#নেশালো_সে?
#লেখনীতে:#তানজিল_মীম?
১৮.
“নিশ্চুপ বাতাসের আড়ালে গাছের নিচে থাকা একটা বেঞ্জের উপর বসে আছে আয়াফ আর আফিয়া’!!নীরবতার বাঁধ ভেঙে আয়াফ বলে উঠলঃ
———-“এখানে কি করছো তুমি….
“আচমকা চিরচেনা কারো কন্ঠ শুনতেই চমকে উঠলো আফিয়া’!!পাশ ফিরে আয়াফকে দেখে অবাক হয় সে’!!কারন আয়াফ বুঝলো কি করে সে এখানে আছে’!!
———-“এত কি ভাবছো বলো তো,খুব ভালো আছো তাই না আমায় ছাড়া…
———-“ভালো কেন থাকবো না শুনি,তুমি তো খুব ভালো আছো?
———-“হুম ভালো না থেকে যাবো কোথায় বলো’..
———-“আমাকে কষ্ট দিতে এসেছো বুঝি এখানে?
———-“তোমাকে কষ্ট দেওয়া সাধ্য আছে বুঝি আমার….
———-“মজা করছো আমার সাথে..
———-“তোমার কি মনে হচ্ছে আমি এই মুহুর্তে মজা করার মুডে আছি…
———-“না থাকারও বা কি আছে শুনি, আমার কাছ থেকে মুক্তি নিয়ে ভালোবাসার মানুষের সাথে থাকবে….
———-“হুম তা অবশ্য ঠিক বলেছো।
“আয়াফ খুব শান্ত ভাবেই কথাগুলো বলছে কিন্তু আফিয়ার কাছে কথাগুলো যেন ধারালো ছুরির মতো বুকে লাগছে’!!তারপরও নিজেকে যথাসম্ভব শান্ত রাখছে আফিয়া’!!আফিয়া চুপ হয়ে যাওয়াতে আয়াফ আবারো বলে উঠলঃ
———–“কি হলো চুপ হয়ে গেলে যে….
———–“না এমনি ভালো লাগছে না…..
————“কেন ভালো লাগছে না বলো তো, আমায় ছাড়া তো দিব্বি আনন্দে আছো মনে হয়…
———–“তুমি থাকতে পারলে আমি কেন পারবো না….
———–“সেটাও ঠিক….
———–“মেয়েটির নাম কি যাকে তুমি ভালোবাসো….
———–“হুম তোমায় সব বলবো তো তাই তো এসেছি এখানে….
“আফিয়া বেশ অবাক হয়ে বললোঃ
———-“মানে….
———–“একটা গল্প শুনবে…
“আফিয়া কিছুটা বিরক্ত হয়ে বললোঃ
———-“তোমার এই মুহুর্তে গল্প বলতে ইচ্ছে করছে…
———-“হুম খুব শুনবে তুমি….
-যদি না বলি তাহলে কি চলে যাবে আয়াফ’!!কিন্তু এই মুহুর্তে আফিয়া চাচ্ছে না আয়াফ চলে যাক’!!গল্প শোনার কোনো ইচ্ছে না থাকলেও আফিয়া বলে উঠলঃ
———–“কি গল্প….
———–“আমার গল্প শুনবে তুমি….
———–“ঠিক আছে বলো…
“আয়াফ ছোট্ট একটা শ্বাস ফেলে নিশ্চুপ পানে সামনে থাকা কিছু ছোট ছোট ফুল গাছের দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করলোঃ
“সময়টা আজ থেকে ঠিক ২ মাস ১৫ দিন আগের কথা…..
