#পুনরারম্ভ। পর্ব-৫
লেখক- ইতি চৌধুরী
নানারকম দুশচিন্তায় গত দুইটা রাত ঠিকঠাক ঘুম হয়নি সেহেরের। হবে কীভাবে? গলায় এত বড়ো একটা কাটা বিঁধে থাকলে কি আর ঘুমানো যায়! ডাক্তার পাত্রের সাথে কি কথা বলবে, কীভাবে বলবে ভেবেই রাত দিন পার করেছে। চব্বিশ বছর বয়সে বুঝ হওয়ার পর এই প্রথম সেহেরের কোনো জন্মদিন এত বিশ্রী রকম বাজে কেটেছে। এই জন্মদিন ব্যতীত আগের প্রতিটা জন্মদিনের দিনই মনে হয়েছে দিনটা আরও বড়ো হয়ে যাক। সুন্দর মুহূর্তগুলো তাহলে আরও দীর্ঘ হবে। কেবল এবারই মনে হয়েছে দিনটা যত দ্রুত সম্ভব কেটে যাক। একটা দিন যেন ৩৬৫ দিনের চাইতেও দীর্ঘ কেটেছে। জীবনে এর আগে কখনো সেহের একটা দিন অতিবাহিত হওয়ার জন্য এমন মুখিয়ে থাকেনি। কেবল এই বিয়েটা ঠেকানোর জন্যই সেহেরের এত অধৈর্য হওয়া।
রাতে ঘুম না হওয়ায় খুব সকাল সকালই ঠান্ডা পানি দিয়ে একটা গোসল দিয়ে নেয়। মাথা ঠান্ডা থাকা প্রয়োজন নাহলে দেখা যাবে কি বলতে গিয়ে কি বলে আসবে তার নেই ঠিক।
ধৈর্যে কুলায় না সেহেরের। সকাল নয়টা নাগাদ বেরিয়ে পরে বাসা থেকে। দশটা পর্যন্ত অপেক্ষা করার মতো আর ধৈর্য পায় না সে। বাসা থেকে বেরিয়ে একটা পাঠাও কার কল করে রওনা হয় মতিঝিল সিটি হাসপাতালের উদ্দেশ্যে। আধা পথ আসতেই মনে হয় এত সকালে গিয়ে যদি না পায় তখন! পরমুহূর্তেই ভাবে তাকে সশরীরে না পেলেও সমস্যা নেই। ফোন নম্বর তো জোগাড় করতে পারবে। আর যদি ফোন নম্বরও জোগাড় করতে না পারে তাতেও সমস্যা নেই। প্রয়োজনে ডাক্তারের নামে চিরকুট লিখে দিয়ে আসবে নিজের নম্বর দিয়ে। কি হলে কি করবে মনে মনে একটা পরিকল্পনা করে নেয় সেহের। আর যদি সরাসরি দেখাই হয়ে যায় তাহলে কি বলবে, কীভাবে বলবে সেই পরিকল্পনাটাও কষে ফেলে চট জলদি। দেখা হওয়ার পর সব গুলিয়ে ফেললে চলবে না। জীবন, মরনের প্রশ্ন। সব কথা গুছিয়ে বলতে হবে যেন সামনের মানুষটা ঠিকঠাক বুঝতে পারে। ব্যাগ প্যাকে রাখা ছোট্ট পানির বোতলটা বের করে গলা ভিজিয়ে নেয় সেহের। এখনই তার সব গুলিয়ে যাচ্ছে। ওখানে গিয়ে যে কি করবে তা একমাত্র আল্লাহ খোদাই ভালো জানেন। মনে মনে আল্লাহকে ডাকে এই যাত্রায় যেন তাকে উদ্ধার করে দেয়।
হাসপাতাল রিসিপশনে এসে ইনফরমেশন ডেস্কে বসে থাকা মেয়েটার দিকে এগিয়ে আসতেই, সেহেরকে দেখে মেয়েটা জিজ্ঞেস করে,
‘কীভাবে সাহায্য করতে পারি ম্যাম আপনাকে?’
‘আমি ডাক্তার অতুলের সাথে দেখা করতে চাই।’
‘ডাক্তার অতুল সিকদার রাইট ম্যাম?’
‘জি।’ হাসার চেষ্টা করে সেহের কিন্তু কাজ হয় না। মনে মনে খুবই নার্ভাস সে।
‘স্যারের সাথে কি আপনার আজকের এপোয়েন্টমেন্ট ছিল?’
‘আমার আসলে এপোয়েন্টমেন্ট নেয়া হয়নি। কিন্তু উনার সাথে দেখা করাটা খুব জরুরী।’
‘সরি ম্যাম, স্যারের গতকাল রাতের ডিউটি ছিল। স্যার অলরেডি বেরিয়ে গেছেন।’
‘কি!’
