#নেশালো_সে?
#লেখনীতে:#তানজিল_মীম?
১৯.(শেষ)
“হুট করেই আয়াফ আফিয়াকে ছেড়ে দেয়’!!এতে বেশ অবাক হয় আফিয়া’!!জিজ্ঞেসাসূচকভাবে তাকালো আফিয়া আয়াফের দিকে’!!আয়াফ আফিয়ার তাকানোর অর্থ বুঝতে পেরে তার পকেটে হাত রাখলো’!!তারপর পকেট থেকে বের করলো সেই ঝুমকা জোড়া’!!যার জন্যই আয়াফ আফিয়াকে খুঁজে পেয়েছে’!!আয়াফ আফিয়ার দিকে ঝুমকো দুটো বাড়িয়ে দিয়ে বললোঃ
——–“এই ঝুমকোর জন্য আজ তোমায় আমি খুঁজে পেলাম “মায়াবতী”!!তাই এই ঝুমকা ছাড়া আমাদের ভালোবাসার মুহূর্তটা পুরোপুরি সম্পন্ন হয় কি করে বলো…
“তারপর আয়াফ আলতো ভাবে ‘ঝুমকো’ জোড়ায় চুমু এঁকে দিয়ে পড়িয়ে দিলো আফিয়ার কানে’!!আফিয়া বলে উঠলঃ
———“ঝুমকা কোথায় পেয়েছিলে তুমি তা তো বললে না….
———“হুম বলবো তো অপেক্ষা কর অপেক্ষার ফল যে খুব মিষ্টি হয়’!!তার আগে আমায় এটা বলো সেদিন তুমি দৌড়াচ্ছিলে কেন?
“আফিয়া ভাবলো সেদিনে কথা’!!ভাবতেই হেঁসে দিল সে’!!তারপর বলে উঠল আফিয়াঃ
———“সেদিন ছিলো আমার জন্মদিন!আমাকে ভার্সিটিতে অনুষ্ঠান আছে এটা বলে আমার বন্ধুগুলো অনেক সেজেগুজে যেতে বলেছিল’!!আমিও তেমন কিছু না ভেবে জমিয়ে সেজে ছিলাম অবশ্য নিজে সেজেছি বললে ভুল হবে আপু সাজিয়ে দিয়েছিল’!!পড়ে ভার্সিটি গিয়ে জানলাম আমার জন্মদিন উপলক্ষে এমনটা করেছে’!!সবই ঠিক ছিল কিন্তু ওরা চাইছিল ভরা ভার্সিটিতে সামনে আমার এতসুন্দর মেকাপে আটা-ময়দা আর ডিম দিয়ে ভূত বানিয়ে দিবে’!!আমি তো সবশুনে মুখে ওড়না বেঁধে নিলাম যাতে মুখে ওগুলো না লাগে তারপর আর কি তুমুল বেগে দৌড়াতে ছিলাম ওদের কাছ থেকে ওরাও আসছিল পিছন পিছন ওহ এইবার মনে পরছে মাঝরাস্তায় একটা ছেলের সাথে ধাক্কা লাগে আমার তবে মুখ ঠিক দেখি নি তার ওহ তার মানে ওইটাই তুমি ছিলে’!!
“আয়াফ মাথা নাড়িয়ে হা বলে,, সবশুনে হাসতে হাসতে শেষ!!আয়াফের হাসি দেখে আফিয়া বললোঃ
———“তুমি হাসছো আর আমার অবস্থা কি হয়েছিল জানো দৌড়াতে দৌড়াতে পুরো পা ব্যাথা হয়ে গিয়েছিল, দু-দিন তো বাসা থেকেই বের হইনি কারন ওরা দেখলেই ওগুলো মারতো মুখে তবে দিনগুলো সুন্দর ছিল’!!এখন তুমি বলো ঝুমকা কোথায় পেলে?
