প্রেমিক-অপ্রেমিকের গল্প
লেখনীতে- নৌশিন আহমেদ রোদেলা
|২০|
আকাশে শুল্কপক্ষের চাঁদ। দুধ সাদা জ্যোৎস্নায় ছেঁয়ে আছে ছাদ। বসন্তের হিমেল হাওয়ায় কাঁপন ধরছে গায়ে। হুহু করে কাঁপছে সমস্ত শরীর। ছাদের টবে মাঝারি দেখতে জবা গাছটায় রক্তজবার বাহার। জ্যোৎস্নালোকিত স্বর্গীয় লালিত্য ছাপিয়ে ধরাস ধরাস লাফাচ্ছে, হৃদপদ্মের ছোট্ট অবাধ্য খাঁচা। ঠান্ডা হাওয়াতেও কপাল জু্ড়ে ঘাম ছুটছে। জ্যোৎস্না আর কুয়াশায় আবছা হয়ে আসা দূরের ছাদটির দিকে চেয়ে মূর্ছা যাওয়ার মতোই হিম হয়ে আসছে শরীর। ভয়াবহ এ্যাক্রোফোবিয়া নিয়েও দু’দুটো ছাদ মেঘের মতো উড়ে এসেছি ভাবতেই কন্ঠ শুকিয়ে যাচ্ছে। ফাঁকা ফাঁকা লাগছে মস্তিষ্ক। অথচ পাশের মানুষটি নির্বিকার। যুবতী একটি মেয়ের আপাত ভারী শরীরটা এক ছাদ থেকে অপর ছাদে পার করিয়েও শ্বাসে টান পড়েনি একবিন্দু। এক মাথা ঝাঁকড়া চুল হাওয়ায় উড়িয়ে স্টিলের মতো শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কেটে গেছে একটু আগের নাছোড় ভাব। গম্ভীরতায় গা ঢেকে পাল্টে ফেলেছে নতুন রূপ। আমি ভয়ে, আতঙ্কে অস্থির চোখে ধ্রুবর দিকে চাইলাম। নিজের ভয়টুকু প্রাণপণ ঢাকার চেষ্টা করে ধ্রুবকে কড়া এক ধমক দেব বলে সিদ্ধান্ত নিলাম। তার আগেই মুখ খুললো ধ্রুব। রূপালি জ্যোৎস্নার রূপালি আলোয় বড় বড় বিষণ্ণ চোখদুটো মেলে আমার দিকে চাইল। শুধুমাত্র সেই দৃষ্টিতেই পাল্টে গেল অনেক কিছু। আমি চট করেই বুঝে ফেললাম অ-প্রেমিকের মনে জমিয়ে রাখা প্রগাঢ় এক অনুভূতির কথা। ধ্রুব হতাশ দীর্ঘশ্বাস ফেলল। রেলিঙে ঠেস দিয়ে আমার পাশাপাশি দাঁড়াল। গলার শ্লেষ্মা পরিষ্কার করে খানিক চুপ থেকে নিজের মনে কথা গুছিয়ে নিলো। বলল,
‘ জ্যোৎস্না যে চাঁদের আদুরে লজ্জার নাম, জানো? চাঁদের বিশেষত্ব কেবলই জ্যোৎস্না। জ্যোৎস্নার জন্যই মানুষ চাঁদের প্রেমে পড়তে চায়। আমারও চাঁদ খুব পছন্দ। আদতে চাঁদ নয় জ্যোৎস্নাটাই আমার বেশি প্রিয়। আমি এই জ্যোৎস্নার একটা নাম দিয়েছি।’
আমার জিজ্ঞাসাগুলো কন্ঠনালীতেই আটকে গেল। ধ্রুবকে কঠিন কিছু কথা শুনাতে গিয়েও কেমন মায়া হলো। সবসময় শক্ত দেখে আসা মানুষটির আচমকা পরিবর্তন, হুটহাট অদ্ভুত কথার পেছনে অস্পষ্ট কারণগুলোও নারী গুণেই স্পষ্ট বুঝলাম। অজানা আনন্দাশঙ্কায় কাঁপতে থাকা বুক নিয়ে ধ্রুবর দিকে চেয়ে রইলাম। ধ্রুব আমার নীরব প্রশ্ন বুঝতে পেরে চোখ নামিয়ে আমার দিকে চাইল। ঠোঁটের কোণে মিহি অথচ পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর হাসিটি নিয়ে বলল,
