#প্রেমের_উষ্ণ_ধোঁয়াতে
#লেখিকাঃ আসরিফা সুলতানা জেবা
#পর্ব____৪২
অব্যক্ত প্রেমে অপ্রকাশিত অভিমানে ধুকে ধুকে ম–রছে দুইজন অঘোষিত প্রেমিক-প্রেমিকা। আজ পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা। গতরাত থেকে শিমুলের মনটা বড় অপদার্থ হয়ে আছে। কোনো কাজের না এটা। নয়তো শিমুলের কথার বিরুদ্ধে কেন যাবে? কেন? বার বার করে যে বলছে মন তুই সৌরভ ভাইকে স্মরণ করবি না,পড়া গুলো চর্চা কর তবুও কেন ওই ব**দ পুরুষের প্রতিচ্ছবি ভাসিয়ে তুলছে চোখের তারায়?
এক সপ্তাহ যাবত সৌরভের সাথে কোনো কথা হচ্ছে না শিমুলের। কলহ বেঁধেছে নিশাত ও প্রহরের বিয়ে নিয়ে। এগুলো দিন হয়ে গেল,মাস পেরিয়ে গেল কিন্তু সৌরভ বিয়েটা মানতে নারাজ। তিন দফা ঝগড়া করেও শিমুল বুঝাতে ব্যর্থ হলো যে তার ভাই নিশাতকে ভালো রাখবে, মা–রবে না,শা–সাবে না। অথচ সৌরভের একটাই বুলি,
‘ তোর ভাই মা**রবে,শা**সাবে। ছোট বেলায় কম মা*রত? আমার সামনেই আমার বোনকে মা**রত। আত্মীয়তার খাতিরে টু শব্দটুকু করি নি। বিয়ে করে নিয়ে মার–বে না তার কি গ্যারান্টি আছে? তোর ভাই একদিন আমাকেও মে**রেছিল বাজারে। আমার মনে হয় আব্বা তোদের পছন্দ করেন না বলে, কখনো বাড়িতে আসতে দেয় নি বলে প্রহর প্রতিশোধ নিতে আমার পিচ্চি বোনকে ফুসলিয়ে ফাসিয়ে বিয়ে করেছে। না হলে কোমল মনের মেয়ে হয়ে সে তোর পাষাণ হৃদয়ের অভদ্র ভাইকে ভালোবাসতে যাবে কোন দুঃখে?’
শেষোক্ত বাক্যে শিমুলের মাথায় রাগ চেপে যায়। কি করে এমন খারাপ মনোভাব পোষণ করতে পারে সৌরভ? প্রতিশোধ! সেটা আবার কী! প্রতিশোধ নিতে হলে কি এতদিনে চাইলেই পুরো মজুমদার বাড়িকে জেলে পঁচিয়ে মার**তে পারত না? নিরু ফুপি করুক না নিজে আত্ম**হত্যা। মহানন্দ গ্রামের মানুষ, সমাজ,মজুমদার বাড়ির মানুষ কি দায়ী নয় মৃ**ত্যুর পেছনে? উনাদের খারাপ কটুক্তি কি নিরু ফুপিকে মৃ**ত্যুর দুয়ারে ঠেলে দেয় নি? তবুও স্মরণিকা নিবাসের প্রতিটি মানুষ ক্ষমা করে দিয়েছে তাদের। ক্ষমতা, প্রতিপত্তি খাটিয়ে উচ্ছেদ করার সকল সুযোগ-সুবিধে থাকলেও আত্মীয়তার সম্পর্ক যেন ছিন্ন না হয় তাই নিশ্চুপ ছিলেন শিমুলের দাদা ভাই।
আর প্রেম! জেনে-বুঝে কেউ প্রেমে পড়ে? যাচাই-বাছাই করে প্রেমে পড়লে পৃথিবীর সবথেকে পারফেক্ট মানুষটাকে নিয়ে কাড়াকাড়ি লেগে যেত মানুষের। প্রেমে পড়তে মোক্ষম লগ্নের প্রয়োজন হয় না,মানুষ বাছাই করতে হয় না। কখন কে কার প্রেমে ডুবে যাবে এটা কেউ জানে না,টের পায় না। হুট করে যখন কাউকে ছাড়া হৃদয়টা শূন্য শূন্য লাগে সেই অনুভূতিই জানিয়ে দেয়, ‘প্রেম এসেছে তোমার দুয়ারে, দরজা খুলে সাদরে গ্রহণ করো তাহারে।’