‘জি। এক্সট্রিমলি সরি।’ মেয়েটা কেমন করে তাকিয়ে থাকে সেহেরের দিকে। বেচারীর আসাটাই বৃথা গেল। এত অপেক্ষা সব বিফল। মনটাই খারাপ হয়ে গেল যেন। মন খারাপ সম্পূর্ণটাই চোখে মুখে ভেসে ওঠে সেহেরের। বিষন্ন মন নিয়ে সেহের ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ। মনে মনে চিন্তা করে একটা চিরকুট দিয়ে যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ। মুখ তুলে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে সেহের বলে,
‘একটা ফেবার করবেন প্লিজ?’
‘বলুন কি করতে পারি।’
‘আমি একটা চিরকুট দিয়ে যাচ্ছি প্লিজ এইটা ডাক্তার সাহেবকে দিয়ে দিবেন।’
মেয়েটা ঠিক বুঝতে পারে না হ্যাঁ বলবে নাকি না করবে। তখনই সেহেরের পেছন থেকে ডাক্তার অতুল এগিয়ে এসে আচমকা জিজ্ঞেস করে,
‘আপনি এখানে?’
কারো কন্ঠ ঠাওর করে পেছন ঘুরতেই বিষম লাগে সেহেরের। অতুলকে দেখে ভুত দেখার মতো তাকিয়ে থাকে সে। এগিয়ে এসে অতুল আবার জিজ্ঞেস করে,
‘আপনি এইসময় এখানে?’
‘না মানে আমি…’
ইনফরমেশন ডেস্কে থাকা মেয়েটা চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলে,
‘স্যার উনি আপনার কাছেই এসেছেন। আমি ভেবেছিলাম আপনি বেরিয়ে গেছেন। সরি স্যার।’
‘ইটস ওকে।’ বলেই অতুল সেহেরের দিকে তাকায় আবার। এবার অতুল আরও কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই সেহের বলে,
‘আমরা কি কোথাও বসতে পারি?’
‘সিওর।’
হাসপাতাল থেকে হেটে পাঁচ মিনিটের দূরত্বেই একটা কফিশপ আছে। এখানে এসেই বসেছে তারা। কিছু খাওয়া হয়নি অতুলের তাই দু’জনের জন্য কফির সঙ্গে নিজের জন্য ব্রেকফাস্টও অর্ডার করেছে সে। সেহেরকে জিজ্ঞেস করতেই সে না করেছে কিছু খাবে না বলে। প্রন্ডন ক্ষুদায় মাথার ভেতর ভনভন করছে অতুলের। কফিশপে এসে বসার পর এই পর্যন্ত দুই গ্লাস পানি পান করেছে সেহের। মাত্রই ওয়েটার কফি দিয়ে গেল। কোনো কারণে যে মেয়েটা নার্ভাস তা বেশ বুঝতে পারছে অতুল। সে রিল্যাক্স ভাবেই বসে আছে। আপাতত যাওয়ার তাড়াও নেই তার। এখান থেকে সরাসরি বাসায় যাবে সে সেজন্যই মূলত তাড়া নেই। ডিউটি থাকলেই বরং তাড়া অনুভব করত। গরম কফির কাপে একটা কিঞ্চিৎ লম্বা চুমুক দিয়ে কফিটা নামিয়ে রেখে সামান্য পেছনে হেলে বসে অতুল বলে,
‘এবার বলুন।’
‘কি!’ এমনিতেই নার্ভাস তারউপর অতুলের আচমকা প্রশ্নে আরও ঘাবড়ে যায় সেহের। তা বুঝতে পেরে ঠোঁটে মুখে হাসি টেনে অতুল বলে,
‘যা বলতে এসেছেন।’
সামনে রাখা তৃতীয় গ্লাসের পানি থেকে কিছুটা পানি খেয়ে গলায় ভেজায় সেহের। নিজের নার্ভাসনেস কন্ট্রোল করার চেষ্টা করে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। বরং প্রতি মুহূর্তই যেন তার নার্ভাসনেস বেড়েই চলেছে। হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। মুখ তুলে সামনে বসে থাকা মানুষটার দিকে ঠিক মতো তাকাতেও পারছে না সে। নিজেকে সমালে নেয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করে সেহের। মনে মনে গুছিয়ে রাখা কথা গুলিয়ে যায়। তা আবার গুছিয়ে নেয়। কিছু বলবে তখন ব্যাগে থাকা ফোনটা বেজে ওঠে তার। ব্যাগ প্যাক থেকে ফোনটা বের করতেই দেখে মাহিরের নাম ভাসছে মোবাইলের স্ক্রিনে। কলটা কেটে দিয়ে পাল্টা ম্যাসেজ পাঠায়। লিখে দেয়, ‘একটু ব্যস্ত আছি। প্রথম ক্লাসটা মিস হবে আমার। দেখা হলে সব বলবো।’ ফোনটা পূর্বের জায়গায় রেখে মনে মনে সাহস সঞ্চয় করে এবারে মুখ তুলে তাকায় সেহের। অতুলকে দেখেই এক মুহূর্তের জন্য থমকে যায় সে। আবার পরমুহূর্তেই নিজেকে সামলে নেয়। সেহেরকে মুখ তুলে তাকাতে দেখেই অতুল আবার জিজ্ঞেস করে,
