#বর্ষণের সেই রাতে ❤
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
#পর্ব: ৩৬
.
এদিকে নিউস চ্যানেলে বারবার করে ব্রেকিং নিউস হিসেবে টেলিকাস্ট হচ্ছে। ” রাস্তা থেকে রকস্টার আদ্রিয়ান আবরার জুহায়ের কিডন্যাপড” খবরটা ইতোমধ্যে শহরে তোলপাড় বাঁধিয়ে দিয়েছে। আসলে রাস্তায় ওকে যারা যারা তুলে নিয়ে যেতে দেখেছে তারাই খবরটা ছড়িয়েছে। কথায় আছেনা খারাপ খবরগুলো বাতাসের আগে ছড়িয়ে যায়, আর সেটা যদি হয় কোনো সেলিব্রিটির খবর তাহলেতো কথাই নেই। অনিমা জুস খেতে খেতে ড্রয়িং রুমের সোফায় বসে টিভি দেখছিলো হঠাৎ করেই নিউস চ্যানেলে এই খবরটা দেখার সাথে সাথে অনিমার হাত থেকে জুসের গ্লাসটা পরে গেলো। অনিমার হাত পা সব অসম্ভব রকম কাঁপতে শুরু করলো। ওর কানে রিকের বলা সেই কথাটাই বাজতে লাগল ” আমার জিনিসে হাত দিয়েছে, মরতে তো ওকে হবেই।” অনিমার শ্বাস আটকে আসার উপক্রম হয়েছে। সারাশরীর ইতিমধ্যেই ঘেমে একাকার হয়ে গেছে। আদ্রিয়ানকে ওরা তুলে নিয়ে গেছে এটা ভাবতেই ওর হৃদস্পন্দন থেমে যেতে চাইছে। ওর চোখের সামনে ওর আব্বুর ঝুলন্ত লাশটা ভেসে উঠছে, যদি আদ্রিয়ানকেও ওরা? এসব চিন্তা করতেই ওর শরীর পুরো অবস হয়ে যেতে লাগলো। গ্লাস ভাঙ্গার আওয়াজে সার্ভেন্টরা সব ছুটে এলো। অনিমা সেন্সলেস হয়ে পরে যেতে নিলেই সার্ভেন্টরা এসে ধরে ফেললো ওকে। ওকে ধরে আদ্রিয়ানের রুমে নিয়ে শুইয়ে দিয়ে আদ্রিয়ানের নাম্বারে ডায়াল করলো কিন্তু ফোনটা বন্ধ পেলো। একজন বলল,
— ” স্যারের ফোনটা তো বন্ধ। এখন কী করবো?”
আরেকজন বলল,
— ” ম্যামের অবস্হা তো ভালো না। ডক্টরকে কল করো নইলে স্যার এসে ভীষণ রাগ করবেন।”
প্রথমজন অনিমার দিকে তাকিয়ে বলল,
— ” ঠিকি বলেছো।”
আদ্রিয়ানের পার্সোনালি যেই ডক্টরের সাথে এপোয়েন্ট করা তার নাম্বার সব সার্ভেন্ট দের কাছেই থাকে। ওরা তাড়াতাড়ি সেই ডক্টরকে ফোন করে আসতে বলল।
____________________
আদ্রিয়ান যেই চেয়ারটায় ওকে বেঁধে রেখেছিলো সেই চেয়ারটা টেনে পায়ের ওপর পা তুলে বসল। তারপর হাতের গানটা কপাল স্লাইড করে কিছু বলবে তারআগেই ওদের মধ্যে একজনের ফোন এলো। লোকটা ভয়ে ভয়ে আদ্রিয়ানের দিকে তাকাতেই আদ্রিয়ান উঠে গিয়ে হাত বাড়িয়ে ফোনটা দিতে ইশারা করল। লোকটা ফোন আদ্রিয়ানের দিকে এগিয়ে দিতেই আদ্রিয়ান স্ক্রিনে ভাই লেখা দেখেই বুঝে গেলো এটা রিকের ফোন। আদ্রিয়ান হেসে ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে রিক বলে উঠলো,
— ” শোন আমার আসতে আরো খানিকক্ষণ সময় লাগবে। ততোক্ষণ প্রাণে মারার ভয় দেখিয়ে ওর মুখ থেকে কথা বের করার চেষ্টা কর। আর যদি না বলতে চায় তো হাতে পায়ে দু একটা শুট করে দিবি, ঠিক বলে দেবে।”
কথাগুলো শুনে আদ্রিয়ান নিঃশব্দে হেসে লোকগুলোর দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচালো। লোকগুলো আবারো একটা ঢোক গিলল। আদ্রিয়ান কানে ফোন নিয়ে বলল,
— ” হাতে, পায়ে, হাটুতে কবজিতে শুট করা হয়ে গেছে আর কোথাও করতে হবে?”
