#বিরহ_শ্রাবণ
#পর্ব_১৪
#লেখিকা:সারা মেহেক
অকস্মাৎ অপরিচিত তিনটি লোককে দেখে আমার বুকটা পুনরায় ধক করে উঠলো। হালকা ভেজা গলাও মুহূর্তের মধ্যেই শুকিয়ে কাঠ হয়ে এলো। এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা হতে বেরিয়ে আসতেই দ্বিতীয় অনাকাঙ্ক্ষিত এবং হয়তো বিপদজনক এক ঘটনার সম্মুখীন হয়ে আমার মস্তিষ্ক নিমিষের জন্য শূণ্য হয়ে এলো। তবে হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকানোর শব্দে মুহূর্তেই আমার মস্তিষ্ক ও শরীরে চলনশক্তি অনুভব করলাম। সামনের লোক তিনটিকে দেখিনি এমন ভাব নিয়ে পিছে ফিরে বিপরীত দিকে হাঁটা শুরু করলাম। এর মাঝেই এপ্রোনের পকেট হতে ফোন বের করে দ্রুত প্রোজ্জ্বল ভাইকে কল করলাম। স্পষ্ট অনুভব করলাম, ফোনের রিং হওয়ার সাথে সাথে গুণোত্তর হারে আমার বুকের ধুকপুকানি বেড়ে চলছে। কারণ লোক তিনটি পূর্বের জায়গায় দাঁড়িয়ে নেই। বরং আমার পিছু নিয়ে আমায় অনুসরণ করে হেঁটে চলছে।
প্রোজ্জ্বল ভাইকে কল করলাম ঠিকই। কিন্তু উনি কল ধরলেন না। ওপাশ হতে ডায়ালিং এর শব্দ যখন আমার কর্ণগোচর হলো সে মুহূর্তে আমার নিঃশ্বাস যেনো কয়েক সেকেন্ডের জন্য গলার কাছে এসে আটকে গেলো। আমি হাঁটার গতি বাড়ালাম। তবে দৌড়ালাম না। কারণ দৌড়িয়ে এদের সাথে পেরে উঠা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এভাবে জোর গতিতে হেঁটে কয়েক কদম পরই আমার পিছন হতে আসা একটি লোকের দেখা পেলাম। উনাকে দেখে আমার প্রাণে কিয়ৎক্ষণের জন্য যেনো পানি ফিরে এলো। তৎক্ষনাৎ আমি হাঁটার গতি কমিয়ে দিলাম। আড়চোখে পিছনে চেয়ে দেখলাম অজ্ঞাত পরিচয়ের লোক তিনটি রাস্তার কোনে থমকে দাঁড়িয়ে আছে। নিশ্চয়ই এ লোকটিকে দেখে তারা ভয় পেয়েছে। এ কারণেই আমার পিছু নিচ্ছে না। ভরসা পেলাম আমি। ফলে নিজেকে বাঁচাতে লোকটিকে ডাকলাম। লোকটি এতোক্ষণে আমাকে পাশ কাটিয়ে দু কদম এগিয়ে গিয়েছে। আমি ডাকতেই লোকটি পিছনে ফিরে চাইলো। আমি দ্রুত উনার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম। অস্থির কণ্ঠে বললাম,
” আ-আপনার একটু হেল্প লাগবে। ”
লোকটি স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বললো,
” জি বলুন। ”
” আপনি একটু দাঁড়াবেন? আমি একটা কল করবো। খুব বিপদে পড়েছি। ”
” জি জি করুন।”
লোকটির ভরসায় কম্পিত ও প্রায় অসার হয়ে যাওয়া হাতজোড়া নিয়ে এবার অভ্র ভাইকে কল করলাম। দু বার রিং হওয়ার শব্দ হতেই অভ্র ভাই কল রিসিভ করলেন। সাথে সাথে যেনো আমার বুক চিঁড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস বেরিয়ে এলো। কাল বিলম্ব না করে বললাম,
” অ-অভ্র ভাই, বড় একটা বিপদে পড়েছি। তিনটা লোক আমার পিছু নিয়েছে। আর এদিককার রাস্তাঘাট কিছুই চিনি না। আপনি দ্রুত আসুন প্লিজ।”
ওপাশে অভ্র ভাই যেনো মুহূর্তেই অস্থির হয়ে পড়লেন। হন্তদন্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন,
” কোথায় তুমি? দ্রুত লোকেশন বলো। ”
আমি লোকটিকে জিজ্ঞেস করলাম,
” এখানকার এক্স্যাক্ট লোকেশনটা একটু বলুন প্লিজ।”
লোকটি লোকেশন বললে তার অনুরূপ কথা আমি অভ্র ভাইকে বললাম। অতঃপর অভ্র ভাই ফোন কেটে দিলেন। তবে ফোন কাটার পূর্বে আশ্বস্তমূলক কণ্ঠে বললেন,
” চিন্তা করো না চন্দ্রিমা। আমি আসছি। ”
আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, অভ্র ভাইয়ের এই দুটো কথা শুনেই যেনো আমার ভয় অর্ধেকটা কমে এলো।
আমি ফোন রাখতেই লোকটি আমায় জিজ্ঞেস করলো,
” আপনি এখানকার রাস্তা চিনেন না?”
