#প্রণয়ের_সূচনা
#লেখিকা_Nazia_Shifa
#পর্ব_০৭
___________________________
সকালের স্নিগ্ধ প্রহর। সূর্যের সোনালি আলোয় আচ্ছাদিত প্রকৃতির মায়াবী মুখশ্রী।ফজরের নামাজ পড়ে চা নিয়ে ছাদে এসেছে সূচনা।চেয়ার টেনে ছাদের মধ্যিখানে বসে পড়লো।মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে পাখির দল, কি মিষ্টিমধুর তাদের কলরব ধ্বনি।বাতাসের সাথে তাল মিলিয়ে সূচনার খোলা চুলগুলো উড়ছে।প্রাণ ভরে লম্বা করে শ্বাস নিল কয়েকটা সে।এখন ভালো লাগছে,শান্তি লাগছে একটু।মিনিট তিরিশেক সেভাবেই বসে রইলো।সূর্যের আলোর প্রখরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে আস্তে আস্তে। চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ালো সূচনা।ছাঁদ থেকে নেমে আসলো।বাসায় আসতেই দেখা হলো মিসেস দিশার সাথে।সূচনাকে দেখে বললেন-
–‘ আজকে তাড়াতাড়ি গোসল করে সুন্দর করে পরিপাটি হয়ে নিবি।
সূচনা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো-
–‘এত সকালে কেন গোসল করবো আম্মু? আর তৈরী হব কেন?কেউ আসবে?
–‘একটু পরে গোসল করে তৈরি হয়ে যাবি।কে আসবে সেটা আসলেই দেখিস।
–‘কিন্তু আম্মু।
–‘বললাম তো যা আমি আসছি।অনেক কাজ আছে।
আর কিছু বললো না সূচনা।রুমে এসে থম মে’রে বসে রইলো।কে আসবে যার জন্য এত তাড়াহুড়ো?এত আয়োজন? যার জন্য দুই দিন আগেই তৈরি হয়ে থাকতে হবে?হুহ!নাস্তা করে ড্রয়িং রুমে টিভি দেখতে বসতেই মিসেস দিশা গর্জে উঠলেন যেন।হাতে খুন্তি নিয়ে তেড়ে এসে বললেন-
–‘তোকে না বললাম তাড়াতাড়ি গোসল করতে, রেডি হতে,আবার এটা নিয়ে পড়েছিস কেন?ওনারা দুপুরে খেয়েই রওনা দিবেন।যাহ তাড়াতাড়ি।
মায়ের এমন আচরণে সূচনা সেকেন্ডের জন্য ‘থ’ হয়ে গেল।কিন্তু কিছু বলার সাহস পেলনা।তড়িঘড়ি করে উঠে চলে আসলো সেখান থেকে। বেচারি তারাহুরো করতে যেয়ে টিভি অফ করতে ও ভুলে গেছে।রুমে এসে কাবার্ড থেকে নীল রঙের একটা থ্রি পিছ বের করে নিয়ে ওয়াশরুমে ঢু’কলো।শাওয়ার নিয়ে এসে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে নিয়ে,,এক পাশে সিঁথি করে খোলা রেখে দিল চুল।চোখে হালকা কাজল,আর ঠোঁটে হালকা গোলাপি রঙের লিপস্টিক,কানে ছোট ছোট দুল।ব্যস!আয়নায় আরেকবার দেখলো নিজেকে।অতঃপর রুম ত্যাগ করে রান্নাঘরে গেল।মিসেস দিশা সূচনার দিকে তাকিয়ে বললেন-
–‘মাশা আল্লাহ, তোকে তো নীল রঙে অনেক সুন্দর লাগছে।
বিনিময়ে মুচকি হাসলো সূচনা।মিসেস দিশার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো-
–‘এত খাবার কেন?কার জন্য রান্না করছো?
–‘বললাম না মেহমান আসবে।
–‘কে আসবে?
–‘যখন আসবে তখন দেখিস।
–‘কিন্তু,,
মিসেস দিশা ধরা গলায় বললেন-
–‘তুই রুমে যা।কাজ করছি আমি।
–‘এমন করছো কেন?আমি থাকলে কি সমস্যা? আমি তোমার হেল্প করি একটু।
–‘তুই রুমে যা।আমি করছি।হয়ে গেছে প্রায়।
–‘কিন্তু আম্মু।
–‘রুমে যা সূচি।কথা বাড়াসনা তো।
মন খা’রাপ করে সূচনা রুমে চলে আসলো আর মিসেস দিশা দ্তাকিয়ে রইলেন তার যাওয়ার দিকে।সে যেতেই আঁচলে মুখ চেপে কে’দে ফেললেন।
.
