#পঞ্চভূজ_তারা!
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি
#পার্টঃ১৮
আজ ওরা সবাই ‘নুহাস পল্লি বেড়াতে যাবে।তাই সকাল সকাল সবাই তৈরি হয়ে নিলো।হেটেই যেতে পারে ওরা সাদু’র নানুবাড়ি থেকে মাত্র ২০ মিনিট লাগে যেতে তো সবাই রওনা হলো ‘নুহাস পল্লি’।
সবাই ‘নুহাস পল্লি’ পৌছে গিয়ে অবাক হয়ে চারদিক দেখছে।অসম্ভব সুন্দর একটা জায়গা।সাদু তো হা করে তাকিয়ে সব দেখছে।চোখ একরাশ মুগ্ধতা।শুধু সাদু না রিতিমতো সবাই মুগ্ধ। চারদিকে প্রকৃতির যে সমারোহ চোখ জুরিয়ে যাওয়ার মতো।
‘নুহাস পল্লি’ এরনাম শুনেনি এমন লোকের সংখ্যা বাংলাদেশে খুবই কম। বিশেষ করে যারা বই প্রেমিক তারা সবাই নুহাশ পল্লীর নাম জানে। কারন এই নুহাশ পল্লীর সাথে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত লেখক হুমায়ূন আহমেদের নাম। তিনি এই নুহাশ পল্লী স্থাপন করে। নুহাশ পল্লী নামটি হয়েছে লেখক হুমায়ূন আহমেদ ও তাঁর প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন আহমেদের একমাত্র ছেলে নুহাশ হুমায়ূনের নামে। ১৯৮৭ সালে এই নুহাশ পল্লী প্রতিষ্ঠা করা হয়। হুমায়ূন আহমেদ প্রকৃতি অনেক পছন্দ করতেন। তাই তিনি ঢাকা থেকে খুব কাছেই গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পিরুজালি গ্রামে এই বাগান বাড়ি স্থাপন করে। তিনি প্রায় ২২ বিঘা জমি কিনে এই বাগান বাড়ি তৈরি করেন। এই জমি কিনতে তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর নাটক সমুহের অন্যতম প্রধান চরিত্র ও বিখ্যাত ডাক্তার এজাজুল ইসলাম। বর্তমানে এই স্থানের আয়তন ৪০ বিঘার কাছাকাছি।নুহাশ পল্লী তে গেলে বিভিন্ন জিনিস দেখা যায়। হুমায়ূন আহমেদ খুব প্রকৃতি পছন্দ করতেন। তিনি প্রায় জোছনা রাতে তাঁর অনেক বন্ধুদের নিয়ে নুহাশ পল্লিতে চলে যেতেন। সারা রাত চাঁদের আলোয় তাঁরা মজলিশ বসাতেন। অনেক সময় তিনি পুরা পল্লীর লাইট বন্ধ করে দিতেন যেন সম্পূর্ণ চাঁদের আলো উপভোগ করতে পারেন। এখানে তিনি থাকার জন্য একটি বাগান বাড়ি করেছিলেন। আর এখানে তিনি প্রায় অনেক নাটকের শুটিং করতেন। তাই শুটিং এর জন্য বেশ কিছু ঘর আছে। তাঁর দুইটি সন্তান মারা গিয়েছিল ছোটবেলায়। এর মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনের গর্ভে এক মেয়ে সন্তান পৃথিবীর আলো দেখার আগেই চলে যায়। তার নাম লীলাবতী রাখা হয়েছিল। এই লীলাবতীর স্মরণে নুহাশ পল্লীর একদম উত্তরে একটি বিশাল দিঘী তৈরি করা হয়েছে। এবং এর নাম রাখা হয়েছে লীলাবতী। এই দিঘীর উপর একটি কাঠের সেতু আছে। এই দিঘীর মাঝখানে একটি কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করা হয়েছে। এখানে তাবু খাটানো আছে।এখানে ভুতবিলাস ও বৃষ্টিবিলাস নামে দুটি বাড়ি আছে। বৃষ্টিবিলাস থেকে বৃষ্টি দেখা যায় খুব সুন্দর করে। আর ভুতবিলাস বানানো হয়েছিল ভুত দেখার জন্য। এছাড়া নুহাশ পল্লী তে অনেক ধরণের ভাস্কর্য আছে। নুহাশ পল্লীর প্রবেশ পথে আছে মা ও শিশু নামের এক ভাস্কর্য। এছাড়া আছে ভুতের মত, ব্যাঙের মত ভাস্কর্য। শিশুরা খুব পছন্দ করে এসব। এছাড়া গাছের উপর তৈরি করা ঘর অনেকের মনে আনন্দ দেয়। এখানে শালবনের কিছু অংশ দেখা যায়। এছাড়া হুমায়ূন আহমেদ দেশের বাইরে গেলে বিভিন্ন ধরণের গাছের চারা বা বীজ সংরক্ষণ করতেন। এগুলো এখানে রোপণ করা হয়েছে। নুহাশ পল্লী তে প্রায় ৩০০ প্রজাতির ঔষধি গাছ ও ফলের গাছ আছে। এছাড়া তিনি এখানে চা গাছের আবাদ করেছিলেন। এখানে একটি সুইমিং পুল আছে। এখানে লেখক সাঁতার কাটতেন। অনেক বিখ্যাত লেখক ও মানুষ এখানে এসেছিলেন তাঁর আমন্ত্রনে। এখানেই শায়িত আছেন হুমায়ূন আহমেদ। নুহাশ পল্লী এখন পিকনিক স্পট হিসেবে ব্যাবহার করা হয়। ঢাকা থেকে গাজীপুর যাওয়ার অনেক বাস আছে, ট্রেন আছে। আবার অনেকে গাড়ি বা মাইক্রো করেও এখানে যায়। ঢাকা ময়মনসিংহ সড়কের হোতাপারা বাস স্ট্যান্ডের ৮ কিমি পূর্বে অবস্থিত নুহাশ পল্লী।(কালেক্ডেট)
????