আদ্রিয়ানের গলা শুনে রিক চমকে গেলো। কান থেকে ফোন সরিয়ে নাম্বারটা চেক করে দেখলো ঠিকি আছে। তারপর ফোনটা আবার কানে গিয়ে বলল,
— ” তুমি? এই ফোন তোমার হাতে কেনো? ওরা কোথায়?”
আদ্রিয়ান মুচকি হেসে বলল,
— ” আসলে এদের একেকজন একেকভাবে ঘায়েল হয়ে আছেন। আমি আবার মানুষের কষ্ট দেখলে দাঁড়িয়ে থাকতে পারিনা ছুটে হেল্প করতে চলে আসি। ওরা সবাই চরম আহত তাই আমিই ফোন টা ওদের হয়ে রিসিভ করলাম। এদের সবাইকে সিটি হসপিটালে সিফট করে দিচ্ছি ওখান থেকে কুড়িয়ে নিয়ে যাবেন।”
রিক তো অবাকের চরম পর্যায়ে পৌছে গেছে। কিছুই মেলাতে পারছেনা। ও শকের মধ্যে থেকেই বলল,
— ” আহত মানে কী করেছো তুমি ওদের সাথে?”
আদ্রিয়ান বাঁকা হাসি দিয়ে বলল,
— ” যেটা আপনি আমার সাথে করতে চেয়েছিলেন।”
রিক আদ্রিয়ানের কথার মানেটা বুঝতে পারলেও হজম করতে পারলোনা। তাই বিষ্মিত কন্ঠে বলল,
— ” মানে?”
আদ্রিয়ান এবার হতাশার একটা শ্বাস ফেলে বলল,
— ” কাম অন রিক চৌধুরী। আমি আপনাকে আগেও বলেছি আমাকে জিজ্ঞেস করে টাইম ওয়েস্ট না করে অনিকে খুজুন। তা না করে আপনি সেই আমার পেছনেই পরে আছেন। আমি কিন্তু বেশ এনজয় করছি। বাট সময়টা কিন্তু আপনারি নষ্ট হচ্ছে। বাই দা ওয়ে রাখছি হ্যাঁ? ওদের হসপিটাল থেকে নিয়ে যাবেন কিন্তু। হ্যাভ আ গুড ডে।”
বলেই ফোনটা কেটে দিলো। তারপর ওদের দিকে তাকিয়ে বলল,
— ” কী রে ভাই, আমার ফোন কোথায়?”
ওদের মধ্যে একটা লোক বহুত কষ্টে পকেট থেকে আদ্রিয়ানের ফোনটা বের করে আদ্রিয়ানের দিকে দিলো। আদ্রিয়ান ফোনটা সুইচড অফ দেখে রাগী চোখে তাকালো ওদের দিকে। ওরা হকচকিয়ে গিয়ে একসাথে বলল,
— ” সরি ভাই।”
আদ্রিয়ানকে কিছু না বলে ফোনটা ওন করে অাদিবকে ফোন করে বলল,
— ” হ্যাঁ চলে আয়।”
বলার কিছুক্ষণের মধ্যেই আদিব আর আশিস চলে এলো। ওদের সাথে কিছু লোক এসে গুলি যেই পাঁচজনের লেগেছে তাদেরকে নিয়ে হসপিটালে নিয়ে গেলো। বাকি একজন ওদের সাথেই গেলো। আদিব ভ্রু কুচকে বলল,
— ” ওই একটাকে ছাড়লি কেনো?”
