#প্রিয়দর্শিনী🧡
#প্রজ্ঞা_জামান_তৃণ
#পর্ব__৩৬
অন্ধকার কক্ষে মৃদু আলো দেখা যাচ্ছে। ততক্ষণে আসফির জ্ঞান ফিরেছে। আবিদ একদৃষ্টে ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। অর্ধচেতন অবস্থায় দেখতে কতটা নিষ্পাপ লাগছে তার ভাইকে। কে বলবে তার ভাই একটা জঘন্যতম কাজ করেছে? ভাইয়ের প্রতি তার মায়া কাজ করার কথা, তবে সেই মায়াটুকু অনুভব করতে পারছে না আবিদ।
কিয়ৎক্ষণ বাদে আসফি চোখ পিটপিট করে তাকায়। সামনের টেবিলে নিজের ভাইকে বসে থাকতে দেখে তার হৃদপিণ্ড ধ্বক করে ওঠে। আসফিকে ভয় পেতে দেখে আবিদের ভালো লাগছে। এই ভয়টা ওর চোখে দেখতে চাইছিল আবিদ। এতোদিন কোথায় ছিল এইভয়? যদি থাকতো তবে প্রজ্জ্বলিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে দর্শিনীকে জোর করে আঁটকে রাখার কথা ভাবতে পারতো না আসফি। আর না ভাইয়ের ভালোবাসাকে বিয়ে করার কথা ভাবতো? আসফির মাঝে নূন্যতম রেসপেক্ট বোধ ছিল না আবিদের জন্য। এতে অবশ্য আবিদের যায় আসেনা কিন্তু দর্শিনী? দর্শিনী তার ভাইয়ের প্রাণপ্রিয় সহধর্মিনী। এইটা বোঝার মতো যথেষ্ট ম্যাচিয়্যুর ছিল আসফি। সে দর্শিনীকে রেসপেক্ট না করে অপরাধ করেছে। যেটাকে সম্পূর্ণ ইচ্ছেকৃত অপরাধ বলা যায়। আবিদ যদি তাকে কিছু না বলে তবে দর্শিনীর সঙ্গে অন্যায় হয়ে যাবে। সেইদিন দর্শিনীর সঙ্গে অনেক খারাপ কিছু হতে পারতো। তাছাড়া শ্বাসরোধ হয়ে বড় কিছু যাওয়ার চান্স ছিল। আবিদের ঘটনাটা মনে পড়লেই কেমন শরীর শিউরে ওঠে। সেইদিন দর্শিনী আবিদকে জড়িয়ে কতো কেঁদেছিল। আবিদের তখন মনে হচ্ছিলো তার বুকে কেউ সজোরে আঘাত করেছে। সে তার দর্শিনীকে ওয়াদা করেছিল আসফিকে শাস্তি দিবে। তাই ওয়াদা পূরণ করতে হবে। আবিদ অবশ্য সেদিনই ধারণা করেছিল এমন কিছু ঘটাতে পারে, তাই আগেই ব্যাবস্থা করে রেখেছিল। আসফি সেজন্যই সফল হতে পারেনি তার উদ্দেশ্যে।
