#প্রেয়সী♥️🥀
#লেখা_মুহতারিযাহ্_মৌমিতা
#পর্বঃ১৪
২৬.
“যে নেই তার উপর অভিমান করা অর্থহীন।” নিজের মনকে এমন বুঝ দিয়েই তপ্ত নিঃশ্বাস ছাড়লাম। রাহিয়ান ভাইয়া আঁড়চোখে তাকালেন। হয়তো মনের আবেগে বলে ফেলা কথা গুলোতে আমার মনের ক্ষ/ত স্থান গুলো পূনরায় ক্ষ/ত-বি/ক্ষ/ত হওয়ার আগাম বার্তা পেয়েছেন। তাই নিজের অশান্ত মনকে শান্ত করে তুলতেই আমাকে কিছু বলতে চান তিনি। কিছু বোঝাতে চান যাতে আমার ক্ষ/ত স্থানের ঘা শুঁকিয়ে যেতে পারে। তবে, সেই সুযোগ আমি তাকে দিলাম না। মা-কে নিয়ে ভাবা আমার অভ্যাস। আর মায়ের স্মৃতি গুলোকে ভেবে ক/ষ্ট পেয়ে কাঁদার পেছনে বাবাকে নিজের মতো আগলে রাখা আমার দায়িত্ব।
মা নেই বলে নিধি হারিয়ে যায়নি। নিজেকে হারাতেও দেয়নি। বরং আরও শক্ত হয়ে বাঁচতে শিখেছে। কেবল হোঁচট খেয়ে পড়ে যাওয়া নিধির অভ্যাস হয়নি সেই হোঁচটের আ/ঘা/ত নিয়ে আবারও উঠে দাঁড়াতে শিখেছে। তাই এই মুহুর্তে রাহিয়ান ভাইয়া মায়ের ব্যাপারে আমাকে আলাদা করে “ক/ষ্ট পেও না,সবাইকেই তো একদিন ওপারে হিসাব দিতে যেতে হবে ব্লা ব্লা” এগুলো বললে আবারও যে আমার পুরনো ক্ষ/ত/তে আ/ঘা/ত পড়বে। মাকে ভেবে বাবাকে সামলাতে গিয়ে আমায় আবারও হোঁচট খেতে হবে। আবারও ভাবতে হবে। ক/ষ্ট পেতে হবে।
—-” নিধি.. প্লিজ তুমি….”
আমি হাত উঠিয়ে উনার কথা মাঝপথেই থামিয়ে দিলাম। উনার কথাতে বাঁধা পড়ায় উনি থমকে গিয়ে আমার দিকে তাকালেন। আমতাআমতা করে আবারও কিছু বলতে নিলে আমি শক্ত গলায় বললাম,
—-” তেমন কিছুই হয়নি ভাইয়া। যা হওয়ার তাই হয়েছে। তার অভিমানের পাল্লা এতটা ভারী ছিলো যে সে আর কোনো পিছুটান রাখতে পারেনি! কেবল একা একা গুমরে ম/রে/ছে। হয়তো কখনো তার কাছের মানুষ টাকেও বুঝতে দেয়নি। লোকে বলে আমি নাকি অপ/য়া! জন্মের সময় মা-কে খেয়েছি!”
