#প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover)
#পর্ব-৪৫
#Jannatul_ferdosi_rimi( লেখিকা)
কে এই আয়ুশ? আয়ুশ যদি অয়ন হয়ে থাকে তাহলে দুইবছর আগে বিয়ের দিন ঠিক কি হয়েছিলো?
উনার দুইবছর আগে কিসের এক্সিডেন্ট হয়েছিলো?
সবকিছুর উত্তর কিছুটা হলেও অই হসপিটালে গেলে পেতেই পারি —আমি বললাম।
রিমির কথা মনোযোগ সহকারে শুনছিলো আমান। আমান বলে উঠে– কিন্তু আয়ুশের যে অই হসপিটালেই অপারেশন করা হয়েছিলো এইটা কীভাবে সিউর তুমি?? অন্য হসপিটালে ও তো হতে পারে।
আমি বলে উঠলাম–
হুম তাই আমাদের অই হসপিটালে যেতে হবে
তাহলেই অনেক উত্তর পাবো।
আমান বলে উঠলো–
হুম চলো!!
টকোপিকে নিয়ে আমিও চললাম।
।।।
আয়ুশ শিষ বাজাতে বাজাতে বাড়ি ঢুকলো ।
নিদ্র ও মল্লিকা বসে ছিলো
আয়ুশকে দেখে নিদ্র উঠে গেলো।
মল্লিকাঃ আয়ুশ বেটা তুমি এসেছো??
নিদ্রঃ আয়ুশ কোথায় ছিলে তুমি?
মল্লিকাঃ এন্গেজমেন্ট শেষে তুমি কোথায় চলে গিয়েছিলে??
জানো আমরা কত টেনশনে ছিলাম।
ইশা কত টেনশনে ছিলো।
আয়ুশ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে উঠে–
আমার একটা ইম্পোর্টেন্ট কাজ ছিলো।
তাই যেতে হয়েছে।
মল্লিকাঃ অন্তত কল টা রিসিভ করতে।
নিদ্র ধমকের সুরে বলে উঠে–এন্গেজমেন্ট এর দিন কি এমন ইম্পোর্টেনট কাজ থাকতে পারে??
আয়ুশ বলে উঠে–
আমারও একটা পার্সোনাল লাইফ আছে।সব কিছু তো আর আমি কৈফিয়ত দিতে পারবো নাহ,,
কই ইশান কে তো তোমরা এতো কুয়েশ্চেন করো নাহ!!
সো প্লিয আমাকেও করো নাহ।
ইশাকে বিয়ে করতে বলেছো করবো এনাফ!
আর আমাকে কিছু করতে বলো নাহ!!
এই বলে আয়ুশ উপরের দিকে চলে যায়।
নিদ্রঃ দুইটা ছেলেই একেবারে এক হচ্ছে।
মল্লিকাঃ নিদ্র একটু শান্ত হোও প্লিয!!
নিদ্র আর কিছু বলেনা।
।
আমরা লন্ডন হসপিটালে চলে এসেছি!!
আমান বলে উঠে–
চলো ভিতরে!!
রিমিঃ হুম চলুন!!
আম্রা ভিতরে যেতে লাগলাম।
আমান স্যার রিসিপশনে গিয়ে বলে উঠলো-+
আচ্ছা ডক্টর স্পিস আছেন??
—ইয়েস??ইউরস সেল্ফ?
আমান একটা কার্ড বের করে উনার হাতে দিয়ে বলে উঠে–
–মাই সেল্ফ ডক্টর আমান শিকদার!!
ডক্টর স্পিস এর সাথে দেখা করতে চাই!!
–ওক স্যার আপনি একটু ওয়েট করুন
আমি স্যার ওর কাছে আস্ক করছি তিনি এখন দেখা করতে পারবে কিনা!!
আমানঃ সিউর!!
আমান স্যার আমার কাছে এসে বলে উঠে–
রিমিপাখি আমাদের একটু ওয়েট করতে হবে।
রিমিঃ ওকে!!
তখনি একজন এসে বলে উঠলো–
স্যার আপনাদের তার কেবিনে যেতে বলেছেন!!
আমানঃ ওকে!!
আমরা ডক্টর স্পিস এর কেবিনের সামনে গেলাম।
আমানঃ মেই আই কামিং ডক্টর!!
স্পিসঃ ইয়েস ডক্টর আমান প্লিয কাম!!