প্রজ্জ্বলিনী প্রেগন্যান্ট ছিল। আবিদ জানে তার পক্ষে এতো প্লানিং করা সম্ভব না। সেজন্য সম্পূর্ণ প্লানটা আসফির ছিল। অন্যদিকে আবিদের উপর মিথ্যা আক্রোশে প্রজ্জ্বলিনী আসফিকে সাহায্য করতে রাজি হয়েছিল মাত্র। সেদিন-ই আবিদ প্রজ্জ্বলিনীর ভুল ভেঙ্গে দেয়। খুব জোরে চার-পাঁচটা থাপ্পড় পড়েছিল প্রজ্জ্বলিনীর গালে। মেয়েটা ভয়ে, গালের ব্যথায় কেদেঁ ফেলেছিল। আসফি সেইদিন মাস্টারমাইন্ড হয়েও বেঁচে গেছিল। এতো লোক সমাগমে আবিদ তার কিছুই করতে পারেনি। এসব জানাজানি হলে অবশ্য দূর্নামটা তার দর্শিনীর উপর দিতে সেইসব লোকেরা কখনো কার্পণ্য করতো না। তাছাড়া দর্শিনী তার বোনের এমন রূপ তার সহ্য করতে পারতো না। হয়তো অনেক কষ্ট পেতো, তাছাড়া মুহতাসিম পরিবারের সবাই বিশেষ করে উজান এরা কী মানতে পারত? সবাই প্রচন্ড কষ্ট পেতো। প্রজ্জ্বলিনী ভুল করেছিল ঠিকই কিন্তু অজ্ঞাত কারণে। আবিদ তাকে সবটা বুঝিয়েছ, সবচেয়ে বড় কথা প্রজ্জ্বলিনী অনুতপ্ত ছিল। তাছাড়া আবিদ অশান্তি চায়নি। বিয়েটাও পেন্ডিং ছিল! তাই আবিদ বুদ্ধি করে প্রথমে বিয়েটা কম্পিলিট করে। সেইদিন ব্যাক্তিত্ববান মানুষ হিসাবে, প্রেগন্যান্ট প্রজ্জ্বলিনীর প্রতি আবিদ সহানুভূতি অনুভব করেছিল। ঠিক তেমন-ই আসফিকে পরবর্তীতে চরম শিক্ষা দিবে বলে ঠিক করে। আর আজ ফাইনালি সেইদিন। তবে আসফি যদি ভুল স্বীকার করে দর্শিনীর কাছে ক্ষমা চায়। আর কখনো এমন জঘন্য কাজ করবে না বলে শিয়রিটি দেয়, তবেই আবিদ ভেবে দেখবে সত্যিই আসফিকে মাফ করা যায় কী না?
আবিদ আসফির সামনে চোয়াল শক্ত করে বসে আছে। আসফি হঠাৎ কঁকিয়ে আর্তনাদ করে উঠে। আবিদ একহাত দিয়ে তার হাত মুঁচড়ে ধরেছে। অন্যহাত দিয়ে মাথার উপরে তুলে বলে,
‘সেইদিন সত্যিই তোর ভাগ্য ভালো ছিল। তুই কোন সাহসে দর্শিনীকে স্পর্শ করতে গেছিলি? নিজের ভাই বলে অন্যায় মেনে নেওয়ার মতো ব্যাক্তিত্বের নয় আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরীর, ভুলে গেছিস সেই কথা?’
আসফি ব্যাথায় চিৎকার করে বলে,
‘ভাই প্লীজ, আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি শুধু তোমার থেকে প্রিয়দর্শিনীকে কেঁড়ে নিতে চাইছিলাম। আমি প্রিয়দর্শিনীর কোন ক্ষতি করিনি আঁটকে রেখেছিলাম শুধু, বিশ্বাস করো। প্রজ্জ্বলিনী আমাকে সাহায্য করেছিল। ও আমার সঙ্গে ছিল, সবটা জানতো।’
আবিদ আসফির হাত আরেকটু মুঁচড়ে বলে,
‘সবটাই তোর প্লান ছিল। প্রজ্জ্বলিনী আমাকে জানিয়েছে। একটুও বিবেকে বাঁধেনি তোর? ভয় করেনি যে আমি জানতে পারলে কী অবস্থা করবো?’
