#নয়নতারা
পর্ব ৪১
Suvhan Årag (ছদ্মনাম)
প্রিয় পাঠক/পাঠিকা,ইনশাহআল্লাহ অমর একুশে বইমেলা ২০২১ এ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে আমার প্রথম উপন্যাস “আবেদিতা”।সবাই পাশে থাকবেন।
আশা করছি ইনশাহআল্লাহ নয়নতারা আবেদিতার কাছে কিছুই নয়।আপনাদের আরো বেশি ভালো লাগবে।
;;;;;
নাফিজ বেরিয়ে যেতেই তার একটু পর আবার কলিংবেলের শব্দ।
—-এখন আবার কে এলো?
—-সৈকত না বাইরে গিয়েছিল।দেখো ও বোধ হয়।
—-হুম।দেখছি।
মাহমুদা বেগম দরজা খুলে দেখেন বাইরে সৈকত দাঁড়িয়ে আছে।
—-চাচিমা কতো দেরী করলে।আইসক্রিম সব গলে গেল।
—-তুই এই সময় আইসক্রিম এনেছিস?
—-হ্যাঁ।তারা তো খুব পছন্দ করে।চলো সবাই একসাথে আইসক্রিম খাব।
সৈকত ভেতরে ঢুকতেই মাহমুদা বেগম দরজা লাগিয়ে দিলেন।
—-চাচিমা ঐ ছেলেটা কে বেরোতে দেখলাম যে।
—-কোন ছেলেটা?
—-ঐ যে তুমি আগের দিন তারাকে বকেছিলে না ঐ ছেলেটার জন্য।কি যেন নাম?
—-নাফিজ।
—-হ্যাঁ হ্যাঁ।উনি কি এখানে এসেছিল?
—-হ্যাঁ।তাঁরা কে বিয়ে করবে সেই প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল।
—-কিহ!একদম ডিরেক্ট বিয়ে!
—-হুম।
—-তোমরা কি বললে?রাজি হয়েছো নাকি?
—-আমাদের কিছু বলা লাগেনি।যা বলার তারাই বলে দিয়েছে।সত্যি তো।আমার মেয়ে টা অসুস্থ।বিয়ে করবে বললেই হলো নাকি।এতো সহজ এরকম একটা মেয়ের দায়িত্ব নেওয়া।
—-হুম তা যা বলেছো।আচ্ছা চলো সবাই আইসক্রিম খাব।
;;;;;
জানালার কাছে দাঁড়িয়ে আছে।চোখ দুটো নিজের অজান্তেই আজ ভিজে উঠলো তারার।বুকের ভেতর চাপা অভিমান কাজ করছে তারার।
সুদূরের সেই মেহগনির গাছের তলাটা আজ ও ফাঁকা।মাটির ওপর থাকা সাইকেলের চাকার ছাপ গুলো ও মুছে গেছে।মুছে তো যাবেই আজ নিয়ে বেশ কদিন তো হলো কেউ এসে ওখানে সাইকেল টাকে শুইয়ে রাখেনি।ফোনটা হাতে নিল তারা।
“তুমিই নিজেই আমাকে ডাকবে তারা,তুমি না জানলে ও আমি জানি আমি তোমার কাছে বাইরের কেউ নই খুব কাছের কেউ।খুব বেশি কাছের।আচ্ছা তারা রাতের বেলা ঘুমানোর আগে একবার কি মনে পড়বেনা তোমার একবার কি চোখ যাবে না তোমার ফোনের দিকে?একবার কি তোমার মনে হবে না এই গভীর রাতেও ফোনের স্ক্রিনের আলোটা জ্বলে উঠবে।কারোর মেসেজ টোন বেজে উঠবে।অথবা কারোর কল!তুমি ঘুমাতে পারবে তো তারা আমার সাথে কথা না বলে?তারা সকাল টা কি তোমার খুব ভালো কাটবে ভেবেছো?উহুম।একটু ও না।সকালটা তোমাকে আমি ভালো কাটাতে দেব না।