#বিরহের_নাম_তুমি
#পর্ব_৪৩
#মুন্নি_আক্তার_প্রিয়া
__________________
১২০.
ছাদের মৃদুমন্দ বাতাসে ভূমির কপালের ওপর পড়ে থাকা চুলগুলো ঈষৎ নড়ছে। গায়ের ওড়নাটিও একটু উড়ো উড়ো ভাব। পাশে নির্বাক ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে শোহেব। সে আজ এ বাড়িতে একা আসেনি। সুলতানা বেগমকে নিয়ে এসেছে বিয়ের প্রপোজাল দিতে। নিচে দুজনের বিয়ে নিয়েই কথাবার্তা চলছে। ভূমি নিজেই শোহেবকে ছাদে ডেকেছে কিছু বলার জন্য। প্রায় দশ মিনিট হবে দুজনে ছাদে। কিন্তু তাদের মাঝে বাক্য বিনিময় হয়নি একটিও।
প্রলম্বিত শ্বাস ত্যাগ করে ভূমি বলে,’সবকিছু খুব দ্রুত হয়ে যাচ্ছে না?’
শোহেব না তাকিয়েই উত্তর দিলো,’বোধ হয় না।’
‘আমার কাছে কিন্তু তা-ই মনে হচ্ছে। আরেকটু সময় নেওয়ার প্রয়োজন ছিল আপনার।’
‘কীজন্য?’
‘এই সম্পর্কটার জন্য।’
‘এত ভেবে-চিন্তে বিজনেস হয়। ভালোবাসা না।’
‘বিষয়টা শুধু ভালোবাসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। সারাজীবনের কথা।’
‘ভালোবাসি বলেই সারাজীবনের জন্য চাই। এখানে তো এত ভাবার কিছু নেই।’
‘যদি পরে আফসোস হয়?’
শোহেব এবার ভূমির দিকে তাকায়। ভ্রুঁ কিঞ্চিৎ বাঁকা করে বলে,’আফসোস? কোন কারণে?’
‘এভাবে আপনার হুট করে ডিসিশন নেওয়ায়। পরে তো মনে হতেই পারে আমায় বিয়ে করে আপনি ভুল করেছেন।’
‘আমার এ দিন কখনো আসবে না। আচ্ছা একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলুন তো। আপনার নিজের কি আরও সময় চাই?’
কোনোরকম ভনিতা করা ছাড়াই ভূমি বলল,’হ্যাঁ। আসলে আমি এত বড়ো একটা ট্রাজেডি থেকে বের হয়েছি যে বিশ্বাস জিনিসটা এত সহজে আমার মাঝে কাজ করে না। আমি ভয় পাই বিশ্বাস করতে, ভালোবাসতে। শুধু তাই নয়, বারবার এটাও মনে হয় যে রাসেলের মতো যদি আপনারও এই ভালোবাসার নাম মোহ হয়ে থাকে?’
‘দয়া করে রাসেলের সাথে আমায় গুলিয়ে ফেলবেন না। আপনি সময় চান, আমি দেবো। এক বছর হোক, দু’বছর হোক কিংবা হাজার বছর! তখনো আমি একই কথা বলব; আপনাকে আমি ভালোবাসি।’
ভূমি ঈষৎ হাসে। হাসিমুখে বলে,’এত সময় লাগবে না। আগে সূচনার বিয়েটা হয়ে যাক। তারপর না হয় আমরা বিয়ে করব?’
‘কোনো আপত্তি নেই বমিরানী।’
ভূমি শব্দ করে একটা কিল বসায় শোহেবের পিঠে। তারপর বলে,’নাম ভেঙালে বিয়ে ক্যান্সেল করে দেবো।’
‘মাফ চাই বইন।’
‘মাফ নাই ভাই।’
‘ছি, অসভ্য।’
‘অসভ্যের কী হলো?’
‘হবু বরকে কেউ ভাই বলে?’
‘আমাকে বইন ডাকার আগে মনে ছিল না?’
‘বুঝেছি।’
‘কী?’
‘আমাদের ঝগড়া আমরণ চলবে।’
‘এতে সমস্যা বুঝি?’
‘উঁহু! আমি অনেক খুশি।’
কথায় আছে অতিরিক্ত অবহেলা আর অতিরিক্ত ভালোবাসা কোনোটাই মানুষ উপেক্ষা করতে পারে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভূমিরও হয়েছে একই দশা। সে শোহেবের অতিরিক্ত ভালোবাসা উপেক্ষা করতে পারেনি। মন কেন এই মানুষটাকে একটা সুযোগ দিতে বারবার অনুরোধ করেছে, তার জানা নেই। তবে আল্লাহর ওপর তার পরিপূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে। সে বিশ্বাস করে, যা হবে ভালো হবে, ইন-শা-আল্লাহ্। আর এ ভরসা নিয়েই সে শোহেবের সঙ্গে একসাথে সারাজীবন পথ চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
______
১২১.