‘ তার নাম দিয়েছি চন্দ্রত্রপা।’
আমার বুক কেঁপে উঠল। মন বুঝল, ধ্রুব চাঁদের নয় আমার কথায় বলছিল। দিচ্ছিল আমারই রূপের বর্ণণা। ধ্রুব যখন আমার খুব কাছে এসে দাঁড়াল। পাশের জবা ফুলের ঝাড় থেকে গোটা দুই রক্তজবা ছিঁড়ে দ্বিধাহীন হাতে গুঁজে দিলো আমার হাওয়ায় উড়তে থাকা চুলে ঠিক তখনই আমি ভুলে বসলাম পারিবারিক অনুশাসন। আমার পুলিশ বিদ্বেষী বাবা। বাল্যকালের দৃঢ় বিশ্বাস। বাবার কথা বেদবাক্যের মতো মেনে নেওয়া কোমল মন সবই যেন যৌবনের প্রথম প্রেমে অস্পষ্ট হয়ে এলো। মুখে কিছু না বললেও নীরব সম্মতি পেল নতুন এক সম্পর্ক। আমি মৃদু স্বরে বললাম,
‘ আপনার নামে থানায় কঠিন মামলা করব ধ্রুব।’
ধ্রুব হাসল। কানের কাছে মুখ নামিয়ে আমার মতোই ফিসফিসিয়ে বলল,
‘ কোতোয়ালি থানায় করবে? আমি বলে দেব, তারা তোমাকে সাহায্য করবে ত্রপা।’
কথাগুলো বলতে বলতে খেয়ালে-বেখেয়ালে কানের পাশটা স্পর্শ করে গেল এক জোড়া তপ্ত ঠোঁট। আমি কেঁপে উঠলাম। হৃৎযন্ত্রটা কেমন থমকে গেল। তারপর আবারও ছুটতে লাগল ঠিক পাগলা ঘোড়ার মতো। বুকের ভেতর ধুপধাপ শব্দ তুলতে লাগল পাগলা ঘোড়ার নিষ্ঠুর খুঁড়ের আওয়াজ। ধ্রুব নিজ মুখে ভালোবাসার কথাটা না বললেও তার আচার-আচরণ, চোখের দৃষ্টিতে তার ভালোবাসাটা বিশ্বাস করে নিলাম আমি। ভেবে নিলাম, কিছু মানুষের ভালোবাসা বুঝি এমনই হয়। মুখে নয় কেবল চোখেই ভাসে। কিন্তু কে জানতো? কী ভয়ংকর ভুল ছিল আমার ভাবনা? এখনও ভাবি, এই বয়সে এসেও বুঝি দৃষ্টি চিনতে এতো ভুল হয় কারো? নিশ্চয় হয়। তাইতো আমার হলো। ভুল জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটা আমি সেদিনই করে ফেললাম। ধ্রুবকে বিশ্বাস করলাম।
সেদিনের পর, ক্যাম্পাস, মহল্লায় ছড়িয়ে পড়া প্রেম-অপ্রেমের গল্পের পেছনেও আমাদের নতুন এক গল্প তৈরি হলো। সূর্য উঠার সাথে সাথেই দুজনেই কেমন মিইয়ে গেলাম। নিশ্চুপ হলাম। দু’পক্ষের দ্বারেই প্রেম-অপ্রেমের মাঝামাঝি মিষ্টি এক মধুরতা ছড়িয়ে গেল। দুটো মনেই নতুন করে বসন্ত এলো। মনে মনে কোকিল হয়ে ঘুম হারালেও। ধ্রুবর অনুভূতি বুঝতে পেরে জমিলা আপার ভাষ্যমতে একদম টাইট হয়ে বসে রইলাম। চোখমুখে গম্ভীরতা ছড়িয়ে ঘুরতে লাগলাম। ভাবখানা