#ফাগুন_ছোঁয়া
#পর্ব_১৬
#লেখিকা_সারা মেহেক
রেজাল্ট দেওয়ার এক সপ্তাহের মাঝে ওরিয়েন্টেশনের মাধ্যমে ইন্টার্নিরা হসপিটালে জয়েন করলো। ইন্টার্নি ডিউটি রোস্টারে প্রথম চার মাসের জন্য মিমের ভাগে পড়লো মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের ডিউটি। যেহেতু মেডিসিনে ডিউটি পড়েছে সেহেতু আদ্রিশ চাইলো প্রথমেই যেনো কার্ডিওলজিতে মিমের ডিউটি প্লেসমেন্ট হয়। কিন্তু অনেক অনুরোধের পরও কার্ডিওলজিতে কারোর প্লেসমেন্টই দেওয়া হলো না৷ আপাতত কার্ডিওলজি গত বছরের ইন্টার্নিদের হাতেই রয়েছে। এখন নতুন ইন্টার্নিদের মেডিসিনের ইউনিট হিসেবে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। সে হিসেবে মিমের ভাগে মেডিসিন ইউনিট এক এর ডিউটি পড়লো। দু’জনেরই মন খারাপ হলো। কিন্তু কিছুই করার রইলো না।
সকাল আটটার মধ্যে জয়েন হলেও আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কাজ শুরু করতে করতে দশটা বেজে গেলো।
প্রথম দিন হিসেবে মিমসহ নতুন ইন্টার্নিরা বেশ দ্বিধাদ্বন্দে কাজ শুরু করলো। যেহেতু প্রথম দিন সেহেতু তাদের ডিউটি চলাকালীন কি কি দায়িত্ব তা বুঝে নিতে খানিক সময় লাগলো। তাদের ডিউটি শুরু হলো সিএ এর রাউন্ড দিয়ে। এরপর রাউন্ডে এলেন প্রফেসর স্যার। রাউন্ড শেষে ইন্টার্ন রুমে বসতে না বসতেই সিভিয়ার এবডোমিনাল পেইন নিয়ে এক পেশেন্ট ভর্তি হলো। দুজন মেডিকেল অফিসারের সাহায্য নিয়ে মিমসহ দুজন ইন্টার্নি সেই পেশেন্টকে ম্যানেজ করলো। এভাবেই তাদের পুরোটা দিন চলে গেলো। মর্নিং ডিউটি,ইভিনিং ডিউটি শেষে রাত প্রায় সাড়ে নয়টায় বাসায় ফিরলো মিম। আদ্রিশ তখন বাসায় ছিলো।
বাসার প্রধান দরজা খুলে যখন মিমের ক্লান্তিমাখা মুখখানা দেখলো আদ্রিশ তখন তার ভীষণ মায়া হলো। হঠাৎ বলাকওয়া ছাড়াই অকস্মাৎ মিমকে জড়িয়ে ধরলো সে।
মিম তখন কেবলই বাসার ভেতরে পা রেখেছে। আদ্রিশের এমন আচমকা জড়িয়ে ধরাতে সে খানিক চমকে উঠলো। অতঃপর সাথে সাথে আদ্রিশকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে কপট রাগ দেখিয়ে বললো,
” সারাদিন ডিউটি করে মাত্র বাসায় আসলাম। ঘেমে-নেয়ে একাকার। এর মধ্যে জড়িয়ে ধরলেন কেনো? দুর্গন্ধ লাগে না? ”
আদ্রিশ হেসে উঠলো। বললো,
” ওসব দুর্গন্ধ নাকে লাগে। এই যে সারাদিনের একটা ক্লান্তি ভাব ছিলো তোমার চেহারায়, সেটা আমার জড়িয়ে ধরার পরপরই তো শেষ হয়ে গেলো। কি? হলো না?”
মিম ঠোঁট চেপে মুচকি হাসলো। বললো,
” হয়েছে হয়েছে। এসব একদিনই করবেন। জানা আছে। রোজ কি আর সেই ইচ্ছা থাকবে নাকি?”
আদ্রিশ ততক্ষণে বাসার দরজা আটকে দিয়েছে। মিমের পিছু পিছু যেতে যেতে সে বললো,
” তুমি যদি চাও, তাহলে রোজ বাসায় আসার পর এভাবে জড়িয়ে ধরবো তোমাকে। চাও এমনটা?”
মিম রুমে এসে পরনের এপ্রোন খুলতে খুলতে মৃদু হাসির সহিত ক্লান্তিমাখা কণ্ঠে বললো,
” সারাদিনের ক্লান্তি যদি এক নিমিষেই এভাবে গায়েব করা যায় তাহলে এ সুযোগ সুবিধা কে না চাইবে বলুন। ”
” আচ্ছা, বুঝলাম তোমার কথা।
এবার তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাও। একসাথে রাতের খাবার খাবো। রান্না করেছি তোমার জন্য।”
আদ্রিশের হেন কথা শুনে মিম বিস্মিত চাহনিতে চেয়ে বললো,
” আপনি রান্না করেছেন!”