সাদু লাফাচ্ছে আর বলছে,,
—-” ওয়াও কতো সুন্দর! ”
নূর আর বাকিরাও সবকিছু ঘুরে ঘুরে দেখছে।
ওরা গাছের উপর বৃক্ষঘরেও উঠলো।লীলাবতী দিঘীতে নৌকায় ঘুরে বেড়ালো।অবশেষে সবাই ক্লান্ত হয়ে ওখানে যেই নামাজের স্থান বানানো হয়েছে সেখানে সবাই বসে পড়লো।
—-” আসলেই অসম্বব সুন্দর জায়গাটা!”
নূরের কথায় আফরান ফিসফিসিয়ে বলে,
—-” আর আমি?”
—-” আস্তো খাটাশ!”
—-” থাংক্স!”
বলেই আফরান মুখ চুপসে বসে আছে।আর ওকে দেখে নূর মিটিমিটি হাসছে।
এদিকে সাদু ভ্রু-কুচকে আরিফ আর আলিফা’র দিকে তাকিয়ে আছে আর কোকাকোলা খাচ্ছে।ওকে এইভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে আলিশা বলে উঠে,
—-” সকাল থেকে এই নিয়ে ৮টা কোকাকোলা শেষ করলি সেটা বড় কথা নয় বড় কথা হলো তুই এইভাবে কি দেখছিস তাও আলিফা’র দিকে এইভাবে তাকিয়ে?”
সাদু এখনো একইভাবে তাকিয়ে আস্তে আস্তে বলে,
—-” আমার কেমন জানি সন্দেহ হচ্ছে এই লুইচ্চা আলু আর আরিফ ভাইয়ার মাজে ইটিশপিটিশ চলছে।”
আলিশা দিলো এক চিৎকার,
—-” কিহহহহহহহহহহ! আর আমি এইগুলা জানিনা তুইইই….”
সাদু তাড়াতাড়ি ওর মুখ চেপে ধরলো বিরবির করে বলে,
—-” খামাখা বলি এইটা থাকলে আর আমাদের মাইক এর প্রয়োজন নেই।যেই গলা মাইরি।”
তারপর সামনে তাকিয়ে দেখে সবাই অবাক হয়ে ওর আর আলিশা’র দিকে তাকিয়ে আছে।
—–” এহেহেহেহে! সবাই এইভাবে কি দেখছিস? আমরা কি এলিয়েন।”
—-” এলিয়েন থেকে কম কিসে?” নিবির বলে উঠে।
—-” আপনি চুপ থাকেন! বান্দর এর এক্স কোথাকার।আমরা এলিয়েন হলে সবার আগে আমি আপনাকে ফুসস করে গায়েব করে দিতাম।”
আলিশা’র ধমকে নিবির বিরবিরিয়ে বলে,
—-” কালকে ভয়ে সুরসুর করে উপরে চলে গেলো এখন উল্টো আমাকেই ধমকাচ্ছে।একবার বাগে পাই বুজাবো মজা।”
মনির সন্দেহ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,
—-” ও এরকম চিৎকার দিলো কেন? আর কি জানে না ও?”
—-” নাহ কিছু না! মানে আসলে আমি ওই আর কি একটা গাছে বাদর দেখেছিলাম আর ওকে দেখাই নি তাই ও এরকম চিৎকার দিয়েছে।” সাদু দাতঁ কেলিয়ে বলে উঠে দাড়ালো তারপর আলিফাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
—-” এই আলুউউউউ!”
