প্রেম পিয়াসী পর্ব ৩২

0
485

#প্রেম_পিয়াসী ❤️
#লেখিকা_মুহতারিযাহ্_মৌমিতা
#পর্ব________৩২ ❤️

বেডের সাথে লাগোয়া জানলাএলটার পর্দা গুলো মৃদু বাতাসে উড়ছে। সেই সাথে ঝিরিঝিরি হাওয়াগুলো তেড়েমেড়ে ভেসে আসছে রুমের মধ্যে। ভোর ৫টা বাজে। ফজরের আজানের ধ্বনি ভেসে আসছে তীক্ষ্ণ শব্দে। ইলহাম চোখ মেলে তাকালো। মাথার কাছে বড় একটা জানলা। সেই জানলা থেকেই ভোরের সচ্ছ একটা ঘ্রাণ এসে নাকে বারি খাচ্ছে। বুক ভরে টেনে নিঃশ্বাস নিলো ইলহাম। এক প্রশান্তি হাতছানি দিয়ে গেলো সর্বাঙ্গে। পাশেই রাদ ঘুমোচ্ছে। একবার পাশ ফিরে তাকালো ইলহাম। একজন বিবাহিত মেয়ের বিয়ের পর বোধহয় এমন একটা দিনের শুরুই কাম্য থাকে। ইলহাম মনেমনে “আলহামদুলিল্লাহ” বলে উঠে বসলো। কাল রাতে সে রাদের বাহুডোরে গুটিশুটি মে/রে ঘুমিয়েছে। রাদ কিছু বলতে পারেনি, কিংবা কোনোরূপ প্রশ্নও করতে পারেনি। সেও অনুভব করেছে তার প্রিয় মানুষটার এমন পা/গ/লা/মো।

—-” এতো জলদি উঠে পড়লেন কেন?”

ইলহাম উঠে গোসল করে নিলো। কচুপাতা রঙের শাড়িটা পাল্টে পড়ে নিলো লাল টুকটুকে সুতির শাড়ি। লম্বা চুলগুলো বেয়ে এখনোও জল গড়াচ্ছে। ইলহামের টুংটাং করা শব্দে রাদেরও ঘুম ভে/ঙে গেলো। চোখ খুলতেই এমন মোহময়ী দৃশ্য দেখে তার তার দম ব/ন্ধ হওয়ার উপক্রম। রাদকে এমন ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতে দেখে অবাক স্বরে উপরোক্ত কথাটা জিজ্ঞেস করলো ইলহাম। রাদ বিছানায় আধশোয়া হয়ে শুয়ে আছে। গোলগাল চোখে পূর্বের ন্যায় চেয়ে থেকেই জবাব তৈরি করলো,

—-” অদ্ভুত সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখে ঘুম ভে/ঙে গেলো।”‘

রাদের কথার মানে যে ওকেই ইঙ্গিত করেছে সেকথা বেশ বুঝতে পারছে ইলহাম। তাই লজ্জা মিশ্রিত হাসলো। হেসে বলল,

—-” আচ্ছা, তাই নাকি?”

রাদ মাতাল হেসে বলল,

—-” একদম। কিন্তু ম্যাম, আপনি এতো ভোর ভোর সাওয়ার কেন নিলেন? ব্যাপার কি!”

বাজানো গলায় বলল রাদ। তবে এবার তার কথার ধরন ভিন্ন। বুঝতেই ভেতরটা কেমন করলো ইলহামের। লজ্জা পেলো আরেকটু খানি। কথা ঘোরাতে বলল,

—-” এমনি। আপনি উঠে ফ্রেশ হয়ে, নামাজ পড়ে নিন। আমি, আসছি।”

—-” কোথায় যাচ্ছো?”

—-” চা বানাবো। আজকের সূর্যোদয় আমরা একসাথে দেখবো। চা খেতে খেতে!”