আসফি ব্যাথায় ছটফট করে। বারকয়েক চিৎকার করে বলে,
‘ভাই লাগছে। ছেড়ে দেও, আমাকে।’
আবিদ ছাড়েনা বরং কন্ঠস্বরে দৃঢ়তা প্রকাশ পায়।
‘দর্শিনী সম্পর্কে কী হয় তোর? বড় ভাবি, বুঝেছিস? বড় ভাবি মায়ের সমতূল্য। সবচেয়ে বড় কথা আমার প্রাণ। তাকে বিন্দুমাত্র ছোঁয়ার চেষ্টা করলে আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরী সেই হাত ভেঙ্গে ফেলার ক্ষমতা রাখে, বুঝেছিস? আজ ভাই বলে তোর সঙ্গে এতটা রুঢ হবো না। আমি জানি তুই দর্শিনীকে পছন্দ করিস। মজার ব্যাপার কী জানিস, দর্শিনী আমার ভালোবাসা, আমার সেই স্বপ্নকন্যা। আমরা দুজন-দুজনকে ভালোবাসি। সে সম্পূর্ণ আমার হয়ে গেছে, সম্পূর্ণভাবে! আমি জানি এতে তুই অনেক কষ্ট পেয়েছিস। তাই তোর অপরাধের শাস্তি হাফপার্সেন্ট কমে গেছে। তবে তুই দুইদিন এখানে বন্দি থাকবি, খাবার ছাড়াই! খাবার ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে, কিন্তু পানি ছাড়া না! তুই কোনরকম খাবার পাবিনা দুইদিন। আমি চাইলে আরো নির্দয় হতে পারতাম। কিন্তু হবোনা তাই শুধু পানি পাবি তুই।
আসফি শুধু দেখে যাচ্ছে ভাইয়ের নির্মমতা। আবিদকে আজ অনেক হিংস্র মনে হয়েছে। আসফি জানে আবিদ আগে থেকে হিংস্র, তবে দর্শিনীর ব্যাপারে হিংস্রতা মারাত্মক রকমের। আসফি ব্যাথায় কুঁকড়ে আছে। মুখবয়বে তীব্র ব্যাথা স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে। আবিদ সত্যি কঠিনভাবে হাত মুঁচড়ে ছিল তার। আসফির মনে হচ্ছে হাতটা ভেঙ্গে-ই ফেলবে। আবিদ একদমে কথাগুলো বলে থামে, হাঁপিয়ে গেছে একদম। অকস্মাৎ লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে আসফির উদ্দেশ্যে আবারো বলে,
‘এখান থেকে মুক্ত হওয়ার পরে দর্শিনীকে ভাবি বলে ডাকবি! বারবার ক্ষমা চাইবি তুই, যতক্ষণ না তোকে ক্ষমা করে। আমি তোকে অনুরোধ নয়, আদেশ করছি। যদি আমার কথার নড়চড় হয় তবে তোকে ভয়ংকর শাস্তি দিবো আসফি, মনে রাখিস কথাটা।’
বলেই গটগট করে বেরিয়ে যায় আবিদ। আসফির মনে হলো এতোক্ষণ পরে মারাত্মক যন্ত্রণা থেকে নিস্তার পেলো। হঠাৎ করে আসফি অনুভব করে সে দুইহাত-ই নাড়াতে পারছেনা। তার রাগে, অপমানে, ব্যাথায় রীতিমতো অশ্রুসিক্ত অবস্থা। হঠাৎ নিদারুণভাবে ফুঁসে উঠে আসফি। আবার ভাইয়ের কথাগুলো স্মরণ করে ভীত হয়। আবিদ তাকে সত্যিই ছাড়বেনা বেশি বাড়াবাড়ি করলে। আবিদের বরাবর-ই অন্যায় কারীদের উপর মায়া কম। আসফির সব আক্রোশ হঠাৎ প্রজ্জ্বলিনীর উপর পড়ে। প্রজ্জ্বলিনী বেইমানি না করলে হয়তো সবকিছু তার কন্ট্রোলে থাকতো। আবিদ তার কিছু করতে পারতো না। অন্যদিকে প্রিয়দর্শিনীকে পেয়ে যেতো। পরক্ষণেই আসফির বিবেক বোঁধ মাথা চারা দিয়ে উঠে। দর্শিনীতো ভাইকে ভালোবাসে। আবিদ তো সেটাই বলল। প্রিয়দর্শিনী কোনদিন তার ছিলইনা। দেখতে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসফি দর্শিনীকে পছন্দ করেছিল। আবার ভাইয়ের উপর প্রতিশোধ নিতে এমন ঘৃণ্য কাজ করেছে। সেজন্যই দর্শিনী তাকে ঘৃণার চোখে দেখে। আসফি এমনটা কোনদিন চায়নি। সেইদিনের ঘটনাটা আবিদকে যেভাবে বলেছে দর্শিনী, চাইলে সবাইকে বলে দিতে পারতো। হয়তো সবাই তাকে ঘৃণা করতো। আসফি কী সহ্য করতে পারতো তখন? আসফি বিবেকের দংশনে আরো বেশি নেতিয়ে পড়ে। একবার তার ভয়ংকর রাগ হচ্ছে, আরেকবার নৈতিকতার সঙ্গে ভাবে সে কী আসলেই ক্ষমার যোগ্য? পারতপক্ষে এই শাস্তি তার প্রাপ্য ছিল।
.
