#বিরহের_নাম_তুমি
#পর্ব_৩৬
#মুন্নি_আক্তার_প্রিয়া
_____
৯৬.
পায়ের নিচের মাটিকে বড্ড ফাঁকা মনে হচ্ছে রাসেলের। শরীরের শক্তি একটু একটু করে লোপ পাচ্ছে। তার মনে হচ্ছে এখনই সে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবে। কোনো রকমে সে দেয়ালের সাথে ঠেস দিয়ে দাঁড়ায়। চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে আসছে। চিঠির লেখাগুলো পড়েও তার বিশ্বাস হচ্ছে না। তার বিশ্বাসই হচ্ছে না সুমি তাকে ঠকিয়েছে। তবে কি এটা প্রাঙ্ক? নিশ্চয়ই সুমি মজা করছে। সে দিশেহারা হয়ে পড়ে। পকেট থেকে ফোন বের করে সুমির নাম্বারে ডায়াল করে। নাম্বারটি এখনো বন্ধ করে। সে রিয়ার নাম্বারে ট্রাই করে। ফলাফল একই। তবে সে হাল ছাড়ে না। ফেসবুকে যায়। সেখানে সুমি কিংবা রিয়া কারোরই আইডি খুঁজে পায় না। ব্লক করেছে নাকি আইডি-ই ডিএক্টিভ তা বোঝার জন্য ফেইক আইডি দিয়ে ওদের আইডি সার্চ করে। কিন্তু অবাক করা বিষয় একজনের আইডিও পাওয়া যাচ্ছে না। সে ইমো এবং হোয়াটসএপে যায়। ব্লক দিয়ে রাখা। হতে পারে একাউন্টও ডিলিট করে দিয়েছে।
রাসেল হতবুদ্ধির মতো কতক্ষণ শূন্যে দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে থাকে। পূণরায় চিঠিটি পড়ে। সে অবাক হচ্ছে। সত্যিই সুমি সবটা প্ল্যান করে করেছিল? এত নিঁখুত প্ল্যান! সে হাত ঘড়িতে সময় দেখে নিয়ে দ্রুত বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে। উদ্দেশ্য এখন এয়ারপোর্ট। কিন্তু সেখানে গিয়েও কোনো লাভ হয় না। খোঁজ নিয়ে জানা যায় আরও ত্রিশ মিনিট আগেই বাংলাদেশের ফ্লাইটটি চলে গেছে। এবার আর রাসেলের হাতে কোনো সুযোগ নেই। সুমি একটা রাস্তাও রাখেনি তার সাথে যোগাযোগ করার। রাসেলের শরীর হালকা হয়ে আসে। দু’চোখের কোটরে টলমল করছে পানি। সে সুমির এ রূপটা মানতে পারছে না। যে জায়গাটিতে সে এখন দাঁড়িয়ে রয়েছে, এই জায়গাটিতেই সেদিন ভূমি চলে যাওয়ার আগে বলে গেছিল,’যেই বিরহের চাদরে আজ আমি নিজেকে জড়িয়ে নিলাম, সেই বিরহের সংস্পর্শে কখনো তোমায় যেন না আসতে হয় দোয়া করি! তুমি সইতে পারবে না।’
কথাটির প্রতিধ্বনি সে চারপাশে শুনতে পাচ্ছে। সত্যিই সে পারছে না এই বিরহ সহ্য করতে। সে পারছে না সুমির বিশ্বাসঘাতকতা মেনে নিতে। সে কোনো রকমভাবে বাড়িতে ফিরে আসে। দরজা লাগিয়ে দিয়ে রুমের সবকিছু ভাঙচুর করতে থাকে আর চিৎকার করে কাঁদতে থাকে। সে কিছুতেই পারছে না তার কষ্টগুলোকে মেনে নিয়ে সহ্য করতে। তাকে লাগছে বদ্ধ উন্মাদের জন্য। যে মানুষটাকে ভালোবেসে সব ছেড়েছে আজ সেই মানুষটাই তাকে ছেড়ে চলে গেল। ধোঁকা দিলো! ওয়ারড্রবের ওপর থেকে ফুলদানি নিয়ে সজোরে ছুঁড়ে মারে ড্রেসিংটেবিলের দিকে। সঙ্গে সঙ্গে সুন্দর আয়নাটি অজস্র কাচের টুকরাতে পরিণত হয়। দু’হাতে মাথার চুল মুষ্টিবদ্ধ করে চেপে ধরে সে ফ্লোরে বসে পড়ে। তীক্ষ্ণ ফলার মতো কাচের টুকরাগুলো যেন তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। সে একটা কাচ তুলে নিয়ে অগণিত আঘাত করতে থাকে হাতের ওপর।
____
৯৭.