আলু রাগি চোখ তাকাতে আবার বলে,
—-” না মানে ইয়ে আলু সোনা আয় তো এদিকে একটু কথা আছে।”
আলু সাফ মানা করে দেয়,
—-” নাহ আমি পারবো না যেতে এখানেই বল।”
—-” তুই যাবি তোর জামাই যাবে।”
আলিফা আড়চোখে আরিফের দিকে তাকিয়ে বলে,
—-” তাহলে আমার জামাইকে নিয়ে যা।”
—-” তুই যাবি না!” সাদু’র এইভাবে বলায় আলু উঠে চলে গেলো সাদু’র সাথে।
—-” আমার কেমন জানি গরবর লাগছে!” মেরাজ এর কথায় আরিফ বলে,
—-” দেখি ওরা আসুক তারপর জিজ্ঞেস করবো!”
মনির বিরক্তি নিয়ে বলে,
—-” আমাদের বলার হলে এখানেই আলিফা’র সাথে কথা বলতো আলাদা ডেকে নিয়ে যেতো না।”
—-” হ্যা তাই তো আমি তো ভাবিই নি!”মেরাজ বললো।
—-” তা ভাববেন কেন? আপনি তো আপনার গার্ল্ফ্রেন্ড নিয়েই ভেবে কুল পান না আবার ওদের নিয়ে কি ভাববেন!”
মিমের এরকম ঠেস দেওয়া কথায় মেরাজ রেগে বললো,
—-” তোমার সমস্যা কি জুই কে নিয়ে! যখন তখন ওকে কথার মাজে এনে ফাসাও!”
—-” আমার ইচ্ছা! আর আপনিও তো আপনাদের ছ্যাছড়া মার্কা কীর্তিকালাপ করতে থাকেন!”
মেরাজ রেগে লাল হয়ে গেছে,
—-” আমি কি ছ্যাছড়ামি করলাম আমি কি ওকে তোমার সামনে চুমু খেয়েছি না-কি অন্য কিছু করেছি।”
মিম বাকা হেসে বলে,
—-” আমার মুখ খুলালে কিন্তু ভালো হবে না!”
—-” কি করবে তুমি?”
মিম উঠে এসে মেরাজ এর কানে ফিসফিসিয়ে বলে,
—-” কার রাতের কথা সবার সামনে বলে দেই।”
মিমের কথা শুনে মেরাজ এর কাশি উঠে গেলো।
আফরান বলে উঠে,
—-” কিরে মিম কি বললো কাশছিস কেন?”
মেরাজ আমতা আমতা করে বলে,
—-” না কিছু না এমনি প্রচুর ধুলো এখানে তাই কাশি এসে গেছে।”
মিম বাকা হেসে জায়গা মতো বসে পড়লো।একেবারে টাইট দিয়ে দিয়েছে।কিন্তু কাল রাতের কথা মনে পড়তেই বুকটা ভীষন রকম জ্বলছে।
..
কাল রাতে মিম এর ঘুম আসছিলো দেখে ও ছাদে যায় একটু খোলা বাতাস এর খাওয়ার জন্য।কিন্তু ছাদে গিয়ে যা দেখে এটা কল্পনাও করতে পারেনি।ও দেখে মেরাজ ল্যাপটপে ভিডিও কলে জুইয়ের সাথে কথা বলছে।শুধু কথা নয় জুই নাইটি পরে মেরাজ এর সাথে কথা বলছে।কিন্তু কি বলছে তা শুনতে পায়নি।এইসব মিম সয্য করতে না পেরে ওখান থেকে চলে আসে।
..
নূরের ডাকে ও ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসে,
—-” কিরে কি ভাবছিস?”
মিম কথা ঘুরানোর জন্য বলে,
—-” কিছু না! ওই আসলে ভাবছিলাম সাদু আলিফা’কে নিয়ে কোথায় গেলো?”
—-” সেটা আসলেই জিজ্ঞেস করবো! চুন্নি না বললে টেনে চুল ছিড়ে ফেলবো!”
মিম হেসে দিলো নূরের কথায়।
এদিকে সাদু আলিফা’কে রিতিমতো মারবে এরকম অবস্থা।
—-” কিরে ফকিন্নি! বলছিস না কেন? কি চলছে তোর আর আরিফ ভাইয়ার মাজে?”
সাদু’র জেরায় রিতিমতো বিরক্ত হয়ে আলিফা বলে,
—-” উফফ!! শুন তাহলে.”
—-” হ্যা শুনছি।”
—-” আমি যে আরিফ কে ভালোবাসি এটা তো জানিস!