—-” হোয়াট!! আব… তুমি…”
—-” হু! তবে আমি লোকের কথায় কান দিয়ে চলিনা। এমনকি তাদের কানাঘুঁষাও আমার কানে তুলিনা। সমাজের এই মানুষ গুলো কে আমি এক চোখে দেখলে অন্য চোখে উপরে তাকাই। কেননা, মায়ের চলে যাওয়ার পেছনে তো কয়েক ঘন্টা আগে জন্ম নেওয়া সেই নবজাতক শিশুটির কোনো হাত ছিলো না তাই না? যা করেছেন সবটা উপরওয়ালা উনার ইচ্ছে তে করেছেন। মায়ের যা ভবিতব্য ছিলো মায়ের সাথে ঠিক তাই ঘটেছে। এখানে বিশেষ নিধির কোনো হাত ছিলো না! তবে অতীত কে আঁকড়ে আর কতদিন? এবার যে আমায় বাবাকে ভালো রাখার সময় এসেছে। বাবাকে আগলে বাঁচার সময় এসেছে। এমন নয় যে আমি ছোট থেকে বাবাকে আগলে রাখতে চেষ্টা করিনি, বাবাকে ভালো রাখতে চেষ্টা করিনি! করেছি। সব ধরনের চেষ্টাই আমি করেছি বিশ্বাস করুন! কিন্তু কোথাও না কোথাও এসে ঠিকই অসহায় হয়ে পড়তাম। মাকে ছাড়া বাবার একাকিত্ব সারাদিন দূর করতে পারলেও সেই রাত টুকু… যখন বাবা একা থাকতো! সেই সময় টুকু আর নিধি কিছু করতে পারতো না! সেই সময় টুকুই আমার বাবাকে আরও পি/ষে নিয়েছে।”
এটুকু বলেই থেমে গেলাম আমি। গলাটা কাঁপছে আমার। আর কিছু বলতে পারছি না! উনি অসহায় মুখে আমার পানে তাকিয়েই ছিলেন। আমি থামতেই মুখে কৃত্রিম হাসি রটালেন। হাত থেকে ঔষধের বক্স পাশে রেখে আমার পাশে বসলেন। পাশে রাখা পানির গ্লাসটার দিকে তাকিয়ে আবার আমার দিকে তাকালেন। মৃদুস্বরে বলে উঠলেন,
—-” আঙ্কেলের কিছুই হবেনা নিধি। আঙ্কেল একদম সুস্থ হয়ে খুব জলদিই ফিরে আসবে তোমার কাছে। আর দেখো আঙ্কেলের তো তেমন কিছুই হয়নি! স..সামান্য একটা কিডনিতে প্রবলেম দেখা গিয়েছে! এ..এটুকুই ব্যাস! ভালো ট্রিটমেন্ট পেলে এক মাসও লাগবে না আঙ্কেলের ঠিক হতে। দেখে নিও।”
তার নির্লিপ্ত কণ্ঠে আমি শান্ত হওয়ার চেষ্টা করলাম। বাবার রোগটাকে সম্পূর্ন ভাবে উপেক্ষা করে “বাবা জলদি ঠিক হয়ে যাবে!” সেই আশায় বুক ভাসালাম। কে-ই বা কি করতে পারবে? যা করার তো ঐ উপরওয়ালা করবেন। এবার নিশ্চয়ই তিনি আর নিধিকে একা করার ফন্দি করবেন না। বাবা কে ঠিক সুস্থ করে খুব শীঘ্রই নিধির কাছে ফিরিয়ে দিবেন।
—-” ছোট সাহেব আসবো?”
পেছন থেকে লিয়ার গলা পেতেই চমকে উঠলাম আমি। উনি ঘাড় ফিরিয়ে লিয়াকে খাবারের ট্রে হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চটজলদি উঠে দাঁড়ালেন। গলা খাঁকারি দিয়ে পেটের কাছ থেকে কুঁচকে যাওয়া টি-শার্ট টেনে সোজা করতে করতে বললেন,
—-” হ্যাঁ হ্যাঁ আয়।”
লিয়া হাসি মুখে ঢুকে এলো ভেতরে। আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হেসে জিজ্ঞেস করলো,
—-” আপু আপনার শরীর এখন কেমন লাগছে? একটু উঠে বসে খাবারটা খেতে পারবেন তো? নাকি ক/ষ্ট হবে?”
আমি না সূচক মাথা নাড়লাম। ক্লান্তস্বরে বললাম,
—-” না সমস্যা নেই। পারবো।”
লিয়া খাবারের ট্রে টা পাশে রাখতে রাখতে বলল,
—-” আচ্ছা, তাহলে আমি আপনাকে উঠে বসতে সাহায্য করি?”
