ফিলোফোবিয়া পর্ব ২২,

0
660

ফিলোফোবিয়া

ঊর্মি প্রেমা (সাজিয়ানা মুনির )

২২.

( কার্টেসি ছাড়া কপি নিষেধ )

আজ বৃহস্পতিবার। হাফ ক্লাস। স্কুল বারটা নাগাদ ছুটি হয়েছে। শনিবার থেকে টেস্ট পরিক্ষা শুরু। অনেক প্রস্তুতি বাকি এখনো। স্কুল থেকে বেরিয়ে বাজারের দিক গেল প্রিয়। ফটোকপির দোকানে যেত্ব হবে একবার। জুবাইদা থেকে কিছু নোট কালেক্ট করেছে ফটোকপি করতে হবে সেগুলো। নোট কপি করে বের হতেই আচমকা শোয়েব হককে সামনে দেখে।ক ঘাবড়ে গেল প্রথমে, পরবর্তীতে নিজেকে সামলে ঠোঁটের কোনে হাসি ঠেলে সালাম জানায়। শোয়েব হক সালামের উত্তর নিয়ে বেশ সাবলিল স্বরে জিজ্ঞেস করে,
‘ স্কুল থেকে ফিরছ?’
‘ জি আঙ্কেল।’
‘ একাই ফিরছ যে? তোমার খালা…’
‘ খালা দেরিতে ফিরবে। আরো একটা ক্লাস আছে।’
প্রিয়’র উত্তরে যেন হতাশ হলো শোয়েব হক। চাতক পাখির মত আশেপাশে চোখ বুলানোটা ক্ষান্ত হলো। ধীর স্বরে বলল,
‘ ওহ! চলো বাড়ি পৌঁছিয়ে দেই তোমায়।’
মাথা নেড়ে নাচক করল প্রিয়। তড়িঘড়ি কন্ঠে বলল,
‘ তার দরকার নেই আঙ্কেল। এইটুকুই তো পথ। যেতে পারবো আমি।’
শুনল না শোয়েব হক। জোরালো কন্ঠে বলল,
‘ আমি বাড়ির দিকেই যাচ্ছি। একসাথে যাই।’
কোন দিকাদিক না পেয়ে শোয়েব হকের জোরাজোরিতে রাজি হলো প্রিয়। যেই গাড়িতে উঠতে যাবে অমনি আচমকা পেছন থেকে হেঁচকা টান দিলো। পেছন ফিরে চাইতেই থমকে গেল প্রিয়। শতাব্দ গম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে। শোয়েব হকের দিক তাকিয়ে গম্ভীর শক্ত কন্ঠে বলল,
‘ প্রিয় আমার সাথে যাচ্ছে। আমি বাড়ি পৌঁছে দিবো ওকে।’
শোয়েব হককে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বাইকে চড়ে বসলো শতাব্দ। প্রিয়’র দিক দৃঢ় দৃষ্টি ফেলে গম্ভীর কন্ঠে আওড়াল,
‘ বাইকে উঠো।’
হতভম্ব প্রিয় আশপাশে চোখ ভোলাল। বাজারের মাঝামাঝি একদম। আশেপাশে অনেক পরিচীত লোকজন। কেমন জানো অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। যেন তামাশা চলছে কোন। ছোট ঢোক গিলল প্রিয়। কিন্তু কিন্তু করে বলল,
‘ রিকশায় করে যেতে পারবো আমি। আপনি না হয়…’
প্রিয়কে পুরো কথা শেষ করতে না দিয়ে জোরালো ধমক দিলো শতাব্দ। রাগী গম্ভীর কন্ঠে বলল,
‘ আমি বাইকে উঠতে বলেছি প্রিয়।’