প্রহর কখনোই নিশাতকে ভালোবাসতে চায় নি। সর্বদা চেষ্টা করেছে ঘৃণা করার। নয়ত কারণে-অকারণে কেন মা””রত নিশাতকে? নিশাতের কুষ্ঠি-ঠিকুজি, নাড়িভুড়ি জানলেও ছোট থেকেই ভালোবাসে তেমনটা নয়। নিশাত তার কাছে অন্যসব কাজিনের মতোই ছিল। কিন্তু এক খ্যাপা এসে লন্ডভন্ড করে দিল তাকে, বুকের বা পাশে গেঁথে দিল প্রেম নামক বিষ। এই বিষে শিমুলকে নিঃশেষ করে চলেছে দিনকে দিন। ভালোবাসা না পেলে হৃদয় অশান্ত থাকে,পৃথিবীর সবকিছু তিক্ত লাগে,মুখের স্বাদ অব্দি পানসে হয়ে যায়। ভালোবাসার আবার অনেক জাদু। একটুতেই সুস্থ করে তুলতে পারে মনপ্রাণ, অসুন্দর জিনিসটাও সুন্দর লাগে তখন। শিমুল রাগে-দুঃখে-ক্ষোভে প্রায় অশ্রুরুদ্ধ গলায় বলেছিল,
‘ শুনেন সৌরভ ভাই,আপনার মন কুৎসিত। আমার লজ্জা হইতেছে আপনাকে ভালোবেসে। যারা ভালোবাসার সম্মান করতে পারে না, তাদের ভালোবাসতে নেই। তিতা লাগলেও কথা সত্য। আমি নাদান মানুষ,বুঝি নাই আপনি যে ভেতর থেকে কালো। আপনার ভালোবাসা পাবার যোগ্যতা নাই,এ কারণেই পিংকিরে হারাইছেন। আপনি,,’
কথা শেষ করার আগেই সৌরভ কলটা কেটে দেয়,ব্লকলিস্টে ফেলে দেয় শিমুলের নাম্বারটা। তারপর থেকেই নিরব দ্বন্দ্বের শুরু। পরীক্ষার হলে বারংবার মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছিল শিনুলের। প্রশ্ন মোটামুটি কঠিন হয়েছে। সে ও নিশাত একই রুমে পড়ে নি। হল থেকে বেরিয়ে দেখল নিশাত হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে। তাকে দেখেই হাত ধরে বলল,
” আম্মু বলেছে পরীক্ষা শেষে তোকে বাড়িতে নিয়ে যেতে, চল।”
শিমুল কয়েক সেকেন্ড নীরব থেকে দুর্বল কণ্ঠে জবাব দিল,” যাব না, বাড়িতে যাব সোজা। কাকা অপেক্ষা করছেন, তোকে নামিয়ে দেবো বাড়ির সামনে। ‘
” কাকা কে ফিরিয়ে দেবো। ভাইয়া আসবে। তুই আমি মেলায় যাব ভাইয়ার সাথে। পরীক্ষা শেষ, উপজেলায় আর আসা হবে না। সেকারণে ভাইয়াকে অনুরোধ করেছি আমাকে মেলায় ঘুরতে নিয়ে যেতে। ”
ম্যাট্রিক পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছে উপজেলায়। হররোজ এখানেই পরীক্ষা দিতে আসতে হয় শিক্ষার্থীদের। উজ্জ্বল সাহেব জোরদার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গ্রামের প্রাইমারী স্কুল, হাই স্কুলে বোর্ড পরীক্ষার ব্যবস্থা করার। মেলায় যাবে তা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই শিমুলের। কিন্তু সৌরভকে চোখের সম্মুখে দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারবে কি-না এটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। নিম্ন স্বরে ঘোর আপত্তি জানাল,
” আমি যামু না,বাড়িতে যামু। তোর ইচ্ছে হলে তুই যা। আর ভাইয়া জানে তুই মেলায় যাচ্ছিস?”
নিশাত চুপসে গিয়ে বলল,” না৷ আচ্ছা তুই কি বলে দিবি শিমুল?”
” তুই আমার ভাইকে না জানিয়ে অঘটন করছিস,বলব না?”
” মেলায় ঘুর ঘুর মোটেও খারাপ কিছু না৷ আমার খারাপে তুই শামিল হ। তাহলে প্রহর ভাই জানবে তুই ছিলি আমার সাথে, সুতরাং তুইও দোষী। তাছাড়া বিয়ের পর স্বামী নিয়ে মেলায় ঘুরার সৌভাগ্য কি আমার আছে? তিনি এখন প্রভাবশালী নেতা,এমপি সাহেব৷ আগেপিছে পুলিশ,বডিগার্ড থাকে। আমার মতো আমজনতার কাছে যাবার সাধ্য আছে নাকি?”