আমরা উনার কেবিনে প্রবেশ করলাম!!
স্পিসঃ আপনি ডক্টর আমানের স্টুডেন্ট?? ( রিমিকে উদ্দেশ্য করে)
রিমিঃ জ্বী ডক্টর!
স্পিসঃ ডক্টর আমান আমরা আপনার অনেক প্রশংসা শুনেছি আপ্নার সাথে দেখা করার অনেক ইচ্ছে ছিলো।।
তা কোনো দরকার ছিলো কী?
আমানঃ আসলে আমাদের কিছু ইনফোরমেশন চাই
স্পিসঃ হুম বলুন!!
দেখি কি সাহায্য করতে পারি।
আমি বলে উঠলাম–
আচ্ছা ২ বছর আগে ফ্রেব্রুয়ারীর ৭ তারিখে এই হসপিটালে কোনো বড় ওটি হয়েছিলো??
স্পিসঃ অনেক দিন আগে হয়েছিলো
কিন্ত আমার ঠিক মনে নেই রেকোর্ড চেক করতে হবে।
আমামঃ হ্যা প্লিয ডক্টর করুন!!
স্পিসঃ ওকে আমি স্টাফ দের পাঠাচ্ছি!!
ডক্টর স্পিস কিছু ফাইল পাঠানোর জন্য স্টাফ দের কল করে।
স্পিসঃ কিন্তু আপ্নারা কি করবেন?? জেনে?
আমি বলে উঠলাম–
ডক্টর স্পিস আমাদের জানা টা অনেক জরুরী।
তখনি একজন নার্স কিছু ফাইল নিয়ে আসে।
স্পিস ফাইল গুলো চেক করতে থাকে!!
…..।।।
এদিকে,,,,
একজন নার্স তাড়াতাড়ি কাউকে কল করে-+
হ্যালো স্যার!!
—+++++
ডক্টর আমান আর রিমি ম্যাম এসেছেন!!
কিসের জন্য ইনফরমেশন এর জন্য
—++++
নার্স— আমার মনে হয় ওরা গোয়ান্দা গিরি করছে।
এখন তো সব জেনে যাবে তখন তো আমার চাকরি থাকবেনা!!
—অইপাশ থেকে কেউ ধমক দেয়।
নার্স— হ্যা স্যার আমি আপনাকে টাইম টু টাইম খবর দিতে থাকবো!!
——–
নার্সঃ স্যার আপনার ভরসায় এতো রিস্কি কাজ করছি।।
—-+++
নার্সঃ দেখবেন আমার চাকরিটা যেনো থাকে।
।।।
স্পিসঃ হুম ২ বছর আগে ফ্রেব্রুয়ারীর ৭ তারিখে কোনো ওটি হয়নি!!
আমরা অবাক!!
আমানঃ কোনো ওটি হয়নি??
স্পিসঃ নাহ!!
আমি বলে উঠলাম–
আয়ুশ খান নামে কেউ এডমিটেড হয়নি??
স্পিসঃ আয়ুশ খান???
ইউ মিন মিঃ নিদ্র এর বড় ছেলে আয়ুশ খান??
আমানঃ হ্যা!!!
স্পিসঃ হুম বাট আয়ুশের ৮ তারিখে একটা ওটি হয়েছিলো??
আমি বলে উঠলাম– ৮ তারিখে???
কিসের ওটি??
স্পিসঃ দেখুন আমরা একজনের কথা আরেকজন কে বলতে পারিনা!!
আমানঃ ডক্টর স্পিস আমাদের জন্য জানাটা খুব দরকার প্লিয আমাদের বলুন!!
স্পিসঃ আম সরি বাট আমাদের হসপিটালে এই রুলস নেই!!
স্পিস ঘড়ির দিকে তাঁকিয়ে বলে উঠে–
এখন আমার একটা ইম্পোর্টেন্ট কাজ আছে সো বাই!!
আমান কিছু বলবে তার আগেই স্পিস চলে যায়।
আমি বলে উঠলাম–
এখন কী হবে!!
আমান স্যার বলে উঠে– এখন চলো!!