.
মিসেস দিশা সূচনাকে রুম থেকে বেরোতে দেয়নি আর।এমনকি দুপুরের খাবার টাও রুমে এসে নিজ হাতে খায়িয়ে দিয়ে গেছেন।প্রায় এক ঘন্টা পার হবার পরও মিসেস দিশা আর রুমে আসলেন না।এদিকে কে আসবে তা জানার জন্য সূচনার মন আ’কুপাকু করছে।এবার আর বসে না থেকে রুমের দরজা খুলে পা টিপে টিপে বের হলো রুম থেকে।ড্রয়িং রুম থেকে কথার আওয়াজ আসছে।মিসেস দিশা হেসে হেসে কথা বলছেন কারো সাথে। সূচনা মুখ বা’কিয়ে বিড়বিড় করে বললো-
–‘আমাকে একা রুমে রেখে আপনি আড্ডা দিচ্ছেন মিসেস দিশেহারা। নট ফেয়ার।
মাথার ঘোমটা টা ভালো মতো টেনে দিয়ে ড্রয়িংরুমের দিকে পা বাড়ালো সূচনা।ড্রয়িং রুমে যেতেই স্তব্ধ হয়ে গেল সে।কি দেখছে সে?দিনের বেলা তেও কি সপ্ন দেখছে নাকি আজকাল?চোখ ডলে আবার তাকালো সামনে। নাহ ঠিকই তো দেখছে।এক পাশের সোফায় প্রণয়, তার পাশে তার তিনবোন-ইরা,তিথি আর দিনা।আর তাদের অপর পাশের সোফায় বসে আছে প্রণয় ও ইরার মামা-মামি আর তিথি এবং দিনার বাবা-মা ইসহাক সাহেব আর মিসেস.আফিয়া।
–‘কেমন আছো মা?
ভাবনার মাঝেই আচমকা মায়া মিশ্রিত এক কণ্ঠ। সূচনা হকচকিয়ে গেল।চকিত কণ্ঠে ই বললো-
–‘আব,,বব,,আসসালামু আলাইকুম আন্টি।কেমন আছেন?
মিসেস আফিয়া হেসে জবাব দিলেন-
–‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম।আলহামদুলিল্লাহ। তুমি কেমন আছো?
–‘জ্বি আলহামদুলিল্লাহ,, ভালো আছি।
মিসেস আফিয়া হাত দিয়ে ইশারা করে বললেন-
–‘এদিকে এসে বসো তো একটু।
সূচনা একবার তার বাবা -মায়ের দিকে তাকিয়ে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে গেলো। কাচুমাচু মুখ করে বসে পড়লো তার পাশে।
মিসেস আফিয়া সূচনার মাথায় হাত রেখে বললেন-
–‘ভয় পাচ্ছ?নাকি নার্ভাস ফিল করছো?শোন একদম ভয় পাবে না।এখন তো আমরাও তোমার পরিবার,তোমার আপনজন।আর আপনজনদের সামনে আবার কিসের ভয়,কিসের সংকোচ।
তার কথার পিঠে ইসহাক সাহেব আরহাম সাহেবকে উদ্দেশ্য করে বললেন-
–‘তাহলে শুভ কাজ সারতে আর দেরি না করি বেয়াই সাহেব। কি বলেন?
–‘হ্যা,ঠিক বলেছেন।আর দেরি করা ঠিক হবে না।
সূচনা অবাক হয়ে তাকালো তার বাবার দিকে।
–‘লেট লতিফা এসে গেছে।
তিথির কথা শুনে সূচনা সামনে তাকাতেই দেখল মিহু কে।মিহু এসে সবার সাথে কুশল বিনিময় করে তিথি, ইরাদের পাশে বসলো।অবাক হলো সূচনা।মিহু আগে থেকে তাদের চেনে?
–‘সূচনাকে রুমে নিয়ে যা মিহু।
মিহুর উদ্দেশ্যে কথাটুকু বললেন মিসেস দিশা।
–‘ঠিক আছে আন্টি।
সূচনাকে নিয়ে মিহু ড্রয়িংরুম থেকে তার রুমে চলে আসলো।রুমে এসেই সূচনা মিহুর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়লো-
–‘তুই ওনাদের সাথে আগে থেকেই পরিচিত মিহু?
মিহু বিছানায় বসে গা ছাড়া ভাব নিয়ে বললো-
–‘আশ্চর্য ,, আমার ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় থাকবে না।
সূচনা চকিত নজরে তাকালো মিহুর দিকে। বিস্ময়াহত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো-
–‘তোর ভাই মানে?তোর তো একটাই ভাই তিয়াস ভাইয়া।তাহলে?
