#পঞ্চভূজ_তারা!
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি
#পার্টঃ১৭
দীর্ঘ জার্নির পর ওরা পৌছালো গাজীপুর।এখানে সাদু’র নানু বাড়ি।যে কয়দিন থাকবে ওরা এখানেই থাকবে।গেটের সামনে গাড়ি থামতে একে একে সবাই নেমে আসলো। রাত তখন ১১ টা বাজে।এদিকে গাড়ির আওয়াজ পেয়ে বাড়ি থেকে একদল বাহিনি ছুটে আসলো এসেই ধরাম করে লাফ দিয়ে পড়লো সাদুকে নিয়ে। আর চিল্লাচ্ছে উম্মিপি, উম্মিপি বলে।আফরান আর নিবির হাসছে।আর এদিকে বাকিরা বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে।বেচারি সাদু এই বিচ্ছুবাহিনির আক্রমনে চ্যাপ্টা হয়ে যাবে।
—-” ওরা তোরা উঠ আমার উপর থেকে আমি ভর্তা হয়ে যাবো।নানুউউউউউউউউউউউউ!” সাদুর চিৎকারে বিচ্ছু বাহিনী আরো খিলখিল করে হাসছে।
—-” ওরে বান্দর গুলা আমার বোনের গায়ের উপর থেকে উঠ বেচারিরে কি মেরে ফেলবি।”
সবাই আওয়াজ শুনে গেটের দিকে তাকিয়ে দেখে একজন বৃদ্ধা এগিয়ে আসছেন।এসেই সবগুলারে লাঠি দিয়ে পেটানোর ভয় দেখাতেই সাদু উঠে দাড়ালো।
সাদু কাদো কাদো হয়ে দাড়িয়ে বৃদ্ধাকে জড়িয়ে ধরে বলে,
—-” নানুউউউ এই শয়তান গুলা আমাকে মেরেই ফেলতো!”
সাদুর নানু সাদু’র মাথায় চুমু খেয়ে বলেন,,
—-” ওরে আমার সোনাটা কতো বড় হয়ে গেছে।আজ তোর নানা বেচে থাকলে নিশ্চিত আমায় ডিভোর্স দিয়ে তোকে বিয়ে করতো!”
বলতে বলতে তার চোখ ভরে উঠলো।
পাশ থেকে আফরান আর নিবির বলে উঠে,
—-” শুধু নাতনীকে দেখলে হবে আমরা কি বাণের জলে ভেসে এসেছি।”
সালেহা বেগম হেসে উঠলেন,বলেন,
—-” ওরেএএএ আমার জামাইগুলা কতো হ্যান্ডসাম হয়ে গেছে আয় আমার কাছে আয়।”
আফরান আর নিবির এসে সালেহা বেগম কে জড়িয়ে ধরলেন।
এদিকে সবাই তাকিয়ে দেখছে নাতি,নাতনি আর নানুর কাহিনী।এইসবের মাঝে বাহিরে এলেন সাদুর দুই মামা আর মামি।
সাদুর দুই মামা হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলে,
—-” আমার মা’টা কইরে দেখি তো আমাদের বুকে এসে কলিজাটা ঠান্ডা করে দে একটু।”
বলতে দেরি সাদুর দৌড়ে গিয়ে উনাদের জড়িয়ে ধরতে দেরি নেই।
সাদু’র দুই মামিও আদর করলেন অনেক।বলতে গেলে সাদু সবার আদরের।
সাদু’র বড় মামি বলেন,
—-” আরে এসবের মাজে তো আমার মনেই নেই।আহারে ওরা বাহিরে দারিয়ে আছে কতোক্ষন ধরে।বাবা’রা ভেতরে আসো।”
আফরান মুচকি হেসে বলে,
—-” ওহো আগে পরিচয় করিয়ে দেই দারাও!”
আফরান একে একে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দিলো।সবাই সালাম বিনিময় করলো।তারপর ঘরে গিয়ে যার যার দেখানো রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিলো।সাদু’রা পাচজন এক রুমেই থাকবে তাই আরো একটা খাট এনে রাখা হয়েছে।ওদের দেখাদেখি আফরান আর বাকিরাও এই ব্যাবস্থা করলো। ফ্রেস হয়ে এসে সবাই ডায়নিং রুমের সোফায় গিয়ে বসলো।
মনির নূরের কানে ফিসফিসিয়ে বলে,
—-” কিরে আমার বউ কই?”