।।।।।
সুমু মনোযোগ দিয়ে কিছু বই পড়ে যাচ্ছে
কাল-পরশু একটা ইন্টারভিউ আছে।
যে করেই হোক চাকরিটা পেতেই হবে।
ফারহান তার অফিসে বেশ উচ্চপদে
চাকরি করে
তাদের সংসার বেশ ভালোই চলছে।
কিন্ত সুমু নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে কিছু করতে চায়।
তার শ্বশুড়- শ্বাশুড়িও তাকে সাপোর্ট করে।
তার ছেলেটাও বেশ লক্ষি।
মাকে একটুও জ্বলাতন করেনা।
ফারহান আজ একটু লেট করে আসবে।
কিছু মিটিং হ্যান্ডেল করতে হবে।
সুমু আবারও পড়ায় মনোযোগ দেয়।
।।।।
আমি হতাশ হয়ে বেড়িয়ে এলাম!!
আমিঃ এখন কী হবে? একটা ক্লু পেতে চলেছিলাম সেটাও হাত ছাড়া হয়ে গেলো।।
(কান্নামাখা কন্ঠে)
আমান রিমির কাঁধে হাত রেখে বলে উঠে–
রিমিপাখি শান্ত হোও!!
আল্লাহর উপর ভরসা রাখো।
একটা না এক্ট্ব উপায় আমাদের ঠিক দিয়ে দিবেন!!
আমি বলে উঠলাম–
আল্লাহর উপর ভরসা করেই তো বেঁচে আছি!!
(লেখিকা ঃ জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
আমানঃ এখন চলো!!
হোটেলে ফিরে যাও যাক!!
রিমিঃ হুম!!
আমরা গাড়ির দিকে যেতে নিলাম!!
তখনি কেউ পিছন থেকে বলে উঠে–
আমি বলতে পারবো
আমরা পিছনে ঘুড়ে তাঁকিয়ে দেখি একজন বয়স্ক নার্স!!
আমানঃ আপনি বলতে পারবেন মানে?
নার্সঃ আয়ুশ খানের ওটি তে আমি ছিলাম!!
আমি কিছুটা হলেও জানি!!
আমি বলে উঠলাম–তাহলে প্লিয আমাদের সব খুলে বলুন!!
নার্সঃ এখানে অনেক রিস্ক আছে।
খবর চলে যাবে।
আমরা কোথাও বসে কথা বলি!!
আমান বলে উঠে–
অবশ্যই চলুন!!
নার্স টা আমাদের সাথে চলল।
আমরা একটা রেস্টুরেন্টে এ বসলাম!!
আমানঃ এখন বলুন!!
নার্স টা এদিক ওদিক তাঁকাচ্ছে বার বার।
আমানঃ এনি প্রব্লেম আপনি বলতে পারেন আমাদের।
রিমিঃ হুম!!
নার্সঃ আসলে আমি অনেকটা রিস্ক নিয়ে এসেছি।
কখন কি হয়ে যায় আমার ঠিক নেই!!
কিন্তু তার আগে আমি আপনাদের সবকিছু বলতে চাই।
আমানঃ রিস্ক আছে মানে?
আমি বলে উঠলাম–
কেউ কি আপনার ক্ষতি করতে পারে।
নার্সঃ হুম
।
।
।
।
আয়ুশের তীক্ন নজর হাতের ধারালো ছুড়ির দিকে।
আয়ুশ বেশ যত্ন নিয়ে তাতে ধার বসাচ্ছে।
আয়ুশের পাশে রেগে বসে আছে আদি।
আদিঃ এই পর্যন্ত তুই ৫ টা মার্ডার করেছিস।।
জনিকে এমনভাবে মেরেছিস যে ওর চেহারা দেখে সবাই ভয় পেয়ে যাবে।
এতোটা হিংস্রভাবে কেই মারতে পারে??
জানিস পুরো ভার্সিটির জনির মৃত্যুর খবর শুনে শকড!!
আয়ুশ এমন একটা ভাব নিলো যে
কিছুই হয়নি।
আয়ুশঃ তোহ??
আমিই যে মেরেছি তার প্রুফ তো নেই।
আদিঃ এইসব কি বলছিস আয়ুশ? তুই কি আমাদের সেই আয়ুশ?? এই আয়ুশকে আমি চিনি না!!
তুই তো এমন ছিলি নাহ।
আয়ুশ ঠোটের হাঁসি টা বাঁকা করে বলে উঠে–
ক্রিমিনাল কে ধরতে হলে ক্রিমিনাল হতে হয়।
।
।
।
।
।
।#দ্বিতীয়_অধ্যায়
চলবে কি??