“সেদিন অফিসের একটা অনেক বড় ইমপোর্টেন্স মিটিং ছিল আমার’!!তারওপর আবার সেদিন খুব লেট করেই অফিস আসতে হয় আমার’!!ইচ্ছে করে হয়ে ছিল নাকি তার সাথে দেখা করার জন্যই হয়েছিল জানা হয়ে উঠে নি আজও’!!সে যাই হোক আসল কথা বলি এক অনেক লেট হয়ে গেছে আমার বাসা থেকে বের হতে তারওপর মাঝপথে হর্ঠাৎ গাড়ির তেল শেষ হয়ে যায়’!!বলে বুঝাতে পারবো না ওই মুহূর্তে কি পরিমান মাথা গরম ছিল আমার’!!রাগান্বিত মাথা নিয়েই গাড়ি থেকে বের হই আমি’!!জায়গাটা ছিল নীরবতায় ঘেরা’!!তো রেগেমেগেই মাস্ক পড়ে হাঁটতে ছিলাম আমি’!!উদ্দেশ্য ছিল একটা গাড়ি পাওয়ার’!! এমন সময় আচমকা ঝড়ও হাওয়ার মতো একটা মেয়ে আসতে ছিল আমার দিকে’!!মেয়েটি পরনে ছিল একটা লাল রঙের গর্জিয়াস গাউন,চুলগুলো ছিল তার কোমড় পর্যন্ত ছড়ানো,দু-হাত ভর্তি ছিল তার লাল কাঁচের চুরি,তবে তার মুখটা ছিল লাল ওড়না দিয়ে মুড়ানো শুধু মাএ তার চোখ ছাড়া মুখ দেখি নি আমি’!!কিন্তু সেই চোখ দুটোতেই ছিল অসম্ভব মায়ায় জড়ানো’!!তার দিকে তাকিয়ে রয়ে ছিলাম আমি অনেকক্ষণ’!!জীবনে প্রথমবার কোনো মেয়েকে দেখে চোখ আঁটকে যায় আমার’!!বলতে পারো তার সেই চোখে অসম্ভব নেশা লাগানোর মতো কিছু ছিল এক কথায় বলতে গেলে “নেশালো_সে”?!!তার মায়াবী চোখ, ঘন কালো লম্বা চুল সাথে মনোমুগ্ধকর তো কিছু একটা ছিল তার ভিতর’!!হুট করেই মেয়েটা দৌড়ে এসে ধাক্কা খায় আমার সাথে’!!আমি তখনও নিজের ঘোর লাগানো মুহূর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারি নি’!!মেয়েটি শুধু দুটো শব্দ উচ্চারণ করেছিল সেদিন’!!শব্দ দুটো ছিল “সরি সরি….!!তারপর একে একে তার পিছন পিছন অনেকগুলো ছেলেমেয়ে দৌড়াতে ছিল তবে কেন দৌড়াতে ছিল আজও জানা হয় নি আমার’!!তবে আমি জানি কিছুক্ষনের মধ্যেই সেই কারনটা জানতে পারবো আমি’!!সে হলো পরের কথা’!!সেদিনের সেই এক মুহূর্তে ঝলকানোর মতো সে আমার জীবনে চলে আসলো’!!সেদিন থেকেই কোনো ভাবেই মেয়েটাকে ভুলতে পারছিলাম না আমি’!!রাতে ঘুমাতে গেলেও মেয়েটার সেই চোখ দুটো খুব মনে পরতো আমার’!!এর ভিতর হুট করেই বাবা বলে উঠলঃ
———-“তোমার জন্য আমরা মেয়ে ঠিক করেছি গিয়ে দেখে এসো…
“সেই মুহূর্তে বিয়ে করার বিন্দু মাএ ইচ্ছে ছিল না আমার’!!কারন আমি তো সেই মেয়েটাকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম’!!মেয়েটি সেদিনই শুধু দেখেছিলাম’!!তারপর অনেক খুঁজেও মেয়েটার হদিস মিললো না’!!অবশ্য মেয়েটি হয়তো সেদিনই কোনো কারনে ওড়না দিয়ে মুখ আঁটকে ছিল’!!পরে বহুবার তার সাথে দেখা হয়েছে আমার সাথে ঝগড়াও হয়েছে কিন্তু আমি তাকে চিনতে পারি নি’!!যাকে আড়াল থেকে ভালোবাসতাম তাকে সামনে থেকে একদমই সহ্য করতে পারতাম না আমি’!!আফিয়া আয়াফের কথার আগামাথা কিছু বুঝতে না পেরে বলে উঠলঃ
———“আমি কিন্তু কিছু বুঝতে পারছি না আয়াফ….