—-” আচ্ছা বেশ। কিন্তু, তুমি নামাজ পড়বেনা?”

বিছানা ছাড়তে ছাড়তে বলল রাদ। ফের মনে পড়লো ইলহাম অসুস্থ। তাই আবার নিজেই কথা ঘোরাতে বলল,

—-” ও সরি! যাও, চা বানাও। আমি নামাজ পড়ে নিচ্ছি।”

ইলহাম মৃদু হেসে প্রস্থান করলো। রাদও চলে গেলো ফ্রেশ হওয়ার উদ্দেশ্য।

ঘড়িতে বোধহয় ৬টা বাজে। এখনও সূর্যোমামার দেখা নেই। চারপাশটা এখনও বেশ অন্ধকার বলে ঠাহর হচ্ছে। তবে সেভাবে অন্ধকার না। আকাশে মেঘেদের কোলাহল। মাঝেমাঝে ভোরের এই সময়টা পূর্বাকাশে মেঘেদের দর্শন মেলে। আজও তাই। ইলহাম একটা ছোট্ট ফ্লাক্স আর দুটো চায়ের কাপ নিয়ে রাখলো দোলনার পাশে। রাখতে রাখতে কাপের পাশে ট্রেতে রাখা চামচটা একটু সরে গেলো। পেছন থেকে হাতে চিনির ছোট্ট বৈয়ামটা নিয়ে এসে দাঁড়ালো রাদ। ইলহাম পেছন ফিরে রাদের হাত থেকে নিয়ে নিলো সেটা। ফের আরেকবার তাকিয়ে চোখের রাদকে ইশারায় বসতে বসলো দোলনায়। রাদ পড়নে নীল রঙের একটা টি-শার্ট। সেই সাথে মোটা ট্রাউজার। আর পায়ে বাসার স্যান্ডেল। টি-শার্টটা জিম করা শরীরে টাইট হয়ে লেগে আছে। সেটা একবার টেনেটুনে বসলো দোলনায়। ইলহাম আঁড়চোখে দেখলো চেয়ে। কিছু বলল না। সে চায়ের কাপে চা ঢেলে ২চামচ করে চিনি দিয়ে এককাপ তুলে দিলো রাদকে। রাদ কাপটা নিয়ে কিছু একটা ভেবে বলল,

—-” ডক্টরের কাছে যাবে আজ?”

রাদের প্রশ্নটা শুনলো ইলহাম। প্রশ্ন শুনে বুঝতে অসুবিধা হয়নি রাদ কেন ওকে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা বলল। ইলহাম নিজের কাপটা নিয়ে রাদের পাশে বসলো। অতঃপর বিনা বাক্যে চুমুক দিলো চায়ের কাপে। ফের রাদের ন্যায় ভাবুক কন্ঠে বলল,

—-” যাবো। তবে অন্য কারনে। আর আজ নয়।”

রাদও চুমুক বসালো কাপে। জবাবে বলল,

—-” অন্যকারনে মানে! নতুন কোনো প্রবলেম হচ্ছে না তো?”

রাদের কন্ঠে চিন্তা। ইলহাম ভেতরে ভেতরে লজ্জা পাচ্ছে। ও এই মুহুর্তে এই বিষয়ে কিছু বলতে চায়না রাদকে। তাই কথা ঘোরানোর তালে বলল,

—-” নতুন কোনো প্রবলেম নয়। পুরনো প্রবলেমই।”

রাদকে এবার আরও চিন্তান্বিত দেখালো। সে হাতের কাপটা নামিয়ে রাখলো ট্রে-তে। অতঃপর ইলহামের দিকে ঘুরে বসে উদ্বিগ্ন কন্ঠে বলল,

—-” পে/ইন কি বেড়েছে আগের তুলোনায়?”

ইলহাম ফ্যাকাসে মুখে দেখলো রাদকে। ও যে এই টপিকটা পাল্টাতে চায় এই মুহুর্তে। বুঝছেনা কেন মানুষটা!