‘বলুন কি বলবেন।’
‘আপনার কেনো মনে হলো আমি কিছু বলবো বা বলতে এসেছি।’ পাল্টা জানতে চায় সেহের। তার প্রশ্নে স্মিত হেসে অতুল বলে,
‘আপনার সাথে আমার বিয়ের কথা চলছে। একদিন আগেই আমি সপরিবারে আপনাকে দেখতে গিয়েছিলাম। আমার পরিবার আপনাকে পছন্দ করেছে আর যত দূর খবর পেয়েছি আপনার পরিবারও আমাকে পছন্দ করেছে পাত্র হিসেবে। পারিবারিক ভাবে দেখাদেখির ঠিক একদিন পর কাউকে কিছু না জানিয়ে আপনি নিশ্চয়ই আমি কেমন আছি এটা জানতে বা দেখতে আসেননি। নিশ্চয়ই কিছু বলতে এসেছেন।’
‘হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন।’ সরাসরি বলে সেহের।
‘তাহলে বলে ফেলুন।’
এবারে কোনো প্রকার ভনিতা ছাড়াই অতুলের চোখের দিকে তাকিয়েই বলে,
‘আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারব না।’
‘আচ্ছা।’ অতুলের পক্ষ থেকে কোনোরকম রিয়্যাকশন না পেয়ে অবাক হয় সেহের। বলে,
‘আচ্ছা মানে!’
‘আচ্ছা মানে তো আচ্ছাই। আচ্ছার তো অন্য কোনো মানে নেই।’
‘আমি বলেছি আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারব না।’
‘জি শুনলাম তো আপনি আমাকে বিয়ে করতে পারবেন না।’
‘তো আপনি কিছু বলেন।’
কফির কাপে আরেকবার চুমুক দিয়ে অতুল বলে,
‘আমি কি বলবো? আমি তো আপনাকে কিছু বলতে ডাকিনি। আপনি বলতে এসেছেন, আমি শুনছি।’
‘আমার বিয়েটা আপনার সাথে ঠিক হয়েছে আপনার কিছুই বলার নেই?’
‘আই গেইস নো।’
‘আপনার না থাকলেও আমার আছে।’
‘বলুন তাহলে।’
‘আমি অন্য একজনকে ভালোবাসি। আমাদের চার বছরের সম্পর্ক। ওকে ছাড়া আমার পক্ষে অন্য কাউকে বিয়ে করা অসম্ভব।’
‘হুম।’
‘হুম! আপনি বুঝতে পারছেন আমি কি বলছি আপনাকে?’
‘অবশ্যই বুঝতে পারছি। না বুঝতে পারার তো কোনো কারণ দেখছি না। আপনি সহজ বাংলা ভাষায় কথা বলছেন আর আমি বাংলা ভাষা বুঝি। যার সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে অর্থাৎ আপনি হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেই হাসপাতালে চলে এসেছেন আমার সাথে দেখা করতে। আপনি যে আমার হালহকিকত জানতে আসেননি তা আপনাকে দেখেই আন্দাজ করে ফেলেছিলাম। তারপর যেটা আন্দাজ করেছিলাম সেটা হলো আপনি বিয়েটা করতে চান না বলেই এভাবে হুট করে দেখা করতে এসেছেন। আর বিয়ে করতে না চাওয়ার কারণ টাও আন্দাজ করে ফেলেছিলাম। এবং আমার সব কয়টা আন্দাজই একদম খাপে খাপে মিলে গেছে। আর মিলে গেলে বলেই আমি অবাক হচ্ছি না। আর আমি অবাক হচ্ছি না তা দেখে আপনি অবাক হচ্ছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে এই কথা আমাকে কেনো বলছেন? বাসায় বলে দিয়ে বিয়েটা ভেঙে দিলেই পারতেন।’
‘সেটা পারব না বলেই আপনার কাছে এসেছি। আপনি বিয়েটা ভেঙে দিন প্লিজ।’
‘আমি!’
