প্রেম পিয়াসী পর্ব ২১

0
536

#প্রেম_পিয়াসী ❤️
#লেখা_মুহতারিযাহ্_মৌমিতা
#পর্ব__________২১.

ইলহামকে বেশ সময় যাবত ঘরে দেখতে না পেয়ে সব জায়গাতেই খুঁজতে লাগলো রাদ। কাউকে ডেকে জিজ্ঞেস করারও জো নেই। কেননা, সে এখানের কাউকেই চেনেনা। মাকে বা নিহাকে জিজ্ঞেস করার জন্য গেলেও তাদের যথাস্থানে পেলোনা। তাই ইলহামের কথা জানতে গিয়ে পূনরায় তাদের খুঁজে বের করার ব্যাপারটা এই মুহুর্তে নিতান্তই সময় ন//ষ্ট হবে। তাছাড়া বিকেলের পর থেকে নিজের ফোনটা পাচ্ছে না সে। কোথায় রেখেছে ঠিক মনে পড়ছেনা। ব্যস্ততায় আর খুঁজে দেখা হয়নি। হঠাৎ দেখতে পেলো গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে উপরে ওঠার সিঁড়িতে দুটো বাচ্চা বসে খেলছে। রাদের মনে পড়লো সন্ধ্যার বেশ খানিকটা সময় ইলহামকে এই বাচ্চা দুটোর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তাদের কাছে জিজ্ঞেস করলে নিশ্চয়ই বলতে পারবে ইলহামের কথা।

রাদ তাদের কাছে ইলহামের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তারা জবাবে বলে, “প্রায় অনেক্ষন আগে তারা ইলহাম কে ছাঁদে যেতে দেখেছিলো। এরপর আর দেখেনি।”

কথাটা শোনা মাত্র রাদ নিজেই নিজের মাথায় গাট্টা বসালো। ঘরে না থাকলে ছাঁদ ছাড়া আর কোথায় যাবে? এই সামান্য কথাটা মাথায় এলোনা একবারও।

অতঃপর ছাঁদে এসে ইলহামকে এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে প্রথম দফায় বেশ অবাক হলেও পরক্ষণেই দেখা মিলে অন্তুর। অন্তুর ওমন লোভাতুর দৃষ্টিকে পর্যবেক্ষণ করতে রাদের দু’দন্ডও সময় লাগলোনা। রা//গে শরীরের প্রতিটি শিরায় উপশিরায় র/ক্ত ছিটকে উঠতেই কিছু না ভেবে শরীরের সমস্ত শক্তি এক করে অন্তুর বুক বরাবর লাথি মা//রে রাদ। অন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছিটকে পড়ে মেঝেতে।

___________

নিস্তব্ধতায় খা খা করা রজনী হঠাৎ গুমরে উঠলো অন্তুর কোঁকানির শব্দে। পেটে হাত চেপে বিকট শব্দে আ/র্ত/নাদ করে চেঁচালো অন্তু। ইলহাম আঁতকে উঠে পিছিয়ে গেলো দু’কদম। রাদ নিজের মধ্যে নেই। হিং//স্র দা/ন/বের মতো হুং/কার করে এলোপাতাড়ি মা//র//তে লাগলো অন্তুকে। মেঝেতে হাঁটু মুড়ে বসে অন্তুকে চেপে ধরলো ওখানটায়। অন্তু দ/ম আঁ/টকা পরিস্থিতিতে পড়ে তার হাত-পা এদিক ওদিক ছুঁড়তে লাগলো বাঁ/চা/র আকুতিতে। ইলহাম ক্রমাগত কাঁপছে ভ*য়ে। এই বুঝি রাদের আসল রূপ! যা ইতিপূর্বে কোনোদিন দেখার দূ/র্ভাগ্য হয়নি ইলহামের। ইলহামের নিঃশ্বাস নিতে ক/ষ্ট হচ্ছে। বড় বড় নিঃশ্বাস টানতে লাগলে কর্ণকুহরে প্রবেশ করে রাদের বজ্রকণ্ঠ,