—-” তোমার মুখটা এমন লাগছে কেন সুইটহার্ট! বলো কি হয়েছে? তুমি এমন কেন বলবে প্লিজ! নিজের কষ্টগুলো কেন এমন করে হাইড করো? এটলিস্ট মাকে তো বলতে পারো! পে/ইন বেড়েছে তাই না?”

রাদের ব্যাকুল কন্ঠে শিরশিরে এক অনুভূতি খেলে গেলো ইলহামের সর্বাঙ্গ জুড়ে। বুকটা ধুকপুক ধুকপুক করছে ওর। অস্থিরতায় চা-টা আর খেতে পারছেনা। রাদ কথা গুলো বলতে বলতে হাত রাখলো ইলহামের পেটে। আলতো স্পর্শে ধরে রেখে বলল,

—-” কোনো পরে-টরে নয়! আজই যাবো ডক্টরের কাছে। এবার আরও বড় ডক্টর এপয়েন্ট করবো। তুমি একদম টেনশন করোনা।”

মানুষটা বড্ড অদ্ভুত রকমের ভালো। ইলহাম মনে মনে তৃপ্তিদায়ক হাসলো। রাদের ব্যাকুল নেত্রদয় ইলহামের ঠোঁট,নাক এবং চোখ বরাবর পায়চারি করছে। ভেতরে ভেতরে এক পবিত্র টান অনুভব করছে সে। যা মাঝখানে হারানোর পথে ছিলো একরকম। মাঝের একরাতে পূণরায় ফিরে এসেছে।

রাদের চোখজোড়ায় সেই অনুভূতিদের মেলা ধরতে পারলো ইলহাম। রাদ ব্যকুল নেত্রজুগল নিয়ে একটু একটু করে এগিয়ে আসছে ইলহামের কাছে। ইলহাম একটু কাঁপলো ভেতরে ভেতরে। ওর মন অন্যকিছুর আভাস দিচ্ছে। রাদের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকা সম্ভব নয় তার জন্য। তাই ফট করে চোখ নামিয়ে নিলো। তবে তাতে রাদের বিন্দুমাত্র পরিবর্তন নেই। সে পূর্বের কর্মে অটল। ইলহাম এবার সত্যি সত্যি কাঁপছে। এই বুঝি রাদের উষ্ণ শীতল ছোঁয়া রুদ্ধ করলো তার ঠোঁটজোড়াকে। ভেবেই গলা শুঁকিয়ে আসছে। ঢোক গিলছে। নিঃশ্বাস ফেলছে ভারি ভারি। কিন্তু না, এমন কিছুই ঘটলোনা। বরং তাকে অবাক করে দিয়ে রাদ তার ললাটের ঠিক মধ্যিখানে ভালোবাসার ছোট্ট একটা পরশ একে দিলো। রাদের উষ্ণ ছোঁয়া এসে লেপ্টে গেলো তার ললাটের কেন্দ্রবিন্দুতে। ইলহাম পরম আবেশে চোখ জোড়া বুঁজে নিলো। এই ছোঁয়া তার হৃদয় হরন করে নিলো এক মুহুর্তেই। এতো শান্তি যেন ওর গোটা জীবনে হয়নি। এমন সুখকর অনুভূতিতে যখন সে উন্মাদ হয়ে ভাসছে ঠিক তখনই শুনতে পেলো এক মধুর বানী,

—-” একদম চিন্তা করোনা। সব ঠিক হয়ে যাবে। আমি আছি তো।”

ইলহামের বুকের ভেতরটা শীতল হয়ে গেলো এহেম শ্রুতিমধুর বানীতে। ওর ইচ্ছে করলো মানুষটাকে ঝাপটে ধরে বলতে,

—-“(কিছু হয়ে গেলেও আমার দুঃখ নেই। কারন আমার কাছে আপনি আছেন তো। আপনি কাছে থাকলে আমি হাসতে হাসতেও ম/র/তে পারি। ভালোবাসি। আমি আপনাকে ভীষণ ভীষণ ভালোবাসি।)

কিন্তু আক্ষেপ, ইলহাম কথাটা মনেমনে বলতে পারলেও মুখে কিছু বলতে পারলোনা। কে জানে, রাদ কিছু আন্দাজ করতে পারলো কি-না?