এই ধ্রুবকে কিছুতেই পাত্তা টাত্তা দেওয়া হচ্ছে না। ধ্রুব নামক ব্যক্তিকে আমি ইহজীবনেও চিনি না। আমার এই নির্লিপ্ততায় ধ্রুবর খুব একটা যায় আসলো বলে মনে হলো না। সে আগের মতোই দ্বিধাহীন দিন কাটাতে লাগলো। তবে তার সিঁড়িতে যাওয়া আসার মাত্রাটা একটু বেড়ে গেল। আমার ফ্ল্যাটের সামনে এসেই তার যক্ষা রোগটা হঠাৎ হঠাৎ উদয় হতে লাগল। আমার এই নির্লিপ্ত মুখভঙ্গি দেখে মাঝে মাঝেই মিটিমিটি হাসতে লাগল। আসতে-যেতে, অথবা বারান্দার কোণে দাঁড়িয়ে চোখেচোখে হওয়া কথাগুলোর গভীরতা খানিক বাড়তে লাগল। আমি চোখ-মুখ অন্ধকার করে রাখলে সিঁড়ি উঠতে উঠতেই পরিচিত পুরুষালি হাত খুব দুঃসাহসিকভাবে আঙুলে আঙুল ছুঁতে লাগল। কখনো-বা ছুঁয়ে যেতে লাগল আরও গভীরভাবে। আমার অন্ধকার মুখ আরও অন্ধকার হয়ে গেলে পুরুষালি ঠোঁটে খেলে যেতে লাগল পাতলা-মিহি হাসি। সন্ধ্যার পর, বন্ধুদের আড্ডায় মজে গিয়ে ছেলে বন্ধুদের খুব কাছাকাছি চলে গেলে শাসন আর রাগটাও চলতো ওই চোখে চোখেই। আমাদের মিষ্টি প্রেম-অপ্রেমের গল্পে ধ্রুবর অস্থিরতা বাড়তে লাগল সমানুপাতিক হারে। লেখালেখি বা নির্দিষ্ট কোনো বইয়ে ডুবে দিন দুই ঘরের সীমানা না পেরুলেই, বারান্দায় না দাঁড়ালেই ক্ষ্যাপাটে হতে লাগল ধ্রুব। ফোন নয়, ম্যাসেজ নয়। কেবল বারান্দায় মেলে রাখা জামা-কাপড়গুলো উপরতলার বারান্দার ঢালা পানিতে ভিজে একাকার হতে লাগল। সেই রাতের পর আমাদের মাঝে এক টুকরো বাক্য বিনিময় না হলেও কোমল এক সম্পর্ক কীভাবে যেন গড়িয়ে গড়িয়ে একদম পাকাপোক্ত হয়ে গেল। দু’জনেই উপলব্ধি করতে লাগলাম, একে-অপরের প্রতি একচ্ছত্র অধিকারবোধ। ক্যাম্পাসে, মহল্লায় আমাদের প্রেমের চর্চা কমে এলো। কিন্তু এবার পুরো পৃথিবীকে লুকিয়ে আমরা সত্যি সত্যিই প্রেম-অপ্রেমের নতুন এক গল্প লিখতে বসলাম। বাসা ছাড়ার ডেইটটাও ইচ্ছে করেই ভুলে গেলাম। ইচ্ছেকৃত ভুল করেই পিছিয়ে গেলাম। এভাবে সপ্তাহখানেক কাটার পর হঠাৎ একদিন পথ আগলে দাঁড়াল ধ্রুব। তখন দুপুর হবে হবে ভাব৷ সিঁড়িতে কোনো জনারব নেই। ধ্রুবর গায়ে সাধারণ সাদা পোশাক। ধ্রুবকে সাধারণ পোশাকে দেখে চট করেই মনে প্রশ্ন জাগল, ধ্রুবর আজ অফিস নেই? ধ্রুব আমার প্রশ্নমাখা চোখের দিকে চেয়ে হাসলো। মিটিমিটি পাতলা হাসি। আমি পাশ কাটানোর চেষ্টা করে ভ্রু কুঁচকালাম। খুব বিরক্ত হওয়ার চেষ্টা করে বললাম,
‘ কী হচ্ছে?’