রেশমা বেগম রাসেলের ওপর ভীষণ রেগে আছে। এলাকার মানুষজন ছি ছি করছে। একেকজন এসে একেক কথা বলে যাচ্ছেন। লজ্জায় তিনি মুখ দেখাতে পারছেন না কোথাও। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি রাসেলের রুমে এসে দেখেন রুমের যা তা অবস্থা। সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ এদিক-ওদিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এমনকি বিছানারও শেষ রক্ষা হয়নি। বিয়ারের খালি বোতলও জমা হয়েছে বেশ কয়েকটা।
তিনি চেঁচিয়ে বলেন,’তোর সমস্যা কী রাসেল? তুই এসব কী শুরু করছিস? জানিস সবাই আমায় কত কথা শোনায়?’
রাসেল কিছু বলে না। উন্মাদের মতো সিগারেটে টান দেয়। রেশমা বেগমের রাগ ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। তিনি ফের বলেন,’নেশাখোরের খাতায় নাম লেখাবি তুই? নেশাখোর হইতেছিস? তোর সমস্যা কী আমারে বল। তুই এমন করতাছোস ক্যান?’
রাসেল বিরক্ত হয়ে বলে,’মা ঘর থেকে যাও তো। ভাল্লাগে না আমার।’
‘তোর কী হইছে আমায় বল।’
‘কিছু হয় নাই। তুমি যাও।’ রাসেলের কণ্ঠ জড়িয়ে আসে। বোঝা যায়, ধীরে ধীরে সে নেশায় বুদ হয়ে যাচ্ছে।
প্রতিনিয়ত এলাকার মানুষ এসে রাসেলের নামে বিচার দিয়ে যায়। ক্লাবে গিয়ে খারাপ ছেলেদের সঙ্গে মিশে মিশে বিয়ার, মদ খেয়ে মাতলামি করে। টাল হয়ে এখানে,ওখানে পড়ে থাকে। দিনে কয় প্যাকেট করে সিগারেট খায় তার কোনো হিসাব নেই। এভাবে একাউন্টে যতগুলো টাকা ছিল শেষ করেছে। এবার অত্যাচার শুরু হয়েছে বাড়িতে। প্রতিদিন নেশার জন্য রেশমা বেগমের কাছে টাকা চায়। টাকা না দিলেই বাড়িতে ভাঙচুর করে। অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজও করে। রেশমা বেগমের এখন আর রাগ হয় না বরং কষ্ট লাগে। একমাত্র ছেলের এমন করুণ পরিণতি তিনি মা হয়ে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। আল্লাহ্ যে তাকে কোন পাপের শাস্তি দিচ্ছেন তিনি ভেবে পান না।
_______
১২২.
সূচনা নিয়মিত কলেজে যাওয়া শুরু করেছে এক মাস হবে। সে এখন পুরো দমে পড়াশোনা শুরু করেছে। কিছুদিন বাদেই তার ফাইনাল পরীক্ষা। তাই হেলাফেলায় সময় কাটানো যাবে না। তবে এত পড়াশোনার মাঝেও তার কিছু সময় নির্ধারণ করা থাকে আদিলের জন্য। সে এখন আগের তুলনায় আদিলের সাথে অনেক বেশি স্বাভাবিক। তার এই পরিবর্তনে আদিলের সাথে সাথে প্রত্যেকে অনেক বেশি খুশি। খারাপ সময়ের পরে যে একটা সময়ে ভালো দিনও আসে তা এখন ভূমিকা এবং সূচনার বর্তমান পরিস্থিতি দেখলেই আন্দাজ করা যায়।
প্রতি সপ্তাহে সূচনা,আদিল এবং ভূমিকা, শোহেব সময় করে ঘুরতে বের হয়। কখনো কখনো আবার পুরো গ্যাং একসাথে ঘুরতে যায়। সময়গুলো তাদের প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি ভালো কাটছিল। এর মাঝে নুসরাতের সাথে আসলামের এবং শিশিরের সাথে সুখীরও প্রণয়ের সম্পর্ক হয়ে গেছে। যদিও বিষয়টা গুটি কয়েক মানুষজন ছাড়া অন্য কেউ আর জানে না।
কোচিং থেকে ফেরার পথে নুসরাত মনমরা হয়ে বলে,’সূচনা ভাইয়ার সাথে কি তোমার ঝগড়া হয় না?’
