প্রস্থান — ২২তম পর্ব।
রিফাত হোসেন।
২৬.
রান্না শেষ করে ঘরে এসেছেন রুমানা বেগম, এমন সময় কলিংবেলটা বেজে উঠল। রশ্মি বাইরে গেছে বিড়ালদের খাওয়াতে, তাই দরজাটা খুলতে তাকেই যেতে হলো।
খালেদ সাহেবকে দেখে রুমানা বেগমের চোখ গোল গোল হয়ে গেল। উৎকণ্ঠিত সুরে তিনি বললেন, “ভাইসাব, এত সকালে আপনি; সব ঠিক আছে তো? বাড়ির কারোর কিছু হয়েছে?”
রুমানা বেগমকে শান্ত করতে খালেদ সাহেব দ্রুত বললেন, “আপনি উত্তেজিত হবেন না, ভাবি। সবাই ঠিক আছে। কারোর কিছু হয়নি। আমি তো শুধু আপনার সাথে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করতে এসেছি। যদি আপনার সময় হয়।”
“এভাবে বলছেন কেন, ভাইসাব? আসুন না, ভেতরে আসুন।” রুমানা বেগম বিনয়ের সাথে আহ্বান করলেন তাকে, সম্মুখ থেকে সরে দাঁড়ালেন।
খালেদ সাহেব ভেতরে গিয়ে, ড্রয়িংরুমের সোফায় বসলেন। রুমানা বেগম বললেন, “ভাইসাব, আপনি বসুন, আমি চা নিয়ে আসছি।”
“না না, ভাবি।” সসম্মানে দাঁড়িয়ে গেলেন খালেদ সাহেব। মুখে মৃদু হাসি টেনে বললেন, “আমি এইমাত্র ব্রেকফাস্ট করে বেরোলাম। আসার সময় দেখলাম রশ্মি বিড়ালদের খাওয়াচ্ছে। আপনার কথা জিজ্ঞেস করতেই বলল এখনো বেরোননি, সেজন্য এলাম কথা বলতে। আপনি বসুন এখানে।”
রুমানা বেগম বসতেই খালেদ সাহেব আবার বসলেন আগের জায়গায়। ভীষণ কৌতূহলী ভঙ্গিতে তাকিয়ে আছেন রুমানা বেগম। খালেদ সাহেব তেমনই প্রচণ্ড গম্ভীর। আপনমনে কিছু ভাবছেন তিনি, গভীর মনোযোগ দিয়ে।
রুমানা বেগম তাগাদা দিলেন, “ভাইসাব, কিছু বলছেন না যে।”
নড়ে বসলেন খালেদ সাহেব। ভুরু উপরে টেনে রুমানা বেগমকে একপলক দেখার পর একটা ক্ষীণ শ্বাস নিয়ে বললেন, “আসলে ভাবি, বুঝতে পারছি না কীভাবে শুরু করব।”
“এত ইতস্তত করবেন না, ভাই। আমি তো পর নই। আপনি নির্বিঘ্নে আমাকে বলতে পারেন। যদি কোনো সমস্যা তৈরি হয়ে থাকে, আর আমি যদি আপনার কোনো সাহায্যে আসতে পারি, তবে ভালো লাগবে। আপনাদের কাছে আমি খুব ঋণী। সেদিন আপনাদের সহযোগিতা না পেলে বড্ড বিপদ হতো।”
খালেদ সাহেব গভীর চিন্তান্বিত ভাবে বললেন, “না না, আমি সেসব নিয়ে ভাবছি না। আসলে আমার আলোচনার বিষয় ভিন্ন।” এরপর কয়েক সেকেন্ড আবার নির্বাক থাকার পর খালেদ সাহেব বলতে শুরু করলেন, “আপনি তো জানেন ভাবি মারা যাওয়ার পর ভাইজান একা হয়ে গেছিল। দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তখনই আমাকে সুব্রতর দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সত্যি বলতে, আমি বারবার ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছি। আমি নিজের দায়িত্ব পালন করায় অক্ষমতার পরিচয় দিয়েছি বারংবার। অনেক আশা নিয়ে ছেলেটার বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছিল। এরপর কেটে গেল দীর্ঘ পাঁচটা বছর। ধীরেধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে সুব্রত। নিজেই নিজের ক্ষতি করছে। এখন আর ওকে ঠেকানোর অধিকার আমার নেই। ওকে এমন কেউ ঠেকাতে পারবে, যাকে ও আপন মনে করবে। আমাকে ও তা মনে করে না। আমি যা ভেবেছি, তাতে আপনার সম্মতি না-ও থাকতে পারে, কিন্তু ভাবি, বড্ড আশা নিয়ে এসেছি আমি। দয়া করে আমার অবস্থাটা দেখুন।”