—-” গোসল দিচ্ছে!”
—-” কিহহহ! আসার আগে তো একবার গোসল দিয়ে এসেছে।”
মনিরের কথায় নূর মুখ ভেংচি কেটে দিয়ে বলে,
—-” উনার না-কি কেমন জানি খুতখুত লাগে তাই আবারো শাওয়ার নিচ্ছে।”
—-” ওইযে আসছে খুতখুতি।”আলিশার কথায় মনির তাকিয়ে দেখে সাদু আসছে।এক মুহূর্তের জন্যে ওর দুনিয়া থমকে গেছে।বেবি পিংক কালার স্কার্ট, সাদা টপস,বেবি পিংক কালার স্কার্ফ গলায় ঝুলিয়ে আসছে,চুল গুলো ভেজা।
—-” কি জিজু চোখ দিয়েই কি গিলে খাবেন?” আলিফার কথায় মনির সাদু’র থেকে চোখ সরিয়ে নিলো।তারপর মুচকি হেসে বলে,
—-” কেউ যদি এই রূপ নিয়ে আমার সামনে আসে তাহলে নজর তো এমনি লেগে যাবে।!”
ওদের কথার মাজে সাদু এসে সোফায় বসে পড়লো।বসতেই দিলো এক ডাক,,
—-” আমার বিচ্ছুবাহিনী কোথায় রেএরর?”
ওর চিৎকারে সবাই বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে।ওদের ডাকছে কেন?এরা আসলে সাথে প্রলয় নিয়ে আসে। কিছুক্ষনের মাজে ৫ জন দৌড়ে হাজির।ওরা হলো সাদু’র মামাতো ভাই বোন।এদেত মধ্যে সবার বড়,এশা তারপর রোজা তারপর সোহাআর ইশান জমজ তারপর আদিবা।
আদিবা সবার ছোট কিউটিপাই।ও দৌড়ে সাদু’র কোলে বসে পড়লো।
—-” এশা যা কফি নিয়ে আয়।”
সাদু’র কথায় এশা মুখ ভেংচি দিয়ে বলে,
—-” পারবো না”
সাদু এইবার রোজাকে বলে,
—-” রোজা যা তো কফি নিয়ে আয়!”
—-” বিনিময়ে আমি কি পাবো?”
—-” এইযে আমার ভাইয়ারা আছে এখান থেকে কারো সাথে বিয়ে দিয়ে দেবো।সবাই হ্যান্ডাসাম আছে!”
রোজা দাত কেলিয়ে বলে,
—-” তাহলে আমি এই ভাইয়াকে(মনির’কে দেখিয়ে) বিয়ে করবো।”
সাদু চোখ বড়বড় করে তাকালো রোজার দিকে কি বিচ্ছু মেয়ে জায়গা মতো হাত বাড়িয়েছে।সাদু বললো,
—-” যা তোদের কারো আমার জন্যে কফি আনা লাগবে না অকাম্মার দল।”
—-” উম্মিপি আমি নিয়ে আসছি।”সোহা’র কথায় সাদু আদুরে ভাবে বলে,
—-” ওরে পাকনা বুড়িটা তোমার যাওয়া লাগবে না।তুমি এখনো ছোট।”
—-” তাহলে আমি আম্মুকে বলে আসি।”
—-” আচ্ছা যা!”
সোহা ওর আম্মুকে বলে আসলো কফি’র জন্যে।এদিকে আদিবা সাদু’র গলা জরিয়ে ধরে ঝুলছে আর বলছে,
—-” উম্মিপি তুমি আমাল জন্য তি এনেছো?”
—-” আল্লাহ্! উম্মিপি তো ভূলে গেছে আদিবা’র জন্যে কিছু আনতে!”
আদিবা ঠোঁট উল্টিয়ে কাদো কাদো হয়ে বলে,
—-” আদিবা লাগ কলেছে তোমাল সাতে!”