সূচনা মুচকি হেসে দু’দিকে মাথা নাড়ায়। এতে আরও বেশি মনমরা দেখায় নুসরাতকে। সে বলে,’তাহলে আমার সাথে আসলামের এত ঝগড়া লাগে কেন বলো তো? সপ্তাহে দুইটা দিনও মনে হয় ভালোমতো কথা হয় না জানো? আমার আর ভালো লাগে না। তবে আমি জানি,আসলাম আমাকে অনেক ভালোবাসে।’
সূচনা ইশারায় প্রশ্ন করে,’আর তুমি?’
নুসরাত লজ্জা পেয়ে বলে,’আমিও! আচ্ছা একটা কথাই তো তোমায় বলা হয়নি।’
সূচনা সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে তাকায়। নুসরাত বলে,’পরীক্ষার তো আর মাত্র পাঁচদিন বাকি। তো আব্বু আর আম্মু জানতে চেয়েছিল বিয়ের শপিং কি পরীক্ষার আগেই করবে নাকি পরে?’
সূচনা ইশারায় জানালো বিয়ের শপিং পরীক্ষার পর করবে। আপাতত সে পরীক্ষার আগে কোনো চাপ নিতে চাচ্ছে না।
.
সূচনার প্রথম পরীক্ষার পর দু’দিন গ্যাপ ছিল। কাল জারিফ বিদেশে যাবে পায়ের চিকিৎসার জন্য। সে একা নয়। চাচা-চাচি আর প্রীতিও সাথে যাবে। চাচির আত্মীয় লন্ডনে থাকায় কোনো সমস্যা হবে না তাদের। তাই বাসায় ছোটোখাটো একটা আয়োজন করা হয়েছে আজ রাতে। এখানে আদিল এবং শোহেবও আমন্ত্রিত ছিল। সন্ধ্যায় সকলে মিলে তৈরি হয়ে চাচার বাসার দিকে রওনা হয়। সূচনা আদিলের কাঁধে মাথা রেখে পাশে বসে রয়েছে। রিকশা চলছে আপন গতিতে। অন্য রিকশায় শোহেব এবং ভূমিকা। শোহেব ভূমির হাত ধরতে গিয়ে অজানা আশঙ্কায় ধরতে পারছে না। বিষয়টা ভূমি বুঝতে পেরে সে নিজেই শোহেবের হাতটি নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে নেয়। শোহেব তাকিয়ে দেখে ভূমিকা মুচকি মুচকি হাসছে।
চাচার বাসায় রাতটা বেশ ভালোই কাটে। সকলে মিলে একত্রে গল্পগুজব করে। ব্যাগপত্র চাচি গতকালই গুছিয়ে রেখেছিল। তাই আজ আড্ডা ব্যতীত অন্য কোনো তাড়া নেই। সকালে এয়ারপোর্ট অব্দি ওদেরকে পৌঁছে দিয়ে আদিল,সূচনা, ভূমিকা আর শোহেব বাড়ি ফিরবে। মাঝরাতে সবাই একটুখানি ঘুমিয়ে নেয়। চাইলে রাত জাগতে পারত; কিন্তু এতটা পথ জার্নি করে যাবে তাই জারিফদের একটু ঘুমানো অবশ্যই জরুরী। সকাল সাতটার দিকে সূচনা আর ভূমিকা উঠে পড়েছে। দু’বোন মিলে সকালের জন্য হালকা-পাতলা নাস্তা বানাচ্ছে। চাচি আর প্রীতি যদিও ওদের কাজ করতে দিতে চাচ্ছিল না; তবে দু’বোন ওদের বারণ শোনোনি। উলটো ওদেরকে ঘুমাতে পাঠিয়ে দিয়েছে। চাচা অবশ্য রোজকার নিয়মানুযায়ী আগেই উঠে পড়েছেন। ভূমিকা চায়ের কাপটা সূচনাকে দিয়ে বলল,’চাচাকে চা’টা দিয়ে আয়।’
সূচনা চায়ের কাপ নিয়ে চাচার ঘরে যায়। চাচি ঘুমায়নি। বসে রয়েছেন। চাচা পাশে বসে ফোনে নিউজ দেখছিলেন। চায়ের কাপটা চাচাকে দিয়ে চাচির উদ্দশ্যে ইশারায় জানতে চাইল,’চা খাবেন?’
চাচি স্মিত হেসে ‘না’ বলে সূচনাকে টেনে পাশে বসালেন। মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন,’তোর সাথে চাচি অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি তাই না রে? চাচি খুব খারাপ, বাজে। চাচিকে মাফ করে দিস কেমন?’
