#প্রিয়দর্শিনীর_খোঁজে❤
|| পর্ব – ২৫ ||
#লেখনীতে_বিবি_জোহরা_ঊর্মি
“এই শহরে হাজারো কান্না লুকিয়ে রোজ,
হাসার অভিনয় করি; যদি মিলে প্রিয়দর্শিনীর খোঁজ।”
অক্টোবর মাসের প্রথম বৃষ্টি হচ্ছে। মৃদ হাওয়ায় জানালার পর্দা নড়ছে। রিদ চুপচাপ বৃষ্টি দেখছে। আজ তিন দিন হলো তাহনা চলে গেছে। এখনো তাহনাকে খুঁজে পায়নি রিদ। ভিষণ কষ্ট হচ্ছে তার। হৃদয় পুঁড়ে খাঁ খাঁ করছে। তাহনাকে সে নিজের জীবনের সাথে অনেকটাই জড়িয়ে নিয়েছিল। কিন্তু একটা ঘটনা আজ তাহনাকে তার থেকেই দূরে সরে রেখেছে। সেদিনের পর থেকে রিদের খাওয়া দাওয়া প্রায় বন্ধ বললেই চলে। রিদের মা জোর করে একটু যা খাওয়ায় তাকে। কিছুতেই মুখে খাবার তুলে না সে। একেবারে দূর্বল হয়ে গেছে। পেশার লো হয়ে গেছে।
নিজের রুম থেকে নিচে নেমে এলো রিদ। ঠিকভাবে হাটতেও পারছেনা সে। রাইশা তার ভাইকে ধরে সোফায় বসালো। বাইরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। মিসেস ফাবিহা রিদকে এই অবস্থায় কিছুতেই দেখতে পারছেন না। তাহনা যাওয়ার পর থেকে ছেলেটা প্রায় পাগল হয়ে গেছে। রিদের বাবাও ওখানে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে তাহনার বাবা জানতে পেরেছেন তাহনা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। সেই থেকে এহসান সাহেব অনেক কাঁন্নাকাটি করেছেন রিদের বাবার কাছে। রিদের হাত ধরে বারবার অনুরোধ করেছেন যেন সে তাহনাকে খুঁজে নিয়ে আসে। বাসার সবার মন খারাপ। রিদের বাবা চারদিকে খোঁজ খবর নিচ্ছেন তাহনার ব্যাপারে। আর রিদের মা শুধু তাহনার কথা বলে বলে চোখের পানি ফেলছেন। তাহনা আসার পর থেকে একটা কাজও তাকে করতে দেননি। উনি অনেক বারণ করা সত্ত্বেও তাহনা নিজে এসে সব কাজ করতো। এসব বলে বলে হাউমাউ করে কেঁদেছেন রিদের মা মিসেস ফাবিহা। রাইশার ও কম কাঁদেনি তাহনার জন্য।
বাসার কেউই রিদকে দেখতে পারছে না। চেহারার কি বেহাল দশা করে রেখেছে এই তিন দিনে। হঠাৎ কলিংবেল বেজে উঠে ওদের দরজার। সবাই চমকে উঠে। এই বৃষ্টিতে কে এলো?
রাইশা গিয়ে দরজা খুলে দিল। আর সামনে যাকে দেখলো তাকে দেখেই চিৎকার দিয়ে উঠলো।
‘তাহনা ভাবি?’
রাইশার কথায় সবাই দরজার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো। তাহনা এসেছে। বৃষ্টিতে পুরো ভিজে গেছে সে। পড়নের শাড়িটি গায়ের সাথে লেপ্টে আছে। ঘোমটা দিয়ে রিদদের বাসার দরজার সামনে সে দাঁড়িয়ে আছে। তাহনাকে দেখে সবাই দাঁড়িয়ে গেল। তাহনা ভিতরে ঢুকে সবার পানে অপরাধীর মতো তাকিয়ে রইলো।
রিদ তাহনার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। তারপর ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলল,
‘কি করছ এখানে তুমি? যেখানে গিয়েছিলেন ওখানে তোমার জায়গা হয়নি বুঝি? তাই আবার এখানে চলে এসেছ? যাও বেরিয়ে যাও।’
রিদের কথায় তাহনা চোখ তুলে তাকালো। নিঃশব্দে কাঁদছে মেয়েটা। রিদ এখনো তার সাথে খারাপ ব্যবহার করছে?
রিদের বাবা বললেন,
‘কি অসভ্যের মতো কথা বলছ তুমি রিদ? তাহনা ফিরে এসেছে এটা তো আনন্দের কথা। আর তুমি কিনা ওকে বেরিয়ে যেতে বলছ?’
