মেয়েটার বুঁক কাপছে। নিদারুন কম্পন বক্ষস্থল জুড়ে। ভিতরে অস্থিরতা। প্রভাতে ঘুম ভাঙতেই এক অদ্ভুত, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটল তার সঙ্গে। হাতের চিঠিটার দিকে মোটা মোটা ঘন ভ্রুঁ জোড়া কিঞ্চিৎ কুঁচকে তাকিয়ে রইল ভাবুক দৃষ্টিতে নিষ্পলক। এখনকার সময় চিঠি? কি সুন্দর হলুদ খামে মোড়ানো একটা চিঠি! কিন্তু তার ওপর প্রেরকের,প্রাপকের ঠিকানা, নামধাম কিছু লিখা নেই। তারচেয়ে বেশ চিন্তার বিষয় চিঠি খানা রাখা ছিল ওর পেটের ওপর। চোখ মেলে অনায়াসেই পেয়ে যায় সে। আজকাল কি ডাকপিয়নরা বাড়ি বয়ে এসে পেটের ওপর চিঠি রেখে যায়?তাঁদের কাজকর্ম নিরবে সম্পন্ন করছেন এভাবে?মেয়েটার হুট করে মনে পড়ল ওদের গ্রামে ডাকপিয়ন নেই। শহুরে বাতাস লেগেছে এখন এই গায়ে। দশ টাকা ব্যয় করে বাজারে গেলেই কুরিয়ার অফিস। এখন আর সাইকেল চেপে ঘরে ঘরে ডাকপিয়নের চিঠি দেওয়ার সময় বা যুগ কোনোটাই নেই। তাহলে কি এটা উড়ে এসে পেটে পড়ল? ইন্টারনেটের যুগে কে পাঠালো এই চিঠি খানা?কৌতূহল দমিয়ে রাখতে না পেরে খাম ছিঁড়ে বের করল চিঠিটা। ভাঁজ মেলে ধরতেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া প্রক্রিয়া থমকে গেল ক্ষণিকের জন্য। চক্ষু আয়নায় স্পষ্টত ভেসে উঠছে ছোট ছোট অক্ষরে লিখাগুলো,
” আরামের ঘুম শেষ তোর নিশু। আমার কলিজা পুড়িয়ে ছাড়খাড় করে তুই দিনের পর দিন অনেক আরামে ঘুমাচ্ছিলি। তুই আর তোর পোকা খাওয়া দাঁতগুলো দেখিয়ে খিলখিল করে হাসতে পারবি না কারণ হাসলেই তোকে আস্ত রাখব না আমি। প্রচুর কাঁদাব। অনেক কাঁদাব তোকে। জানি চিঠিটা পড়ে তোর চেহারার রং বদল হবে,ভয় পাবি। কিন্তু লাভ নেই। এবার পাক্কা খেলোয়াড় হয়ে মাঠে নেমেছি। গোল দিয়েই হাসিল করব নিজের স্বা-র্থ। আমার মতো একটা মানুষ তোর জন্য কলমের কালি ন”ষ্ট করেছে,পুরো পাঁচ মিনিট সময় নিয়ে এ কথাগুলো লিখেছে এটা তোর ভাগ্য। নিশু রে, এখন থেকে তুই শুধু চোখে মুখে অন্ধকার দেখবি আর অন্ধকারে বাতি নিয়ে হাজির হলে আমাকে দেখবি।
ইতি,
অন্ধকার। ”
থ মে-রে বসে রইল নিশাত। লম্বা একটা পৃষ্ঠায় এতটুকুই লিখা তাও কত ভয়ং-কর,মা’রা’ত্মক!এত থ্রে-ট মূলক বাক্য লিখে কে পাঠাল?তড়িৎ বেগে বিছানা ছাড়ল ও। ওর ছোট্ট হৃদয় ভয়ের তাড়নায় অত্যন্ত ক্ষুদ্র হয়ে গিয়েছে যেন। সকাল সকাল এ যেন এক আজব কান্ড। ছোট্ট রুম টায় এলোমেলো দৃষ্টি ফেলে টেবিলের দিকে এগিয়ে গেল। বইয়ের ভাঁজে চিঠি টা লুকিয়ে ওড়না নিয়ে দৌড়ে আসে রান্নাঘরের সামনে। মাঝপথে সাক্ষাৎ হয় চাচাতো বোন পিংকির সাথে। সকালেই আমড়া হাতে ছাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। হয়তো বাড়ির পিছনের গাছ থেকে পেরেছেন মেঝো কাকা আনোয়ার। গতরাতেই বলেছিলেন আমড়াগুলো বেশ বড় হয়েছে, পেরে ফেললে ভালো হয়। রোকেয়া ব্যস্ত হাতে রুটি বেলছেন। ও মায়ের দিকে দৃষ্টি তাক করে দরজা থেকেই উচ্চস্বরে বলল,
” আমার রুমে কেউ এসেছিল আম্মু?”