” হ্যাঁ। এতো অবাক হওয়ার কি আছে? আমি কি রান্না পারি না ভেবেছো!”
” না সেটা বলিনি। মানে ডিউটি শেষে রান্না করার এনার্জি ছিলো?”
” আমার ডিউটি পাঁচটায় শেষ হয়েছে ম্যাডাম। আপনি এই রাতে এসে রান্না করতে পারবেন না দেখে আমি রান্না করেছি। এবার দ্রুত ফ্রেশ হয়ে নিন। আর আমার হাতের রান্না খেয়ে টেস্ট করে বলুন কেমন হয়েছে। ”
” আচ্ছা, আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।”
বলে মিম ওয়াশরুমে চলে গেলো। ফ্রেশ হয়ে আদ্রিশের হাতের রান্না খাওয়ার পর সে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলো। সত্যিই সে ভাবেনি আদ্রিশের হাতের রান্না এতো দারুণ হবে!
এভাবে সময় কেটে যাচ্ছে দুজনের। ভালোমন্দ সময় নিয়ে বেশ সময় কাটাচ্ছে তারা৷ কখনও ডিউটির ফাঁকে একটু সময় পেলে ঘুরে আসে দুজনে। কখনো কারোর ডিউটি টাইম কম থাকলে সে এসে বাসায় রান্না করে। এমনই একদিন মিমের ডিউটি পড়লো রাতে। আদ্রিশের সেদিন ক্লিনিকের ডিউটি ছিলো না বিধায় সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে মিমের জন্য রান্না করলো। রাত প্রায় সাড়ে বারোটার দিকে সে খাবার নিয়ে হসপিটালের উদ্দেশ্যে বের হলো। হসপিটালে এসে দেখলো ওয়ার্ড একদম অন্ধকার। রোগীরা সবাই যে যার মতো বাতি নিভিয়ে ঘুমাচ্ছে। তাই সে খাবার নিয়ে সোজা ইন্টার্ন রুমে চলে আসলো। ইন্টার্ন রুমে এসে দেখলো দুটো মেয়ে বিছানায় ঘুমাচ্ছে, একটা ছেলে ও একটা মেয়ে বসে গল্প করছে। আর মিম না গল্প করছে, না ঘুমাচ্ছে। সে বসে বসে ঝিমাচ্ছে।
ইন্টার্ন দুজন যারা জেগে ছিলো তারা আদ্রিশকে দেখা মাত্রই সম্মান দিতে দাঁড়িয়ে পড়লো। আদ্রিশ তাদের ইশারায় বসতে বলে মিমের পাশে নিঃশব্দে একটা চেয়ার নিয়ে বসলো। কিছুক্ষণ বিরক্ত না করে এভাবেই বসে রইলো সে। এরপর হঠাৎ মিমের কানের কাছে ফিসফিস করে বললো,
” মিশমিশ! ”
চমকে উঠলো মিম। উপরন্তু আদ্রিশকে পাশে বসে থাকতে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে গেলো সে। তার এ কান্ড দেখে আদ্রিশসহ বাকি দুই ইন্টার্নিও হেসে উঠলো। মিম তৎক্ষনাৎ নিজেকে ধাতস্থ করে জিজ্ঞেস করলো,
” আপনি এখানে কি করছেন?”
আদ্রিশ ব্যাগ থেকে খাবার বের করতে করতে বললো,
” তোমার জন্য খাবার এনেছি। ভাবলাম নাইট ডিউটি করে হয়তো রাতে খুব ক্ষুধা লাগতে পারে তাই খাবার আনলাম। ”
” শুধু শুধু এতো রাতে কষ্ট করার দরকার কি?”
” কষ্ট কিসের? তুমি যে নাইট ডিউটি করছো সে হিসেবে তোমার দেখভাল করার দায়িত্ব কি আমার কাঁধে পড়ে না?”
” তারপরেও! খামোখা কষ্ট করা শুধু। ”
আদ্রিশ ও মিমের এ মুহূর্তগুলো দেখে ইন্টার্ন মেয়টা লজ্জায় লাল হয়ে গেলো। বললো,
” ভাইয়া তোকে কত ভালোবাসে মিম! আমার বরটাও যদি এমন ভালোবাসতো!”