‘ভেতরে যাও তোমরা। আর এই মেয়ে! এখনো দাঁড়িয়ে আছো? বের হও।’
রিদ তাহনার হাত ধরে তাকে দরজার বাইরে নিয়ে গিয়ে মুখের সামনে দরজা বন্ধ করে দেয়। তারপর সবাই উদ্দেশ্যে বলে,
‘তোমরা এখনো দাঁড়িয়ে আছো কেন? যার যার রুমে যাও।’
রিদের ব্যবহার কারোই ভালো লাগেনি। কিন্তু এখন রিদের কথা না শুনলে হিতে বিপরীত হবে। তাই তারা সবাই ওখান থেকে চলে যায়।
সবাই চলে যেতেই রিদ দরজা খুলে দেয়। আর দেখে তাহনা কাঁদছে বাইরে দাঁড়িয়ে। রিদ শক্ত করে তাহনার এক হাত চেপে ধরে। তারপর টানতে টানতে নিজের রুমে নিয়ে যায় তাহনাকে।
এদিকে রিদের মা বা ও রাইশা লুকিয়ে সব দেখছিল। ছেলেকে তারা চিনেন। ও কখনোই নিজের স্ত্রীকে অস্বীকার করবে না। মিসেস ফাবিহা বারবার বলছিল তাহনার কাছে গিয়ে তাকে একবার বুকে জড়িয়ে ধরার কথা। কিন্তু রিদের বাবা বাধা দিয়ে বললেন আগে ওদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি মিটুক তারপর যেতে।
মিস্টার আফজাল শেখ তাহনার বাবাকে কল দিয়ে জানায় যে তাহনা ফিরে এসেছে চিন্তা না করতে।
.
আলমারি থেকে সেলোয়ার-কামিজ বের করে তাহনার হাতে দিয়ে বলে,
‘আগে ফ্রেশ হয়ে আসো। তারপর তোমার ব্যবস্থা করছি।’
তাহনা রিদের কাছ থেকে ওগুলো নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।
*
বৃষ্টি যেন থামছেই না। প্রবলবেগে আরো বেড়ে গেলো। রিদ আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। তাহনা ওয়াশরুম থেকে বের হলো। চুপচাপ নিচের দিকে তাকিয়ে আছে সে। রিদ পিছনে তাকিয়ে তাহনার দিকে তাকালো। তাহনার হাত থেকে টাওয়াল টা নিয়ে সে বারান্দায় গিয়ে শুকাতে দিল। তারপর রুমে এসে তাহনার মুখোমুখি দাঁড়ালো। তাহনা ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে আছে।
‘রাগের বসে কি না কি বলে ফেলেছি তার জন্য বাড়ি ছেড়েই চলে যাবে তুমি? একবারও ভাবলে না আমার কি হবে? একবারও কি আমার কথা তোমার মনে পড়েনি তাহনা? আমিতো হিতাহিতজ্ঞান হারিয়ে তোমাকে কিছু কথা বলে ফেলেছিলাম। মন থেকে তো আর ওসব বলিনি তাহনা। তাহলে কেন আমাকে একা রেখে চলে গেলে? তুমি জানো না আমি তোমাকে ছাড়া কতটা অসহায়? এ কয়দিনে তুমি আমার সাথে কতটা আঁকড়ে পৃষ্টে জড়িয়ে গেছ তুমি জানো? একটুও কষ্ট হয়নি আমায় ছাড়া থাকতে তোমার?’
তাহনা রিদকে ঝাপটে জড়িয়ে ধরে। সহস্র অশ্রু ছেড়ে দিয়ে রিদের শার্ট ভিজিয়ে দেয়। নাট টেনে টেনে বলে,
‘বিশ্বাস করুন। এক মুহুর্তও থাকতে পারছিলাম না আমি আপনার উপস্থিতি ছাড়া। নিঃশ্বাস প্রায় বব্ধ হয়ে আসছিল। তাইতো ছুটে এলাম। আমি আপনাকে ছাড়া এক মুহুর্তও থাকতে পারবো না রিদ। আপনি না সেদিন বললেন, আমি আপনার একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছি, যে অভ্যাস আপনাকে আমার থেকে এক মুহূর্ত দূরে থাকতে দেয়না? আপনিও আমার একটা অভ্যাস রিদ। আপনাকে ছাড়া আমি এক মুহুর্তও দূরে থাকতে পারবো না। আমায় ক্ষমা করুন রিদ।’
রিদ তাহনার মাথায় হাত ভুলিয়ে বলল,
‘ক্ষমা তো আমার তোমার কাছে চাওয়ার কথা তাহনা। আমি তোমার সাথে যা আচরণ করেছি তা তো তোমার প্রাপ্যই নয়। তুমি আমার স্ত্রী। আর আমার জীবনে তোমার গুরুত্ব সব চাইতে বেশি। আমার সব বিষয়ে জানার অধিকার তোমার আছে। জানো তাহনা, অতীত খুব ভয়ানক জিনিস। যতই ভুলতে চাই ততই সামনে এসে যায়। আমি আমার অতীত ভুলতে চেয়েছি। আমার জীবন থেকে অনেক দূরে রাখতে চেয়েছি। এই জিনিসটা কেউ আমার সামনে নিয়ে আসলে আমার মাথায় রক্ত উঠে যায়। আমি স্থির থাকতে পারিনা। আমি নিজের মধ্যেই থাকিনা তখন। আমি তোমাকে হারাতে চাইনা তাহনা। আমি তোমাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাই সারাজীবন। তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে আমি অনুতপ্ত। আমাকে ক্ষমা করো তাহনা।’
তাহনা কিছু বলে না। চুপচাপ শুধু রিদের কথা শ্রবণ করে। রিদকে আরও আঁকড়ে ধরে রাখে।
*
শক্ত করে তাহনাকে নিজের বুকে চেপে ধরে রেখেছেন মিসেস ফাবিহা। তাহনা চোখ বন্ধ করে মিসেস ফাবিহাকে জড়িয়ে ধরে আছে। মিসেস ফাবিহা বলেন,
‘মা’কে ছেড়ে এভাবে চলে গেলে? একবারও কি মায়ের কথা মনে পড়েনি তোমার?’