।
।#প্রেমময়নেশা( The Story of a psycho lover)
#পর্ব- ৪৬( আপনিই সেই অজানা)
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
দুইবছর আগে আয়ুশ খানের বাংলাদেশে এক বড় এক্সিডেন্ট হয়। সেদিন সেই জায়গায় অয়ন চৌধুরীরও বড় এক্সডেন্ট হয়। ভাগ্যের খেলায় অয়ন চৌধুরী আর আয়ুশ খানের চেহারা এক। দুটো গাড়ির একসাথে ধাক্কা হয় লাগে বড় সংঘর্ষ হয়। এক্টি গাড়ি খাদে পড়ে যায়। যেই গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। সেই গাড়িটির মালিক মৃত। কিন্তু যেই গাড়িটি খাদে পড়ে যায়নি সেই গাড়িটির মালিক বেচে রয়েছে। আয়ুশ খান –নার্স বলল।
আমি বলে উঠলাম–
এইসব কি বলছেন আপনি
??
উনি বেঁচে আছেন ওকে???
আমান বলে উঠে–
রিমিপাখি শান্ত হোও!!
আমি বলে উঠলাম–
কিভাবে শান্ত হবো??
উনি বলতে চাইছেন
আমি উনাকে চিনতে ভুল করেছি
উনি আমার অয়ন নাহ???
আমার অয়ন বেঁচে নেই??
আমান বলে উঠে– আমি কথা বলছি তো তুমি একটু শান্ত হোও রিমিপাখি!!
আমানঃ আপনি তো বললেন
দুজনের চেহারা এক!!
দুজনের একি জায়গায়
এক্সিডেন্ট হয়।।
তোহ এমনও তো হতে পারে আয়ুশ খানের গাড়ি খাদে পড়ে গেছে আর অয়ন চৌধুরীর গাড়িই পড়ে যায়নি।
নার্স বলে উঠে–
আসলে হসপিটাল থেকে এই ইনফরমেশন ই আমরা পেয়েছি।
তখন যেই ডক্টর আয়ুশ খানের অপারেশন করেছে তিনিই আমাদের বলেছে এইসব।
আমান বলে উঠলো–
কোন ডক্টর!
নার্সঃ ডক্টর কুক!!
আমি বলে উঠলাম– উনাকে কোথায় পাবো??
নার্সঃ উনি এখন লন্ডনে নেই!!
আমানঃ আচ্ছা সেদিন ঠিক কি হয়েছিলো???
নার্সঃ আমি যতটুকু শুনেছি ডক্টর কুক এবং আমাদের হসপিটালের একটি নার্স নিজেদের মধ্যে কিছু গোপন একটা কথা বলছিলো।
কিন্ত আমি সবচেয়ে অবাক হয়ে যাই।
যখন আয়ুশ খানের শরীর এমন একটা ইঞ্জেকশন পুশ করা হচ্ছিলো। যেই ইঞ্জেকশন এর মাধ্যমে মানুষ সবকিছু ভুলে যায়।
আমরা বলে উঠলাম– ওয়াট??
নার্সঃ হ্যা!!
আমানঃ অনেক বড় একটা গেম চলছে এইসব এর পিছনে।
আমি বলে উঠলাম– হুম আচ্ছা সেই ডক্টর নাহয় এখন লন্ডনে নেই কিন্তু সেই নার্সটা তো এখনো এই হসপিটালেই চাকরি করে তাই না???
আমানঃ হুম আমাদের এখনি হসপিটালে যাওয়া উচিৎ!!
—-
রাফিয়া কিছু ওয়ার্ডে কাজ করছে
তখনি তার ফোন বেজে উঠে–
-রাফিয়া-হ্যালো ম্যাম স্যারকে তো সব বললাম ই
ডক্টর আমান আর অই রিমি ম্যাম এসেছিলো হসপিটালে।
——
রাফিয়াঃ কি এখন ওরা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসছে?
—-///+-
রাফিয়াঃ ম্যাম প্লিয আপনি কিছু একটা করুন!!
আমার চাকরি টা আর থাকবেনা
—-++++
রাফিয়াঃ ওকে ম্যাম!!
আমি এখুনি পালাচ্ছি!!
আমরা সবাই হসপিটালে আসলাম!!
