#পঞ্চভূজ_তারা!
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি
#পার্টঃ৩৪(last part)
সবাই অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।আর তাদের সামনে রেগে দারিয়ে আছে সজীব।
-” তোমরা এতো খারাপ কি করে হতে পারলে?আমি তো মিমকে বিয়ে করবো সেই কথা জেনেও তোমরা।”
মিম কান্না কন্ঠে বলে,
-” আমি জানি আমি তোর সাথে খারাপ করেছি বাট সরি আমি এমনটা করতে চাইনি।মেরাজ এর উপর রাগ করেই আমি এইসব করেছি।কিন্তু মেরাজকে ছাড়া আমি অন্য কাউকে কখনো মেনে নিতে পারবো নাহ।”
মনির সজীবকে বললো,
-” দেখো ভাই আমি জানি তোমার খারাপ লাগছে বাট কিছু করার নেই।ভালোবাসার মানুষদের আলাদা করা ঠিক না ভাই।আল্লাহ্ তোমার জন্যে হয়তো অন্য কাউকে বানিয়ে রেখেছেন তাই মিম কে পাবে নাহ তুমি।”
-” সেটা কখনোই হতে দিবো নাহ! আমি মিমকেই বিয়ে করবো।”
এটা শুনে মিম শব্দ করে কেদে দিলো।কাঁদতে বেচারির হেচকি উঠে গেছে।তা দেখে কিছুক্ষন পর সজীব ফিক করে হেসে দিলো।ওর দেখাদেখি সবাই হেসে দিলো।
মিম অবাক হয়ে বলে,
-” তোমারা হাসছো কেন?”
সজীব হাসতে হাসতেই বলে,
-” এইসব আমাদের প্লান ছিলো তোকে একটু টাইট দেওয়ার।”
তারপর মিমের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে আবার বলে,
-” আমি প্রথম থেকেই জানতাম তুই মেরাজ কে ভালোবাসিস আর আমাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিস।তাই তো এইসব প্লান করলাম আমরা সবাই মিলে। তোকে আর মেরাজের ভূল বুজাবুজি দূর করার জন্যে।আমি দোয়া করি সারাজীবন তুই সুখী হো।এই ভাই তোর জন্যে সবসময় আছে।”
বলেই মুচকি হেসে সজীব চলে গেলো।
আর সবাই ও ভীষণ খুশি কারন সবাই সবার ভালোবাসার মানুষটিকে আপন করে পেয়েছে।
আনন্দ উল্লাস করে সবাই সবার বাড়িতে চলে গেলো।
১ মাস পর,,,
আজ সবার বিয়ে হয়ে গেছে।সবার একসাথেই বিয়ে হয়েছে।মেয়েরা ভীষন কান্নাকাটি করেছিলো বিদায়ের সময়।কেই বা না কান্না করবে।চিরতরে নিজের প্রিয় মানুষদের ছেড়ে অন্য সংসারে চলে যাবে।
ছেলেরা সবাই নিজেদের বউদের সামলিয়ে নিয়ে যার যার বাড়ি চলে গেলো।
মেরাজদের বাড়ি,,
মিম বধু সেঁজে বসে আছে কিছুক্ষন পর মেরাজ আসলো।
মেরাজ মিম এর পাশে বসতেই অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।
মিম ভ্রু-নাচিয়ে বলে,
-” কি দেখছেন?”
-” আমার বউটা কে কি সুন্দর লাগছে দেখতে।”
মিম লজ্জা পেয়ে অন্য দিকে তাকালো।আর মেরাজ মিমকে এক টানে নিজের কাছে নিয়ে এসে ওর ঠোঁট জোড়া আকড়ে ধরলো নিজের ঠোঁট দিয়ে।আজ আর কোন বাধা নেই মিলে মিশে একাকার হয়ে গেলো দুটো ভালোবাসার মানুষ।
আরিফদের বাড়ি,,
আলিফা এইযে লজ্জা পেয়ে গুটিশুটি মেরে বসে আছে ওর কোন হেলদুল নেই।আরিফ শেষমেষ না পেরে ওকে কোলে তুলে নিলো।আলিফা ভয়ে পেয়ে আরিফের গলা জড়িয়ে ধরলো,
-” কি করছেনটা কি?”