———“ধৈর্য ধরো সবটা বুঝে যাবে তোমারই তো গল্প…
“আফিয়া বেশ অবাক হয়ে বললোঃ
———-“মানে…
———-“বলছি তো শুনো আগে সবটা…
“হুম তারপর যা বলছিলাম’!!সেদিনের মেয়েটাকে আর খুঁজে পায় নি আমি’!!এর মাঝে একদিন গাড়ি করে যাচ্ছিলাম বাবার বলা সেই মেয়েটাকে দেখতে’!!একদিকে যাকে ভালোবাসলাম তাকে খুঁজে পাচ্ছি না তার উপর আবার বিয়ে সব মিলিয়ে সেদিন মেজাজটা ছিল গরম’!!ক্ষিপ্ত মেজাজ নিয়েই গাড়ি চালাচ্ছিলাম আমি’!!এমন সময় হুট করেই একটা মেয়ে এসে পরলো গাড়ির সামনে’!!মেজাজ গেল আরো গরম হয়ে’!!আমি গাড়ি থেকে নেমে চেঁচিয়ে বলে উঠলাম মেয়েটাকেঃ
———“ইউ ইস্টুপিট গার্স কোথাকার চোখ কোথায় থাকে তোমার এখনই তো গাড়ি নিচে পড়ে অবস্থা খারাপ হয়ে যেত…
———-“আই এম সরি ভাইয়া…
———“what সরি,এখনই কি বিপদে পরতাম আমি ইডিয়েট কোথাকার…
“অহেতুক মেয়েটা এটা ওটা বলার কারনে মেয়েটা রেগে যায়’!!তারপর সেও চেঁচিয়ে বলতে শুরু করলঃ
———“এই যে মিস্টার “করলার জুস” সেই কখন থেকে শুধু শুধু আপনার তেঁতো কথা গুলো শুনে যাচ্ছি আমি’!!আরে ইচ্ছে করে কি আপনার গাড়ির সামনে এসেছি আমি’!!ভুল বশত হয়েছে’!!সরি তো বললাম নাকি তার পরও ইস্টুপিট ইডিয়েট কতকিছু বললেন আপনি….
———“এই তুমি আমায় কি বললে করলার জুস…
———“হুম আপনি হলেন করলার জুসের মতো তেঁতো, আপনার সাথে যার বিয়ে হবে তার জীবনডা পুরা তেজপাতা হয়ে যাবে…
———-“কি বললে তুমি….
———-“কেন শুনতে পান নি আপনি…..
“এই নিয়ে মাঝরাস্তায় তুমুল বেগে ঝগড়া শুরু হয়ে যায় আমাদের’!!!আয়াফের কথার মাঝখানে আফিয়া বলে উঠলঃ
———-“সেদিন তোমারই দোষ ছিল মিস্টার করলার জুস আমার দোষ ছিল না!সরি বললাম তারপরও তো কতকিছু বললে তুমি….
————“আর তুমি কি বলছিলে মনে আছে আমার যার সাথে বিয়ে তার জীবন নাকি তেজপাতা হয়ে যাবে….
———–“ওটা তো রাগের মাথায় বলেছিলাম…
“হর্ঠাৎই আফিয়া তার কথা থামিয়ে দিয়ে বললোঃ
———-“ওয়েট ওয়েট আপনার গল্পের মাঝে আমি কোথা থেকে চলে আসলাম….
———-“পুরোটা শুনবে তারপর তো বুঝবে তুমি তো পুরোটা বলতেই দিচ্ছো না….
“এইবার আফিয়া অতি আগ্রহ নিয়ে বললোঃ
———“ঠিক আছে আর কথা বলবো না আমি বলো তুমি….
———-“হুম কোথায় জানি ছিলাম ঝগড়ায়’!!তো সেদিন ওই মেয়েটার সাথে ঝগড়া করতে করতে হর্ঠাৎই ফোন বেজে উঠল আমার’!!আর ফোনটা করেছিল যাকে দেখতে যাচ্ছি তার বাবা’!!তো তার ফোনটা আসতেই আমার মনে পড়ে গেল আমি কোথায় যেতে বাড়ি থেকে বের হয়ে ছিলাম’!!তারপর আর কথা না বারিয়ে চলে আসলাম বাবার বলা সেই মেয়েটাকে দেখতে’!!সেখানে গিয়ে আরো অবাক আমি’!!যে মেয়েটার সাথে কয়েক মুহূর্ত আগে ঝগড়া করে আসলাম তার বড় বোনকেই দেখতে এসেছিলাম আমি’!!অবশ্য দেখা করাটা তো জাস্ট শো ছিল বিয়ের কথা বার্তা তো আগেই হয়ে গেছে’!!আমি সেদিন আদিবার সাথে কোনোরকম কথা বলি নি শুধু ওকে দেখেই চলে এসেছিলাম’!!তারওপর তার বোন আফিয়া ওটা তো একটা শয়তান মেয়ে ছিল নানা ভাবে আমায় জ্বালাতো কখনো জুসের ভিতর লবন দিয়ে তো কখনো খাবরের ভিতর বেশি ঝাল দিয়ে’!!মেয়েটার এমন কান্ড একদমই সহ্য হতো না আমার’!!এক কথায় বলতে গেলে একদম অসয্যকর ছিল সে’!!আয়াফের কথার মাঝখানে আবারো আফিয়া কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলে উঠলঃ
———-“তুমি এমন ভাবে বলতে পারলে আয়াফ….