‘তুই কী মাইন্ড গেইমটাই না খেললি!’
সুমি সিটের সাথে মাথা হেলিয়ে বসে ছিল। রিয়ার কথা শুনে ঘাড় বাঁকা করে তার দিকে তাকিয়ে বলে,’এছাড়া আর কোনো উপায় আমার ছিল না। এমনটা তো নয় যে, আমি ওকে ভালোবাসিনি। সত্যিই তো ভালোবেসেছিলাম। কিন্তু ও আমায় মিথ্যে বলে প্রেমে ফাঁসিয়েছিল। ও বিবাহিত হয়েও বিষয়টা আমার কাছে হাইড করে গেছে। এত সহজে ছেড়ে দেই কী করে বল? তাই নিজের প্রয়োজনে ওকেই ঘুটি হিসেবে ব্যবহার করেছি। এক কথায়, টিট ফর ট্যাট। তাছাড়া আমার সাথে বিয়ের পর যে, ও নতুন করে এমন করবে না তার গ্যারান্টি কী? আবার এমনও তো হতে পারে, ও আমার থেকে আরও কিছু লুকিয়েছে যা আমি জানি না। সত্যি বলতে কি, আমি আর ওকে বিশ্বাস করার কথা ভাবতেই পারিনি। আমার মধ্যে শুধু তখন প্রতিশোধস্পৃহা এবং নিজ স্বার্থ লুকিয়ে ছিল। তাই বাধ্য হয়েই আমাকে ভালোবাসার অভিনয় করতে হয়েছে।’
রিয়া হেসে বলে,’ব্র্যাভো। যে যেমন, তার সাথে তেমনই করা লাগে। বেচারার কী অবস্থা এখন কে জানে!’
সুমি প্রত্যুত্তরে ঠোঁট বাঁকিয়ে হাসে। কিছু সময় চুপ করে থেকে বলে,’যা ইচ্ছে হোক। আমার তো কোনো মাথা ব্যথা নেই। আমেরিকা ত্যাগ করার সাথে সাথে রাসেলের চ্যাপ্টারও সেখানেই ক্লোজড। আর তোকেও থ্যাঙ্কস, আমায় সঙ্গ দিয়ে তোর আইডিগুলো ডিলিট করার জন্য।’
রিয়ার সুমির কাঁধে হাত রেখে বলে,’চিল। আমি সবসময়ই তোর সাথে আছি। তবে যাই বলিস, তুই কিন্তু অভিনয়টা বেশ ভালো করিস। নয়তো বল, একসাথে থেকে আমিই বুঝতে পারলাম না? উলটো তুই যখন ওর কাছে ফিরে গিয়েছিলি তখন আমার অনেক বেশি রাগ হয়েছিল। বারবার ভাবছিলাম এমন নির্বুদ্ধির মতো কাজ তুই কী করে করতে পারিস। আর শেষ সময়টাতে এসে তো এসে দেখি, তুই একদম বাজিমাত করে দিয়েছিস।’
সুমি হাসে। যে হাসিতে রাসেল নামের প্রতারক মানুষটি মুগ্ধ হয়েছিল। প্রেমে পড়েছিল, ভালোবেসেছিল। সুমি বলে,’তোকে আগে জানাইনি, এজন্য আমি স্যরি। আসলে কি, আমি কোনো রিস্ক নিতে চাইনি। এমনটা নয় যে, আমি তোকে বিশ্বাস করিনি। সাবধানের মার নেই জানিস তো? কোনোভাবে রাসেল আগে থেকে বুঝতে পারলে বা জানলে ঐ ভিনদেশে আমাকে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হত।’
‘আরে ইয়ার! এত সেন্টি খাচ্ছিস কেন? যা হয়েছে সব অতীত। বর্তমান আর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাব এখন।’
_____
৯৮.