খালেদ সাহেবের ইঙ্গিত বুঝতে পেরে রুমানা বেগমের চোখ-মুখ পাল্টে যায়। তিনি চেহারা অত্যন্ত শক্ত করে বলেন, “ভাইসাব, আমি আপনার কথার অর্থ বুঝতে পারছি। কিন্তু এটা হওয়ার নয়।”
“কেন হওয়ার নয়?” সাথে সাথে প্রশ্ম করলেন খালেদ সাহেব। আরও বললেন, “রশ্মি খুব ভালো একটা মেয়ে। নম্র-ভদ্র। ওর মতো মেয়ে সুব্রতর জীবনে আসলে, ওর বাঁচার প্রেরণা খুঁজে পাবে। ও আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখবে।”
“ভাইসাব, আপনি হয়তো সবই ঠিক বলছেন, কিন্তু তবুও এমনটা হওয়ার নয়। আপনি ওদের বয়সটা দেখুন। কত পার্থক্য। ওদের মাঝে ব্যবধান আসান-জমিন। এই সম্পর্ক হতে পারে না, ভাইসাব। আপনি সুব্রতর অবস্থা দেখেছেন? আমি বেঁচে থাকতেই আমার মেয়েকে স্বামীহারা দেখতে চাই না।”
“এভাবে বলবেন না, ভাবি। রশ্মি যেমন আপনার মেয়ে, তেমনি সুব্রত আমার ছেলের চেয়ে কোনো অংশে কম না। ওর জন্য আমারও চিন্তা হয়। আপনি একটু ভেবে দেখুন, ভাবি। এই সম্মন্ধ হলে দুই পক্ষেরই ভালো। আপনিও রশ্মির দিক থেকে নিশ্চিন্ত হতে পারবেন, আমিও সুব্রতর দিক থেকে নিশ্চিন্ত হতে পারব।”
“নিশ্চিত!” হঠাৎ বিদ্রুপের হাসিতে মেতে উঠলেন রুমানা বেগম। হাসতে হাসতে তিনি বললেন, “ভাইসাব, বলতে খারাপ লাগছে, তবুও বলছি, সুব্রতর কাছে মেয়ে দিয়ে কোনো মা-ই নিশ্চিন্ত হতে পারবে না।”
ভদ্রমহিলার কথা শুনে তাজ্জব বনে যায় খালেদ সাহেব। তিনি হতবিহ্বল মুখ করে বলেন, “ভাবি, সেদিনের ঘটনার পরও আপনি এই কথা বলছেন?”
“বললাম তো, বলতে খারাপ লাগছে। বিবেকে বাধছে। কিন্তু সত্যি এটাই, ভাইসাব। সুব্রতর সাথে মেয়ের বিয়ে দিয়ে আমি মেয়ের ভবিষ্যৎকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করতে পারব না। এটা ভারী অন্যায় হবে।”
“সুব্রত এখন আর আগের মতো নেই, ভাবি।”
রুমানা বেগম সহসা ওঠে দাঁড়ালেন। ঠোঁট টিপে বললেন, “আমাকে আর লজ্জা দেবেন না, দয়া করে। এভাবে আপনাকে ফিরিয়ে দিতে আমার খুব কষ্টে হচ্ছে। কিন্তু আমি নিরুপায়।”
অসহায় হয়ে ওঠে দাঁড়ালেন খালেদ সাহেব। বললেন, “সুব্রত আর আগের মতো নেই। আপনি দেখবেন, ওরা সুখী হবে।”
“ভাইসাব, আপনি কি ধারণা করছেন, সুব্রত আর রশ্মি, ওরা কেউ কারোর প্রতি দুর্বল?”
“না। এইরকম কিছু আমি লক্ষ করিনি কখনো।”
“তাহলে বরং আর কথা না বাড়ানোই উত্তম। আবার আসবেন। পরেরবার কিন্তু চা খেয়ে যাবেন।”
বাইরের জানালার নিচে বসে এতক্ষণ ভিতরের আলোচনার কথাগুলো শুনছিল রশ্মি। এবার কথা থামতেই সে লুকিয়ে পড়ল। একটু পর দেখল, ভিতর থেকে খালেদ সাহেব অসন্তুষ্ট চেহারা করে বেরিয়ে আসছেন। দেখে তাঁর বড় মায়া হলো।
খালেদ সাহেব চলে যাওয়ার পর রশ্মি ছুটে গেল চিত্রাদের বাড়ি। কলিংবেলে চাপ দিয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
কিছুক্ষণ পর কনা এসে দরজাটা খুলে দিলো। রশ্মিকে দেখে অবাক হয়ে বলল, “রশ্মি যে! কেমন আছো?”