-” কি করবো তুমি যরি এরকম করতে থাকো তাহলে আমার বাসর যাবে ভেস্তে তাই এই ব্যবস্থা করছি।”
আলিফা আরিফের কথা শুনে লজ্জায় আরিফের বুকে মুখ লুকালো।আরিফ আলিফাকে বেডে সুইয়ে দিলো তারপর নিজেও ওর পাশে শুয়ে আলিফার গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো।আলিফা শিহরণ সজ্য করতে না পেরে আরিফের কাধ খামছে ধরলো।ভালোবাসায় ডুবে গেলো দুজনেই।
আফরান আর নিবিরের বাড়ি,,
আফরান আর নূর বিরক্ত হয়ে তাকিয়ে আছে।আজ যে তাদের বাসর রাত তা হয়তো তাদের বউরা ভূলে গেছে।বাসর ঘড়ে দুই বান্ধবী চুটিয়ে আড্ডা করছে এদিকে আফরান আর মেরাজ অসহায় ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।
সাদু’র আব্বু আম্মু দুজনে সব কাজ ছেড়ে উপরে আসার সময় তাদের দুই ছেলেকে এইভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলে,
-” কিরে তোরা এখানে কি করছিস? ”
বাবা মা’র সামনে এখন লজ্জায় পরে আফরান আর নিবির এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো।
আফরান কিছুক্ষন পর বিরক্ত হয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,
-” কি করবো বলো?আমাদের বউরা তো ভুলেই গেছে যে আজ আমাদের বাসর রাত।তাইতো দেখো না কি সুন্দর দুই বান্ধবী আড্ডা দিচ্ছে বসে বসে।”
নূর আর আলিশা এই কথা শুনে দিলো এক ধমক,
-” আপনারা চুপ থাকেন। নয়তো গিয়ে ঘুমিয়ে পরুন।”
নিবির শক্ত কন্ঠে বলে,
-” হ্যা তাইতো করতে হবে দেখছি।”
হঠাৎ ওদের কথার মাজে তুফানের গতিতে ওদের ধাক্কা দিয়ে কেউ আফরানের রুমে ডুকে লাফ দিয়ে বিছানায় উঠে বসলো।আফরান, নিবির, সাদুর বাবা মা সবাই স্ক্ড।হঠাৎ কি হলো এটা।ওরা তাকিয়ে দেখে সাদুই এই তুফানের গতিতে রুমে ডুকেছে।আর এই ৩ বান্ধবী আড্ডা দিচ্ছে।
কিছুক্ষন পর মনির হাপাতে হাপাতে আসলো।বলে,
-” এই ভাই তোরা একে সামলাস কিভাবে?বাসর ঘরে কিযে কান্না সে না-কি নূর আর আলিশার সাথে প্লান করেছে ওরা না-কি সবাই মিলে বাসর রাতে আড্ডা দিবে।”
এদিকে সাদু’র বাবা মা এদের কান্ড দেখে হাসতে হাসতে চলে গেলেন।কি আর করবে ছেলেমেয়েরা যে বড্ড পাগল তা তো তারা জানেই।
মনির কিছুক্ষন জিরিয়ে নিয়ে বলে,
-” ভাই এইভাবে হবে না নিবির তুই তোর বউকে আর আমি আমার বউকে কোলে নিয়ে এক দৌড়ে বাসর ঘরে ডুকে যাবো।আফরানের তো সমস্যা নাই ওর তো এইটাই ঘর।যতো ফুটা কপাল আমার।”
আফরান দাঁত কেলিয়ে হাসলো।
-” হাসিস না বেটা।আমি আছি আমার জ্বালায় এই আলিশা সবসময় ফায়ার বার্ণ হয়ে থাকে।ওকে এইভাবে নিয়ে গেলে দেখা যাবে বাসর দুরে থাক।১ বছরেও টাচ করতে দিবে নাহ।”কাদো কাদো হয়ে বলে নিবির।
মনির বলে,
-” ভাই কোন দুঃক্ষে যে ঘড়ের সাথে ঘড় বিয়ে করলাম এখন বউ রাগ করলে দু কদম ফালিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসবে।”
আফরান আর নিবির ছোট ছোট করে তাকালো।
তা দেখে মনির জোড় পূর্বক হেসে বলে,
-” ইয়ে মানি নাহ তোদের বোনকে তো আমি মাথায় তুলে রাখবো একটুও ঝগড়া করবো নাহ।ভাইরা তবুও এইভাবে তাকাস নাহ।”
-” হ্যা তাই এইবার দুজনে তোদের বউ নিয়ে ভাগ এখান থেকে।” আফরান বললো।
এদিকে নূর,আলিশা,সাদু জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছে।
সাদু কান থেকে ফোন সরিয়ে বলে,
-” এই ডিম আর আলু ফোন ধরছে নাহ কেন?”