রেস্টুরেন্টের কর্ণারের টেবিল দখল করে বসেছে শোহেব আর ভূমি। ভূমির চোখে-মুখে ক্লান্তি। অফিস শেষ করে সরাসরি এখানে আসতে হয়েছে। শোহেবকে দেখাচ্ছে অপ্রস্তুত। সে তাকাচ্ছে অপ্রস্তুতভাবে। হাসছে অপ্রস্তুতভাবে। কথা বলার চেষ্টাতেও তার অপ্রস্তুতভাব। ভূমি অবাক না হয়ে পারছে না। এমন দাম্ভিক, নাকউঁচু লোকটার হলো কি হঠাৎ?
চামচ দিয়ে কফি নাড়তে নাড়তে ভূমি জিজ্ঞেস করে,’আর কতক্ষণ এভাবে বসে থাকতে হবে?’
‘হ্যাঁ, কী? কতক্ষণ? বেশিক্ষণ না।’ শোহেবের কথাবার্তাগুলোও এলোমেলো। ভূমি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায়। শোহেব হাসার চেষ্টা করে বলে,’কফি খাচ্ছেন না কেন? কফি খান।’
‘আপনি খান।’
‘ও হ্যাঁ’ বলে কাপে চুমুক দেয় শোহেব। সঙ্গে সঙ্গে মুখ থেকে কফি ফেলতে গিয়েও বহু কষ্টে গিলে ফেলে। ভূমি বিস্মিতকণ্ঠে বলে,’আশ্চর্য! বলেছি বলে গরম কফিই পান করবেন?’
‘ইয়ে মানে! স্যরি। প্লিজ কিছু মনে করবেন না।’
‘আপনি কে বলুন তো?’
শোহেব ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে তাকায়। আশেপাশে একবার নজর বুলিয়ে নিজের দিকে আঙুল তাক করে প্রশ্ন করে,’কথাটা আমাকেই জিজ্ঞেস করেছেন?’
ভূমি বিরক্ত হয়ে বলে,’এ টেবিলে আপনি আর আমি ছাড়া তো কাউকে দেখছি না।’
শোহেব অসহায়ের মতো করে বলল,’আপনি কি আমাকে পাবলিক প্লেসে মাইর খাওয়ানোর চিন্তা-ভাবনা করে এসেছেন? অচেনার ভান করছেন কেন?’
‘আমি আসলে আমার সামনে বসা লোকটিকে ঠিক চিনতে পারছি না। আমি যাকে চিনতাম সে এত ভীতু, অপ্রস্তুত, বোকা স্বভাবের ছিল না। আমি দাম্ভিক, অহংকারি, নাকউঁচু, ঠোঁটকাটা, ঝগড়াটে স্বভাবের শোহেবকে চিনতাম।’
শোহেব অসহায়ভাবে তাকায়। ভূমির মনে নিজের সম্পর্কে এমন ধারণা পোষণ আছে জানতে পেরে কষ্ট কষ্ট অনুভব হয়। অবশ্য খুব একটা ভুলও তো বলেনি তাই না? মনে মনে নিজেকে বুঝ দিয়ে পূর্বের অপ্রস্তুত হাসিটা আবার ঠোঁটে ফিরিয়ে আনে। কথা বলার একটা টপিক পেয়েছে, তাই সে মনে মনে ভূমিকে ধন্যবাদ দেয়। গলা খাঁকারি দিয়ে বলে,’এতদিন আপনার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি। এজন্যই স্যরি বলতে এখানে আসতে বলেছি।’
ভূমি বাঁকা দৃষ্টিতে তাকায়। শোহেব বুঝতে পেরে বলে,’অবিশ্বাস করছেন নাকি?’