আদ্রিয়ান হেসে গানগুলো ফেলে দিয়ে বলল,
— ” ভয় পেয়ে গেছিলো। আর আমাকে কেউ ভয় পেলে আমি তার ওপর আঘাত করিনা।”
আদিব আশিস দুজনেই হাসলো। হঠাৎ করেই আদ্রিয়ান এর ফোনে ফোন এলো স্ক্রিনে অরুমিতার নাম্বার দেখে ভ্রু কুচকে গেলো ওর। এই সময় হঠাৎ অরুমিতা কেনো ফোন করবে? ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে অরুমিতা উত্তেজিত কন্ঠে বলল,
— ” ভাইয়া আপনি ঠিক আছেন?”
আদ্রিয়ান অবাক হলো একটু অরুমিতা কীকরে জানলো? তবুও নিজেকে সামলে বলল,
— ” কেনো কী হয়েছে?”
অরুমিতা জোরে জোরে শ্বাস নিতে নিতে বলল,
— ” আপনাকে নাকি কিডন্যাপ করা হয়েছে? সব চ্যানেলে নিউসটা দেখাচ্ছে। আমাদের টায় ও।”
অাদ্রিয়ান চোখ বন্ধ করে একটা শ্বাস নিয়ে বিরক্তিকর কন্ঠে বলল,
— ” উফফ দিস মিডিয়া।”
অরুমিতা এখনো জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে। আদ্রিয়ান নিজেকে শান্ত করে বলল,
— ” রিলাক্স! আমি একদম ঠিক আছি। আর তীব্রকেও বলে দিও এটা। চিন্তার কিচ্ছু নেই, রাখছি।”
ফোনটা রেখে আদ্রিয়ান আদিব আর আশিস দিকে তাকিয়ে বলল,
— ” তোরা জানতিস না যে মিডিয়াতে আমার কিডন্যাপড হওয়ার নিউস লিক হয়েছে?”
আদিব বলল,
— ” আরে আমরা তো নিউস দেখিইনি। এসব কাজ নিয়ে ব্যাস্ত ছিলাম।”
হঠাৎ কিছু একটা ভেবে আদ্রিয়ান বলল,
— ” ওহ সিট। জ্ জানপাখি।”
বলেই আদ্রিয়ান একপ্রকার ছুটেই বেড়িয়ে গেলো ওখান থেকে। আশিস অবাক হয়ে আদিবের দিকে তাকিয়ে বলল,
— ” কী পাখি? আর পাখি কোথাথেকে এলো?”
আদিব চোখ রাঙিয়ে তাকাতেই আশিস চুপ হয়ে গেলো। এরপর দুজনেই বেড়িয়ে পরল কারণ ওদের প্রেস সামলাতে হবে এখন।
____________________
আদ্রিয়ান হুড়মুড়িয়ে নিজের বাড়িতে ঢুকলো। তারপর সামনে একজন সার্ভেন্ট পরতেই জিজ্ঞেস করলো,
— ” হয়ার ইজ ইউর ম্যাম?”
মেয়েটি মাথা নিচু করে আছে। সেটা দেখে আদ্রিয়ান ধমকে বলল,
— ” আই আসকড হয়ার ইজ ইউর ম্যাম?”