তোমার কি একবার চোখ যাবে না সামনের রাস্তার দিকে?একবার কি মনে পড়বে না ঐ মেহগনি গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে কেউ অপেক্ষা করত ঘন্টার পর ঘন্টা শুধু তোমাকে দেখবার জন্য!মনে পড়বে তারা।তারা তোমার মনে আছে সেদিন রেস্টুরেন্টে তুমি কেন গিয়েছিলে?তাও আমার মতো অচেনা মানুষের সাথে?সে কথাটা বাদ ই দিলাম।এটা ভেবে দেখোতো কেন তুমি কলেজ ফাকি দিয়েছিলে?তোমার কি মনে পড়বে না তারা!আমার সামান্য কথা তোমার খারাপ লেগেছিল বলে মুখ ভার করে রেখেছিলে।এখন পারবে তো বাকি দিনগুলো আমাকে না দেখে আমার সাথে কথা না বলে কাটাতে?তোমার জায়গায় তুমি ঠিক তারা।আসলেই কেউ চাইবে না একজন অসুস্থ মেয়েকে নিজের জীবনসঙ্গী করতে।তোমার কথা মতো চাওয়াটা নিত্যন্ত হাস্যকর, কিন্তু কেউ যদি মন থেকে চায়!মনের গভীর থেকে চায়?তবুও কি বলবে এটা হাস্যকর?তুমি বললে তোমাকে কেউ ভালোবাসবে না।কিন্তু কেউ যে ভালোবেসেছে সেটাকেও তুমি অপরাধ করে দিলে!
তুমি পারবে না তারা।আমার কথা মিলিয়ে নিও।তুমি সত্যি পারবে না।তোমার চোখের কোনে যদি আমার জন্য এক ফোটা পানিও আসে না তারা আমি সেদিন আসব।তোমার ভালোবাসার টানে আসব।ভালো থেকো।
ভালোবাসার প্রেয়সী,
ভালোবাসা দিলাম এক টুকরো,
তুমি যতনে রেখে দিও।
ভালোবাসি প্রেয়সী।”
—–ক্যাপ্টেন
মেসেজ টা দেখে আরো কষ্ট হচ্ছে তারার।সেদিন নাফিজ চলে যাওয়ার পর রাতে নাফিজ তারাকে এই মেসেজ টাই দিয়েছিল।তারা কিছু রিপলাই দেবে তার আগেই নাফিজ হয়তো তারার নাম্বার ব্লাকলিস্টে দিয়ে দিয়েছিল।যার জন্য মেসেজ কল কোনটাই আর যায়নি।কষ্ট টা আরো বেড়ে গেল তারার।
—-এই আপনি ভালোবাসার কথা বলেছিলেন।আমার নাম্বার টা ব্লাকলিস্টে দিয়ে দিলেন আপনি!আপনি খুব খারাপ ক্যাপ্টেন খুব খারাপ।
তারা ফোনটা বিছানায় ছুড়ে মারলো।পড়ার টেবিলে বসে গেল।একটু পর আবার তাকে কলেজের জন্য বের হতে হবে।তার এক্সাম শুরু হয়েছে যে।
;;;;;
ডাইনিং টেবিলে বসে সৈকত খাবার খাচ্ছে।পাশে মাহমুদা বেগম বসা।
—-সৈকত তারা এখনো এলো না যে?
—-আসবে আসবে।হয়তো রিভাইজ করছে।
—-বুঝলাম না কি হলো ওর।কদিন ধরে সব সময় মন খারাপ করে বসে থাকে।না খাওয়াতে মন।না পড়াশোনা তে।কাল ওর ম্যাথ টিচার তোর চাচুকে ফোন করেছিল।যে মেয়ে ম্যাথে কখনো ৯০ এর নিচে মার্ক পায় না সে এবারের পরীক্ষা তে ৪৪ পেয়েছে।বুঝতে পারছিস কি অবস্থা!
—-কি বলো টাকি।তারা এতো কম নম্বর পেয়েছে!