—-” হু।”
আমার জবাব লিয়ার কান অব্দি পৌঁছানোর পূর্বেই ঝড়ের বেগে সামনে এসে দাঁড়ালেন রাহিয়ান ভাইয়া।
লিয়া তাকে প্রশ্ন করার আগেই তার উত্তর তৈরী,
—-” সাবধানে ধরে উঠাবি…ওর শরীর ঠিক নেই কিন্তু।”
উনার কথায় লিয়ার রিয়াকশন শূন্য। আমি ভাবলাম মাইরি একখানা রিয়াকশন দিবে লিয়া। কিন্তু না, আমাকে অবাক করে দিয়ে লিয়া মুখ টিপে হাসলো। ওর হাসিতে যোগ হলো আরও দুজন। আদ্রিতা আপু আর রিম্মি আপু।
রাহিয়ান ভাইয়া পেছন ফিরে তাদের দাঁড়িয়ে হাসতে দেখে অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে হাসলেন নিজেও। একহাত তুলে মাথা চুলকে গলা খাঁকারি দিয়ে আমতা আমতা করে কিছু বলতে নিলেই বাঁধ সাধলেন আদ্রিতা আপু। মিটমিট করে হাসছে সে। আমাকে একবার ভালো করে দেখে নিয়ে রাহিয়ান ভাইয়ার সামনে এসে দাঁড়ালো। রসিকতা করে বলল,
—-” তা এতোই যখন দুঃশ্চিতা হচ্ছে মশাই, তো নিজে ধরে বসালেই তো পারো?”
রাহিয়ান ভাইয়ার হঠাৎই কাশি উঠে গেলো। কাশতে কাশতে আঁড়চোখে একবার আমার দিকে তাকিয়ে আদ্রিতা আপুর দিকে তাকালো। আদ্রিতা আপু আবারও হেসে ফেললো। রিম্মি আপু আমার পাশে এসে বসলো সেই প্রথমেই। আমাকে উঠে বসতে সাহায্য করে বলল,
—-” এই বাড়িতে রিম্মির দিন শেষ এখন নিধির বাংলাদেশ। কি বলো বউমনি?”
কথাটা বলে খটখট শব্দ করে হেসে উঠলো রিম্মি আপু। তাদের এই উল্টোপাল্টা জোক্সে কেন জানিনা আমার মোটেই হাসি পাচ্ছে না। কেননা, আমি তাদের কথার আগাগোড়া কিছুই ধরতে পারছিনা। হঠাৎ রাহিয়ান ভাইয়া ধমকে উঠলেন রিম্মি আপুকে। বকার সুরে বললেন,
—-” কান লাল করে অনেক দিন হলো চড় খাসনা আমার হাতে। এবার মনে হচ্ছে খাওয়ার সময় এসে গেছে।”
রিম্মি আপু হাসতে হাসতেই হাসি কন্ট্রোল করে নিলো। আদ্রিতা আপু মুখ টিপে হেসে এবার বেশ সহজ গলায় বলল,
—-” আচ্ছা অনেক হয়েছে। এবার তুমি যাও আর তোমার ভাইকে একবার কল করে কথা বলে নাও! তোমাকে খুঁজছিলো কথা বলবে বলে!”
—-” ওকে যাচ্ছি। তুমি এখানের কাজ শেষ করে একটু নীচে এসো। কিছু কথা আছে তোমার সাথে।”
আদ্রিতা আপু মাথা ঝাকালো। রাহিয়ান ভাইয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে পা বাড়িয়েও আবার পেছন ফিরে তাকালো। বলল,
—-” আচ্ছা বউমনি, তোমাকে কি আবির কল করেছিলো?”