আলিশা বালিশে হেলাম দিতে দিতে বলে,
-” নিশ্চয়ই বাসর ঘড়ে লুচুগিরি করছে।”
নূর মুখ ফুলিয়ে বললো,
-” এই বান্দরগুলো কি খারাপ আজ আমরা আড্ডা দিয়ে রাত পার করবো সে কথা ভূলেই গেছে।
সাদু রাগ দেখিয়ে বললো,
-” এই দুই শাকচুন্নিকে পেয়ে নেই তারপর মজা বুজাবো।”
ওদের কথার মাজেই মনির আর নিবির ঝড়ের গতিতে রুমে এসে সাদু আর আলিশা কে কোলে তুলে নিলো। আর সাদু আর আলিশা তো চিল্লাচ্ছে।কিন্তু কে শুনে কার কথা মনির আর নিবির নিজেদের বউ নিয়ে পগারপার।
আফরান সেদিকে তাকিয়ে হেসে ঘরে ডুকে দরজা আটকে দিলো।নূর এখনো টাস্কি খেয়ে ডিপ্রেশনে আছে।
-” এটা কি হলো?”
-” কি হবে ওরা নিজেদের বউ নিয়ে গেছে রোমান্স করার জন্যে।”
-” ছিহ! লুচু একটা।”
-” আমাকে লুচু বলা তাই না দেখাচ্ছি তোমাকে।”
যেই আফরান আগাতে যাবে তার আগেই নূর এক দৌড়ে আফরান গলা জড়িয়ে ধরে ওর কাধে মুখ লুকালো।
আফরান ও অবাক হয়ে নূরকে জড়িয়ে ধরলো।তারপর হেসে দিলো।
নূর মুখ উঠিয়ে আফরানের কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলে,
-” আই লাভ ইউ আফরান।”
আফরান চোখ বুজে নিলো।প্রিয়তমার মুখে ভালোবাসার কথা শুনে মন প্রান জুরিয়ে গেলো।আফরান নূকে ছাড়িয়ে কোলে তুলে নিলো।।তারপর ওকে বিছানায় সুইয়ে দিলো।নূরের কপালে,গালে,নাকে, গলায় ঠোঁট ছুইয়ে দিচ্ছে আফরান।আর আফরানের প্রতিটা স্পর্শ পেয়ে আফরানের পিঠ খামছে ধরলো নূর।
ভালোবাসার এই আদিমখেলায় মেতে উঠলো দুজন।
_____
-” আপনি আমাকে তুলে আনলেন কেন?” রেগে বললো আলিশা।
-” সাট আপ বিয়ে করেছি কি তোমাকে অন্যের বাসরে আড্ডা দেওয়ার জন্যে যাও জলদি গিয়ে ফ্রেস হয়ে আসো।”
নিবিরের ধমক শুনে আর কিছু বলার সাহস পেলো নাহ আলিশা।কারন নিবির যতোই শান্ত শিষ্ট হোক না কেন রেগে গেলে ক্যাল্যেংকারি করে ফেলে। তাই আলিশা চুপচাপ ফ্রেস হতে চলে গেলো।
ফ্রেস হয়ে বের হতেই নিবির আলিশাকে কোলে তুলে নিলো।আলিশার কেন জানি প্রচুর লজ্জা পাচ্ছে।আর নিবির সেতো নেশাকাতুর চোখে তাকিয়ে আছে আলিশা দিকে।
আলিশা নিবিরকে নিজের দিকে এইভাবে তাকাতে দেখে বলে,
-” প্লিজ এভাবে তাকাবেন নাহ।”
নিবির ঘোরলাগা কন্ঠেই বললো,
-” কেন আমার বউ আমি তাকাবো।দরকার পড়লে চোখ দিয়ে গিলে খাবো।”