মিম জবাবে কিছু বললো না। মুচকি হাসলে শুধু।
আদ্রিশ তাদের জন্য খাবার বের করলো। ডিউটিতে মিম একা নেই বলে তারসহ আরো দু একজনের খাবার অতিরিক্ত রান্না করে এনেছিলো আদ্রিশ। সে খাবারই দুজন ইন্টার্নিকে দিলো সে।
খাওয়াদাওয়া শেষে চারজনে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করলো। এরপর রাতে ইমার্জেন্সি এক পেশেন্ট আসলো বলে তারা তিনজনই চলে গেলো ওয়ার্ডে। তাই আদ্রিশও আর বসে রইলো না। খাবারের বক্সগুলো গুছিয়ে বাসায় চলে এলো।
————–
মেডিসিন প্লেসমেন্টের শেষ এক মাসের প্রথম দু সপ্তাহের জন্য কার্ডিওলজি ইউনিটে ডিউটি পড়লো মিমের। সে সময় আদ্রিশের অধীনে ভালোভাবেই পেশেন্ট হ্যান্ডেল করতে শিখে গিয়েছিলো সে। কিন্তু তিন বাদে হঠাৎ এক বিপত্তি ঘটলো।
হসপিটালের সামনের এক মুদিখানা দোকানে হঠাৎ কার্ডিয়াক এরেস্ট নিয়ে ইমার্জেন্সি থেকে এক পেশেন্ট কার্ডিওলজি ইউনিটে আসলো। লোকটি কার্ডিয়াক এরেস্ট সাথে সিভিয়ার ব্রেথলেসনেস নিয়ে ওয়ার্ডে আসলো। ওয়ার্ডে আসার পরপরই সবার মাঝে হুলস্থুল এক কান্ড বেঁধে গেলো। মিম ও আদ্রিশসহ দুজন মেয়ে ইন্টার্নি তখন পেশেন্ট দেখছিলো। হঠাৎ সেই ইমার্জেন্সি পেশেন্ট আসায় আদ্রিশ ছুটে গেলো সেদিকে। বাকি তিনজনও তার পিছু পিছু ছুট লাগালো।
আদ্রিশ দ্রুত গিয়ে লোকটির পালস চেক করলো। চোখের পাতা খুলে দেখলো। দ্রুত মিমকে বললো সিপিআর দিতে আর সে চলে গেলো ডিফিব্রিলেটর এর ব্যবস্থা করতে।
হঠাৎ ইমার্জেন্সি এ সিচুয়েশনে পেশেন্টকে দেখে মিম খানিক অস্থির হয়ে পড়েছিলো। কিন্তু যখন তাকে সিপিআর দিতে বলা হলো তখন সে আরোও অস্থির হয়ে পড়লো। কেননা সে এর পূর্বে কখনও সিপিআর দেয়নি। তবে পাঠ্য বইয়ের জ্ঞান অনুযায়ী যতটুকু পারলো সে চেষ্টা করলো।
বুকের হৃদপিণ্ড যেখানে অবস্থিত সেখানে বাম হাত রেখে ডান হাত দিয়ে দেহের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে চেষ্টা করলো। কয়েকবার চাপ দেওয়ার পরও পেশেন্টের অবস্থার উন্নতি হলো না। ততক্ষণে আদ্রিশ চলে এসেছে। সেও বেশ অস্থির হয়ে পড়েছে। তার মাথায় একটা কথাই ঘুরপাক খাচ্ছে, ‘ যেকোনো মূল্যে এই লোকটিকে বাঁচাতে হবে।’ এ বাদে আর কোনো কথাই তার মাথায় নেই। ফলে সে মিমের সিপিআর দেওয়ার কৌশল দেখে বেশ রেগে গেলো। মিমকে খানিক ধমকের সুরে বললো,
” সরো এখান থেকে। আমি দিচ্ছি। তুমি অক্সিজেন মাস্ক লাগাও।”
হঠাৎ আদ্রিশের ধমক শুনে মিম চুপসে গেলো। সরে এলো সেখান থেকে। অক্সিজেন মাস্ক লাগানোর মতো মনমানসিকতা রইলো না তার। ফলে অন্য এক ইন্টার্নি মাস্ক লাগালো।
পাঁচ মিনিটের মাথায় পেশেন্ট কিছুটা স্বাভাবিক হলো। হাফ ছেড়ে বাঁচলো আদ্রিশসহ বাকি দুই ইন্টার্নি। শেষ পর্যন্ত লোকটিকে বাঁচাতে পেরেছে তারা। বিজয়ীর হাসি ফুটে উঠলো তাদের চেহারায়।
এদিকে মিম গোমড়ামুখে বসে আছে হসপিটালের লবিতে। নিজেকে এ মুহূর্তে ভীষণ ব্যর্থ মনে হচ্ছে তার। তার মাথায় একটা বিষয়ই ঘুরপাক খাচ্ছে, একটা ইমার্জেন্সি পেশেন্টকে সে ভালোমতো ট্রিটমেন্ট দিতে পারলো না! এভাবে হলে সে ভবিষ্যতে কি করবে! উপরন্তু আদ্রিশের ধমক শুনে সে খানিক ব্যথিতও হয়েছে বটে।
আদ্রিশ ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে দেখলো মিম লবিতে বসে আছে। সে গিয়ে মিমের পাশে বসলো। মিমের গোমড়ামুখো ভাব দেখে সে অনুমান করলো, তার ধমকের ফলেই এমনটা হয়েছে। তাই সে অনুতপ্ত স্বরে বললো,
” সরি মিশমিশ। আসলে তোমাকে ওভাবে ধমক দিতে চাইনি। এমন ইমার্জেন্সি কেস দেখলে আসলে মাথা ঠিক রাখা যায় না। ”
মিম প্রত্যুত্তর জানালো না। ধীরেধীরে আদ্রিশের কাঁধে মাথা রেখে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। বললো,
” আপনার দোষ নেই। এমন সিচুয়েশনে রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক। আসলে দোষটা আমারই। আমিই কেসটা হ্যান্ডেল করতে পারিনি। ”
” এজন্য মন খারাপ করছো তুমি? পাগল মেয়ে। এজন্য কেউ মন খারাপ করে?”