আদিবা মুখ ফুলিয়ে রয়েছে।আর এদিকে সবাই মিটিমিটি হাসছে।সাদু মুচকি হেসে আদিবা’র সামনে ওর হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলে,
—-” দেখোতো এখানে কি আছে আদিবা?”
—-” আদিবা লাগ কলেছে সে কতা বলবে না।”
মনির মুচকি হেসে বলে,
—-” উম্মি আদিবা যেহেতু রাগ করেছে তাহলে ওটা আমাকে দিয়ে দেও।”
সাদু মিটিমিটি হাসছে বললো,
—-” হ্যা আপনি নিয়ে যান!”
মনির সাদু’র থেকে নিয়ে বলে,
—-” ওয়াও! ইয়াম্মি চকোলেট্স আমি খাবো।”
আদিবা চোখ বড় বড় করে সাদু’র কোল থেকে নেমে এক দৌড় মনিরের কাছে।ছোট ছোট হাত দুটো বাড়িয়ে দিলো মনির দিকে।মানে সে কোলে উঠবে।মনির সাথে সাথে ওকে কোলে নিয়ে নিলো।
—-” আমি খাবো চতোলেট্স!”
—-” আচ্ছা দেও খোসা ছাড়িয়ে দেই।”
—-” উম্মাহ! আই লাভ ইউ ভাইয়া।”
মনির আদিবা গাল টেনে দিয়ে বললো,
—-” ওরেএ কিউটি পাইটা।ভাইয়াও এত্তোগুলা লাভ ইউ।”
মনির আর আদিবা দুষ্টুমি করতে লাগলো।আর সাদু একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওদের দিক।যাদের চিনে না জানে না।তারপরেও কতো তাড়াতাড়ি ওদের আপন করে নিলো।কি সুন্দর করে হাসছে
ইসস! এতো সুন্দর কেন তার হাসি।
মিম ফিসফিস করে বলে,
—-” কিরে প্রেমে পড়ে গেলি নাকি যেভাবে তাকিয়ে আছিস।”
সাদু থতমত খেয়ে বলে,
—-” এএমন ককিছু না!”
—-” তাহলে এইভাবে হা করে তাকিয়ে ছিলি কেন?অবশ্য মনির ভাইয়া সেই হ্যান্ডসাম যে কেউ প্রেমে পড়ে যাওয়ার মতো।ইসসস কেন যে আমাকে বিয়ে করলো না মনির ভাইয়া।যে তার জন্যে পাগল তাকে রেখে তোকে কেন যে বিয়ে করলো। তুই তো পাত্তাই দিস না”
সাদু দিলো এক ধমক,,
—-“লুচু মাইয়া! এতো লুইচ্চা কেন? অন্যের বরের দিকে তাকাস কেন?”
—-” তো কিচ্ছে? তুই তো বর মানিস না তাকে।”
সাদু আর কিছু বললো না আসলেই তো সেতো মনিরকে তার বর মানে না তাহলে ওর রাগ লাগছে কেন মিমের কথায়?সাদু কথা ঘুরারো জন্য বলে,,
—-” ইশান!”
—-” হ্যা উম্মিপি!”
—-” সোয়েব কই রে?”
—-” জানো না তোমার ভাই কই।সারাদিন পড়া আর পড়া। দেখো রুমে বসেই পড়ছে হয়তো।”
সাদু কপার চাপড়ে বলে,
—-” এই ছেলে এতো কিভাবে পড়তে পারে আল্লাহ জানে।”
পরক্ষনে আবার শয়তানি হাসি দিয়ে বললো,
—-” হেই বিচ্ছুবাহিনী!”
সবাই চিল্লিয়ে বলে,
—-” কিচ্ছে?”
—-” আর ইউ রেডি ফোর এ হামলা ইন সোয়েব রুম!”
—-” ইয়েএএএএএ!” ওদের চিল্লানোতে বাকিদের কানে তব্দা লেগে যাবার উপক্রম।
—-” লেটস গো! “সাদু বলতেই ওরা সুরসুর করে সাদু’র সাথে চললো সিড়ি বেয়ে দোতলায়।তারপর একটা রুমে ডুকে গেলো।
মনির ভ্রু-কুচকে জিজ্ঞেস করে,
—-” হচ্ছেটা কি?”গেলো কোথায় এই মেয়ে তাও এদের সবাই কে নিয়ে?”