কেঁপে উঠল প্রিয়। তড়িঘড়ি করে বাইকের পেছনে চড়ে বসলো। বাইক চলছে ক্ষিপ্রগতিতে। চোখমুখ চেপে বসে আছে প্রিয়। ভয়ে চোখ মুখ চুপসে গেছে একদম। আশেপাশে কত লোক দেখছে। গ্রামে শতাব্দ বেশ পরিচীত মুখ। তার বাইকের পেছনে এভাবে ঘুরে বেড়ানোটা নিশ্চয়ই ভালো চোখে দেখবে না সবাই। এক হাতে ইউনিফর্মের সাদা স্কার্ফ টেনে মুখ লুকাতে ব্যস্ত সে। ভিতরে ভিতরে প্রচন্ড ভীতি কাজ করছে।
বাইক বাড়ির গলিতে না ঢুকে অন্যদিকে যাওয়ায় ঘাবড়ে গেল প্রিয়। বিমূঢ় কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,
‘ বাড়ির রাস্তা তো পেছনে ফেলে এলাম। কোথায় যাচ্ছি আমরা?’
উত্তর দিলো না শতাব্দ। নিজে গতিতে বাইক চালাতে ব্যস্ত সে। খানিক দূর আমবাগের সামনে বাইক থামলো। গম্ভীর কন্ঠে শতাব্দ বলল,
‘ নামো।’
ভীতি জড়সড় হয়ে বাইক থেকে নামলো প্রিয়। সামনের বেঞ্চে গিয়ে বসলো। চুপচাপ দুজন। শতাব্দের চোখমুখে স্পর্শ রাগ। কি হয়েছে? একবার কি জিজ্ঞেস করবে! না থাক। যদি রেগে যায় আরো।
রাগে মাথা কিড়মিড় করছে শতাব্দের। নিজেকে শান্ত করার যথাযথ চেষ্টা করছে। পারছেনা! পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেটটা বের করল। জ্বালিয়ে, কাঁপাকাঁপি হাতে ঠোঁটে চাপলো।
সিগারেটের ধোঁয়ায় প্রিয়’র অস্বস্তি হয় খুব। খুকখুক করে কেশে উঠল। ভ্রু কুঁচকে একবার তাকালো শতাব্দ। প্রিয়’র অস্বস্তির কারণটা বোধহয় বুঝল। বেঞ্চ ছেড়ে দূরে গিয়ে দাঁড়ালো।
দূর থেকে তাকিয়ে আছে প্রিয়। এখানে কেন নিয়ে এসেছে শতাব্দ। জানতে উশখুশ করছে মন। সেই সাথে ভয়ও লাগছে। হুট করে শতাব্দের এমন আচরণ। শোয়েব হকের সাথে দেখলে এমন রেগে যায় কেন সে?
বেশ কিছু সময় নিয়ে মাথা ঠান্ডা করে এসে প্রিয়’র পাশে বসলো। সূর্যে তখন বরাবর মাথার উপর। মাঝামাঝি দুপুর। মাটি ফেটে যেন গরম ভাপ বের হচ্ছে। চিন্তা, ভয়, গরমে প্রচন্ড ঘামছে প্রিয়। নাকে মুক্তোদানা মত ঘাম চিকচিক করছে। চুল বেয়ে কপালে ঘাম জমেছে। চোখে মুখে অদ্ভুত ভয়। এমন বি*চ্ছিরি গরমে নাজেহাল অবস্থায়ও বেশ নিদারুণ লাগছে মেয়েটাকে। পকেট থেকে টিস্যু বের করে আলতো হাতে কপাল নাক মুছে দিচ্ছে শতাব্দ। গভীর দৃষ্টিতে আছে প্রিয়। কে বলবে এই দায়িত্ববান মানুষটাই কিছুক্ষণ আগে বাজারে বেশ বড়সড় তামাশা করে এসেছে! আজকাল শতাব্দকে প্রিয়’র গোলক ধাঁধা মনে হয়। যত গোছাতে যায় তত প্যাঁচিয়ে যায়। যখনি মনে হয় শতাব্দকে সে পুরোপুরি ভাবে জানে, বুঝে তখনি এমন কিছু ঘটে যে, সব নতুন মনে হয়।