–‘প্রণয় ভাইয়া আমার কাজিন। আমার আম্মু আর প্রণয় ভাইয়ার আম্মু চাচাতো বোন ছিলেন।
–‘আগে তো কখনো বলিসনি?
–‘আহা!আমি জানতাম নাকি যে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড একসময় আমার ভাবি হয়ে যাবে।
মিহুর কথা শুনে সূচনা তার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো।তা দেখে মিহু বললো-
–‘এভাবে তাকাস না তো।অত সময় নেই।তাড়াতাড়ি তৈরী হও জান্স।মিস থেকে মিসেস হয়ে যাবে আজকে।হিহিহি।
মিহুর কথার প্রতিত্তোর করলোনা সূচনা।বিছানায় বসে রইলো চুপ করে।মিহু ও বসলো তার পাশে।তার কাধে হাত রেখে বললো-
–‘মন খারা’প করছিস?আগে বলিনি এজন্য।
–‘না,,তেমন কিছু না।
–‘তাহলে?
–‘প্রণয় কি রাজি আমার দেয়া শর্তে?
–‘গা’ধি একটা। রাজি না হলে কি আজকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
–‘তোর মনে হয় না অনেক বেশি তাড়াহুড়ো হয়ে যাচ্ছে?
–‘তুই কি বিয়েতে রাজি না?
–‘হ্যা রাজি কিন্তু,, তাই বলে আজকেই?বলা নেই,কওয়া নেই।কেউ জানালো ও না আমাকে।এত তাড়াহুরো।
–‘তাড়াহুড়ো কিন্তু সব তোর ইচ্ছে মতোই হচ্ছে।
মিসেস দিশার কণ্ঠ পেয়ে দু’জন ই তাকালো দরজার দিকে।মিসেস দিশা এসে সূচনার আরেক পাশে বসলেন আর বললেন-
–‘আমি জানি একটু বেশি ই তাড়াহুড়ো তে সব হচ্ছে কিন্তু তুই যেমনটা বলেছিস তারা তাতেই রাজি হয়েছে।আর কিছু বলিসনা।একটু পর কাজি আসবে।তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নেয়।
সূচনা অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকালো তার মায়ের দিকে।কান্নামাখা কণ্ঠে বললো –
–‘আমি তোমাকে ছাড়া কিভাবে থাকব আম্মু?আর তুমি, তুমি আমাকে ছাড়া একা থাকতে পারবে?
মিসেস দিশা শক্ত কণ্ঠে বললেন-
–‘বিয়ে একটা সামাজিক প্রথা।প্রতিটা মেয়ের জীবনে এই আবেগঘন মূহুর্ত আসবে।নিজের চেনা পরিবেশ, চেনা মানুষজন সবকিছু ছেড়ে অন্য এক পরিবারে যেতে হয়।অচেনা পরিবেশ, অপরিচিত মানুষের মুখ,ভিন্ন রকমের সব পরিস্থিতি থাকে সেখানে।কিন্তু মানিয়ে নিতে হয়।একটা সময় এসে সে তার সেই নতুন পরিবার কেই নিজের জগৎ বানিয়ে নেয়।তিতা হলেও এটাই সত্যি যে বিয়ের পর একটা মেয়ের তার বাবার বাড়ি থেকে শশুর বাড়ির লোকজনের প্রতিই বেশি টান থাকে।শুরুতে হয়তো কষ্ট হবে কিন্তু আমার বিশ্বাস আমার সূচি ঠিকই মানিয়ে নিবে।সামলে নিবে সবটা।আমার বিশ্বাস রাখবি না?
সূচনা কান্নাভেজা মুখখাণা ওপর নিচ করলো।মানে হ্যা সে পারবে।মেয়ের হাত ধরে বললেন-
–‘এখন কান্নাকাটি বন্ধ কর।তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নেয়।
মিসেস দিশা উঠে চলে আসলেন সূচনার রুম থেকে।তার মনের যে বেহা’ল দশা।মেয়েকে তো ঠিকই বলে আসলেন কিন্তু সে কিভাবে থাকবে তাকে ছাড়া।
মিসেস দিশা যেতেই সূচনার রুমে একে একে প্রবেশ করলো ইরা,তিথি আর দিনা।ইরাকে আগে দেখলেও তিথি আর দিনাকে আজকেই প্রথম দেখেছে সূচনা।মিহু সূচনার দিকে তাকিয়ে বললো-
–‘সূচি এই তোর তিন ননদ।ইরাকে তো সেদিন দেখেছিস ই।ও তিথি আর ওইটা দিনাপু।প্রণয় ভাইয়ার মামাতো বোন এরা।দিনাপু এবার অনার্স ফাইনাল ইয়ারে আর তিথি পিচ্চি এস.এস.সি পরীক্ষার্থী।আর আমি মিহু এইচএসসি দিয়ে আপাদত বে’কার।হিহিহি।
মিহুর কথা শুনে হাসলো সূচনা।এর মাঝেই তিথি ফুঁসে উঠলো।কোমড়ে হাত দিয়ে দাড়িয়ে বললো-
–‘এই মিহুপি তুমি আবারো আমাকে পিচ্চি বললে কেন?