নিবির কথায় আলিশা তাড়াতাড়ি নিবিরের মুখ চেপে ধরলো।নিবির হালকা হেসে আলিশাকে সুইয়ে দিলো বিছানায়।
-” কিস মি আলিশা।” নিবিরের কথায় চমকে তাকালো আলিশা।কাপা গলায় বলে,
-” কি বল..বলছেন এ..এসব।”
-” কিস মি।”
-” আ..আই কান্ট।”
-” ইউ হেভ টু।”
-” নো প্লিজ।”
নিবির আর কিছু না বলে উঠে চলে যেতে নিলেই।আলিশা নিবিরকে নিজের সাথে চেপে ধরলো।তারপর আসতে করে নিবিরের ঠোঁটের মাজে ঠোঁট চেপে ধরলো।নিবিরও হারিয়ে গেলো প্রেয়সীর দেওয়া ভালোবাসার ছোয়ায়।হারিয়ে গেলো দুজন দুজনার মাজে।
_______
মনির সাদুকে কোলে নিয়ে বসে আছে।সাদু ছাড়া পাবার জন্যে ছটফট করছিলো।কিন্তু যখন মনির সাদুকে নিয়ে ছাদে আসে সাদু অবাক হয়ে যায়।ছাদে কাচের ঘর বানানো হয়েছে।সেখানে সুন্দর করে ওদের বাসর সাজানো হয়েছে। অসম্ভব সুন্দর যাকে বলে।চাদের আলো ঘরটাতে প্রবেশ করে কারন পুরো ঘরটাই কাচের এমনকি ঘরটার ছাদটাও।
মনির সাদু’র গলায় গভীরভাবে একটা কিস করলো।সাদু কেপে উঠে মনিরের চুল খামছে ধরলো।
মনির ফিসফিসিয়ে বললো,
-” আজ আমার ছোট বউটাকে চন্দ্রবিলাশ করে তাকে ভালোবাসবো।”
সাদু লজ্জায় চোখ খিচে বন্ধ করে নিলো।ঘন ঘন নিশ্বাস নিতে লাগলো।আর মনির এতে আরো নেশাক্ত চোখে তাকালো।সাদু’র মাথা থেকে উরনা সরিয়ে দিলো।একটানে ওর খোপা খুলে দিলো।মৃদু বাতাসে সাদুর চুল উড়তে লাগলো।
আস্তে আস্তে মনির সাদুর সব গয়না খুলে দিলো।মনিরের প্রতিটা ছোয়ায় সাদু পাগল হয়ে যাচ্ছে।
মনির সাদুকে বিছানায় সুয়ে দিলো।
চাদের আলোয় তার বউটাকে হুরপরি লাগছে।সাদু মুখ অন্যদিকে সরিয়ে নিলো।মনিরের এই চাহনী সাদু সয্য করতে পারছে নাহ।মনির সাদুর গলায় মুখ গুজে দিলো।গলায় গভীরভাবে নিজে ঠোঁট ছুইয়ে দিচ্ছে মনির।আজ ওর ছোট্ট বউটাকে নিজের করে নিবে মনির।
গলা থাকে মুখ উঠিয়ে সাদুর দিকে তাকালো মনির চোখ বন্ধ করে আছে মেয়েটা।
-” চোখ খুলো। “আস্তে করে বলে মনির।
সাদু জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস নিতে নিতে বলে,
-” নাহ আমি পারবো নাহ।”
-” ইয়েস ইউ কেন?প্লিজ ওপেন ইউর আইস।”
সাদু চোখ মেলে তাকালো।সাথে সাথে মনির ওর ঠোঁট জোড়া দিয়ে সাদুর ঠোঁট শুষে নিতে শুরু করে দিলো।
ভালোবাসার চাদরে জড়িয়ে গেলো দুজন।
প্রেমের সমুদ্রে ভালোবাসার ভেলায় ভাসতে লাগলো।