—-“অনেক বড় ভুল করলি অন্তু! তুই আমার এখানটায় (বুকের বা পাশকে নির্দেশ করে) আ/ঘা/ত করার দুঃসাহস দেখিয়েছিস! সি। এখানটায়! আজ তোর ম/র/ন নিশ্চিত রে। (দাঁতে দাঁত চেপে)”

কথাটা বলেই মুখ বরাবর এলোপাতাড়ি ঘু/ষি মা/র/তে শুরু করলো রাদ। অন্তুর ঠোঁটের কোন এবং নাক গলিয়ে র//ক্ত পড়তে লাগলো। ক্লান্তির শেষ স্তরে নেমে হাল ছেড়ে দিলো অন্তু। রাদের সাথে ও কোনোদিন পারবেনা” কথাটি মনে প্রাণে বিশ্বাস করে অন্তু। তবে, ঘটনা প্রবাহে এমন করে ধরা পড়বে তা যেন ভাবনাতীত ছিলো।

রাদ রা/গে দিন দুনিয়া ভুলে বসেছে। তা তার বিবর্ণ মুখখানা দেখলেই বোঝা যায় স্পষ্ট। এই মানুষ টা এখন অন্তুর সাথে ঠিক কি কি করবে তা যে ধারণা করার বিন্দুমাত্র সাহস নেই ইলহামের। রাদ হেঁচকা টানে অন্তুকে টেনে তোলে ফ্লোর থেকে। অন্তু শূন্যে ভেসে কোনোমতে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বৃথা হয় রাদের রা/গে/র বিপরীতে। অন্তুকে কোনো মতে দাঁড় করিয়েই রাদ পূর্বের ন্যায় সজোরে লা/থি মা/রে অন্তুকে। অন্তু পূণরায় ছিটকে পড়ে অদূরে। তবে এবার নীচে পড়েনা। ছাঁদের রেলিঙ ধরে নিজেকে পড়া থেকে বাঁচায় অন্তু। অতিরিক্ত রা/গে রাদ অ/ন্ধ এখন। আ/গু/নে/র ন্যায় ঝলকানি দিচ্ছে রা/গগুলো। টগবগ করছে মস্তিষ্ক। কিন্তু এসবে কিছু যায় আসেনা অন্তুর। সে জানে সে রাদকে হারাতে পারবেনা। কিন্তু তাই বলে যে ইলহাম এবং রাদের মাঝে সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটিয়ে মনের পৈ/শা/চিক আনন্দ টুকু রপ্ত করতে পারবে না এমন টা নয়। এসব কাজ সে খুব ভালো করেই পারে। তাই প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ঠোঁটের কোনে সেই গা জ্ব/লানো হাসিটুকু জুড়ে দিলো ঠিকই। কেমন একটা গা পোড়ানো হাসি অন্তুর।

সহসা ভেতরটা ধক করে উঠলো ইলহামের। কোনো অ/ঘ/ট/নে/র পূর্বাভাস পাচ্ছে সে। রাদের রাগটা পাল্লা দিয়ে বেড়ে যায় অন্তুর হাসিতে। তেড়ে গিয়ে অন্তুর কলার চেপে ধরলে অন্তু সুযোগের সদ্ব্যবহার করে সেই ব্লা//স্ট/টা ফাটায়। তাচ্ছিল্য করে হেসে বলে ওঠে,

—-“ভুল আমি করিনি, রাদ! ভুল করেছিস তুই। আমি তো কেবল পরখ করছিলাম। কিন্তু তুই? তুই তো ভাই ঠকে গেলি অন্ধবিশ্বাস করে। সেটা কি ঠিক হলো?”