—-” আজ ঝুম-পাখির জন্মদিন। ভাবছি ওর জন্য একটা সারপ্রাইজ পার্টি করবো। কেমন হয়?”

চায়ের কাপটা উঠিয়ে ফের চুমুক বসালো রাদ। ইলহামের কথায় স্মিত হেসে মাথা দুলিয়ে বলল,

—-“খুব ভালো হয়। কি কি করতে হবে বলে দাও। সব এরেঞ্জ হয়ে যাবে।”

—-” সে না হয় হবে, কিন্তু আমার যে আপনাকে চাই!”

বাচ্চাসুলভ কন্ঠে কথাটা বলল ইলহাম। বলে ফের ঠোঁট উল্টে তাকালো রাদের পানে। ইলহামের এহেম আবদারে রাদ মুখে গরম চা নিয়েই বিষম খেলো। হুট করে কেশে উঠলো। রাদের কাশি ওঠাতে চমকে উঠলো ইলহাম। চিন্তিত নয়নে একবার দেখে চটজলদি নিজের চায়ের কাপটা পাশে রেখে রাদের পিঠ চাপড়াতে লাগলো। কাশতে কাশতে দাঁড়িয়ে গেলো বেচারা রাদ। দাঁড়ালো ইলহামও। ওর চোখেমুখে ভ/য়। অসহায় কন্ঠে বলল,

—-“ক.. কি করছেন! দেখে খাবেন তো!”

কাশি কমলো খানিকটা। রাদ গলা খাঁকারি দিলো বার কয়েক। অতঃপর ইলহামের দিকে তাকালো আঁড়চোখে। যেন কিছু বোঝেনি এমন কন্ঠে বলল,

—-” তোমার আমাকে চাই মানে! ব..ব্যাপার কি!”

এক ভ্রু নাচিয়ে শেষোক্ত কথাটা বলল রাদ। ইলহাম কতক্ষণ ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে রইলো রাদের পানে। রাদের কথার ইঙ্গিত বুঝতে ওর কয়েক মিনিট সময় লাগলো। পরক্ষণেই লজ্জা মুষড়ে পড়লো রাদের সামনেই। রাদ বাঁকা হাসলো। হঠাৎ কিছু না বলে ইলহামের কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করে বলল,

—-” কি ফন্দি আঁটছো মনে মনে? সাবধান, আমি কিন্তু সব বুঝতে পারি!”

রাদের কথায় ইলহাম খিঁচে চোখজোড়া বন্ধ করে নিলো। রাদটাও না, সুযোগের হাত ছাড়া করতে চায়না। সুযোগ পেলেই হলো।

—-“ধ্যাৎ! আ..আমি কি তা বললাম নাকি!”

—-” হু? তা বললে না মানে? কি বললে না?”

—-” ক..কিছুনা!”

ইলহামের পূণরায় বুক কাঁপছে দুরুদুরু। ওর যতদূর মনে পড়ে ইতিপূর্বে রাদই যতবার ওকে কাছে নিয়েছে। ও কখনোও নিজের থেকে নিজের উদ্যমে আগে হাত বাড়ায়নি রাদের দিকে। তবে আজ এমন কিছুই করতে যাচ্ছে। কিন্তু, ভবিষ্যৎ ভেবেই ওর পা এঁটে যাচ্ছে। জানেনা, আদৌ সবটা প্ল্যান মতো হবে কিনা!