পিনপতন নিরবতা চললো খানিক। নিরবতা ভেঙে শতাব্দ বলল,
‘ তুমি মামার সাথে কোন প্রকার কথা বলবে না। মুখোমুখি পড়লে ইগ্নোর করবে।’
প্রিয় কিংকর্তব্যবিমূঢ়। অভিভূত দৃষ্টিতে তাকালো। আড়ষ্ট কন্ঠে বলল,
‘ কেন? সে কি ভালো মানুষ নয়!’
‘ ভালো। প্রচন্ড ভালো মানুষ। তবে তোমার জন্য নয়। প্রতিটা মানুষের ভালো খারাপ দুইদিক থাকে। আমি চাইনা তার খারাপ দিক তোমার উপর পড়ুক।’
শতাব্দের কথার আগাগোড়া বুঝল না প্রিয়। প্রশ্নবিদ্ধ কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
‘ কিন্তু কেন? কোন কার…
‘ কেন, কি কারণ ওইসব জানার সময় এখন না প্রিয়। আমি বলছি তুমি তার সাথে কোন প্রকার কথা বলবেনা। মানে বলবেনা।’
শতাব্দের দৃঢ় আওয়াজ। কন্ঠে রাগ দেখে আর কিছু বলার সাহস পেলনা প্রিয়। চুপ করে রইল। রাগ দমিয়ে খানিক বাদে, শতাব্দ শান্ত স্বরে বলল,
‘ ঢাকায় যাচ্ছি, আগামীকাল ফিরবো।’
মাথা তুলে ভ্রু কুঁচকে তাকালো প্রিয়। বলল,
‘ আপনার তো ব্রেক তাইনা?’
‘ ক্লাস না কিছু কাজ আছে। যেতে হবে।’
‘ কখন যাচ্ছেন?’
‘ একটু পর।’
‘ ওহ’ ঠোঁট গোল করে আলতো আওয়াজে বলল প্রিয়।
প্রিয়’র গালে হাত রাখলো শতাব্দ। মাথা তুলে, ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে চোখে চোখ রাখল প্রিয়। শতাব্দ নিভৃত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সেই প্রাণবন্ত নিষ্পাপ চোখে। গভীর কন্ঠে আওড়াল শতাব্দ,
‘ নিজের খেয়াল রাখবে।’
হ্ঠাৎ অদ্ভুত অনুভূতি হলো প্রিয়’র। কেমন জানো যন্ত্রণা করছে বুক। ভীষণ ঝাঁজালো অনুভূতি। কেন জানো মনে হচ্ছে দূরে চলে যাচ্ছে শতাব্দ। অনেক দূর। গলায় অজানা এক কষ্ট দলা বাঁধলো। ঝাপসা হয়ে এলো চোখ। চোখের কোণে অশ্রু এসে জমলো।
প্রিয়’কে বাসায় পৌঁছে দিয়ে। গাড়ি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্য বেরিয়ে গেল শতাব্দ। দূর বারান্দা থেকে তাকিয়ে আছে প্রিয়। অস্বাভাবিক এক ভয় উঁকি দিলো মনে। নিজের মনকে বুঝানো জন্য বলল,
‘ একদিনই তো! চলে আসবে সে।’