———-“তুমি এখনো বুঝতে পারছো না,
“মাথা না সূচক নাড়ায় আফিয়া’!!আয়াফ আফিয়ার দু-গাল চেপে ধরে বললঃ
———-“ওরে আমার পাগলী বউ তোমার সাথে যখন ধাক্কা লেগেছিল তখনই তোমার কান থেকে পড়ে যায় ঝুমকাটা আর তখনই পাই আমি…
———“ওহ…
———“হুম তাহলে এখন চুমু দেও গালে না হলে বাড়ি নিয়ে যাবো না…
“আফিয়া হেঁসে বললোঃ
———“তোমায় নিয়ে যেতে হবে না আমি একাই যেতে পারি….
“আয়াফ একটু অভিমানী স্বরে বললোঃ
———-“তার মানে আমি তোমায় যেটা করতে বলেছি সেটা তুমি করবে না….
———-“তুমি কি পাগল হলে নাকি দেখো সন্ধ্যা হয়ে গেছে বাচ্চারাও সবাই চলে গেছে তাই বলছি বাড়ি চলো পড়ে দেবো নে…
———–“পড়ে কাজ হবে না এখন চাই মানে এখনই চাই….
———-“তুমি বাচ্চাদের মতো জেত করছো কেন?
———??
“শেষমেশ আফিয়া কোনো উপায় না পেয়ে শুকনো করে আয়াফের গালে চুমু দিয়ে দিল’!!আয়াফ খুশি হয়ে আফিয়াকে কোলে তুলে নিয়ে বললোঃ
———“এখন তাহলে যাওয়া যাক মেরি জান….
“হাসলো আফিয়া’!!তারপর সেও খুশি হয়ে আয়াফের গলা জড়িয়ে ধরে বললোঃ
———“হুম চলো মেরি করলার জুস না থুক্কু কমলার জুস…?
“হাসলো আয়াফ’!!তারপরও কিছু বললো না এই খুশির মুহূর্তটা নষ্ট করতে চায় না সে’!!কারন নামটা তেঁতো হলেও নাম দেওয়া মানুষটি যে খুবই মিষ্টি’!!আয়াফ আফিয়াকে কোলে করেই নিয়ে গিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দেয়’!!তারপর নিজেও গিয়ে বসে পরে গাড়িতে’!!তারপর মুক্ত আকাশের নিচে বসে গাড়ি চালাতে শুরু করে আয়াফ’!!এই মুহূর্তে আয়াফের কাছে সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত’!!যেখানে সকল অভিমান ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করার আনন্দ মিশে আছে হৃদয়ে……
“আয়াফ আফিয়াকে নিরদিধায় তার বুকে জড়িয়ে ধরে ড্রাইভ করছে আর আফিয়াও চুপটি করে আছে একদম’!!কারন এই মুহুর্তে সেও আছে খুব খুশি’!!দু-দিন নির্ঘুমে কাটিয়েছে সে’!!তাই আয়াফের বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরে সে…….
__________________
“বেশকিছুক্ষন পর….
“আয়াফদের গাড়ি এসে থামলো আয়াফদের বাড়ির সামনে’!!আফিয়া তখনও গভীর ঘুমে মগ্ন ছিল’!!আয়াফ কিছুক্ষণ আফিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে ওকে ডাকলো’!!আচমকা ডাক পরতেই আফিয়া পুরো লাফ মেরে উঠে বসলো’!!আফিয়া উঠতেই আয়াফ বলে উঠলঃ
——–“ঘুম হয়ে গেলে এখন তাহলে যাওয়া যাক…
———“হুম…
“তারপর আফিয়া আর আয়াফ দুজন একসাথে চললো বাড়ির ভিতর’!!আফিয়ার একটু ভয় ভয় করছে না জানি শাশুড়ী মা কি কি বলে তাকে…
||
“বাড়িতে ঢুকতেই অবাক দুজন কারন বাড়িতে কিছু গেস্ট এসেছে’!!আয়াফের আম্মুর আফিয়াকে দেখে ওদের দিকে এগিয়ে গিয়ে বললো আয়াফকেঃ
———“তোদের এখন আসার সময় হলো এতক্ষণ কি করছিলি…
———-“আর বলো না আম্মু তোমার যে বউমা রাগ ভাঙাতেই তো এত সময় লেগে গেল…
“আয়াফের কথা শুনে আয়াফের আম্মু রেহেনা বেগম এগিয়ে গেলেন আফিয়ার কাছে’!!আফিয়া চুপচাপ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে’!!সে নিজেও জানে না এই মুহুর্তে সে কি বলবে’!!শাড়ির আঁচল আঙুলের সাথে প্যাঁচাচ্ছে সে’!!রেহেনা বেগম আফিয়ার সামনে দাঁড়িয়ে বললোঃ
——–“এত রাগ কেন তোর মানছি আয়াফ মাঝে মাঝে তোর সাথে ঝগড়া করে এর মানে এই নয় যে রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে…
“আফিয়া রেহেনা বেগমকে জড়িয়ে ধরে বললঃ
———“সরি আম্মু ভুল হয়ে গেছে আর এমন ভুল হবে না কোনোদিন,, আমি আর কোনোদিন বেশি বুঝবো না….