‘না। তারপর বলুন।’
‘আমরা একটা শান্তিচুক্তি করি?’
‘মানে কী?’
‘না, থাক। কিছু না। আপনার জন্য ছোট্ট একটা উপহার এনেছি।’
‘দুঃখিত। নিতে পারব না।’
‘প্লিজ! দেখুন তো।’ এই বলে শোহেব যে পাশে বসেছিল ওখান থেকে বড়ো একটা প্যাকেট বের করে। ভূমি জিজ্ঞেস করে,’কী আছে এখানে?’
‘দেখুন নিজেই। দয়া করে ফিরিয়ে দিবেন না। যদি উপহারগুলো গ্রহণ করেন তাহলে বুঝব, এতদিনের ব্যবহারের জন্য আমায় ক্ষমা করে দিয়েছেন।’
ভূমি এক পলক তাকিয়ে প্যাকেটটি খুলে। র্যাপিং খোলার পর দেখতে পায় ১০টা বই আর একটা হলুদ ডায়েরী। ভূমি অবাক হয়ে বলল,’এসব কেন?’
‘পছন্দ হয়েছে?’
ভূমি একটা বই নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকে। শোহেব ভয়ে ভয়ে বলে,’গ্রহণ করবেন তো?’
শোহেবের ইনোসেন্ট লুক দেখে ভূমি হেসে ফেলে। বলে,’জি।’
‘থ্যাঙ্কিউ সো মাচ শিশিরের আপু।’
ভূমি ভ্রুঁ কুঁচকে তাকায়। শোহেব জিহ্বায় কামড় দিয়ে বলে,’ইশ! স্যরি। আবার বলছি দাঁড়ান। থ্যাঙ্কিউ সো মাচ বমি।’
ভূমি চোখ পাকিয়ে তাকায়। শোহেব জিজ্ঞেস করে,’কী হলো? চোখ দুটো রসগোল্লার মতো করে বানিয়ে তাকিয়ে আছেন কেন?’
‘বমি মানে কী?’
শোহেব আবার জিহ্বায় কামড় দিয়ে বলল,’ওপস! স্যরি। ভূমি।’
‘আপনি ঝগড়া ছাড়তে পারবেন না।’
‘না, সত্যি। পারব। আসলে আপনার হাসিটা অনেক সুন্দর। আরেকবার যেন হাসিটা দেখতে পাই তাই মজা করে বললাম।’
‘ফ্লার্টিং?’
‘নাউজুবিল্লাহ্! অসম্ভব।’
শোহেবের রিয়াকশনে ভূমি খিলখিল করে হাসে। হাসতে হাসতে বলে,’এবার বলুন। আসল কথা কী?’
‘আসল কথা মানে কী?’
‘আপনি শুধু স্যরি বলতে আসেননি। অন্য কোনো কথা বলতে এসেছেন।’
‘মন পড়তে পারেন?’
‘না। মনে হলো এমনি।’
‘আপনার মনে হওয়া সঠিক।’
ভূমি মনোযোগ সহকারে একটা বই পড়ছিল। শোহেব চুপ করে থাকে কিছুক্ষণ। মৌনতা ভেঙে বলে,’আসলে আমি নিজের মধ্যে আর কথাটা চেপে রাখতে পারছিলাম না বলেই সরাসরি আপনাকে বলতে এসেছি।’
আবার নিরবতা। ভূমির দৃষ্টি তখনও বইয়ের পাতায়। শোহেব বলল,’আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই।’
ভূমি একটুও চমকাল না। যেন সে আগে থেকেই বিষয়টা আঁচ করতে পেরেছিল। বইটা বন্ধ করে শোহেবের দিকে তাকায়। চোখে চোখ রেখে বলে,’আপনি জানেন, আমি ডিভোর্সি?’
