#ফেরারি_প্রেম
#পর্ব_২১
#নিশাত_জাহান_নিশি
“আমি মিথ্যা বলছি না? আমি মিথ্যা বলছি? সেদিন আমি তোকে আবছা আলোয় সুহাসিনীর রুম থেকে বের হতে দেখেছি! তোর মাথার ক্যাপটাও আমি তখনি দেখেছি। তবে ক্লিয়ারলি সব দেখিনি। ঝাপসাভাবে দেখেছি! সেই সাত বছর আগেই তো রামিশা ও সুহাসিনী মিলে তোকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল তাইনা? তাহলে কেন তুই সুহাসিনীকে হ/ত্যা করলি?”
নীহারিকার কথা শেষ হতে না হতেই রাতুল হঠাৎ হিংস্র হয়ে উঠল! আকস্মিকভাবে সে উচ্চশব্দে নীহারিকার উপর চিৎকার করে বলল,
“কারণ সুহাসিনী আমার সাথে ডাবল প্ল্যান খেলছিল!”
রাতুলের বিস্ফোরিত কথায় মুহূর্তেই শান্ত হয়ে উঠল পরিবেশ। তব্ধিত হয়ে নীহারিকা রাতুলকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পূর্বেই রূপল হতভম্ব গলায় রাতুলের দিকে প্রশ্ন ছুড়ল,
“মানে? তুমি কী বলতে চাইছ ভাইয়া?”
“আমি আর কী বলব? আমার মুখের কথা তো তুই বিশ্বাস করবিনা। যা শোনার ঐ নীহারিকার কাছ থেকেই শুনে নে! সে তো সব জানেই। বাকিটাও নিশ্চয়ই জানবে।”
প্রশ্নবিদ্ধ দৃষ্টিতে রূপল নীহারিকার দিকে তাকালো। অস্থির দৃষ্টিতে নীহারিকা রূপলের দিকে তাকিয়ে শুকনো গলায় বলল,
“এরপর থেকে ডায়েরিতে আর কিছু লিখা ছিলনা মিস্টার রূপল। ডায়েরিতে যতটুকুন লিখা ছিল আমি ঠিক ততটুকুনই আপনাকে বলেছি।”
অমনি পৈশাচিক হাসিতে মেতে উঠল রাতুল! ঝট করে সে গলা থেকে নীহারিকার হাতটি ছাড়িয়ে নিলো! অট্ট হেসে নীহারিকার দিকে তাকিয়ে বলল,
“থাকবে কী করে? কেউ কী নিজের করা অপকর্মের সাক্ষী রাখতে চায়?”
তেলেবেগুনে জ্বলে উঠল রূপল। বড়ো ভাইয়ের প্রতি থাকা আবেগ, ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোধ বিসর্জন দিয়ে সে রাতুলের শার্টের কলার চেপে ধরল! রক্তশূল দৃষ্টিতে সে রাতুলের দিকে তাকালো। বিধ্বংসী গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,
“বলো আমার সুহাসিনী কী অপকর্ম করেছে? কী করেছে আমার সুহাসিনী?”
পুনরায় বিদ্রুপের হাসিতে মেতে উঠল রাতুল। রূপলের বিধ্বস্ত দু’চোখে চোখ রেখে ধীর গলায় বলল,
“তোর সুহাসিনীর অপকর্ম শুনলে সুহাসিনীকে “তোর” ‘তোর’ বলে দাবি করতে বিবেকে বাঁধতে তোর! যতটা ভালোবাসিস তাকে ঠিক ততটাই ঘৃণা করতে শুরু করবি!”
ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেল রূপলের। ঘাড়ের রগ টান টান করে সে উত্তেজিত গলায় বলল,
“ভনিতা না করে যা বলার ক্লিয়ারলি বলো ভাইয়া। না হয় আমি বাধ্য হব তোমার গাঁয়ে হাত তুলতে।”
রূপলের ভয়ঙ্কর রূপ এবং কথাবার্তা শুনে থতমত খেয়ে উঠল রাতুল। হেয়ালি ভুলে সে তৎপর গলায় বলতে আরম্ভ করল,
“রামিশার মৃত্যুর তিন থেকে চার বছর পর সুহাসিনী হঠাৎ কোনোভাবে আমার ফেসবুক আইডি জোগাড় করে। ছদ্মবেশে দিনের পর দিন আমার সাথে কথা বলতে থাকে! এভাবে চার থেকে পাঁচ মাস ফ্রেন্ডলি কথা বলার পর আমি তাকে না দেখেই তার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি! তার কণ্ঠস্বর শুনে, তার আংশিক চোখ দেখে, তার ঠোঁট থেকে আমি সত্যিকার অর্থে তার প্রেমে পড়ি! সে চাইত আমি দেশে আসলেই আমাদের সরাসরি দেখা হবে। আমিও তার কথার গুরুত্ব দিই। দেশে ফিরার প্রস্তুতি নিতে থাকি। যখন আমি তার প্রতি পুরোপুরিভাবে দুর্বল হয়ে পড়ি তখনই সে তার মোক্ষম চাল চালে। আমাকে একদিন তার আসল পরিচয় জানায়!পুলিশকে এবং আমার পরিবারকে সব জানিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়! ভয় পেয়ে আমি তার সাথে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। আমার সাথে কোনোভাবে যোগাযোগ করতে না পেরে সে আমার রুমমেটকে জ্বালাতে শুরু করে! আমি জানতাম আমি নিজে থেকে তার সাথে যোগাযোগ না করলে সে আমার সব কুকীর্তি আমার রুমমেটের কাছে ফাঁস করে দিবে। হীতে আমারই ক্ষতি হবে। দেশে-বিদেশে দুদিকেই আমার বদনাম ছড়াবে। সেই ভয়ে আমি আবারও তার সাথে যোগাযোগ করি। তখনি সুহাসিনী আমার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আমার কাছ থেকে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতে শুরু করে! এভাবে তিনমাস কেটে যাওয়ার পর আমি যখন অস্বীকার করি যে, আমি আর তাকে টাকা দিতে পারব না তখনি সে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তোকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে তোর সাথে সম্পর্কে জড়ায়! তোর কাছাকাছি যেতে শুরু করে আমাকে আবারও ব্ল্যাকমেইল করার জন্য। আমাকে হুমকি দিতে থাকে টাকা না পাঠালে সে আমার সব গোমর তোর কাছে ফাঁস করে দিবে। এতে ভয় আমার দ্বিগুন বেড়ে গেল। আবারও আমি তার ফাঁদে পা দিই। এভাবে দুই দুইটা বছর আমি তাকে মাসে মাসে টাকা পাঠাতে থাকি। আমার পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছিলনা তার কাছে টাকা পাঠানো! ভিখিরী হয়ে যাচ্ছিলাম আমি। জমিয়ে রাখা সব সঞ্চয় আমি তার পেছনে ঢালছিলাম। বাড়িতেও টাকা পাঠাতে পারছিলাম না। অফিসের কাজেও মন বসাতে পারছিলনা। জীবনটা আমার প্রায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। পাপের শাস্তি পাচ্ছিলাম আমি। তখনি আমি কোনোভাবে সাফোয়ানের খোঁজ পাই। তাকে আমার প্ল্যানে কাজে লাগাই। কিন্তু তখনও সে জানত না হৃদি তার নয় বরং আমার সন্তান! টাকার লোভ দেখিয়ে আমি তাকে সুহাসিনীকে হ/ত্যা করার প্ল্যানিং করি! গ্যাস সিলিন্ডারে তাকে পুড়িয়ে মা/রার প্ল্যান করি! কিন্তু তার তো কই মাছের প্রাণ! প্রথম যাত্রায় সে বেঁচে যায়! সাফোয়ান তার উদ্দেশ্য সফল করতে পারেনি বলে আমি চুক্তি অনুযায়ী তাকে পুরো টাকা দিইনি! এবার সেও আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে! দিন দিন যেন আমি তাদের কাছে মুরগী হয়ে যাচ্ছিলাম। তখনি আমি সিদ্ধান্ত নিলাম বাইরে থেকে কিছু হবেনা। দেশে ফিরেই আমাকে যা করার করতে হবে। সব অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। যেই ভাব সেই কাজ। অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে আমি সুহাসিনীকে হত্যা করার তিনদিন আগে দেশে ফিরি! একটি আবাসিক হোটেলে থেকে প্ল্যানিং করি কীভাবে সুহাসিনীকে হ/ত্যা করা যায়। সুহাসিনীকে হ/ত্যার ঠিা একদিন আগে আমি পরিকল্পিতভাবে সাফোয়ানকে আমার হোটেলে নিয়ে আসি! যেন সুহাসিনীকে হ/ত্যা করার পর আমি সুযোগ বুঝে তার খেলাটাও শেষ করতে পারি! সাফোয়ানের থেকে খবর নিয়ে জানতে পারি সুহাসিনীকে কখন একা পাওয়া যাবে! কখন তার আশেপাশে কেউ থাকেনা। ঠিক সেই সময় ধরে আমি এনজিওতে যাই! শ্বাসরুদ্ধ করে তাকে হ/ত্যা করে ফেরার পথেই এই নীহারিকা আমাকে দেখে নেয়! কোনোভাবে সেখান থেকে পালিয়ে বের হই আমি। সুহাসিনীকে ট্রিটমেন্ট করা ডক্টরকেও টাকা খাওয়াই! খু/নটাকে আকস্মিক মৃত্যু বলে চালিয়ে দিই। সাফোয়ানকে খু/ন করার মাধ্যম খুঁজি। রাতে সুহাসিনীকে দাফন করে আসার পর মাঝরাতে আমি তাকে সাভারের ঐ নির্জন বস্তি এলাকায় থাকতে বলি। সেও আমার কথা শুনে বস্তিতে চলে যায়। ভোররাতে আমি ঐ বস্তিতে যাই। এবং সাফোয়ানকে খু/ন করে ভোরেই আবারও ফিরে আসি!”