আগামীকাল থেকে প্রিয়’র টেস্ট পরিক্ষা। জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে। রাত দেড়টা। এখনো প্রিয় ঘরে পড়ার আওয়াজ ভাসছে। আয়েশা বেগম কলেজের পরিক্ষার খাতা নিয়ে বসেছে। হাতে কাজ অনেক, সময় কম। এখন রাত জেগেই সব খাতা দেখে শেষ করতে হবে। আচমকা কলিং বেল বাজলো। আয়েশা বেগম বিরক্ত হলো। গভীর রাতে কে এলো! দরজা খুলবে কি, খুলবে না তা নিয়ে বিহ্বলে পড়লো। কলিং বেল অনবরত বেজেই যাচ্ছে। এবার বিরক্তির চুড়ান্তে পৌঁছালো আয়েশা বেগম। বিরক্ত হয়ে দরজাটা খুলল। অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসা মানুষটাকে দেখেই কেঁপে উঠল আয়েশা বেগম। আতঙ্*কিত চোখ মুখ। কাঁপাকাঁপি কন্ঠে বিড়বিড় করে উচ্চারণ করল,’ শোয়েব’
ঘরে ঢুকে ধপ করে দরজাটা বন্ধ করে দিলো শোয়েব হক। ভয়*ঙ্কর লাল চোখ। আয়েশা বেগম কিছু বলতে যাবে তার আগেই তাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলেন শোয়েব হক। রাগী গর্জন দিয়ে বলল,
‘ কেন? আমার সাথে কেন এমন করলে আয়শা।’
শোয়েব হকের গা থেকে বি*চ্ছিরি এক গন্ধ আসছে। ঠিকঠাক দাঁড়াতে পারছেনা টলমল করছে। শোয়েব কি মদ গিলে এসেছে? ভেবেই নাকে মুখে কাপড় চাপল আয়শা বেগম। গলার স্বর কঠোর করার চেষ্টা করল। বলল,
‘ এখানে কেন এসেছ শোয়েব। আমার বাড়ি থেকে এক্ষুনি বেরিয়ে যাও।’
জোরালো ধমক দিয়ে বলল শোয়েব,
‘ যাবোনা আমি। কি করবে? কি করবে তুমি! গত সতের বছর ধরে তোমাকে ঘৃ*ণা করে এসেছি। আর এখন সত্যি জানার পর পুড়ছি। কেন মিথ্যা বলেছিলে? কেন?’
আয়েশা বেগম না বোঝার মত করে বললেন,
‘ কোন মিথ্যার কথা বলছো? ‘
শোয়েব হক রেগে গেলেন আরো। দাঁতে দাঁত চিপে বলল,
‘ তোমার বিয়ে হয়েছে? সুখে আছো খুব? কেন মিথ্যে বলেছিলে সেদিন। সামান্য একটা চিঠি লিখে ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে সব শেষ করে দিলে। তুমি আমার স্ত্রী ছিলে আয়শা।’
তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলো আয়েশা বেগম। রাগে দাঁত চেপে বলল,
‘ স্ত্রী? কোন স্ত্রীর কথা বলছো শোয়েব। যদি তাই মানতে তাহলে ছবিকে কি করে বিয়ে করলে? তখন আমার কথাটা একবার মনে পড়েনি? তুমি ভালো আছো তোমার বউ সংসার নিয়ে। সেখানে আমি কেন বাঁধা হবো। দূর্বল হবো। তখন আমার মনে হয়েছে তোমাকে মিথ্যা বলে আমি জিতে যাবো। ভালো থাকবো। তাই বলেছি। আর হ্যাঁ তা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই।’
শোয়েব অসহায় নরম স্বরে বলল,
‘ আমার হাত পা বাঁধা ছিল। আমি বাধ্য ছিলাম। আমার বোনেত সংসার ভাঙ্গার পথে ছিল।’
‘ তাই বলে নিজের সংসার ভেঙ্গে তুমি তা গড়বে? আসলে, সত্যি হচ্ছে তুমি একজন প্রতারক, বেইমান। আগে থেকেই ছবির দিক কু’নজর ছিল তোমার। সুযোগ পেতেই তা কাজে লাগিয়েছ।’
টলমল চোখ নিয়ে শক্ত কন্ঠে বলল আয়েশা বেগম। শোয়েব যেন আরো আহত হলো। আগের মত অসহায় কন্ঠে বলল,
‘ বিশ্বাস করো আমি আজও তোমাকে….