মেয়ের দিকে বিরক্ত চোখে তাকালেন রোকেয়া। কাজের সময় ডাকলে বড্ড রাগ হয় ওনার। বিরক্তি ঝেড়ে বললেন,
” মকবুল ভাইয়ার মাইয়া টুনি আসছিল তোর কাছে অংক বুঝতে। ঘুমাস দেখে কতক্ষণ বসে থেকে চলে গেল। ”
” এত সকালে?এখন তো ঘড়িতে সাত টা বাজে। ”
” সবাই কি তোর মতো পড়ে পড়ে ঘুমায়?তুই তো বাথরুমে গেলেও ঘুমাস। আজকে পরীক্ষা আছে তাই তোর কাছে একটা অংক বুঝতে আসছিল। ”
মুখ লেটকিয়ে ফেলল নিশাত সঙ্গে সঙ্গে। মায়ের এই বাথরুমে ঘুমানোর খোঁটা টা বোধহয় কখনও যাবে না। মানছে ও একটু বেশি ঘুমোয়। ঘুমের তাড়নায় গোসল করতে গিয়ে ঝিমোচ্ছিল একদিন। তখন সে ক্লাস ফাইভে পড়ে। বাথরুমের দরজা ভেজিয়ে রাখার দরুন অনেকক্ষণ যাবত বেরিয়ে না আসায় রোকেয়া ঢুকে পড়েন। ওর ঝিমানোর হাল দেখে এক মগ পানি ছুঁড়ে মা-রেন মুখে। মা নাকি নমনীয় হয় অথচ রোকেয়া কত তীক্ষ্ণ তীক্ষ্ণ কথা বলে ওকে। বাথরুমের ওই ঘটনা সমবয়সী বোন পিংকি বাড়ির সবার কানে কানে রটিয়ে দেয়। তারপর থেকে অনেকেই তাকে বাথরুমের ঘুমন্ত পরী বলে সম্বোধন করে। এ নিয়ে পিংকির সাথে ওর তুমুল যুদ্ধ লেগে আছে সেই বয়স থেকেই। ওদের মধ্যে কথা মানেই ঝগ/ড়াঝাটি। এটা যে শুধু এই মজুমদার বাড়ি অবধি সীমাবদ্ধ তা নয়,বরঞ্চ গ্রামের অনেকেই জেনে ফেলেছে। তাতেও পিংকির ইয়া লম্বা হাত শামিল রয়েছে।
রোকেয়া তীররেখা নজরে চেয়ে সশব্দে ধ’মকে উঠলেন,” কি মুখ না ধুইয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?কি এমন কান্ড ঘটিয়েছিস সকাল সকাল? ভালোই ভালোই বল। নয়ত আমি রোকেয়া নিশাতের আম্মু নিশাতের রগে রগে হাঁটি। কারণ আমি জন্ম দিয়েছি তোকে। ”
মায়ের কথায় থতমত খেয়ে গেল নিশাত। আসলেই মা দূরন্ত চালাক মহিলা। কেটে পড়ার নিমিত্তে তড়তড় করে বলে উঠল,” কিছু না। টেবিলের বই অগোছালো ছিল তাই জিজ্ঞেস করতে এলাম। রাতে আমি বই গুছিয়ে রেখেছিলাম তো তাই। ”