” করাটা কি স্বাভাবিক না? একজন ইন্টার্নি হয়েও পেশেন্ট হ্যান্ডেল করতে পারলাম না আমি।”
” দেখো মিশমিশ, কেউ শুরু থেকে সব শিখে আসে না। ধীরেধীরে শিখে, ভুলের মাধ্যমে শিখে, নতুন নতুন কাজের মাধ্যমে শিখে। তুমি এমন কেস প্রথম পেয়েছো। তাই হ্যান্ডেল না করতে পারাটাই স্বাভাবিক। আজ যে পারোনি, দেখবে পরবর্তীতে এমন সিচুয়েশনে পড়লে কিছুটা হলেও হ্যান্ডেল করতে পারবে। এজন্য এ নিয়ে মন খারাপ করো না। সব ঠিক হয়ে যাবে। ”
মিম প্রত্যুত্তর দিলো না। দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো শুধু। আদ্রিশ যতই তাকে বুঝানোর চেষ্টা করুক, তার মাথায় শুধু নিজের ব্যর্থতাই ঘুরে বেড়াচ্ছে। নিজেকে বলছে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু নিজেকে বুঝাতে পারছে না, এ ব্যাপারটা স্বাভাবিক।
—————–
শেষ সপ্তাহে ইমার্জেন্সি ডিউটি রোস্টার হলো মিমের। এখন ইমার্জেন্সি পেশেন্ট মোটামুটি ভালোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে।
রাতভর ইমার্জেন্সিতে ডিউটি করে সকালের দিকে খানিকটা চোখ লেগে গিয়েছিলো তার। হঠাৎ চারদিকে তুমুল হইহট্টগোলের আওয়াজ শুনে পিটপিট করে চোখ খুললো সে। উড়ো খবর এলো, হসপিটালের কাছের রাস্তায় বাইক এ” ক্সি” ডে” ন্ট করেছে একজন। অবস্থা খানিক নাজুক।
মিম খবরটা শুনলো। খুব একটা চিন্তা বা অস্থিরতা কাজ করলো না তার মাঝে। কেননা এর পূর্বেও দু’বার এমন রোড এ” ক্সি” ডে” ন্টে” র পেশেন্ট হ্যান্ডেল করেছে সে। আজকের কেসটাও সে হ্যান্ডেল করতে পারবে এমন আত্নবিশ্বাস আছে তার। তাই নার্সকে গজ,তুলো রেডি করতে বলে স্টেথোস্কোপ গলায় ঝুলিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসলো সে। ততক্ষণে স্ট্রেচারে করে পেশেন্টকে ইমার্জেন্সিতে আনা হয়েছে। মিম ঘুমঘুম চোখে এগিয়ে গেলো স্ট্রেচারের দিকে। কিন্তু স্ট্রেচারের কাছে গিয়ে সেখানে শুয়ে থাকা র” ক্তা” ক্ত মানুষটির চেহারা দেখে তার চোখের ঘুম মুহূর্তেই উবে গেলো। কেননা স্ট্রেচারে শুয়ে থাকা র” ক্তে জর্জরিত মানুষটি আর কেউ নয় বরং আদ্রিশ। আদ্রিশকে এ অবস্থায় দেখে মিমের পুরো দুনিয়া যেনো কিছুক্ষণের জন্য থমকে গেলো। নিঃশ্বাস নিতে ভুলে গেলো সে।
#চলবে
®সারা মেহেক