” তুই নিছক অভিমান করতেছিস নিশু। জানিসই তো কত ঝামেলা গেল ভাইয়ার ওপর দিয়ে। তোদের বিয়ের পরের সকালে যে গেল একটাবার আসার সুযোগ পাচ্ছে না। নতুন নেতার হবার দরুন আগের সব কাজ বুঝে নিতেছে, সমাবেশে যোগদান কত কি৷ খাওয়ার জন্য ফুরসত মিলে কি-না কে জানে। ভাইয়া নিজের অবস্থার কথা কখনো জানায় না। বুদ্ধি করে মা বাড়ির ল্যান্ডলাইনে কল দিয়েছিল বুয়ার থেকে জেনে নিতে ভাইয়া কখন ফিরে,খায় কিনা ঠিমতো। বুয়া জানাল প্রায় না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে, আর না হয় মধ্য রাতে খায়। ”
নিশাত হতভম্ব, নিশ্চুপ। সে কখনোই জানতে চায় নি প্রহর ভাই কেমন আছে। পরীক্ষার চক্করে কথা-ই হয় না ঠিকঠাক। অথচ কাজের প্রেশারে থেকে লোকটা এক বেলাও তাকে খাবারের কথা জিজ্ঞেস করতে ভোলে নি৷ তিন বেলা নিয়ম করে রোকেয়ার কাছে জানতে চেয়েছে নিশাতের হালচাল। রোকেয়া গর্ব করে বলেন, নিশাত কপাল করে এমন স্বামী পেয়েছে। খারাপ লাগছে তার। বউ হিসেবে একদিন ভুল করেও জানতে চাওয়া দরকার ছিল না? কিন্তু তার মাথায় ব্যাপারগুলো আসতই না।
গেইট থেকে বের হয়ে দেখে সামনেই ড্রাইভার কাকা। হাতে উনার বাটন ফোন। নিশাতকে দেখে বাড়িয়ে দিয়ে বললেন,
” ধরো মা,কথা কইবো। ”
নিশাত ইতস্তত করে মোবাইল হাত নেয়। শিমুলের অবাক কণ্ঠস্বর,” কে কথা বলবে কাকা?”
” প্রহর বাবাজান। ”
শিমুল নিশাতের কানে ফিসফিস করে বলল তৎক্ষনাৎ,
” অভিমান ভুল যান। দূরে গিয়ে এখন প্রেমালাপ করুন ভাবী।”
নিশাত লজ্জাবনত হয়ে সামান্য দূরে সরে আসল। কানে ধরে আস্তে করে হ্যালো বলল। আজ এটাও জিজ্ঞেস করল, ” কেমন আছেন? ”
” সকালে ওঠে সূর্য দেখেছিলি? কোনদিকে ওঠেছিল? ”
তাচ্ছিল্য করে বলল প্রহর৷ নিশাত লজ্জিত ভঙ্গিতে তড়তড় করে বলল,
” আমার ভুল হয়েছে। আমি আপনার খবর নিই নি। আপনার যোগ্য বউ হতে পারি নি৷ ”
” তোকে যোগ্য হতে কে বলেছে? আর খবর কেন নিতে হবে? রোগ হলে ঔষধ খেলে যেমন সেড়ে যায়,তোর কণ্ঠ শুনলেই আমি ভালো হয়ে যাই। তুই আমার বউ, আমার চিরকালের সঙ্গী এটাই আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। তোর আমার যত্ন নিতে হবে না,আমি তোর যত্ন নেবো। তুই শুধু আমার হয়ে থাক তাতেই চলবে। ”
নিশাত অল্প করে হাসল। নিঃশব্দ হাসি। প্রহর ভাইকে দেখতে ভীষণ ইচ্ছে করে। আজকাল হৃদয় ভূমিতে খরা দেখা দিয়েছে তাকে না দেখতে পেয়ে। নিজেকে একলা পথিক মনে হয় মাঝে মাঝে। একবার কি বলবে আপনি আসুন প্লিজ? অনুরোধ করবে? পরক্ষণেই চিন্তাভাবনা দমিয়ে ফেলল সে প্রহরের কাজের কথা চিন্তা করে। শুধু বলল,
” আপনি কোথায় যাচ্ছেন? গাড়ির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। ”
” যাচ্ছি কোথাও। পরীক্ষা কেমন হলো? উল্টাপাল্টা কিছু লিখে আসিস নি তো? নিউটন অনেক কষ্ট করে গাছ থেকে আপেল মাটিতে পড়া নিয়ে গবেষণা করে সূত্র বানিয়েছিল। উনার কষ্টকে সম্মান করে সবকিছু সঠিক লিখে এসেছিস তো?”
” আপনার কি মনে হয় আমি ফিজিক্সে গাধী?”