“বউমনি” উনার মুখে এই ডাকটা শুনতেই আমার চোখ দুটো ডিম্বাকৃতির আকার নিলো! ঝামেলায় ঝামেলায় তো ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমি আদ্রিতা আপুকে উনার বউ ভেবে বসে আছি! অদ্ভুত! কেউ নিজের বউকে বউমনি বলে ডাকে? হাউ ডিজগাস্টিং!
আদ্রিতা আপু মৃদু হেসে জবাব দিলো,
—-” আবির কাল আসবে এখানে। তোমার উপর
মা/রাত্মক ক্ষে/পে আছে। তোমাকে নাকি পঞ্চাশ বারের উপরে কল করে ফেলেছে কিন্তু তুমি ওর কলই তুলোনি!”
রাহিয়ান ভাইয়া ফ্যাকাশে মুখে জবাব দিলেন,
—-” এতো ঝামেলার পরে কখন সময় পেলাম বলো? কাল থেকে তো আমার ফোনই গায়েব।”
রিম্মি আপু বলল,
—-” তোমার ফোন ফাহিম ভাইয়ের কাছে। নিয়ে নিও!”
আদ্রিতা আপু বলল,
—-” এমন হলে হবে? বেচারাও তো নিধির ব্যাপার টা নিয়ে বেজায় টেনশনে আছে। তুমি একটা কল করে নিলেও পারতে।”
—-” আবির কে?”
মনের প্রশ্ন মুখে এসে বাইরে চলে আসবে নিজেও বুঝতে পারিনি। খানিকক্ষণের জন্য ভড়কে গিয়ে জিভ কাটলাম। যদিও কেউ দেখেনি। সবার দৃষ্টি এখন আমাতে নিবদ্ধ। রাহিয়ান ভাইয়া অলস ভঙ্গিতে বললেন,
—-” আরফান।”
এদের এতো এতো নাম কেন? কেউ দেখি একটা নামে মোটেই খুশি নয়! যদিও তাদের বলেই না কি লাভ? আমি নিজেই তো দু-দুটো নাম চেপে বসে আছি।”
—-” আরফান ভাইয়া?”
—-” হু। আরফান আবির।”
আমি বোকা হেসে বললাম,
—-” নাইস নেইম!”
আমার হাসিতে উনার অলস ভঙ্গিমা কেটে গেলো। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট গলায় বললেন,
—-” ইট’স নরমাল। নাইস-ফাইস কিছুনা!”
কথাটা বলেই উনি বেরিয়ে গেলেন। উনার হঠাৎ অলস ভঙ্গিমা ছেড়ে স্পষ্ট ভঙ্গিমাতে আমি আবারও খানিক ভড়কে গেলাম।
২৭.
মধ্যরাতে জ্ব/র ছেড়েছে আমার। রাতে রিম্মি আপু শুয়েছিলো আমার সাথে। তখন খাওয়া দাওয়ার পরে ঔষধ খেয়ে শুতেই শরীর আবারও নিস্তেজ হয়ে এসেছিলো। বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই ভ/য়ং/ক/র ঘুম হানা দিলো আমার দু-চোখের পাতায়। আবারও সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে গেলাম। মাঝরাতে যখন জ্ব/র ছেড়েছে তখন কয়েক মিনিটের জন্য ঘুমটা ভাঙলেও ক্লান্তিতে আবারও ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘড়িতে সময় এখন ৮ টা ১০। ঘুম ভাঙলো ঠিক ৭ টায়। উঠে মিনিট দশেক পুরো রুমে পায়চারি করলাম। শরীর এখন বেশ চাঙ্গা তাই শুধু উরাধুরা দৌড়াদৌড়ি করতে ইচ্ছে করছে। ভাবলাম ব্যালকনিতে গিয়ে ভাঙা গলায় কতক্ষণ চেঁচাই। পরক্ষণেই মনে হলো, “নিধি এটা তোর বাড়ি নয়!” তাই আপন মনেই আবার দমে গেলাম। রিম্মি আপু বেশ আয়েস করে ঘুমচ্ছে। নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় তার মুখটা মৃদু হা হয়ে যাচ্ছে। আবার যখন ভেতরে টেনে নিচ্ছে তখন আবার মুখটা নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমি ঠাঁই দাঁড়িয়ে থেকে আপুর শ্বাস নেওয়া দেওয়ার পর্যবেক্ষন চালালাম কতক্ষণ। অতঃপর নিজের এমন বেহুদা কাজে নিজেই বিরক্ত হয়ে নিঃশব্দে পা টিপেটিপে ঘর থেকে বের হয়ে এলাম। আশেপাশে সর্তক নজর দিচ্ছি, মুলত ছাদের সিঁড়ি খুঁজছি। ঠিক কোন পাশ থেকে এগোলে ছাদের হদিশ পাবো? হঠাৎ বাম পাশে চোখ পড়তেই রাহিয়ান ভাইয়ার রুমের অর্ধেক খোলা দরজাটা দেখতে পেলাম। আমার কপালের মাঝখানে কতেক চিন্তাদের আনাগোনা শুরু হতেই মনে মনে বলে উঠলাম,
—-” এতো সকালে উনি রুম ছেড়ে কোথায় গেলেন?”