আফরান হাসতে হাসতে বলে,
—-” একটু পরেই মুভি দেখতে পারবি। তোর বউ ছোট থেকেই সোয়েব বেচারা আমার ভাইটার পিছে লেগেই থাকে।”
—-” ওইতো আওয়াজ আসছে চিল্লাচিল্লির এই মেয়ে এখানে আসলে ওকে একটুও বই পড়তে দেয় না।” নিবির এর কথায় সবাই ভালোভাবে শুনলো মনে হচ্ছে বাড়িতে সুনামি হচ্ছে।
” এই মেয়ে কবে যে বড় হবে।” বিরবির করে কথাটা বলে মনির তাকিয়ে রইলো ওই রুমটার দিকে।
দেখা গেলো কিচ্ছুক্ষন পর একটা ছেলে রুম থেকে বের হয়ে আসছে।আর ওর কাধে চড়ে খিলখিল করে হাসছে সাদু।
মনির ইয়া বড় হা করে বলে,
—-” এইটাই কি সোয়েব?”
আফরান মাথা নাড়ালো।মনির আবারো বলে,
—-” এ সাদু’র থেকে অনেক বড় না-কি?”
নিবির মাথা নাড়িয়ে বলে,
—-” আরে না সোয়েব তো সাদু থেকে ৩ বছরের ছোট।”
—-” কিহহহহ! কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে কতো বড়।ইসস আমার নাদান ডিল টুট গায়া।ভাবছিলাম ওর সাথে প্রেম করবো এটা কি শুনলাম আমি। এটা শুনার আগে আমি ঘুমিয়ে গেলাম না কেন?হায় এই জীবনে আর প্রেম করা হলো না আমার।”
নূরের কথায় আফরান অবার বলে কি এই মেয়ে?
সে উঠে এসে নূরের কানে ফিসফিসিয়ে বলে,
—-” সামনে এতো সুন্দর একটা হ্যান্ডসাম ছেলেকে দাড়িয়ে থাকতে দেখেও তুমি এই বাচ্চা ছেলের সাথে প্রেম করতে চাও লজ্জা করে না তোমার?”
নূর আগে আফরানকে ঠেলে ঠেলে সরিয়ে বলে,
—-” আগে আপনি দূরে সরুন।যখন তখন গায়ে এসে পড়ে।আর রইলো আপনার সাথে প্রেম করার তা আমি কোনদিন করবো না হুহ্।”
আফরান এক চোখ টিপ দিয়ে বলে,
—-” প্রেম করবে না! ওহ আচ্ছা একেবারে বিয়ে করার প্লান তাহলে।”
নূর একটা ভেংচি কেটে বলে,
—-” আপনাকে আমার বিয়ে করতে বয়েই গেছে লুচু ছেলে কোথাকার।”
বলেই নূর বিরবির করতে করতে চললো অন্যপাশে,
—-” হুহ! ভালোবাসি বলতে পারে না আবার আসছে বিয়ে করতে হাহ্।”
নিবির অনেক্ষন ধরে খেয়াল করছে আলিশা চুপ-চাপ আছে কোন কথা বলছে না শুধু ওদের সাথে তাল মিলিয়ে একটু আধটু হাসছে।নিবির এগিয়ে গিয়ে আলিশার পাশে বসে পড়লো।আলিশা ভ্র-কুচকে নিবিরের দিকে তাকিয়ে বলে,
—-” কি হয়েছে?”
—-” সেটাই তো তোমার কি হয়েছে?”
নিবির এর এমন প্রশ্নে আলিশা অবাক হয়ে বললো,
—-” আমার কি হবে?”
—-” কখন থেকে দেখছি চুপচাপ আছো!”