আমি নিম্ন কণ্ঠস্বরে বললাম,
” জি না। তারপর আবার পিছনের যে তিনটা লোক দেখছেন, তারা আমার পিছু নিয়েছে। ”
লোকটি ঘাড় ঘুরিয়ে পাশে ফিরলো। অতঃপর বললো,
” এসব কারণেই একা বের হতে হয় না। যাই হোক, আপনি যাকে ফোন করেছেন সে কি আসছে? একটু দ্রুত আসতে বলুন। আমার দোকান খুলতে হবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। ”
লোকটির কথার প্রত্যুত্তরে আমি কিছু বলতে যাবো কিন্তু এর পূর্বেই অকস্মাৎ একটি পুরুষ কণ্ঠ শুনলাম,
” চন্দ্রিমা? তুমি এখানে? ”
এক মুহূর্তের জন্য ভেবেই নিয়েছিলাম, এটা বোধহয় অভ্র ভাইয়ের কণ্ঠ। কিন্তু সামনের দিকে তাকিয়ে নাহিদকে দেখতে পেলাম৷ উনাকে দেখে হতাশ কম ভয়ে সিঁটিয়ে এলাম বেশি। উনি আমার নিকট এসে দাঁড়ালেন। অতঃপর লোকটিকে বললেন,
” ভাই, আপনি আপনার কাজে যেতে পারেন৷ এই মেয়েটা আমার পরিচিত।”
নাহিদের কথার প্রত্যুত্তরে তৎক্ষনাৎ লোকটিকে বললাম,
” ভাই, আপনি এখানেই দাঁড়িয়ে থাকুন প্লিজ। আমি যাকে ফোন করেছি, সে হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবে। ”
নাহিদ বললো,
” আরে ভাই আপনি চলে যান। ওকে আমি বাসায় পৌঁছে দিবো। ”
লোকটি আর কথা বাড়ালো না। চলে যেতো নিলো। লোকটিকে যেতে দেখে আমার ভয় বেড়ে দ্বিগুণ হলো। আমি নিষেধ করলাম লোকটিকে যেতে৷ কিন্তু তারপরেও তিনি চলে গেলেন। ওদিকে লোকটি একটু সামনে এগুতেই নাহিদ আমার হাত ধরে পিছনে ফিরে বললেন,
” তোদেরকে কি দাঁড়িয়ে থাকার কাজ দিয়েছি? তিনটা ব্যাটা একটা মেয়ের সাথে পারিস না! ধর ওকে।”
নাহিদের এরূপ কথা কর্ণপাত হতেই আমি কয়েক সেকেন্ডের জন্য শূণ্য হয়ে এলাম। এই লোক তিনটি তাহলে নাহিদের পাঠানো লোক! এটি ঘুণাক্ষরেও টের পেলাম না আমি! নাহিদ এমন লোক বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছে।
লোক তিনটিকে এগিয়ে আসতে দেখে আমি জোরে চিৎকার দিলাম। আমার চিৎকার শুনে অদূরে হেঁটে যাওয়া কয়েকটি পথচারী ও তখনকার সে লোকটি দৌড়ে এদিকে এগিয়ে আসতে লাগলো। ততক্ষণে অকস্মাৎভাবে পাশের গলি থেকে একটা মিনি মাইক্রো হেসে আমাদের সামনে হাজির হলো। বুঝতে বাকি রইলো না, নাহিদ আমাকে কি’ড”ন্যা”প করার চেষ্টা করছেন। এ বুঝতেই আমি সর্বশক্তি লাগিয়ে নাহিদকে ধাক্কা দিলাম। উনার হাতের বাঁধন আলগা হতেই আমি ছুটে গেলাম। কিন্তু খুব একটা লাভ হলো না। সেকেন্ডের মাঝেই আমি পুনরায় আমার হাতে টান অনুভব করলাম৷ তবে এবারও যতটুকু সম্ভব ততটুকু জোর দিয়ে নিজেকে আটকে রাখার চেষ্টা করলাম। এরই মাঝে দেখলাম, অভ্র ভাই রিকশা থেকে নেমে দৌড়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছেন। কয়েক সেকেন্ডের মাঝেই উনি আমার নিকটে এসে আমাকে নাহিদের ধাবা হতে বাঁচালেন। ততক্ষণে লোকগুলোও এগিয়ে এসেছে। অকস্মাৎ অভ্র ভাইকে এবং পথচারীদের এগিয়ে আসতে দেখে নাহিদ ও তার লোকেরা দ্রুত সেই মাইক্রোতে উঠেই পালিয়ে গেলো। আমি নিষ্পলক কয়েক সেকেন্ড সেদিকে চেয়ে রইলাম। অতঃপর অকস্মাৎ যেনো আমার শরীর ভেঙে নিস্তেজ হয়ে পড়লাম আমি। তুমুল জোরে দাপিয়ে বেড়ানো হৃদপিণ্ড ধীরেধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করলো।
অভ্র ভাই আমাকে দু বাহুর সাহায্যে ধরে আছেন। আমাকে নিস্তেজ হতে দেখে উনি বার কয়েক আমার গালে আলতো চাপড় দিলেন। হন্তদন্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন,
” চন্দ্রিমা? এই চন্দ্রিমা? ঠিক আছো তো তুমি?”