মেয়েটি একটু কেঁপে উঠলো। আদ্রিয়ানের চিৎকারে আরো দুজন মেয়ে সার্ভেন্ট চলে এলো। মেয়েটি মাথা নিচু করেই বলল,
— ” স্যার ম্যাম আপনার কিডন্যাপ হওয়ার খবরটা শুনেই অজ্ঞান হয়ে গেছে।”
আদ্রিয়ান এবার চিৎকার করে বলল,
— ” আর সেটা তোমারা আমাকে এখন বলছো ডেম ইট।”
অপর একটা মেয়ে বলল,
— ” স্যার আসলে আমরা যোগাযোগ করার অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু আপনার ফোন বন্ধ ছিলো। আমরা ডক্টর কল করেছি। উনি এসে দেখে গেছেন ভয়ের কিছু নেই।”
আদ্রিয়ান চোখ বন্ধ করে একটা শ্বাস নিলো। কার রাগ কাদের ওপর দেখাচ্ছে ও? নিজেকে শান্ত করে ওদের দিকে তাকিয়ে বলল,
— ” আ’ম সরি। মাথাটা একটু গরম ছিলো তাই।”
মেয়েগুলোর মধ্যে একজন মুচকি হেসে বলল,
— ” বুঝতে পেরেছি স্যার।”
আদ্রিয়ানও উত্তরে হেসে বলল,
— ” হুমম যাও তোমরা।”
ওরা চলে গেলো। আগে বাড়িতে একটাই মেয়ে মেট সার্ভেন্ট ছিলো কিন্তু অনিমাকে আনার পর আরো দুজন এপোয়েন্ট করেছে। আদ্রিয়ান রুমে গিয়ে দেখলো অনিমা ঘুমিয়ে আছে। আদ্রিয়ান বেডে বসে অনিমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো। মেয়েটা মুখে স্বীকার না করলেও ওর প্রতিটা কাজে বুঝিয়ে দেয় ও আদ্রিয়ানকে কতো ভালোবাসে। ও চাইলেই আমাকে আকড়ে ধরে রিকের কাছ থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে পারতো কিন্তু ও সেরকম কিছু করেনি। বরং আমাকে বাঁচাতে নিজে ওই নরকে যেতেও রাজী ছিলো। সব ভালোবাসা মুখে প্রকাশ করা জুরুরী নয়। ভালোবাসা তো প্রকাশ করার জিনিস নয়। ভালোবাসা অনুভব করার জিনিস। আল আদ্রিয়ান অনিমার ভালোবাসা প্রতি মুহূর্তে অনুভব করতে পারে।
__________________
রিক গম্ভীর মুখ করে বসে আছে সোফায়। একটু আগে হসপিটাল থেকে এসছে। আদ্রিয়ান যে এসব করেছে ও ভাবতেই পারছেনা। কবির শেখ ওর পাশেই বসে আছে কিন্তু আজ কিছু বলছে না। কিছুক্ষণ পর রিক নিজেই বলল,
— ” মামা ওকেতো একটা সাদাসিদে রকস্টার ভেবেছিলাম। কিন্তু আজ ও যা করে গেছে সেটা ওর পক্ষে করা কী করে সম্ভব হতে পারে?”
কবির শেখ নিজেও চিন্তিত উনি নিজেও ভাবছেন যে আদ্রিয়ান এরকম কীকরে হতে পারে? ওনার জানা মতে তো আদ্রিয়ান এসবের ধারে পারেও নেই। উনি চিন্তিত কন্ঠে রিককে বলল,
— ” তুমি সিউর ওগুলো আদ্রিয়ানই করেছে?”
রিক অস্হিরতার একটা শ্বাস নিয়ে বলল,
— ” ওরাতো সেটাই বলল।”
কবির শেখ আবার ভাবনায় মগ্ন হলেন আর রিক ভাবছে নাহ এবার নিজেই ওই আদ্রিয়ানের মুখোমুখি দাড়াবে। ও নিজেই দেখবে এবার ব্যাপারটা। অনিমাকে ও ছাড়বেনা যাই হয়ে যাক।
____________________
আদ্রিয়ান সোফায় বসে কাজ করছিলো হঠাৎ করেই অনিমা চিৎকার করে উঠে বসলো আর আদ্রিয়ান বলে ডাকতে লাগলো। অাদ্রিয়ান তাড়াতাড়ি উঠে অনিমার সামনে বসে বললো,
— ” কী হয়েছে? অনি?”