“হাসলো রেহেনা বেগম’!!তারপর বললেন উনিঃ
———“ঠিক আছে এইবারের মতো মাফ করে দিলাম ফের যদি এমন করিস তো তোর একদিন কি আমার একদিন, এখন যা ফ্রেশ হয়ে নিজেও তৈরি হয়ে আরিশাকে তৈরি করে নিয়ে আয়…
“আফিয়া বেশ অবাক হয়ে বললোঃ
——–“কেন আম্মু আর এতো মানুষ কেন এসেছে….
———“ওনারা আরিশাকে দেখতে এসেছে….
“রেহেনা বেগমের কথা শুনে আয়াফ বলে উঠলঃ
———“এসব কি বলছো মা….
——–“ঠিকই বলছি হুট করেই তোর বাবা বললো ওনারা আসছে এখন যা আর কথা না বারিয়ে তাড়াতাড়ি আরিশাকে তৈরি করে নিয়ে আয়….
“তারপর আয়াফ গিয়ে বসে পরলো সোফায়’!!আর আফিয়া চলে গেল উপরে আরিশার রুমে’!!
||
“মনমরা হয়ে বসে আছে আরিশা বিছানায়! চোখ বেয়ে তার পরছে পানি’!!কারন সে বুঝে গেছে সে তার ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে ফেলতে চলেছে’!!ভাইয়ার মতো ওর জন্যও বাবা ছেলে ঠিক করে এনেছে’!!এখন ছেলে ওর পছন্দ হোক বা না হোক বাবা বিয়ে ঠিকই দিয়ে দিবে’!!কিন্তু আরিশা এই মুহুর্তে কিছু করতে পারছে না’!!এমন সময় পিছন থেকে আরিশার চোখ টিপে ধরে আফিয়া’!!আচমকা এমনটা হওয়াতে আরিশা পুরোই ঘাবড়ে যায়’!!আর আফিয়া অবাক হয় আরিশার চোখে পানি দেখে’!!আফিয়া অবাক হয়ে বললোঃ
———“তুমি কাঁদছো কেন ননদিনী….
“আফিয়ার এমন কথা শুনে আরিশার জড়িয়ে ধরে আফিয়াকে’!!তারপর বলে উঠল সেঃ
———“তুমি চলে এসেছো ভাবি তুমি জানো আমি তোমায় কতটা মিস করতে ছিলাম’!!
——–“সেটা না হয় বুঝলাম আগে বলো তুমি কাঁদছো কেন?
——–“আমি এই বিয়েটা করতে চাইছি না ভাবি আমি তো আয়ানকে ভালোবাসি….
“আরিশার কথা শুনে আফিয়া অবাক হয়ে বলেঃ
——–কি…?
——–“হুম ভাবি আমি আর আয়ান একে অপরকে খুব ভালোবাসি কিন্তু মাঝখান থেকে বাবা আমার বিয়ে ঠিক করে দিয়েছে’!!
“বলেই ঠুকরে কেঁদে উঠে আরিশা’!!এদিকে আরিশার কথা শুনে আফিয়া কি করবে বুঝতে পারছে না’!!
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
“মাঝখানে কাটলো অনেকগুলো দিন……..