‘ প্লিজ শোয়েব! বন্ধ করো। এতবছর পুরানো আষাঢ়ের গল্প শুনতে চাইছিনা। পাশের রুমে প্রিয় এখনো জেগে। কোনরকম সিনক্রিয়েট করতে চাইছিনা। বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিয়ে উপকার করো আমার উপর।’
শোয়েব খিলখিল করে হেসে ফেলল। বিস্মিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আয়েশা বেগম। এমন ছন্নছাড়া অগোছালো রূপে দেখেনি আগে। আজ দেখে প্রচন্ড ভয় করছে। প্রচন্ড! মন কু ডাকছে।
হাসি থামিয়ে শোয়েব হক বলল,
‘ সত্যি করে একটা কথা বলোতো! হুবহু তোমার মত দেখতে এই কার্বনকপিটাকে কোথায় পেলে? দেখলাম আমার ভাগিনা সাথে প্রেম করছে। তোমার ভয় করেনা আয়েশা। যদি তোমার মত ঠকতে হয় প্রিয়কে?’
আয়েশা বেগম এবার ভ*য়ঙ্কর রেগে গেলেন। শোয়েব হকের কলার চেপে ধরলো। চিৎকার করে বলল,
‘ আমার সাথে যা হয়েছে। প্রিয়’র সাথে তোমরা তা করার কথা চিন্তা করলে আমার ভ*য়ঙ্কর চণ্ডী রূপ দেখবে। খু*ন করে ফেলবো সবাইকে।’
গাল বাঁকিয়ে হাসল শোয়েব হক। আয়েশার গলা চে*পে ধরল। বলল,
‘ এতটান তো শুধু একজন মায়েরই হয়। সত্যি করে বলতো প্রিয় কি আমার আর তোমার মেয়ে? আমি কেবল সত্যিটাই জানতে চাইছি আয়েশা।’
দম বন্ধ হয়ে আসছে আয়শার। হাত পা ছুঁড়াছুঁড়ি করতে করতে বলল,
‘ তোমার সন্তানকে আমি গর্ভেই মে*রে ফেলেছি। তোমার অংশকে কেন দুনিয়ায় আনবো! কেন? ডিভোর্স পেপারের সাথে যে রিপোর্ট পাঠিয়েছি। দেখনি? প্রিয় আমার ভাগ্নী। অনেক বেশি প্রিয়। ওর থেকে দূরে থাকো তোমরা।’
‘ শতাব্দ! ও মানবে? কখনোই না! বিয়ে করে ওই পরিবারে আসলে সবকিছুর সম্মোখীন ওকে হতে হবে। প্রতি মূহুর্ত প্রিয় পুড়বে।’
আয়েশা বেগম এবার নিজের রাগের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললেন। ডুকরে কেঁদে ফেললেন। এলোপাথাড়ি হাত ছুড়াছুড়ি করে শোয়েবের বুকে আঘা*ত করতে লাগলেন। কাঁদতে কাঁদতে বললেন,
‘ ও বাচ্চমানুষ , নিষ্পাপ ওকে তোমরা এমন শা*স্তি দিয়ো না। সহ্য করতে পারবেনা ও। শেষ হয়ে যাবে। শেষ হয়ে যাবে আমার প্রিয়….

আচমকা কারো কান্নার আওয়াজে ঘুম ভাঙ্গল প্রিয়। আড়াইটা বাজছে ঘড়িতে। পড়তে পড়তে কখন যে টেবিলেই চোখ লেগে গেল। চোখ ঢলতে ঢলতে হল ঘরের দিক গেল। এদিক থেকেই আসছে কান্নার আওয়াজ। হল ঘরে ঢুকে খালাকে শোয়েব হকের পায়ের কাছে দেখে আঁ*তকে উঠল প্রিয়। চোখের সব ঘুম আচমকাই উঁড়ে গেল। বিস্ময়ে পাথর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রিয়। এমন সময়ই আবারো কলিং বেল বাজলো। এতো রাতে আবার কে এলো?

চলবে……..

ভুল ত্রুটির ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই সবার মতামত জানাবেন।

( গল্প লিখে পোস্ট করে দেই রিচেক করা হয়না। চোখে পড়ার মত অনেক ভুল ত্রুটি আছে হয়তো। আপনারা ধরিয়ে দিলে খুশি হবো।)

টাইপোগ্রাফি : মুগ্ধ তা আপু🌺🥀

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here