—-” এমনি ভালো লাগছে না।”
পাশ থেকে আলিফা বলে উঠে,
—-” মিথ্যে কথা নিবির ভাইয়া ও জার্নি করে এখানে এসে বমি করেছে।এই জন্য ওকে এমন দেখাচ্ছে।”
নিবির আলিফার কথা শুনে বলে,
—-” বমি হয়েছে তো এখানে বসে আছো কেন? রুমে গিয়ে রেস্ট নেও।”
—-” নাহ আমি ঠিক আছি।”
নিবির ওকে ধমক দিয়ে বলে,
—-” হ্যা দেখতেই তো পাচ্ছি কি ঠিক আছো যাও রেস্ট নেও।আর রাতের ডিনার আমি পিকুর হাতে পাঠিয়ে দেবো।ডিনার করে মেডিসিন নিয়ে নিও।আমি যেন শুনি তুমি ডিনার করেছো আর মেডিসিন ও নিয়েছো নাহলে!”
আলিশা ভয় পেয়ে বলে,
—-” নাহলে কি করবেন?”
—-” সেটা নাহয় করেই দেখাবো!”
—-” আমি আপনাকে মোটেও ভয় পাই না।”
—-” ওহ আচ্ছা তাই! তাহলে তুমি যাবে না।”
—-” নাহ আমি এখানেই থাকবো আপনার কি?”
—-” আচ্ছা এখন আমি যা করবো তা তোমার দোশ। সবার সামনেই করবো।”
নিবির আলিশার ঠোঁটের দিকে আগাতে লাগলো।আলিশা চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে ” অসভ্য ” বলে ঠোঁট চেপে ধরে দিলো ভোঁদৌড়।
আলিশা’কে এইভাবে দৌড়ে যেতে দেখে মিম আর আলিফা নিবিরকে জিজ্ঞেস করে,
—-” কি হয়েছে ভাইয়া? কি এমন বললা যে এক দৌড় দিলো ও।”
নিবির হাসতে হাসতে বলে,
—-” এইতো একটু টাইট দিয়েছি আর কি!”
মিম হাসতে হাসতেই মেরাজ দিকে তাকালো।দেখে মেরাজ ফোনে কারো সাথে চ্যাটিং করছে আর মুচকি হাসছে।কেন যেন মিমের ভীষন খারাপ লাগলো।বুকের ভীতর প্রচন্ড জ্বালা করছে হঠাৎ করেই।এমনটা তখনি হয় যখন সে মেরাজ কে জুইয়ের সাথে কথা বলতে দেখে বা ওদের পাশাপাশি দেখে।এ কেমন জ্বালা? কেমন অনুভূতি এটা? মিমের ভীষন কান্না পাচ্ছে।মন চাচ্ছে জোড়ে জোড়ে কাদতে।শেষে সজ্য করতে না পেরে উঠে চলে গেলো।
মিমকে এইভাবে চলে যেতে দেখে আলিফা বলে উঠে,
—-” এর আবার কি হলো এভাবে চলে গেলো কেন?”
—-” মনে হয় কোন কারনে দরকার পড়েছে তাই গিয়েছে।” বলেই আরিফ আলিফার কোমড়ে হাত ছুয়ে দিলো।আলিফা কেপে উঠলো।নিশ্বাস আটকে বসে রইলো ও।কাপা কাপা গলায় বলে,
—-” কি করছেন আপনি এসব?”
আরিফ ইনোসেন্ট গলায় বললো,
—-” কি করলাম?”
—-” প্লিজ থামুন সবাই আছে এখানে।”
আরিফ আলিফা’র কোমড়ে আরো জোড়ে একটু চাপ দিয়ে ধরলো।বলে,
—-” কি হয়েছে আমি আমার বউকে ধরেছি।”
আরিফের মুখে ‘আমার বউ’ কথাটা শুনে আলিফার মনটা জুড়িয়ে গেলো।সাথে শরীরে ভর করলো একরাশ লজ্জা।লজ্জায় গাল দুটো টমেটো হয়ে গেছে।শেষে না পেরে ও উঠে নূরের পাশে গিয়ে বসে পড়লো।তারপর আড়চোখে আরিফের দিক তাকাতেই দেখে আরিফ মিটমিট করে হাসছে ওর দিকে তাকিয়ে। আলিফাও মুচকি হেসে নূরের সাথে কথা বলার ব্যস্ত হয়ে পড়লো।
চলবে,,
সরি সরি সরি।আমি ভীষন দুঃখিত আসলে তোমাদের লেখিকাকে আলসেমিতে ধরেছে গো।তাই লেট হয়ে গেছে।এই জন্য বড় করে দিলাম।
ভূল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।