____________

—-“হ্যাপি বার্থডে টু ইউ! হ্যাপি বার্থডে টু ইউ, হ্যাপি হ্যাপি হ্যাপি বার্থডে ডিয়ার নিঝুম! হ্যাপি বার্থডে টু ইউ!”

চারপাশে করতালিতে হ্যাপি বার্থডের স্লোগান ভেসে আসতেই ঠোঁট জোড়ায় গাঢ় লাল লিপস্টিক দিয়ে সাজের ইতি টানলো ইলহাম। আজ মুখে বাহ্যিক কোন প্রসাধনী নেই বললেই চলে। কেবল গাঢ় কাজল এবং গাড় লাল লিপস্টিক। কপালের মাঝে লাল টিপটা ঠিক করে নিলো। হাতের লাল রেশমি চুড়ি গুলো ফের একবার বাজিয়ে নিলো। গলার ছোট্ট লকেটটা এবং কানের দুলটা একঝলক দেখে লজ্জা মিশ্রিত হাসলো। খোলা চুলে বেলীফুলের মালাটা শেষবারের মতো ঠিক করতে ভুললো না। সকালের ন্যায় বক্ষপিঞ্জরের আনচানে ভাবটা কেবল বেড়েই যাচ্ছে। বারাবর দম ব/ন্ধ হয়ে আসতে চাচ্ছে। এক অজানা অনুভূতি হৃদ মাঝারে লাগাতার ঠকঠক ঠকঠক করে বাজছে। এ যেন দরজায় করাঘাত করাকে বোঝায়।

সকালের ন্যায় শাড়ীটা লাল হলেও এবার আপাদমস্তক পুরোটা সিল্ক। তবে সফ্ট এবং অবশ্যই কমফোর্টেবল। এমন শাড়ি ইলহাম কেবল সচারাচরই নয়, কখনোই পড়েনা। তবে আজ পড়েছে একান্তই নিজের মানুষটার জন্য। ও জানেনা, ওর এমন রূপে রাদ ঠিক কতটা কাহিল হতে চলেছে। ইলহামের মতে এমন কন্ট্রোললেস শাড়ি কখনোও না পড়াই ভালো। কখন কোথা থেকে খুলে আসবে, জানা নেই।

নীচে যাওয়ার পূর্বে সজ্জিত কক্ষখানা পূণরায় একবার দেখে নিলো ইলহাম। ঘরের প্রতি কোনায় কোনায় গোলাপের মিষ্টি গন্ধে মৌ মৌ করছে। সে স্বার্থক হয়েছে মনের মতো সবটা সাজিয়ে তোলাতে। এবার, রাদের ফেরার পালা। রাত ৮ টা বেজে গেছে। এখনও ফেরার নাম নেই মানুষটার। বলেছিলো তো ৭টার মধ্যে ফিরে আসবে। এতো কিসের কাজ তার বুঝতে পারেনা ইলহাম। একটা দিন একটু জলদি ফিরলে কি হতো?

কথাগুলো ভাবতে ভাবতে মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে ওর। কিন্তু নিজেকে সামলে নিচ্ছে। আজকের মতো এমন একটা দিনে আর যাই হোক, মন খারাপ করা যাবেনা। ভাবতে ভাবতে জনসমাজে এসে দাঁড়ালো। আজ বাড়ির সবাই ভীষণ খুশি। সবচেয়ে বেশি খুশি নিহা। পাশাপাশি নিহার শাশুড়ীও। নিহার শাশুড়ী ভাবতেন ইলহাম এসে তার নাতনির ভালোবাসাটুকু নিজের দখলে নিয়ে গেছে। কিন্তু যখন বুঝতে পারলেন এমন কিছুই না, বরং ইলহাম আসাতে তার নাতনির আদরের একটা ভাগ বেড়ে গেলো তখন আর ইলহামকে অপছন্দ করে থাকতে পারলেন না।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here