‘সবার কথাই মনে পড়েছে মা। কিন্তু কি করবো। কারো বোঝা হয়ে থাকতে চাইনা আমি।’
‘চুপ! তুমি কারো বোঝা নও। আমি জানি না রিদের সাথে তোমার কি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। কিন্তু এভাবে আর কখনো আমাদের ছেড়ে যাবে না। আমরা তুমি ছাড়া একেবারেই শূন্য তাহনা। তুমি আমাদের পরিবারের একজন, তুমি চলে গেলে আমরা কিভাবে ভালো থাকি বলো।’
‘আর এমন হবে না মা।’
তাহনা মিসেস ফাবিহার বুক থেকে মাথা উঠিয়ে নিল। এরপর বলল,
‘চা খাবেন মা?’
‘তুমি বসো। আজ আমি চা করে আনছি। আর কাল থেকে তুমি পড়ালেখায় মন দিবে। রান্নাঘর সামলানোর জন্য আমি আছি। এতোটাও বুড়ো হয়ে যায়নি আমি।’
তাহনা মুচকি হাসে। মিসেস ফাবিহা চলে গেলে৷ রান্নাঘরে চা বানাতে।
*
আকাশে মেঘ নেই। পূর্ণীমার আলোয় ঝলমল করছে চারপাশ। চাঁদকে আজ ভিষণ রুপসী লাগছে৷ বৃষ্টির পরে আকাশটা অসম্ভব সুন্দর লাগে। বারান্দায় তাহনাকে পাশে বসিয়ে চাঁদ দেখছিল রিদ। রিদের কাঁধে তাহনার মাথা। রিদ এক হাত দিয়ে তাহনাকে জড়িয়ে ধরে আছে৷ দুজনের গায়ে একটা চাদর জড়ানো। এই সুন্দর মুহুর্ত যেন তাড়াতাড়ি শেষ না হয়। তাহনা বারবার কথা বলতে চাইছে। কিন্তু কোথায় যেন আটকে যাচ্ছে৷ রিদও চুপ করে আছে। তাহনার মনে প্রশান্তির ঢেউ বয়ে যাচ্ছে। অনেকদিন পর কিছু একটা সে পেয়েছে৷ একটা সুন্দর মুহুর্ত। যেই মুহুর্ত রিদ তাহনাকে উপহার দিয়েছে আজ। এই যে রিদের কাঁধে তাহনার ক্লান্ত মাথা, রিদের বুকে তাহনার তপ্ত নিঃশ্বাস আঁছড়ে পড়া! নিজের কাঁধে রিদের হাত। একসাথে বসে চাদর মুড়ি দিয়ে চাঁদ দেখা! এসব যেন তাহনার একটা কল্পনা।
রিদ একটা দীর্ঘঃশ্বাস ছাড়ে। তাহনার কাঁদ থেকে নিজের হাত সরিয়ে নেয়। তারপর তাহনার এক হাত ধরে নিজের হাতের মুঠোয় রাখে। অতঃপর সে বলে,
‘তুমি জানো আমি সমুদ্র কেন ভয় পাই? তুমি যার কথা আমায় জিজ্ঞেস করেছিলে, শুভ্রা! শুভ্রা আমার একসময়ের ভালোবাসার মানুষ ছিল। দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসতাম। একদিন ফ্রেন্ডরা মিলে সবাই সমুদ্রে ঘুরতে যাই। শুভ্রা আমার সাথেই পড়তো। তখন বয়স প্রায় বিশ এর কাছাকাছি। সমুদ্রে ঘুরতে গিয়ে শুভ্রা সমুদ্রের পানিতে ভিজতে থাকে। আনন্দ করতে করতে আরও গভীরে যেতে থাকে। আমি বারবার তাকে না করেছিলাম এতো দূরে না যেতে। হঠাৎ জোরে একটা ঢেউ এসে শুভ্রার মাথার উপর দিয়ে নিয়ে যায়। ঢেউয়ের রেশ কাটতেই দেখি শুভ্রা সেই জায়গায় নেই। তন্নতন্ন করে তাকে খুঁজতে থাকি। ডুবুরি এনে অনেক চেষ্টা করি। কিন্তু ওরা জানায় শুভ্রাকে ওরা খুঁজে পায়নি। ঢেউয়ের সাথে ভেসে চলে গেছে। শুভ্রাকে হারানোর