” আলবাত। যে মাথামোটা সে সবকিছুতেই মাথামোটা। সম্মান বাঁচিয়ে রাখিস। মানুষ যেন আমার কাছে এসে না বলে নেতার বউ ম্যাট্রিক ফেইল। নিউটনের দ্বিতীয় সূত্রটা বল। তাইলে বুঝব তুই পদার্থে প্লাস পাবি। ”
নিশাত অল্পক্ষণ ভেবে বিনা নোটিশে কল কেটে দিল। নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র মনে আসছে না তার এ মুহূর্তে। পারে সে। কিন্তু মনে আসছে না৷ সব কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে। প্রহর আবার কল দিল। ধরে নি ও। ড্রাইভার কাকার হাতে মোবাইল দিয়ে তাড়াহুড়ো করে বলল,
” আপনি চলে যান। উনাকে বলে দিয়েন,ভাইয়া এসেছে তার সাথে চলে গিয়েছি। ”
” শিমুল মা?”
” সে-ও যাবে। ”
” না,আমি,,”
নিশাত শিমুলের হাত চেপে ধরে বলল,” ভাইয়া অপেক্ষা করছে, চল। ”
সত্যি সত্যিই সৌরভ টমটম নিয়ে অপেক্ষা করছে। শিমুল তার দিকে পল-অনুপল চেয়ে তড়িৎ গতিতে দৃষ্টি সরিয়ে টমটমে ওঠে বসল। সৌরভও এক পল চেয়ে সামনে বসে পড়ে ড্রাইভারের সাথে।
বাণিজ্য মেলা। বছরে একবার বসে উপজেলায়। সারি সারি চুড়ি,মালা-দুল, কসমেটিকসের জমজমাট দোকান দেখে নিশাত মহাখুশি। এসবের প্রতি ঝোঁক তার প্রবল। প্রথমেই দৌড়ে দৌড়ে চুড়ি দেখতে চলে গেল সে। শিমুল পেছনেই হাঁটছিল মন্থরগতিতে। পুরুষালি কণ্ঠটা অনায়সে তার কর্ণকুহরে প্রবেশ করল,
” আমি ব্লক খুলে কত বার কল দিলাম তোকে,পাল্টা ব্লক কেন দিয়েছিস?”
শিমুল নির্বাক। বোবা সেজে চুপ করে হাঁটতে লাগল। সৌরভ আরেকটু কাছে এসে অধৈর্য গলায় বলল,
” সেদিনের জন্য সরি। আর অমন বলব না। তোর ভাই ভালো, আমিই খারাপ। তবুও চুপ করে থাকিস না। তোর শুদ্ধ -গ্রাম্য ভাষায় মিশ্রিত কথাগুলো আমাকে ভীষণ পোড়ায় শিমুল, না শুনতে পেয়ে দম আটকে আসছে। ”
নিশাত একটা দোকানে গিয়ে মহা আনন্দে রঙ বেরঙের চুড়ি দেখতে ব্যস্ত। আগে-পিছে কে ছিল তার খেয়াল নেই। শিমুল সেদিকে পা বাড়াল। শিমুলের নির্বিকার ভাব দেখে মেজাজ সপ্তম পর্যায়ে পৌঁছে গেল সৌরভের। হাত টেনে ধরে রাগান্বিত সুরে বলে উঠল,
” কথা আছে চল। নিশু ঘুরেফিরে দেখুক। ”
শিমুলের কণ্ঠে চাপা রাগ,অভিমান,” যাব না। ”
” তুই যাবি,তোর ঘাড়,নাক,কান সব যাবে। ”
বলেই টেনে হিচড়ে ভিড়ের মাঝে দিয়ে অন্যদিকে নিয়ে যেতে লাগল সৌরভ। কাউকে তোয়াক্কা করার সময় নেই এখন। আগে শিমুলের সাথে অদৃশ্য সম্পর্ককে আবার জোরা লাগাবে, তারপর বাকি সব। শিমুল জোরাজুরি করেও ছাড়াতে পারল না নিজেকে।
নিশাত ভ্যালবেটের চুড়ি হাতে পড়ে দেখছিল। চুড়ির রং কালো। একটা নিয়ে ফরসা হাতে পড়তেই বেশ সুন্দর দেখাল হাতটা। আরেকটা পড়তে নিয়ে ভড়কে গেল সে। অকস্মাৎ একটা বলিষ্ঠ হাত তার বাম বাহু চেপে ধরল। কাপন ধরিয়ে দিল হৃদয়ে। চুড়িগুলো একেক করে পড়ে গেল নরম ঘাসের বুকে। বয়স্ক দোকানদার চেঁচিয়ে উঠলো,
” এই মাইয়্যা চুড়িগুলো ভেঙে ফেললি,জরিমানা না দিয়ে যাইতে পারবি না। ”
#চলবে~
(ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)