‘জি আপনি। বাসায় বলেদিন আপনার আমাকে পছন্দ হয়নি।’
‘সম্ভব না, সবাইকে বলা হয়ে গেছে আপনাকে আমার পছন্দ হয়েছে। বলা কথা ফিরিয়ে নেয়া অসম্ভব।’
‘তাহলে অন্য কিছু বলেদিন তাও বিয়েটা ভেঙে দিন প্লিজ। আই রিকুয়েষ্ট ইউ।’
‘এর চাইতে আপনি আপনার বাসায় বললেই তো পারেন আপনি বিয়েতে রাজি নন। অন্য কাউকে ভালোবাসেন।’
‘অসম্ভব।’
‘কেনো?’
‘মাহিরের কথা বাবা জানতে পারলে মাহিরকে সহ আমাকে জ্যান্ত পুতে ফেলবে।’
‘আপনার বাবাকে দেখে আমার এতটাও বদমেজাজি বলে মনে হয়নি।’
‘আমি বাবাকে ভীষণ ভয় পাই। তার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের পছন্দের কথা বলতে পারব না আমি।’
‘ভালোবাসতে পারবেন অথচ ভালোবাসার কথা মুখ ফুটে বলতে পারবেন না?’
কথাটা কাঁটার মতো বিঁধে সেহেরকে। তবু আপাতত সয়ে নেয় সে। নড়েচড়ে বসে বলে,
‘প্লিজ আমার এই উপকারটুকু করুন। বিয়ের জন্য না করে দিন।’
‘সম্ভব না।’
‘কেনো? আপনি আমার চাইতেও যথেষ্ট ভালো ও দেখতে সুন্দর মেয়ে পেয়ে যাবেন অনায়াসে।’
‘সেটা পাবো জানি। সমস্যা সেটা নয়।’
‘তাহলে?’
‘আমার মা। আপনি যেমন বাবাকে নিজের পছন্দের মানুষের কথা জানাতে পারবেন না। আমার পক্ষেও মায়ের কথা ফেলা অসম্ভব। আমার যদি আপনাকে পছন্দ নাও হতো তাও আপনাকেই বিয়ে করতে হতো কারণ আমার মায়ের আপনাকে ভীষণ পছন্দ হয়েছে। তাই এখন আমি যদি বিয়ে ভাঙার একশত একটা কারণ দাঁড় করাই তাহলে আমার মা আপনাকে আমার বউ বানানোর এক হাজার একটা কারণ দাঁড় করিয়ে ফেলবে। আমিও আপনার মতোই টাইট সিচুয়েশনে আছি। সরি আপনাকে কোনো হেল্প করতে পারছি না বলে আমি সত্যি দুঃখিত।’
হতাশা সেহেরের চোখে মুখে ছড়িয়ে পরেছে। তা দেখে অতুল আরও বলে,
‘বেটার অপশন এটাই আপনি আপনার বাবাকে সত্যিটা বলেদিন। চাইলে আমিও আপনার সঙ্গে থেকে আপনার বাবাকে সবটা বুঝিয়ে বলতে পারি আপনার হয়ে।’
আহত দৃষ্টি নিয়ে অতুলের দিকে তাকিয়ে থাকে সেহের। তার পক্ষে কোনোভাবেই বাবাকে মাহিরের কথা বলা সম্ভব নয়। বাবা তাকে আস্তো পুতে ফেলবে। তাছাড়া বলবেই বা টা কি? মাহির এখনো ছাত্র। বেকার ছেলেকে কোন বাবা মেয়ে দিবে? মাহিরের প্রতিষ্ঠিত হতেও সময় প্রয়োজন। এই সময়টা যদি বাবা তাকে না দেয়? এসব ভাবতেই দুনিয়া উল্টেপাল্টে আসে সেহেরের।
হাত উল্টে ঘড়ি দেখে অতুল বলে,
‘দেরি হচ্ছে, আমাদের উঠা উচিত।’
সেহের মুখে রা করে না। বেচারীর গলা দিয়ে কথা বের হয় না। অনেক আশা নিয়ে এসেছিল সে। তার আশায় গুড়ে বালি। সব পন্ডো হয়ে গেল। উঠতে উঠতে অতুল আরও বলে,
‘আপনি যাবেন কীভাবে? আমি নামিয়ে দিয়ে আসি?’
চুপ করেই অতুলের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে সেহের। দুশ্চিন্তায় কথা বলতে পারছে না সে। ভেবেছিল সব দুশ্চিন্তার অবসান ঘটবে। উল্টো এখন যেন দুশ্চিন্তা বেড়ে গেছে আরও। এই বিয়ের ফাঁদ থেকে কীভাবে মুক্তি পাবে সে?
চলবে…