আশ্চর্যজনিত নিশাত। চিঠির কথা মা জানলে তাকে বলত,এমনকি তার খুলে দেখার আগে ওনি নিজেই পড়ে ফেলতেন। এ ব্যাপারে কোনো রিয়েক্ট করেন নি মানে তিনি জানেন না। আর অন্য কাউকে জিজ্ঞেস করলে সৌরভ ভাইয়ার কান অব্দি চলে যাবে। চিঠিওয়ালাকে তো পাবে না উল্টো ওর গাল লাল করে দেবে থা-প্পড় মে’রে। কিন্তু কে দিল?চিন্তা চিন্তা করতে মাথা ব্যথা হলো,মনে পড়ল স্কুলে যেতে হবে। রুক্ষ চুলগুলো আঁচড়ে বেনুনি করে তৈরি হয়ে নিচে নেমে আসে। পিংকিও ততক্ষণে তৈরি হয়ে খাওয়ার টেবিলে হাজির। চেয়ারের কাছে যেতেই সবার নজর এড়িয়ে মুখ ভেংচি কাটল। এমনিতেই অন্তঃপুরে শান্তি নেই চিন্তায় তার ওপর এই মেয়েটার ঢঙ। নিরবে খেয়ে বেরিয়ে আসল বাড়ি ছেড়ে। চলন্ত পা দুটোর গতি ঢিমে হয় বড় প্রাচীরের সম্মুখে। নেইম-প্লেটে জ্বলজ্বল করছে ‘ স্মরণিকা ‘। হুম আপাতত গেইট পেরিয়ে এখানেই ঢুকতে হবে ওর। তারপর শিমুলের সাথে স্কুলে।
বিশাল বড় বাড়ি। মহানন্দ গ্রামে ( কাল্পনিক) এই বাড়িটা অর্থাৎ শিমুলদের বাড়ি সবথেকে বিশাল। তারপর ধরা হয় ওদের বাড়ি। বিশাল হবেই না কেন? অনেক সম্পদশালী ব্যক্তি ছিলেন শিমুলের দাদা। আগে ছিল সম্পদের শক্তি আর এখন রাজনৈতিক শক্তি। বাপ,ভাই সব রাজনীতিতে যুক্ত। ওদের বাড়িতে আবার এমন নেই। বাবা, চাচা,ভাই মিলে গ্রামে ছোটোখাটো ব্যবসা সামলায়। স্কুলে যাওয়ার পথে মাঝে মাঝেই এখানে আসা হয় ওর। আসতেও পারে স্বাচ্ছন্দ্যে। কেননা শিমুলের দু ভাই শহুরে। শুনেছে অতীব ভাব বেড়েছে তাঁদের। রাজনীতির কারণে শহরেই থাকে তাই তত একটা গ্রাম মুখো হয় না। যদি সেই মানুষ টা থাকত তাহলে ভুল করেও এদিকে পা মাড়াত না ও। তাছাড়া এ বাড়িতে পা মাড়ানোও ওদের বাড়ির সবার জন্য নিষিদ্ধ। একটা গভীর সম্পর্ক আছে এই বাড়ির সাথে। ওর লজ্জা, ভয় দূর করতে শিমুল তো বুঝিয়ে সুঝিয়ে বলেছে ‘ যদি ভাইয়া আসে তাহলে তোকে আগে জানিয়ে দেবো, তখন নাহয় আমাদের বাড়িতে আসিস না। এখন আয়। ‘
ওর কথার ওপর আস্থা রেখেই আসে নিশাত। শিমুলের আম্মু নুডলস খুব ভালো বানায়। কি সুন্দর ঘ্রাণ আসছে!সদ্য সিঁড়ি বেয়ে নেমেছিল শিমুল। ওকে দেখে এক চিলতে হাসি উপহার দিল চিকন দুই ঠোঁট সামান্য প্রসারিত করে। বলল,” তুই বস,আমি ব্যাগ টা নিয়ে আসি। ”