সব শুনে হুট করে রূপলের হৃদস্পন্দন কাঁপতে শুরু করল। শ্বাস নিতে এবং ফেলতে বড়ই কষ্ট হতে লাগল তার। মাথাটাও কেমন যেন ঘুরে এলো। তবুও সে শরীরে এবং মনে জোর এনে অবিশ্বাস্য গলায় রাতুলকে বলল,
“তুমি সব মিথ্যা বলছ ভাইয়া। আমি এসব বিশ্বাস করিনা। তুমি নিজে বেঁচে যাওয়ার জন্য আমার সুহাসিনীকে কালার করছ।”
“আমি জানতাম আমার একটা কথাও তুই বিশ্বাস করবিনা। তুই চাইলে আমার ফোন ঘেঁটে দেখতে পারিস। আমাদের মধ্যে হওয়া একটা কনভারসেশনও আমি ডিলিট করিনি। চাইলে আমার কল হিস্ট্রিও তুই চেক করতে পারিস। যদি এতেও সন্দেহ হয়, তাহলে দ্যা গ্রেট মিস চারুলতা সেনকে রি/মান্ডে নিতে পারিস! এই মহিলাই হলো সব নাটের গুরু!”
মাথায় হাত দিয়ে ধপ করে মাটিতে বসে পড়ল রূপল। ভেতরটা চিঁড়ে কান্না আসছে তার। বুকে এক অসহ্য ব্যথা। হিতাহিতজ্ঞান হারিয়ে ফেলল সে। সুহাসিনী তাকে এভাবে ঠকালো? সামান্য কয়েকটা টাকার জন্য সুহাসিনী তার সাথে প্রেমের অভিনয় করল? তবুও এর কিছুই যেন বিশ্বাস করতে পারছেনা রূপল। হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা নীহারিকার দিকে তাকিয়ে সে রুদ্ধকর গলায় বলল,
“প্লিজ নীহারিকা আমার আর একটা হেল্প করুন। মিস চারুলতা সেনের কাছ থেকে সত্যিটা জানার চেষ্টা করুন প্লিজ।”
ধরাশায়ী অবস্থা থেকে বের হয়ে নীহারিকা বলল,
“আগে তো পুলিশ আসুক। খু/নিটাকে আটক করুক। এরপর না হয় বাকী কাজ সাড়া যাবে।”
পুলিশের কথা শুনে ভয় পেয়ে গেল রাতুল! সবাইকে উপেক্ষা করে সে দৌঁড়ে সদর দরজার কাছাকাছি পৌঁছাতেই পুলিশ তার দলবল নিয়ে হাজির হয়ে গেল ঘটনাস্থলে! ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে রাতুল নীহারিকার দিকে তাকাতেই নীহারিকা অট্ট হেসে বলল,
“আমি এখানে আসার আগেই সব পরিকল্পনা করে এসেছি! সুহাসিনীকে আপনি খু/ন করেছেন সেটা আমি পুরোপুরি না জানলেও সেদিন ভোরে আমি আপনার হাতের কাটাছিড়া অংশ দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম সাফোয়ান ভাইকে আপনিই খু/ন করেছেন! ভোরে হঠাৎ আপনার শাওয়ার নেওয়া। এর কিছুক্ষণ বাদেই সাফোয়ান ভাইয়ার মৃত্যুর খবর পাওয়া। সব মিলিয়ে আমি পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত ছিলাম যে আপনিই আসল দোষী!”