সূচনা আহত দৃষ্টিতে তাকায়। এত ভালো ব্যবহার, আদরমাখা কথা সে ইতিপূর্বে কখনো চাচির কাছে পায়নি। আবেগে, আনন্দে তার চক্ষুদ্বয়ে অশ্রু এসে জমা হয়। সে নিজেকে সংবরণ করে রাখতে পারে না। চোখের কোটর থেকে টপটপ করে পানি পড়তে শুরু করে। চাচি এবার আরও একটি অবাককর কাজ করে বসেন। সূচনাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেন,’পাগলি মেয়ে! কাঁদছিস কেন? চাচির ওপর তোর অনেক ক্ষোভ, অভিমান আমি জানি। কত অত্যাচার করেছি, মেরেছি, অপমান করেছি। এসব ভাবলে এখন নিজেরই ঘেন্না লাগে। তবুও বলব চাচিকে ক্ষমা করে দিস কেমন?’
সূচনা নিশ্চুপে ফুঁপিয়ে কাঁদে। চাচাও বিস্ময় নিয়ে কিন্তু মন ভরে দৃশ্যটি দেখে। এমন মনোরম দৃশ্য দেখে তার সকালটা আরও বেশি যেন সুন্দর হয়ে উঠল। অবশেষে যে স্ত্রীর মাঝে মনুষ্যত্ব, সহানুভূতি, ভালোবাসা এসেছে তিনি এতেই খুশি। চাচি নিজের গলার চেইনটা খুলে সূচনার গলায় পরিয়ে দিয়ে বলেন,’সারাজীবন কটাক্ষ ছাড়া আর তো কিছু দিতে পারিনি। তাই এখন আমার সবচেয়ে প্রিয় চেইনটি তোকে দিলাম। তোর বিয়ের সময় আমরা লন্ডনে থাকব। তবে মন খারাপ করিস না, উপহার পাঠিয়ে দেবো।’
বিয়ের সময় চাচা-চাচি কেউ থাকতে পারবে না ভেবে আসলেই এবার সূচনার মন খারাপ হয়ে গেল। ভূমিকার ডাকে সে চোখ মুছে চাচার ঘর থেকে বের হয়। ড্রয়িংরুম থেকে তখন জারিফ ডেকে বলে,’সূচনা শুনে যা তো।’
সূচনা রান্নাঘরে না গিয়ে আগে জারিফের কাছে যায়। গালে চোখের পানির চিটচিটে একটা ভাব ছিল।
‘তুই কাঁদছিস কেন? মা কি তোকে কিছু বলেছে?’ জিজ্ঞেস করে জারিফ।
সূচনা দু’দিকে মাথা নাড়িয়ে গলার চেইনটা দেখায়। জারিফও বুঝে নেয়, এই কান্না কষ্টের নয়; বরং আনন্দের। তার ঠোঁটের কোণেও এক চিলতে হাসি ফুটে ওঠে তখন। সে সূচনার মাথায় হাত রেখে বলে,’তোর বিয়েতে থাকতে পারব না বলে মন খারাপ করিস না। তোর জন্য আমার দোয়া আর ভালোবাসা দুটোই থাকবে। আমি তো ভূমি আপুকে বলে রেখেছি, যতখুশি ব্যস্ত থাকো আর যাই করো না কেন গায়ে হলুদের দিন,বিয়ের দিন সারাক্ষণ আমার সাথে ভিডিয়ো কলে থাকতে হবে। আমি দূর থেকেই আমার সূচনার বিয়েতে এটেন্ট করব। তোর ভাবিও কিন্তু আমার সাথে একমত। বল আইডিয়াটা কেমন?’
সূচনা হাসতে হাসতে কেঁদে ফেলে। জড়িয়ে ধরে জারিফকে। একইসাথে হাসি এবং কান্না এই অনুভূতিটা আসলে কেমন? সবকিছু আজ এত ভালো হচ্ছে কেন?
চলবে…
[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ। আজকের পর্বটা একটু এলোমেলো লাগতে পারে। আসলে হঠাৎ করেই যেন মন-মেজাজ স্থির হয়ে রয়েছে।লিখতে ইচ্ছে করছে না। এদিকে গল্পও শেষের দিকে। তাই আপনাদের অপেক্ষাও করাতে ইচ্ছে করছে না। ভুলত্রুটি ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর মাত্র দুটো পর্ব আছে। তাই পারলে আজ একটু বড়ো বড়ো কমেন্ট করবেন, যাতে করে আপনাদের মন্তব্য পড়ে আমার মন ভালো হয়ে যায় আর বাকি দুটো পর্বও ফ্রেশ মুডে, বিনা আলসেমিতে লিখে আপনাদের উপহার দিতে পারি।]