—-” হ্যা!”
—-” উনিও আমায় আমাকে ভালোবাসে।”লাজুক ভাবে বললো আলিফা।
—-” হুয়াট!!!!!”
প্রচুর লজ্জা পেয়ে আলিফা বললো,
—-” হ্যা কাল রাতে বাসে প্রোপোজ করেছে।”
—-” ওরে লুচু আলুউউউউউ এতো ফাস্ট।”
আলিফা রেগে গেলো সাদু’র কথায়,
—-” এই ফকিন্নি এখানে আমি লুচু হলাম কিভাবে?”
সাদু দাতঁ কেলিয়ে বললো,
—-” ওতোসতো বুজি না! আমি ট্রিট চাই! হুর্রররররে ডাবল ট্রিট পাবো। তার আগে আমাকে নূর,আলিশা,মিম কে বলতে হবে।তুই দারা আমি এক্ষুনি বলে আসি।”সাদু’র বলতে দেরি ছুটতে দেরি নেই।
আলিফা চোখ বড়বড় করে বলেলো,
—-” ওরে ফকিন্নি বাড়িতে গিয়ে বলিস! এখানে ভাইয়ারা আছে আমি লজ্জা পাবো দারা সাদু।”
সাদু থামলো না দেখে সেও দৌড়।
এদিকে সাদু চিল্লাচ্ছে,
—-” নূর,আলিশা,মিম শুনে না। জলদি আয় বিন্দাস খবর এনেছি।”
—-” এই সাদু দারা অসভ্য মেয়ে দারা বলছি।” বলতে বলতে আলিফাও ছুটছে।
মনির আওয়াজ শুনে সেদিকে তাকিয়ে দেখে সাদু দৌড়াচ্ছে আর ওর পিছে আলিফা ছুটছে।
মনির আরিফ কে বলে,
—-” কিরে কি ব্যাপার বলতো গেলো ভদ্রভাবে এখন আবার এমন সুনামী’র মতো আসছে কেন?”
—-” তোর বউ তুই ভালো জানিস আমায় কেন জিজ্ঞাস করিস?”
আরিফ এর কথা শুনে মনির বাকা হাসি দিয়ে বলে,
—-” সামনের টা না হয় আমার বউ কিন্তু পিছের টা কার?”
আরিফ ইয়া বড় হা করে তাকালো মনির এর দিকে।মনির তা দেখে হেসে ফেলে বলে,
—-” আমি কাল সব দেখেছি।আর আমার মনে হয় উম্মি’ও দেখেছে তাই এরকম দৌড়ে আসছে বাকিদের বলার জন্য। তখন মনে হয় গিয়েছিলো আলিফা থেকে সত্যি জানতে।”
আরিফ কাদো কাদো হয়ে বলে,
—-” এএ ভাই তোর বউ রে থামা।নাহলে আমি আজকে ফুত্তার হয়ে যাবো।”
—-” বিনিময়ে আমি কি পাবো?”
—-” বাড়িতে গিয়ে বড় ট্রিট দিবো।”
পাশ থেকে আফরান, নিবির আর মেরাজ লাফিয়ে উঠে বলে,
—-” আমিও শুনেছি সব আমাদের ও ট্রিট দিতে হবে।”
আরিফ অসহায়ভাবে বলে,
—-” ওকে।”
নিবির খুশির ঠ্যালায় আরিফ এর কোলে লাফ দিয়ে উঠে বসে ওর গালে একটা চুমু খেয়ে বলে,
—-” থাংকুউ দোস্ত। আলাভু তাই এই পাপ্পি দিলাম!”
এদিকে আলিশা এইসব দেখে চোখ ঢেকে উঠে যেতে যেতে বলে,
—-” ও মায়ায়া গোওওও টুরু অশ্লীল।ছিঃ ছিঃ ছিঃ”
আলিশা’র কথায় আরিফ এর ধাক্কা দিয়ে নিবির কে সরিয়ে বলে,
—-” সালা বিয়ের আগেই আমার ডিভোর্স হয়ে যাবে।আর তার একমাত্র কারন হবি তুই।এখন আলিশাকে থামা নাহলে দেখিস!”
নিবির এক ঢোক গিলে আলিশা’র পিছে পিছে ছুট লাগালো।এদিকে আলিশা ” অশ্লীল অশ্লীল” করতে করতে চলে যাচ্ছে সাদুদের দিকে।
চলবে,,,,,
ভূল ত্রুটি ক্ষমা করবেন? আপনাদের রেস্পন্স একেবারেই কম।একটা ভালো মন্তব্য খুজে পাই না আমি কমেন্ট বক্সে।কিছু বলার নাই।