প্রতিদান পর্ব ১৫

0
1274

#প্রতিদান

পর্ব:15
#লেখিকা_নুসরাত_শেখ

(রোমান্টিক পার্ট)

আসফি আমার মাথা প্রচুর গরম আছে আমি শাওয়ার নিয়ে আসছি।তোমার সাথে জরুরী কিছু কথা আছে।রুমে আস।(মুনতাহা)

এটা কেমন কথা তোমার রাগ হলেই শাওয়ার নিতে হয়।এতে তোমার শরীর খারাপ করবে তো।
হঠাৎই ওর দিকে তাকিয়ে দেখি খুব রাগ নিয়েই তাকিয়ে আছে।ও উঠে হাঁটা দিল আমিও পেছনে যেতে লাগলাম। রুমে যেতেই ও গেট বন্ধ করে দিল তারপর হঠাৎই ওর ওরনা সরিয়ে বিছানার মধ্যে গিয়ে বসল।আমার ওর দিক থেকে চোখ সরছেনা।পানি দেওয়ার কারণে হালকা ভিজে আছে ।চুল ভিজে গলা ও মুখে লেপটে আছে।আমি গিয়ে ওর পাশে বসলাম। তারপর ওর চুল গুলো সরিয়ে দিলাম। তারপর ওর খুব কাছে গিয়ে যেই কিস করতে যাব হঠাৎই আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল তারপর আমার উপর উঠে বসে পড়ল।(আসফি)

খবরদার ধরবানা রাতের কথা ভুলে গেছ ।আমার সাথে কি করছিলা রাতে এত্ত জলদি ভুলে গেলে হবে।
এটা বলে উঠে ওয়াশরুম এর দিকে যেতে নিব ও আসফি আমাকে পাজঁকোল করে নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে হাটা দিল। তারপর নিচে নামিয়ে গেট লাগিয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়াল।
কি সমস্যা এমন করে আমার সাথে আসছ কেন?আমি বললাম তো আমার ধারেকাছে ঘেসতে না।তাও আমাকে কোলে নিলা কেন?(মুনতাহা)

আমার বউ কে আমি ধরব ,আদর করব তাতে তোমার কি?আর এখন চুপচাপ থাক তো তোমাকেও পুরোপুরিই শাওয়ার নেওয়ার অবস্হাতে দেখতে চাই আমি।
বলেই ঝড়না ছেড়ে দিলাম। (আসফি)

কি লুচ্চা মার্কা কথা।তুমি এখনি বের হবা।নাহলে আমি এখন বের হয়ে যাব।ঝড়ণার থেকে সরে দাড়িয়ে (মুনতাহা)

ওকে টেনে ঝড়ণার নিচে এনে আমার সাথে জড়িয়ে ধরলাম। পানি গুলো আমাদের ভিজিয়ে দিচ্ছে। ওর পুরো শরীর ভিজে একাকার। ও চিৎকার করছে আর ছাড়ানোর বৃথা চেষ্টা করছে।হঠাৎই ওর মুখের সৌন্দর্যে আমি মোহিত হয়ে গেলাম। আমি আস্তে করে ওর ঠোঁট জোড়া নিজের দখলে নিয়ে নিলাম।ও কিছুক্ষণ ছাড়ানোর চেষ্টা করে একটা সময় নিজেই রেসপন্স করতে লাগল।অনেকক্ষন পর ওকে ছেড়ে দাড়াতেই হঠাৎই ওর গলার মধ্যে নজর গেল। এখানে কিছুর দাগ স্পষ্ট। ও চোখ বন্ধ করে আছে।আমি ওর কাছে গিয়ে দেখি আঙ্গুল এর দাগ স্পষ্ট। কেউ খুব জোরে গলা টিপে ধরলে এমন দাগ হয়।আমিতো ধরি নাই এমন করে ।কে করতে পারে এমন। হঠাৎই ওকে দেওয়াল এর সাথে চেপে ধরলাম।
সকাল থেকে কোথায় ছিলা সত্যি করে বল?(আসফি)

হঠাৎই ওর কথায় চোখ খুলে ওর দিকে তাকালাম।দেখি ও গলার দিকে তাকিয়েই আছে।বুঝতে পারলাম দাগ দেখে ফেলছে।আমি এখন এই মুহূর্তটায় ওকে কিছু বলতে চাই না।আমি ওর ভালোবাসা টা উপভোগ করতে চাই।
আমাদের জীবনের খারাপ অধ্যায় টা শেষ করতে গেছিলাম। আর এখন আমি আমার জীবনের সুন্দর অধ্যায় টা উপভোগ করতে চাই।যা গেছে তা মনে করে এখন আর নিজেদের সুন্দর সময় নষ্ট করতে চাইনা।এখন আমি চাই আমার আসফির ভালোবাসাতে রঙিন হতে।প্লিজ আর কিছু এখন জিজ্ঞেস করোনা।সময় হলে বলব।
আসফি তাও জানতে চাইছিল গলাতে এমন দাগ কেন?এখন এটা বলতে হলে সব এই বলতে হবে।তাই কথা এড়ানোর জন্য আমি ওর পায়ে দাড়িয়ে ওর গলা জড়িয়ে ওকে কিস করলাম। তারপর সরে আসার আগেই ও আমাকে ওর সাথে জড়িয়ে ধরল। (মুনতাহা)