ধ্রুব আবারও আমার সামনে পথ আগলে দাঁড়াল। তার পর্বতের মতো বিশাল শরীরটা ভেদ করতে পারব না বুঝে শান্ত হয়ে দাঁড়ালাম। আবারও শুধালাম,
‘ কী হচ্ছে?’
ধ্রুব চকচকে ঘড়ি পরা হাতটা রেলিঙে রেখে অপর হাত পকেটে পুড়ে খুব ভাব নিয়ে দাঁড়াল। ঠোঁটের কোণে অল্প একটু হাসি ঝুলিয়ে বলল,
‘ অসভ্যতা হচ্ছে।’
আমি ভ্রু কুঁচকে চাইলাম। পেট ফেঁটে হাসি পেলেও চোখ-মুখে গম্ভীরতা ছড়িয়ে বললাম,
‘ পথ ছাড়ুন নয়তো ইভটিজিংয়ের মামলা করব।’
‘ ওহ্ প্লিজ! আমার থানায় আসুন না। বহুদিন সুন্দরী কোনো ভিক্টিম পাচ্ছি না। মন, থানা সবই কেমন মরুভূমি লাগছে।’
ধ্রুবর ফ্লার্টিং স্কিলস্ দেখে চোখ বড় বড় করে চাইলাম আমি। বিস্মিত হলাম। প্রথম দেখায় এই ছেলেটিকে শান্ত, বোকা ভেবেছিলাম বলে নিজের প্রতিই মায়া হলো। চোখ-মুখ যথাসাধ্য অন্ধকার করার চেষ্টা করে বললাম,
‘ পথ ছাড়ুন।’
ধ্রুব পথ ছাড়লো না। খপ করে ওড়নার এক কোণা মুঠোয় পুড়ে কাছে টানলো। আমি ওড়না টেনে রক্তিম চোখে চাইতেই চোখে চোখ পড়ল। ধ্রুব একটু ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করে বলল,
‘ এতো ভাব কেন তোমার? একটা নিষ্পাপ পুরুষ পাত্তা না পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। মায়া হয় না? ‘
আমি আঁতকে উঠে দুই পা পিছিয়ে গেলাম৷ ধ্রুবর হাতে আটকে থাকা ওড়নার কোণা মুক্ত করার চেষ্টা করে গরম স্বরে বললাম,
‘ আপনার নামে সত্যিই মামলা করা উচিত ধ্রুব৷ আপনি যে মেয়েদের এমন উত্যক্ত করেন সেটা আপনার বাবার জানা উচিত। তিনি এই মুহূর্তে সিঁড়ি বেয়ে নামলে কেমন হবে? অথবা আপনার ছোট ভাই?’
ধ্রুব দারাসারা কন্ঠে বলল,
‘ আমি মেয়েদের নয় শুধুমাত্র তোমাকে উত্যক্ত করি। সেজন্য আমি মামলার আসামি হতেও রাজি। তাছাড়া এখন দুপুর। সবাই ঘুমে বিভোর। তোমাকে-আমাকে দেখার জন্য কেউ বসে নেই। আর দেখলেই বা কী? তাদের তো আমাদের আগে থেকেই জানার কথা, আমাদের চলছে!’
আমি চোখ ছোট ছোট করে চাইলাম। কথার কী ছিঁড়ি! আমাদের চলছে! আমাদের চলছে, এটা আবার কেমন ভাষা? অসভ্য! আমার অবচেতন মন খুব সন্দেহ নিয়ে শুধাল,’ হ্যাঁ রে নিশু? এটা কী সত্যিই ধ্রুব? নাকি ধ্রুবর তৃতীয় কোনো ডুপ্লিকেট ভাই? ভুল করে অ-বর রেখে অ-দেবরের সাথে ইটিশপিটিশ করে ফেলছিস না তো ভাই?’