“আজকে আরিশার বিয়ে পুরো বাড়ি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে’!!বিয়ে উপলক্ষে সারা বাড়িতে মানুষের হই হুল্লোড় পড়ে গেছে’!!পার্লারের লোকজনও চলে এসেছে আরিশাকে সাজাতে’!!আরিশাও আজকে খুব খুশি’!!কারন সে তার ভালোবাসার মানুষকেই বিয়ে করতে পারছে’!!!আর এই কাজটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাএ আয়াফ আর আফিয়ার জন্য’!!সেদিন রাতে আরিশার কান্না দেখে আফিয়া ডাকে আয়াফকে’!!তারপর আয়াফকে সব খুলে বলে আফিয়া’!!আয়াফ তো বেশ অবাক হয় এসব শুনে’!!তারপর আয়াফ নিজে গিয়ে কথা বলে তার বাবার সাথে ওই মানুষদের সামনে যারা দেখতে এসেছিল আরিশাকে’!!সব শুনে আরিশার বাবা প্রথমে একটু রেগে গেলেও পরক্ষনেই আরিশাকে দেখতে আসা ছেলেটি বুঝিয়ে বলে তাকে’!!কারন জোর করে বিয়ে দেওয়াটা একদমই ভুল’!!যেখানে মেয়ে নিজে চাইছে না বিয়ে টা করতে’!!যার সারাজীবনের ভালো থাকার প্রশ্ন সেই যদি রাজি না তাকে তাহলে কি করে ভালো হবে তারা’!! পরিশেষে সবার জোরাজোরিতে রাজি হয়ে যায় আরিশার বাবা’!!আরিশা তো খুশি হয়ে জড়িয়ে ধরে তার বাবাকে’!!তারপর আনা হয় আয়ানকে আর ওর বাবা মাকে’!!আয়ানকে যেহেতু ওনারা আগেই থেকেই চেনে তারওপর ছেলেটাও খুব ভালো তাই খুব বেশি না ভেবেই ওদের বিয়ে ঠিক করা হয়’!!আয়ান আরিশা দুজনেই খুশি’!!তারা ভাবতেই পারে নি এত ইজিলি সবটা হয়ে যাবে’!!
!!
“আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে আফিয়া’!!কারন সে তৈরি হবে’!!এমন সময় রুমে এসে হাজির হয় আয়াফ’!!আফিয়ার হাতে একটা শাড়ি আর কিছু জুয়েলারি দিয়ে বলে সে এগুলো পড়ে চলে আসো’!!আফিয়াও আর কিছু না বলে খুশি মনে পরে নেয় শাড়িটা’!!একটা লাল রঙের জর্জেট শাড়ি পড়েছে আফিয়া,চুলগুলো খুলে দিয়েছে সে’!!গলায় ভাড়ি নেকলেস আর কানে একজোড়া সুন্দর ঝুমকা,চোখে কাজল আইলাইনারসহ ভাড়ি মেকাপ দিয়ে অসম্ভব সুন্দর ভাবে সেজেছে সে’!!আর অন্যদিকে আয়াফ আজকে একটা সুন্দর ব্লাক রঙের পাজামা-পাঞ্জাবি পড়েছে ,চুলগুলো বরাবরের মতোই খুব সুন্দর করে সাজানো হাতে ঘড়ি এই অল্প সাজেই অসম্ভব সুন্দর লাগছে তাকে’!!
.
“আফিয়া সেজেগুজে পা বাড়ালো আরিশার রুমের দিকে’!!এমন সময় ঘটলো আরেকটা ঘটনা হর্ঠাৎই পা ছিলিপ কেটে পড়ে যেতে নেয় আফিয়া’!!ভয়ে দু’চোখ বন্ধ করে নেয় সে’!!হর্ঠাৎই মনে হয় তার সে পরে নি কেউ তাকে ধরে আছে খুব শক্ত করে আস্তে আস্তে চোখ খুলে তাকালো আফিয়া’!!!চোখ খুলতেই দেখলো সে আয়াফ তার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে’!!