—-হ্যাঁ সেটাই।ওর কি হয়েছে আল্লাহ্ ভালো জানেন।আমার মনে হয় ওকে একটু ডাক্তার দেখানো দরকার।আবার বেশি অসুস্থ হলো কি না।
—-চাচিমা ওকে ডাক্তার দেখিয়ে লাভ নেই।তুমি নিজেও ডাক্তার।তুমি বলো এসব কি কোনো রোগের লক্ষণ?
—-তাহলে?
—-তোমার মেয়ের শরীরের না মনে রোগ হয়েছে।পারলে ঐ মনের ডাক্তার কে ধরে আনো।দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে।
—-মানে!
এর মধ্যে ই তারা ওপর থেকে নেমে আসলো।এসে মাহমুদা বেগমের পাশের চেয়ারে বসে কারোর সাথে কথা না বলে নিজের মতো খাবার বেড়ে নিল।মাহমুদা বেগমের বিষয়টা একদম ভালো লাগছে না।তারার সামান্য ব্যথা তিনি সহ্য করতে পারেন না।আর তারার এখন এরকম মুখের ভাব তার একদম ভালো লাগছে না।
—-তারা মা।
—-হুম।
—-কি হয়েছে তোর মা?এরকম চুপচাপ হয়ে থাকিস কেন সব সময়।কেমন উদাস হয়ে থাকিস।কোনো সমস্যা হয়েছে?মাকে বল।
—-কিছু হয়নি মা।
—-কিছু তো হয়েছে।তোমার স্যার বললো তুমি এবার ম্যাথে ৪৪ পেয়েছো।কেন মা?তোমার কি পড়া বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে?তুমি তো কখনো এরকম খারাপ রেজাল্ট করো না।
—-জানিনা।
তারা আর কথা না বাড়িয়ে নিজের খাওয়াতে মনোযোগ দিল।মাহমুদা বেগম সৈকতের দিকে তাকালো।
—-এই তারা তুই ম্যাথে ৪৪ পেয়েছিস!ছি ছি ছি!এবার দাদু বাড়ি গিয়ে সবাইকে বলে দেব আমি।সব সময় বলতি না তুই ম্যাথে কখনো কম পাস না।
—-কেন ছি ছি করার কি আছে?আমি যে অন্যবার ভালো নম্বর পেয়েছি বলে সব সময় যে এটা পাব এটা কি কোনো শাস্ত্রে লেখা আছে?নাকি এটা আমার জন্য আইন হিসেবে সংবিধানে লেখা হয়েছে।
তারা বেশ রেগে কথাগুলো বললো।তারার এমন রূপ দেখে সৈকত মাহমুদা বেগম দুজনেই অবাকের চূড়ান্ত পর্যায়ে।তারার মুখ দিয়ে এরকম কথা তো দূরে থাক তাকে কখনো রাগতে দেখেনি তারা।এতোটাই শান্তশিষ্ট মেয়ে সে।অথচ আজ!
;;;;;
একটা বেজে গেছে।
পরীক্ষার খাতা জমা দিয়ে হল থেকে বেরিয়ে এলো তারা।বাইরে বেরিয়েই দেখে সৈকত আর গাসু দাড়িয়ে আছে।
—-গাসু তোমার স্কুল শেষ?
—-হ।এর লাগি সাকি ভাইয়ার সাথে আপনেরে লইতা আইছি আফা।
—-তারা চল চল।
—-হুম চলো।
সৈকত আগে আগে গিয়ে গাড়িতে বসলো।তারা ধীরে ধীরে হাটছে গাসু তার পেছনে বকবক করতে করতে আসছে।
তারা মাথা নিচু করে হাটছে।রোদের তীব্রতা ঘেমে যাচ্ছে তারা।বুকের ধুকপুকানি টা হঠাৎ ই যেন বেড়ে গেল তারার।তারা দাড়িয়ে গেল।
—-আফা কি হইচে?খাড়ান কেন?