ভালোবাসার মানুষটিকে আপন করে পাবার চেয়ে আর সুখের কিছু নেই।
ভালোবাসা কি তা হয়তো আমি সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবো।বরংচ আজ পর্যন্ত কেউ পারেনি।
আমার মতে ভালোবাসা হলো তুমি যদি ভালবাসো মন থেকে যেখানে থাকেনা দৈহিক চাহিদা প্রথম শর্ত, যেখানে ভালবাসার ভবিষ্যত নির্ভর করে না লাভ ক্ষতির হিসেবের উপর সেখানে ভালবাসা কোন ভাবেই শুধু সময়ের উপর নির্ভর করতে পারেনা। মিথ্য স্বার্থে ভরা তিন বছরের ভালবাসাও অর্থহীন তিন দিনের সত্যিকার ভালবাসার কাছে। ভালবাসা “ভালবাসাই” এবং এর অনুভুতি সব সময়ের জন্য একই। সময়এখানে একমাএ অথবা প্রধান কারন নয়।বাস্তবতার বেড়াজালে যখন ভালবাসার মানুষ দুজন একে অন্য থেকে হয় বিচ্ছিন্ন, যখন মনের হাজার ইচ্ছাওদুটি মানুষকে রাখতে পারেনা কাছা কাছি তখন কিন্তু তাদের মধ্যে তীব্র বেদনার তৈরী হয়। কিন্তু এই বেদনাটাকে যদি আমরা বিশ্লেষন করি তাহলে কি দেখতে পাই? দেখতে পাই যে তারা একজন আর একজনকে খুব মিস করতেছে, মিস করতেছে তাদের হাসি,কান্না,খুনসুটি। হয়ত তারা চোখও মোছে মনের মানুষের কথা ভেবে। আবার তাদের নির্মল আনন্দের উপলক্ষ্য এই কষ্টময় বেদনাটুকুই। তারা এটা ভেবে খুশি হয় যে তার ভালবাসার মানুষটি তাকে কত মিস করতেছে, তাকে নিয়ে কত ভাবতেছে,তার জন্য কথা জমিয়ে রাখতেছে। তারা ভেবে খুবই পুলকিত হয় যে তারাক একজন আর একজনকে কত ভালবাসে।সত্যি বেদনাও মানুষকে আনন্দ দিতে পারে, দিতে পারে মনের মানুষকে নিয়ে গর্ব করার সুখময় সুযোগ। আর এই আনন্দই দুটি মানুষকে করে আরো রঙ্গিন,ভালবাসা করে আরো পরিণত।
❣️❣️❣️❣️❣️সমাপ্ত❣️❣️❣️❣️❣️
অসংখ্য ভালোবাসা সবার জন্যে।এতোদিন আমার পাশে থাকার জন্যে।গল্পটায় আপনাদের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি।মাজখানে আমি অনেক অসুস্থ্য ছিলাম আপনারা ধৈর্য ধরেছেন আমার পাশে থেকেছেন তার জন্যে আমার হৃদয় গহীন থেকে আপনাদের জন্যে ভালোবাসা রইলো।
আজ গল্পটা শেষ।আজ হয়তো এই গল্পের বিনিময়ে আপনাদের কাছ থেকে এই গল্পটা পরে কি অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছে।তা অবশ্যই জানাবেন আমার অনুরোধ।
আর শীঘ্রই আসছি নতুন গল্প নিয়ে।
আজ বিকেলেই হয়তো দিতে পারি।
আশা করি এইটাতেও আমার পাশে থাকবেন।ধন্যবাদ