সাফোয়ানের খু/নের ইনভেস্টিগেশনে থাকা পুলিশ এসে রাতুলকে ধরে নিয়ে গেল। সেই সাথে মিস চারুলতা সেনকেও তারা বাড়ি থেকে আটক করল! মিস চারুলতা সেন ও বুঝতে পারেননি রাতুল এত সহজে ধরা পড়ে যাবে! তাই তিনি নিশ্চিন্তেই আরাম আয়েসে দিন কাটাচ্ছিলেন। এনজিও ছাড়ার দুঃসাহস করেননি।
এই রাতেই দুজনকে একসাথে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তারা দুজনই সত্যিটা স্বীকার করল! মিস চারুলতা সেনই সুহাসিনীকে উসকিয়েছিলেন রাতুলকে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য। ভয় দেখিয়ে রাতুলের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য! যার ফিফটি ফিফটি ভাগ দুজনই পাবে। দুজনের টাকাটাই একত্র করে তারা ঢাকা বসুন্ধরায় একটি ফ্ল্যাট কিনেছে! কিন্তু সেই ফ্ল্যাটে থাকার সুযোগ হয়নি তাদের। এর আগেই রাতুল তার চাল চেলে সুহাসিনীকে প্রথমে হাফ মা/র্ডার এবং পরে পুরোপুরি মা/র্ডার করে দিলো। রূপলের সাথে প্রেমের অভিনয় করার বুদ্ধিটাও সুহাসিনীকে মিস চারুলতা সেনই দিয়েছিলেন। তবে ধীরে ধীরে সুহাসিনী যখন সত্যিকার অর্থে রূপলের প্রেমে পড়ে যায় তখনি তিনি সুহাসিনীকে সাবধান করেন রূপলের প্রতি দুর্বল না হতে। রূপলের থেকে দূরে থাকতে। বেশী ঘনিষ্ঠ হয়ে গেলে সত্যিটা সামনে আসতে সময় লাগবেনা। সেজন্য সুহাসিনী রূপলের থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিল! তার শরীর ঝলসে যাওয়ার পর তো আরও বেশী রূপলকে ইগনোর করতে শুরু করল। সুহাসিনী জানত তাকে আগুনে পুড়িয়ে মা/রার ষড়যন্ত্র করার পেছনে রাতুল এবং সাফোয়ানের হাত ছিল। তবে সবটা জেনে ও সে চুপ ছিল! কারণ, সে জানত কেঁচো খুড়তে গেলে কেউটে বের হয়ে আসবে! এতে তার চিকিৎসারই ক্ষতি হবে। তবে হৃদির প্রতি তার ভালোবাসা ছিল খাঁটি। তাই হৃদিকে সে রূপলের হাতে তুলে দিয়ে গিয়েছিল।
গারোদের অপর প্রান্ত থেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রূপল, নীহারিকা এবং সবিতা সব শুনছিল! সাফোয়ানের মৃত্যুতেও সবিতা এতটা কষ্ট পায়নি যতটা কষ্ট পেয়েছে তার মৃত বোনের কুকীর্তি শুনে! কান্নায় ভেঙে পড়ল সে। কাঁদতে কাঁদতে এক প্রকার হেঁচকি তুলে ফেলল। রূপল নিঃশব্দে দাড়িয়ে রয়েছে। পাথরের মূর্তির ন্যায়৷ বিধ্বস্ত অবস্থা তার। চোখের পলকও যেন পরছেনা।
এতক্ষণ যদিও তার মনে শান্তনা ছিল মিস চারুলতা সেন সব অস্বীকার করবেন। রাতুলের সব অভিযোগকে মিথ্যা প্রমাণিত করবেন। তবে এখন তো সেই শান্তনাটাও অবশিষ্ট নেই! সব জলের মত পরিষ্কার হয়ে গেল। ভেতর থেকে ভেঙে পড়ল রূপল। অতীত ঘাটতে লাগল সে। সুহাসিনীর হাসি মাখা মুখটা কেবল তার দু-চোখে ভাসতে লাগল! সুহাসিনীর কথা, সুহাসিনীর চোখ, চুল, ঠোঁট সব তার চোখের সামনে জ্বল জ্বল করতে লাগল। বুকে চিনচিনে ব্যথা নিয়ে সে বেঞ্চিতে ধপ করে বসে পড়ল। নিঃশব্দে কেঁদে আত্নচিৎকার করে বলল,
“তবে কী সত্যিই মেয়েরা ছলনাময়ী হয়? অভিনয় বিদ্যায় তারা এতটাই পারদর্শী হয় যে একটা মানুষকে ভেতর থেকে ভেঙেচূড়ে চুরমার করে দেয়?”
#চলবে…?