তারপর আরও একদিনের কথা। মাস ফুরিয়ে বাসা ছাড়ার তারিখ ঘনিয়ে এসেছে। আমি আর প্রিয়তা বাসার পাশের এক কফিশপে বসে কবে বাসা ছাড়া যায় তার বিস্তর পরিকল্পনা করছি। এমন সময় কোথা থেকে আচমকা হাওয়ার মতো উড়ে এলো আবির। ঘর্মাক্ত শরীরটা নিয়ে আমার সামনের চেয়ারটিতে ধপ করে বসে পড়ল। হাতে ভাঁজ করা এপ্রোনটা টেবিলের উপর রেখে শার্টের উপরের বোতাম দুটো খোলে আরাম করে বসলো। প্রচন্ড গরমে কলার ঝাড়তে ঝাড়তে কোনো ভূমিকা ছাড়ায় বলল,
‘ ব্রেকিং নিউজ ভাবী। ক্লোড কফি খাওয়াও। ব্রেকিং নিউজ কোল্ড কফি খেতে খেতে বলতে হবে।’
আমি দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। ওয়েটারকে ডেকে একটা কোল্ড কফি অর্ডার করতেই সরু চোখে চাইল প্রিয়তা। ধারালো কন্ঠে বলল,
‘ এই! আপনি কী মাছি নাকি? শুকে শুকে ভাবী ভাবী করতে চলে এসেছেন?’
আবির বিরক্ত চোখে চাইল। খুব সিরিয়াস কন্ঠে বলল,
‘ তুমি চুপ করো ঝগড়াঝাঁটি। আমরা ভদ্র মানুষ। ভদ্র মানুষরা ভদ্র জায়গায় ঝগড়াঝাঁটির সাথে কথা বলতে পছন্দ করে না।’
প্রিয়তা বিস্ফারিত চোখে চাইল। প্রায় ফেঁটে পড়ে বলল,
‘ হ্যাঁ, খুব ভদ্র। এজন্যই তো আপনার ভদ্র ভাই আমার বোনকে চেপে ধরে চুমু খেয়েছে। তাও উইদআউট পারমিশন!’
আবির চোখ বড় বড় করে চাইল। তবে বড় ভাইয়ের সম্পর্কে দেওয়া এতোবড় অপবাদ সে এক সেকেন্ডের জন্যও বিশ্বাস করলো বলে মনে হলো না। প্রিয়তার কথাকে হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়ে খুব দুঃখ নিয়ে বলল,
‘ ব্রেকিং নিউজটা পেটে থাকছে না। বলে ফেলি। ক্লোড কফি এলে নতুন করে বলব, সমস্যা নেই। কথাটা হলো, তোমার স্বামী তো বিপথগামী হয়ে যাচ্ছে ভাবী৷ আমার খুব সন্দেহ তার কোনো মেয়ের সাথে চক্কর চলছে। আমি নিজের চোখে দেখেছি। রশি টেনে ধরো। নয়তো শ্যাষ!’
আবির কী দেখেছে সে নিয়ে কোনো আগ্রহ দেখালাম না আমি। আমাদের ধীরে ধীরে গড়ে উঠে কোমল সম্পর্কটা আড়াল করতেই হতাশ নিঃশ্বাস ফেলে বললাম,
‘ স্বামী স্বামী করবে না আবির। তোমার ভাইয়ের সাথে আমার রশি টানার মতো কোনো সম্পর্ক নেই।’
আবির এবার আরও মর্মাহত হলো। অসহায় কন্ঠে বলল,
‘ কেন নেই?’
আমি উত্তর দিলাম না। তবে তার পরেরদিনই অস্বাভাবিক এক দৃশ্যে চমকে গেলাম। এলেমেলো হয়ে গেলো মস্তিষ্ক!
#চলবে….
[ পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপে লেখায় সময় দিতে পারছি না। তাই এতো দেরী দেরী হচ্ছে। রি-চেইক করা হয়নি। দুঃখিত।]