কথাটা বলেই দৌড় দিল সে। নিশাত দোনোমোনো করে সোফায় বসল। যেদিন শিমুলকে গেইটের ধারে না পায় সেদিনই বাড়িতে প্রবেশ করে। নয়ত শত বললেও আসতে চায় না। তার অবশ্য কারণ আছে। এই বাড়িতে ওর ভয়ের কারণের বসবাস। ভাগ্যিস বছর কয়েক আগে শহরের রাস্তা ধরেছে, নাহলে ভয়ে ভয়ে কুঁকড়ে থাকত সর্বদা। শিমুল কাঁধে ব্যাগ ও হাতে একটা ছোটোখাটো শপিং ব্যাগ সমেত ফিরে এলো। হাতের ব্যাগটা বাড়িয়ে দিয়ে মিহি কণ্ঠে বলে,” এটা তোর। ”
নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে নিশাত। জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকায়। শিমুল আরেকটু নিচু গলায় বলল,” নে না। এতে চকলেট আছে। তোর জন্য বিশেষভাবে আনা হয়েছে। ”
নিশাত বুঝতে অক্ষম। বোকা বোকা গলায় বলল,” বিশেষ? ”
জিহ্ব কাটে শিমুল নিশাতের দৃষ্টি লুকিয়ে। গুছিয়ে উত্তর দেয়,” তুই আমার পাক্কা সই না?তাহলে তোর জন্য যা আনা হবে সব বিশেষ বিশেষ বাথরুমের ঘুমন্ত পরী। ”
” তুইও?”– রেগেমেগে উঠল নিশাত।
রাগে ওর মুখ ঈষৎ লাল হলো। শিমুল বিনা বিলম্বে হাসল। ফিসফিস করে বলল,” নামটা কিন্তু কিউট। তোর তো আরেকটা নাম আছে এটা পছন্দ নাহলে সেটা ডাকি?”
বুকটা ধুকপুক করে উঠল নিশাতের। মাথা নাড়িয়ে তৎক্ষনাৎ বললো,” এটাই ঠিক আছে। ”
বলে পা বাড়াতে নিলে রান্নাঘর থেকে ছুটে আসেন আলতা। উত্তেজিত স্বরে ডাকলেন,” কি রে নিশু?চলে যাচ্ছিস আমার সাথে দেখা না করে?একে তো লুকিয়ে আসিস, আবার আমার মেয়েকে নিয়ে লুকিয়ে কেটে পড়িস। বাপের মতো হলি। ”
হাসিমুখে কথাগুলো বললেও আলতার চক্ষুগহ্বরে ভর্তি জল চোখ এড়ালো না নিশাতের। বাবার কড়া নিষেধ সত্ত্বেও এই বাড়িতে পা রাখে এটা একদম সত্য। মৃদু হেসে বলল,” এখন স্কুলে যাচ্ছি। তোমার হাতের নুডলস খেতে আবার আসব। ”
” আসিস কিন্তু। “– নিষ্প্রভ কন্ঠস্বর আলতার।
” আসব। ”
______________
বাজারের সারি সারি দোকানের পেছন দিকের কর্দমাক্ত পথ ধরে হাঁটছে নিশাত ও শিমুল দু’জনে। পেছন পেছন কদম ফেলছে ওদের অনুসরণ করে দু’টো যুবক। নিশাত সকালের সব ঘটনা ভুলে এখন মিটিমিটি হাসছে। স্বভাবে ও চঞ্চলও না আবার চুপচাপও না৷ কিশোরী বয়সে একটা ছেলে পিছু নিলে কেমন যেন আবেগ উপচে পড়ে,লজ্জাতুর অনুভূতি হয় ঠিক তেমনটাই হচ্ছে ওর সাথে। ছেলে দু’টো ওদের সাথেই দশম শ্রেণিতে পড়ে। সামনে এসএসসি দিবে। তন্মধ্যে বা পাশের লম্বাটে ছেলেটা গলা খাকাড়ি দিল। বলে উঠল,” নিশাত শুনো। ”