———-“তুমি আবারো কথার মাঝখানে কথা বলছো….
“আফিয়া তার ঠোঁটে কামড় দিয়ে বললোঃ
——–“সরি আর বলবো না…..
“আয়াফ এবারো কিছু বললো না আফিয়াকে’!!আবারো সে বলে উঠলঃ
———“তারপরের তা তো তুমি সবই জানো কিভাবে আমি আদিবাকে বিয়ের আসর সেরে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলাম’!!আদিবা বাড়ি থেকে বের হতেও আমি সাহায্য করেছিলাম’!!তোমার মনে আছে বিয়ের দিন আমি একটু লেট করে এসেছিলাম আর আমার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছিল’!!আমি তখন আদিবাকে তোমাদের বাড়ি থেকে বের করেই ওখানে গিয়ে ছিলাম’!!কিন্তু ভাগ্যের কি জোর দেখ এতকিছু করেও বিয়ে আটকাতে পারলাম না’!!সেই যাকে সহ্য করতে পারতাম না তার সাথেই জোর করেই বিয়ে দিয়ে দিল বাবা’!!সেদিন বাবার উপর খুব রাগ হয়েছিল আমার’!!খুব অভিমান জমেছিল’!!কিন্তু আজ মনে হচ্ছে সেদিন বাবার কাজটাই সঠিক ছিল’!!ওই কথা আছে না আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে’!!আমারও সেদিন ভালো করেছিল খোদা’!!যাকে আড়ালে ভালোবাসতাম তার সাথেই বিয়ে হয়ে গেল’!!আয়াফের কথার মাঝখানে আফিয়া উওেজিত হয়ে বললোঃ
———-“তার মানে…
———“তুমি আবারো কথার মাঝখানে কথা বললে….
“আফিয়া কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে বললোঃ
———-সরি সরি…..
“আফিয়ার কথা শুনে এতক্ষণ শান্ত থাকলেও এখন আর থাকতে পারলো না আয়াফ রেগে গিয়ে চেঁচিয়ে বললো সেঃ
———”একদম সরি সরি বলবা না এই সরি সরি পুরো জীবনটা খেয়ে দিলো আমার’!!আসলে কি বলো তো তোমরা মেয়েরা সবসময় এক লাইন বেশি বুঝো আরে একটা কথা শুনছো তো সেটা জিজ্ঞেস করবে না তার আগেই এটা ওটা ভেবে এতকিছু বলে দিলে’!!হ্যাঁ তুমি যেন কি কি লিখে মেসেজ দিয়েছিলে আমায়……
“আমি আপনাকে মুক্তি দিয়ে দিবো আয়াফ’!!আজকে আপুর সাথে দেখা হয়েছিল শপিংমলে আমায় সব বলেছে কেন আপনি আপুকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন’!!আমি চাই না আমি কারো জীবনে বোঝা হয়ে থাকতে’!!আর আমি এটাও চাই না তুমি আমার সাথে থেকে নিজেকে কষ্ট দেও’!!আমি চাই তুমি তোমার ভালোবাসার মানুষের সাথে সুখে থাকো’!!তাই ডির্ভোস পেপার পাঠিয়ে দিও আমি সাইন করে দিবো’!!তুমি নোভা আপির সাথে ভালো থেকো’!!
———“তোমার ওই লাস্ট কথাটার অর্থ বুঝতে পারলাম না আমি’!!তুমি কি করে বুঝলে আমি নোভাকে ভালোবাসি…
“আফিয়া একটু ঘাবড়ে গিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বললোঃ
———-“আ..স..লে আ..মি…
———-“একদম তুতলাবে না সহজ ভাবে বলো…
———“আপনি তো সেদিন রাতে বলেছিলেন নোভা আপি চলে যাওয়ায় আপনি তাকে মিস করতেন,তার ছোট ছোট আবদারের কথাগুলো নাকি আপনার খুব মনে পরতো তাই তো…
———-“তাই তুমি ভেবে নিলে আমি নোভাকে ভালোবাসি,আরে কাউকে মিস করার মানেই তাকে ভালোবাসা নয়’!!তোমায় কি করে বোঝায় আমি’!!আর কথা প্যাঁচাতে ভালো লাগছে না সোজা ভাবে বলছি আমি…
“আমি শুধু তোমায় ভালোবাসি’!!নেশালো_সে? আর সে মেয়েটাই যে তুমি আফিয়া’!! Unexpected হলেও এটাই সত্যি আমার প্রথম আর শেষ ভালোবাসা তুমি আছো তুমি ছিলে আর তুমি থাকবে’!!বুঝতে পেরেছো….