রশ্মি প্রাণবন্ত হেসে বলল, “ভালো আছি। তুমি কেমন আছো?”
“আমিও ভালো আছি।” মৃদুস্বরে জবাব দিলো কনা।
রশ্মি ভিতরে উঁকি দিয়ে বলল, “চিত্রা কোথায়?”
“সেকি! ভাবি তোমাকে বলে যায়নি?”
রশ্মির মুখে অন্ধকার নেমে এলো। অবাক চোখে তাকিয়ে থেকে জানতে চাইল, “কোথায় গেছে?”
“ভাবি তো বাপের বাড়ি গেছে। কাল বিকেলেই ভাইয়ার সাথে বেরিয়েছে। আমি তো ভেবেছিলাম তুমি জানো।”
রশ্মির বিশ্বাস হচ্ছিল না কথাগুলো। তাঁর গলা জড়িয়ে এলো। মাথা নুইয়ে ভার গলায় বলল, “কবে আসবে?”
কনা ঠোঁট টিপে বলল, “সেটা তো জানি না। বিয়ের পর শুধুমাত্র বউ ভাতের সময় গিয়েছিল দুদিনের জন্য। এরপর আর যাওয়া হয়নি। নিশ্চয়ই অনেকদিন থাকবে।”
“ওহ্।” উদাস হয়ে পড়ল রশ্মি। পিছিয়ে এসে বলল, “আমি তাহলে এখন যাই। ফোন করলে ওকে আমার কথা বোলো।”
“আচ্ছা।”
রশ্মি চলে যেতে চাইলে কনা বলল, “ভিতরে এসো। একটু বসে যাও।”
রশ্মি অনাগ্রহে সাথে বলল, “এখন বসব না। ইউনিভার্সিটিতে যেতে হবে।”
বাড়িতে এসে নীরবে ঘরে প্রবেশ করছিল রশ্মি, এমনসময় মায়ের ডাক শুনতে পেয়ে থেমে গেল সে।
রুমানা বেগম সোফায় বসে বললেন, “বোস এখানে। সুব্রতর কাকা এসেছিল এক্ষুণি। দেখেছিস তো?”
রশ্মি মায়ের কাছে গিয়ে নির্বাক-চিত্তে বসে রইল। তাঁর উদাসীনতা কাটেনি এখনো।
মেয়ের থেকে জবাব না পেয়ে রুমানা বেগম আবার বললেন, “উনি কেন এসেছিলেন শুনলে তুই চমকে যাবি। উনি এসেছিলেন বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। তোর সাথে সুব্রতর।”
রশ্মির শ্বাস থেমে গেল কথাটা শুনে। তখনও হয়েছিল। সে যা কল্পনা করেনি কখনো, আজ তা-ই নিজের কানে শুনতে হয়েছে। ভড়কে গেছিল শুরুতেই।
মেয়েকে নিরুত্তাপ, উদাস দেখে রুমানা বেগম বলতে লাগলেন, “মানলাম সুব্রত ভালো ছেলে। এর প্রমাণ আমরাও পেয়েছি। কিন্তু কথা সেটা না। চরিত্র যেমনই হোক, মানুষটা তো একই রয়ে গেছে। তাছাড়া তোদের দুজনকে পাশাপাশি কখনোই মানাবে না। মানছি সুব্রতর কাছে আমরা ঋণি। কিন্তু তাই বলে জেনেশুনে মেয়েকে তো কোরবানি দিতে পারি না। ওর সাথে তোর বিয়ে তোকে বাকি জীবন কষ্টেই কাটাবে হবে। জীবনের প্রতি ওর কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। নেশায় ডুবে থাকে রাত হলে। আমরা প্রতিবেশী, অজানা নেই কিছুই। পিঠ একেবারে দেয়ালে ঠেকে যায়নি সে যার-তার হাতে মেয়েকে তুলে দিয়ে বিদায় করে দিবো। এখনো দেহে প্রাণ আছে।” একনাগাড়ে কথাগুলো বলে একটু থামলেন রুমানা বেগম। এরপর মেয়ের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখে বললেন, “আচ্ছা, এই ব্যাপারে তোর কী মতামত?”
চুপসে গেল রশ্মি। এতক্ষণ শুনছিল, ভালোই লাগছিল, এবার বলার পালা; কিন্তু কী বলবে সে? এই, যে নিজের বয়সের থেকে দিগুণ বয়সী একটা লোককে বিয়ে করতে তাঁর আপত্তি নেই? নাকি বলবে, ঘোর আপত্তি আছে?
“কী হলো, চুপ করে আছিস কেন?”
