বান্ধুবিকে প্রপোজ,Part – 4
writer -ArFin SuMon
হাসতে হাসতে আর মনে অনেক খুশি নিয়ে
যাচ্ছিলাম জুলির সাথে দেখা করতে।
তবে এভাবে আমার বাসের এক্সিডেন্ট
হবে আমি নিজেও ভাবি নি।
বাস এক্সিডেন্ট চারপাশের মানুষ এদিক
ওদিক ছুঁটছে।আমার অবস্থা অনেক ভয়াবহ
ছিল
আমি তখন বার বার জুলির কথাই
ভাবছিলাম। আর বলছিলাম আমার কি আর
জুলির সাথে দেখা হবে নাহ।
আমি রাজশাহীর একটি হাসপাতালে চলে যাই।
প্রায় সাড়ে তিন মাস আমি রাজশাহী
ছিলাম।
এই সাড়ে তিন মাসে আমার না
আছে জুলির সাথে কন্টাক্ট। আর না আছে
আমার পরিবারের সাথে কন্টাক্ট।
আমার জ্ঞান ফিরার পর ডাক্তার
আমার পুরো পরিবারকে হাসপাতালে
ডাকলো।তখন সবাই অনেক কান্না কাটি
করছিল।
অনেকে অনেক কথাই জিজ্ঞেস করছিল।
আমি কোথায় যাচ্ছিলাম যে এত বড় দূর্ঘটনা
হল।
আমি কিভাবে হাসপাতালে..আমাকে তারা
খুঁজে হয়রান।এমনকি থানায় ডায়রিও
করেছেন তারা।
আমি তাদের কিছু বলি নি। অবশ্য তাদের এই
রকম প্রশ্ন করার কথা। কারন আমি অনেক
দিন আমার ঘর থেকে পরিবার থেকে দূরে
ছিলাম।
.
পরেরদিন আমি বাসায় চলে যাই।আমি বাসায়
গিয়ে জুলি কে কল করি। আম্মুর ফোন
দিয়ে কারন এক্সিডেন্ট এ জুলির নাম্বার
সহ আমার ফোনটাও হারিয়ে গেছে।
জুলি আম্মুকে নাকি অনেক গুলো কল
করেছে।
আম্মু নাকি জুলি কে..আমার হারিয়ে
যাওয়ার কথা বলেছে। লাস্ট এক সপ্তাহ
ধরে জুলির কোন কল নেই।ধরেও না কল।
তবে এতদিন পর জুলি কে কল করি আমি
জুলি কি ধরবে।
.
নাহ জুলি আমার ফোন রিসিভ করল নাহ।
তারপর ও আমি বাসায় এসে জুলিকে কল
করি তবে কেউ ফোনটা কেটে দেয় মনে হল।
জুলি কে কল করেছি প্রায় দুই সাপ্তাহ।
আর আমি জানি জুলি আমার কল দেখলেই
ধরবে।
তবে এখন কেন ধরছে নাহ আমি পুরো
হতভম্ব।
আমি ভাবছি জুলির কোন কিছু হল নাতো।
তারপর ও আমি জুলি কে কল করতে থাকি।
আমি হয়তো এখন জুলির সাথে দেখা
করতে যেতে পারতাম।
তবে এখন আমার যেই অবস্থা এই কিছুদিন
আগে বাসাতে ফিরেছি একটা দূর্ঘটনার
হাত থেকে।
এখন তো আম্মু আমাকে কোথাও বের হতে
দিবে নাহ।
আমি জুলি কে নিয়ে অনেক চিন্তিত
ছিলাম।
.
তবে তিন সপ্তাহর মাথায় আমার কাছে
একটা কল আসে।
কলটা আন্নোন নাম্বার থেকে ছিল।
আমি কলটা ধরলাম।
তখন জুলির ভয়েস শুনতে পেলাম। জুলি বিস্মিত
ভয়েসে আমাকে খুঁজছিল। আর তখন জুলি
আমার কথা শুনে ও নিজেকে সামলাতে
পারছিল নাহ।
আমি বুঝতে পারছিলাম জুলি কান্না
করছে। জুলি আমার সাথে কথা বলার
ভাষা খুঁজে পাচ্ছিল নাহ।
– প্রায় ১০ মিনিট জুলি চুপ ছিল।
তারপর জুলি অশ্রু মাখা চোখে আমাকে
বলছিল।
জুলিঃ- কোথায় ছিলে তুমি। তুমি জানো আমি
তোমাকে কত গুলো কল দিয়েছি।
তোমার ফোন সুইচটোপ বলছিল।তখন আমি
কিচ্ছু নাহ ভেবে আন্টি কে কল দেই।
তখন আন্টির কথা শুনে আমি চিন্তিত হয়ে
পড়ি।
এক নাগাড়ে কথাগুলো বললো জুলি।
তখন আমি বললাম..
আমিঃ- ও এখন তুই থেকে তুমি তে চলে
গেছোছ।অনেকটা পরিবতন তাই নাহ।
আর আমি কেন কল ধরতে পারি নি।
তোকে বলব আগে তুই বল তুই কেন কল ধরলি
নাহ।
আর এটা কার নাম্বার দিয়ে আমাকে কল
দিয়েছিস??????
জুলিঃ- আমার এখানে একটা
সমস্যা হয়েছে। তোমাকে ফোনে বলতে
পারবো নাহ।
আমিঃ- তাহলে কিভাবে বলবি??? আচ্ছা তুই
কোথায় গ্রামে তো।ওকে আমি আসছি
আসার পর আমি তোকে বলব আমি কেন কল ধরি নি।
এই চার মাস কেন কথা বলি নি।বাসায়
ছিলাম নাহ কোথায় ছিলাম সব বলব।
আমি আসছি তোর গ্রামে।
জুলিঃ- না না না। আমি তো গ্রামে নেই।
আমিঃ- তাহলে তুই কোথায়?
জুলিঃ- আমি ঢাকায়-ই আছি।
আমিঃ- তাহলে তো আরো ভালো। দেখা করতে
আরো সুবিধা। তবে তুই ঢাকায় কেন????
জুলিঃ- সব বলব তোমাকে এখন রাখি। কেউ
দেখলে সমস্যা হবে।
আমিঃ- কিসের সমস্যা আর কেন?
জুলিঃ- তোমাকে পরে বলব।তুমি রেস্টুরেন্ট এ
আইসো।
আমিঃ- ওকে
জুলিঃ- হুম।
এই বলে জুলি ফোন কেটে দিল।
.
তারপর আমি রেস্টুরেন্ট এ গেলাম
অনেকক্ষণ ধরে বসে আছি।
.
.
চলবে……….