্যস্ত হলেন। গেট অব্দি যাওয়া পর্যন্ত অভ্র ভাইয়ের শেষ একটি কথা শুনলাম,
” প্রোজ্জ্বল, তোর হেল্প লাগবে। প্লিজ না করিস না।”
®সারা মেহেক
#চলবে