মায়ের তাগাদায় আড়ষ্ট হয়ে পড়ল রশ্মি। আমতাআমতা করতে লাগল। “আমি আর কী বলব? যা বলার তো তুমি বলেছ।”
“সে তো বলেছিই। কিন্তু তোরও তো একটা মতামত থাকতে পারে। বড় হয়েছিস না?”
“তুমি যা বলেছ, ঠিকই বলেছ হয়তো।”
“হয়তো কেন?”
রশ্মি নিচের ঠোঁটে হালকা করে কামড় দিলো। শ্বাস টেনে বলল, “লোকটাকে আমারও তেমন পছন্দ না। একেই বয়স বেশি। আবার ঘাড় ত্যাড়া। কারোর কথা শুনে না। এমন লোককে কে বিয়ে করতে যাবে?”
“লক্ষ্যহীনও। ওর সাথে থাকলে তোর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত থাকবে। হৃদয় তো শুদ্ধ হয়েছে, কিন্তু তা কতদিন থাকবে? শয়তানও নিজের ফায়দার জন্য কখনো কখনো আল্লাহকে স্মরণ করে। আর ও তো মানুষ! রুশা মেয়েটার সাথে কী হয়েছিল, তা তো ভুলে যাইনি।” বাকিটুকু জুড়ে দিলেন রুমানা বেগম। চোখ-মুখ শক্ত করে বসে রইলেন।
রশ্মি ওঠে দাঁড়াল। বলল, “ইউনিভার্সিটিতে যাব।”
“হুম।” গম্ভীর মুখে সম্মতিসূচক মাথা ঝাঁকালেন রুমানা বেগম।
এরপর আরও কয়েকবার রুমানা বেগমের কাছে প্রস্তাবটা দিলেন খালেদ সাহেব, কিন্তু প্রতিবারই নাকচ করে দিলেন রুমানা বেগম। সরাসরিই প্রত্যাখ্যান করে দিলেন। এভাবে দশ-বার দিন যাওয়ার পর বিরক্তও হলেন তিনি, বেশ। খালেদ সাহেবের এক কথা, রশ্মির যাতে ওই বাড়িতে কোনো অসুবিধে না হয়, তার সব ব্যবস্থা উনি করবেন। রুমানা বেগমেরও এক কথা, সুব্রতর সাথে তিনি মেয়ের বিয়ে দিবেন না কিছুতেই। প্রতিবেশী হিসেবে সুব্রতকে গ্রহণ করলেও, জামাই হিসেবে তিনি কখনোই ওকে গ্রহণ করবেন না। তিনি রাগ করে এটাও বলেছেন, খুব শীঘ্রই হাসপাতালে হওয়া খরচটা তিনি সুব্রতকে ফিরিয়ে দিবেন। রুমানা বেগমের এই কথার পর খালেদ সাহেব হাল ছেড়ে দিয়েছেন। আর আসেননি তিনি। সুব্রতর জন্য অন্য পাত্রী পাওয়া দুষ্কর। তাঁর ধারণা ছিল, রশ্মিরা যেহেতু প্রতিবেশী, জেল থেকে বেরোনোর পর গত এক দেড় বছর সুব্রতকে কাছ থেকে দেখে বুঝতে পেরেছে, ছেলেটা আর আগের মতো নই। কষ্ট ভুলতেই নেশাটা করে শুধু৷ জীবনে নতুন কেউ এলে অতীতের সমস্ত কিছু ভুলে গিয়ে নতুন করে সবকিছু শুরু করবে। কিন্তু আফসোসের কথা এই যে, মুখে যা-কিছুই বলুক, স্ত্রী নির্যাতনে ৫ বছর জেল খাটা এক ছেলের কাছে সচেতন থাকতে কেউ মেয়ের বিয়ে দিতে চাইবে না। রশ্মির পরিবারও ব্যতিক্রম নয়।
২২তম পর্ব এখানেই সমাপ্ত। পরবর্তী পর্ব শীঘ্রই আসছে।
গত পর্বের লিংক – https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=838202893791079&id=100028041274793
বি:দ্র: খুবই ছোট হয়ে গেল পর্বটা। এর জন্য দুঃখিত আমি। বাচ্চাগুলো এমন শব্দ বোমা ফাটাচ্ছিল যে, শান্তিতে বেশি লিখতে পারিনি। এছাড়া নানান কাজ। কয়েকদিন ধরে মা বলছিল, ঘর ঝাড়ু দে, ফ্যানের পাখা পরিষ্কার কর। এইসব করতে গিয়ে দিনটাই পার হয়ে গেল। কালকে দিতে পারব কী না, সেটাও অনিশ্চিত।
আর হ্যাঁ, সবাইকে “ঈদ মোবারক।”