প্রচণ্ড গলা শুকিয়ে আসায় দূর্বল কণ্ঠে বললাম,
” আমার ব্যাগে হয়তো পানি আছে অভ্র ভাই। একটু বের করে দিন না। ”
অভ্র ভাই তৎক্ষনাৎ আমাকে এক হাতে সামাল দিয়ে অপর হাত দিয়ে ব্যাগের চেইন খুলে পানির বোতল বের করে দিলেন। আমি বোতল হাতে ঢকঢক করে পানি খেয়ে উনার দিকে দূর্বল চাহনিতে চাইলাম। উনি আমার দিকে কেমন যেনো অসহায় চাহনিতে চেয়ে রইলেন। উনার দৃষ্টিজোড়া অন্যকিছু বলছে। চোখজোড়াও কেমন কাঁদোকাঁদো হয়ে এসেছে। মনে হচ্ছে, এখনই কেঁদে দিবেন উনি। অভ্র ভাইয়ের এ পরিস্থিতি দেখে আমি দূর্বলভাবে হাসার চেষ্টা করে বললাম,
” আপনি কি কাঁদছেন নাকি?”
অভ্র ভাই আমার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তৎক্ষণাৎ আমার উপর হতে দৃষ্টি হটিয়ে নিলেন। আশেপাশে এতোক্ষণে ছোটখাটো একটা ভীড় জমে গিয়েছে। অভ্র ভাই তাদের সরে যেতে বললে সবাই একে একে সরে যেতে থাকে। তারা চলে গেলে অভ্র ভাই একটা রিকশা ডাকলেন। আমরা রিকশায় উঠতে নিলেই সেখানে প্রোজ্জ্বল ভাই উপস্থিত হলেন৷ উনি বোধহয় দৌড়ে এসেছেন কি না। হাঁপাতে হাঁপাতে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন উনি। আমার নিকট এসেই আমার মাথায় হাত রেখে উদ্বিগ্ন কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন,
” ঠিক আছিস চন্দ্রিমা?”