||
“অন্যদিকে আয়াফ চলে গেছে তার সেই ঘোর লাগানো মুহূর্তের দিকে’!!আফিয়ার চোখ,চুল আর মায়াবী সাজ দেখেই ফিদা হয়ে গেছে আয়াফ’!!আফিয়াও আয়াফের চোখে হারিয়ে গেছে জানো অন্য কোথাও’!!আয়াফ আফিয়া দুজনেই দু-জনের দিকে তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে’!!এমন সময় সেখানে উপস্থিত হয় আদিবা-সায়ান’!!দুজনকে এইভেবে দেখে মুচকি হাসে তারা’!!আদিবা আয়াফের কানের কাছে গিয়ে বলেঃ
——-“এইভাবে তাকিয়ে থাকলে লোকে কি বলবে আয়াফ…
“সাথে সাথে আয়াফ আর আফিয়া বেরিয়ে আসে তাদের ঘোর লাগানো মুহূর্ত থেকে’!!আফিয়ার তো লজ্জায় পুরো লাল হয়ে গেছে’!!আয়াফ একদম কনফিডেন্স নিয়েই বলেঃ
———“কে কি বলবে আমার বউই তো তাই না…
“হাসলো সায়ান আর আদিবা’!!আফিয়া আদিবার সামনে গিয়ে বললোঃ
———“আপু তুমি এখানে….
“এমন সময় ওদের পিছন থেকে আফিয়ার আব্বু বলেঃ
———“ওদের আমি ডেকেছি,আয়াফ আমায় কাল সব বলেছে আদিবা কেন বিয়ের দিন পালিয়ে গিয়েছিল আমারই দোষ ছিল কোনো কিছু না বলেই মেয়েটার ওপর বিয়ের চাপ দিয়ে দেওয়া….
———-“তার মানে তুমি আপুদের মেনে নিয়েছো…
———-“হুম…
“আফিয়া খুশি হয়ে তার আব্বুকে জড়িয়ে ধরে বললোঃ
———“উফ!আব্বু আজকে আমি খুব খুশি,আমরা আবার আগের মতো করে সবাই একসাথে থাকবো….
———“হুম….(আফিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে)
“আজকে সবাই খুশি….
“এরই ভিতর চারিদিকে শোনা গেল জামাই এসেছে জামাই এসেছে! আফিয়া আর আদিবা দৌড়ে চলে গেল সেখানে….
.
“খুব সুন্দরভাবেই আয়ান আর আরিশার বিয়ে হয়ে গেল’!!কিছুক্ষণ আগেই আয়ান আর আরিশাকে বিদায় জানালো সবার কাছ থেকে..!
__________________________________________
______________________
“রাত_৯ঃ০০টা……
“বাসর ঘরে বসে আছে আরিশা’!!একরাশ ভয় আর ভালো লাগা নিয়ে’!!এমন সময় রুমের দরজা খুলে ঢুকলো আয়ান’!!আয়ান ঢুকতে আরিশা সালাম দিলো আয়ানকে’!!আয়ানও খুশি মনে আরিশার সালামের জবাব দিলো’!!আয়ান আরিশার পাশে বসে বলে উঠলঃ
———“তুমি তাহলে শাস্তি পাওয়ার জন্য প্রস্তুত তো…
“আয়ানের কথা শুনে আরিশা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বলে উঠলঃ
———-“কিসের শাস্তি…?
———-“এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে জানেমন সেদিন ছাঁদে বসে তুমি যে হাতে কামড় দিয়ে ছিলে তার শাস্তি…
“আয়ানের কথা শুনে শুকনো ঢোক গিললো আরিশা’!!তারপর বলে উঠল সেঃ
———“সেদিন আমি ইচ্ছে করে করেছি নাকি তুমি তো ঘুম থেকে উঠেছিলে না তাই তো..
——–“ওসব কিছু জানি না জানেমন কামড় যখন দিয়েছো শাস্তি তো তখন পেতেই হবে…
“আরিশা ভয়ে ভয়ে বললোঃ
——–“কি শাস্তি…
“আরিশার কথা শুনে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে আয়ান’!!হর্ঠাৎ আয়ানকে এগোতে আসতে দেখে আরিশাও ভয় পেয়ে পিছনে যেতে লাগলো’!!