রা/গে মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েই অনেক আগেই। তাই অন্তুর রহস্যময় কথাটা বুঝতে বেশ অসুবিধাই হলো রাদের। কপাল কুঁচকে অন্তুর কলারটা আরও শক্ত করে চেপে ধরে বলল,

—-“মানে কি?”

অন্তু ফিক করে হেসে দিলো। যেন রাদ কোনো মজার কথা বলে ফেলেছে। তাই এক্ষেত্রে না হাসাটা বেমানান। অবশ্য এই মুহুর্তে অন্তুর হাসির মানে, রাদের রাগটা আরও দিগুন বাড়িয়ে তোলা। ফলাফল যেন তাই হলো। রাদ দাঁতে দাঁত চেপে অন্তুকে দ্বিতীয় আঘাত করতে গেলে অন্তু হাসতে হাসতে থামায় তাকে। বলে,

—-“মানে! মানেটা খুব সিম্পল। আবার হয়তো তোর কাছে নাও হতে পারে। কারন, তুই তো বিশ্বাস করেছিস। কি করে বুঝবি এত বড় ধোঁকা তোর জন্য অপেক্ষা করছিলো!”

শেষোক্ত কথাটা বলতে বলতে ইলহামের দিকে একটা তীর্যক দৃষ্টি নিক্ষেপ করে অন্তু। ঠোঁটের কোনে রহস্যময়ী হাসি। যার কোথাও বিন্দুমাত্র পবিত্রতা কিংবা কারোর ভালো চাওয়ার ছাপ নেই। বরং উল্টোটা। অপবিত্রতা এবং কারোর কাল ডেকে আনার প্রয়াস।

রাদ কপাল কুঁচকে নেয়। রা/গকে সংবরণ করতে পারেনা। বরং তরতর করে বাড়তে থাকে।

—-“ধোঁকা! ধোঁকা দিয়েছে আমাকে? কে!”

রাদের কন্ঠ কেমন ক্ষীণ। যা শুনতেই এক শীতল র/ক্ত/স্রো/ত শরীর কাঁপিয়ে নেমে যায় ইলহামের। ভ/য়, ঘৃ/না এবং একরাশ অসহায়ত্বতা চেপে ধরে অসহায় মনটাকে। আবদ্ধ করে শ্বা/সরূ/দ্ধ সেই অতীতে।

—-“কে আবার? তোর সুইটহার্ট! ওরফ, ইলহাম।”

রাদের বুকের ভেতরটা ধক করে উঠলো। অন্তুর অবলীলায় ব্যক্ত করা এহেম বানীতে ভেতরটা কেমন হালকা হয়ে যায় তার। ইলহাম তাকে ধোঁকা দিয়েছে?

লাগাতার কয়েকটা ঘু/ষি পরপর পড়তেই বাঁ/চার তীব্র আকুতি শোনা যায় অন্তুর। অন্তু হাঁকিয়ে ওঠে,

—-“একবার শোন আমার পুরো কথাটা! আমি সত্যি বলছি ভাই!”

রাদ শোনেনা। একদম শুনতে চায়না এই অমানুষের মুখ থেকে তার প্রিয় মানুষটির নাম। ওর মুখে নাম উচ্চারণেও যে অপবিত্র হয়ে যাবে তার ইলহাম।

—-“ইলহামের সাথে আমার রিলেশন ছিলো, রাদ।”

ঘুষিটা মুখে পড়তে পড়তে থমকে গেলো রাদের হাত। রাদের ক্রো/ধ। রাদের ভেতরটায় ঘটতে থাকা জ্বা/লাপোড়া। কথাটা যেন স্তব্ধ করে দিলো গোটা ধরনীকে। রাদ এক অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে স্তম্ভিত হয়ে আছে। সে ভুল শুনেছে। মনটা ছটফটিয়ে কেবল এই বাক্যটিই জপে যাচ্ছে। দূরে দাঁড়িয়ে ইলহাম দম বন্ধ করে তাকালো অন্তুর পানে। ইলহাম স্পষ্টই দেখতে পেলো অন্তুর মুখে ঐ পৈ/শা/চিক আনন্দ। ঠিকই উপলব্ধি করলো অন্তুর স্বার্থ।

রাদ নির্বাক প্রাণে অন্তুকে ছেড়ে দিয়ে পিছিয়ে গেলো দু’কদম। তার ভেতরের র//ক্ত/ক্ষ/র/ণ কি ভ/য়া/ন/ক! কেউ কি বুঝবে?