আমান নার্সকে বলে উঠলো–
অই নার্সকে কোথায় পাবো??
আমরা??
সিয়া( নার্স)ঃ আমার যতটুকু মনে হয়
রাফিয়া ওর্য়াডে আছে
রিমিঃ তাহলে চলুন! আমরা সেখানেই যাই।
আমানঃ চলো।
আমরা ওয়ার্ডের দিকে গেলাম
কিন্তু সেখানেও
অই নার্স টাকে পেলাম।
সিয়াঃ আমার মনে হয় পালিয়েছে।
আমান বলে উঠলো–
পালিয়েছে মানে???
সিয়াঃ ও অনেক কিছু জানতো তাই।
আমি মাথায় হাত দিয়ে বলে উঠলাম–
হায় আল্লাহ কী হবে এখন??
আমরা যা একটু ক্লু পাচ্ছি
সবকিছুই হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।
।
।
।
আয়ুশ আবার ও চাকু ধার করতে লাগলো।
আদিঃ অইদিন কনফারেন্স যে চারটি ছেলে রিমিকে নিয়ে বাজে কথা বলছিলো
তাদের তুই খুন করেছিস।
খেলার দিন জনি রিমিকে নিয়ে বাজে কথা বলেছিলো বলে জনিকেও মেরে দিলি
কেন আয়ুশ কেন?
তুই কেমন যেনো একটা হয়ে গেলি।
মানুষ খুন করতেও তোর হাত কাঁপলো নাহ??
শুধুমাত্র অই মেয়েটার জন্য??
অই মেয়েটা কে তোর আয়ুশ ???
যার জন্য তুই এতো ডেস্পারেট???
আয়ুশ খানিক্টা উচু গলায় বলে উঠে—
কেন করি??
জানতে চাস???
অই মেয়েটার পায়ের দিকেও কারো বাজে দৃস্টি গেলে আমি তার চোখ উপড়ে ফেলবো।
আমি নিজের জিনিসে অন্য কারো দৃসটি
সহ্য করি নাহ।।
আচ্ছা ডক্টর আমান আজকাল একটু বেশিই
অই মেয়েটার সাথে থাকে যা আমার একটুও সহ্য হয়না!!
আদিঃ আয়ুশ!!!
(অবাক হয়ে)
তোর মাথা ঠিক আছে??
ইউ এক্ট লাইক আ সাইকো।
আয়ুশের হাঁসিটা বাঁকা করে বলে উঠে–
এখন তুই যেতে পারিস।
আদিঃ তুই আমান ভাইয়ার কোনো ক্ষতি করবি নাহ!!
এই আমি বলে দিলাম।।
আদি গটগট করে চলে যায়।
আয়ুশ বাঁকা হাঁসি দেয়।৷
উনি আমার অয়ন। সেদিন এক্সিডেন্ট এ উনি না আয়ুশ মারা গেছে। এখন আয়ুশের পরিচয়ে যে আছে সে আয়ুশ না আমার অয়ন।
উনাকে অই মেডিসেনের মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি কেড়ে নিয়েছে।
আমার কথা শুনে আমান বলে উঠলো—
কিন্তু আমাদের কাছে কোনো প্রুফ নেই!!
আমি বলে উঠলাম– কীভাবে থাকবে?
আমরা যেই প্রমান জোগাড় করি সেটাই আমাদের হাত-ছাড়া হয়ে যায়।
আমামঃ অনেক বড় ষড়যন্ত্র চলছে! রিমিপাখি!!
যেই এইসব কাজ করছে সে অনেক কিছু নিয়েই মাঠেই নেমেছে। এতো সহজে সে আমাদের প্রমান পেতে দিবেনা।
রিমিঃ এখন কী হবে?? আমাদের বাংলাদেশ যাওয়ার সময়ও ঘনিয়ে আসছে।
আমানঃ আমি দেখছি কিছু করা যায় নাকি।
আমি কফি মগটার রাখতে যাবো।
কিন্তু ফ্লোরে কিছু একটা তৈলাত্তক ছিলো।
আমি পা পিছলে পড়তে যাবো তার আগেই আমান
স্যার আমাকে কোমর পেচিয়ে ধরলো।
এক্টু হলেই আমি পড়ে যেতাম।
এই দৃশ্য দেখে কারো রাগে হাত পা কাঁপছে।
তার চোখ দিয়ে যেনো আগুন জ্বড়ছে।
নিজেকে সামলানো যেনো দায় হয়ে পড়েছে।
আমানঃ রিমিপাখি তুমি ঠিক আছোতো??