রাত ১:০০টা বাজছে। দর্শিনী বিভর ঘুমে তলিয়ে আছে। তার পড়নের কালো পাড়ের মসৃণ বেগুনি রঙের শাড়িটা এলোমেলো হয়ে আছে। শাড়ির আঁচলটা সরে গিয়ে ধবধবে ফর্সা পেট দৃশ্যমান। আবিদ এইমাত্র বাসায় ফিরেছে। আদিবা জেগেছিল বিধায়, ভাইয়ের কথায় সদরদরজা খুলে দিয়েছে। আবিদ নিজের রুমে ঢুকে ঘরটা অন্ধকার দেখতে পায়। তৎক্ষণাৎ সে ড্রিমলাইটের আলোটা জ্বালিয়ে দেয়। আবিদ অল্প আলোতে দেখতে পায় দর্শিনী এলোমেলো হয়ে ঘুমাচ্ছে। দর্শিনীর ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে ভেবে আবিদ রুমের লাইট জ্বালে না। আবিদ পরক্ষণে মিষ্টি করে হাসে। মেয়েটা সকাল থেকে রান্নাবান্নার কাজগুলো দেখাশোনা করেছে। হয়তো ক্লান্ত এজন্য দ্রুত ঘুমিয়ে পড়েছে। আবিদ তাকে ডাকে না। সে সোজা ট্রিশার্ট টাউজার নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়। একদম শাওয়ার নিয়ে ফ্রেশ হয়ে আবিদ বিছানায় এগিয়ে আসে। তৎক্ষণাৎ দর্শিনীর পাশে শুয়ে তাকে কাত হয়ে দেখতে থাকে। নিজের বউকে এভাবে এলোমেলো অবস্থায় দেখে তার দুষ্টুমি করতে ইচ্ছে হচ্ছে। তার মুখে রয়েছে মিষ্টিমধুর হাসি। আবিদ আলতো করে দর্শিনীর কপালে চুমু খায়। দর্শিনীর ঘুমটা হঠাৎ-ই হালকা হয়ে আসে। আবিদ দর্শিনীর উপর ঝুঁকে যায়। আবিদের পুরুষালি ঠোঁটের সঙ্গে দর্শিনীর নরম ঠোঁটটা প্রায় ছুঁই ছুঁই অবস্থা। অকস্মাৎ দর্শিনীর ঘুম ছুটে যায়, সে আবিদকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে নিজের উপর থেকে সরিয়ে দেয়। আবিদ ঐভাবে-ই অবিশ্বাস্য চোখে দর্শিনীর পানে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ কী হলো দর্শিনীর? এদিকে দর্শিনী ভয় পেয়ে গেছে, মৃদু আলোয় তার উপর কে ঝুঁকেছিল ভাবতে-ই শরীরের লোম দাঁড়িয়ে উঠেছে প্রায়। পরবর্তীতে বুঝতে পারে ব্যাক্তিটি কে? আবিদ তৎক্ষণাৎ দর্শিনীকে বুকে জড়িয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। দর্শিনীর হার্টবিট বেড়ে গেছে। আবিদ তাকে শান্ত করতে ল্যাম্পের কাছে পানির গ্লাস থেকে দর্শিনীকে পানি খাইয়ে দেয়। দর্শিনী অনেকটা শান্ত হয়ে আবিদের বুকে মিশে যায়। আবিদ মলিন স্বরে বলে উঠে,
‘আমার ছোঁয়া এখনো চিনতে পারোনি, বউ?’