ইলহামের রিলেশন ছিলো! সেটাও কার সাথে? অন্তুর সাথে! কই? ইলহাম তো তাকে কোনোদিন বলেনি এসব কথা!

—-“হ্যাঁ রাদ। গত বছরের এই সময়টাতেই আমরা একটা কমিটনেন্টে আসি। আমাদের ঐ দিন গুলো সত্যি খুব সুন্দর ছিলো। বেশ, ভালোবাসার সকল আবদার পূরনের এক অদ্ভুত সুন্দর বন্ডিং। কিন্তু সেই সুন্দর সম্পর্কটার ইতি ঘটলো যখন জানতে পারি এই মেয়েটা.. এই মেয়ে টা আমাকে ডাবল ক্রস করছে। হ্যাঁ, রে! ও আমার সাথে কমিটমেন্টে থেকে আরেকজনের সাথে লুতুপুতু প্রেমে জড়িয়েছে। আমি ওকে অনেক বার বুঝাই। সবটা দিয়ে বুঝাই। কিন্তু ও তো.. ও আমার একটা কথাও শুনলো না। বরং, আমাকে ডাম্প করলো। এ সবটা কি আদৌও কোনো মানুষ মেনে নিতে পারবে? আমি পারিনি। তাই আমি ওকে ছেড়ে দেই। দেখ ভাই, আমি ওকে ছেড়ে দিতে না দিতেই ও কারোর সাথে এনগেজমেন্ট করতে চলে যায়। ভাব একবার। আমি ওকে কি ভাবতাম, আর ও? কি বের হলো! ছ্যাহ্!”

অন্তু কথাগুলো শেষ করে এক তৃপ্তিমুলক হাসলো। রাদ এতো বোকা নয়। সে এতোটা অন্ধবিশ্বাস নিশ্চয়ই করবেনা ইলহামের প্রতি। কথাটা ভাবতেই ভেতরটা ভরে উঠলো অন্তুর। কিন্তু তারপরে যা ঘটলো! তাতে, অন্তুর আত্মা শুকিয়ে আসার পালা হলো। রাদ পকেট থেকে রি/ভ/ল/বা/র/টা বের করেই তাক করলো অন্তুর ঠিক কপাল বরাবর। ক্রো/ধা/নলে জ্ব/লে ওঠে অন্তুর কলার চেপে ধরে ঠিক কপালের মাঝখানে ঠেসে ধরলো রি/ভ/ল/বা/র/টা। অন্তু ভ/য়ার্ত দৃষ্টিতে তাকাতে তাকাতে ঢোক গিললো। এতদূর তো তারও ধারণায় ছিলোনা।

—-“আর একটা বাজে কথা বলবি তো..”

বলেই আরও জোর দিলো হাতে। অন্তু কেঁপে উঠে লেপ্টে গেলো রেলিঙের সাথে। আরেকটু পেছোলেই সে নীচে খাদে গিয়ে পড়বে। কিন্তু সামনে আগানোতেও যে তার মঙ্গল নেই। বরং কাল দাঁড়িয়ে আছে।

ইলহাম আর পারলোনা স্থীর হয়ে থাকতে। শরীরে পেঁচিয়ে থাকা রাদের কালো জ্যাকেটটায় নিজেকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে দৌড়ে এলো। এক অজানা ভ/য় তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিলো এতদিন। আর আজ যখন সবটা সামনে এসেই পড়েছে তখন, এড়িয়ে যাওয়াটাও এক পর্যায়ের বোকামি।

—-“র..রাদ! রাদ ছেড়ে দিন ওকে। কি পা/গ/লামো হচ্ছে এসব!”