—-কিছু না।গাসু তুমি আগে আগে যাও।অনেক ক্ষণ এক্সাম হলে বসে ছিলাম তো তাই পা একটু ব্যথা করছে।
—-হায় হায় গড।কি কইলেন?
—-কোনো সমস্যা না গাসু।আমি একটু আস্তে আস্তে যাচ্ছি।তুমি যাও।
—-আইচ্ছা।
গাসু পা চালিয়ে সামনের দিকে যাচ্ছে।তারা দাড়িয়ে এদিক ওদিক চোখ বুলাচ্ছে।তারার কেন যেন মনে হচ্ছে কেউ এক দৃষ্টিতে তারার দিকে তাকিয়ে আছে।এদিক ওদিক তাকাতেই হঠাৎ করে চোখ আটকে গেল তারার।
আজ পনেরো দিন পর।সেই চিরচেনা মুখ।ইউনিফর্ম পরিহিত ক্যাপ্টেন নাফিজ।পিকাপে বসে আছে।তারাদের গাড়ির সোজা সুজি একটু দূরে নাফিজের গাড়ি দাড়িয়ে।এক ফালি রোদ নাফিজের মুখের ওপর পড়েছে।ঘর্মাক্ত মুখমণ্ডল লাল হয়ে আছে নাফিজের।কিন্ত দৃষ্টি তার তারার দিকে।একদম যেন চোখে চোখ পড়েছে তারা আর নাফিজের।রোদ পড়াতে নাফিজের উদাস চেহারাটা আরো স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে তারার সামনে।কদিনেই যেন চোখ মুখ কেমন শুকিয়ে গেছে নাফিজের।মন মরা ভাব।একদম বিষন্ন চেহারা।আর দৃষ্টি!
“চোখ যে মনের কথা বলে”
গানের সুর হলেও আসলেই যেন তাই।নাফিজের ছলছল চোখ দুটো রোদে আরো জ্বলজ্বল করছে।চোখ দুটো বলেই দিচ্ছে তার শত অভিমান না বলা কথা গুলো।
নাফিজ কে দেখে তারার বুকের ভেতরটা যেন কামড় দিয়ে উঠলো।
—-ক্যাপ্টেন।
তারা নাফিজের দিকে তাকিয়ে হাঁটা শুরু করেছে তার আগেই গাড়ি ঘুরিয়ে চলে গেল নাফিজ।তারা আর ধরতে পারল না।
—-ক্যাপ্টেন।
চোখ দুটো ভিজে উঠলো তারার।নাফিজ গাড়ি ঘুরিয়ে চলে গেল।একবার ও তার সাথে কথা বললো না।মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে তারার।পরক্ষণেই আবার এটা ভাবলো তারা, কেন এসেছিল তাহলে নাফিজ।তাও তার কলেজের সামনে।সত্যি সত্যি কি নাফিজ তাকে ভুলে গেছে?ফোন না একদম মনের ব্লাকলিস্টে রেখে দিয়েছে?
;;;;;
বিকেল বেলা।
আজ ও বৃষ্টি হচ্ছে।শীতের মধ্যে ও আজ আবার বৃষ্টি।
তারা বিছানায় বসে জানালার দিকে তাকিয়ে আছে।তারার আজ খুব মনে পড়ছে নাফিজকে।এই তো সেদিন ও এইরকম বৃষ্টিতেই নাফিজের সাথে তারা শেষবারের মতো কথা বলেছিল একদম নির্জনে।আরো আজ এতোদিন পর নাফিজের মুখটা দেখেছে তারা।কতোই না মায়াবী লাগছিল সেই মুখ।ছেলেদের মুখের দিকে তাকালে হয়তো মায়াটা খুঁজে পাওয়া যায় না।কিন্তু কেউ যদি প্রচন্ড কষ্টে থাকে তার মায়াটা ঠিক ভেসে উঠবে।
—-ঐ তারা কি করছিস?
সৈকতের গলা শুনে দরজার দিকে তাকালো তারা।সৈকত দাড়িয়ে আছে দরজার কাছে।
—-ভাইয়া তুমি।ভেতরে এসো।
—-না ঘুমোতে যাব।
—-এখন!