দর্শিনী আবিদকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। আবিদ, কিছুক্ষণ পর দর্শিনীর ফুঁপানোর আওয়াজ পায়। তার দর্শিনী কী কাঁদছে? আবিদ তৎক্ষণাৎ দর্শিনীর মুখটা আজলা করে ধরে। দর্শিনী ফুঁপিয়ে বলে,
‘আমি আসলে বুঝতে পারিনি আবিদ। আপনি ছিলেন না, কখন ঘুমিয়েছি কিছুই জানিনা আমি। একটা দুঃস্বপ্ন দেখছিলাম আমি দৌঁড়াচ্ছি, আমার পেছনে কয়েকজন কালো পোশাক পরিহিত ব্যাক্তি তাড়া করছে। তারপর-ই আপনার ঠাণ্ডা হাতের ছোঁয়া পেলাম। ঘুমের ঘোরে হঠাৎ-ই ভয় পেয়ে গেছি। ভেবেছিলাম আপনি নেই……’
দর্শিনীর কথা আবিদ বুঝতে পেরেছে। দর্শিনী প্রচন্ড ভয় পেয়েছে এজন্য আবিদ দর্শিনীকে থামিয়ে দেয়। তারপর গভীরভাবে আলিঙ্গন করে বলে,
‘ভেবেছিলে আমি যেহেতু নেই। হঠাৎ-ই বিপদে পড়েছো তোমাকে কে বাঁচাবে? তৎক্ষণাৎ ড্রিমলাইটের আলোতে আমার স্পর্শে ভয় পেয়ে লাফিয়ে উঠেছো?’
‘হুম!’
‘কিছু হয়নি কলিজা, তুমি ঘুমের ঘোরে দুঃস্বপ্ন দেখে ভয় পেয়ছো। তাছাড়া আমার স্পর্শ সারাজীবনের জন্য তোমার মনে রাখা উচিত। আর কখনো যেন এমন না হয় ঠিক আছে, বউ?
‘সত্যি এক্সিডেন্ট ছিল, আর হবে না। আবিদ, আপনি রাগ করছেন না তো?’
আবিদ দর্শিনীর সম্পূর্ণ মুখে শুষ্ক অধরের চুমু এঁকে বলে,
‘নাহ!’
দর্শিনী মিষ্টি হেসে আবিদকে জড়িয়ে ধরে বলে,
‘ঘুম আসছে, আপনার বুকে মাথা রেখে ঘুমাবো আমি।’
আবিদ মুখটা করুণ করে বলে,
‘এতোক্ষণ ঘুমিয়েছো তো, একটু আদর করি?’
‘নাহ!’
‘কেনো?’
‘আমার ঘুম সম্পূর্ণ হয়নি আবিদ শাহরিয়ার।’
‘শুধু আবিদ শুনতে বেশি ভালো লাগছিল।’
‘আপনার সারনেইমটা অনেক সুন্দর আবিদ।’
‘তোমার মুখের শুধু আবিদ শুনে পাগল না হয়ে যায় আমি।’
‘পাগল হলে আমি সামলে নিবো।’
আবিদ হুট করে দর্শিনীর গলায় মুখ গুজে শুয়ে পড়ে। দর্শিনী ঈষদুষ্ণ কেঁপে উঠে। আবিদকে সরাতে চাইলে আরো আষ্টেপৃষ্টে জাপ্টে ধরে। ফলশ্রুতিতে দুজনে ওভাবেই ঘুমের রাজ্যে পাড়ি জমায়।
#চলবে
[ বলেছিলাম কোন প্রশ্ন বা কাহিনী বাদ পড়লে তুলে ধরবেন আমি এড করে দিবো, তবে সেটা না করে সবাই আসফির প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছে। শকিং ছিল, হাহা! সবাই ভুলত্রু’টি মানিয়ে নিবেন, আর রেসপন্স করবেন ]