ঢোক গিলে সাহস সঞ্চয় করে রাদের হাতটা ধরলো ইলহাম। রাদ সেদিকে ভ্রুক্ষেপহীন। তার ধ্যানজ্ঞান সমস্তটা এখন কেবলই অন্তু। অন্তুর বুকের পাটা ঠিক কত বড়, আজ সেও দেখে ছাড়বে।

—-“এ্ এই তো তোর ইলহাম এসে গেছে! জ্ জিজ্ঞেস করনা ওকে? আমি যা বলেছি এসব সত্যি কি ম্ মিথ্যা!”

ম/র/নে/র ভয় কামড়ে ধরলো অন্তুকে। রাদ ঠোঁট বাঁকিয়ে হাসলো। বলল,

—-“আমার ইলহামকে আমায় চেনাচ্ছিস? কবে থেকে চিনিস ওকে? জানিস ওর পরিচয় কি?”

অন্তু বুকটা ধরাক করে ওঠে। অবাক বিস্ময় দৃষ্টি খানা গাঢ় হয় ক্রমশ। অবাক হয় ইলহামও। ইলহামের বুকের ধড়ফড়ানি বেড়ে যায় আরও কয়েক গুন। এবার পুরোনো ভ//য়ের সাথে যুক্ত হয় খানিক নতুন ভ//য়। কি বলছে মানুষটা?

—-“তুই আমার কথা বিশ্বাস করবি না? ওকে ফাইন। আস্ক হার। এক বছর পূর্বে আমাদের রিলেশন ছিলো কি না? আস্ক হার।”

—-“ওকে ফাইন! ধরে নিলাম, এক বছর পূর্বে তোদের একটা রিলেশন হয়েছিলো। আর তাতে ইলহাম তোকে ডাবল ক্রস করেছে। তাই বলে ও তোর সাথে রিলেশন থাকাবস্থায় আরও একাধিক রিলেশনে জড়িয়েছে! সেটা তোর ভাষ্যমতে! এন্ড আই হ্যাভ টু বিলিভ দ্যাট, এতো টা বোকা আমি নই। এতোটা বোকা আমি নই অন্তু।”

—-“ইলহামের একাধিক রিলেশন রাখাটা কোনো ব্যাপারই ছিলোনা ভাই। বিলিভ মি! তুই চেতন নামের কাউকে চিনিস? জানিস ওর সাথে ইলহামের এনগেজমেন্ট হতে যাচ্ছিলো! তারপরও তুই বিলিভ করবিনা?”

রাদ অদ্ভুত করে হাসলো।

—-“চেতন কে আমি খুব ভালো করেই চিনি। এমনকি চেতনও আমাকে খুব ভালো করে চেনে অন্তু। এটলিস্ট, তোর থেকে ভালো ও আমাকে চেনে। কারন, এর পূর্বের গু/লি/টা ওর হাতের গেঁথে ছিলো। আর এবারের গু/লি/টা? ঠিক তোর কপাল বরাবর!”

—-“র্ রাদ! রাদ কি পা/গ/লামো করছেন!! ছেড়ে দিন ওকে। একটা এ/ক্সি//ডে/ন্ট ঘটে যাবে…”

—-“শাটআপ!”

ইলহামের আকুতভয় কন্ঠটি একদমই ক্ষীণ হয়ে আসলো রাদের বজ্রকণ্ঠে। ইলহাম আঁতকে উঠে রাদের হাত টা ছেড়ে দিয়ে পিছিয়ে পড়লো ভ/য়ে। রাদ অ/গ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার পানে। যেন এক্ষনি ভ/স্ম করে দেবে ইলহামকে।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here