—-হ্যাঁ রে।আরো আগে ঘুমাতে যেতাম।কিন্তু বৃষ্টি দেখে ভিজতে মন চাইলো।তাই ছাদে গিয়েছিলাম।এখন ফ্রেশ হয়ে এক জব্বর ঘুম দেব।
—-ওহ।
—-তুই না ঘুমিয়ে বসে আছিস কেন?
—-এমনি।ভালো লাগছে না।
—-ভালো না লাগলে একটু ছাদ থেকে ঘুরে আয়।
—-কেন?
—-কেন আবার? বৃষ্টির মধ্যে,ঠান্ডা হাওয়া,এক ঠান্ডা অনুভূতি।তারপর যদি আরো স্পেশাল কিছু থাকে তাহলে আর মন খারাপ তো মন খারাপ।মন খারাপ ব্যাগ গুছিয়ে বাপের বাড়ি চলে যাবে।
—-স্পেশাল কিছু টা আবার কি?
—-উহ।বড্ড প্রশ্ন করিস তুই।শোন তোর যেতে ইচ্ছে হলে যা।এখন ফিসফিসিয়ে যা বৃষ্টি পড়ছে।ভালোই লাগবে।এজন্য বললাম।ইচ্ছে হলে যা না হলে থাক।আমি গেলাম ঘুমোতে।
সৈকত হাই তুলতে তুলতে চলে গেল নিজের ঘরের দিকে।
তারা বসে কিছুক্ষণ ভাবলো।আসলেই ছাদে একটু ঘুরে আসলে মন্দ হবে না।বিকেলবেলা বাইরে আরো বৃষ্টি।সবাই নিশ্চয়ই ঘুমোচ্ছে।তাই ছাদে গেলে কারোর চোখেও পড়বে না।তারা বিছানা ছেড়ে ক্রাচ নিয়ে উঠে দাড়ালো।ঘর থেকে বেরিয়ে ছাদে যাওয়ার উদ্দেশ্যেকরে সিঁড়ির দিকে পা বাড়ালো।
;;;;;
ছাদের ওপরের ফুল গাছ গুলোর ওপর ফোটা ফোটা পানি জমে আছে।এখনো ফিসফিসিয়ে বৃষ্টি পড়ছে।ছাদ টা বড্ড পিছলা হয়ে আছে ।তারার বড্ড ভয় করছে পা ফেলতে।তবুও একটা ভালো লাগা কাজ করছে তারার।চুলগুলো খোলা রেখেছে তারা।ঠান্ডা বাতাসে একটু একটু করে উড়ছে চুল গুলো।চোখ বুজে তারা বাতাসের প্রতিটি ছোঁয়া অনুভব করছে।
হঠাৎ করেই হাতে টান পড়লো তারার।দেয়ালের প্রায় কাছাকাছি দাড়িয়ে ছিল সে।এতো টাই জোরে টান পড়লো তারার হাত থেকে ক্রাচ টা ছুটে গেল।মূহুর্তেই কেউ যেন তারাকে টান দিয়ে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে দিল।তারার পিঠ দেয়ালে গিয়ে লাগলো।তারা ভয় পেয়ে চোখ বুজে ফেলেছিল।
—-শীত কালে বিয়ে করার মধ্যে না একটা বিশেষ মাধুর্য আছে।আমি যে সেই সময় টা একদম নষ্ট করতে চাই না তারা।
কন্ঠস্বর শুনে কেঁপে উঠলো তারা।সামনের ব্যক্তিটি তার হাত দুটো দিয়ে তারার দুই হাত অনেক আগেই নিজের হাত দিয়ে বেধে রেখেছে।
তারা ভয়ে ভয়ে চোখ খুললো।মাথা উঁচু করে তাকাতেই তারার মুখ দিয়ে অস্ফুটস্বরে বেরিয়ে এলো,
—-ক্যাপ্টেন!
চলবে———–
আহা কি কিউট ?সামনে যে কি অপেক্ষা করছে?