–‘তো পিচ্চি কে পিচ্চি বলবনা।
–‘আমি মোটেও পিচ্চি না। আর দুই বছর পার হলেই আঠারো হয়ে যাবে।
–‘হ্যা তো যখন হবে তখন বলব বুড়ি এখন তো পিচ্চি ই বলব।
তিথি আর কিছু বলার আগেই থামিয়ে দিল দিনা।বললো-
–‘তোরা থাম ভাই।পরে ঝ’গড়া করিস।দুইটা একসাথে হলেই আদা জল খেয়ে ঝ’গড়া করতে নেমে যাস।হাতে সময় কম।মিহু বাচ্চাদের মতো ঝ’গড়া কেন করছিস?ও পিচ্চি সেটা জাতি জানে তোর মাইক নিয়ে বলতে হবে না।
দিনার কথা শুনে ইরা আর মিহু মুখ টিপে হাসতে লাগল।মিহু বললো-
–‘হ্যা আপি ঠিকই বলেছ।সূচি আজকে আমি সাজিয়ে দিব তোকে ঠিক যেমনটা বলেছিলি আমাকে।
.
.
কাজি আসতে আসতে মাগরিবের পরে আসলো।এসেই তাড়া দিলেন কনেকে নিয়ে আসতে।বর বেশে মেরুন রঙা শেরওয়ানি পড়ে বসে আছে প্রণয়।মিহু যেয়ে নিয়ে আসলো সূচনাকে।চুড়ির রিনঝিন আওয়াজে সামনে তাকালো প্রণয়।কিন্তু তার সামনে বড় করে টানানো একটা লাল পর্দা।তই সামনে তাকালেও কিছু দেখতে পারলোনা।
___________________________
বিয়ের পর্ব শেষ হয়ে গেছে। বহু কাঙ্খিত সেই শব্দ কবুল বলার মাধ্যমে। দু’জন মানুষ জুড়ে গেছে কোনো এক অদৃশ্য বন্ধনে।মাঝের পর্দা সরিয়ে দেয়া হয়েছে। সূচনাকে মিহু প্রণয়ের পাশে বসিয়ে দিয়েছে মাত্রই।ঘাড় ঘুড়িয়ে সূচনার দিকে তাকাতেই স্তব্ধ হয়ে গেলো প্রণয়।মেরুন রঙের কাতান শাড়ি,তাতে গোল্ডেন রঙের জরির কাজ করা।সাথে ম্যাচিং করে মেরুন রঙের হিজাব আর তার ওপর মাথায় গোল্ডেন রঙের চুনড়ি।গহনার মধ্যে গলায় সীতা হার, মাথায় হিজাবের ওপর টায়রা, আংটি আর দু-হাত ভর্তি চুড়ি।মিহুর কাছ থেকে জেনে সব তার পছন্দ অনুযায়ী কিনেছে প্রণয়।অবশ্য এতআকম সময়ে সবকিছু ম্যানেজ করতে বেগ পেতে হয়েছে তাকে।কিন্তু সূচনাকে এখন এ রুপে দেখে তার হার্টবিট মিস হলো কয়েকটা।প্রণয়কে হা করে তাকিয়ে থাকতে দেখে ইরা,তিথি দিনা মুখ চেপে হাসছে।সূচনা মাথা নিচু করে কাচুমাচু হয়ে বসে আছে প্রণয়ের পাশে। প্রণয় তার কানের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বললো-
–‘কেমন লাগলো শক মিস.রঙ্গন?তুমি কেমন বলতো একটা মানুষ স্বপরিবারে তোমার ড্রয়িংরুমে বসে আছে আর তুমি কিনা ভাবছ তোমার হ্যালুসিনেশন হচ্ছে। এটা কিছু হলো মিস.রঙ্গন।
প্রণয়ের কথা শুনে চোখ-মুখ খি’চে বন্ধ করে নিল সূচনা।তার বারংবার এই সম্বোধন যে অন্যরকম কিছু অনুভব করায়।অদ্ভুত কিছু আছে তাতে।
#চলবে