বেদনা আমাকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছিল। আমি ঘরে শান্ত হয়ে থাকতে পারিনা। শুভ্রার কথা মনে হলেই পাগল হয়ে যাই। ঘরের জিনিসপত্র ভেঙেচুড়ে শেষ করে দি। রাস্তার মাঝে বেখেয়ালে চলাফেরা করি। এভাবে একদিন আমার অ্যাকসিডেন্টও হয়ে যায়। আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। মাথায় আঘাত পাই। প্রচুর রক্ত যায়। মা বাবা পাগলের মতো কাঁদতে থাকেন আমার জন্য। একটাই তো ছেলে আমি তাদের। আমার এ অবস্থা তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। ডাক্তার আমাকে মানসিক চিন্তা থেকে দূরে রাখতে বলেছেন। আমার বাবা দেশের বাইরে পাঠানোর কথা বলেছিলেন কিন্তু মা রাজি হননি। আমরা আগে অন্য কোথাও থাকতাম। তারপর বাবা মা এখানে আমাদের নিয়ে আসে। আমি নিজেকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে থাকি। কারণ বাবা মা আমার জন্য অনেক ভেঙে পড়েছেন। পড়ালেখায় ফোকাস করতে লাগলাম। আস্তে আস্তে সব ঠিক হতে লাগলো। কিন্তু যখনই সমুদ্র কিংবা শুভ্রার কথা কেউ উঠায়। তখন আমার মাথা কাজ করে না। আমি যেন অন্য জায়গায় নিজেকে হারিয়ে ফেলি। শুভ্রার স্মৃতি আমি অনেকটাই ভুলে গিয়েছি। তুমি যখন চলে গিয়েছিলে, আমার মনে হয়েছে আমি অনেক বড়ো কিছু হারিয়ে ফেলেছি তাহনা। একজনকে হারিয়েছি, এখন আর একজনকে হারাতে চাইনা। আমি তোমায় নিয়ে বাঁচতে চাই। তোমায় আঁকড়ে ধরে রাখতে চাই আমার জীবনের সাথে। তুমি আমার প্রিয়দর্শিনী তাহনা।’
তাহনার ভিষণ খারাপ লাগলো রিদের কথাগুলো শুনে। তানভির তো তাকে ধোকা দিয়েছিল কিন্তু শুভ্রা? সে তো পৃথিবী থেকেই চলে গেল। এভাবে ভালো মানুষগুলো পৃথিবী থেকে চলে যায় কেন? কেন তাদের ভালোবাসার মানুষদের তারা একা রেখে আকাশের তারা হয়ে যায়? তাহনা বলে,
‘আমি সবসময় আপনার পাশে আছি রিদ। কখনো আপনার হাত ছাড়বো না। একবার ভুল করেছি। আর করবো না।’
‘আমিও আর তোমার উপর রাগ করবো না তাহনা। আমার অনেক বড়ো অন্যায় হয়েছে। তোমার মনে আঘাত দিয়ে ফেলেছি আমি। কিন্তু এটা আমার দায়িত্বে পড়ে না। তোমাকে তো আমি নিজে থেকে বিয়ে করেছি। তাই তোমাকে কারণে অকারণে কষ্ট আমি দিতে পারিনা।’
‘আপনি সারাজীবন এভাবেই আমার পাশে থাকবেন তো রিদ? যেভাবে এই হাত ধরে আছেন এখন, সারাজীবন ধরে থাকবেন তো?’
‘হ্যাঁ! সারাজীবন ধরে থাকবো। যত বাঁধা বিপদ আসুক আমি তোমার হাত ছাড়বো না।’
তাহনা রিদের বাহু জড়িয়ে ধরে। এটাই তো সে বারবার চেয়ে এসেছে। একটা ভরসার হাত। যেটা কখনোই তার থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না।
চলবে…
(শব্দ সংখ্যা – ১৬৩৬)