শাওয়ার নিয়ে আমরা কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি বিকাল চারটার কাছাকাছি।মুনতাহার দিকে তাকিয়ে দেখি আমার গলাতে মুখ গুজে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। আমি ওকে দেখতে লাগলাম। কি যে কিউট দেখতে।ও হঠাৎই উঠে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসল।তারপর উঠে হাত পায়ের আঙ্গুল ফুটাতে লাগল।
এই মুন তুমি ডাক্তার হতে যাচ্ছ আর এটা যানোনা এমন করে আঙ্গুল ফুটালে হাড় ক্ষয় হয়ে যায়।তাও প্রতিদিন এমন করে আঙ্গুল ফুটাও কেন?(আসফি)

নাহলে হাত পা ব্যাথা করে।বাদ দেওতো এখন উঠে পড় লাঞ্চ করতে হবেতো।
তারপর আমরা ফ্রেস হয়ে নিচে চলে গেলাম। এবং লাঞ্চ করে নিলাম। রুমে আসতেই আসফি পড়তে বসতে বলল।কোই বউ সামনে রোমান্স করবে না এখন পড়তে বসতে বলে।খবিশ একটা।ও পড়তে বসল।মানে ব্ই রিভিসন দিতে বসল।দুইবছর তো কোন কাজ করেনি তাই ব্রেন এ জং পড়ছে।আর লেকচার দিতে হলে আগে ওর ভালো মত ঐ বিষয় নিয়ে ওর ধারণা না থাকলে লেকচার দিবে কিভাবে।ও পড়ছে কিন্ত আমি পড়তে পারছিনা গলা ব্যাথার কারণে।তাই আমি নিচে চলে আসলাম। মরিয়ম বললাম আমার জন্য আর আসফির জন্য কফি বানাতে।এই ফাকে আমি জবা ফুল গাছের নিচে গিয়ে বসলাম। এখন ফুল নেই শুধু সবুজ পাতা আর পাতা।এখন অবশ্য বাগানের গাছ গুলোর উন্নতি হয়েছে।ফুল ধরেছে কয়েক টার মধ্যেই। কিন্ত আমার কেন জানি এই জবা গাছটাই বেশি ভাল লাগে।একটা ফুল ও নেই।মন চাইছিল একটা ফুল কানে ঘুজে দেই।আজকে অনেক দিন পর শাড়ি পড়া।আসফি বলল আজকে শাড়ি পরো।তাই শাড়ি পরেছি।একটা জবা ফুল কানে গুজলে অনেক সুন্দর লাগত।কিন্ত একটা ফুল ও নেই।মনটা খারাপ হয়ে গেল। হঠাৎই আসফি একটা গোলাপ ফুল এনে আমার কানে গুজে দিল তারপর আমার পাশে বসল। (মুনতাহা)

পড়াশোনা বাদ দিয়ে চলে আসলে কেন?(অসফি)

এমনি চল মরিয়ম মনে হয় কফি বানিয়ে ফেলছে।
কফি খাওয়ার পর কিছুক্ষণ পড়ে নিলাম।তারপর রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে দুইজন ব্রেকফাস্ট করে হসপিটাল চলে আসলাম। ক্লাস করে ইন্টারনি করতে গেলাম। আর এইভাবেই চলছে আমাদের দিন।হঠাৎই একদিন তিহান কল করল।জানালো ওদের মেয়ে হয়েছে।সময় করে যেন একদিন দেখতে যাই।আমি বললাম যাব। এক সপ্তাহ পর মালিহা ম্যাম আস্তে আমার আরো চাপ বেড়ে গেল। আসফির ও এখন লেকচার এর ক্লাস বেশি করতে হয়।হঠাৎই আমার ফ্রেন্ড গুলো ঠিক করল তিনদিনের জন্য সাজেক যাবে।সবাই তো খুবই খুশি।কিন্ত আমার খুশিতে পানি ঢেলে দিল আমার বজ্জাত জামাইটা।সে আমাকে ছাড়া থাকবেনা।তাই আমাকে ওদের সাথে যেতে দিবেনা।কেমন টা লাগে তিনদিনের জন্য যাব তাও যেতে দিতে চায়না।(মুনতাহা)

*************(চলবে)***********

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here