আমি মাথা দুলিয়ে জবাব দিলাম,
” হ্যাঁ প্রোজ্জ্বল ভাই। ”
প্রোজ্জ্বল ভাই আর কোনো প্রত্যুত্তর করলেন না৷ অভ্র ভাই রিকশাওয়ালাকে চলে যেতে বলে একটি অটো ডাকেন। অটো আসলে আমরা তিনজনই তাতে উঠে পড়ি।
আমি এতোক্ষণ একদম চুপচাপ ছিলাম। দুজনের বিপরীতে বসে কখনো আড়চোখে বা কখনো সরাসরি প্রোজ্জ্বল ভাই ও অভ্র ভাইকে পর্যবেক্ষণ করছিলাম। দুজনেই নীরবে বাইরে দিকে চেয়ে আছেন। কারোর মুখে কোনো বুলি নেই। তাদের মুখশ্রীর হাবভাব দেখেই স্পষ্ট বলে দেওয়া সম্ভব, তারা পাহাড়সম চিন্তার সাগর হতে মাত্রই তীরে পাড়ি জমিয়েছে। আর এ চিন্তার পাহাড় যে স্বয়ং আমি তাতে কোনো সন্দেহ নেই। দুজনের এই অকস্মাৎভাবে দূতের ন্যায় আগমন, আমাকে বাঁচানো, সামলানো, এসব কারণে এক মুহূর্ত তাদের ধন্যবাদ দিতে মন চাইলো। তবে ইচ্ছে সত্ত্বেও তা দিলাম না। মন বললো, আমি মুখ খোলার সাথে সাথেই প্রোজ্জ্বল ভাই নিজের রাগের বর্ষণ করবেন আমার উপর। এ কারণেই চুপ থাকা শ্রেয় মনে করলাম।
কিছুক্ষণের মধ্যেই বাসায় আসতেই আমাকে নিয়ে একপ্রকার হুলস্থুল কান্ড বাঁধিয়ে ফেললো মামি, মামা ও নানু। মামা এখন বাসায় আসতেন না। তবে আমার কথা শুনে উনি চেম্বার ফেলে রেখেই চলে আসেন।
পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে মামি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কিভাবে কি হলো, আমি ওখানে পৌঁছালাম কি করে।
লম্বা একটা শ্বাস টেনে খানিক ধীরেসুস্থেই সবাইকে শুরু হতে শেষ পর্যন্ত সবকিছু বললাম। অতঃপর দীর্ঘ এ কাহিনি শেষ হওয়া মাত্রই প্রোজ্জ্বল ভাইয়ের গগনবিদারী এক ধ’মক পড়লো আমার উপর। কাহিনি বলে দীর্ঘশ্বাস ফেলতে গিয়েও উনার ধমক শুনে মাঝপথেই আটকে গেলো তা।
প্রোজ্জ্বল ভাই এতোক্ষণ সোফায় বসে গভীর মনোযোগে আমার কথা শুনছিলেন। চিন্তাও করিনি আমার কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই উনি এমন একটা ধ’মক মেরে বসবেন।
” তোর সাহস কি করে হয় এভাবে একা যাওয়ার?”
প্রোজ্জ্বল ভাইয়ের ধমকে আমি কেঁপে উঠলে মামা তৎক্ষণাৎ বললেন,
” আহা, মেয়েটা মাত্রই একটা বিপদ থেকে ছুটে আসলো আর তুই এভাবে ধমকাচ্ছিস ওকে!”
” ওকে ধমকানো দরকার বাবা। সম্ভব হলে দু গালে দুটো চড়ও বসানো দরকার। এই মেয়ের সাহস কি করে হলো নাহিদের সাথে কথা বলে রেস্টুরেন্ট অব্দি যাওয়া!”
প্রোজ্জ্বল ভাইয়ের সাথে সায় জানালেন মামি ও নানু। অভ্র ভাইও কিছু বললেন না। অন্যান্য সময় হলে উনিই প্রোজ্জ্বল ভাইকে আটকিয়ে দিতেন। কিন্তু আজ বোধহয় উনি প্রোজ্জ্বল ভাইয়ের সাথেই আছেন।
প্রোজ্জ্বল ভাই এভাবে ধমকে ধমকে আরো কিছু কথা বললেন আমায়। মনমতে বকলেন। কিন্তু আমি কোনোপ্রকার জবাব না দিয়ে নীরবে বসে রইলাম। কারণ ভুলটা আমারই। বোকার মতো যারতার সাথে কথা বলতে গিয়েছিলাম বলেই আজ বিপদে পড়েছিলাম। আর সবচেয়ে বড় ভুল করেছিলাম বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়ে। যদিও এ ভুলটা এখন উপলব্ধি করলাম।
সর্বশেষে প্রোজ্জ্বল ভাই বললেন,
” আজ থেকে তোর কাছে কোনো ফোন থাকবে না। আর সকালে আমার সাথে কলেজে যাবি এবং কলেজ শেষে আসবিও আমার সাথে। সে আমি মিটিং এ থাকি বা ক্লাস করি। আমার বা অভ্রের ছাড়া একা একা তুই কোথাও আসা যাওয়া করবি না। আর ভুলে যদি কোনো ছেলের সাথে কথা বলতে দেখেছি তোকে। তো তোর একদিন কি আমার একদিন। ”
®সারা মেহেক( এখন থেকে এই তিনজনের মেডিকেল জার্নি শুরু হবে। আর নায়ক নিয়ে কনফিউশান খুব দ্রুতই শেষ হয়ে যাবে। ততদিন না হয় গল্পটা ইঞ্জয় করুন। আর মাত্র তো ১৪ নং পর্ব। নায়ক কে তা বোঝা যাচ্ছে না বলেই হয়তো মনে হচ্ছে গল্প এগুচ্ছে না। তাদের বলবো একটু ধৈর্য্য ধরে পড়তে)
#চলবে