“আয়ান অনেকটাই কাছে এসেছে আরিশার’!!আর আরিশাও পিছন যেতে যেতে লেগে গেছে বিছানার সাথে’!!আরিশা কিছু বলতে যাবে তার আগেই আয়ান আরিশার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট বসিয়ে দিল’!!ঘটনাচক্রে আরিশা পুরো ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল’!!
“বেশকিছুক্ষন পর আয়ান আরিশাকে ছেড়ে দেয়’!!তারপর ডুব দেয় ভালোবাসায়’!!
“আর এখান থেকেই শুরু হবে আয়ান আরিশার নতুন জীবন’!!???
__________________
“বিছানার উপর বসে আছে আয়াফ’!!অপেক্ষা কখন আরিশা রুমে আসবে’!!আর ওকে চমকে দিবে’!!কারন আয়াফ আজকে তাদের রুমটাকে খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে’!!একদম প্রথম দিনের বিয়ের রাতের মতো’!!এমন সময় দরজা খুলে হন হন করে রুমে ঢুকলো আফিয়া’!!আশেপাশে কোনোকিছুর দিকে বা তাকিয়ে আলমারি থেকে একটা সুন্দর ব্লাক রঙের শাড়ি নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পরলো সে’!!সারাদিনের ব্যস্ততায় প্রচন্ড গরম লাগছে তার’!!
“পাক্কা দেড় ঘন্টা শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে আসলো আফিয়া’!!টাওয়াল দিয়ে চুল মুছতে লাগলো সে’!!হর্ঠাৎই চোখ যায় তার তাদের বিছানার দিকে’!!এতে অবাক হয় সে’!!অবাক হয়ে আফিয়া বললোঃ
———“আমাদের রুমটা এত সুন্দর করে কেন সাজানো….
“বিনিময়ে আয়াফ কোনো কথা না বলেই এগিয়ে যেতে লাগলো আফিয়ার দিকে’!!আয়াফের কাজে আফিয়া ভয় পেয়ে পিছনে যেতে যেতে বলেঃ
——–“আরে তুমি এগোচ্ছো কেন আমি ভুল কিছু বলেছি নাকি…
“আয়াফ চুপ….
——–“দেখো তুমি কিন্তু এইভাবে এগোতে পারো না আমার দিকে…
——–“তাই নাকি…
———“আরে আমি কি এমন বললাম যে তুমি এইভাবে এগোচ্ছো…
——–“কি বলো নি তুমি সেই টা বলো…
——-“মানে…
——–“মানে বোঝাচ্ছি তোমায়…
“বলেই আয়াফ কোলে তুলে নেয় আফিয়াকে’!!আফিয়া ঘাবড়ে গিয়ে আয়াফের হাত ধরে বললঃ
——–“আমায় কোলে নিলে কেন?
——–“আজকে তোমায় খুব ভালোবাসবো মায়াবতী…
“আয়াফের কথা শুনে আফিয়া লজ্জায় লাল হয়ে যায়’!!আফিয়ার লাজুক লুক দেখে আয়াফ বললোঃ
———“লজ্জা পেলে তো তোমায় দারুন লাগে মায়াবতী….
“মুচকি হাসে আফিয়া…
“আর এখান থেকেই শুরু হয় আয়াফ আফিয়ার নতুন জীবন যেখানে আছে শুধু ভালোবাসা ভালোবাসা শুরুই ভালোবাসা…???
??? || সমাপ্ত ||???
???[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!আমি জানি গল্পটা শেষ করে দিয়েছি বলে অনেকেই হয়তো মন খারাপ করবে’!!কিন্তু একটা জিনিস কি সবকিছুরই শুরু আছে যেমন তেমনি শেষও আছে’!!তোমরা সবাই জানো গল্প প্যাঁচানো ভালো লাগে না আমার তাই শেষ করে দিলাম’!!আশা করি সবার ভালো লেগেছে গল্পটা’!!কার কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে’!!তোমাদের সাথে আবার দেখা হবে নতুন গল্প নিয়ে ততদিন সবাই ভালো থাকো সুস্থ থাকো’!!]???
“আল্লাহ_হাফেজ….?
#TanjiL_Mim♥️