“সেদিন রাতে যখন তোমায় লাল রঙের ড্রেস পরানোর জন্য উতোলা হয়ে পড়েছিলাম আমি’!!সেদিনই জেনে গিয়েছিলাম’!!আমি যাকে এতো ভালোবাসি সেই তুমি’!!ভেবেছিলাম তোমায় সবটা বলবো কিন্তু সময় করে বলতে পারি নি’!!তাই তোমায় বলেছিলাম সেদিন আমি না আসা পর্যন্ত তুমি ঘুমাবে না’!!কিন্তু তুমি কি করলে আমার ঘুমটাই কেড়ে নিলে’!!এত বেশি বুঝলে কেন তুমি, তুমি জানো তোমার বেশি বোঝার জন্য দু-রাত ঘুম হয় নি আমার’!!সেদিন রাতে ইচ্ছে করছিল তোমার মাথার সব চুল ছিঁড়ে ফেলি’!!কিন্তু আমারও অভিমান হয় তোমার ওপর তাই ইচ্ছে করেই ফোন করি নি তোমায়’!!আর তুমি কি ভাবলে আমি অন্য মেয়েকে নিয়ে খুব সুখে আছি’!!আরে তোমার জন্য এতকিছু করলাম আর তুমিই কিনা এই ভাবে বেশি বুঝে ছেড়ে আসলে আমায়’!!এইরকম আরো বক বক করতে লাগলো আয়াফ’!!দু’দিনের যত জমালো রাগ ছিল সব এই মুহুর্তে আয়াফ ঝারছে আফিয়ার উপর’!!আর এদিকে আফিয়া নিজের বোকামির জন্য নিয়েই এখন লজ্জিত’!!হুট করেই আফিয়া আয়াফকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলে’!!তারপর কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠল সেঃ
———“আমি সত্যি সরি,আমি সত্যি বুঝতে পারি নি এইরকম কিছু হতে পারে’!!আমি তো ভেবেছিলাম তুমি অন্য কাউকে ভালোবাসো’!!আমার সত্যি ভুল হয়ে গেছে তোমায় কিছু জিজ্ঞেস না করেই উল্টো পাল্টা ভাবা,, আর উল্টো পাল্টা ডিসিশন নেওয়া’!!আমি এই দু-দিনে সত্যি বুঝে গেছি তুমি ছাড়া আমি বড্ড অসহায়’!!এই কয়েকদিনে যে আমি তোমায় এওতো এওতো ভালোবেসে ফেলেছি’!!আই এম ছো সলি জামাই…??
||
“আচমকা এমনটা হওয়াতে আয়াফ পুরো ভরকে গেল’!!পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিলো সে’!!সে জানতো আফিয়া এমন কিছুই বলবে তাই আফিয়া যখন বাড়ি থেকে বের হলো ওর পিছন পিছন সেও চলে এসেছে’!!কারন আফিয়া যখন বাড়ি থেকে বের হয় তখন আয়াফ ওদের বাসার নিচেই ছিল নিজের গাড়ির ভিতর!
.
“অন্যদিকে আফিয়া কেঁদে কেঁদে আয়াফের শার্ট ভিজিয়ে ফেলেছে’!!আয়াফ আফিয়াকে ছাড়িয়ে বললোঃ
———“ঠিক আছে ঠিক আছে আর কাঁদতে হবে না, কাঁদলে তোমায় একদম প্যাঁচার মতো লাগে….
———-“কি আমায় প্যাঁচার মতো লাগে থাকবো না আমি তোমার সাথে……
“বলেই যেই না উঠতে যাবে আফিয়া সাথে সাথে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললঃ
———-“আমায় ছেড়ে কোথায় যাবে মায়াবতী….
হাসলো আফিয়া….
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে…………
???[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ!!
আর গল্প কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে!!]❤️❤️❤️
#TanjiL_Mim♥️