মনের এ ভাবনাকে বিশেষ পাত্তা না দিয়ে আমি আবারও মনে মনে বুলি আওড়ালাম,
—-” হয়তো বেরিয়েছেন!”
—-” নিধি? এতো সকালে! কি গো শরীরে জ্ব/র কেমন এখন?”
পেছন থেকে হাওয়ায় ভেসে আদ্রিতা আপুর গলা পেতেই থমকে গেলাম আমি। মুখে মিষ্টি হাসি জুড়ে পেছন ফিরে তাকিয়ে বললাম,
—-” জ্ব/র ছেড়েছে সেই মধ্যরাতে। আমার আবার অসুস্থতা বেশি কাবু করতে পারেনা! এই হঠাৎ চলে আসবে আবার হঠাৎ চলে যাবে।”
আদ্রিতা আপু অমায়িক হেসে বলল,
—-” সুস্থ হয়ে গিয়েছো সেটাই আলহামদুলিল্লাহ। এখন চলো নিচে চলো, তোমায় ব্রেকফাস্ট দিচ্ছি!”
আমি হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লাম। আদ্রিতা আপুর সাথে হাঁটার পথেই আবারও একবার তাকালাম রাহিয়ান ভাইয়া খোলা দরজার দিকে। মনের মধ্যে নেচে বেড়ানো প্রশ্ন টা আদ্রিতা আপুকে জিজ্ঞেস করা ঠিক হবে কিনা ভাবতে ভাবতেই জিজ্ঞেস করে বসলাম,
—-” আপু, রাহিয়ান ভাইয়া এতো সকালে কোথাও বেরিয়েছেন বুঝি?”
আদ্রিতা আপু যেতে যেতে পেছন মুড়ে উনার দরজার দিকে একবার তাকিয়ে মথা নাড়লো। বলল,
—-” হু। এতো সকাল কি বলছো? রাহিয়ান তো সেই ভোরে উঠে।”
—-” ভোরে উঠে? কেন?”
—-” তার লাইফে রুলসের কোনো শেষ আছে? সারাক্ষণ তার লাইফ চার্ট মেইনটেইন করা। ভোর সকালে উঠে কি করে জানিনা তবে সাড়ে ছয়টার দিকে জগিংয়ের জন্য বের হয় রোজ।”
—-” এতো ভোরে?”
—-” হু। আর জানো একদিনও মিস হবেনা। একদম টাইমলি রোজ বের হবে।”
—-” রোজ! মনে করো কখনো শরীর খারাপ হলেও মিস হবে না?”
আদ্রিতা আপু আমার দিকে তাকিয়ে হেসে ফেললো। না সূচক মাথা নেড়ে বলল,
—-” একদম নয়! রুলস উজ রুলস! আমি বলিনা। রাহিয়ান বলে!”
#চলবে_____________