শিমুল ও নিশাত উভয়ে থামল। কিন্তু ফিরল না। পা দু’টো ভয়ে মাটির সাথে চুম্বকের ন্যায় আঁটকে গেল। এই ভয়টা পাচ্ছিল শিমুল। নিশাত ভয়ার্ত দৃষ্টিতে আঁড়চোখে ওর দিকে তাকাতেই ইশারায় বলতে চাইল,” এটা বলতাম। ” ঢোক গিলে সামনে তাকাল। বটতলায় পাতা কাঠের চেয়ারে সটান হয়ে বসে আছে লোকটা। আশেপাশে ছেলেপেলে দাঁড়ানো। যেন মানুষ টার সেবাযত্নে লেগে থাকতে হবে তাদের। একটুও ত্রুটি রাখা যাবে না। রাজনীতিবিদ বলে কথা। তোষামোদ করলেই লাভ। লোকটার দৃষ্টি ওদের দিকেই। কপালে দু আঙুল ঘষে পাশের জনকে বলে,” শিমুলকে বাড়িতে নিয়ে যা। ”
স্পষ্ট শুনে ভারী কণ্ঠটা নিশাত। এক বাক্যেই সবাই উধাও,শিমুলও। ভাইয়ের মুখের ওপর কথার বলার সাধ্য তার নেই। কিন্তু আজ শনি আছে হয়তো নিশাতের কপালে। লোকটা চেয়ার ছেড়ে ওঠে দাঁড়াল। সাদা পাঞ্জাবির হাতা গুটিয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে আসতেই নিশাত আমতা আমতা করে সালাম দিল,” আসসালামু আলাইকুম প্রহর ভাই। ”
অত্যধিক কম্পন কণ্ঠে। প্রহর ঠোঁট জোড়া আলগা করে। নিশাতের পেছনে দাঁড়ানো ছেলেদের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ল,” তোর অনেস্ট আব্বা জানে তুই ছেলে ঘুরাস?আমার শ-ত্রু জানে তার বোনের প্রেমের বয়স হয়েছে? ”
প্রশ্ন ও দৃষ্টি এলোমেলো করে দিল নিশাত এবং ছেলে দুটোকে। ছেলে দু’টো তো পালিয়ে গেল কিন্তু নিশাত পারবে না। কান্না করে দিল। বলতে লাগল,” আমি কিছু করি নি প্রহর ভাই। ওরা,”
কান্নার দাপটে কথা বলতে বেগ পোহাতে হচ্ছে ওর। ভয় পেলেই কান্না। এসব ন্যাকামি একদম অপছন্দ প্রহরের। চাপা গর্জন করে উঠল। ধা-রালো গলায় বলে,” বিয়ের বয়স হতে আঠারো লাগবে না,তোর মনে ফুল ফুটেছে এটাই চলবে। কাজী অফিসে চল।”
#চলবে,,?
#প্রেমের_উষ্ণ_ধোঁয়াতে
#পর্ব___১
#লেখিকাঃ আসরিফা সুলতানা জেবা
(মা–রাত্মক রাইটিং ব্লকে পড়েছি। কোনো মতেই লিখতে পারছি না। তাই ভাবলাম একটা ধারাবাহিক লিখি। যেহেতু রাইটিং ব্লকে আছি এবং সেটা কাটানোর জন্য জোর করে লিখছি ভুল, এলোমেলো হতে পারে। সবসময়ের মতো বলব, ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)