শোহেবের দ্বিধান্বিত মুখটার রঙ পাল্টে যায় মুহূর্তেই।
_______
৯৯.
চারদিকে অন্ধকার। মানুষজনের আনাগোনা নেহাৎ-ই কম নয়। অফিস ছুটি হয় এ সময়টাতে। তাই সবার সাথে তাল মিলিয়ে হাঁটতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাকে। সূচনা প্রাইভেট শেষ করে ডাক্তারের দোকানে এসেছে। ফাতেমার জন্য কিছু ওষুধ নিতে হবে। সে ডাক্তারের দিকে প্রেসক্রিপশন এগিয়ে দেয়। অপেক্ষা করতে করতে নখ খুঁটতে খুঁটতে থাকে। ওষুধ নিয়ে টাকা দিয়ে ফিরে আসার সময়ে আচমকা থমকে যায়। চোখের ভুল ভাবে কিছুক্ষণ। সন্দেহবশত সেদিকে এগিয়ে যায়। না, সে ভুল নয়। ছেলেটি জয়। সে ডাকতে গিয়েও থমকে যায়। বিধাতা তো তাকে কথা বলার সামর্থ্য দেননি। সে প্রাণপনে ছুটতে থাকে। মানুষের সাথে ধাক্কা খেতে খেতে এগোতে থাকে সামনের দিকে।
মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে সূচনা। চারদিকে এত মানুষ। সে কোনদিকে যাবে। কোথায় গেল জয়? সে দেখতে পায় অদূরে জয় একটা শপিংমল থেকে বের হচ্ছে। সূচনা আবারও দৌঁড়ে সেদিকে যেতে থাকে। তার চিৎকার করে জয়কে ডাকতে ইচ্ছে করছে। আল্লাহ্’র কাছে একটাবার চাইতে ইচ্ছে করছে, একটাবার যেন আল্লাহ্ তাকে কথা বলার শক্তি দেন। একটাবার যেন সে জয়কে নাম ধরে ডাকতে পারে। কিন্তু হায়! এই ইচ্ছে কি আর পূরণযোগ্য? হ্যাঁ, সূচনার এ মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়নি। এমনকি সে রাতের অন্ধকারে হারিয়ে ফেলে জয়কে। আজ অনেকদিন বাদে সে জয়কে দেখতে পেয়ে নিজের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। কেন জয় তাকে এভাবে ফেলে চলে গেছিল? তার যে অনেক কিছু জানার আছে। সে অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে রাস্তায় বসে পড়ে। অসহায়ের মতো কাঁদতে কাঁদতে রাস্তার এদিক-ওদিক তাকায়। কী নিঃস্ব দেখাচ্ছে পরীর মতো ক্রন্দনরত সুন্দর মেয়েটিকে। কী দরকার ছিল এতগুলো দিন বাদে এভাবে সেই ছেলেটিকে সামনে আনার?
সূচনা কাঁদতে কাঁদতে লক্ষ্য করে তার সামনে একজন আগুন্তুক হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সে হাতের দিকে আগে লক্ষ্য করে চোখ তুলে মুখের দিকে তাকায়।
চলবে…
[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ। জ্বরে অবস্থা খারাপ আমার! কাল অর্ধেক লেখা ছিল বলে, আজ বাকিটুকু লিখে পোস্ট করতে পেরেছি। তাই পর্ব ছোটো হওয়া নিয়ে অভিযোগ না করার অনুরোধ।]