অনিমা হাফাতে হাফাতে বলল,
— ” ওরাহ আদ্রিয়ানকে মেরে ফেলবে, আব্বুর মতো ওকেও…”
আদ্রিয়ান অনিমার দুইগালে হাত রেখে ওর দিকে ঘুরিয়ে বলল,
— “এইতো আমি এখানে দেখো? কিচ্ছু হয়নি আমার কেউ কিচ্ছু করে নি। সি?
আদ্রিয়ান কথা শুনে অনিমা একটুও শান্ত হলোনা বরং আরো অশান্ত হয়ে উঠলো। ওর খেয়ালই নেই ওর সামনে আদ্রিয়ান আছে। অনিমা একি কথা বারবার বলে যাচ্ছে আর হাইপার হয়ে উঠছে। আদ্রিয়ান কিছুতেই ওকে শান্ত করতে পারছেনা। কিছুতেই ওকে সামলাতে না পেরে আদ্রিয়ান এবার ওকে জোরে ধমকে বলল,
— ” অনি?”
আদ্রিয়ান ধমকে অনিমা চুপ হয়ে গেলো, ছলছলে চোখে তাকালো আদ্রিয়ানের দিকে। যখন ও বুঝতে পারলো যে এটা আদ্রিয়ান তখন কেদে দিয়ে আদ্রিয়ানকে জরিয়ে ধরল। আর আদ্রিয়ানও ওকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে বলল,
— “আই এম সরি। এতো ভয় কেনো পাও তুমি। আমি বলেছি না আমার কিছুই হবে না?”
অনিমা কিছু না বলে কেঁদেই যাচ্ছে আদ্রিয়ানকে জরিয়ে ধরে। আদ্রিয়ান ও আর কিছু বললোনা। বেশ অনেক্ষণ সময় কাঁদতে কাঁদতে অনিমা আদ্রিয়ানের বুকেই ঘুমিয়ে পরলো শরীর ক্লান্ত ছিলো তাই । আদ্রিয়ান যখন বুঝতে পারলো যে অনিমা ঘুমিয়ে গেছে তখন ওকে বেডে শুইয়ে দিলো। কিন্তু একটু পর অনিমা ঘুমের ঘোরে উল্টো ঘুরে গেলো আর তখন আদ্রিয়ান খেয়াল করল যে অনিমার ড্রেসের জিপ টা খোলা অনেকটা। আদ্রিয়ান জিপটা লাগাতে গিয়েই অনিমার পিঠে একটা দাগ চোখে পরল। দাগটা দেখে আদ্রিয়ানের কেমন সন্দেহ হলো। কিন্তু জিপ খুলে দেখাটা ঠিক হবেনা ভেবে ও জিপটা লাগাতে গিয়েও থেমে গেলো নিজের কৌতুহলটা কিছুতেই দমাতে পারছেনা। তাই আস্তে করে জিপটা খুলে অনিমার পিঠ খানিকটা উন্মুক্ত করলো আর তারপর যেটা দেখলো তাতে আদ্রিয়ানের চোখ মুখ লাল হয়ে উঠল। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর আপনা আপনিই এক ফোটা জল গড়িয়ে পরল চোখ দিয়ে। অনিমার পিঠে অসংখ্য মারের দাগ আর একটা পোড়া দাগ এর চিন্হ এখোনো বোঝা যাচ্ছে। তাহলে আঘাতগুলো কতো গভীর ছিলো ভেবেই আদ্রিয়ানের রাগ আর কষ্ট দুটোই চরমে পৌছে যাচ্ছে। ও ড্রেসের জিপটা লাগিয়ে একটা শ্বাস নিয়ে বলল,
— ” এবার সময় এসে গেছে। ওদের প্রত্যেককে ওদের কর্মের ফল তো পেতেই হবে। আর তার সূচনা তোমার ওই সো কলড মামা,মামী আর অর্ক কে দিয়েই হবে। ”
তারপর বাঁকা হেসে বলল,
— “বি রেডি মামা এন্ড মামী আপনাদের জামাই আসছে।”
#চলবে…
( কেউ ছোট বলে লজ্জ্বা দেবেন না। আজকে এর চেয়ে বেশি প্রেশার মাথায় দিতে পারিনি, সরি।)