আমার প্রচন্ড অসস্হি লাগছে।
আমার অবস্হা বুঝতে পেরে আমান বলে উঠলো–
আমি এখন আসছি!!
টকোপিকেও নিয়ে যাই।
আমার সাথে কিছু খেয়ে নিবে।
আমান দ্রুত ঘর ত্যাগ করলো।
আমি বারান্দার গ্রিল ধরে আপনমনে
ভাবছি উনাকে কিভাবে ফিরে পাবো।
আমার যে আর ভালো লাগছেনা।
সব প্রমান ই হাত থেকে চলে যাচ্ছে।
এদিকে৷,,,
একজন বলে উঠলো–
সব রেডি???
—হ্যা সব রেডি।।
–//গুড এইবার কালকে এই খেলার শেষ দেখবো আমরা হা হা হা!!
।।।।।
আমি এইদিকে কিছু ভাবছিলাম তখনি হঠাৎ কেউ আমাকে হেচকা টান দিয়ে একেবারে দেঁয়ালের সাথে মিশিয়ে দেয়।
আমার ভয়ে হাত-পা কাঁপছে। ঘরের লাইট অফ হয়ে যায়।
আমার ঘরের দরজা অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যায়।
আমরা সামনে থাকা মানুষের মুখটা অন্ধকারে দেখা যাচ্ছে।
সে আমার দিকে ঝুকে পড়ে।
তার গরম নিঃশ্বাস আমার কাঁধে পড়ছে।
আমি বলে উঠলাম–
অয়ন আপনি এসেছেন।
আমার কথায় যেনো ব্যক্তিটি অবাক হয়ে গেলো।
আমি আবার ও বলে উঠলাম–অবাক হচ্ছেন?ম
আমি তো সেদিনই আপনাকে চিনি ফেলেছিলাম।
যেদিন আপনি আমার হাতে চুড়ি পড়িয়েছিলেন
আপনার ছোঁয়া যে আমার বড্ড চেনা।
আমি আমার অয়নকে চিনতে ভুল করতে পারি?
আমি জানি আপনিই সেই অজানা
উনি আমার গাল গুলো হাতে দিয়ে ধরে বলে উঠেন—
রিমিপরী!!
রিমিপরী এই ডাক কতদিন পরে উনার৷ মুখে শুনলাম।
অয়নঃ তুমি তাহলে আমাকে চিনেই ফেললে।
রিমিঃ বড্ড ভালোবাসি তাই!।
কেন আপনি সামনে আসছেন না?
নিজের পরিচয় প্রকাশ করছেন না অয়ন।
কেন আয়ুশ হয়ে আছেন???কেন এতো লুকোচুরি??
কেন আয়ুশ হয়ে আছেন??
আপনি কি জানেন না আপনার এই অবহেলা বড্ড পোড়ায়।
অয়ন এইবার মিহি কন্ঠে বলে উঠে–
সব জানতে পারবে রিমিপরী!!
এমন কিছু সত্য লুকিয়ে আছে যার জন্য আমাদের জীবন থেকে ২ বছর বিচ্ছেদময় কেটেছে।
কিন্তু আমি খুব শীগ্রই অয়ন হয়ে ফিরে আসবো।
আমি বলে উঠলাম—
হয়তো আপনার ভালোবাসার টানেই।
বাংলাদেশ থেকে সুদুর লন্ডনে চলে এলাম।
আর আপনাকে ও পেয়ে গেলাম।
অয়ন আমার কপালে গভীরভাবে ভালোবাসার পরশ একেঁ দিলো।
।
।
।
।
।#দ্বিতীয়_অধ্যায়
চলবে কি??
(ধামাকা টা কেমন লাগলো)?
(রহস্য খুলছে আস্তে আস্তে)
(অনেক পড়ার চাপ আমার এত্তো লেখা কী বলবো আমার হাত পুরাই শেষ টেবিল থেকে নড়তে পারছিনা
এক্সাম অনেক পেরার তাও আপনাদের জন্য গল্প দিলাম)
ঘটনমুলক কমেন্ট চাই
গল্পের রিভিউও পাবো আশা করি